SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium নবম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 3 কারবিগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

বৈচিত্রপূর্ণ আসাম

[ কারবিগণ ]

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর-

১। কারবিদের অসমের কলম্বাস বলে কে উল্লেখ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা আমেরিকার আবিষ্কারক কলম্বাসের সঙ্গে তুলনা করে কারবিদের অসমের কলম্বাস বলে উল্লেখ করেছিলেন।

২। কারবিদের পরম্পরাগত সাজ-পােশাক সম্পর্কে কী জান লেখাে।

উত্তরঃ কারবি পুরুষ ও নারীর পােশাক পৃথক। পুরুষেরা হাঁটু পর্যন্ত পে সেলেং, চই হাংথর, চই ইক, চই লক (কারবি জ্যাকেট) পহ’ ইত্যাদি পােশাক পরিধান করে। পহ’ হল কার্বি মাফলার। এটি ৩-৪ ইঞ্চি চওড়া ও প্রায় ৫-৬ ফুট লম্বা। এর দুই মাথায় বিভিন্ন রঙের ফুলের কারুকার্য করা থাকে। সেপান আবু যেটি ৩ ইঞ্চি চওড়া ও ৬ ফুট লম্বা পােশাক। দুই মাথা কড়ি সম্বলিত এক বিশেষ মসৃণ কালাে কাপড় যা কারবি কিশাের-যুবকেরা ব্যবহার করে। মহিলাদের সাজপােশাক হল পিনি, পেকক ও বানকক। এছাড়াও পে সেলেং, পে খনজারি, পে সারপি ইত্যাদি পােশাক মহিলারা পরিধান করে।

৩। কারবিদের উৎসব পার্বণ সম্পর্কে যা জান লেখাে।

উত্তরঃ কারবিদের প্রধান উৎসব-পার্বণগুলি হল পেং, হেমফু, রংকের, জুন ইত্যাদি। পেং হেমফু হল ঘরােয়া উৎসব। এই উৎসবে সাধারণত তিনটি পূজা হয়। রিৎ আংলং, বুইচম ও পেং। এই তিনটি পূজা বছরের শুরুতে করা হয় যাতে পুরাে বছর কোনাে অমঙ্গল না হয়।

সজুনে উৎসব – এই উৎসব হল পারিবারিক উৎসব। প্রতি বছর এটি পালন করা হয় না। ৪, ৫ বা ৯ বছরের মাথায় এই উৎসব পালন করা হয়।

রংকের উৎসব – একে গ্রাম্য উৎসব বলা হয়। বছরের শুরুতে এই উৎসব উদ্যাপন করা হয়। পূজার মূল বেদীতে পাখি, ছাগল, ডিম ইত্যাদি উৎসর্গ করে আরাধ্য দেবতার সন্তুষ্টির জন্য পূজা করা হয়।

৪। কারবিদের মূল গােত্র বা সম্প্রদায় কয়টা ও কী কী ?

উত্তরঃ কারবি জনজাতির পাঁচটি গােত্র (ফৈদ) রয়েছে। এগুলাে হল- টিমুং, টেরন, তেরাং, ইংহি, ইংতি। এছাড়াও প্রতি গােত্রের একাধিক উপগােত্র রয়েছে।

৫। কারবি সমাজে নারীরা পরিধান করেন এমন সাজ-পােশাক এবং অলংকারের নাম লেখাে।

উত্তরঃ কারবি সমাজে নারীরা পরিধান করেন এমন সাজ-পােশাক হল- পিনি, পেকক, ও বানকক, সঙ্গে পে সেলেং, পে খনজারি, পেসারপি ইত্যাদি। নারীরা পরিধান করেন এমন অলংকারগুলি হল- লেকহিকি, নথেংপি, নােলাপ, নােজাংসাই লেক রূয়ে, লেক পাংখারা, লং অয়াে, রই পাংখারা, রই পা ইত্যাদি।

৬। সংক্ষেপে টীকা লেখাে-

S.L. No.Group – A সূচীপত্র
পাঠ – ১গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
পাঠ – ২খাই খাই
পাঠ – ৩ধূলামন্দির
পাঠ – ৪কবর
পাঠ – ৫মনসামঙ্গল
পাঠ – ৬প্রত্যুপকার
পাঠ – ৭ছুটি
পাঠ – ৮ডাইনী
পাঠ – ৯পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম
পাঠ – ১০অ্যান্টিবায়ােটিক ও পেনিসিলিনের কথা
পাঠ – ১১লড়াই
পাঠ – ১২আমরা
পাঠ – ১৩আগামী
পাঠ – ১৪আত্মকথা
পাঠ – ১৫ভারতবর্ষ
পাঠ – ১৬ব্যাকরণ
পাঠ – ১৭রচনা
S.L. No.Group – B বৈচিত্রপূর্ণ আসাম
পাঠ – ১আহােমগণ
পাঠ – ২কাছাড়ের জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৩কারবিগণ
পাঠ – ৪কোচ রাজবংশীগণ
পাঠ – ৫গড়িয়া, মরিয়া ও দেশীগণ
পাঠ – ৬গারােগণ
পাঠ – ৭সাঁওতালগণ
পাঠ – ৮চা জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৯চুটিয়াগণ
পাঠ – ১০ঠেঙাল কছারিগণ
পাঠ – ১১ডিমাসাগণ

(ক) সেমসনসিং ইংতি

(খ) লংকাম তেরন

(গ) সামসিং হাঞ্চে

(ঘ) বংলং তেরাং

উত্তরঃ (ক) সেমসন সিংইংতি – সেমসন সিং ইংতি হচ্ছেন কারবি আংলঙের স্বপ্নস্রষ্টা ও রূপকার। ১৯১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম কারবি আংলঙের টিকা পাহাড়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম থেংকুরসিং ইংতি ও মাতার নাম রুথ মাধবী। ১৯১৬ সালে গােলাঘাট মিশন স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯২৮ সালে গােলাঘাট বেজবরুয়া হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেছিলেন। এরপর গুয়াহাটি কটন কলেজে অধ্যয়ন করেন। কিন্তু সেসময় স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যে তার অধ্যয়ন অসমাপ্ত থেকে যায়। পরে ১৯৩৩ সালে সিলেটের মুরারি চান্দ কলেজ থেকে খ্যাতির সঙ্গে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কার্বি জাতির প্রথম স্নাতক রূপে যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। এরপর গােলাঘাট বেজবরুয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৩৩ সালে মিকির হিল্স ট্রেক গঠন হওয়ার পর ইংরাজ সরকার তাকে ডেকে নিয়ে ১৯৩৪ সালে নগাঁও জেলার শিক্ষা বিভাগের উচ্চ-পরিদর্শক রূপে নিযুক্ত করেন। তিনি নিজে কয়েকটি কাবি ভাষার পাঠ্যপুস্তক রচনা করে অসমিয়া মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলােতে অতিরিক্ত পাঠ্যপুস্তকরূপে অধ্যয়ন করিয়েছিলেন। তাঁর রচিত পাঠ্যপুস্তকগুলাে হল- বিতুস আকিতাপ, কালাখা আকিতাপ, তেমপুরু ও মপি ইত্যাদি।

(খ) লংকাম তেরন – লংকাম তেরনের জন্ম ১৯৩২ সালে। তিনি একজন সুসাহিত্যিক ছিলেন। তার পিতার নাম দিপ্প তেরন ও মাতার নাম কাচাই হাঞ্চেপি। ১৯৫৭ সালে কাচে রংহাংপির সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৯৬৪ সালে মিকির পাহাড় জিলা পরিষদের Public Relation Officer পদে তাকে নিযুক্ত করা হয়। তিনি কাৰ্বি আদরবার-এর সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদও অলংকৃত করেছিলেন। তিনি কার্বি সাহিত্যসভায় প্রতিষ্ঠাপক সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৮৬ সালে কামপুর অধিবেশনে অসম সাহিত্যসভার উপ-সভাপতি পদেও কার্য সম্পাদন করেছিলেন। তিনি সর্বমােট ৪১টি গ্রন্থ রচনা, সংকলন ও অনুবাদ করেছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলাে হল- রংকেসেং, টামাহিদি, কিতাপকিমি, কারবি লামকুরু, কারবি জনগােষ্ঠী, কাৰ্বি লামকুরু- লামসেং, কারবি ভাষা পরিচয়, কারবি লামতাসাম ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।

(গ) সামসিং হাঞ্চে – সামসিং হাঞ্চে একজন কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক, সিনেমা প্রযােজক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যপ্রেমী ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ নগাঁও জেলার সরুবাট মৌজার অন্তর্গত পণ্ডিতঘাট বা আহিকেলক গ্রামে তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম জয়সিংহ হাঞ্চে ও মাতার নাম কাএৎ টেরনপি। বাল্যকালে পুরানাে স্থান ত্যাগ করে সপরিবারে হংক্রাম নামক স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। হংক্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন আরম্ভ হয়। পরে টিকা মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয় এবং কামপুর মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। আরও পরে ডিফু সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরে সেনাবাহিনীর চাকরিতে যােগদান করেন। এর তিনবছর পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে বৈঠালাংস উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয় থেকে হাইস্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৩ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

ভাষা সাহিত্যের বিকাশ এবং উন্নতির জন্য তিনি কারবি এবং অসমীয়া ভাষায় কয়েকটি পুস্তক লিখেছিলেন। সেগুলাের নাম হল- তাই হাইমু, কারবি প্রণয়গীত, ছাবিম- আলুন (কারবি রামায়ণ), কুমলিন, রােমির এমুঠি কারবি কবিতা (অনুবাদ) ও সের হজেং নামক কাব্যগ্রন্থ উল্লেখযােগ্য। ১৯৮৩-৮৪ কারবি সাহিত্যসভার সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৮৪-৮৫ সালে সভাপতি হয়েছিলেন।

১৯৮৫ সালে বিধানসভার নির্বাচনে তিনি ডিফু সমষ্টি থেকে নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রীসভায় মন্ত্রিত্ব লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। কারবি ভাষা-সাহিত্যের সাধক এবং পথপ্রদর্শক রূপে তার নাম অসমবাসীর কাছে অমর হয়ে থাকবে।

(ঘ) বংলং তেরাং – ১৯০৯ সালের ১০ অক্টোবর কবি সাহিত্যের পুরােধা বংলং তেরাং-এর জন্ম হয়। তিনি কাৰ্বি সাহিত্যের এক বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনিই কাৰ্বিসাহিত্যের প্রথম লিখিত রূপ প্রদান করেছিলেন। তার পিতার নাম সার তেরাং এবং মাতার নাম কারেং তিছােপি। তিনি ১৩ বছর বয়স থেকে সাহিত্য রচনা করেন। তার লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ হল- Word Book আসাম আছার (বিবাহের নিয়ম), রূকাসেন, হাইমু, সের হংথম, কারবিকপুসন, কাবি চ রংজে,আরণ আতেং, রংলিন, সার আলুন, সার-লামছাম ইত্যাদি।

১৯৭৩ সালে কারবি সাহিত্যসভার তরফ থেকে তাকে কাবি সাহিত্যের পুরােধা ব্যক্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। অসম সরকারও তাকে সাহিত্যিক পেনশন প্রদান করে। ২০০১ সালের ১৭ জুলাই তিনি পরলােক গমন করেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top