Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Class 12 Economics Chapter 8 উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন Question Answer in Bengali. Are you a Student of Class 12 Economics Chapter 8 উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন Notes in Bengali. Which you Can Download Class 12 Economics Chapter 8 উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন Solutions in Bengali for free using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 12 Economics Chapter 8 উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন
Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Chapter 8 উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন Question Answer Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The HS 2nd Year Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন
খ – অংশ (ভারতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন)
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া কখন শুরু হয়েছে ?
উত্তরঃ অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া 1991 সালে শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন ২। অবাধ বাণিজ্য কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে যদি কোনো রকম বাধা নিষেধ না থাকে বা থাকলেও তা ন্যূনতম হয়, তবে তাকে বলে অবাধ বাণিজ্য বা মুক্ত বাণিজ্য (Free Trade)
প্রশ্ন ৩। আমদানি শুল্ক কাকে বলে ?
উত্তরঃ আমদানি কমানোর জন্য যে কর বা শুল্ক আরোপ করা হয় তা হল আমদানি শুল্ক।
প্রশ্ন ৪। আমদানি কোটা কাকে বলে ?
উত্তরঃ আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কোনো দেশ যদি আমদানির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থির করে দেয়, তবে তাকে বলে আমদানি কোটা।
প্রশ্ন ৫। অবমূল্যায়ন কাকে বলে ?
উত্তরঃ একটি দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে মুদ্রার মূল্য অন্য কোনও একটি দেশের বা একাধিক দেশের মুদ্রার মূল্যের সাপেক্ষে সরকারিভাবে কমিয়ে দেওয়ার নিয়মকে বলা হয় অবমূল্যায়ন বা মুদ্রার অবমূল্যায়ন।
প্রশ্ন ৬। 1991 সালের শিল্পনীতির মূলকথা কী ?
উত্তরঃ 1991 সালের শিল্পনীতির মূলকথা – উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন।
প্রশ্ন ৭। উদারিকরণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ উদারিকরণ বলতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সরকারের হস্তক্ষেপ হ্রাস করাকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৮। বেরসকারিকরণ কাকে বলে ?
উত্তরঃ বেসরকারিকরণ বলতে সরকারি ক্ষেত্রের শিল্প সংস্থার মালিকানা বেসরকারি ক্ষেত্রে হস্তান্তরকে বোঝায়।
প্রশ্ন ৯। বিশ্বায়ন বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ বিশ্বায়ন বলতে দ্রব্যসামগ্রী, পরিষেবা এবং মূলধনের এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবাধ যাতায়াতকে বোঝায়।
প্রশ্ন ১০। বিলগ্নীকরণ কাকে বলে ?
অথবা,
নির্বিনিয়োগকরণ কী ?
উত্তরঃ সরকারি সংস্থাগুলির শেয়ারের একটি অংশ বেসরকারি উদ্যোগের কাছে বিক্রি করাকে বিলগ্নীকরণ বলা হয়।
প্রশ্ন ১১। সোনালি করমর্দন বা বিদায়নীতি কাকে বলে ?
উত্তরঃ সরকারি রুগ্ন শিল্পগুলির কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিদায় দিয়ে শিল্পগুলিকে বন্ধ, করে দেওয়ার নীতিকে সোনালি করমর্দন (Golden handshake) বা বিদায় নীতি (Exit Policy) বলে।
প্রশ্ন ১২। সেবাক্ষেত্রের অন্তর্গত দুইটি অর্থনৈতিক কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সেবাক্ষেত্রের অন্তর্গত দুটি অর্থনৈতিক কর্মের উদাহরণ হল ব্যাঙ্কিং ও বিমা।
প্রশ্ন ১৩। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ মন্দা এমন একটি অবস্থা যেখানে অর্থনৈতিক কাজকর্মের মান সর্বাপেক্ষা কম। এরূপ অবস্থায় দেশের আয়স্তর খুব কমে যায়, উৎপাদন কমে যায়, দামস্তর কমে যায়, বেকারসমস্যা ভীষণভাবে বেড়ে যায়।
প্রশ্ন ১৪। GATT এর সম্পূর্ণ নাম কী ?
উত্তরঃ General Agreement on Tariffs and Trade (শুল্ক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সাধারণ চুক্তি)।
প্রশ্ন ১৫। GATT এর অষ্টম দফা সম্মেলন কোথায় হয়েছিল ?
উত্তরঃ উরুগুয়েতে।
প্রশ্ন ১৬। GATT এর অষ্টম দফা সম্মেলনে কোন্ প্রস্তাব গৃহীত হয় ?
উত্তরঃ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (World Trade Organisation) স্থাপন করা হয়।
প্রশ্ন ১৭। GATT এর অষ্টম দফা সম্মেলনের ডিরেক্টর জেনারেল কে ছিলেন ?
উত্তরঃ আর্থার ডাঙ্কেল।
প্রশ্ন ১৮। WTO এর সম্পূর্ণ রূপ লেখো।
উত্তরঃ World Trade Organisation (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা)।
প্রশ্ন ১৯। WTO বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা কত সালে স্থাপিত হয় ?
উত্তরঃ 1995 সালে।
প্রশ্ন ২০। রাউণ্ড (Round) মানে কী ?
উত্তরঃ গ্যাট চুক্তিতে সদস্য দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়। এই ধরনের আলোচনাকে রাউণ্ড বলা হয়। 1947 থেকে 1994 পর্যন্ত এরূপ আটটি রাউণ্ড হয়েছে।
প্রশ্ন ২১। বিশ্ব ব্যাংকের অপর নাম কী ?
উত্তরঃ International Bank for Reconstuction and Development সংক্ষেপে IBRD বলা হয়।
প্রশ্ন ২২। IMF এর সম্পূর্ণ রূপ লেখো।
উত্তরঃ International Monetary Fund (IMF) অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার।
প্রশ্ন ২৩। IMF ও IBRD কত সালে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ 1944 সালে।
প্রশ্ন ২৪। SDR মানে কী ?
উত্তরঃ কোনো দেশের লেনদেনের ঘাটতি দেখা দিলে সেই ঘাটতি দূর করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) Special Drawing Right অর্থাৎ বিশেষ অর্থপ্রাপ্তির ব্যবস্থা করে সদস্যদেশের তারল্যসমস্যা দূর করে।
প্রশ্ন ২৫। আমদানির বিকল্পীকরণ কী?
উত্তরঃ বৈদেশিক দ্রব্য আমদানি না করে দেশের মধ্যে ঐ শিল্পগুলি গড়ে তোলাকে আমদানির বিকল্পীকরণ বলে। এজন্য আমদানি শুল্ক, কোটা প্রভৃতির সাহায্যে আমদানির নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া আমদানির বিকল্প শিল্পকে কর রেহাই ও দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ২৬। ব্যাংক রেট (Bank rate) কাকে বলে ?
উত্তরঃ ব্যাংক রেট সেই সুদের হারকে বোঝায় যে হারে রিজার্ভ ব্যাংক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেয়।
প্রশ্ন ২৭। কোন সংস্থার প্রতি অঙ্গিকার রাখতে ভারতবর্ষ 2004-05 সালে Patent Act 1970 সংশোধন করেছে ?
উত্তরঃ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।
প্রশ্ন ২৮। ভারতে রিপো হার (Repo rate) কে ঘোষণা করেন ?
উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক।
প্রশ্ন ২৯। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ 1935 সালে।
প্রশ্ন ৩০। NITI আয়োগের বর্তমান উপসভাপতি (Vice President) কে ?
উত্তরঃ রাজীব কুমার।
প্রশ্ন ৩১। RBI এর তথ্য মতে, 2014-15 সালে IT, ITES ও BPO সেবাক্ষেত্রে ভারতে রপ্তানি কত শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ?
উত্তরঃ 14.8%
প্রশ্ন ৩২। বলগ্নিকরণ নীতির উদ্দেশ্য কী ?
উত্তরঃ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ইক্যুইটি মূলধন খোলাবাজারে বিক্রয় করা।
প্রশ্ন ৩৩। কোন্ আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে ভারতে ‘Structural adjustment’ নীতি চালু হয় ?
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক।
প্রশ্ন ৩৪। ভারতের GDP তে সবচেয়ে বেশি অংশ কোন্ খণ্ডের ?
উত্তরঃ সেবা খণ্ড।
প্রশ্ন ৩৫। ভারতে নয়া অর্থনৈতিক নীতি চালু হয়েছে কোন বছরে ?
উত্তরঃ 1991 সালে।
S.L No. | CONTENTS |
Chapter – 1 | সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা |
Chapter – 2 | জাতীয় আয় গণনা |
Chapter – 3 | মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা |
Chapter – 4 | আয় নির্ধারণ |
Chapter – 5 | সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি |
Chapter – 6 | বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি |
Chapter – 7 | স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় অর্থনীতি (1950-1990) |
Chapter – 8 | উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন |
Chapter – 9 | দারিদ্র্য |
Chapter – 10 | ভারতের মানব মূলধন গঠন |
Chapter – 11 | গ্রামোন্নয়ন |
Chapter – 12 | কর্মসংস্থান |
Chapter – 13 | পরিকাঠামো |
Chapter – 14 | পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন |
Chapter – 15 | ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা |
প্রশ্ন ৩৬। কোন্ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় মূল্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে ?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)।
প্রশ্ন ৩৭। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে আর্থিক মূল্যের পরিমাণে কোন্ দ্রব্য থেকে বৃহত্তম অবদান আসে ?
উত্তরঃ ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি থেকে।
প্রশ্ন ৩৮। ভারতে আমূল অর্থনৈতিক সংস্কার ও উদারনীতি কত সালে চালু হয়েছিল ?
উত্তরঃ 1991 সালে।
প্রশ্ন ৩৯। বর্তমান ভারত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা কী ?
উত্তরঃ পরিকাঠামো সেবার যোগানের অপ্রতুলতা।
প্রশ্ন ৪০। ভারতের আর্থিক নীতি প্রণয়নে কোন্ প্রতিষ্ঠান সরাসরি যুক্ত ?
উত্তরঃ রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া।
প্রশ্ন ৪১। ভারতে যে ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি কী ?
উত্তরঃ মিশ্র অর্থনীতি।
প্রশ্ন ৪২। ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থার নাম লেখো।
উত্তরঃ TISCO.
প্রশ্ন ৪৩। ভারতের একটি সরকারি ক্ষেত্রের সংস্থার নাম লেখো।
উত্তরঃ SAIL.
প্রশ্ন ৪৪। SAP মানে কী ?
উত্তরঃ Structural Adjustment Programme.
প্রশ্ন ৪৫। অর্থনৈতিক সংস্কার বা নয়া অর্থনৈতিক নীতি কী ?
উত্তরঃ বিশ্বায়ন, উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ – এই তিনটি কার্যক্রম রূপায়ণের জন্য সরকার শিল্পনীতি, বাণিজ্যনীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত নীতি এবং বিদেশী মূলধন সংক্রান্ত নীতিতে যে সংযোজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করেছে, তাকেই অর্থনৈতিক সংস্কার বা নয়া অর্থনৈতিক নীতি বলা হয়।
প্রশ্ন ৪৬। ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষির স্বল্প উৎপাদনশীলতার দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভারতে কৃষির স্বল্প উৎপাদনশীলতার দুটি কারণ হল –
(১) জোতের স্বল্প আয়তন, খণ্ডীকরণ এবং অসংবদ্ধতা।
(২) উৎপাদনে চিরাচরিত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলসেচের সমস্যা।
প্রশ্ন ৪৭। ভারতে জাতীয় আয়ে বর্তমানে সেবামূলক ক্ষেত্রের অবদান বৃদ্ধির দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) সেবাক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা। এই দুই সেবার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে।
(২) ব্যাংক, বিমা, পরিবহন প্রভৃতি চিরাচরিত সেবাকার্যের সঙ্গে নতুন সেবাকার্য যেমন তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের দ্রুত বিস্তার লাভ ঘটেছে।
প্রশ্ন ৪৮। নব্বইয়ের দশকে ভারতের কাঠামোকে সামঞ্জস্যবিধানের জন্য কে ঋণ দিয়েছিল ?
উত্তরঃ বিশ্ব ব্যাংক।
প্রশ্ন ৪৯। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) প্রথমে কবে কাজ শুরু করে ?
উত্তরঃ 1994 সালে GATT চুক্তি 110 টি দেশ স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা অবসানে বহুমাত্রিক বাণিজ্যের জন্য নিয়মকানুন প্রবর্তিত হয়। এই চুক্তিতে রূপদানের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) নামে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। 1995 সালের পয়লা জানুয়ারী থেকে WTO কাজ শুরু করে। 2003 সাল পর্যন্ত 146 টি দেশ এর সদস্য হয়েছে।
প্রশ্ন ৫০। বর্তমানে WTO এর সদস্য কতটি ?
উত্তরঃ 164 টি।
প্রশ্ন ৫১। WTO এর সদর কার্যালয় কোথায় ?
উত্তরঃ সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভা শহরে।
প্রশ্ন ৫২। বহুজাতিক সংস্থা কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উন্নত কোনো একটি দেশের কোনো
প্রশ্ন ৫৩। আউটসোর্সিং মানে কী ?
উত্তরঃ আউটসোর্সিং এমন একটি ব্যবসায়িক অনুশীলন যা ব্যবসাটির প্রয়োজনীয় কিছু ফাংশন ব্যবসায়িক কর্মীদের পরিবর্তে বাইরের দলগুলির দ্বারা চুক্তিভিত্তিতে সম্পাদিত হয়।
প্রশ্ন ৫৪। বহুজাতিক সংস্থা কী ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উন্নত কোনো একটি দেশের কোনো একটি বৃহৎ উৎপাদন সংস্থা নিজের দেশের ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে একাধিক দেশে তার উৎপাদন ও বিক্রয় সংক্রান্ত কাজকর্ম বিস্তৃত করলে ঐ মূল সংস্থাটিকে বহুজাতিক সংস্থা বলে।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। আমদানি শুল্ক কাকে বলে ? এর কয়েকটি অর্থনৈতিক ফলাফল উল্লেখ করো।
উত্তরঃ কোনো দেশের আমদানির উপর যে শুল্ক বা কর বসানো হয় তাকে বলে আমদানি শুল্ক। এই শুল্ক দ্রব্যের একক পিছু হতে পারে বা দ্রব্যের মূল্যের উপর ধার্য হতে পারে। আমদানি কমানোর জন্য আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়।
আমদানি শুল্ক ধার্য করলে তার কয়েকটি অর্থনৈতিক ফলাফল পাওয়া যায়। আমদানি শুল্ক বসানো হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পায়। একে রাজস্ব প্রভাব বলে।
আমদানি শুল্ক বসানো হলে আমদানিকারী দেশে আমদানি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্রেতারা আমদানি দ্রব্য কম ভোগ করে এবং পরিবর্তে দেশে উৎপন্ন দ্রব্যাদি বেশি করে ভোগ করে। একে সংরক্ষণ প্রভাব বলে। আবার দ্রব্যটির আমদানি কম হলে ভোগও কম হয়। একে ভোগ প্রভাব বলে।
প্রশ্ন ২। বিশ্বায়নের সংজ্ঞা দাও। বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সৃষ্টিকারী তিনটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার নাম লেখো।
উত্তরঃ উদারিকরণ ও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে কোনো দেশের অর্থনীতিকে যতটা সম্ভব কৃত্রিম নিয়ন্ত্রণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে বিশ্বের বাজারে অবাধে অর্থনৈতিক কাজকর্ম সম্পাদন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াকে বিশ্বায়ন/গোলকীকরণ বলে।
(১) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।
(২) আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার।
(৩) বিশ্বব্যাংক।
এই তিনটি সংস্থা বিশ্বায়নের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মাধ্যমে দেশগুলোর আমদানি-রপ্তানি নীতি সম্পর্কে বিভিন্ন আচরণবিধি বেধে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার সভ্য দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে লেনদেনের ঘাটতি সমস্যা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আর বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন দেশকে অর্থসাহায্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সংস্কারের কাজ সমাধানে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৩। 1991 সালের নতুন অর্থনৈতিক নীতির বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ 1991 সালের শিল্পনীতিতে যে বৈচিত্র্যমুখী পরিবর্তন তথা সংস্কারের কর্মসূচিগুলি গৃহীত হয়, তাদের শিরোনামগুলি নিচে উল্লেখ করা হল-
(১) সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ।
(২) লাইসেন্সিং নীতির নমনীয়করণ।
(3) MRTP আইনের বিদায়
(৪) বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বিদেশী প্রযুক্তিবিদ্যার অনুপ্রবেশের সুযোগসুবিধার সম্প্রসারণ।
(৫) সরকারি অলাভজনক ও রুগ্ন শিল্পের সংস্কার।
প্রশ্ন ৪। অর্থনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে LPG-র অর্থ কী ?
উত্তরঃ 1991 সালে ভারত সরকার নয়া অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে। এই নীতির তিনটি মূল স্তম্ভ হল –
(১) Liberalisation বা উদারিকরণ বা নমনীয়করণ।
(২) Privatisation বা বেসরকারিকরণ।
(৩) Globalisation বা গোলকীকরণ বা বিশ্বায়ন যাদের কে সংক্ষেপে LPG বলা হয়।
উদারিকরণ বলতে উৎপাদন, বন্টন, বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাসকে বোঝায়।
বেসরকারিকরণ বলতে বোঝায় সরকারি মালিকানা ও কর্তৃত্বে পরিচালিত কোনো সংস্থাকে বেসরকারিকরণ হল সরকারি ক্ষেত্রের বিলগ্নিকরণ।
বিশ্বায়ন বলতে বোঝায় কোনো অর্থনীতির সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির সংযুক্তিকরণ।
প্রশ্ন ৫। আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসাবে আমদানি শুল্কের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী ?
উত্তরঃ আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসাবে আমদানি শুল্কের সুবিধা –
প্রথমত, আমদানি শুল্কের সুবিধা এই যে এক্ষেত্রে আমদানি করার স্বাধীনতা খর্ব হয় না। শুল্ক দিলে যে কেউ যে কোনো পরিমাণ দ্রব্য আমদানি করতে পারে। কিন্তু আমদানি শুল্কের পরিবর্তে কোটা ধার্য করলে আমদানি করার স্বাধীনতাই থাকে না।
দ্বিতীয়ত, আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে বাজার ব্যবসা স্বাধীনভাবে কাজ করে। কে আমদানি করবে বা কতটা করবে তা বাজারের শক্তির দ্বারাই নির্ধারিত হয়।
তৃতীয়ত, আমদানি শুল্ক আরোপ করলে সরকার রাজস্ব অর্জন করে। কোটার ক্ষেত্রে এই রাজস্ব থাকে না।
আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসাবে আমদানি শুল্কের অসুবিধা-
প্রথমত, আমদানি শুল্ক বসালে আমদানি কমবে কিনা বা কতটা কমবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কোটার ক্ষেত্রে আমদানি কতটা হবে তা নিশ্চিতরূপে বলা সম্ভব।
দ্বিতীয়ত, আমদানি শুল্ক আরোপ করতে হলে আইনসভায় আইন পাশ করতে হবে। কিন্তু প্রশাসনিক আদেশ বলেই কোটা ধার্য করা যেতে পারে। কোটা দ্রুত আরোপ করা যায় কিন্তু আমদানি শুল্ক দ্রুত আরোপ করা যায় না। কাজেই আমদানি কমানোর জরুরি ব্যবস্থা হিসাবে আমদানি শুল্ক উপযুক্ত নয়।
প্রশ্ন ৬। সংস্কারোত্তর যুগে অর্থাৎ 1991 সালের পরে ভারতের কোন ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশলের গুরুত্ব বেড়েছে ?
উত্তরঃ (১) অর্থনৈতিক পরিকল্পনার পাশাপাশি বাজারের অস্তিত্বের নিরিখে আধা নিয়ন্ত্রি ত অর্থনৈতিক কৌশল।
(২) সরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগপতিদের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশল।
(৩) রপ্তানি বৃদ্ধিকরণের দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৌশল।
প্রশ্ন ৭। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কার্যাবলি লেখো।
উত্তরঃ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গতানুগতিক কাজগুলি হল –
(১) টাকাকড়ি প্রচলনের একচেটিয়া অধিকার।
(২) সরকারের ব্যাংক হিসাবে কাজ করা।
(৩) বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাংক হিসাবে কাজ করা।
(৪) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির ঋণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা।
(৫) দেশের মুদ্রার বাহ্যিক মূল্যের স্থায়িত্ব বজার রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষক হিসাবে কাজ করা।
(৬) অর্থ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা, প্রকাশ করা ও অন্যান্য ব্যাংকের ‘নিকাশি ঘর’ হিসাবে কাজ করা।
প্রশ্ন ৮। অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রেক্ষিতে পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করো।
উত্তরঃ 1991 সালে ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি শুরু হয়। ফলস্বরূপ, পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশলের বদলে বাজার চালিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৌশ গৃহিত হয়। এই যুগসন্ধিক্ষণে,
পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিকতা নীচে উল্লেখ করা হল –
(১) দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
(২) দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
(৩) দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম।
(৪) অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ও পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সবশেষে বলা যায়, ভারতের মতো অর্থনৈতিক কাঠামোতে দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধানে বাজারের ব্যর্থতাকে সংশোধনের জন্য চাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা।
প্রশ্ন ৯। অর্থনৈতিক সংস্কারমূলক কর্মসূচির উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপঃ
(১) ভারতের শিল্পক্ষেত্রকে প্রতিযোগিতামূলক এবং বাজারমুখী করে তোলা।
(২) শিল্পক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং ভর্তুকি হ্রাস।
(৩) ফিসক্যাল নীতির সংশোধনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব বজায় রাখা।
(৪) রপ্তানি বৃদ্ধিকরণের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাণিজ্য নীতির সংস্কার।
প্রশ্ন ১০। GATT এর উরুগুয়ে রাউণ্ডে সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রধান চুক্তিগুলি লেখো।
অথবা,
ডাঙ্কেল প্রস্তাব সম্বন্ধে লেখো।
উত্তরঃ গ্যাটের বিভিন্ন রাউণ্ডে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়। উরুগুয়েতে এই রাউণ্ড 1986 সালে শুরু হয়ে 1993 সালে শেষ হয়। এই রাউণ্ডে গ্যাটের তদানীন্তন চেয়ারম্যান আর্থার ডাঙ্কেল কতকগুলি প্রস্তাব দেন। এগুলিকে বলা হয় ডাঙ্কেল প্রস্তাব। এই প্রস্তাবগুলি চূড়ান্ত আইনে পরিণত হয় এবং 1994 সালে বিশ্বের টি দেশ ‘গ্যাট চুক্তি’ স্বাক্ষর করে।
এই চুক্তির প্রধান কয়েকটি দিক হল –
(১) উন্নত দেশগুলি তাদের কৃষিগত রপ্তানি দ্রব্যের ওপর ভর্তুকি ক্রমশ কমিয়ে দেবে এবং সমস্ত সদস্য দেশই কৃষিপণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে।
(২) উন্নত দেশগুলি সৃতি ও বয়নশিল্পের ওপর থেকে আস্তে আস্তে আমদানি কোটা তুলে নেবে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশের স্মৃতিবস্ত্র উন্নত দেশের বাজার পাবে।
(৩) সদস্য দেশগুলি বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে নিষেধাজ্ঞা ক্রমশ তুলে নিয়ে স্বদেশে ও বিদেশে বিনিয়োগের মধ্যেকার পার্থক্য মুছে দেবে।
(৪) মেধা সম্পত্তির অধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যে সদস্য দেশগুলি প্রয়োজনে নিজেদের পেটেন্ট ও কপিরাইট আইন সংশোধন করবে ও উৎপন্ন দ্রব্যের পেটেন্ট প্রথা চালু করবে।
(৫) সদস্য দেশগুলি ব্যাংক, বিমা, ভ্রমণ প্রভৃতি সেবাকার্যের আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে উদারিকরণ নীতি গ্রহণ করবে।
উপরোক্ত চুক্তির বিষয়গুলি রূপদানের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা 1995 সালের পয়লা জানুয়ারী চালু হয়েছিল।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.