AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা

Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 14 সূচক সংখ্যা Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সূচক সংখ্যা

খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সূচক সংখ্যা কী?

উত্তরঃ মূল্যস্তর পরিবর্তনের ফলে অর্থের মূল্যের যে পরিবর্তন ঘটে তা নির্ণয় করবার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে সূচক সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন ২। ভিত্তি বছরের সূচক সংখ্যা কত ধরা হয়?

উত্তরঃ 100 ধরা হয়।

প্রশ্ন ৩। কোন দামের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয় করা হয়?

উত্তরঃ পাইকারী দাম।

প্রশ্ন ৪। সূচক সংখ্যা কয় প্রকার?

উত্তরঃ দুই প্রকার।

প্রশ্ন ৫। দাম সূচক কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু নির্বাচিত দ্রব্যের গড় দাম যে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে দামসূচক বলা হয়।

প্রশ্ন ৬। CPI-র পুরা নাম কী?

উত্তরঃ Consumer Price Index.

প্রশ্ন ৭। ভিত্তি বছর কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সময়ের উপর ভিত্তি করে দাম, পরিমাণ ইত্যাদির হ্রাসবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়, তাকে ভিত্তি বছর বলে।

প্রশ্ন ৮। ভার সূচক সংখ্যা কাকে বলে?

উত্তরঃ সূচক সংখ্যা যখন সামগ্রীগুলির আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে তখন তাকে ভারযুক্ত সূচক সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন ৯। অধ্যাপক ফিসার ভারযুক্ত সূচক সংখ্যা পরিমাপ করার জন্য যে সূত্র দিয়েছিলেন তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ১০। মূল্যস্তর কী দ্বারা পরিমাপ করা হয়?

উত্তরঃ মূল্যস্তর সূচকাংক দ্বারা পরিমাপ করা হয়।

প্রশ্ন ১১। জীবনধারণের ব্যয়সূচক কীসের ভিত্তিতে গঠন করা হয়?

 উত্তরঃ জীবনধারণের ব্যয়সূচক খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে গঠন করা হয়।

প্রশ্ন ১২। ভিত্তিবর্ষের মূল্য সূচক কত?

উত্তরঃ ভিত্তিবর্ষের মূল্যসূচক 100

প্রশ্ন ১৩। সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা নির্ধারণের জন্য কোন সূচকসংখ্যা ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ জীবনযাত্রার ব্যয়সূচক সংখ্যা।

প্রশ্ন ১৪। ভারতে মুম্বাই শহরের শেয়ার বাজারে শেয়ারসূচককে কী বলা হয়?

উত্তরঃ বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ সেনসিটিভ ইনডেক্স (BSE Sensex)।

প্রশ্ন ১৫। ভারতে জাতীয় স্টক এক্সেচেঞ্জে 50টি শেয়ারের মূল্যের ভিত্তিতে শেয়ারসূচককে কী বলা হয়?

উত্তরঃ NIFTY.

প্রশ্ন ১৬। মুদ্রাস্ফীতি মানে কী?

উত্তরঃ অবিরতভাবে দ্রব্যমূল্যস্তর ঊর্ধ্বগামী হওয়ার অবস্থাটির নাম মুদ্রাস্ফীতি।

প্রশ্ন ১৭। CLIN এর পূর্ণরূপ লেখো।

উত্তরঃ Cost of living Index Number.

প্রশ্ন ১৮। পাইকারী দাম সূচক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সূচক সংখ্যা সাধারণ দাম স্তরের পরিবর্তনকে সূচিত করে, তাকে পাইকারী দাম সূচক বলে।

প্রশ্ন ১৯। উপভোক্তার খুচরা দামের উপর ভিত্তি করে কী সূচকাংক গঠন করা হয়?

উত্তরঃ জীবন নির্বাহ ব্যয় সূচকাংক।

প্রশ্ন ২০। জীবনধারণের ব্যয় সূচকাংককে কি ভোক্তার মূল্য সূচকাংক বলা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, জীবনধারণের ব্যয় সূচকাংককে ভোক্তার মূল্য সূচকাংক বলা যায়।

প্রশ্ন ২১। সূচক সংখ্যা কী প্রকার পরিমাপ?

উত্তরঃ আপেক্ষিক পরিমাপ।

প্রশ্ন ২২। তিন প্রকার সূচক সংখ্যা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) দাম সূচক সংখ্যা।

(২) মূল্য সুচকাংক।

(৩) পরিমাণ সূচকাংক।

প্রশ্ন ২৩। সূচক সংখ্যা নির্ণয় করার দুটি পদ্ধতি লেখো।

উত্তরঃ (১) সরল সূচক সংখ্যা।

(২) ভারযুক্ত সূচক সংখ্যা।

প্রশ্ন ২৪। ভারযুক্ত সমষ্টি পদ্ধতির তিনটি সূত্র উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) লাসপেয়ারের সূত্র।

(২) পাছির সূত্র ও

(৩) ফিসারের আদর্শ সূত্র।

প্রশ্ন ২৫। অধ্যাপক Coulborm লিখিত মুদ্রাস্ফীতির সংজ্ঞাটি লেখো।

উত্তরঃ অধ্যাপক Coulborn এর মতে, মুদ্রাস্ফীতি হল, ‘too much money chasing too few goods’.

প্রশ্ন ২৬। সূচক সংখ্যাকে ____________ বলেও জানা যায়। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ অর্থনীতির চাপমান যন্ত্র।

S.L No.CONTENTS
ক – অংশ (ব্যষ্টিগত অৰ্থবিজ্ঞান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2ভোক্তার আচরণ এবং চাহিদা
Chapter 3উৎপাদকের আচরণ ও যোগান
Chapter 4পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র
Chapter 5বাজার ভারসাম্য
Chapter 6অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার
খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2তথ্য সংগ্ৰহ
Chapter 3তথ্যরাশির সংবদ্ধকরণ
Chapter 4রাশিতথ্যের উপস্থাপন
Chapter 5কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ
Chapter 6বিচ্যুতির পরিমাপ
Chapter 7সহসম্বন্ধ
Chapter 8সূচক সংখ্যা
Chapter 9পরিসংখ্যান হাতিয়ারের ব্যবহার

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পাইকারী মূল্য সূচকাংক এবং জীবনধারণের ব্যয় সূচকাংকের পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ পাইকারী মূল্য সূচকাংকের উদ্দেশ্য হল গড় মূল্যস্তর পরিমাপ করা। মূল্যস্তরের পরিবর্তনের ফলে অর্থমূল্যের যে পরিবর্তন হয় তা নির্ণয় করতে পাইকারী মূল্য সূচকাংক ব্যবহার করা হয়।

জীবনধারণের ব্যয় সূচকাংকের উদ্দেশ্য দুটি পৃথক সময়ে একই শ্রেণির মানুষের ভোগব্যয়ের তুলনা করা। ইহার সাহায্যে জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করা এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পরিমাপ করা হয়।

প্রশ্ন ২। সূচক সংখ্যাকে কেন অর্থনীতির চাপমান যন্ত্র বলা হয় কেন?

উত্তরঃ কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান নির্ণয় করা দেশের মূল্যস্তরের উপর ভিত্তি করে। আবার মূল্যস্তরের পরিবর্তন নির্ধারণ করা হয় সূচক সংখ্যার দ্বারা। তাই সূচক সংখ্যার দ্বারা অর্থনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। চাপমান যন্ত্রের ন্যায় মূল্যস্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সূচক সংখ্যা ঊর্ধ্বগামী এবং মূল্যস্তর হ্রাসের সঙ্গে ইহা নিম্নগামী হয়। তাই সূচক সংখ্যাকে অর্থনীতির চাপমান যন্ত্র বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। পাইকারী মূল্য সূচকাংক কী?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু সংখ্যক নির্বাচিত দ্রব্যের পাইকারী মূল্যে গড়কে যে সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে পাইকারী মূল্য সূচকাংক বলে।

প্রশ্ন ৪। পাইকারি মূল্য সূচকাংকের দুটি ত্রুটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) শুধুমাত্র কাঁচামালের মূল্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা সূচকাংক মূল্যস্তরের পরিবর্তনের সঠিক দিক নির্দেশ করতে পারে না।

(২) ব্যক্তিগত সেবার মূল্য না ধরে পাইকারি মূল্য সূচকাংক তৈরি করা হয়। ফলে এরূপ সূচকাংক মুদ্রামূল্যের প্রকৃত পরিমাপক হতে পারে না।

প্রশ্ন ৫। সূচক সংখ্যার দুটি ব্যবহার লেখো।

উত্তরঃ (১) মূল্যস্তরের পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মান কীরূপ পরিবর্তন হয় তা জানতে সূচক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

(২) শ্রমিকের মুদ্রা মজুরি ও প্রকৃতি মজুরির অন্তর জানতে সূচক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৬। বিভিন্ন ধরনের সূচক সংখ্যা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দুই প্রকার সূচক সংখ্যা – 

(১) সরল সূচক সংখ্যা।

(২) ভারযুক্ত সূচক সংখ্যা।

প্রশ্ন ৭। সূচক সংখ্যার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সূচক সংখ্যার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-

(১) সূচক সংখ্যা সংখ্যাগতভাবে প্রকাশ করা হয়।

(২) সূচক সংখ্যা গড় আকারে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন ৮। “2009-10 সালকে ভিত্তি বছর ধরে 2011 এর জানুয়ারী মাসের WPI 124.81” – বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, সাধারণ দামস্তর ঐ সময়ে 24.81% বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশ্ন ৯। সূচক সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি দুটি কী কী?

উত্তরঃ সুচক সংখ্যা নির্ণয়ের দুটি পদ্ধতি – 

(১) সমষ্টিগত পদ্ধতি এবং 

(২) আপেক্ষিক পদ্ধতি।

প্রশ্ন ১০। বিভিন্ন ধরনের সূচক সংখ্যা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দুই প্রকার সূচক সংখ্যা – 

(১) সরল সূচক সংখ্যা।

(২) ভারযুক্ত সূচক সংখ্যা।

প্রশ্ন ১১। দামসূচক সংখ্যা ও পরিমাণগত সূচক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ দামসূচক সংখ্যা সাধারণ দামস্তরের পরিবর্তনকে সূচিত করে। এটা দাম পরিবর্তনে জীবনযাত্রার মানের ওপর যে প্রভাব পড়ে তার সঠিক পরিমাপক।

অন্যদিকে পরিমাণগত সূচক সংখ্যা উৎপাদনের পরিমাণের পরিবর্তনকে সূচিত করে। এটা সমগ্র অর্থব্যবস্থার উৎপাদনের পরিমাণের সঠিক সূচক।

প্রশ্ন ১২। দাম সূচকে দামের কোনো পরিবর্তন প্রতিফলন হয় কি না?

উত্তরঃ দাম সূচক সংখ্যা ভারহীন এবং এটা কোনো পদের আপেক্ষিক গুরুত্বকে প্রাধান্য দেয় না। তাই দামের পরিবর্তন দামসূচকের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

প্রশ্ন ১৩। কোনো ভিত্তি বছরে কোনো ব্যক্তির বাৎসরিক আয় 4000 টাকা এবং চলতি বছরে তার আয় 6000 টাকা। যদি গ্রাহক দাম সূচকাংক (CPI) 400 টাকা হয়, তবে একই জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে তার আয় কত বাড়াতে হবে?

উত্তরঃ ভিত্তি বছরের আয় 4000 টাকা। ভিত্তি বছরের দাম সূচক সংখ্যা 100। চলতি বছরের আয় 6000 টাকা, ভোক্তার চলতি বছরের দাম সূচক 400। তার আয় বাড়িয়ে 16000 টাকা করলেই একই জীবনযাত্রার মান বজায় থাকবে।

ইহা নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্রের সাহায্য-

= চলতি বছরের CPI/ভিত্তি বছরের CPI x ভিত্তি বছর

= 400/100 x 400

= 16000 টাকা

ঐ ব্যক্তির আয় = (16000 – 6000) টাকা = 10000 টাকা বৃদ্ধির প্রয়োজন, অন্ততপক্ষে একই জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে।

প্রশ্ন ১৪। ভিত্তি বছরের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

উত্তরঃ (১) ভিত্তি বছরটি এমন হতে হবে, যে বৎসরে দ্রব্যমূল্যের মধ্যে বিশেষ কোনো উত্থান নাই অর্থাৎ ভিত্তি বছর যতটা সম্ভব স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।

(২) ভিত্তি বছর কখনই খুব দূরবর্তী অতীত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ভিত্তি বছর সর্বদা সাম্প্রতিক অতীতের কোনো বছর হওয়া বাঞ্ছনীয়।

প্রশ্ন ১৫। সূচক সংখ্যার সীমাবদ্ধতা লেখো।

উত্তরঃ (১) ভারযুক্ত সূচকের ওজন আরোপের কোনো যুক্তিসঙ্গত নীতি না থাকার ফলে ওজনযুক্ত সূচক সম্পূর্ণ ভুল হতে পারে।

(২) পরিসংখ্যান সব সময় সঠিক হয় না। ভুল তথ্য আমাদের ভুল সিদ্ধান্তের দিকে লইয়া যাইতে পারে।

(৩) সময়ের দীর্ঘ ব্যবধানের ভিত্তিতে গঠিক সূচক সংখ্যার উপর নির্ভর করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ যুক্তিযুক্ত হবে না।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। সূচক সংখ্যার ব্যবহারগুলি উল্লেখ করো।

অথবা, 

সূচক সংখ্যার তাৎপর্যসমূহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সূচক সংখ্যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।

(১) দাম সূচকের সাহায্যে সর্বপ্রকার দামের পরিবর্তন এবং একই সঙ্গে মুদ্রামূল্যের পরিবর্তন হিসাব করা যায়। ইহার মাধ্যমে সরকারের মূল্যনীতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।

(২) প্রকৃত জাতীয় আয়ের সঙ্গে জীবনযাত্রার মানের সম্পর্ক আছে। আয় বৃদ্ধি হলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। প্রকৃত জাতীয় আয়ের পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য জানতে হলে সূচকের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে।

(৩) শ্রমিকের মজুরি, ভাতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় সূচক আমাদের সাহায্য করে।

(8) সরকারের রাজস্বনীতি নির্ধারণে সূচক সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার আছে। সূচক পর্যালোচনার মাধ্যমে কর হ্রাস বা কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

(৫) শিল্প সংক্রান্ত সূচকের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়নের তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২। 2015 বর্ষকে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে নিয়ে নিম্নোক্ত তথ্যটি থেকে 2016 সালের সূচকাংক গঠন করো।

সামগ্রীদাম (2015 সনে)দাম (2016 সনে)
A100 টাকা140 টাকা
B155 টাকা210 টাকা
C110 টাকা155 টাকা
D190 টাকা285 টাকা
E95 টাকা160 টাকা

উত্তরঃ 

সূচকাংক 

= P₀/P₁ x 100

= 950/650 x 100

= 146.15 টাকা

প্রশ্ন ৩। সূচক সংখ্যার সংজ্ঞা দাও। দামসূচক গঠনের উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ মনে করি, পরস্পর সম্পর্কিত কয়েকটি চলরাশির দুটি বিভিন্ন অবস্থার মানে পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের গড় মানকে যে সূচকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে সূচক সংখ্যা বলে। চলরাশিগুলি বিভিন্ন দ্রব্যের দাম হলে ওই সূচককে বলে দামসূচক। দুটি বিভিন্ন দ্রব্যের দাম হলে ওই সূচককে বলে দামসূচক। দুটি বিভিন্ন অবস্থা দুটি বিভিন্ন সময়কাল বা দুটি বিভিন্ন স্থানকে প্রকাশ করে।

মনে করি, দুটি বিভিন্ন সময়কালে কতকগুলি দ্রব্যের দাম পরিবর্তিত হচ্ছে। বিভিন্ন দ্রব্যের ক্ষেত্রে দাম বিভিন্ন পরিমাণে পরিবর্তিত হয়। কোনো দ্রব্যের দাম বাড়ে, কোনো দ্রব্যের দাম কমে। আবার কোনো দ্রব্যের দাম দ্রুত হারে বাড়ে আবার কোনো দ্রব্যের দাম কম হারে বাড়ে। ওই দ্রব্যগুলির দামের পরিবর্তনের গড়কে দামসূচক সংখ্যা বলা হয়।

বিভিন্ন উদ্দেশ্যে দামসূচককে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

প্রথমত, নির্দিষ্ট দ্রব্যগুচ্ছের দাম সমষ্টিগতভাবে কতটা পরিবর্তিত হচ্ছে তা দামসূচকের মাধ্যমে জানা যাবে।

দ্বিতীয়তঃ, দাম সূচকের সাহায্যে সাধারণ দামস্তর কতটা পরিবর্তিত হচ্ছে তা জানা যাবে।

তৃতীয়তঃ জীবনযাত্রার ব্যয় কতটা পরিবর্তিত হচ্ছে তা দামসূচক থেকে জানা যাবে।

চতুর্থতঃ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতার হার নির্ণয় করতে বা আর্থিক আয়কে বাস্তব আয়কে রূপান্তরিত করতেও দাম সূচক কাজে লাগে।

পঞ্চমতঃ অর্থের ক্রয়ক্ষমতা পরিমাপ করার জন্য ও দামসূচক ব্যবহৃত হয়। দামসূচকের অনোন্যকের সাহায্যে অর্থের ক্রয়ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়।

প্রশ্ন ৪। কীভাবে দামসূচক গঠন করা যায় তা বর্ণনা করো।

অথবা, 

সূচকাংক গঠনের পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ দামসূচক গঠন করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যাগত পদ্ধতি আছে। এই পদ্ধতিটি সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক-

দামসূচক নির্ণয় করতে হলে প্রথমেই আমাদের দুটি বছরের দাম সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে হয়। এদের একটি বছরকে বলা হয় ভিত্তি বছর (Base Year) এবং অপর বছরটিকে বলা চলতি বছর (Current Year) ভিত্তি বছরের তুলনায় চলতি বছরে দামস্তর কতটা বেড়েছে সেটাই আমরা পরিমাপ করে থাকি।

ভিত্তি বছরের দামসূচককে সব সময়েই ধরা হয়। চলতি বছরের দামসূচক থেকে ভিত্তি বছরের তুলনায় চলতি বছরে দামস্তর শতকরা কত ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে তা জানা যায়।

দামসূচক নির্ণয় করার জন্য আমাদের কতকগুলি দ্রব্য বা সেবাকার্য নির্বাচন করতে হয়। কোন্ কোন্ দ্রব্যকে দামসূচক গঠন করার জন্য গ্রহণ করব সেটি দামসূচকটি কী কাজে লাগানো হবে তার উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি দামসূচক গঠন করার উদ্দেশ্য হয় শিল্প শ্রমিকদের জীবন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা দেখা, তাহলে শিল্প শ্রমিকরা বেশি করে ভোগ করে এই রকম দ্রব্যগুলিকেই আমাদের সূচক সংখ্যা নির্ণয় করার সময় গ্রহণ করতে হবে।

এখন যে দ্রব্যগুলি দামসূচক গঠন করার জন্য নির্বাচন করা হল তাদের প্রত্যেকটির ভিত্তি বছর ও চলতি বছরের দাম সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যদি ভিত্তি বছরকে ‘O’ ও চলতি বছরকে ‘n’ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং ভিত্তি বছরের দামকে P₀ ও চলতি বছরের দামকে Pₙ দ্বারা চিহ্নিত করা যায় তাহলে Pₙ/P₀ এই অনুপাতকে বলা হয় দাম-অনুপাত বা দাম আপেক্ষিক। এক একটি দ্রব্যের ক্ষেত্রে আমরা এক একটি এরূপ দাম আপেক্ষিক পেতে পারি।

যদি সমস্ত দ্রব্যের দাম আপেক্ষিকগুলির গড় করা যায় তাহলে দামসূচক পাওয়া যাবে। এই দামসূচককে শতকরা হিসাবে প্রকাশ করার জন্য একে 100 দিয়ে গুণ করা হয়। দামসূচককে সাধারণত I₀ₙ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যখন ‘0’ হল ভিত্তি বছর ও ‘n’ হল চলতি বছর এবং I₀ₙ হল ভিত্তি বছরের সাপেক্ষে চলতি বছরের দামসূচক।

সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করলে –

প্রশ্ন ৫। জীবনধারণের ব্যয় সূচক প্রণয়নের প্রণালী ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ জীবনধারণের ব্যয় সূচক হল এমন একটি দাম সূচক সংখ্যা যার মাধ্যমে দুটি ভিন্ন সময়ে ভোগকারীর ভোগ করা দ্রব্যসামগ্রীর খুচরা দাম কতটা পরিবর্তিত হয়েছে তা জানা যায়। একে ভোগকারীর দাম সূচক (Consumer Price Index) ও বলা হয়। সময়ের সাপেক্ষে জিনিষপত্রের দাম পরিবর্তিত হয়। এখন একই পরিমাণ দ্রব্য দুটি ভিন্ন সময়ে কিনতে কতটা বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে তা ভোগকারীর দাম সূচকে মাধ্যমে জানা যায়।

জীবনধারণের ব্যয় সূচক (Cost of living Index) গঠন করে কতকগুলি পর্যায়ে তা সম্পন্ন করতে হয়।

প্রথমত, কোন শ্রেণির মানুষের জন্য এই দামসূচক গঠন করা হবে তা ঠিক করতে হবে। যেমন- শিল্প শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক বা মধ্যবিত্ত সমাজ প্রভৃতি বিভিন্ন শ্রেণির উদাহরণ।

দ্বিতীয়ত, এই শ্রেণির জনসাধারণ যেসব দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে তার একটি তালিকা তৈরী করতে হবে। এইসব দ্রব্য সামগ্রীকে সাধারণত পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা হয়। সেই পাঁচটি বিভাগ হল:

(১) খাদ্য।

(২) বস্তু।

(৩) জ্বালানি ও আলো।

(৪) আবাসিক ব্যবস্থা। এবং 

(৫) বিবিধ।

তৃতীয়ত, প্রতিটি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত দ্রব্যগুলির ভিত্তি বছরের এবং চলতি বছরের খুচরা দাম সংগ্রহ করতে হবে।

চতুর্থত, প্রতিটি বিভাগের জন্য একটি করে দামসূচক সংখ্যা গঠন করতে হবে। মনে করি, এই দামসূচকগুলি যথাক্রমে I₁, I₂, I₃, I₄ এবং I₅

পঞ্চমত, এই বিভাগীয় সূচকগুলির ভারযুক্ত গড়ই হবে ভোগকারীর দামসূচক বা জীবনযাত্রার ব্যয়সূচক। যদি I₁, I₂, I₃, I₄, I₅ এর গুরুত্ব বা ভার যথাক্রমে W₁, W₂, W₃, W₄, W₅ হয়, তাহলে CPI বা CLI

এখানে কোনো বিভাগের ভার হবে সেই বিভাগের অন্তর্ভুক্ত দ্রব্যসামগ্রীর উপর ব্যয় করা আয়ের শতাংশ।

প্রশ্ন ৬। 2013 সালকে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে ধরে নীচের তথ্য থেকে 2014 সালের জন্য সূচকাংক গঠন করো।

সামগ্রীদাম (2013 সনে)দাম (2014 সনে)
A90 টাকা130 টাকা
B145 টাকা200 টাকা
C100 টাকা145 টাকা
D180 টাকা275 টাকা
E85 টাকা150 টাকা

উত্তরঃ

প্রশ্ন ৭। 2010 সালকে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে নিয়ে নিচে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দরের আপেক্ষিকতা নির্ণয় করো।

বছর2010201120122013
মূল্য70853520

উত্তরঃ 2010 সালের দাম সূচক 70

2011 সালের আপেক্ষিক দাম = 35/70 x 100 = 121.43

2012 সালের আপেক্ষিক দাম = 85/70 x 100 = 50

2013 সালের আপেক্ষিক দাম = 20/70 x 100 = 28.57

প্রশ্ন ৮। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখোঃ

(ক) পাইকারী দর সূচকাংক।

(খ) উপভোক্তার দর সূচকাংক।

উত্তরঃ (ক) কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু সংখ্যক নির্বাচিত দ্রব্যের পাইকারী মূল্যের গড়কে যে সংখ্যার দ্বারা প্রক করা হয় তাকে পাইকারি দর সূচকাংক বলে। পাইকারী দর সূচকাংকের সাহায্যে সাধারণ দাম স্তরের পরিবর্তন নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। পাইকারী দর সূচকাংক কাঁচামালের মূল্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।

(খ) উপভোক্তার খুচরা দামের উপর ভিত্তি করে উপভোক্তার দর সূচকাংক তৈরি করা হয়। এটি এমন একটি দামসূচক সংখ্যা যার মাধ্যমে দুটি ভিন্ন সময়ে ভোগকারীর ভোগ করা দ্রব্যসামগ্রীর খুচরা দাম কতটা পরিবর্তিত হয়েছে তা জানা যায়। একে Cost of living Index Number বা সংক্ষেপে CLIN বলা হয়।

We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top