SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 5 মটকগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 5 মটকগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 5 মটকগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.
SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 5 মটকগণ
Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium দশম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 5 মটকগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
মটকগণ
পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ
১। মটক শব্দের অর্থ লেখো।
উত্তরঃ মটক শব্দের অর্থ হল জ্ঞানী শক্তিশালী পণ্ডিত লোক।
২। মটক শব্দটির উৎপত্তি সম্বন্ধে আলোচনা করো।
উত্তরঃ “ফুখাও” শব্দের থেকে মটক শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। ফুখাও টাইদের একটি অন্যতম শাখা। “ফু”-এর অর্থ সম্মানিয় ব্যক্তি এবং “খাও”-এর অর্থ সাদা। ফুখাইরা চীন দেশের লাও রাজ্যে বসবাস করার জন্য লাও নামে পরিচিত। ফুখাইরা তিনটি ভাগে বিভক্ত। অহোম ইতিহাস অনুযায়ী ফুখাওরা বীজ রোপণ বা শস্য রোপণ মূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। শস্য বপনকারী মূলের ফুখাওদের থেকেই মটকের উৎপত্তি হয়েছে।
৩। মটকরা সাধারণত কোন ধর্মের লোক?
উত্তরঃ মটকদের পরম্পরাগত ধর্ম হচ্ছে তাও। তাঁরা প্রকৃতিজগতের শক্তিমান দেবতার পূজা করেন। সপ্তদশ শতকে গোপালদেবের শিষ্য অনিরুদ্ধ দেবের প্রচারিত মায়ামরা বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
৪। মটকদের সঙ্গে মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ সম্পর্কে যা জান লেখো।
উত্তরঃ মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের প্রধান নেতা মটকদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল। বিদ্রোহী নেতাদের খুঁজে না পাওয়ায় সাধারণ নিরপরাধী মানুষকে বন্দী করে কারাগারে রেখেছিল। সেই সময়ের মটকদের নেতা মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল। সর্বানন্দই সাংগঠনিক দক্ষতার সঙ্গে কারাগারের ভিতরে এবং বাইরে সকল মটকদের মনোবল বৃদ্ধি করেছিল।
৫। মটক রাজ্যের উন্নতিকল্পে সর্বানন্দ সিংহের করা জনকল্যাণমূলক কাজ সমূহের একটি বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ মটকরাজ্যের উন্নতির জন্য সর্বানন্দ সিংহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করেছিলেন। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে রাস্তাঘাট নির্মাণ করিয়েছিলেন। প্রজাদের সুবিধার্থে রাজধানীর বাইরে চব্বিশটি পুকুর তৈরি করিয়েছিলেন। পুকুরের মধ্যে তিনকোণীয়া পুকুর, দেবী পুকুর, বড় পুকুর, গোধা পুকুর প্রধান। সর্বানন্দের তৈরি তিনকোণীয়া পুকুরের নাম অনুযায়ী পরবর্তীকালে বেংমরা নগরটির নাম হয় তিনসুকিয়া।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
৬। সংক্ষেপে টীকা লেখো ।
(ক) শিক্ষাবিদ পবন নেওগ।
(খ) রাজকুমার লঙ্কেশ্বর গোঁহাই।
(গ) সর্বানন্দ সিংহ।
(ক) শিক্ষাবিদ পবন নেওগ – ১৯৩৩ সালের ১৮ অক্টোবর তিনসুকিয়ার বগুরিতে পবন নেওগ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আসাম্বর নেওগ এবং মাতার নাম গোলাপী নেওগ। মাতৃ বিয়োগের পর মাসি মুহীলা নেওগের কাছে তিনি প্রতিপালিত হন। তিনি ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি যোরহাট জে. বি. কলেজে ভর্তি হন এবং গুয়াহাটী কটন কলেজে স্নাতক শিক্ষা অধ্যয়ন আরম্ভ করেন। আন্তঃমহাবিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় শরীরচর্চা বিভাগ প্রতিযোগিতায় তিনি Mr. Cottonian উপাধি পেয়েছিলেন।
তাঁর মনোবল ও সাহস ছিল অপরিসীম। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খুব স্নেহ করতেন। বরগুড়িতে স্থাপিত আর্ট স্কুলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০০২ সালের আগস্ট মাসের ১১ তারিখ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(খ) রাজকুমার লঙ্কেশ্বর গোঁহাই – বেংমরা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাপক রাজা স্বৰ্গদেউ সর্বানন্দ সিংহের প্রপৌত্র ছিলেন। রাজকুমার লঙ্কেশ্বর গোঁহাই আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও তিনি ছিলেন সাহসী উচ্চকাঙ্ক্ষী ও চিন্তাশীল ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় জাতি-জনগোষ্ঠীর ভূমি-সম্পত্তি ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য বেংমরা রাজ্যের পৃথক স্বীকৃতি দাবি করেছিলেন। তিনি অরুণাচল প্রদেশে কাঠের মিল খুলেছিলেন। তাছাড়া তিনি হাতি ও সোনার ব্যবসা করেছিলেন। তিনি ব্রহ্মদেশের রাজার সঙ্গে মিত্রতা করে হাতি ধরতেন। একসঙ্গে পঞ্চাশটা হাতি ধরে আনার নিদর্শনে তাঁর সাহসিকতা বিরল। মণিপুরের রাজাকে বন্ধুত্বের চিহ্ন হিসাবে দুটো হাতি উপহার দিয়েছিলেন। সিকিমের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তিনি বার্মিজ, মণিপুরি, সিংফৌ, খামতি, মিসিং ইত্যাদি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি নিজের রাজ্য ছাড়াও মণিপুর, অরুণাচল, সিকিম, নাগাল্যাণ্ড, মেঘালয় অঞ্চলের সমাজকর্মীদের সঙ্গে জনহিতকর উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(গ) সর্বানন্দ সিংহ – সর্বানন্দ সিংহের পিতা ছিলেন মরুনন্দন এবং মাতা ছিলেন পাতয়। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান সর্বানন্দ শৈশবেই মাতাকে হারান। মাতা হারা সর্বানন্দকে তার পিতা সযত্নে বড় করে তুলেছিলেন। সর্বানন্দের পিতৃ-প্রদত্ত নাম ছিল “মেজেরা”।
মেজেরা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি মায়ামরা ধর্মগুরু অষ্টভুজ গোঁসাই-এর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন। সর্বানন্দ রেংমরায় রাজ্য স্থাপন করে নিজেকে স্বাধীন রাজা বলে ঘোষণা করেছিলেন। সর্বানন্দ সিংহ টাই পরম্পরা অনুযায়ী স্বৰ্গদেউ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজ নামে সোনারূপার মুদ্রা নির্মাণ করেছিলেন। মটক রাজ্যের উন্নতির জন্য তিনি যাতায়াত ব্যবস্থার সুব্যবস্থা করেছিলেন। প্রজাদের সুবিধার জন্য রাজধানীর বাইরে চব্বিশটি পুকুর তৈরি করেছিলেন। সর্বানন্দ একজন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ রাজা ছিলেন। তিনি রাজ্যের চারসীমায় পাথরের খুঁটি পুঁতেছিলেন। ১৮০৫ সালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.