Class 11 Environmental Studies Chapter 6 সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Environmental Studies Chapter 6 সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Environmental Studies Chapter 6 সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Environmental Studies Chapter 6 সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ are free to use and easily accessible.

Class 11 Environmental Studies Chapter 6 সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. AHSEC Board Class 11 Environmental Studies in Bengali Solutions, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Environmental Studies in Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Environmental Studies Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Solution in Bengali. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলীর উত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বহন উন্নয়ন বলতে কি বুঝ? (What do you mean by sustainable development?)

উত্তরঃ সাধারনত: উন্নয়নমূলক কার্য কলাপ পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশও প্রদুষিত হয়। কিন্তু যে উন্নয়নে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়নকে বহনক্ষম উন্নয়ন বা (Sustainable development) বলে।

১৯৮৭ সালে ‘ পরিবেশ এবং উন্নয়নের বিশ্ব সংস্থা ‘ (WCED, 1987) এর উদ্যোগে ‘ বাটল্যাণ্ড রিপোর্ট আওয়ার কমন ফিউচার ‘ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে  বহনক্ষম উন্নয়নের ধারণাটি যথেষ্ট গুরুত্ব লাভ করেছে। বার্টল্যান্ডের মতে বহনক্ষম উন্নয়ন হল এমন উন্নয়ন যা ‘ ভবিষ্যত ‘ প্রজন্মকে তাদের নিজেদের প্রয়োজনগুলো আহরণের ক্ষমতার সঙ্গে কোন আপোস না করে বর্তমান প্রয়োজন সমূহ পূরণ করে। পরিবেশ এবং উন্নয়নের বিশ্ব সংস্থা (WCED) এর মতে বহনক্ষম উন্নয়ন হল পরিবর্তনের এমন একটা প্রক্রিয়া যা সম্পদ আহরণ, বিনয়োগের পরিমাণ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিক নির্নয় এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন এবং সুরক্ষিত ভবিষ্যতের মধ্যে একটি ঐক্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন ২। নবীকরণযোগ্য এবং নবীকরণ অযোগ্য শক্তির উৎসসমূহ কি কি? (What are renewable and non renewable energy sources? Give example)

উত্তরঃ শক্তির উৎসসমূহকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

১। নবীকরণযোগ্য বা অপ্রচলিত শক্তি উৎস। এবং

২। নবীকরণ অযোগ্য বা প্রচলিত শক্তি উৎস।

১। নবীকরণযোগ্য বা অপ্রচলিত শক্তি উৎস: প্রকৃতিতে অফুরন্ত পরিমাণে থাকা এবং ক্রমাগত সৃষ্টি হতে থাকা শক্তির উৎসগুলিকে নবীকরণযোগ্য বা অপ্রচলিত শক্তি উৎস বলে। যেমন – সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ শক্তি, ভুতাপ বিদ্যুৎ শক্তি, সাগরীয় তাপ শক্তি, জোয়ার শক্তি, জৈব পচন শক্তি, জৈব ইন্ধন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি। এই ধরনের শক্তি প্রকৃতিতে নিঃশেষ হয় না এবং এদের বারবার ব্যবহার করা যায় এই ধরনের শক্তি সমূহ হল প্রচলিত শক্তির বিকল্প শক্তি।

২। নবীকরণ অযোগ্য বা প্রচলিত শক্তি উৎস: প্রচলিতভাবে ব্যবহার হয় এমন শক্তির উৎস সমূহ যেগুলি ক্রমাগতভাবে ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে কোনদিন নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে এই সমস্ত শক্তির উৎসকে নবীকরন অযোগ্য শক্তির উৎস বলে। এই সমস্ত শক্তির উৎস একবার নিঃশেষিত হওয়ার পর সেইগুলিকে আবার পূর্ন করা সম্ভব নয়। যেমন – জীবাশ্ম ইন্ধন, পারমাণবিক ইন্ধন  প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৩। শক্তি সংরক্ষণ কি? শক্তি সংরক্ষনের জন্য গৃহীত কিছু ব্যবস্থার উল্লেখ কর। (What is energy conservation? Mention some measures for energy conservation.)

উত্তরঃ শক্তির ব্যবহার কমিয়ে এবং শক্তির অপচয় বন্ধ করে শক্তির উৎসগুলিকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করার প্রক্রিয়াকে শক্তি সংরক্ষণ বলে।

শক্তি সংরক্ষনের অর্থ হল শক্তির খরচ হ্রাস করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শক্তি সংরক্ষনের ব্যবস্থাগুলি না নিন্মরূপ হতে পারে।

১। নবীকরণ অযোগ্য শক্তির পরিবর্তে যতদূর সম্ভব নবীকরণযোগ্য অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার করা।

২। যথেষ্টভাবে শক্তি সংরক্ষন করার মতো দক্ষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন।

৩। বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।

৪। ঘরে ব্যবহারে বিভিন্ন কাজ কর্মে শক্তির খরচ কমাতে উপভোক্তাকে সচেতন করে তোলা। এবং

৫। উদ্যগসমুহে কাচামালের সঠিক ব্যবহারের জন্য কারিগরী কৌশল উদ্ভাবন করা।

প্রশ্ন ৪। বৃষ্টির জল সংরক্ষন কি? বৃষ্টির জল সংরক্ষনের উদ্দেশ্য কি? (What is rain water harvesting? What are the objectives of rain water harvesting?)

উত্তরঃ ছাদ এবং অন্যান্য তল যেখানে বৃষ্টির জল পড়ে সেই জলকে সংগ্রহ করে রাখাকে বৃষ্টির জল সংরক্ষন বা বৃষ্টির জল কর্ষণ (Rain water harvesting) বলে। সাধারণত পাকা বা টিন ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত ঘরের চাল, এবং পাকা ছাদ থেকে পড়া বৃষ্টির জলকে সংরক্ষন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষনের প্রধান কৌশল। বৃষ্টির জল সংরক্ষনের নানান ধরনের উপযোগিতা থাকার জন্য বর্তমান কালে এর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বৃষ্টির জল সংরক্ষনের উদ্দেশ্য সমূহ: 

১। জল বয়ে গিয়ে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানো।

২। জলের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা।

৩। ভু – গর্ভস্থ জলের স্তর ঠিক রাখা এবং এই জলের চাপ কমানো।

৪। ভু – গর্ভস্থ জলের প্রদুষণ কমানো।

৫। শক্তির ব্যবহার কমানো। এবং

৬। জল এক সঙ্গে করে রাখার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুগর্ভস্থ জলের মান বৃদ্ধি করা।

প্রশ্ন ৫। বৃষ্টির জল সংরক্ষনের বিভিন্ন পর্যায় সমূহ কি কি? (What are different steps involved in rain water harvesting)

উত্তরঃ বৃষ্টির জল সংরক্ষন প্রক্রিয়াটি চারটি পর্যায় দ্বারা গঠিত হয়। বা অন্যভাবে বললে এই প্রক্রিয়া চারটি উপাদানে গঠিত –

১। একটি সংগ্রহের এলাকা বা একটি আপাতিত স্থান (Catchment): এটি হল যে স্থানে বৃষ্টি পড়ে জল জমা হয় সেইস্থান। একটি চাল বা ভূমি দুটিই হতে পারে। চাল জল শোষণ করে না ফলে জমির তুলনায় ভাল আপতিত স্থান কিন্তু ভূমির ক্ষেত্রফল বেশি হওয়ায় বেশি জল সংগ্রহ করতে পারে। অর্থাৎ প্রথম পর্যায় হল জল সংগ্রহ। 

২। বহন করা ব্যবস্থা: আপতিত স্থানে জল পড়ার পর ২ য় পর্যায়ে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জল ট্যাংক পর্যন্ত বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণত নালা বা পাইপের সাহায্যে এই ব্যবস্থাটি করা হয়।

৩। জল জমা করার ব্যবস্থা: তৃতীয় পর্যায়ে বহন করে আনা জলকে চৌবাচ্চায় জমা করে রাখা হয়। জল শোষণ না করা কংক্রিট, ফাইবার বা স্টেইনলেস স্টিল ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা চৌবাচ্চাটি নির্মাণ করা হয়। ট্যাংক বা চৌবাচ্চাটিতে একটি ছাকনি, অপরিচ্ছন্ন বস্তু ছাকার মত ফিল্টার এবং পরিষ্কার করার জন্য ম্যানহোল বা নালা থাকা উচিত। 

৪। বিতরণ ব্যবস্থা: এটি হল চতুর্থ পর্যায়, এই পর্যায়ে ট্যাংক থেকে জল বের করে ঘরোয়া কাজ কর্ম এবং কৃষিক্ষেত্র বা ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যবহার করা হয়। জলে মিশ্রিত দূষিত দ্রব্যকে বাধা দেওয়ার জন্য এতে একটি শোষণ ব্যবস্থা থাকা উচিত।

প্রশ্ন ৬। বৃষ্টির জল সংরক্ষনের সুবিধাসমূহ কি কি? (What are the advantage of rainwater harvesting?)

উত্তরঃ বৃষ্টির জল সংরক্ষনের সুবিধাসমূহ হল – 

১। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আবশ্যক স্থানে জলের একটি উৎসে গড়ে তোলা যায়। 

২। এই ব্যবস্থাটি কম ব্যয় সাপেক্ষ এবং প্রতিটি পরিবারই এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জন পুনর্ব্যবহার করতে পারে।

৩। বৃষ্টির জলে ক্ষতিকারক, ফ্লোরাইড, আর্সেনিক, লোহা ইত্যাদি দ্রব্যসমূহ থাকে না।

৪। এই ব্যবস্থা ভু গর্ভস্থ জলের উপর চাপ হ্রাস করে 

৫। জরুরীকালীন সময় এবং সরকারি জল সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার সময় এই ব্যবস্থা অতি প্রয়োজনীয় জলের ভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে।

৬। এই ব্যবস্থাটির কারিগরী কৌশল খুব সহজ হাওয়ার সাধারণ মানুষ সহজেই এই কৌশল রপ্ত করতে পারে। এবং

৭। এই ব্যবস্থার প্রবর্তনের ফলে শক্তির খরচ কম হয় এবং প্রদুষণ হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ৭। পরিবেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কিভাবে হতে পারে?

উত্তরঃ আমাদের চারিপার্শ্বের পরিবেশ আমাদের শরীর এবং মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। সুস্থ পরিবেশেই সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মনের প্রথম এবং প্রধান শর্ত। আশপাশের পরিবেশ থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়। বিশুদ্ধ পানীয় জলের  যোগান সুস্বাস্থের জন্য অপরিহার্য। মানুষের মৌলিক অধিকার এবং স্বাস্থ্য রক্ষার ফলদায়ক প্রকল্পের একটি উপাদান হল বিশুদ্ধ জল। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। টাইফয়েড, কলেরা, হেপাটাইটিস, পলিও, গ্যস্ট্রোএন্টাইটিস, অ্যামিবায়োসিস,জিয়ারডিয়াসিস, ইত্যাদি সহ ভারতের ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগ হচ্ছে জল বাহিত রোগ। বহু বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য, কীটনাশক দ্রব্য, কঠিন মৌল (পারদ, ক্যাডমিয়াম, সিসা ইত্যাদি) বিভিন্ন ভাবে জল এবং মাটিতে মিশে থাকে। এই দ্রব্যসমূহ খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরে রিরুপ প্রভাব ফেলে।

অন্যদিকে বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থাও বায়ু মণ্ডলে  বিভিন্ন গ্যাসের উৎপত্তি ঘটায় যা পরিবেশকে প্রদুষিত এবং বিষাক্ত করে তুলে যা মানুষের বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। কল কারখানার এবং মটর গাড়ী থেকে নির্গত বিভিন্ন ধরনের গ্যাস।যেমন – সালফাডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাছাড়া কল কারখানা, গৃহস্থালী থেকে নির্গত গোটা আবর্জনা, বায়ু, জল এবং মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে। তা থেকে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের প্রতি হুমকির সৃষ্টি হয়। কখনো বা শোচনীয় অপরিষ্কার অবস্থায় থাকা বাড়িঘরও স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি করে।

প্রশ্ন ৮। দূর্যোগসমূহ কি? (What are disasters?) 

উত্তরঃ স্বাভাবিক জীবন প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করা বিধবংসী পরিস্থিতি যার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, বিস্তর ক্ষতি হয় জীবন এবং সম্পতির এবং পরিবেশের অবক্ষয় হয় তাকে দুর্যোগ বলে।

দুর্যোগ সমূহকে মূলত ভাগ করা যায়।

১। প্রাকৃতিক দুর্যোগ: যে সমস্ত দুর্যোগ প্রকৃতির বিভিন্ন ক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় সেগুলিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে। যেমন – ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির উদ্গীকরণ, ঝড় তুফান, বন্যা, ভূমিস্খলন, দাবানল, সুনামি, খরা, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি।

২। কৃত্রিম দুর্যোগ: সশস্ত্র সংঘর্ষ, চক্রান্ত, উদ্যোগীক দুর্ঘটনা, তেল এবং গ্যাসের বিস্ফোরণ, কারখানায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড, নির্মাণ স্খলন, বোমা বিস্ফোরণ, পথ দুর্ঘটনা ইত্যাদি দুর্যোগ যেগুলি মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্টি হয় তাদের কৃত্রিম দুর্যোগ বলে।

প্রশ্ন ৯। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝ? বন্যার সময় কি ব্যবস্থাপনা কৌশল গ্রহন করা যায়। (What do you mean by disaster management? What management strategies can you adopt during flood?) 

উত্তরঃ উপযুক্ত প্রকল্প এবং কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম দুর্যোগের কবল থেকে মানুষ এবং অন্যান্য জীবের জীবন রক্ষা করা এবং দুর্যোগের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (disaster management) বলে। 

বন্যার সময় গ্রহন করা ব্যবস্থাপনা কৌশলসমূহ: 

১। বন্যা প্লাবিত অঞ্চল থেকে মানুষ এবং গোবাদি পশুকে নিকটবর্তী উচু এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়।

২। নিরাপদ স্থানে পৌঁছানের জন্য নৌকা এবং ভেলা তৈরি করে রাখা।

৩। শুকনো জ্বালানী ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করা উচিত।

৪। শুকনো খাবার এবং পানীয় জল মজুদ করে রাখা উচিত।

৫। বন্যার সময় যাতে মহামারী ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য কীটনাশক এবং  জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এবং

৬। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রশ্ন ১০। ‘ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ পরিবেশ অবক্ষয়ের মূল কারণ ‘ – এই কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ জনিত সমস্যা অতপ্রোত ভাবে জড়িত। কোন একটি দেশের জনসংখ্যা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেলে সেই বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার ভরন পোষনের জন্য বনাঞ্চল কেটে কৃষিক্ষেত্রের সৃষ্টি করা হয় এবং জনসংখ্যার আবাসস্থলের জন্য বনধবংস প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষিক্ষেত্রে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এরফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য প্রদুষক গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পরিষ্কার বায়ু, নিরাপদ জল, খাদ্য বস্তু, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা শক্তির যোগান ইত্যাদি মৌলিক সুবিধাগুলোর সম্পর্কে রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জরুরী সুবিধাগুলিও বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হওয়া প্রয়োজন। যেমন বিপুল পরিমাণের জনসংখ্যার জন্য বিপুল পরিমাণের শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি উৎপাদনে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ জল বিদ্যুৎ প্রকল্প, তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই প্রকল্পগুলি পরিবেশকে দূষিত করে এবং পরিবেশের অবক্ষয় ত্বরান্বিত করে। তাছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি যেগুলি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে পরিবেশের অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই দেখা যায় যে জন বিস্ফোরণ অবক্ষয়ের মূল কারণ।

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) অতি সংক্ষেপে উওর দাও – 

প্রশ্ন ১। কোন সনে বার্টল্যাণ্ড প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়? 

উত্তরঃ ১৯৮৭ সালে।

প্রশ্ন ২। ‘ আওয়ার কমন ফিউচার ‘ কি?

উত্তরঃ বার্টল্যাণ্ড রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন।

প্রশ্ন ৩। জি এইচ বার্টল্যাণ্ড কে ছিলেন? 

উত্তরঃ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী।

প্রশ্ন ৪। ‘ ধরিত্রী সম্মেলন ‘ কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৯২ সালের জুন মাসে।

প্রশ্ন ৫। ‘ ধরিত্রী সম্মেলন ‘ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে।

প্রশ্ন ৬। ‘ কর্মসূচী ২১’ মানে কি? 

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়নের কার্যকরী পরিকল্পনা।

প্রশ্ন ৭। ‘ রিও ঘোষণা পত্র ‘ কোথায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৯২ সনের ধরিত্রী সম্মেলনে।

প্রশ্ন ৮। ‘ কর্মসূচী ২১’ (এজেন্ডা – ২১) এ কয়টি নীতি তালিকাভুক্ত করা হয়? 

উত্তরঃ ২৭ টি।

প্রশ্ন ৯। ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কোন গ্যাস নির্গত হয়েছিল?

উত্তরঃ মিথাইল আইসোসায়েনেট।

প্রশ্ন ১০। একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনার উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ চের্নোবিলের দুর্ঘটনা।

প্রশ্ন ১১। বিশ্বের জনসংখ্যার কত শতাংশ ভারতে আছে?

উত্তরঃ প্রায় ১৭.৩৪%

প্রশ্ন ১২। কত সনে জাতীয় পরিবার কল্যাণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৫২ সনে।

প্রশ্ন ১৩। কত সালে জাতীয় স্বাক্ষরতা অভিযান আরম্ভ করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৮৮ সাল।

প্রশ্ন ১৪। কত সনে শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) প্রণীত হয়? 

উত্তরঃ ২০০৯ সনে।

প্রশ্ন ১৫। একটি সন্ত্রাসবাদী দুর্যোগের উদাহরন দাও।

উত্তরঃ ২৬/১১ মুম্বাই আক্রমন।

(খ) সত্য অথবা মিথ্যা উল্লেখ কর।

প্রশ্ন ১। বহন উন্নয়ন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ২। বার্টল্যাণ্ড রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সনে।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৩। ১৯৯২ সনে ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৪। এজেণ্ডা – ২১ এ ২৭ টি নীতি আছে।

উত্তরঃ সত্য। 

প্রশ্ন ৫। কয়লা একটি নবীকরনযোগ্য শক্তির উৎস।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৬। বায়ু শক্তি একটি অফুরন্ত শক্তি।

উত্তরঃ সত্য। 

প্রশ্ন ৭। বৃষ্টির জল সংরক্ষন একটি পরিবেশ বান্ধব প্রক্রিয়া।

উত্তরঃ সত্য। 

প্রশ্ন ৮। ভারতের ৮০ শতাংশের বেশি রোগ জলবাহিত।

উত্তরঃ সত্য। 

প্রশ্ন ৯। ভারতবর্ষে পুরুষদের স্বাক্ষরতার হার বর্তমানে ৮৬%

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ১০। জাতীয় শিক্ষানীতি (NPE) গৃহিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ১১। সুনামি একটি কৃত্রিম দুর্যোগ।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ১২। ভারতে স্বাক্ষরতার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।

উত্তরঃ সত্য। 

(গ) শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

প্রশ্ন ১। যে উন্নয়নে পরিবেশের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাকে ___________ উন্নয়ন বলে।

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়ন।

প্রশ্ন ২। ১৯৮৭ সনে বার্টল্যাণ্ড রিপোর্টে __________ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

উত্তরঃ আওয়ার কমন ফিউচার।

প্রশ্ন ৩। টাইফয়েড একটি ___________ বাহিত রোগ।

উত্তরঃ জল।

প্রশ্ন ৪। ভারতের সাক্ষরতার হার ____________।

উত্তরঃ ৭৫.০৬ শতাংশ (২০১১ লোক গণনা মতে)।

প্রশ্ন ৫। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ___________ কোটি।

উত্তরঃ ৭০০

প্রশ্ন ৬। বিশ্ব ব্যাংকের ২০০৫ সনের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের ___________ শতাংশ লোক দারিদ্র্য সীমার নীচে।

উত্তরঃ ৪১.৬।

প্রশ্ন ৭। ভারতের কন্যা ভ্রান হত্যা একটি ___________ সমস্যা।

উত্তরঃ সামাজিক।

প্রশ্ন ৮। ভারত পৃথিবীর ___________ জন বহুল দেশ।

উত্তরঃ দ্বিতীয়।

প্রশ্ন ৯। কাজ করার ক্ষমতায় হচ্ছে ____________।

উত্তরঃ শক্তি।

বিষয়সূচী-পত্ৰ
অধ্যায় – ১পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা
অধ্যায় – বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা
অধ্যায় – ৩জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন
অধ্যায় – ৪প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় – ৫পরিবেশ প্রদুষণ
অধ্যায় – ৬সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ
অধ্যায় – ৭দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
অধ্যায় – ৮পথ সুরক্ষা

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বহনক্ষম উন্নয়ন কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে উন্নয়নে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে উন্নয়ন বজায় থাকে সেই  উন্নয়নকে বহনক্ষম উন্নয়ন বা (Sustainable development) বলে।

প্রশ্ন ২। বার্টল্যাণ্ড রিপোর্টের অনুসারে বহনক্ষম উন্নয়নের সংজ্ঞা লিখ।

উত্তরঃ বার্টল্যাণ্ডের মতে বহনক্ষম উন্নয়ন হচ্ছে এমন উন্নয়ন বা ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাদের নিজেদের প্রয়োজনগুলো আহরণের ক্ষমতার সঙ্গে কোন আপোস না করে বর্তমান প্রয়োজন সমূহ পূরণ করে।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশ এবং উন্নয়নের বিশ্ব সংস্থার মতে বহনক্ষম উন্নয়ন কি?

উত্তরঃ পরিবেশ এবং উন্নয়নের বিশ্ব সংস্থার (WCED) মতে বহনক্ষম উন্নয়ন হল পরিবর্তনের এমন একটা প্রক্রিয়া যা সম্পদ আহরণ, বিনিয়োগের পরিমাণ, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিক নির্নয় এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন এবং সুরক্ষিত ভবিষ্যতের মধ্যে একটি ঐক্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন ৪। বহনক্ষম উন্নয়নের উদ্দেশ্য কি?

উত্তরঃ বহনক্ষম উন্নয়ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্য দিকে পরিবেশকে রক্ষা করে। সকল জীবনের মান উন্নয়ন করাই এর উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন ৫। শক্তির উৎস কত প্রকার ও কি কি? 

উত্তরঃ শক্তির উৎস সাধারণত দুই প্রকার-

১। নবীকরণ বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস।

২। নবীকরণ অযোগ্য বা প্রচলিত শক্তি উৎস।

প্রশ্ন ৬। নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস কি ? উদাহরন দাও।

উত্তরঃ প্রকৃতিতে অফুরন্ত পরিমাণে থাকা এবং ক্রমাগত সৃষ্টি হতে থাকা শক্তির উৎসগুলির নবীকরণযোগ্য অযোগ্য বা প্রচলিত শক্তি উৎস বলে। যেমন – সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জোয়ার শক্তি, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। নবীকরন অযোগ্য শক্তির উৎস কি? উদাহরন দাও।

উত্তরঃ প্রচলিতভাবে ব্যবহৃত হয় এমন শক্তির উৎসসমূহ যেগুলি ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ভবিষ্যতে একদিন নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে এই সমস্ত শক্তির উৎসকে নবীকরন অযোগ্য শক্তির উৎস বা প্রচলিত শক্তির উৎস শক্তির উৎস বলে। যেমন – পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৮। তিনটি নবীকরন অযোগ্য শক্তির উৎসের নাম লিখ।

উত্তরঃ তিনটি নবীকরন অযোগ্য শক্তির উৎসের নাম হল – 

১। পেট্রোলিয়াম।

২। কয়লা।

৩। ইউরেনিয়াম।

প্রশ্ন ৯। তিনটি নবীকরনযোগ্য শক্তির উৎসের নাম লিখ।

উত্তরঃ তিনটি নবীকরনযোগ্য শক্তির উৎসের নাম হল – 

১। বায়ু শক্তি।

২। সৌর শক্তি। এবং

৩। জোয়ার শক্তি।

প্রশ্ন ১০। বৃষ্টির জল কর্ষনের উদ্দেশ্যসমূহ কি কি ?

উত্তরঃ বৃষ্টির জল কর্ষনের উদ্দেশ্যসমূহ হল – 

১। জল বয়ে গিয়ে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানো।

২। জলের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা।

৩। ভুগর্ভস্থ জলের ওপর চাপ কমানো। এবং

৪। জল এক সঙ্গে করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুগর্ভস্থ জলের মান বৃদ্ধি করা।

প্রশ্ন ১১। বৃষ্টির জল কর্ষণ প্রক্রিয়াটি কি কি উপাদান দ্বারা গঠিত?

উত্তরঃ বৃষ্টির জল কর্ষণ প্রক্রিয়াটি চারটি উপাদানে গঠিত – 

১। একটি সংগ্রহের এলাকা বা একটি আপতিত স্থান।

২। একটি  ভাসিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা।

৩। জমা করার সুবিধা বা আঁধার।

৪। জল বের করে নেওয়ার মত বিতরণ ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ১২। বৃষ্টির জল সংরক্ষনের তিনটি সুবিধা লিখ।

উত্তরঃ বৃষ্টির জল সংরক্ষনের তিনটি সুবিধা হল – 

১। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আবশ্যক স্থানে জলের একটি উৎস গড়ে তোলা যায়।

২। এই ব্যবস্থাটি কম ব্যয় সাপেক্ষ এবং প্রতিটি পরিবার সহজেই বৃষ্টির জল কর্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে।

৩। ফ্লোরাইড, আর্সেনিক, লোহা ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ বৃষ্টির জলে থাকে না।

প্রশ্ন ১৩। ভারতের  কোন কোন স্থানে বৃষ্টির জল  সংরক্ষন ব্যাপক ভাবে করা হয়?

উত্তরঃ বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লী, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষন করা হয়।

প্রশ্ন ১৪। উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোন কোন স্থানে বৃষ্টির জল সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে?

উত্তরঃ উত্তর পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম, মেঘালয়, কিছু এলাকা অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরের এই ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ১৫। দুটি জলবাহিত রোগের নাম লিখ।

উত্তরঃ টাইফয়েড এবং কলেরা।

প্রশ্ন ১৬। পানীয় জল দূষিত করে এমন দুপ্রকার নাম লিখ।

উত্তরঃ পারদ, সিসা।

প্রশ্ন ১৭। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দুটি উদ্দেশ্য লিখ।

উত্তরঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দুটি উদ্দেশ্য হ’ল-

১। ঘটনার ভয়াবহতা এবং আঘাতকে বাধা দেওয়া। এবং

২। ভবন, অন্যান্য সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতির হ্রাস করা।

প্রশ্ন ১৮। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: গোলকীয় উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

উত্তরঃ সবুজ গৃহ গ্যাসসমূহ একটি আবরণ সৃষ্টি করে যার ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। সবুজ গ্যাস সমূহ দ্বারা উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাকে গোলকীয় উষ্ণায়ন বলে। জল বায়ুর পরিবর্তন হল উষ্ণতার বৃদ্ধি বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন, খরা পরিস্থিতির বৃদ্ধি, তীব্র শীত ইত্যাদি জল বায়ুতে দেখা দেওয়া অবাঞ্ছিত পরিবর্তন।

জল বায়ুর পরিবর্তন হলো জল বায়ুর অবস্থার পরিসংখ্যানগত ভিন্নতা। গোলকীয় উষ্ণায়ন হলো ভু – পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতার বৃদ্ধি।

প্রশ্ন ১৯। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও: গ্রীনহাউস গ্যাস।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অতি কম পরিমাণে কিছু গ্যাস আছে। এই গ্যাস সমূহ কিছু পরিমাণে তাপ ফের ভু – পৃষ্ঠে নিক্ষেপ করে। এদের গ্রীন হাউস গ্যাস বলা হয়। গ্রীন হাউস হলো – কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরোকার্বন, জলীয় বাষ্প এবং  অ’জোন। এই গ্যাস সমূহ গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উদ্দেশ্য সমূহ কি কি?

উত্তরঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উদ্দেশ্য সমূহ হল – 

১। জরুরীকালীন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা।

২। ঘটনার ভয়াবহতা এবং আঘাতকে বাধাদান করা।

৩। চলমান স্বাভাবিক কাজ কর্মসমূহ দ্রুত সম্পন্ন করা।

৪। দ্রুত উদ্ধার এবং সাহায্য অভিযান।

৫। সম্ভাব্য বিপদের হিসাব এবং বিপদের বিশ্লেষণ।

৬। তথ্যের ব্যবস্থাপনা বা নির্দেশাবলী তৈরি করা।

৭। জনসাধারণ, বিশেষ করে শিশু, মহিলা এবং অভিভাবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

৮। নিরাপদ শিরির ইত্যাদির ব্যবস্থা। এবং

৯। প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা এবং আতিথ্য, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বিশ্বাস।

প্রশ্ন ২। ভারতের দ্রারিদ্র্যতা সমস্যা সম্বন্ধে একটি টিকা লিখ। 

উত্তরঃ দ্রারিদ্র্যতা ভারতের একটি প্রধান সমস্যা। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ দ্রড়িদ্র লোক ভারতের বাস করে। বিশ্ব ব্যাংকের ২০০৫ সনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের ৪১.৬ শতাংশ লোক আন্তর্জাতিক দ্রারিদ্র্য সীমারেখার নীচে রয়েছে। ‘ ইউনিসেফ ‘ এর সাম্প্রতিক তথা অনুযায়ী বিশ্বের পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একটি ভারতীয় শিশু। অন্যদিকে ভারতে পাঁচ বৎসরের নীচে শিশুদের মোট ৪২ শতাংশ নিম্ন ওজনের হয়। তাছাড়া পাঁচ বৎসরের নীচে শিশুদের ৫৪ শতাংশ অপুষ্টিতে ভোগে। 

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন মতে ভারতের ৫০ শতাংশ লোকই দরিদ্র সীমারেখার নীচে বসবাস করে পুষ্টিহীনতার ফলে দরিদ্ররা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসায় সবার সুযোগ সুবিধা না থাকার ফলে ম্যালেরিয়া, বসন্ত ইত্যাদি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। যদিও বসন্ত রোগ বর্তমানে বিলোপ পেয়েছে তথাপিও অপুষ্টির ফলে লোকেরা বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এই সকল সমস্যা প্রত্যক্ষ ভাবে দারিদ্র্য সমস্যার সঙ্গে জড়িত। রাষ্ট্র সংঘের হিসাব অনুযায়ী বৎসরে ২১ নিযুত ভারতীয় শিশুর পাঁচ বছরে পা দেওয়ার আগেই  মৃত্যু হয়।

প্রশ্ন ৩। ভারতের নিরক্ষরতা জনিত সমস্যা এবং এই সমস্যা দুরীকরণে সরকার দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপ সম্বন্ধে আলোচনা কর।

উত্তরঃ আর্থ সামাজিক উন্নয়নের একটি প্রধান কারক হল সাক্ষরতা। দেশের সাক্ষরতার হার কম হলে সেই দেশের উন্নয়ন বাধা প্রাপ্ত হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের শেষভাগে ভারতের সাক্ষরতার হার ছিল ১২ শতাংশ যা ২০১১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫.০৬ শতাংশ হয়েছে। তবুও ভারতের বর্তমান নিরক্ষতার হার যথেষ্ট উদ্বেগ জনক। ভারতে সাক্ষরতার ক্ষেত্রে ব্যাপক লিঙ্গ ব্যবধান দেখা যায়। ২০১১ এর লোক গণনা মতে পুরুষের ক্ষেত্রে ৮০.১৪ শতাংশ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৫.৪৬ শতাংশ সাক্ষরতার রয়েছে ভারতে । নিরক্ষরতা হল সমস্ত সমস্যার মূল। কারণ এর ফলে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিশুশ্রম, কন্যাভ্রণ হত্যা, জন বিস্ফোরণ পরিবেশ অবক্ষয় এই ধরনের আরও অন্যান্য  সমস্যা দেখা যায় । ভারতের শহরাঞ্চল এবং গ্রাম্যঞ্চলের মানুষের মধ্যে নিরক্ষরতার মধ্যেও পার্থক্য দেখা যায়। গ্রামের মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং সেখানে সেখানে নিরক্ষরতার হারও শহরের তুলনায় বেশি। ভারতের সামাজিক ব্যবস্থা পুরুষের শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহে মহিলাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।

নিরক্ষরতা দুর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বহু প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ” জাতীয় শিক্ষানীতি ১৯৮৬” এর মাধ্যেমে ঘোষণা করা হয়, নিরক্ষরতা দুর করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ১৯৮৮ সালে জাতীয় সাক্ষরতার অভিযান শুরু করা হয় এবং এই অভিযানে সমাজের সকল স্তরের লোককে জড়িত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ১৯৯২ সালের শিক্ষা নীতি ১৪ বৎসরের কম বয়সী প্রতিটি শিশু সন্তোষ জনক মাত্রার বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করার নীতি প্রবর্তন  করেছে। ১৯৯৩ সালে দেশের উচ্চতম ন্যায়ালয়ও শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার গ্রহণের অধিকার রয়েছে বলে বায় দিয়েছে। ২০০৭ সালে ভারতে সরকার শিক্ষার অধিকার আইন (RET) প্রণয়ন করে যেখানে শিক্ষাকে শিশুর মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বর্ণনা করো।

উত্তরঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) র মতে স্বাস্থ্য হচ্ছে মানুষের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক কল্যাণের একটি পূর্ন ব্যবস্থা। আশ পাশের পরিবেশ থেকেই স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়। পরিপুষ্টি, রাসায়নিক, ভৌতিক, জৈব – বৈজ্ঞানিক, মানসিক, শোচনীয় জীবন ধারণ ব্যবস্থা ইত্যাদির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষার ফলদায়ক প্রকল্পের একটি উপাদান হল জল। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় নির্ধারণের বিভিন্ন মঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে জল আনাময় এবং পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। জল থেকে সবচেয়ে বেশি দেখা দেওয়া রোগ হল অনুজীবের আক্রমন। তাই অনাময় এবং পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনাময় ব্যবস্থার অভাব এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় মানুষের স্বাস্থের শোষনীয় অবস্থার কারণ। পরিবেশ সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন থাকলে স্বাস্থ্যেও সুস্থ থাকবে। শুধু রোগমুক্ত এবং সুস্থ অবস্থাকেই স্বাস্থ্য বলা যায় না।স্বাস্থ্য ও পরিবেশের হুমকি বা প্রত্যাহান সমূহের মোকাবিলা করার ব্যবস্থা করতে হবে। শোষনীয় অপরিষ্কার অবস্থায় থাকা বাড়ি ঘরও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। সুস্থ সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য সকলকেই সু – স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব প্রদান করা একান্ত আবশ্যক।

We Hope the given একাদশ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন ও উত্তর will help you. If you Have any Regarding, Class 11 Environmental Studies Question and Answer in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top