Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Question Answer in Bengali. Are you a Student of Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Notes in Bengali. Which you Can Download Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Solutions in Bengali for free using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Question Answer Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The HS 2nd Year Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

ক – অংশ (সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মহামন্দা কখন হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1929 সালে।  

প্রশ্ন ২। কাকে অর্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয় ?

উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথকে অর্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। একটি অর্থনীতির চারটি খণ্ডের যে কোন একটির নাম লেখো।

উত্তরঃ সরকারি খণ্ড।

প্রশ্ন ৪। সাধারণ ভারসাম্য কী ?

উত্তরঃ বাজারে যোগান এবং চাহিদার পারস্পরিক সমতাকে সাধারণ ভারসাম্য বলা হয়।

প্রশ্ন ৫। ‘কাজ করতে ইচ্ছুক সকল শ্রমিকই কাজ পায় এবং সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে উৎপাদন করে থাকে’ – এই মতবাদে বিশ্বাসী অর্থনীতিবিদগণ কোন শ্রেণির অন্তর্গত ?

উত্তরঃ সংস্থাপিত অর্থনীতিবিদ।

প্রশ্ন ৬। ‘The general theory of Employment, Interest and Money’ গ্রন্থের লেখক কে ?  

উত্তরঃ জন মেইনার্ড কেইনস্ (J. M. Keynes) |

প্রশ্ন ৭। ‘The general theory of Employment, Interest and Money’ নামক গ্রন্থখানা কখন প্রকাশিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1936 সালে।

প্রশ্ন ৮। সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞান কী ?  

উত্তরঃ অর্থব্যবস্থার সামগ্রিক আলোচনার পদ্ধতিকে সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞান বলে।

প্রশ্ন ৯। ‘অর্থনৈতিক প্রতিনিধি’ বলতে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দ্বারা ব্যক্তি বা সংগঠনকে বুঝায়, যিনি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ১০। বৃহৎ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নির্ধারণকারী কারা ?

উত্তরঃ সমাজ অথবা সরকার।

প্রশ্ন ১১। শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো।

‘সমষ্টিবাদী অর্থনীতি একটি অর্থনীতির সমগ্র অর্থনৈতিক চলকের সঙ্গে জড়িত।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১২। সঠিক উত্তর লেখো। 

‘The General theory of Employment, Interest and Money’ নামক গ্রন্থের থেকে হলেন –

(ক) অ্যাডাম স্মিথ।

(খ) জে. এম. কেইনস্।

(গ) জে. বি. সে.।

(ঘ) ওপরের কেহ নয়।

উত্তরঃ (খ) জে. এম. কেইনস্।

প্রশ্ন ১৩। সমষ্টিবাদী অর্থনীতির বিষবস্তুতে নিচের কোনটি অন্তর্ভুক্ত নয় ?

(ক) ঋণ পরিশোধ।

(খ) জাতীয় আয়।

(গ) টাকার চাহিদা।

(ঘ) উপভোক্তার উদ্বৃত্ত।

উত্তরঃ (ঘ) উপভোক্তার উদ্বৃত্ত।

প্রশ্ন ১৪। ‘Macro’ শব্দ কোন্ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে ?

উত্তরঃ গ্রিক শব্দ ‘Makros’ থেকে এসেছে, যার অর্থ হল বড়।

প্রশ্ন ১৫। অর্থনীতি অধ্যয়নের একটি পদ্ধতির নাম লেখো।

উত্তরঃ সমষ্টিবাদী অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।

প্রশ্ন ১৬। সমষ্টিবাদী অর্থনীতি অধ্যয়নের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বাণিজ্যচক্র ( Trade Cycle )।

প্রশ্ন ১৭। নিচের কোনটি সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত ?

(ক) একটি উৎপাদিত বস্তুর মূল্য নির্ধারণ।

(খ) রাষ্ট্রীয় আয়।

(গ) খাজনা।

উত্তরঃ (খ) রাষ্ট্রীয় আয়।

S.L No.CONTENTS
Chapter – 1সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter – 2জাতীয় আয় গণনা
Chapter – 3মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা
Chapter – 4আয় নির্ধারণ
Chapter – 5সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি
Chapter – 6বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি
Chapter – 7স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় অর্থনীতি (1950-1990)
Chapter – 8উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন
Chapter – 9দারিদ্র্য
Chapter – 10ভারতের মানব মূলধন গঠন
Chapter – 11গ্রামোন্নয়ন
Chapter – 12কর্মসংস্থান
Chapter – 13পরিকাঠামো
Chapter – 14পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন
Chapter – 15ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। ‘Micro Economics’ এবং ‘Macro Economics’ শব্দ দুটি কে প্রথম ব্যবহার করেন ?

উত্তরঃ Oslo University এর অধ্যাপক রেগনার ফ্রিস।

প্রশ্ন ২। অর্থব্যবস্থা কী ?

উত্তরঃ প্রতি দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ কিছু নিয়মকানুনের ভিত্তিতে চলে। সেই নিয়ম বা পদ্ধতিকে সেই দেশের অর্থব্যবস্থা (Economic system) বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। অর্থনৈতিক তত্ত্ব অধ্যয়নের মার্গ দুটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) ব্যক্তিগত অর্থবিজ্ঞান।

(২) সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান।

প্রশ্ন ৪। গ্রাহকের সার্বভৌমত্ব কোন্ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায় ?

উত্তরঃ পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় ।

প্রশ্ন ৫। পুঁজিবাদের (Capitalism) একটি সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ পুঁজিবাদ এক ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের মাধ্যম এবং বিতরণ ব্যবস্থা ব্যক্তির বা পুঁজিপতির নিয়ন্ত্রাধীন থাকে।

প্রশ্ন ৬। ধনতন্ত্রবাদ বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থাধীন দুটি দেশের নাম লেখো।

উত্তরঃ আমেরিকা এবং ইংল্যাণ্ড।

প্রশ্ন ৭। মুক্ত উদ্যোগ ব্যবস্থা কোন্ অর্থনীতিতে সম্ভব ?

উত্তরঃ পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে।

প্রশ্ন ৮। একটি দেশের নাম লেখো যেটি মিশ্র অর্থব্যবস্থা অনুসরণ করে ?

উত্তরঃ ভারতবর্ষ।

প্রশ্ন ৯। সঠিক উত্তর নির্ণয় করো।

(১) নিম্নলিখিতগুলির কোনটি পুঁজিবাদের বৈশিষ্ট্য নয় ?

(ক) উৎপাদনের উপাদানসমূহের ব্যক্তিগত মালিকানা।

(খ) উন্নত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা।

(গ) ব্যক্তিগত লাভের জন্য উৎপাদন।

উত্তরঃ (খ) উন্নত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা।

(২) পুঁজিবাদ এক

(ক) নিয়মতান্ত্রিক অর্থনীতি।

(খ) উন্মুক্ত উদ্যোগী অর্থনীতি।

(গ) পরিকল্পিত অর্থনীতি।

উত্তরঃ (খ) উন্মুক্ত উদ্যোগী অর্থনীতি।

(৩) ব্যক্তিগত ধনসম্পত্তির অধিকার ……… অর্থনীতির একটি মূল বৈশিষ্ট্য।

(ক) পুঁজিবাদী।

(খ) সমাজবাদী।

(গ) মিশ্র।

উত্তরঃ (ক) পুঁজিবাদী।

প্রশ্ন ১০। সমষ্টিবাদী অর্থনীতির জনক/উদ্ভাবক কে ?

উত্তরঃ জে. এম. কেইনস্।

প্রশ্ন ১১। কোন্ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শ্রেণি সংগ্রাম থাকে ?

উত্তরঃ পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায়।

প্রশ্ন ১২। ‘SEBI’ এর সম্পূর্ণ রূপ লেখো।

উত্তরঃ Securities and Exchange Board of India .

প্রশ্ন ১৩। আমেরিকায় মহা মন্দাবস্থা কত সাল স্থায়ী ছিল ?

উত্তরঃ 1929 সাল থেকে 1933 সাল পর্যন্ত।

প্রশ্ন ১৪। বিনিয়োগ কী ?

উত্তরঃ মূলধন যখন উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়, সেটাকে বিনিয়োগ বলে।

প্রশ্ন ১৫। ভারত সরকারের অর্থনৈতিক নীতি কার্যকরী করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক।

প্রশ্ন ১৬। আর্থিক মন্দাবস্থার ফলে আমেরিকায় বেকারত্বের সংখ্যা কত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল ?

উত্তরঃ 25%।

প্রশ্ন ১৭। ইউরোপের মহা মন্দাবস্থার ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি অধ্যয়নের যে নতুন পদ্ধতির উৎপত্তি হয় এর নাম কী ?

উত্তরঃ সমষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি।

প্রশ্ন ১৮। সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের বিকল্প নাম কী ? 

উত্তরঃ আয় ও নিয়োগ তত্ত্ব।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর    

প্রশ্ন ১। পুঁজিবাদী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার।

(২) ভোক্তার নির্বাচনের স্বাধীনতা।

(৩) উদ্যোগের স্বাধীনতা।

(৪) নিয়ন্ত্রণমুক্ত দাম ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ২। একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ (১) মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

(২) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামো তৈরি করা।

(৩) সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(৪) কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ৩। একটি অর্থনীতির বাহ্যিক খণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাণিজ্যের প্রকারগুলি লেখো।

উত্তরঃ (১) সামগ্রীর রপ্তানি এবং আমদানি।

(২) মূলধনের আগমন এবং বহির্গমন।

প্রশ্ন ৪। সমষ্টিবাদী অর্থব্যবস্থায় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিনিধিত্বের নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (ক) পরিবার।

(খ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

(গ) সরকার।

(ঘ) বাহ্যিক খণ্ড।

প্রশ্ন ৫। বাহ্যিক খণ্ড কী ?

উত্তরঃ যে খণ্ড দ্রব্যসামগ্রীর রপ্তানি ও আমদানি এবং একইসঙ্গে মূলধনের আগমন ও নির্গমনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তাকে বাহ্যিক খণ্ড বলে।

প্রশ্ন ৬। একটি অর্থনীতিতে পরিবার কীভাবে প্রভাব ফেলে লেখো।

উত্তরঃ যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবারই হচ্ছে প্রধান মৌলিক একক। পরিবারের সদস্যরা উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদান যোগান দিয়ে অর্থ উপার্জন করে। পরিবারের আয় ভোগ্যবস্তুর জন্যই ব্যয় হয়। এইভাবে পরিবার অর্থব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ৭। উন্নয়নশীল দেশে সরকারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ উন্নয়নশীল দেশে সরকার নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কাজ রূপায়ণ করছে। কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সরকারের কর্তব্য। সরকার মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সুতরাং উন্নয়নশীল দেশে সরকারের ভূমিকা অপরিসীম।

প্রশ্ন ৮। মুক্ত অর্থনীতি কাকে বলে।   

উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতির মূল কথা হল অর্থনৈতিক কাজকর্মে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না। মুক্ত অর্থনীতিতে দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়। পুঁজিবাদি অর্থব্যবস্থায় মুক্ত অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হয়। মুক্ত অর্থনীতিতে বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন ১। পুঁজিবাদের সমর্থনে দুটি যুক্তি প্রদর্শন করো।

উত্তরঃ (১) পুঁজিবাদে উৎপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

(২) পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার রুচি ও পছন্দের প্রতি দৃষ্টি রেখে দ্রব্যাদি উৎপাদন করা হয়।

প্রশ্ন ২। পুঁজিবাদের বিপক্ষে দুটি যুক্তি প্রদর্শন করো।

উত্তরঃ (১) পুঁজিবাদে শ্রেণি বৈষম্য থাকে। ধনীক শ্রেণি দরিদ্র শ্রেণিকে শোষণ করে ।

(২) পুঁজিবাদে মুনাফা কেন্দ্রিক চিন্তাধারার ফলে কল্যাণকামী চিন্তাধারা বিনষ্ট হয়ে যায়।

প্রশ্ন ৩। ধনতন্ত্রবাদ/পুঁজিবাদ থাকা দুটি দেশের নাম লেখো।

উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যাণ্ড।

প্রশ্ন ৪। সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞান কী ?

উত্তরঃ অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সামগ্রিক অধ্যয়নই হল সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞান।

প্রশ্ন ৫। সমষ্টিবাদী অর্থনীতি অধ্যয়নের দুটি উদাহরণ দাও। 

উত্তরঃ (১) জাতীয় আয়। 

(২) নিয়োগ তত্ত্ব।

প্রশ্ন ৬। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একক মানে কী ?

উত্তরঃ প্রতিটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করা হয়। এইসকল প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একক বলা হয়। যেমন- পরিবার, ফার্ম এবং সরকার।

প্রশ্ন ৭। সমষ্টিবাদী অর্থনীতি অধ্যয়নের দুটি সুবিধা বা গুরুত্ব লেখো।

উত্তরঃ (১) এটি সমগ্র অর্থনীতির কার্যকলাপ বুঝতে সাহায্য করে।

(২) জরুরি অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ সমাধানে সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৮। সমষ্টিবাদী অর্থবিদ্যার দুটি ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা লেখো।

উত্তরঃ (১) এটি ব্যক্তিসমূহকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে।

(২) সামগ্রিক বিষয়ের ফল সকল খণ্ডের ওপর সমানভাবে না পড়তে পারে।

প্রশ্ন ৯। দুজন সংস্থাপিত অর্থনীতিবিদের (Classical economists) নাম লেখো।

উত্তরঃ থমাস রবার্ট মালথাস , ডেভিড রিকার্ডো।

প্রশ্ন ১০। উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদানের নাম লেখো।

উত্তরঃ উৎপাদনের চারটি উপাদান হল-

(১) ভূমি (Land )।

(২) শ্রম (Labour)।

(৩) মূলধন (Capital)।

(8) সংগঠন (Organisation)।

প্রশ্ন ১১। কেইনসের বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ 1936 সালে কেইনসের বিখ্যাত গ্রন্থ “The General theory of Employment, Interest and Money’ প্রকাশিত হয়েছিল।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোওর  

প্রশ্ন ১। সমষ্টিবাদী অর্থনীতির জন্মের ইতিহাস সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ইংরেজ অর্থনীতিবিদ জন মেইনার্ড কেইনসকে ব্যষ্টিবাদী অর্থনীতির জনক বলা হয়। কেইনসের পূর্ববর্তী সংস্থাপিত অর্থনীতিবিদগণ বিশ্বাস করেছিলেন যে কাজ করতে ইচ্ছুক সকল শ্রমিকই কাজ পায় এবং সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে উৎপাদন করে থাকে। তারা পুঁজিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির সমর্থক ছিলেন। কিন্তু 1929 সালে থেকে 1933 সালের সময়সীমার মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপে আর্থিক মন্দাবস্থা এক ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। এই সময়কালে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশসমূহে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। বাজারে দ্রব্যসামগ্রীর  চাহিদা নিম্নগামী ছিল। অসংখ্য বৃহৎ শিল্প বন্ধ হয়। শ্রমিকদের কর্মচ্যুতি ঘটে। এরূপ কঠিন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক কেইনস ব্যষ্টিবাদী অর্থনীতির বিশ্লেষণ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি 1936  ‘The General theory of Employment, Interest and Money’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। তাঁর এই বিখ্যাত গ্রন্থে তিনি সর্বপ্রথম সমষ্টিবাদী অর্থনীতির এক প্রণালীবদ্ধ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। সরকারি স্তক্ষেপের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে আর্থিক ব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট পরামর্শ কেইনস নিজের বিশ্লেষণে তুলে ধরেন। এরই ফলশ্রুতিতে সমষ্টিবাদী অর্থনীতির জন্ম হয়। 

প্রশ্ন ২। 1929 সালের মহামন্দাবস্থার বিষয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

উত্তরঃ 1929 সাল থেকে 1933 সাল পর্যন্ত  আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। উৎপাদন, নিয়োগ, আয়, চাহিদা, মূল্যস্তর ইত্যাদি নিম্নগামী হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকায় বেকারের হার 3% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 25% হয়েছিল, উৎপাদন 33% হ্রাস পেয়েছিল। সামগ্রিক চাহিদার অভাবে মহামন্দাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ‘Supply creates its own demand’ এই ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। উৎপাদনকারীগণের মধ্যে চরম হতাশা পরিলক্ষিত হয়েছিল। বিশ্ অর্থনীতির এই চরম বিপর্যয় অবস্থাকে মহামন্দাবস্থা (Great depression) আখ্যা দেওয়া হয়। আর্থিক মন্দাবস্থা কেটে ওঠার লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদগণ নুতনভাবে চিন্তাভাবনা আরম্ভ করেন। এরই ফলশ্রুতিতে সমষ্টিবাদী অর্থনীতির জন্ম হয়।

প্রশ্ন ৩। সমষ্টিবাদী অর্থনীতির দৃষ্টিতে একটি অর্থনীতির চারটি খণ্ডের বর্ণনা করো।

উত্তরঃ সমষ্টিবাদী অর্থনীতি অনুসারে, অর্থনীতি নিম্নলিখিত চারটি খণ্ড দ্বারা গঠিত।

(১) পরিবার: পরিবার হল সমাজের প্রাথমিক একক। প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থাকে। পরিবারের সদস্যরা উৎপাদনের বিভিন্ন উপাদান যোগান দেয়। বিনিময়ে তারা অর্থ উপার্জন করে। পরিবারের সদস্যরা ভোক্তা হিসেবে কাজ করে।

(২) ফার্ম: সেবা ও দ্রব্য উৎপাদন করার জন্য অর্থনৈতিক এককই ফার্স নামে পরিচিত। ফার্মের মালিক এক বা একাধিক হতে পারে। 

ফার্মের দুটি প্রধান কার্য হল – 

(১) দ্রব্য উৎপাদন ও যোগান।

(২) রাজারে উৎপন্ন দ্রব্যের চাহিদা সৃষ্টি করা। ফার্মের কার্যাবলি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব ফেলে থাকে।

(৩) সরকারঃ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবার ও ফার্মের ন্যায় সরকারেরও আয়-ব্যয় আছে। জনগণের কল্যাণের জন্য আধুনিক যুগে সরকারের ভূমিকা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৪) বাহ্যিক খণ্ড: রাহ্যিক খণ্ডে দ্রব্যসামগ্রীর রপ্তানি ও আমদানির সঙ্গে মূলধন প্রবাহ অন্তর্ভুক্ত হয়। বাহ্যিক খণ্ড বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গোলকীকরণের ফলে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সংহতির মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

প্রশ্ন ৪। সমষ্টিগত অর্থনীতিতে জড়িত থাকা ক্ষেত্রসমূহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সমষ্টিগত অর্থনীতিতে জড়িত থাকা ক্ষেত্রসমূহ হল:

(১) আয় ও নিয়োগ তত্ত্ব: জাতীয় আয় হল সমষ্টিগত অর্থনীতির অন্যতম ক্ষেত্র। জাতীয় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত উপাদান এবং আয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি কী কারণে হয় তার ব্যাখ্যা সমষ্টিগত অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়। মোট চাহিদা, মোট যোগান, মোট ভোগ এবং মোট সঞ্চয় সমষ্টিগত অর্থবিদ্যা আলোচনা করে।

(২) সাধারণ মূল্যন্তর: মুদ্রাস্ফীতি, এর কারণ ও প্রভাব এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় ইত্যাদি সমষ্টিগত অর্থবিদ্যার পরিসরের অন্তর্ভুক্ত।

(৩) অর্থনৈতিক বিকাশ: সমষ্টিগত অর্থনীতিতে সামগ্রিক অধ্যয়নের দ্বারা দেশের আর্থিক বিকাশ নিরূপণ করা হয়। দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি হলে কীভাবে আর্থিক বিকাশ ঘটে, তা সমষ্টিগত অর্থনীতিতে অধ্যয়ন করা হয়।

(৪) বাণিজ্য চক্র: চক্রাকারে বাণিজ্যের উত্থান-পতন সমষ্টিবাদী অর্থবিদ্যার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

প্রশ্ন ৫। ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:

ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানসমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান
১। একটি অর্থনীতির ক্ষুদ্র অংশের আলোচনা  করার পদ্ধতিকে ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান বলে।১। অর্থনীতির সামগ্রিক আলোচনা করার পদ্ধতিকে সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান বলে।
২। ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান প্রাচীন।২। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের উৎপত্তি হয়।
৩। ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের পরিধি সংকীর্ণ।৩। সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের পরিধি বিশাল।
৪। চাহিদা, যোগান এবং বাজার ব্যক্তিগত অর্থবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত।৪। সামগ্রিক চাহিদা, সামগ্রিক যোগান এবং রাষ্ট্রীয় আয় সমষ্টিগত অর্থবিদ্যার পরিসরে অন্তর্ভুক্ত।
৫। ব্যষ্টিবাদী অর্থবিদ্যার উদ্দেশ্য হল ব্যক্তি বিশেষের উপযোগিতা সর্বাধিক করা এবং প্রতিষ্ঠানের লাভের পরিমাণ সর্বোচ্চ করা।৫। সমষ্টিগত অর্থবিদ্যার উদ্দেশ্য হল -পূর্ণ নিয়োগের লক্ষ্যে উপনীত হওয়া, সাধারণ মূল্যস্তর স্থির রাখা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা এবং বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যতা রক্ষা করা।

প্রশ্ন ৬। পুঁজিবাদের অধীনে অর্থনীতি কীভাবে কাজ করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পুঁজিবাদে উৎপাদনের উপকরণের ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে। ফলে কোন্ দ্রব্য কী পরিমাণে, কোথায় এবং কীভাবে উৎপাদন করা হবে, তা উৎপাদক স্থির করে। এই ব্যবস্থায় চাহিদা ও যোগানের ঘাত প্রতিঘাতে বস্তুর দাম এবং উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ দাম ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে। পুঁজিবাদে ক্রেতারা স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছামত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে পারে। উৎপাদনের মাধ্যম এবং বিতরণ ব্যবস্থা পুঁজিপতির নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। সরকার কোন কাজে হস্তক্ষেপ করে না।

প্রশ্ন ৭। ‘সমষ্টিগত অর্থনীতি একটি অর্থনীতির সামগ্রিক চলক সমূহের সঙ্গে জড়িত থাকে।’ – ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সমষ্টিগত অর্থবিদ্যায় অর্থব্যবস্থার সামগ্রিক আলোচনা করা হয়। এই পদ্ধতিতে অর্থনীতির সামগ্রিক চলকসমূহ যেমন – মোট উৎপাদন, মোট ভোগ, মোট চাহিদা, মোট যোগান, মোট সঞ্চয়, মোট বিনিয়োগ, মোট নিয়োগ, জাতীয় আয় এবং মূল্যস্তর ইত্যাদি বিষয়সমূহ অধ্যয়ন করা হয়। সামগ্রিক চলকসমূহ অর্থব্যবস্থার এক বৃহৎ অংশের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং বলা যায়, সমষ্টিগত অর্থনীতি একটি অর্থনীতির সামগ্রিক চলক সমূহের সঙ্গে জড়িত থাকে।

প্রশ্ন ৮। ব্যষ্টিবাদী ও সমষ্টিবাদী অর্থবিদ্যার সম্পর্ক নিরূপণ করো।

উত্তরঃ ব্যষ্টিবাদী ও সমষ্টিবাদী অর্থবিদ্যার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। একটি ছাড়া অন্যটি সম্পূর্ণ হতে পারে না। দুটি পদ্ধতির যথার্থ সমন্বয় ব্যতীত আমরা অর্থব্যবস্থার বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারি না। একটি উদাহরণের সাহায্যে এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা করা যায়। যদি আমি একটি বস্তুর দাম নির্ধারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার ভূমিকা জানি, তাহলে অর্থনীতিতে সাধারণ মূল্যস্তর পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হব। অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া ব্যষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু। অপরদিকে, সাধারণ মূল্যস্তরের বিষয়টি সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের অধ্যয়নের বিষয়বস্তু। কোন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয়ের উপাদান কেবল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাহিদার দ্বারাই নির্ধারিত হয় না বরং সমগ্র অর্থব্যবস্থায় এই সকল উপাদানের চাহিদার দ্বারা নির্ধারিত হয়। তাই ব্যষ্টিগত পদ্ধতির আলোচনায় সমষ্টির প্রভাবকে উপেক্ষা করা যায় না। সুতরাং আমরা বলতে পারি, ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত অর্থবিদ্যা একটি অন্যটির পরিপূরক ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। 1929 সালের মহামন্দাবস্থা এবং সমষ্টিবাদী অর্থনীতির মধ্যে তুমি কোন্ সম্পর্ক দেখতে পাও কি ? সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ হ্যাঁ, 1929 সালের মহামন্দাবস্থা  এবং সমষ্টিবাদী অর্থনীতির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখতে পাই। প্রকৃতপক্ষে, 1929 সালের মহামন্দাবস্থার‌  ব্যবস্থা ফলশ্রুতিতে সমষ্টিবাদী অর্থনীতির জন্ম হয়। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় বাজার কার্য প্রণালীর ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়েছিল। মহামন্দাবস্থা  প্রত্যক্ষ করে অধ্যাপক কেইনস উপলব্ধি করেছিলেন, ‘আর্থিক ব্যবস্থায় কোন অদৃশ্য শক্তি ক্রিয়া করে না। মহামন্দাবস্থা‌ ক্রয় ক্ষমতার অভাবে সামগ্রিক চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছিল। ফলে সমগ্র আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। সেই জটিল সন্ধিক্ষণে অধ্যাপক কেইনস নতুন চিন্তাধারা সন্নিবিষ্ট করে ‘ General theory of employment  , interest and money ‘ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এই গ্রন্থটি সমষ্টিবাদী অর্থব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেছিল।

প্রশ্ন ২। অ্যাডাম স্মিথের মতে, সামাজিক কল্যাণ কীভাবে সাধিত হয় ?

উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞানের জনক অ্যাডাম স্মিথের মতে, প্রতিটি বাজারে ব্যক্তিবিশেষ ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ স্বার্থের দ্বারা পরিচালিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারণা থাকে কোনটি ভাল এবং কোনটি খারাপ এবং তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ কল্যাণ অর্জন করে। এইভাবেই সামাজিক কল্যাণ সাধিত হয়। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের কোন ভূমিকা নেই। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিস্বার্থই  হল আর্থিক ব্যবস্থার অদৃশ্য চালিকা শক্তি। 

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তর

প্রশ্ন ১। পুঁজিবাদের সংজ্ঞা দাও। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার প্রধান পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

উত্তরঃ যে অর্থব্যবস্থায় প্রতিটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়, সেই অর্থব্যবস্থা কে  পুঁজিবাদ বা  ধনতন্ত্রবাদ ( Capitalism ) বলে। গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। পুঁজিবাদ অর্থব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে বর্ণিত হল –

(১) পুঁজিবাদ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণ এবং বিতরণ ব্যবস্থা ব্যক্তিগত মালিকানায় নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। এই অর্থব্যবস্থায় সরকারের মালিকানা থাকে না।

(২) পুঁজিবাদ ব্যবস্থায় উদ্যোগ ব্যবস্থায় মালিকের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে। কোন দ্রব্য কী পরিমাণে, কোথায় এবং কীভাবে উৎপাদন করা হবে। এই বিষয় উৎপাদক নির্ণয় করে থাকে। সরকার কোন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে না।

(৩) এই ব্যবস্থায় ভোক্তার সার্বভৌমত্ব থাকে। ভোক্তা আপন রুচি ও পছন্দ মত দ্রব্যাদি পছন্দ করে।

(৪) এই ব্যবস্থায় দাম ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে। দ্রব্যাদির চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে অবাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয়।

(৫) পুঁজিবাদের অন্য একটি বৈশিষ্ট্য হল শ্রেণি সংগ্রাম। পুঁজিবাদে ‘সম্পদ থাকা’ এবং ‘সম্পদ না থাকা এই দুই শ্রেণির মধ্যে অবিরত সংঘর্ষ হয়।

প্রশ্ন ২। পুঁজিবাদ বা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার গুণ ও দোষগুলো লেখো।

উত্তরঃ পুঁজিবাদের স্বপক্ষে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলো তুলে ধরা হল –

(১) পুঁজিবাদে উৎপাদকের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার ফলে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে উৎপাদন ব্যয় এবং বস্তুর মূল্য নিম্নস্তরে নেমে আসে।

(২) পুঁজিবাদে গ্রাহকের সার্বভৌমত্ব থাকার ফলে উপভোক্তারা সর্বোচ্চ স্বাধীনতা উপভোগ করে। ফলে তারা সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি লাভ করতে সক্ষম হয়।

(৩) পুঁজিবাদে শ্রমিক এবং উদ্যোক্তা সকলেই দক্ষতা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

(৪) ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশের অর্থনীতি আমলাতন্ত্রের কুফল হতে মুক্ত থাকতে পারে।

পুঁজিবাদ ব্যবস্থার দোষ/ত্রুটিঃ

পুঁজিবাদের বিপক্ষে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলো তুলে ধরা হল –

(১) পুঁজিবাদ ব্যবস্থায় আয় ও সম্পদের অসম বণ্টন পরিলক্ষিত হয়। ধনী গরিবের মধ্যে পার্থক্য বৃদ্ধি পায়।

(২) পুঁজিবাদ ব্যবস্থা প্রতিযোগিতার অপচয় সৃষ্টি করে। কারণ বিজ্ঞাপনের খাতে অনর্থক ব্যয় হয়।

(৩) পুঁজিবাদ ব্যৱস্থায়  মুনাফা কেন্দ্রিক কার্যাবলির ফলে কল্যাণ কেন্দ্রিক চিন্তাধারা বিনষ্ট এবং বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

(৪) পুঁজিবাদে শ্রেণি বৈষম্য, থাকে। ধনিক শ্রেণি দরিদ্র শ্রেণিকে শোষণ করে।

প্রশ্ন ৩। 1929 সালের মহা মন্দাবস্থা ( great depression ) এর বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ 1929 সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে দেখা দেয় মহা মন্দাবস্থা যা বিশ্ব অর্থনৈতিক ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সকল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্থবির হওয়াকে মহা মন্দাবস্থা বলা হয়। 1929 সালের মহামন্দাবস্থার ফলে কয়েক বছর উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশসমূহে উৎপাদন এবং নিয়োগের স্তর যথেষ্ট পরিমাণে নিম্নগামী হয়েছিল। বাজারে দ্রব্যসামগ্রীর চাহিদা হ্রাস পেয়েছিল, বহু উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বিকল হয়ে পড়েছিল এবং শ্রমিককে কাজ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকায় 1929 সন থেকে 1933 সন পর্যন্ত বেকারত্বের হার 3% থেকে 25% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই সময়কালে অর্থনীতিতে মোট উৎপন্নের পরিমাণ 33% হ্রাস পেয়েছিল। 1929 সালের মহা মন্দাবস্থার অভিজ্ঞতা দ্বারা সমসাময়িক অর্থনৈতিক চিন্তাবিদরা নতুন অর্থনৈতিক চিন্তার উন্মেষ ঘটালেন এবং এভাবে সমষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির পথ প্রশস্ত হল।

প্রশ্ন ৪। গ্রাহকের সার্বভৌমত্ব কোন্ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায় ?

উত্তরঃ পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায়।

প্রশ্ন ৫। একজন পুঁজিবাদী সমর্থনকারী অর্থনীতিবিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথ।

প্রশ্ন ৬। উত্তর লেখোঃ (শুদ্ধ না অশুদ্ধ)

(ক) ব্যষ্টিবাদী এবং সমষ্টিবাদী অর্থনীতি – এই দুটা অর্থনীতির আন্তঃ সম্বন্ধ বিহীন অংশ।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) অর্থনীতির সাধারণ মূল্যন্তরের অধ্যয়ন সমষ্টিকেন্দ্রিক অর্থনীতির বিষয়বস্তু।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) ‘Macro’ শব্দটি অর্থবিজ্ঞানে কেইনস সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) ‘পূর্ণ নিয়োগাবস্থা’ সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞানের পরিসরের অন্তর্ভূক্ত।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) একজন উপভোক্তার ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়ার অধ্যয়ন সমষ্টিবাদী অর্থনীতি অধ্যয়নের বিষয়বস্তু।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৭। বন্ধনীর মধ্য হতে সঠিক শব্দ নির্বাচন করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) ব্যক্তিগত ধন সম্পত্তির অধিকার ……… অর্থনীতির একটি মূল বৈশিষ্ট্য (পুঁজিবাদী/মিশ্র/সমাজবাদী)।

উত্তরঃ পুঁজিবাদী।

(খ) ‘Macro’ শব্দটি ‘Makros’ থেকে এসেছে, এটি কোন ভাষার ……….. (ফরাসি/ল্যাটিন/গ্রিক)।

উত্তরঃ গ্রিক।

(গ) অর্থবিজ্ঞানের দুই শাখার ধারণা দিয়েছিলেন ………  (কেইনস /রেগনার‌ ফ্রিস/ অ্যাডাম স্মিথ)।

উত্তরঃ রেগনার  ফ্রিস।

(ঘ) ‘সাধারণ ভারসাম্য’ (General Equilibrium ) ধারণাটি প্রবর্তন করেছিলেন (মার্শাল/কেইনস/লিওন ওয়ারলাস )।

উত্তরঃ লিওন ওয়ারলাস ।

(ঙ) অর্থবিজ্ঞানের দুটি শাখা ‘Micro’ ও ‘Macro’ বিভাগ করা হয়েছিল ……..(1930/1933/1936)।

উত্তরঃ 1933

(চ) ভোক্তার সার্বভৌমত্ব লক্ষ্য করা যায়।(পুঁজিবাদে/সমাজবাদে /মিশ্র অর্থনীতিতে)।

উত্তরঃ পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে।

প্রশ্ন ৮। ধ্রুপদী/সংস্থাপিত অর্থতত্ত্ব কী ?

উত্তরঃ কেইনসের পূর্ববর্তী অর্থনীতিবিদ যেমন- অ্যাডাম স্মিথ, মালথাস , রিকার্ডো এবং জে. বি. সে তাঁদেরকে ধ্রুপদী অর্থনীতিবিদ বলা হয়। তাঁদের মতবাদ ছিল – কাজ‌ করতে ইচ্ছুক সকল শ্রমিকই কাজ পায় এবং সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে উৎপাদন করে থাকে।

প্রশ্ন ৯। সমষ্টিগত অর্থব্যবস্থার নীতি নির্ধারক দুটি সংস্থার নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ( reserve Bank of India )।

(২) সেবি (securities and Exchange Board of India )।

প্রশ্ন ১০। রাষ্ট্রের কার্য কী কী ?

উত্তরঃ রাষ্ট্রের কার্যাবলি হল –

(১) দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা।

(২) মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা।

(৩) রাস্তাঘাট নির্মাণ, স্বাস্থ্য রক্ষা, কৃষির উন্নতি এবং শিক্ষা বিস্তার করা।

(৪) পররাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা।

We Hope the given Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF will help you. If you Have any Regarding, HS 2nd Year Economics Question Answer in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

2 thoughts on “Class 12 Economics Chapter 1 সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা”

  1. Sir, thank you very much sincerely, for making it easy for us to answer important questions about ECO ,this website is very useful for getting question answers in Bengali language.I would like to tell you another thing that it would have been more beneficial if Edu made question and answers on Bengali subjects of Class XI and XII of our Assam Board.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top