Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Board Class 5 Bengali Book Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি Question Answer. As Per New Syllabus of SEBA Class 5 Bengali Book Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি Question Answer PDF Download. Class 5 Bengali Book Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি Solutions. Which you Can Download PDF Notes Class 5 Bengali Book Question Answer PDF for using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 5 Bengali Book Question Answer Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি
Today’s We have Shared in This Post Class 5 Bengali Book Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি Suggestions with you. Class 5 Bengali Book Chapter 1 ও আমার দেশের মাটি Solutions I Hope, you Liked The information About The Class 5 Bangla Notes. If you liked Class Five Bangla Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
ও আমার দেশের মাটি
ক্রিয়াকলাপ
ক – পাঠভিত্তিক
১। কবিতাটি শুদ্ধ এবং স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ো ও আবৃত্তি করো।
উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রীরা নিজে চেষ্টা করো।
২। কবিতাটি একক এবং দলীয়ভাবে (সমবেত সংগীত হিসেবে) গাও। (শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)
উত্তরঃ শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে কবিতাটি একক বা সমবেতভাবে দাও।
উত্তর দাও:
(ক) কবি দেশের মাটিকে প্রণাম করছেন কেন?
উত্তরঃ কবি দেশের মাটিকে প্রণাম করছেন কারণ দেশের মাটিকে সমগ্র বিশ্বের মাটির অংশরূপে তিনি মনে করেছেন। এছাড়া তাঁর ধারণা বিশ্বমায়ের পরিহিত কাপড়ের এক প্রান্ত হল তাঁর, দেশের মাটি।
(খ) দেশের মাটির কোন মূর্তি কবির মনে গাঁথা রয়েছে?
উত্তরঃ দেশের মাটির শ্যামলবরণ মূর্তি কবির মনে গাঁথা রয়েছে।
(গ) দেশের মাটি আমাদের কী কী দিয়েছে?
উত্তরঃ দেশের মাটি আমাদের অন্ন, জল, বাসস্থান দিয়েছে।
(ঘ) কবি দেশের মাটিকে “মাতার মাতা” বলেছেন কেন?
উত্তরঃ জন্মদাতা মা যেমন তাঁর সন্তানের জন্য সব সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনা, জ্বালা-যন্ত্রণা সব কিছু বহন করে থাকেন তেমনই দেশের মাটি তথা বিশ্বের মাটিও মায়ের জন্মভূমি হওয়ার সব সুখ-দুঃখ, ব্যথা- বেদনা, জ্বালা-যন্ত্রণা, সবকিছু বহন করে থাকেন। তাই তিনি দেশের মাটিকে মাতার মাতা বলেছেন।
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
(ক) তোমাতে ………………., তোমাতে ……………… আঁচল পাতা॥
উত্তরঃ তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।।
(খ) তুমি যে ………………… সকল-বহা মাতার……………..॥
উত্তরঃ তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা।।
(গ) আমার ………………. গেল ………………… কাজে।
উত্তরঃ আমার জনম গেল বৃথা কাজে।
(ঘ) আমি কাটানু ……………….. মাঝে …………………..॥
উত্তরঃ আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে।
৪। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নিয়ে নীচের পংক্তিগুলোর তাৎপর্য শেখো।
(ক) তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা॥
উত্তরঃ ভারতবর্ষ পৃথিবীর ক্ষুদ্ররূপ। সব ধর্মের, সব জাতির সব বর্ণের মানুষের বাসভূমি ভারতবর্ষ, বিশ্বমাতা যেন সমস্ত বিশ্বের মানুষকে তার ছোট্ট আঁচলে বেঁধে রেখেছেন। ভারত মা কাউকে অবহেলা করেননি। অপত্য স্নেহে বিশ্ববাসীকে লালন-পালন করছেন, স্নেহ ডোরে বেঁধে রেখেছেন। কবি নিজের মাতৃভূমিতে বিশাল বিশ্বের স্বরূপ উপলব্ধি করেছেন।
(খ) ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা—
উত্তরঃ জননী আর জন্মভূমি অকাতরে দান করে, কোনো প্রতিদান প্রত্যাশা করে না, জননীর সুধা পান করে সন্তান বড়ো হয়। মা শত কষ্ট হলেও সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেন, রোগে সেবা করেন। সমস্ত আবদার অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করেন। ঠিক একই ভাবে জন্মভূমি দেশমাতা তাঁর বুকে বিচরণকারী জীবদের অকাতরে তার স্নেহসুধা বিলি করেন। দেশের মাটিতে আমাদের আহার্যরূপী শস্য উৎপাদন করি, আলো, জল, বায়ু — গ্রহণ করি। নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষার জন্য দেশমাতার বুক ক্ষতবিক্ষত করি। একতরফাভাবে অনেক অনেক জিনিস আমরা দেশমাতার বুক থেকে নিংড়ে নিই যার কোন প্রতিদান দেওয়ার কথা ভাবিও না।
(গ) তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা॥
উত্তরঃ আলোচ্য পদ্যাংশে কবির আক্ষেপ প্রকাশ পেয়েছে। কবি বলতে চেয়েছেন—আমরা কাজ করি কিন্তু সেই কাজে দেশমাতার কতটা উপকার হয় তার কথা ভাবি না। কবি দেশমাতার কাছে আক্ষেপ করে বলেছেন — তিনি সারাজীবন শুধু বৃথা কর্মব্যস্ততার নামে নিজেকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রেখেছেন, সারাজীবন দেশমাতার কাজে লাগবে না এমনি কাজ করে গেছেন। কাজ করেছেন কিন্তু দেশমাতার কাজে লাগতে পারেননি।
৫। কবিতার মূল কথাগুলো বলো ও লেখো।
উত্তরঃ কবি তাঁর দেশের মাটির প্রতি প্রণাম জানিয়ে মাটির উপরে মাথা ঠেকিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁর দেশের মাটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সমগ্র বিশ্ব এবং দেশের মাটিতেই বিশ্বমাতার বা পৃথিবী-মায়ের শাড়ির আঁচল পাতা রয়েছে। পৃথিবীর সবুজ বর্ণ ও নরম আকার তাঁর দেহ ও মনের অন্তরে চিরদিনের জন্য অটুট। দেশের মাটিকে ‘মা’ সম্বোধন করে কবি বলেছেন তাঁর কোলেই কবির জন্ম-মৃত্যু ও জীবনের সকল সুখ ও দুঃখের খেলা। যা সবই ধরণী সহ্য ও বহন করে চলেছেন। কিন্তু কবি দুঃখ প্রকাশ করে বলতে চেয়েছেন শুধুমাত্র ঘরের মধ্যেই তিনি তার জীবনের দিনগুলি কাটিয়ে চলেছেন যার ফলে তার কেটে যাওয়া দিনগুলি অনর্থক। তাই দেশের মাটি বা ধরণী-মাতার দেওয়া সব শক্তিকে তিনি অনর্থকও বলেছেন। দেশ-মাতা সকলের মুখে অন্ন তুলে দেন, শীতল জলে শরীর জুড়ায়। আমরা দেশমাতার কাছে ঋণী। তাঁর কাছ থেকে অনেক নিয়েছি কিন্তু কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারিনি আমরা। বৃথা কাজেই জীবন কেটে গেল। ঈশ্বর তাঁকে শক্তি দিলেও শক্তির সদ্ ব্যবহার করতে পারেননি।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | আমার দেশের মাটি |
অধ্যায় -২ | পাখি আর মানুষ |
অধ্যায় -৩ | দেবারতির আবেদন |
অধ্যায় -৪ | পেটুক দাসের স্বপ্ন |
অধ্যায় -৫ | মহৎ লোকের মহৎ কথা |
অধ্যায় -৬ | অরুণোদয় |
অধ্যায় -৭ | নীল পাহাড়ের দেশে |
অধ্যায় -৮ | রঙের রহস্য |
অধ্যায় -৯ | রচনা লেখার চাবিকাঠি |
অধ্যায় -১০ | তিনটি মাছের কাহিনিঠি |
অধ্যায় -১১ | অমলপ্রভা দাস |
অধ্যায় -১২ | চরণে প্ৰণাম |
অধ্যায় -১৩ | পালা গানের কথা |
অধ্যায় -১৪ | বড়ো কে? |
খ – ভাষা – অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
১। কবিতাটিতে স্বরচিহ্ন যোগ হয়ে যে শব্দটির রূপ-পরিবর্তন ঘটেছে সেটি হল—
বিশ্বময় → বিশ্বময়ী।
এভাবে স্বরচিহ্ন যোগ হয়ে রূপ-পরিবর্তন ঘটে সেরকম কয়েকটি শব্দ লেখো।
২। জেনে নাও:
মনে করো তোমার এক বন্ধুর নাম মৃণাল, কীভাবে বানান করবে বলো তো—-ম-এ-ঋ-কার ‘মৃ’, মূর্ধন্য ণ-য়ে আকার ‘ণা’, আর ‘ল’। এটিকে আমরা এভাবে লিখতে পারি। ম্ + ঋ + ণ্ + আ + ল্ + অ এখানে দেখো ‘ম’, ‘ণ’ আর ‘ল’-এর সঙ্গে ‘ঋ’, ‘আ’, ‘অ’ যুক্ত হয়েছে। শব্দকে এভাবে সাজানোকে বর্ণবিন্যাস বলা হয়। |
৩। এবার তোমার নিজের নাম আর বন্ধুদের নামের বানানগুলো ভেঙে লেখো। যেমন, ইন্দ্ৰজিৎ– ই + ন্ + দ + র্ + অ + জ্ + ই + ৎ
৪। পাঠে বিশ্বময়ী, শ্যামল, মর্ম, অন্ন, বৃথা, শক্তি, মূর্তি, আঁচল, দুঃখ, গাঁথা শব্দগুলো পেয়েছি। এগুলো ভেঙে লেখো।
উত্তরঃ বিশ্বময়ী — ব + ই + শ + ব + ম + য় + ঈ।
শ্যামল — শ + য্ + আ + ম + অ + ল + অ।
মর্ম — ম + অ + র্ + ম + অ।
অন্ন — অ + ন্ + ন + অ।
বৃথা — ব + ঋ + ঠ + আ।
শক্তি — শ + ক্ + ত + ি।
মূর্তি — ম + ঊ + র্ + ত + ি।
আঁচল — আঁ + চ + অ + ল + অ।
দুঃখ — দ + উ + ঃ + খ + অ।
গাঁথা — গঁ + আ + থ + আ।
৫। দলে আলোচনা করে সমার্থক বা প্রতিশব্দ লেখো।
উদাহরণ — দিন-দিবা, দিবস, দিনমান।
দেহ ……………………।
উত্তরঃ দেহ — শরীর, কায়া, অবয়ব।
ঘর ……………………।
উত্তরঃ ঘর —গৃহ, আবাস, বাটি, সদন।
মা …………………….।
উত্তরঃ মা — জননী, মাতা, জন্মদাত্রী, প্রসৃতি।
অন্ন ……………………।
উত্তরঃ অন্ন — খাবার, ভাত।
জল ……………………।
উত্তরঃ জল — বারি, পানি, সলিল, নীর।
৬। নীচের শব্দগুলোর বিপরীত অর্থের শব্দ কবিতাটিতে আছে। তোমরা খুঁজে বের করো ও লেখো।
যেমন – বিদেশ – দেশ
কঠিন ………………..।
উত্তৰঃ কঠিন — নরম।
উষ্ণ ……………………।
উত্তৰঃ উষ্ণ — শীতল।
মরণ …………………….।
উত্তৰঃ মরণ — জন্ম।
বাইরে ……………………।
উত্তৰঃ বাইরে — ভিতরে।
সুখ ………………………।
উত্তৰঃ সুখ — দুঃখ।
পিঠ …………………….।
উত্তরঃ পিঠ — ঋবুক।
৭। নীচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
আঁচল ………………………….।
উত্তরঃ আঁচল — সর্বত্র দেশমায়ের আঁচল বিছানো রয়েছে।
বিশ্বময়ী …………………….।
উত্তরঃ বিশ্বময়ী — বিশ্বের যিনি মাতা তিনিই বিশ্বময়ী।
কোমল …………………..।
উত্তরঃ কোমল — আমার মা কোমল হৃদয়ের অধিকারিণী।
অন্ন ……………………।
উত্তরঃ অন্ন — কৃষকেরা আমাদের অন্ন জোগান দেয়।
শক্তি ………………….।
উত্তরঃ শক্তি — ঈশ্বর যেন আমায় সব কিছু সহ্য করার শক্তি দেন।
৮। নীচের অংশ দুটোকে দাগ টেনে মেলাও:
যিনি সকলের মাতা | শ্যামলবরণ |
যিনি সব সহ্য করেন | শক্তিদাতা |
যার রং সবুজ | বিশ্বমাতা |
যিনি শক্তি দেন | সর্বংসহা |
উত্তরঃ
যিনি সকলের মাতা | বিশ্বমাতা |
যিনি সব সহ্য করেন | সর্বংসহা |
যার রং সবুজ | শ্যামলবরণ |
যিনি শক্তি দেন | শক্তিদাতা |
গ — জ্ঞান-সম্প্রসারণ
৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো আরও অনেকে দেশভক্তিমূলক কবিতা/গান রচনা করেছিলেন। এরকম একজন কবি হলেন ‘মুহম্মদ ইকবাল’। তাঁর রচিত একটি দেশভক্তিমূলক কবিতা নীচে দেওয়া হল—
সারে জাহাঁ সে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হমারা।
হম বুলবুলে হ্যায় ইসকি ইয়ে গুলিস্তাঁ হমারা।
পর্বত ও সবসে উঁচা, হম সায়া আসমা কা,
ও সন্ত্রী হমারা ও পাসয়াঁ হমারা।
গোদি মে খেলতি হ্যায় জিসকি হজারো নদিয়াঁ,
গুলশন হ্যায় জিসকে দম সে, রশকে জিনা হমারা৷
হিন্দি হ্যায় হম, হিন্দি হ্যায় হম, হিন্দি হ্যায় হম,
বতন হ্যায় হিন্দুস্তাঁ হমারা।।
১০। কবিতাটি শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী শ্রেণিতে সমবেতভাবে গাইতে শেখাবেন এবং গানের অর্থ শ্রেণিতে বুঝিয়ে দেবেন।
১১। ওপরের কবিতাটির অর্থ বুঝে নিয়ে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বিশাল এই দেশ ভারতবর্ষ। সীমাহীন তার বৈচিত্র্য। বৈচিত্র্য তার প্রাকৃতিক পরিবেশে। বৈচিত্র্য মানুষের ভাষায়, আচার-ব্যবহারে, ধর্মে, সম্প্রদায়ে, বিশ্বাসে, ধ্যান-ধারণায়, শিক্ষায়। তাই সমস্ত দেশের থেকে শ্রেষ্ঠ দেশ হল আমাদের হিন্দুস্তান অর্থাৎ আমাদের জন্মভূমি ভারতবর্ষ। আমরা এই দেশের সন্তান। ভারতবর্ষের পর্বতগুলি সবদেশের চেয়ে উঁচু, প্রায় গগন স্পর্শ করে আছে। ভারতবর্ষের সীমানায় অবস্থিত পর্বতগুলি যেন দেশপ্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। ভারত মায়ের কোলে অসংখ্য নদনদী যেন খেলে বেড়ায়। স্বাধীন ভারতবর্ষের নাগরিক আমরা। এই কবিতাটি জাতিকে দেশপ্রেমের প্রেরণা দিয়েছিল। উদ্বুদ্ধ করেছিল নতুন প্রাণ চেতনায়।
(ক) ‘হিন্দুস্তাঁ’ মানে কোন দেশ?
উত্তরঃ ‘হিন্দুস্তাঁ’ মানে ভারতবর্ষকে বুঝিয়েছে।
(খ) সেই দেশের পর্বতগুলো কেমন?
উত্তরঃ সেই দেশের পর্বতগুলি সব দেশের চেয়ে উঁচু, সীমানায় প্রহরীর মতো থেকে নানান বিপদ থেকে দেশমাতাকে রক্ষা করে।
(গ) সেখানে নদীগুলো কোথায় খেলে বেড়ায়?
উত্তরঃ ভারত মাতার কোলে নদীগুলি খেলে বেড়ায়।
(ঘ) এখানে ‘বুলবুল’ বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে?
উত্তরঃ এখানে ‘বুলবুল’ বলতে ভারতবাসী অর্থাৎ ভারতমাতার আদরের সন্তানদের বোঝানো হচ্ছে।
১২। কবি, গীতিকার ও সুরকার ড. ভূপেন হাজারিকা ‘অসম আমার রূপহী’ কবিতায় একইভাবে আমাদের অসম মাতার গুণগান করে গেছেন। নীচের কবিতাটি দেওয়া হল—
গানের অর্থঃ অসম মাতার রূপের শেষ নেই, গুণেরও শেষ নেই। ভারতবর্ষের পূর্বদিকে সূর্য ওঠা দেশ।
সারা জীবন, কত দিনরাত কাটিয়ে ফেললাম।
অসম দেশের পাশে নেপাল, এখানের মাটি খুবই উর্বর।
অসম মাতা তোমার সবুজ পরিবেশকে চির বন্দনা করি। এই দেশকে ভারতবর্ষের পূর্ব দিকে ‘সূর্য ওঠা দেশ বলা হয়। বৈশাখে বহাগ বিহু উৎসব আর মাঘ মাসে সোনার মতো ধানে চারদিক ভরে ওঠে।
শরৎ ঋতু সাজিয়ে দেয় অসম মায়ের বেশ। ভারতবর্ষের পূর্ব দিকে সূর্য ওঠা দেশ। পাহাড়গুলির উপর রামধনু দেখা যায়। তোমার ভাষার মাধ্যমে মানবের সাথে মিলন সেতু গড়া যায়। আমার জন্ম যেন এখানেই হয় মৃত্যুও যেন এখানেই হয়। কোথায় পাব মায়ের এমন রূপের সমাবেশ। ভারতবর্ষের পূর্ব দিকে সূর্য ওঠা দেশ।
১৩। কবিতাটির অর্থ বুঝে নিয়ে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(ক) এখানে ‘সূর্য ওঠা দেশ’ বলতে কোন রাজ্যকে বোঝানো হচ্ছে?
উত্তরঃ এখানে ‘সূর্য ওঠা দেশ’ বলতে আসাম রাজ্যকে বোঝানো হচ্ছে।
(খ) কবি এখানে ‘আই’ বলে কাকে সম্বোধন করেছেন?
উত্তরঃ কবি এখানে ‘আই’ বলে স্বভূমি আসাম রাজ্যকে সম্বোধন করেছেন।
১৪। নীচের বিষয়টির ওপর আলোচনা চক্রের আয়োজন করে নিজের মতামত ব্যক্ত করো।
‘শ্যামলবরন কোমল মূর্তি’ অর্থাৎ প্রকৃতির সবুজ পরিবেশ- কীভাবে এই সবুজ পরিবেশ রক্ষা করা যায়? আলোচনা চক্র উপস্থাপন করতে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন।
উত্তরঃ মানুষের জীবনে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। পৃথিবীতে প্রথম প্রাণকণা অ্যামিবার জন্ম হয়েছিল গাছের পাতা পচে। সেখান থেকে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। ভূ-প্রকৃতির বিশাল অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বনভূমি মানুষকে লালন-পালন করে চলেছে। নীলকণ্ঠ শিবের মতো বায়ুমণ্ডলের দূষিত বায়ু শরীরে ধারণ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় বিশুদ্ধ বায়ু। বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে মাটিতে চারিয়ে দিয়ে নাইট্রোজেন চক্র সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে বৃক্ষরাজির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভূমি সংরক্ষণ করে গাছপালা মানুষকে সরবরাহ করে নানা ধরণের ফুল, ফল, লতা, পাতা, শ্রান্ত পথিককে আশ্রয় দিয়ে পাখির বাসা বাঁধার জায়গাও করে দেয় বনস্পতি। তাই নিঃসন্দেহে বনসৃজন আমাদের সভ্যতার খাতিরে অত্যন্ত জরুরী।
প্রগতির নাম করে নির্মমভাবে বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ অরণ্য অঞ্চল নির্মূল করে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা রাস্তা, গগনভেদী অট্টালিকা। এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে মানুষের উপর। এই কারণে মানুষ জীবনের তাগিদে বনভূমি সৃজনে মনোনিবেশ করেছে। আমাদের দেশের যেখানে শতকরা ৩৩ ভাগ এলাকায় গড়ে বনভূমি থাকা প্রয়োজন সেখানে মাত্র শতকরা ২২ ভাগ অঞ্চলে অরণ্য আছে। এই সমস্যা দূর করার জন্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার গ্রহণ করেছে বনসৃজনের কর্মসূচী। ৫৩ বছরের বেশি সময় ধরে এই উৎসব প্রতিবছর পালিত হয়। বায়ুমণ্ডল প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। মোটরগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, কলকারখানার চিমনি থেকে উৎক্ষিপ্ত ধোঁয়া প্রতিদিন দূষিত করছে আমাদের নিঃশ্বাস বায়ুকে। বৃক্ষরাজি বায়ুমণ্ডলের দূয়িত বায়ু গ্রহণ করে বাতাসে ছেড়ে দিচ্ছে পরিশুদ্ধ অক্সিজেন। এই অক্সিজেন গ্রহণ করে মানুষ বেঁচে থাকছে। কিন্তু যথেচ্ছ বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানবজীবনে পরিলক্ষিত হচ্ছে নানান সমস্যা। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, চর্মরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ক্যান্সার প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আজকের মানব সভ্যতা এক ঘোরতর সংকটের সম্মুখীন, শুধু তাই নয় বনভূমির অভাবে কমে যাচ্ছে বৃষ্টিপাত। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। প্রসারিত হচ্ছে মরুভূমির ভৌগোলিক সীমারেখা। এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বনভূমি সৃজন এবং সংরক্ষণ।
প্রাণের তাগিদেই মানুষ বনভূমি সৃজন শুরু করে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ বুঝতে পেরেছে গাছ তাদের পরম বন্ধু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ বনভূমির সৃষ্টির জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারিকা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ গাছ লাগাতে তৎপর হয়েছে। আমাদের রাজ্যেও দেখা গেছে অভূতপূর্ব সাড়া। সরকারি ব্যয়ে বড়ো বড়ো সড়কের দুপাশে লাগানো হয়েছে নানা জাতের গাছ। বিদ্যালয় এবং কলেজের প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা রোপণ করেছে অসংখ্য গাছ। বছরে একবার পালিত হচ্ছে বনমহোৎসব। এদিন সারা রাজ্য জুড়ে চলে বনভূমি সৃজনের কাজ।
বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। নীলকণ্ঠের মতো নিজের কণ্ঠে সমস্ত বিষ ধারণ করে গাছগাছালি পৃথিবীকে সুস্থ রাখে। পৃথিবী শিশুর বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষ বৃক্ষরোপণে আত্মনিয়োগ করেছে। তাই এই সামাজিক আন্দোলন একদিন ভারতবর্ষটাকে সবুজে সবুজে ভরিয়ে দেবে। মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করবে।
ঘ — প্রকল্প
১। দুটি দেশপ্রেমমূলক কবিতা সংগ্রহ করে শ্রেণিতে শোনাও।
যেমন — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর — অপমানিত।
কাজী নজরুল ইসলাম — কাণ্ডারী হুশিয়ার।
উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা শ্রেণিতে চেষ্টা করো।
২। অসমের বিভিন্ন জাতি-উপজাতির মধ্যে প্রচলিত লোকনৃত্যের ছবি সংগ্রহ করে অ্যালবাম প্রস্তুত করো, এবং ছবিগুলোর নীচে সেই উপজাতি, নৃত্য এবং সেই নৃত্য কোন উৎসবের সঙ্গে জড়িত সেগুলো লিখে রাখো।
উত্তরঃ শ্রেণিতে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা চেষ্টা করো।
Read Also: Class 4 Bengali Question Answer – 2023 | চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
We Hope the given Class 5 Bengali Book Question Answer will help you. If you Have any Regarding SEBA Board ক্লাস 5 এর বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.