SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium দশম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 মরাণগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

মরাণগণ

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

১। মরাণদের নৃগোষ্ঠীর পরিচয় সংক্রান্ত তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তরঃ মরাণগণ অসমের সু-প্রাচীন কিরাত-মঙ্গোলীয় মূলের একটি জনসমষ্টি। তারা অসম তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের আদিম অধিবাসী। মরাণগণকে অসমের প্রাক-ঐতিহাসিক মানব প্রজাতির এক নির্দিষ্ট জনসমষ্টি রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে।

২। অসম এবং অরুণাচলের কোন কোন জেলায় মরাণদের বসতি অত্যধিক?

উত্তরঃ অসমের তিনসুকিয়া জেলা, ডিব্ৰুগড় জেলা এবং অরুণাচলের নামচাই এবং চালাং জেলায় মরাণদের বসতি বেশি। তদুপরি শিবসাগর, চরাইদেউ, যোরহাট, লখিমপুর জেলাতেও মরাণদের বসতি ছিল।

৩। বুরিঞ্জিতে উল্লেখিত বারোঘর কছারির নাম লেখো।

উত্তরঃ বুরিঞ্জিতে উল্লেখ করা বারোঘর কছারির নাম হল – দময়ে (ডিমাসা), ইনটুহজয় (হোজাই), বিহদয় (বোড়ো), জুহল-লুইরা (বর্ত্তমান তিওয়া), বাদু সোনলয় (সোনোয়াল), ইনটু মিনখয়ঁ (মরাণ), দিউনয় (দেউরি), ইনটু মেচক (মেচ), কুচুবয় (কোচ), ইনটু গোরোয় (গাড়ো), রাভা কিটকয় (রাভা), বাজু হজয় (হাজং) ইত্যাদি।

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১প্রার্থনা
অধ্যায় -২বিজয়া দশমী
অধ্যায় -৩গ্রাম্যছবি
অধ্যায় -৪প্রতিনিধি
অধ্যায় -৫আবার আসিব ফিরে
অধ্যায় -৬সাগর-সঙ্গমে নবকুমার
অধ্যায় -৭বাংলার নবযুগ
অধ্যায় -৮বলাই
অধ্যায় -৯আদরণী
অধ্যায় -১০তোতাকাহিনি
অধ্যায় -১১অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম
অধ্যায় -১২কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা
অধ্যায় -১৩এসো উদ্যোক্তা হই
অধ্যায় -১৪জীবন সংগীত
অধ্যায় -১৫কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
অধ্যায় –১৬পিতা ও পুত্ৰ
অধ্যায় -১৭অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি
অধ্যায় –১৮শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ
অধ্যায় -১৯উজান গাঙ বাইয়া
বাংলা ব্যাকরণ
S.L. Noবৈচিত্রপূর্ণ আসাম
অধ্যায় -১তিওয়াগণ
অধ্যায় -২দেউরিগণ
অধ্যায়নেপালিভাষী গোর্খাগণ
অধ্যায়বোড়োগণ
অধ্যায়মটকগণ
অধ্যায়মরাণগণ
অধ্যায়মিসিংগণ
অধ্যায়মণিপুরিগণ
অধ্যায়রাভাগণ
অধ্যায়১০চুটিয়াগণ

৪। মরাণভাষার দশটি শব্দ লেখো।

উত্তরঃ অতীতকালের মরাণভাষার শব্দ হল- দি (জল), সিম (লবণ), মাই (ধান), মাইরুম (চাল), মিয়াম (ভাত), মহণ (মাংস); চান (সূর্য), দান (চন্দ্র), হাটারাই (তারা), মকুহাং (বৃষ্টি)।

৫। মরাণদের ঐতিহাসিক যুগের রাজ্যটির চার সীমার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ চাউলুং চুকাফা আসার সময় মরাণদের একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের উত্তরে বুড়িদিহিং, দক্ষিণে দিসাং, পূর্বে সফ্রাই এবং পশ্চিমে ছিল ব্রহ্মপুত্র।

৬। মরাণদের ঐতিহাসিক যুগের শেষ রাজার নাম কী ছিল?

উত্তরঃ মরাণদের ঐতিহাসিক যুগের শেষ রাজার নাম ছিল বদৌসা।

৭। মরাণগণ বহাগ বিহু কখন কীভাবে পালন করে থাকেন?

উত্তরঃ মরাণদের প্রধান উৎসব বিহু। প্রাচীনকালে মরাণগণ শদিয়ার কেঁচাইখাতি দেবস্থান-এর সঙ্গে তিনসুকিয়া জেলার মাকুমের যজ্ঞখোবা, দেওশাল চরাইদেউ ইত্যাদিতে শাল পেতে দেবদেবীর পূজা করত। বৈশাখ মাসের প্রথম মঙ্গলবার দেব-দেবীর পূজা অর্চনা করে বিহু শুরু করত এবং মঙ্গলবারে উরুকা, বুধবারে গরু বিহু ও বৃহৎস্পতিবারে মানুষ বিহু সাতদিন, সাত রাত বিহু উদযাপন করত এবং মরাণগণ অন্যান্য অসমিয়া থেকে ভিন্ন ভিন্ন দিন-বারে বিহু উৎসব পালন করত।

৮। মরাণদের দুটি বৃত্তিমূলক, দুটি গুণবাচক এবং দুটি স্থানবাচক খেলার নাম লেখো।

উত্তরঃ মরাণদের মধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়ার প্রচলন ছিল । খেলাগুলো বৃত্তিসূচক, স্থানবাচক, গুণবাচক, জাতিবাচক। যেমন—তেলপরা তেলেপিয়া, নাও (নৌকা) নির্মাণকারীদের নাওশালিয়া, চকরি গণতা, কাঁড়িগঞা, দোহোটিয়া। 

(ক) বৃত্তিসূচক হল তেলেপিয়া।

(খ) স্থানবাচক হল হালধিবরীয়া।

(গ) গুণবাচক হল গণতা।

(ঘ) জাতিবাচক হল সৌকাধরা।

৯। মরাণদের জাতীয় চাষ কোনটি?

উত্তরঃ মরাণদের জাতীয় চাষ সুমথিয়া বা কমলা।

১০। মরাণ যুবকদের দায়িত্ব কীরূপ আলোচনা করো।

উত্তরঃ মরাণদের প্রত্যেক গ্রামে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত একজন গাওবুঢ়া থাকে। সঙ্গে প্রয়োজন সাপেক্ষে দুজন বা ততোধিক বরবুঢ়া থাকে। তাদের অধীনে ধর্মীয়, সামাজিক কাজকর্ম, বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালিত হয় ৷

১১। কোথায় কোথায় মরাণদের দেবদেবীর পূজাগৃহ রয়েছে?

উত্তরঃ শদিয়ার কেঁচাইখাতি থানের সঙ্গে তিনসুকিয়া জেলার মাকুমের যজ্ঞোখোবা, দেওলাল, চরাইদেউতে মরাণদের দেবদেবীর পূজাগৃহ রয়েছে।

১২। সংক্ষেপে টীকা লেখো।

(ক) সমন্বয়ের জনক কিরাত শৌর্য বদৌসা। 

(খ) বীরাঙ্গনা রাধা রুকুনি।

(গ) বীর সেনাপতি ঝপরা জগধা। 

(ঘ) মোহন শইকিয়া। 

(ঙ) রাঘব মরাণ।

উত্তরঃ (ক) সমন্বয়ের জনক কিরাত শৌর্য বদৌসা – ঐতিহাসিক যুগে মরাণদের রাজা ছিলেন বদৌসা। কলাগুরু বিষ্ণুরাভা রচিত ‘অসমিয়া কৃষ্টি’ শীর্ষক পুস্তিকায় মরাণদের প্রতাপশালী বলে অভিহিত করেছিলেন। এই বরেণ্য গবেষকের ভাষ্যতে বদৌসার শক্তিশালী প্রভাবের কথা উল্লেখ আছে। চাউল্যুঙ চ্যুকাফা অসমে রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেবার মানসে মরাণদের সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন। রাজা বদৌসার অনুমতি এবং আতিথেয়তায় চ্যুকাফা এবং তার অনুগামীরা বহুকাল মরাণবরহি চুটিয়া সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করেছিলেন।

অপুত্রক বদৌসা সুদর্শন যুবক চুকাফার সঙ্গে নিজকন্যার বিবাহ সূত্রে শ্বশুর-জামাই সম্পর্কে বাধা পড়েছিলেন। বদৌসা বৃদ্ধ বয়সে জামাতা চ্যুকাফার হাতে মরাণ রাজ্যের শাসনভার অর্পণ করেছিলেন। চ্যুকাফার মহান কার্যে বদৌসার অপরিসীম অবদান থাকলেও কোনকালেই বদৌসার অবদানের স্বীকৃতি দেয়নি।

(খ) বীরাঙ্গনা রাধা রুকুনি – বিশ্ব ইতিহাসে গণবিপ্লব সমূহের ভিতরে মধ্যযুগের অসমে সংগঠিত মোয়ামরিয়া গণবিপ্লব অন্যতম। গণবিপ্লবে নারীশক্তির সফল যোগদান একটি বিস্ময়কর অধ্যায়রূপে চিহ্নিত হয়েছিল। অহোম রাজত্বের শেষভাগে অহোম রাজতন্ত্র অত্যন্ত স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়েছিল। রাজতন্ত্রের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কৃষক প্রজা সবাই বিদ্রোহ আরম্ভ করেছিল। প্রজা সাধারণকে সংগঠিত করার জন্য ভাতুকী, ভাবুলী ওরফে রাধা রুকুনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল ভাতুকী এবং রাধা রুকুনির সময়েই। রাজলক্ষী সিংহ একবার একটি বড় ঢোল তৈরি করাবার জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে বনে পাঠিয়েছিলেন। রাধা রুকুনি গ্রামের মানুষকে জড়ো করে ‘এই বন স্থানীয় জনগণের আবহমান কালের যুগান্তকারী সম্পদ। এতে রাজার কোনো অধিকার নেই।’ রাজকর্মচারীদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। দুই বীরাঙ্গনা নারী যোদ্ধাবাহিনী গঠন করেছিলেন। পদ্মনাথ গোহাঞি বরুয়ার গ্রন্থ থেকে জানা যায় রাধা রুকুনি পুরুষ বেশে তির ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। রাধা রুকুনি খুবই চতুর মহিলা ছিলেন। রণকৌশলের গোপনবিদ্যা জানা ছিল বলে কেউই তাঁকে তীরবিদ্ধ করতে পারেনি। রাজতন্ত্রের ষড়যন্ত্রের বলি হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

(গ) বীর সেনাপতি ঝপরা জগধা – ঝপরা জগধা মরাণ জনজাতির একজন বীর ছিলেন। তাঁর বাবার নাম ছিল দারবি। দারবীরের ছয়জন পুত্র ছিল। তার মধ্যে জগধা সবার থেকে সাহসী এবং বাহুবলী ছিলেন। বর্ষার সময় ডিব্রু নদী পার হয়ে অরণ্যের জংলি হাতিকে ধরে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি যথেষ্ট দূরদর্শী ছিলেন। শৈশবে খেলাধূলা, পাখি শিকার ইত্যাদিতে তাঁর দাদাদের থেকে তিনি এগিয়ে থাকতেন। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিহু দলপতি হন। জগধার শারীরিক গঠন এত বলিষ্ঠ যে তিনি এক ঘায়ে একটি চোবাগাছ কেটে ফেলতে পারতেন। জগধার মাথায় বেশি চুলের ঝোপ থাকায় সাধারণ লোক তাঁকে ঝপরা বলে সম্বোধন করত। পরে তাঁকে ঝপরা জগধা বলে সবাই সম্বোধন করত।

(ঘ) মোহন শ‍ইকিয়া – ১৯৩০ সালের ২২ নভেম্বর তিনসুকিয়া জেলার তালাপের এক প্রত্যন্ত গ্রাম তামুলিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল জ্ঞানেন্দ্র শ‍ইকিয়া এবং মাতার নাম ছিল স্বর্গীয়া শুকানি শ‍ইকিয়া। বিদ্যাশিক্ষা শেষ করে তিনি চা-বাগানের ম্যানেজারের পদ গ্রহণ করেন। লোভনীয় চাকুরির মোহ ত্যাগ করে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমাজে শিক্ষার আলো জ্বালাবার উদ্দেশ্যে কাকপথার উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক রূপে যোগদান করেন এবং প্রধান শিক্ষক রূপে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কয়েকজন শিক্ষিত ব্যক্তির সহযোগিতায় তিনি সর্বপ্রথম ‘অসম মরাণ সভা’ গঠন করেন। তিনি মরাণ সভার প্রতিষ্ঠাপক সম্পাদক রূপে কার্যনির্বাহ করেছিলেন।

স্বকীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ‘মরাণ বিহুকে’ গোঁড়া সমাজ থেকে বের করে তিনিই বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর রচিত মরাণ বিহুগীতের ক্যাসেট ‘হাতো পাতো’ মরাণ সংস্কৃতির এক অপূর্ব নিদর্শন স্বরূপ।

অসমের বিদেশী বহিষ্কার আন্দোলনে তিনিই অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন এবং যথেষ্ট অত্যাচার সহ্য করেছিলেন। তিনি অসম গণপরিষদের এক বিশিষ্ট নেতারূপে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। মরাণ সমাজে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

(ঙ) রাঘব মরাণ – বীর রাঘব মরাণ অসমে সংঘটিত মোয়ামরিয়া গণবিপ্লবের প্রধান নেতা ছিলেন। রাঘব মরাণকে অত্যাচারী, নারী অপহরণকারী রূপে তাঁর চরিত্রের অপব্যাখ্যা করা হয়েছিল। তিনি যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী না থাকার জন্য বাঁশের লাঠি, ধনুক-তীর, শেল ইত্যাদি সাধারণ অস্ত্র দিয়ে রাজকীয় বাহিনিকে পরাস্ত করেছিলেন। এইরকম নজিরবিহীন ও বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

রাঘব মরাণের আহ্বানে জাতিগোষ্ঠী নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রজা জাগ্রত হয়ে সদলবলে এগিয়ে আসায় প্রমাণিত হয় যে তিনি সকলের প্রিয় নেতা ছিলেন। প্রকৃত গণশত্রুদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, লঘু দোষে দোষীদের সামান্য শাস্তি দিয়ে রেহাই দেওয়া, পলাতক রাজসৈন্যদের মুক্ত করে দেওয়া ইত্যাদি কার্যের জন্য মহান পুরুষের মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। সর্বলোকের বাঞ্ছিত শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ গড়ার পথ প্রদর্শক হিসাবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top