Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ Question Answer is made for Assam Seba Board students. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter Chapter 10 চুটিয়াগণ
Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Suggestion, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Question Answer, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Notes, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Solution, Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ Question Answer absolutely free of cost. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 চুটিয়াগণ | মাধ্যমিক বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম সাজেশন, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম বই, বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম বোর্ড বই, বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম প্রশ্ন pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, দশম শ্রেণির বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
চুটিয়াগণ
পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ
প্রশ্ন ১। চুটিয়াদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
উত্তরঃ হিমালয়ের উত্তরে মানস সরোবরের পূর্বে অবস্থিত স্বাত সরোবরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে চুটিয়াদের আদি বাসস্থান ছিল। সেখান থেকে তারা সোঅনসিরি নদীর পাড়ে পাড়ে পশ্চিমদিকে বর্তমান লখিমপুর অঞ্চলে উপনীত হয়।
প্রশ্ন ২। চুটিয়া শব্দের উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে হয়েছিল?
উত্তরঃ স্বাতিয়া শব্দ থেকে চুটিয়া শব্দের উৎপত্তি হয়েছিল।
প্রশ্ন ৩। চুটিয়াদের একজন বীরাঙ্গনার নাম লেখো।
উত্তরঃ চুটিয়াদের বীরাঙ্গনার নাম সতী সাধিনী।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
প্রশ্ন ৪। নিম্নলিখিত যে কোনো একজন মানুষের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
(ক) সোনারাম চুটিয়া।
(খ) ড. স্বর্ণলতা বরুয়া।
(গ) চিদানন্দ শইকিয়া।
(ঘ) কোষেশ্বর বরুয়া।
উত্তরঃ (ক) সোনারাম চুটিয়া – বর্তমান যোরহাট জেলার কাকজান অঞ্চলের বাম কুকুরাচোয়া গ্রামে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে সোনারাম চুটিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৫ সালে পাঁচটি বিষয়ে লেটার নম্বরসহ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কটন কলেজ থেকে সুখ্যাতি সহ বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক হয়েছিলেন। তিনি সংস্কারকামী মনোভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে শ্রীমন্ত শংকরদেব সংঘে যোগদান করেন এবং নয়টি কার্যকাল পদাধিকারী হিসাবে কার্য সম্পাদন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল—অসমের বৈষ্ণব দর্শনের রূপরেখা, নামধর্ম প্রকাশ, মহাপুরুষ শ্রীহরিদেব চরিত, ভাগবত মাহাত্ম্য, মহাপুরুষীয়া ধর্ম জিজ্ঞাসা, বেদ ও মহাপুরুষীয়া ধর্ম ইত্যাদি। শ্রীমন্ত শংকরদেব সংঘ ‘শ্রীমন্ত শংকরদেব মাধবদেব পুরস্কার’ এবং ‘বৈষ্ণব পণ্ডিত’ উপাধি প্রদান করে জীবনজোড়া অবদানের প্রতি যথাযোগ্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
(খ) ড. স্বর্ণলতা বরুয়া – ড. স্বর্ণলতা বরুয়াউত্তর পূর্বাঞ্চলের একমাত্র মহিলা বুরঞ্জীবিদ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। চুটিয়া জাতীর বুরঞ্জী’র মুখ্য সম্পাদিকা A comprehensive History of Assam, Last Day of Ahom Monarchy : A History of Assam From 1769-1826 প্রভৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, এঁর Status of Women in Non-Tribal Societies of Assam নামক গবেষণাপত্রটি বিশেষ সমাদর লাভ করেছিল।
(গ) চিদানন্দ শইকিয়া – বর্তমান গোলাগাট জেলার দ গাঁও-এ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে চিদানন্দ শইকিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজীবন শিক্ষাব্রতী, স্বাধীনতা সংগ্রামী সাম্যবাদী দর্শনের সমর্থক ছিলেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল – ‘সোভিয়েত নারী, ‘সীমান্ত গান্ধী’, ‘মহর্ষি কার্লমার্ক্স’, ‘আগুনে পোড়া সোনা’, ‘শংকর বরুয়া’, ‘খেরিয়া’ ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলেন। তিনি সোভিয়েত দেশ নেহরু পুরস্কার, সাহিত্যিক পেনশন এবং শিক্ষক পুরস্কার লাভ করেছিলেন। অসমের সাংবাদিকতার জগতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
(ঘ) কোষেশ্বর বরুয়া – লখিমপুর জেলার ঢলপুর মৌজার বরথেকেরাবাড়ি গ্রামে কোষেশ্বর বরুয়া জন্মগ্রহণ করেন। অসম সরকারের সাহিত্যিক পেনসন প্রাপক মানুষটি বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ প্রণয়ন করে অসমিয়া সাহিত্য জগৎকে আলোকিত করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থরাজি হল— কলেজর দুবরি বন, অনুভব, লগন, আগন্তুক, প্রজন্মর উমানত ইত্যাদি কবিতা সংকলন। ধন্য জন্ম ভারতবরিষে, জননেতা ভীমবর দেউরি, ঐতিহাসিক বিবর্তনে অসমের চুটিয়া জনগোষ্ঠী, চুটিয়া রাজা রত্নধ্বজ পাল ইত্যাদি প্রধান। তাছাড়াও তিনি দু’খানা গানের সংকলন করেছিলেন। তিনি ড. আম্বেদকর ফেলোশিপ এবং অসম সরকারের প্রদান করা সতী সাধিনী পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
(খ) যোগেশ দাস – ১৯২৭ সালে ডুমডুমার হাঁসচরা চা-বাগানে প্রাতঃস্মরণীয় যোগেশ দাস জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। ১৯৫৪ সালে সুখ্যাতির সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কটন কলেজ থেকে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই গল্প রচনা করে গল্পকারের পরিচয় দিয়েছিলেন।
জ্ঞানের সাধনা তাঁর জীবনের লক্ষ্য ছিল। শিক্ষকতা, সাহিত্য-সাধনা, জ্ঞানের প্রচার এবং প্রসারকে তিনি জীবনের ব্রতরূপে গ্রহণ করেছিলেন। সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হয়ে তিনি অতি নিষ্ঠার সঙ্গে দেশসেবা, জনসেবা এবং সমাজসেবায় ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি “অসম সাহিত্য সভা” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। “নতুন অসমীয়া” পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং “দৈনিক অসম” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
তিনি একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ হল- ‘পপিয়াতরা’, ‘ডাওরর আঁরে আঁরে’, ‘জোনাকির জুই’, ‘উৎকণ্ট’ ইত্যাদি।
প্রখ্যাত গদ্যশিল্পী যোগেশ দাস জীবনে অনেক পুরস্কার লাভ করেছিলেন। আকৌ বনে বনে’ গ্রন্থের জন্য ‘মোক্ষদানন্দ পাঠক শিশু সাহিত্য’ পুরস্কার, ‘এনাজরি’ গ্রন্থের জন্য সতীনাথ ব্রহ্মচৌধুরী পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ‘অসম উপত্যকা’ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
(গ) পরশুরাম সোনোয়াল – পরশুরাম সোনোয়াল নগখুলি চা বাগানে ১৯০৪ সালে ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল পঞ্চানন সোনোয়াল এবং মায়ের নাম ছিল চিল গুটিমালা সোনোয়াল। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি নিম্ন বুনিয়াদী পাঠশালা থেকে আরম্ভ করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর এল. এল. বি.-তে প্রথম শ্রেণির দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন।
খেলাধূলা, সংগীত সাধনা, প্রবন্ধ ও গল্প ইত্যাদির পাশাপাশি সুকুমার কলাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। যে সময়তে টেনিস, ফুটবল, হকি খেলার সঙ্গে অসমের মানুষের বিশেষ পরিচয় ছিল না তখন পরশুরাম সোনোয়াল নিজ পারদর্শিতায় প্রেসিডেন্সি কলেজের ফুটবল, হকি, টেনিস খেলায় বিশেষ স্থান অধিকার করেছিলেন।
১৯৩৪ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। উকিল সন্থায় নাম পঞ্জিকরণ করা এম. এ., এল. এল.বি. প্রথম অসমিয়া ব্যক্তি ছিলেন পরশুরাম সোনোয়াল। তিনি সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ডিব্ৰুগড় শহরে নাগরিকগণ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন সোনোয়াল তার প্রতি উৎসাহ জানিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে সেখানে পাঠদানের প্রস্তাব জানান। এক বছর কলেজের ইতিহাস বিভাগের পরিচালনা করেছিলেন।
সোনোয়াল একাধারে ডিব্রুগড় লোকাল বোর্ডের সদস্য, অসম মেডিকেল স্কুল বোর্ডের সদস্য, জেলা ট্রাইবেল লীগের সভাপতিরূপে কার্যনির্বাহ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর অসমের অনুন্নত জাতি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক, শৈক্ষিক, অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর তৈরি করা “সারা অসম ট্রাইবেল লীগ”-এর জন্য তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
১৯৬০ সালে ১ অক্টোবর তিনি ইহলীলা সম্বরণ করেন।
(ঘ) যোগেন্দ্রনাথ হাজারিকা – যোগেন্দ্রনাথ হাজারিকা অসমের পুরনিখণ্ডিয়া গ্রামে ১৯২৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন গোলাপচন্দ্র হাজারিকা এবং মাতার নাম ছিল মনজিৎ হাজারিকা। তিনি ছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আদর্শ সমাজবাদী, সু-সংগঠক, সু-লেখক, বুদ্ধিজীবি, আইনবিদ এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন।
বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আর্থিক অনটন থাকায় তিনি চানা-বাদাম বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতেন। দু’জন দয়ালু ব্যক্তির আর্থিক সাহায্যে তিনি মাধ্যমিক, স্নাতক এবং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৫২ সালে আইন ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তিনি সোনোয়াল জনগোষ্ঠীর এম. এ. পাশ করা দ্বিতীয় এবং বি. এল. ডিগ্রীধারী তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৫২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে ডিব্রুগড় লোকসভা সমষ্টির থেকে জয়লাভ করে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আশির দশকে অসমে বিধানসভায় প্রবেশ করে বিধানসভার নির্বাচনে তিনি দুলিয়াজান সমষ্টি থেকে জনতা দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অসম বিধানসভায় নির্বাচিত হন। তিনি গুয়াহাটি হাইকোর্টে ওকালতি করেছিলেন, তিনি ছিলেন সোনোয়াল কছারি গোষ্ঠীর একমাত্র অ্যাডভোকেট।
প্রশ্ন ৫। ঠেঙাল কছারিরা পৌরাণিক কোন গোষ্ঠী থেকে এসেছে?
উত্তরঃ ঠেঙাল কছারিরা মঙ্গোলীয় প্রজাতির বোড়ো গোষ্ঠীর পূর্ব শাখা থেকে এসেছে।
প্রশ্ন ৬। ঠেঙাল কছারিদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে অনুমান করা যায় যে অসমের উজানি অঞ্চলের শদিয়ার থেকে দৈয়াং ধনশিরি উপত্যকা এবং নগাঁও পর্যন্ত ঠেঙাল কছারির বংশসমূহের অবস্থান ছিল। ঐতিহাসিক পাকচক্র এবং অর্থনৈতিক কারণগত তাঁরা অসমের বিভিন্ন প্রান্তের ব্রহ্মপুত্রের উত্তর এবং দক্ষিণ পারে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান যোরহাট জেলা থেকে নাগাপাহাড় পর্যন্ত তিতাবরকে কেন্দ্র করে ঠেঙাল কছারিগণ বসতি স্থাপন করেছে। গোলাঘাট জেলার ধনসিরি নদীর পারের ঠেঙাল গ্রাম পঙ্কা, মরঙি, বুঢ়াগোহাই ঘাট, সরপথার, বরপথার, সাউদাংপথার, গমারি, কার্বি আংলং জেলার কলিয়নী, নাজিরা, ডিব্রুগড়ের নাহরনি, সোনাপুর, কৃষ্ণপুর, ঢেকিয়াজুলি, ধেমাজি, গোগমুখ, নাহরবারি, পানিগাঁও, জোনাই ইত্যাদি স্থানে ঘনবসতিপূর্ণ ঠেঙ্গাল কছারির গ্রাম আছে।
প্রশ্ন ৭। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
(ক) লৌহপ্রাণ গিরিধর ঠেঙাল।
(খ) কমল কছারি।
উত্তরঃ (ক) লৌহপ্রাণ গিরিধর ঠেঙাল – অসমের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে যে সমস্ত খিলঞ্জিয়া ব্যক্তি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন গিরিধর ঠেঙাল তাদের অন্যতম। জোরহাট জেলার তিতাবর মহকুমার অন্তর্গত ঠেঙাল মৌজার উলুতলি গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে ১৯২১ সালে ১২৬ জানুয়ারি গিরিধর ঠেঙাল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল জিলিরাম ঠেঙাল এবং মাতার নাম ছিল কান্দুরি ঠেঙাল। শৈশবে মাতৃহারা গিরিধর ঠেঙাল জ্যাঠাইমার কাছে মানুষ হন। যোরহাটের সরকারি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে জগন্নাথ বরুয়া কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করেন। ১৯৫২ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি. এল. ডিগ্রী লাভ করেন।
শিক্ষক হিসাবে গিরিধর ঠেঙালের কমজীবন শুরু হয়। শিক্ষাজগৎ থেকে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন-এর সাথে জড়িয়ে পড়েন। জালুকনিবারী উচ্চবিদ্যালয়, তিতাবর নন্দনাথ শইকিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে তাঁর নাম উল্লেখযোগ্য।
(খ) কমল কছারি – যোরহাটের তিতাবর মহকুমার ঠেঙাল মৌজার মরধলি কছারি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে কমল কছারি জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম ছিল উনিরাম কছারি, মায়ের নাম সরু আইতি কছারি। জীবিকার কর্মসূত্রে তিনি শিবসাগর জেলার নাজিরায় বাস করতেন। একাধারে তিনি ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী, চিত্রশিল্পী, বেতার শিল্পী। তিনি অসমের নিয়মিত পত্রিকা ‘প্রতিধ্বনি’, ‘অসমবাণী’, ‘নীলাচল’, ‘অগ্রদূত’, ‘সাদিন’, ‘প্রতিদিন’-এর নিয়মিত লেখক ছিলেন। সংগীত, কবিতা, নাটক রচনা করা ছাড়াও তিনি ফেস্টুন, প্রচ্ছদ তৈরি করতেন। অসম সাহিত্য সভা তাকে “বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা বঁটা” প্রদান করে। শিবসাগর সাহিত্য সভা কমল কছারিকে “কবি কমল কছারি সাহিত্য বঁটা” প্রদান করে।
দরদি কবি কমল কছারি ৬৫ বছর বয়সে ২০১৩ সালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.