Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা Question Answer in Bengali. Are you a Student of Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা Notes in Bengali. Which you Can Download Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা Solutions in Bengali for free using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা

Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Chapter 15 ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা Question Answer Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The HS 2nd Year Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা

খ – অংশ (ভারতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারত ও চিনের মধ্যে জনঘনত্ব কার বেশি ?

উত্তর। জনঘনত্বের দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যায়, ভারতের জনঘনত্ব (358 প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ) চিনের জনঘনত্ব অপেক্ষা বেশি (138 প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)।

প্রশ্ন ২। ভারত ও চিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় কার বেশি ?

উত্তরঃ 2009 সালের হিসাব অনুযায়ী চিনের মাথাপিছু আয় (6770 মার্কিন ডলার), ভারতের মাথাপিছু আয় (3260 মার্কিন ডলার) অপেক্ষা বেশি।

প্রশ্ন ৩। ভারতবর্ষের দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ পাকিস্তান এবং চিন।

প্রশ্ন ৪। পাকিস্তান কত সালে স্বাধীন হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1947 সালে।

প্রশ্ন ৫। চিন দেশে কত সাইআড়বলে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1949 সনে।

প্রশ্ন ৬। ভারতে কখন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1951 সালে।

প্রশ্ন ৭। পাকিস্তানে কখন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আরম্ভ করেছিল ?

উত্তরঃ 1956 সালে।

প্রশ্ন ৮। পাকিস্তানের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কী নামে পরিচিত ?

উত্তরঃ Medium term plan.

প্রশ্ন ৯। চিনে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কত সালে শুরু হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1953 সালে।

প্রশ্ন ১০। Great Leap Forward অভিযান কোন্ সালে আরম্ভ করা হয় ?

উত্তরঃ 1958 সালে।

প্রশ্ন ১১। কোন্ সালে মাও সে তুঙ মহান সর্বহারার সাংস্কৃতিক বিপ্লব আরম্ভ করেছিল ?

উত্তরঃ 1965 সালে।

প্রশ্ন ১২। 1970-95 সালে ভারতবর্ষে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল ?

উত্তরঃ 2.1%

প্রশ্ন ১৩। 1970-75 সালে চিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল ?

উত্তরঃ 1.6%

প্রশ্ন ১৪। পৃথিবীর মধ্যে কোন দেশের জনসংখ্যা সর্বাধিক ?

উত্তরঃ চিন দেশে।

প্রশ্ন ১৫। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর মধ্যে ভারতের স্থান কত ?

উত্তরঃ দ্বিতীয়।

প্রশ্ন ১৬। চিন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জনসংখ্যার ঘনত্ব কোন দেশে সবচেয়ে কম ?

উত্তরঃ চিন দেশে।

প্রশ্ন ১৭। চিন সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হলেও এর জনসংখ্যার ঘনত্ব ভারত ও পাকিস্তান থেকে কেন কম ?

উত্তরঃ এর প্রধান কারণ হল চিন দেশের সুবিশাল আয়তন।

প্রশ্ন ১৮। ভারতবর্ষের GDP তে কোন খণ্ড বেশি অবদান যোগায় ?

উত্তরঃ সেবা খণ্ড।

প্রশ্ন ১৯। চিনের GDP তে কোন্ খণ্ড বেশি অবদান যোগায় ?

উত্তরঃ শিল্প খণ্ডে।

প্রশ্ন ২০। পাকিস্তানের GDP তে কোন্ খণ্ড বেশি অবদান যোগায় ?

উত্তরঃ পরিষেবা ক্ষেত্রে।

প্রশ্ন ২১। NITI আয়োগের প্রথম ভাইস-চেয়ারম্যান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পানাগ্রিয়া।

প্রশ্ন ২২। 2010 সালে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক কোথায় হয়েছিল ?

উত্তরঃ কোপেনহেগেন।

প্রশ্ন ২৩। SAARC-এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

উত্তরঃ South Asian Association for Regional Cooperation (দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)।

প্রশ্ন ২৪। SAARC কখন গঠিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1985 সালের ডিসেম্বর মাসে।

প্রশ্ন ২৫। ASEAN এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।

উত্তরঃ Association of South East Asian Nation.

প্রশ্ন ২৬। আসিয়ান কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1967 সালে।

প্রশ্ন ২৭। চিন কখন মুক্তদ্বার নীতি গ্রহণ করেছিল ?

উত্তরঃ 1978 সালে।

S.L No.CONTENTS
Chapter – 1সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter – 2জাতীয় আয় গণনা
Chapter – 3মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা
Chapter – 4আয় নির্ধারণ
Chapter – 5সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি
Chapter – 6বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি
Chapter – 7স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় অর্থনীতি (1950-1990)
Chapter – 8উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন
Chapter – 9দারিদ্র্য
Chapter – 10ভারতের মানব মূলধন গঠন
Chapter – 11গ্রামোন্নয়ন
Chapter – 12কর্মসংস্থান
Chapter – 13পরিকাঠামো
Chapter – 14পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন
Chapter – 15ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা

প্রশ্ন ২৮। চিন কখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হয়েছিল ?

উত্তরঃ 2001 সালে।

প্রশ্ন ২৯। চিনের মুক্তদ্বার নীতি কী ?

উত্তরঃ কৃষি ও শিল্পের বেসরকারিকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণই চীনের মুক্তদ্বার নীতি।

প্রশ্ন ৩০। এশিয়ার দুই মহাশক্তির নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারত ও চিন।

প্রশ্ন ৩১। কোন্ বছর ইউরোপীয় সংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1992 সালে।

প্রশ্ন ৩২। PPP বলতে কী বোঝায় ?

উত্তরঃ PPP বলতে Purchasing Power Parity বা দুই দেশের প্রচলিত মুদ্রা অনুপাতে দ্রব্য কেনাবেচার অনুপাত বোঝায়।

প্রশ্ন ৩৩। চিনে কৃষি বেসরকারিকরণ কখন হয়েছিল ?

উত্তরঃ 1982 সালে।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মাথাপিছু আয় কার বেশি ?

উত্তরঃ ভারতের মাথাপিছু আয় বেশি। 2009 সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল 3260 মার্কিন ডলার আর পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল 2540 মার্কিন ডলার।

প্রশ্ন ২। ভারত ও পাকিস্তানে কর্মরত জনসংখ্যার ক্ষেত্রগত বন্টনের তুলনা করো।

উত্তরঃ কর্মরত জনসংখ্যার ক্ষেত্রগত বণ্টনের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করলে দেখা যায় উভয় দেশের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। উভয় দেশেই 2004 সালে (50- 44%) জনসংখ্যা কৃষিতে, (20-21%) জনসংখ্যা শিল্পে এবং (30-35%) জনসংখ্যা পরিষেবা ক্ষেত্রে নিযুক্ত ছিল।

প্রশ্ন ৩। Great Leap Forward Campaign কাকে বলে ?

উত্তরঃ চিনের অর্থনীতিতে মাওযুগে 1958 সালে Great Leap Forward কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় যার মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৪। দুটি দেশের অর্থনীতির তুলনার ভিত্তি হিসাবে যে কোনো দুটি বিষয়ের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দুটি দেশের অর্থনীতির তুলনার ভিত্তি হিসাবে, গ্রহণ করা যায় এমন দুটি বিষয় হলঃ

(১) জাতীয় মাথাপিছু আয়। এবং 

(২) মানব উন্নয়নের নির্দেশক ও সূচক।

প্রশ্ন ৫। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জনঘনত্ব বেশি কোন্ দেশের ?

উত্তরঃ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জনঘনত্ব বেশি ভারতের। World Development Report, 2005 অনুযায়ী 2001-01 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 358 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে পাকিস্তানের জনসংখ্যা 193, কাজেই পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের জনঘনত্ব বেশি।

প্রশ্ন ৬। চিনে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুরু হয় কত সাল থেকে ?

উত্তরঃ চিনে 1949-এর বিপ্লবের অব্যবহিত পরেই সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু হয়। অর্থনৈতিক পরিকল্পনা চালু হয় 1953 সাল থেকে।

প্রশ্ন ৭। চিনের অর্থনীতিতে মাও-এর যুগ বলা হয় মাও-এর যুগ কোন সময়কালকে ? এই যুগের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তরঃ চিনের অর্থনীতিতে 1949-76 এই সময়কালকে বলা হয় মাও-এর যুগ। এই যুগে চিনের অর্থনীতি ছিল কঠোরভাবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত।

প্রশ্ন ৮। চিনে সংস্কার কর্মসূচি কখন থেকে চালু হয়েছে ? সংস্কার কর্মসূচির মূল কথা কী ?

উত্তরঃ 1976 সালে মাও সে তুঙ-এর মৃত্যুর পর ডেঙ শিয়াও পিঙ ক্ষমতায় আসেন। তখন থেকে চিনা অর্থনীতিতে সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকে অনুমতি দেওয়া হয়, সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শিথিল করা হয় এবং বাজার ব্যবস্থাকে আংশিকভাবে প্রবর্তন করা হয়।

প্রশ্ন ৯। ভারত ও চিনের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতের অর্থনীতির সঙ্গে চিনের অর্থনীতির দুটি সাদৃশ্য নিম্নরূপ –

(১) উভয় অর্থনীতিতেই জনসংখ্যার পরিমাণ খুব বেশি। ফলে একদিকে যেমন জনসংখ্যার চাপ রয়েছে, অন্যদিকে তেমন অভ্যন্তরীণ বাজার খুব বিস্তৃত।

(২) উভয় দেশই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে প্রায় একই সময়ে।

প্রশ্ন ১০। ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই উন্নয়নশীল অর্থনীতি হওয়ার জন্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি উভয় অর্থনীতিতেই লক্ষ্য করা যায়। 

এছাড়া উভয় দেশের মধ্যে দুটি সাদৃশ্য হল –

(১) উভয় দেশই মিশ্র অর্থনৈতিক কাঠামো গ্রহণ করেছে।

(২) উভয় দেশই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং পরে উদারিকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।

প্রশ্ন ১১। (১) লিঙ্গ অনুপাত। এবং 

(২) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।

উত্তরঃ (১) লিঙ্গ অনুপাত বলতে প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যাকে বোঝায়। ভারতে 2001 সালে মহিলা-পুরুষ অনুপাত ছিল 933 এবং পাকিস্তানে এই অনুপাত ছিল 922, উভয় দেশেই এই অনুপাত মহিলাদের বিপক্ষে। তবে তুলনামূলকভাবে ভারতের অবস্থা পাকিস্তানের থেকে একটু ভালো।

(২) জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার 1990-2003 সালে পাকিস্তানে ছিল 2.5% আর ভারতে ছিল 1.7%। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পাকিস্তানে বেশি ছিল।

প্রশ্ন ১২। দারিদ্র্য দূরীকরণের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।

উত্তরঃ দারিদ্র্য দূরীকরণে পাকিস্তানের সাফল্য ভারত অপেক্ষা অনেক বেশি। 2003 সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতে 34.7% লোক দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল কিন্তু পাকিস্তানে মাত্র 13.4% লোক দারিদ্র্যসীমার নীচে ছিল।

প্রশ্ন ১৩। নগরায়ণের হার-এর দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।

উত্তরঃ নগরায়ণের হার ভারত অপেক্ষা পাকিস্তানে বেশি। 2001 সালের তথ্য অনুযায়ী 27.8% ভারতে লোক শহরে বাস করে কিন্তু পাকিস্তানের 33.4% লোক শহরে বাস করে।

প্রশ্ন ১৪। (ক) লিঙ্গ অনুপাত। এবং 

(খ) নগরায়ণের হারের ভিত্তিতে ভারত ও চিনের অর্থনীতির তুলনা করো।

উত্তরঃ (ক) লিঙ্গ অনুপাত দুটি দেশের কাছাকাছি আছে। 2001 সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি হাজারে 933 আর চিনের লিঙ্গ অনুপাত ছিল প্রতি হাজারে 937।

(খ) নগরায়ণের দিক দিয়ে চিন ভারত থেকে এগিয়ে। 2001 সালে ভারতের জনসংখ্যার 27.8% শহরে বাস করতো আর চিনের জনসংখ্যার 36.1% শহরে বাস করতো।

প্রশ্ন ১৫। দারিদ্র্য দূরীকরণের দিক থেকে ভারত ও চিনের তুলনা করো।

উত্তরঃ প্রতিদিন মাথাপিছু এক ডলার ভোগব্যয় এই দারিদ্র্য রেখা ধরে 2003 সালে ভারতে দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থিত ছিল 34.7% জনসাধারণ। অন্যদিকে চিনের জনসংখ্যার 16.6% ঐ বছর দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থিত ছিল। কাজেই দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত অপেক্ষা চিন বেশি সফল।

প্রশ্ন ১৬। জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ভারত ও চিনের মিল কোথায় ?

উত্তরঃ ভারত এবং চিন উভয় দেশেই জনসংখ্যার পরিমাণ খুব বেশি। তবে ভারত অপেক্ষা চিনের জনসংখ্যা আরও বেশি। তবে চিনের জনঘনত্ব ভারতের জনঘনত্ব অপেক্ষা কম।

প্রশ্ন ১৭। 1958 সালে গৃহীত চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনা কী নামে খ্যাত ?

উত্তরঃ 1958 সালে গৃহীত চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে বিরাট লাফ দিয়ে এগোনো (Great leap forward) বলা হয়। এর মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ১৮। 1990 এর দশকে ভারত ও চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনার কী মিল দেখা যায় ?

উত্তরঃ 1990 এর দশকে ভারত ও চিন উভয় দেশেই অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি গৃহীত হয় যার মাধ্যমে উদার অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য জোর দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ১৯। বিগত কয়েক দশকে ভারত ও চিনের জাতীয় আয় বৃদ্ধির ধারায় পার্থক্য কেমন ?

উত্তরঃ চিনের তুলনায় ভারতে জাতীয় বৃদ্ধির হার কম ছিল। 1980-2008 এই সম্ভবের মধ্যে চিনির GDP বেড়েছে 10% এর বেশি হারে কিন্তু ঐ সময়ে ভারতে GDP বেড়েছে 6% থেকে 7% এর মধ্যে।

প্রশ্ন ২০। (i) গড় আয়ু। এবং 

(ii) নগরায়ণের হারের নিরিখে ভারত ও জাপানের তুলনা করো।

উত্তরঃ (i) 2010 সালে জাপানের গড় আয়ু ছিল 83 বছর এবং ভারতের গড় আয়ু ছিল 65 বছর।

(ii) 2010 সালে জাপানের 90% লোক শহরে বাস করে আর ভারতের 30% লোক শহরে বাস করে।

জাপানের গড় আয়ু এবং নগরায়ণের হার ভারত অপেক্ষা অনেক বেশি।

প্রশ্ন ২১। 1978 সালের পূর্বে এবং পরে চিনের অনুসৃত অর্থনৈতিক নীতিসমূহের যে কোনো দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ (i) চিন 1978 সালের পূর্বে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি অনুসরণ করত। কিন্তু 1978সালের পর চিন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দ্বার নীতি গ্রহণ করে।

(ii) চিনে 1978 সালের পূর্বে কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ ছিল না কিন্তু 1978 সালের পর কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ করা হয়।

প্রশ্ন ২২। এমন কোন্ দুইটি ক্ষেত্র আছে যেখানে পাকিস্তান ভারতের থেকে অধিক সফলতা লাভ করেছে ?

উত্তরঃ (ক) দারিদ্র্য দূরীকরণে পাকিস্তানের সাফল্য ভারত অপেক্ষা অনেক বেশি।

(খ) নগরায়ণের হার ভারত অপেক্ষা পাকিস্তানে বেশি।

প্রশ্ন ২৩। মানব উন্নয়নে শীর্ষ পাঁচটি দেশের নাম লেখো।

উত্তরঃ নরওয়ে, সুইজারল্যাণ্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যাণ্ড, জার্মানী।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। জনসংখ্যার আকার, জনসংখ্যার ঘনত্ব, জন্মের হার এবং সাক্ষরতার হারের ক্ষেত্রে ভারত এবং চিনের মধ্যে তুলনা করো।

উত্তরঃ (ক) জনসংখ্যার আকার: ভারত এবং চিন উভয় দেশেই জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি। তবে ভারত অপেক্ষা চিনের জনসংখ্যা আরও বেশি। 2011 সালে চিনের জনসংখ্যা 134 কোটি আর সেই সময় ভারতের জনসংখ্যা ছিল 121 কোটি।

(খ) জনসংখ্যার ঘনত্ব: চিনের জনঘনত্ব ভারত অপেক্ষা কম। United Nations Dept. of Economic and Social Affairs এর তথ্য অনুসারে 2018 সালে চিনের জনঘনত্ব আর ভারতের জনঘনত্ব 440।

(গ) জন্মের হার: 2016 সালে ভারতে জন্ম হার ছিল 20.4% (NITI আয়োগের তথ্যানুসারে)। 2018 সালে ভারতে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় জন্মের হার 18.6 ছিল আর চিনের ছিল 11.93।

(ঘ) সাক্ষরতার হার: 2011 সালে ভারতে সাক্ষরতার হার ছিল 74% কিন্তু 2011 সালে চিনে সাক্ষরতার হার ছিল 95%। সুতরাং ভারতের তুলনায় চিনের শিক্ষিতের হার অনেক বেশি।

প্রশ্ন ২। চিন, পাকিস্তান এবং ভারতবর্ষের অর্থনীতির চারটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (ক) চিন, পাকিস্তান এবং ভারতবর্ষ এই তিনটি রাষ্ট্র একই সময়ে উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টা আরম্ভ করেছিল। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন তিন দেশই প্রায় একই সময়ে শুরু করেছিল।

(খ) চিন, পাকিস্তান এবং ভারতবর্ষ – এই তিনটি দেশেরই অধিকাংশ লোক কৃষির সঙ্গে জড়িত। এই তিনটি দেশেই জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বন্টনে শিল্প ও সেবাখণ্ডে কম সংখ্যক কর্মশক্তি নিয়োজিত হলেও GDP-র অবদান কৃষিখণ্ডের চেয়ে অধিক।

(গ) তিনটি দেশই উন্নয়ন কৌশল আশির দশকে পরিবর্তন করে বাজার ভিত্তিক নীতি গ্রহণ করেছে। অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি তিনটি দেশেই সংঘটিত হয়েছিল।

(ঘ) মানব উন্নয়ন সূচকে এই তিন দেশের অবস্থান নিচের দিকে। 2017 সালের মানব উন্নয়ন সূচকের ভারত পৃথিবীর 189 টি দেশের মধ্যে 130 তম স্থান, পাকিস্তান 150 তম স্থান এবং চিন 86 তম স্থান দখল করেছে। ভারতের মানব উন্নয়ন সূচকাংক 0.640, চিনের মানব উন্নয়ন সূচকাংক 0.752 এবং পাকিস্তানের মানব উন্নয়ন‌ সূচকাংক 0.562।

(ঙ) চিন, ভারত ও পাকিস্তান – এই তিনটি রাষ্ট্রই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। সালে ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছিল।

প্রশ্ন ৩। গোলকীয় উত্তাপ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।

উত্তরঃ মানুষের বিচারহীন ভোগ ও শিল্পায়নের ফলে কার্বন- ডাই- অক্সাইড (CO₂), ফ্লুরোফ্লুরো কার্বন (CFC), মিথেন (CH₄) এবং নাইট্রাস অক্সাইডের (N₂O) মতো জ্বলনশীল যৌগ আমাদের এই সবুজ পৃথিবীর বুকে ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন –  এক গোলকীয় সমস্যার রূপ ধারণ করছে। আশির দশক থেকে‌ এইসব বিভিন্ন দাহিকা শক্তিগুলির প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে গড়ে 0.1 ডিগ্রী সেলসিয়াস। জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের জন্য 620 জন বিশিষ্টি বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত Intergovernmental Panel for Climate Change (IPCC) র বিশেষ কমিটি প্রমাণ করে দেখিয়েছে, গত শতাব্দিতে পৃথিবীর তাপমাত্রা 0.74 ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এই বর্ধমান গতি অব্যাহত থাকলে 2020 সালে গোলকীয় উষ্ণায়নের মাত্রা 1.5 ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে 4.5 ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।

গোলকীয় উত্তাপের ফলে জলবায়ুর উপর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। জলবায়ুর অবাঞ্চিত পরিবর্তনের ফলে কোথাও প্রচণ্ড খরা আবার কোথাও প্রবল বন্যা ভয়ংকর প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষিবিজ্ঞানীরা অদূর ভবিষ্যতে ভয়ংকর খাদ্য সংকট সৃষ্ট হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্যে মারাত্মক রকমের প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। গোলকীয় উত্তাপ বিশ্বে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু থেকে শুরু করে চর্ম, ফুসফুস সম্বন্ধীয় বিভিন্ন জটিল দুরারোগ্য রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষুধা, অপুষ্টি, মারাত্মক খাদ্য সংকট, সেই সঙ্গে অসুখ বিসুখ ও চিকিৎসার খরচ বাড়তে থাকবে – যার নিট ফল ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র মানুষ চরম দরিদ্রতায় অনাহারে মৃত্যুকে বেছে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।

প্রশ্ন ৪। বর্তমান চিনের অর্থনীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি থেকে পৃথক ?

উত্তরঃ (ক) 1949 সালে চিন গণরাজ্য প্রতিষ্ঠার পর চিনে পরিকল্পিত বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি অনুসরণ করা হত। কিন্তু বর্তমানে চিনের অর্থনীতি বেসরকারিকরণ ও মুক্ত বাণিজ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।

(খ) নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে কৃষি ও শিল্প সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। কিন্তু বর্তমানে কৃষি ও শিল্প বেসরকারি খণ্ডে পরিচালিত।

(গ) রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থনীতিতে বেসরকারি শিল্প এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্থান ছিল না। কিন্তু বর্তমান অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি চিনের অর্থ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

(ঘ) নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের কোন স্থান ছিল না, কিন্তু  বর্তমানে চিনের অর্থনীতি অবাধ প্রতিযোগিতার উপর প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে চিন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য।

প্রশ্ন ৫। ভারত এবং চিনের অর্থনীতির মধ্যে সাদৃশ্যের বিষয়গুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (ক) চিন এবং ভারত উভয়ই বিশ্বের দুই বৃহৎ রাষ্ট্র। জনসংখ্যার ভিত্তিতে চিন প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়। চিনের জনসংখ্যা কোটি আর ভারতের জনসংখ্যা কোটি।

(খ) চিন এবং ভারত উভয় দেশেরই অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। মাও পরবর্তী চিনে (1977-78) মাথাপিছু বার্ষিক আয় দ্বিগুণ হয়েছে।

(গ) চিন ও ভারত উভয় দেশই বেসরকারিকরণ ও মুক্ত বাণিজ্য নীতি অবলম্বন করেছে।

(ঘ) চিন ও ভারত উভয় রাষ্ট্রেরই বৈদেশিক মুদ্রার বিশাল মজুত ভাণ্ডার আছে এবং উভয় দেশই অন্য দেশে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারে।

প্রশ্ন ৬। জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বন্টনের দিক দিয়ে ভারত, চিন ও পাকিস্তানের তুলনা করো।

উত্তরঃ 2008 সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতে জাতীয় আয়ের 17% এসেছিল কৃষি থেকে, চিনে এটি 11% এবং পাকিস্তানে 24%। ঐ সময়ে ভারতে শিল্প থেকে এসেছিল 29%, চিনে এটি ছিল 49% এবং পাকিস্তানে 24% । পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে ভারতের জাতীয় আয়ের 54% এসেছিল, কিন্তু চিনে এটি ছিল 40% এবং পাকিস্তানে ছিল 52%। চিনের GDP-তে শিল্প ক্ষেত্রে সর্বাধিক অবদান রয়েছে কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের GDP-তে পরিষেবা ক্ষেত্রে সর্বাধিক অবদান রয়েছে।

প্রশ্ন ৭। অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে চিন দেশের উত্থান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ চিন 1978 সাল পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থাকত। সালে চিনের তৎকালীন নেতা ডেঙ চিনের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য ‘মুক্তদ্বার নীতি’ গ্রহণ করেন।

এই নীতি অনুসারে বিদেশি মূলধন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চিনকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। চিন অবাধ বাণিজ্যে প্রবেশ করে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই দেশ এক কেন্দ্রস্থল হয়ে পড়ে।

নতুন অর্থনৈতিক নীতির জন্য চিন নিজ অর্থব্যবস্থাকে জড়তা থেকে হওয়ার সুবিধা পায়। কৃষিক্ষেত্রের ব্যক্তিকরণের জন্য কৃষি উৎপাদন তথা গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হয়। এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলে চীনা অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয় এবং দ্রুতগতিতে উন্নতি লাভ করে। চীনা অর্থনীতির উত্থান বিশ্বশক্তিতে তৃতীয় বিকল্প বলে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন ৮। ভারতের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় অর্থনীতির নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখযোগ্য –

(১) স্বল্প মাথাপিছু আয়: ভারতের মাথা পিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় খুবই কম। 2000 সালে আমেরিকার মাথাপিছু আয় ছিল ভারতের মাথাপিছু আয়ের 75 গুণ। স্বাধীনতার পর ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে জাতীয় আয় কিছুটা অবশ্য বেড়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে জনসংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মাথাপিছু আয় সামান্যই বেড়েছে।

(২) জাতীয় আয়ের গঠন: পরিকল্পনাকালে ভারতের জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বন্টনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। প্রাথমিক ক্ষেত্রের গুরুত্ব কমেছে এবং মাধ্যমিক ও সেবাক্ষেত্রের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।

(৩) জীবিকা কাঠামোর ধরণ: ভারতে মোটকর্মরত জনসংখ্যার 60% কৃষি ও অন্যান্য প্রাথমিক ক্ষেত্রে নিযুক্ত এবং 40% শিল্প ও সেবামূলক ক্ষেত্রে নিযুক্ত। কৃষিতে জনসংখ্যার চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে কৃষিক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব দেখা দিচ্ছে।

(৪) জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চ হার: ভারতে জনসংখ্যার চাপ ক্রমবর্ধমান। 2010 সালে ভারতের জনসংখ্যা 120 কোটি ছাড়িয়ে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভারতে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

(৫) ব্যাপক দারিদ্র্য: ভারতের মোট জনসংখ্যার একটা বড়ো অংশ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে। এক তৃতীয়াংশ লোক জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ভোগব্যয়টুকুও করতে পারে না।

(৬) আয় ও সম্পদ বন্টনে বৈষম্য: ভারতে আয় ও সম্পদ বন্টনে তীব্র বৈষম্য রয়েছে। দেশের অধিকাংস লোক গরিব হলেও মুষ্টিমেয় কিছু ধনীর হাতে প্রচুর আয় ও সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

(৭) বেকার সমস্যা: ভারতে বেকারত্বের সমস্যা অন্যতম প্রধান সমস্যা। ভারতে বেকার ও অর্ধ-বেকারের সংখ্যা বিশাল এবং তা ক্রমবর্ধমান।

(৮) দ্বৈত অর্থনীতি: ভারতীয় অর্থনীতির অল্প কিছু অংশ খুবই উন্নত কিন্তু বিস্তীর্ণ অঞ্চল অনুন্নত। উন্নত অংশের উৎপাদন কৌশল খুবই আধুনিক। কিন্তু অনুন্নত অংশের উৎপাদন কৌশলই চিরাচরিত ও সাবেকি ধরনের। এভাবে ভারতের অর্থব্যবস্থায় এক দ্বৈত অর্থনীতি বিরাজ করছে।

We Hope the given Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF will help you. If you Have any Regarding, HS 2nd Year Economics in Bengali PDF, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top