Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ are free to use and easily accessible.

Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. AHSEC Board Class 11 Environmental Studies in Bengali Solutions, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Environmental Studies in Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Environmental Studies Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Solution in Bengali. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

পরিবেশ প্রদুষণ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলীর উত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। পরিবেশ প্রদুষণ বলতে কি বুঝ? বিভিন্ন প্রকারের প্রদুষণের বিষয়ে লিখ। (What do you mean by environmental pollution? Name different types of Pollution)

উত্তরঃ মানুষের কার্যকলাপের ফলে পরিবেশের বাতাস, জল এবং মাটির  ভৌতিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক গুণাগুণের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন, যা মানুষের, জীব জন্তুর, অন্যান্য জীব এবং সম্পত্তির ক্ষতিশাধন করে তাকেই পরিবেশ প্রদুষণ বলে। সাধারণত প্রদুষণ তিন প্রকারের হয়। যেমন – 

১। বায়ু প্রদুষণ (Air pollution)।

২। জল প্রদুষণ (Water pollution)।

৩। ভূমি প্রদুষণ (Soil pollution)।

আবার প্রদুষকের উপর নির্ভর করে প্রদুষণ নিন্ম রূপের হতে পারে।

১। তাপ প্রদুষণ (Thermal pollution)।

২। শব্দ প্রদুষণ (Noise pollution)।

৩। তেজষ্ক্রিয়তা প্রদুষণ (Radioactive pollution)।

৪। গোটা আবর্জনা প্রদুষণ (Solid waste pollution)। 

৫। তৈল প্রদুষণ (Oil pollution)। 

৬। ঔদ্যোগিক প্রদুষণ (Industrial pollution)।

৭। সাগারীয় প্রদুষণ (Marine pollution)।

প্রশ্ন ২। বায়ু প্রদুষণ কি? বায়ু প্রদুষনের উৎস সমুহ চিহ্নিত কর।

(What is air pollution? Identify the sources of air pollution)

উত্তরঃ বায়ুতে ধুলো, ধোয়া, কুয়াশা, দুর্গন্ধ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা মিশে থাকার ফলে বায়ুত স্বাভাবিক অনাস্থার পরিবর্তন হয়ে বায়ুতে ক্ষতি কারক পদার্থের সৃষ্টি এবং মিশ্রণ হওয়াকে বায়ু প্রদুষন বলে। বায়ু প্রদুষনের ফলে বায়ুতে ধোয়া, বিষাক্ত গ্যাস, বায়ুতে মিশে থাকা কণিকা (SPM) ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।

বায়ু প্রদুষণের প্রধান উৎসসমুহ প্রধানত দুই ধরনের হয় – 

১। প্রাকৃতিক উৎস।

২। মানুষের দ্বারা সৃষ্ট উৎস।

১। প্রাকৃতিক উৎস: এই উৎসসমুহ প্রকৃতিতেই উৎপন্ন হয়। এই উৎসগুলি আবার নিন্মরূপ হতে পারে।

(ক) আগ্নেয়গিরির উদগীরণ: সালফার – ডাই – অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন – ডাই – অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হয়।

(খ) দাবানল: বনে অগ্নিকাণ্ডের ফলে বায়ুতে ধোয়া এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বায়ুতে মিশে যায়।

(গ) জৈবিক এবং অজৈবিক দ্রব্যের স্বাভাবিক পচন: এর ফলে বায়ুতে মিথেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস বাতাসে মিশে যায়।

(ঘ) ধুলো: বায়ুতে ধুলির পরিমাণ বেশি হলে বায়ু প্রদুষিত হয়।

(ঙ) ফুলের রেণু : ফুল, অপতৃণ, ঘাস বন এবং গাছ বৃক্ষের রেণু বাতাসে মিশে বাতাসকে প্রদুষিত করে।

(চ) তেজস্ক্রিয় পদার্থ: পৃথিবীর অভ্যন্তীণ তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ তথা মহাজাগতিক রশ্মি বায়ুকে প্রদুষিত করে।

২। মানবসৃষ্ট উৎস: এইসমুহ উৎস মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়। এইগুলি নিন্মরূপ হতে পারে।

(ক) বনাঞ্চল ধ্বংস। 

(খ) যানবাহন থেকে নির্গত ধোয়া। 

(গ) জীবাশ্ম ইন্ধনের দহন।

(ঘ) দ্রুত শিল্পায়ন।

(ঙ) আধুনিক কৃষি কার্য।

প্রশ্ন ৩। মানব শরীরের বায়ু প্রদুষনের প্রভাব বিষয়ে উল্লেখ কর।

(Mention few effects of air pollution on human health)

উত্তরঃ বায়ু প্রদুষণের ফলে মানুষের বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন প্রকারের বায়ু প্রদূষক বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা সৃষ্টি। এইগুলির মধ্যে কয়েকটি প্রদুষক দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা নিন্মরূপ।

১। সালফার ডাই অক্সাইডের প্রভাবে বুক জ্বালা, মাথা ব্যাথা, বমি এবং শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

২। নাইট্রোজেন অক্সাইডের প্রভাবে মাথা ব্যাথা, ফুস ফুসের রোগ, শিশুদের কাশি ইত্যাদি হতে পারে।

৩। কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব বমির ভাব, রক্তে অক্সিজেনের সঞ্চারণ হ্রাস, মাথা ব্যাথা এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সৃষ্টি হতে পারে।

৪। SPM, ছাই, কালো ধোঁয়া প্রভৃতি চোখ জ্বালা করা, একজিমা, কর্কট রোগ প্রভৃতি সৃষ্টি করতে পারে। 

৫। হাইড্রোজেন সালফাইডের প্রভাবে বমি, চোখ জ্বালা করা গলা চুলকানো ইত্যাদি হতে পারে। 

৬। এমনিয়ার প্রভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপরি ভাগ আক্রান্ত হয়।

৭। এসবেষ্টস মানুষের ফুস ফুসে কর্কট রোগের সৃষ্টি করতে পারে।

৮। এছাড়াও এলডিহাইড শ্বাসনালীতে জ্বলন, এবং ফসজিন হৃদরোগের সৃষ্টি করতে পারে।

প্রশ্ন ৪। জল প্রদুষন কি? মানব শরীরের জল প্রদুষনের প্রভাব সমুহ কি কি? (What is water pollution? What are the effects of water pollution on human health)

উত্তরঃ জলে অতিরিক্ত অবাঞ্ছিত দ্রব্য মিশে গিয়ে মানুষ, জীব জন্তু এবং জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকারক হয়ে পড়া অথবা সেই জলভাগ এবং তার চারপাশে থাকা বিভিন্ন জীবিত পদার্থের স্বাভাবিক কার্য কলাপ বাধা গ্রন্থ হওয়াকে জল প্রদুষণ বলে। অর্থাৎ জলে অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতি কারক পদার্থের মিশ্রণকে জল প্রদুষণ বলে। 

দুষিত জল মানবদেহে নানান রকমের রোগের সৃষ্টি করে। দুষিত জলের উৎস এবং শোচনীয় পুর জল সরবরাহ ব্যবস্থা বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগ ছড়ায়। জল প্রদুষনের ফলে জলের মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থের ক্ষতিসাধন হয় এবং এইগুলির উপকারী গুন নষ্ট হয়। জল প্রদুষনের ফলে জলে বিভিন্ন ধরনের বীজানু মিশে যায় যেগুলি মানুষের শরীরে নানান ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। এই ধরনের কিছু রোগের উদাহরণ হল টাইফয়েড, কলেরা, ডিসেন্ট্রি, ডায়েরিয়া, জিয়ার ডিয়াডিসস, গ্যাস্টোএন্টাইটিস, পোলিও ইত্যাদি। জীবাণু বাহিত রোগ ছাড়াও জলে বিভিন্ন প্রকারের ধাতব ও অধাতব অশুদ্ধি মিশে যাওয়ার ফলে তা মানুষের শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগ সৃষ্টি করে। যেমন পানীয় জলে অত্যাধিক লোহার উপস্থিতি শরীরে থোলা সমিয়া এবং কোষ্ট কাঠিন্য সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ফ্লোরাইডের উপস্থিতিতে শরীরে ফ্লোরোসিস, আর্সেনিকের উপস্থিতিতে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হয়। পানীয় জলে ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি জাপানের ইতাই ইতাই রোগের কারণ ছিল। কাজেই দেখা যায় জল প্রদুষনের ফলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৫। ভূমি প্রদুষন কি? তাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? (What is soil pollution? How can it be controlled?) 

উত্তরঃ মাটিতে ঘরোয়া এবং ঔদ্যোগিক বর্জ্য পদার্থ এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে গিয়ে মাটির গুণাবলী নষ্ট হওয়াকে মাটি দূষণ বা ভূমি প্রদুষন বলে। ভূমি প্রদুষনের নিয়ন্ত্রণে নিন্মলিখিত উপায়গুলি গ্রহন করা উচিত।

১। বিভিন্ন উদ্যোগের বর্জ্য পদার্থ সমূহকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার আগে সেগুলোকে ভাল করে পরিশোধন করা প্রয়োজন।

২। গোটা আবর্জনা সমূহকে উৎসেই জৈব বিয়োজনীয় এবং জৈব অবিয়োজনীয় হিসাবে ভাগ করে ফল প্রসু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সেগুলোর বিয়োজন ঘটাতে হবে।

৩। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের প্রয়োগে উৎসাহ যোগানো উচিত।

৪। রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

৫। মাটিতে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সমুহ দুর করার জন্য জৈব পরিচর্যা পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।

৬। বিভিন্ন বস্তু যেমন প্লাষ্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদিকে পুণরাবর্তন করা উচিত।

৭। ভূমি প্রদুষনের বিরুদ্ধে কোঠর আইন বলবৎ করা উচিত।

৮। মানুষের মধ্যে ভূমি প্রদুষনের কুফল সমন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত।

প্রশ্ন ৬। গোটা আবর্জনা কি? সেগুলোকে কিভাবে ভাগ করা হয়? (What are solid waste? How are they classified?)

উত্তরঃ ঘরোয়া, ব্যবসায়ীক, প্রতিষ্ঠানিক, কৃষি, খনন এবং উদ্যোগিক কাজ কর্মের ফলে যে সমস্ত আবর্জনা সৃষ্টি হয় সেইগুলোকে গোটা আবর্জনা বলে। গোটা আবর্জনার একটি সংজ্ঞা হল – ” ভুল স্থানে ফেলা সামগ্রী”, দ্রুত নগরায়ন, ঔদ্যোগিক, জনসংখ্যা বিষ্ফোরণ এবং অর্থনৈতিক মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক বৎসরগুলিতে এই ধরনের আবর্জনা প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গোটা আবর্জনাকে প্রধানত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন – 

১। ঘরোয়া বর্জ্য পদার্থ।

২। শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পদার্থ। এবং

৩। কৃষি কার্যের বর্জ্য পদার্থ।

১। ঘরোয়া বর্জ্য পদার্থ: ঘরোয়া আবর্জনা, কাগজ, বস্ত্র, বর্জ্য খাবার, সব্জির আবর্জনা ইত্যাদি।

২। শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পদার্থ: বিভিন্ন কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ সমুহ যেমন – লবণ, এসিড, গ্রিজ, তেল ইত্যাদি।

৩। কৃষি কার্যের বর্জ্য পদার্থ: গড়, তুষ, পশু পাখির মলমুত্র, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদির পদার্থ।

প্রশ্ন ৭। গোটা আবর্জনার পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা কর। (Discuss about environmental effects of solid wastes)

উত্তরঃ গোটা আবর্জনা সমুহ সঠিকভাবে বিনষ্ট না করলে বিভিন্ন প্রকারের পরিবেশগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন – 

১। আবর্জনা ফেলা স্থান দূষিত হয়ে পড়ে এবং সেখানে রোগ বীজানুর বাহক ইদুর, মাছি, মশা ইত্যাদির বংশবৃদ্ধি করে।

২। অণুজীবের মাধ্যেমে গোটা আবর্জনার পচনের ফলে চারপাশের এলাকায় মিথেন গ্যাস নির্গত হয়।

৩। গোটা আবর্জনার থেকে নির্গত বা তার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া জল মাটি, ঘোলা জলের উৎস এবং ভূ – গর্ভের জলে মিশ্রিত হয়।

৪। গোটা আবর্জনায় থাকা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ভূ – গর্ভের জল প্রদুষিত করে।

৫। আবর্জনা ফেলার স্থান পাকা না হওয়ার কারণে অপরিচ্ছন্ন জল চুয়িয়ে মাটিতে প্রবেশ করে মাটি দূষিত করে।

৬। আবর্জনা জমা স্থানের পাশে বসবাস করা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়াটা আবাধারি, একে এড়ান অসম্ভব। এবং

৭। গোটা আবর্জনা থাকা বিভিন্ন প্রকারের জৈব বস্তুর পচনের ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এবং বায়ু দূষিত হয়। 

প্রশ্ন ৮। প্রধান সবুজ গৃহ গ্যাসসমুহ কি কি? সবুজগৃহ প্রভাব কি? (What are the major greenhouse gases? What is greenhouse effect?) 

উত্তরঃ প্রধান সবুজগৃহ গ্যাস সমুহ হল কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন(CFC), নাইট্রাস অক্সাইড এবং ওজন।

সূর্য থেকে আসা শক্তির ৩০ শতাংশ আবার মহাকাশে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় এবং বাকি ৭০ শতাংশ পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং এই শক্তিই পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে জীবের বাসযোগ্য করে রাখে। পৃথিবীকে উত্তপ্ত রাখার মুলে হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। বায়ুতে থাকা কিছু গ্যাস যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ওজন এবং জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হওয়া তাপকে শোষন করে এবং বায়ুমণ্ডলেই ধরে রাখে। এই গ্যাসগুলি কিছু পরিমাণে তাপ ফের ভূপৃষ্টে নিক্ষেপ করে।

কিন্তু বায়ু প্রদূষনের ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসের অনুপাত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই গ্যাসগুলি প্রয়োজনের অতিরিক্ত তাপ পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিচ্ছে যার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড মিথেন ওজন, নাইট্রাস অক্সাইড  ইত্যাদি গ্যাসের অনুপাত বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সবুজ গৃহ প্রভাব বলে। যেহেতু এই প্রক্রিয়াটি উদ্যান শস্যের জন্য কাছের নির্মিত গ্রিনহাউসের (সবুজ গৃহ) ভেতরের উষ্ণতার পর্যবেক্ষণ করার প্রক্রিয়াটির সঙ্গে একই তাই তাকে সবুজ গৃহ প্রভাব বলে।

প্রশ্ন ৯। গোলকীয় উষ্ণায়ন (গ্লোবাল ওয়ার্মিং) বলতে কি বুঝ? গোলকীয় উষ্ণায়নের কয়েকটি পরিণতির বিষয়ে উল্লেখ কর। (What you mean by global warming? Mention few consequences of global warming) 

উত্তরঃ পৃথিবীর গড় উষ্ণতা প্রায় ১৫°সেন্টিগ্রেড। এই উষ্ণতা পৃথিবীতে বসবাসকারী জীবকুলের জন্য অনুকূল। কিন্তু বায়ু মণ্ডলে সবুজ গৃহ গ্যাসের বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর তাপ মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানিদের মতে গত শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ০.৩ – ০.৬২ সেন্টি গ্রেড বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত শতাব্দীগুলিতে পরিবেশ প্রদুষনের ফলে বায়ুতে সবুজ গৃহ গ্যাসগুলির পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সবুজ গৃহ গ্যাস সমুহ একটি আবরণ সৃষ্টি করে উষ্ণতা বৃদ্ধি করার এই ঘটনাকেই গোলকীয় উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।

গোলকীয় উষ্ণায়নের ফলে নিন্মলিখিত প্রভাবগুলি ঘটতে পারে।

১। গোলকীয় উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চল তথা গ্রীনল্যাণ্ডের বিশাল বরফের ভাণ্ডার এবং হিমবাহগুলি গলিতে শুরু করেছে যার ফলে সমুদ্রের জল স্তরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত হবে যার ফলে মানুষ এবং জীব জন্তুর প্রচণ্ড ক্ষতি হবে।

২। গোলকীয় উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর বহু এলাকা মেরুভূমিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩। গোলকীয় উষ্ণায়নের ফলে দাবানলের তীব্রতা এবং সময় বৃদ্ধি পাবে যা পরিবেশের ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে।

৪। গোলকীয় উষ্ণায়নের ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী এবং উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন ১০। অ্যাসিড বর্ষণ কি? (What is acid rain)

উত্তরঃ ঔদ্যোগিক কাজ কর্ম এবং জীবাশ্ম ইন্ধনের দহনের ফলে বায়ুতে সালফার এবং নাইট্রোজনে জাতীয় অক্সাইড সমূহের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন দিকে বইতে থাকা বাতাস যখন সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহকে স্পর্শ করে তখন সেই জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে এসে সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সালফেট এবং নাইট্রেটের ক্ষুদ্র ক্ষনা সৃষ্টি হয়। এই রাসায়নিক পদর্থসমুহ তরল এবং শুকনো আম্লিক পদার্থ রূপে ভূ পৃষ্টে নেমে আসে। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটিকে অম্লবর্ষণ বা অ্যাসিড বর্ষণ বলে।

প্রশ্ন ১১। প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট প্রদুষণ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ পরিবেশের যে সমস্ত প্রদুষণ প্রাকৃতিক কারকের দ্বারা হয়ে থাকে সে সমস্ত প্রদুষণকে প্রাকৃতিক প্রদুষণ বলে। যেমন – আগ্নেয়গিরি উদ্গীরণের ফলে বায়ু প্রদুষণ, দাবানলের ফলে বায়ু প্রদুষণ ইত্যাদি। অন্যদিকে মানুষের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপের ফলে যে সমস্ত প্রদুষণ হয় সে ধরনের প্রদুষণকে প্রাকৃতিক প্রদুষণ বলে। যেমন – কল কারখানা, মটর গাড়ীর ধোয়ার ফলে বায়ু প্রদূষণ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও:

প্রশ্ন ১। Pollution শব্দটি কোন শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তরঃ ল্যাটিন শব্দ Pollutionem (পলিউশনেম) থেকে pollution (প্রদূষণ) শব্দটি সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্ন ২। ল্যাটিন শব্দ Pollutionem এর অর্থ কি?

উত্তরঃ ল্যাটিন শব্দ Pollution এর অর্থ অপরিষ্কার।

প্রশ্ন ৩। PAN শব্দটি সম্পূর্ন নাম লিখ।

উত্তরঃ পেরোক্সি এসিটাইল নাইট্রেট।

প্রশ্ন ৪। মুখ্য প্রদুষকের একটি উদাহরন দাও।

উত্তরঃ সালফার – ডাই – অক্সাইড।

প্রশ্ন ৫। গৌণ প্রদুষকের একটি উদাহরন দাও।

উত্তরঃ পেরোক্সি এসিটাইল নাইট্রেট (PAN)।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশ প্রদুষনের একটি প্রাকৃতিক কারণ লিখ। 

উত্তরঃ আগ্নেয়গিরির উদগীরণ।

প্রশ্ন ৭। একটি মানব সৃষ্টি প্রদুষণ কারকের নাম লিখ।

উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধনের দহন।

প্রশ্ন ৮। একটি ক্ষতিকারক দ্রব্যের উদাহরণ দাও যা পরিবেশের অনিষ্ট করে।

উত্তরঃ ক্লোরোফোরোকার্বন।

প্রশ্ন ৯। যানবাহন থেকে নির্গত একটি প্রধান প্রদুষকের নাম লিখ।

উত্তরঃ কার্বন মনোক্সাইড (Co)।

প্রশ্ন ১০। পেট্রোলে কোন যৌগ থাকার ফলে যান বা ধোয়া থেকে সিসার যৌগ নির্গত হয়।

উত্তরঃ টেটোইথাইল লেড।

প্রশ্ন ১১। বায়ু প্রদূষনের সবচেয়ে বড় কারণটি কি?

উত্তরঃ যান বহনের ধোয়া।

প্রশ্ন ১২। শিল্পজাত উদ্যোগ থেকে কত শতাংশ বায়ু দূষণ হয়?

উত্তরঃ ২০ শতাংশ।

প্রশ্ন ১৩। কল কারখানাতে কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে দেখা যায় এমন একটি স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সিলিকসিস।

প্রশ্ন ১৪। ঘরের ভিতরের একটি প্রদুষকের নাম লিখ।

উত্তরঃ স্টোভের ধোয়া।

প্রশ্ন ১৫। সালফার – ডাই – অক্সাইড দ্বারা মানবদেহে সৃষ্ট একটি উপসর্গের উল্লেখ কর।

উত্তরঃ মাথা ধরা।

প্রশ্ন ১৬। বায়ু মণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত?

উত্তরঃ ৭৮%।

প্রশ্ন ১৭। এলডিহাইড আমাদের শরীরে কি অসুবিধার সৃষ্টি করে?

উত্তরঃ নাসিকা এবং শ্বাসনালীতে জ্বালা –  পোড়া অনুভব হয়।

প্রশ্ন ১৮। টাইফায়েড রোগের জীবাণুর নাম কি?

উত্তরঃ সেলমনেলা টাইফি।

প্রশ্ন ১৯। কত সনে ক্লোরোফোরোকার্বন (CFC) আবিষ্কৃত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৩০ সনে।

প্রশ্ন ২০। ওজন স্তরের রক্ষনা বেক্ষনের উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে কোন প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

উত্তরঃ মন্ট্রিয়েল প্রটোকল।

প্রশ্ন ২১। এক প্রকার ক্ষতিকারক দ্রব্য প্রদুষকের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ DDT.

প্রশ্ন ২২। বিশ্ব উষ্ণায়ন কী?

উত্তরঃ (ক) বায়ু মণ্ডলে সবুজ গৃহ জাতীয় গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একে বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে।

(খ) সত্য অথবা মিথ্যা লিখ।

প্রশ্ন ১। দাবানল একটি মানব সৃষ্ট প্রদুষক।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ২। নাইট্রোজন অক্সাইড একটি গৌণ প্রদুষক।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৩। কল কারখানা হল বায়ু দূষণের  সবচেয়ে বড় কারণ।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৪। চুনা পাথর বায়ু মণ্ডলীয় অম্লসমূহের আঁধারপাত্র হিসাবে কাজ করে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৫। জিয়ারডিয়াসিস হল একটি জল বাহিত রোগ।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৬। জলে ফ্লোরাইডের পরিমাণ ১.৫ মি: গ্রা/লি: থেকে বেশি হলে দাতের ফ্লোরোসিস রোগ হয়।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৭। একটি সমস্ত বৎসরের গড় আবহাওয়াকে কোন স্থানের জলবায়ু বলে।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৮। গোটা আবর্জনার একটি সংজ্ঞা হল – ‘ভুল স্থানে ফলে দেওয়া সামগ্রী ‘।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৯। বৃষ্টির জলের সঙ্গে সালফিউরিক এসিড থাকাকে অম্লবর্ষণ বলে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ১০। হাইড্রোজেন একটি সবুজ গৃহ গ্যাস।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(গ) শূন্যস্থান পূর্ণ কর – 

প্রশ্ন ১। চিহ্নিত করতে পারা উৎস থেকে প্রত্যক্ষভাবে নির্গত হওয়া প্রদুষককে __________ প্রদুষক বলে।

উত্তরঃ মুখ্য।

প্রশ্ন ২। PAN এক ধরনের __________ প্রদুষক।

উত্তরঃ গৌণ।

প্রশ্ন ৩। আগ্নেয়গিরির উদগীরণ এক প্রকারের ________ বায়ু প্রদূষক।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক।

প্রশ্ন ৪। সিলিকার ধূলিকণা শ্বাসের সঙ্গে নেওয়ার ফলে কল কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে _________ রোগ দেখা যায়।

উত্তরঃ সিলিকসিস।

প্রশ্ন ৫। বায়ুতে __________ শতাংশ অক্সিজেন থাকে।

উত্তরঃ ২১%

প্রশ্ন ৬। এসবেস্টস ফুসফুসে __________ রোগের সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ কর্কট।

 প্রশ্ন ৭। পলিও একটি ____________ জনিত রোগ।

উত্তরঃ ভাইরাস।

প্রশ্ন ৮। মানব শরীরের মধ্যে ___________ দিনের মধ্যে পলিও ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করে।

উত্তরঃ ৭.১৪ দিনের মধ্যে।

প্রশ্ন ৯। লোহার অভাবে শরীরে ___________ রোগ হয়।

উত্তরঃ থেলাসমিয়া।

প্রশ্ন ১০। জলে __________ এর উপস্থিতি মানুষের দেহে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ আর্সেনিক।

প্রশ্ন ১১। কম পক্ষেও ৩০ – ৪০ বৎসরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে কোন স্থানের __________ বলে।

উত্তরঃ জলবায়ু।

প্রশ্ন ১২। পৃথিবীর উপরিভাগের গড় তাপমাত্রা ____________।

উত্তরঃ ১৫° সেন্টিগ্রড।

প্রশ্ন ১৩। সূর্য থেকে আসা শক্তির ___________ শতাংশ আবার মহাকাশে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায়।

উত্তরঃ ৩০%।

প্রশ্ন ১৪। ___________ হল প্রধান সবুজ গৃহ গ্যাস।

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

প্রশ্ন ১৫ । কলেরা হল একটি ____________ রোগ।

উত্তরঃ জলবাহিত।

প্রশ্ন ১৬ । জলবায়ু পরিবর্তন বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ জলবায়ু পরিবর্তন বলতে আমরা জলবায়ুর অবস্থার পরিসংখ্যানগত ভিন্নতা বা এক দীর্ঘ সময়ের জন্য দেখা দেওয়া অবস্থার ভিন্নতা বুঝি।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। প্রদুষক বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ মানুষের কার্য কলাপের ফলে প্রকৃতিতে যে সকল পদার্থের উপস্থিতি স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে বেশি হলে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তাদেরকে প্রদুষক বলে।

প্রশ্ন ২। প্রদুষক কয় প্রকার এবং কি কি?

উত্তরঃ প্রদুষক সাধারণত: দুই ধরনের।

১। মুখ্য প্রদুষক। এবং

২। গৌণ প্রদুষক।

প্রশ্ন ৩। মুখ্য প্রদুষক বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সমস্ত প্রদুষক সরাসরি তাদের উৎস থেকে নির্গত হয়ে পরিবেশে বিচরণ করে তাদের মুখ্য প্রদুষক বলে । যেমন – সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি ।

প্রশ্ন ৪ । গৌণ প্রদুষক বলতে কি বুঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সমস্ত প্রদুষক প্রাথমিক প্রদুষকগুলির মধ্যে প্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় তাদের গৌণ প্রদুষক বলে। যেমন – ফোটোক্যামিকেল ধোঁয়াশা, গ্রাউন্ড লেভেল ওজন।

প্রশ্ন ৫। প্রদুষকের উপর নির্ভর করে প্রদুষনকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে? ওদের নাম লিখ।

উত্তরঃ প্রদুষকের উপর নির্ভর করে প্রদুষনকে  নিন্মলিখিত প্রকারে ভাগ করা হয়েছে।

১। তাপ প্রদুষন।

২। শব্দ প্রদুষন।

৩। তেজস্ক্রিয়তা প্রদুষন।

৪। গোটা আবর্জনার প্রদুষন।

৫। তৈল প্রদুষন।

৬। উদ্যোগিক প্রদুষন। এবং

৭। সাগরীয়া প্রদুষন।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশ প্রদুষনের প্রাকৃতিক কারকের উদারণ দাও।

উত্তরঃ পরিবেশ প্রদুষনের প্রাকৃতিক কারকের উদাহরণ হল ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির উদগীরণ, অত্যাধিক বৃষ্টিপাত ভূমিস্খলন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। বায়ু প্রদুষনের প্রাকৃতিক উৎসগুলির নাম লিখ।

উত্তরঃ বায়ু প্রদুষনের প্রাকৃতিক উৎসগুলি হল – 

১। আগ্নেয়গিরি উদ্গিকা।

২। দাবানল।

৩। জৈবিক এবং অজৈবিক দ্রব্যের পচন ধরা।

৪। ধূলিকণা।

৫। বিভিন্ন ধরনের অণুজীব। এবং

৬। তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইত্যাদি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top