Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer is made for Assam Seba Board students. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ

Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 10 Bengali Byakoron Suggestion, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Question Answer, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Notes, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Solution, Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer absolutely free of cost. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ | মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বই, বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই, বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ কারক, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ সমাস, দশম শ্রেণির ব্যাকরণ, If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

ব্যাকরণ

বহুব্রীহি

সংজ্ঞা – যে সমাসের সমস্যমান পদের অর্থ প্রতীয়মান না হয়ে বিশেষ অর্থকে বহন করে, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—

নীল কণ্ঠ যাঁর = নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ বলতে যার কণ্ঠ নীল রঙের তাকে না বুঝিয়ে পৃথিবীর হলাহল ধারণকারী মহাদেবকে বোঝায়।

ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষ্য এবং পরপদও বিশেষ্য এবং এদের কোনো একটি পদ ‘এ’ বা ‘তে’ বিভক্তিযুক্ত হয়, তাকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— বীণা পাণিতে যাঁর = বীণাপাণি।

সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হয় এবং দুটি পদের বিভক্তি সমান হয়, তাকে বলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। যেমন—বিশাল অক্ষি যাহার (স্ত্রী) = বিশালাক্ষী।

মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যস্থিত পদটি লুপ্ত হয়ে যায়, তাকে বলে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস। এই সমাসে একটি ‘উপমান’ পদ থাকে, তাই একে উপমাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন— শশীর ন্যায় মুখ যাহার = শশীমুখী।

ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে একই শব্দের পুনরুক্তি দ্বারা একই প্রকার ক্রিয়া করা বোঝায়, তাকে বলে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস। যেমন— 

হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি।

নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ নঞর্থক অর্থাৎ না-বাচক হয়, তাকে নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—

নাই প্রাণ যার = নিষ্প্রাণ। 

নাই শরম যার = বেশরম।

সহার্থক বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে সমাসবদ্ধ পদের পূর্বে ‘সহিত’ বোঝানোর জন্য ‘স’ শব্দটি পূর্বে বসে, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—

লজ্জার সহিত বর্তমান = সলজ্জ।

অলুক্ বহুব্রীহি সমাস — যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত হয় না, তাকে অলুক্ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—

হাতে ছড়ি যার = ছড়িহাতে।

নিত্য সমাস — যে সমাসে সমস্যমান পদগুলি নিত্য বা সর্বদা সমাসবদ্ধ থাকে অর্থাৎ যার ব্যাসবাক্য হয় না, ব্যাসবাক্যের জন্য সমার্থক কোনো পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন—

অন্য দেশ = দেশান্তর।

উদাহরণ –

মহাশয় = মহান্ আশয় যাঁর। [বহুব্রীহি]

রত্নাকার = রত্নের আকর। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

কুম্ভকার = কুম্ভ করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

ডাকাবুকো = ডাকাতের বুকের ন্যায় বুক যাহার [মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি]

‘চালাকচতুর = যিনিই চালাক, তিনিই চতুর। [কর্মধারয়]

তেপান্তর = তে (তিন) পান্তরের (প্রান্তরের) সমাহার। [সমাহার দ্বিগু]

উপবন = বনের সদৃশ। [অব্যয়ীভাব]

দ্বারলগ্নকর্ণ = দ্বারে লগ্ন [অধিকরণ তৎপুরুষ,] দ্বারে লগ্ন কর্ণ যাহার। [বহুব্রীহি]

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া = অন্ত্য যে ইষ্টি [কর্মধারয়], অন্ত্যেষ্টি-সংক্রান্ত ক্রিয়া। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

শকুন্তলাবণ্য = শকুন্তের লাবণ্য। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

কর্তাব্যক্তি = কর্তা যে ব্যক্তি। [কর্মধারয়]

গুষ্টিসুখ = গুষ্টির সুখ। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

অ-থই = নেই থই যাহার। [নঞ তৎপুরুষ]

বিকচকেতকী = বিকচ যে কেতকী [কর্মধারয়]

মীনসন্তান = মীনের সন্তান [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

ফরিয়াদ-তকলিফ = ফরিয়াদ ও তকলিফ। [দ্বন্দ্ব]

শিশুদৃষ্টি = শিশুর দৃষ্টি। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

ক্রন্দনধ্বনি = ক্রন্দনের ধ্বনি। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ] ; ক্রন্দন জনিত ধ্বনি [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

পদ্মখী = পদ্মের ন্যায় মুখ যে নারীর। [বহুব্রীহি]

যজ্ঞঘোড়া = যজ্ঞের নিমিত্ত ঘোড়া।[নিমিত্ত তৎপুরুষ]

তপোবন-বিরুদ্ধ = তপের নিমিত্ত বন [নিমিত্ত তৎপুরুষ], তার বিরুদ্ধ। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ] 

নামাঙ্কিত = নাম দ্বারা অঙ্কিত। [করণ তৎপুরুষ]

ভাণ্ডারঘর = ভাণ্ডারের নিমিত্ত ঘর। [নিমিত্ত তৎপুরুষ]

নিরুপমা = নাই উপমা যে নারীর। [নঞ বহুব্রীহি]

অশ্বারোহী = অশ্বে আরোহণ করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

স্থানান্তরে = অন্য স্থান [নিত্য সমাস], তাহাতে [অধিকরণ তৎপুরুষ]

খেয়া-তরী = খেয়া বহিবার তরী। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

রাজভৃত্য = রাজার ভৃত্য। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

পঞ্চমুখ = পঞ্চ মুখ যার। [বহুব্রীহি]

স্নেহরস = স্নেহ জাত রস। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

অভ্রান্ত = নয় ভ্রান্ত [নঞ তৎপুরুষ]

দিবারাত্রি = দিবা ও রাত্রি। [দ্বন্দ্ব]

শ্রুতিগোচর = শ্রুতি দ্বারা গোচর। [করণ তৎপুরুষ]

অসন্তোষ = নয় সন্তোষ [নঞ তৎপুরুষ]

উচ্ছিষ্টভোজী = উচ্ছিষ্ট ভোজন করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

আপাদমস্তক = পদ হইতে মস্তক পর্যন্ত। [অব্যয়ীভাব]

মহাবীর = মহা যে বীর। [কর্মধারয়]

বিস্ময়াপন্ন = বিস্ময়কে আপন্ন। [কর্ম তৎপুরুষ] ; বিস্ময় দ্বারা আপন্ন। [করণ তৎপুরুষ]

খনিজ = খনিতে জাত যাহা। [উপপদ তৎপুরুষ]

প্রশ্নকর্তা = প্রশ্ন করেন যিনি। [উপপদ তৎপুরুষ]

কথাবার্তা = কথা ও বার্তা। [দ্বন্দ্ব]

নিরুপমা = নাই উপমা যে নারীর। [বহুব্রীহি]

বাসরবিজয়ী = বাসরকে জয় করিয়াছেন যিনি। [উপপদ তৎপুরুষ]

সিংহাসন = সিংহ চিহ্নিত আসন। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

নিমাইকাকা = যিনি নিমাই তিনিই কাকা। [কর্মধারয়]

সাকিনঠিকানা = সাকিন ও ঠিকানা [দ্বন্দ্ব]

আশালতা = আশা রূপ লতা। [রূপক কর্মধারয়]

অনির্বচনীয় = নয় নির্বচনীয়। [নঞ তৎপুরুষ]

অনুগ্রহ = গ্রহের (গ্রহণের) যোগ্য। [অব্যয়ীভাব]

নরকগামী = নরকে গমন করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

রাজর্ষি = যিনি রাজা, তিনিই ঋষি। [কর্মধারয় ]

ইচ্ছাশক্তি = ইচ্ছা চালিত শক্তি। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয় ]

অট্টহাস্য = অট্ট যে হাস্য। [কর্মধারয়]

আগাগোড়া = আগা থেকে গোড়া। [অপাদান তৎপুরুষ]

ছাত্রদশা ছাত্রের দশা। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

বেকসুর = নাই কসুর যার। [নঞথক বহুব্রীহি

মেঘে ঢাকা = মেঘ দ্বারা ঢাকা [অলুক্ তৎপুরুষ]

নবরত্ন = নব রত্নের সমাহার [দ্বিগু]

মিঠেকড়া = মিঠে অথচ কড়া। [কর্মধারয়]

কুন্দ শুভ্র = কুন্দের ন্যায় শুভ্র [উপমান কর্মধারয়]

পুরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায়। [উপমিত কর্মধারয়]

চন্দ্রশেখর = চন্দ্র শিখরে যাঁর। [বহুব্রীহি]

মনমাঝি = মন রূপ মাঝি। [রূপক কর্মধারয়]

ছা-পোষা = ছা পোষে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

অভ্রান্ত = নয় ভ্রান্ত [নঞ তৎপুরুষ]

মেঘে-ঢাকা = মেঘ দ্বারা ঢাকা। [অলুক করণ তৎপুরুষ]

অট্টহাস্য = অট্ট যে হাস্য। [কর্মধারয়]

উচ্ছিষ্টভোজী = উচ্ছিষ্ট ভোজন করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

সাকিনঠিকানা = সাকিন ও ঠিকানা। [দ্বন্দ্ব]

আপাদমস্তক = পদ হইতে মস্তক পর্যন্ত। [অব্যয়ীভাব

রাজবিদ্রোহী = রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যে [উপপদ তৎপুরুষ]

নরকগামী = নরকে গামী। [অধিকরণ তৎপুরুষ] নরকে গমন করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

মৃত্যুভয় = মৃত্যু হইতে ভয়। [অপাদান তৎপুরুষ]

অসন্তোষের = নাই সন্তোষ [নঞ তৎপুরুষ] নাই সন্তোষ এর। [সম্বন্ধ তৎ]

ক্রোধে = ক্রোধ দ্বারা [করণ তৎপুরুষ]

অন্যায় = নয় ন্যায়। [নঞ তৎপুরুষ]

কাগজ কলমের = কাগজ ও কলম। [দ্বন্দ্ব] কাগজ কলম এর। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

দৈন্যপীড়িত = দৈন্য দ্বারা পীড়িত [করণ তৎপুরুষ]

অশ্বত্থবিদীর্ণ = অশ্বত্থ দ্বারা বিদীর্ণ [করণ তৎপুরুষ]

বুড়োমানুষের = বুড়ো যে মানুষ। [কর্মধারয়] তার [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

বাসবত্রাস = বাসবের ত্রাস। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

নীলাভ = নীল ইভ। উপমান [কর্মধারয়]

তরঙ্গপ্রপাত = তরঙ্গের প্রপাত। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

বড়োবৌ = বড়ো যে বৌ। [কর্মধারয়]

শরশয্যা = শর দ্বারা নির্মিত শয্যা [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

অভ্রান্ত = নয় ভ্রান্ত [নঞ তৎপুরুষ]

ভব-পারাবার = ভব রূপ পারাবার। [রূপক কর্মধারয়]

বিস্ময়াপন্ন = বিস্ময় দ্বারা আপন্ন [করণ তৎপুরুষ]

ইচ্ছাশক্তি = ইচ্ছার রূপ শক্তি [রূপক কর্মধারয়]

অভ্রভেদী = অভ্র ভেদ করে যা [উপপদ তৎপুরুষ]

জোয়ার = ভাঁটা জোয়ার ও ভাঁটা। [দ্বন্দ্ব]

আলুসেদ্ধ = সেদ্ধ যে আলু। [কর্ম কর্মধারয়]

দশানন = দশ আনন যার। [বহুব্রীহি]

শূলপাণি = শূল পাণিতে যাঁর। [বহুব্রীহি]

বজ্রগম্ভীর = বজ্রের ন্যায় গম্ভীর [উপমান কর্মধারয়]

ফি-বছর = বছর বছর। [অব্যয়ীভাব

স্বর্গভ্রষ্ট = স্বর্গ থেকে ভ্রষ্ট [অপাদান তৎপুরুষ]

দা-কাটা = দা দিয়ে কাটা [করণ তৎপুরুষ]

বীণাপাণি = বীণা পাণিতে যাঁর। [বহুব্রীহি]

লোকজন = লোক জন। [দ্বন্দ্ব]

মন গড়া = মন দ্বারা গড়া। [করণ তৎপুরুষ]

রাজপথ = পথের রাজা। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

মিশকালো = মিশির মত কালো [উপমান কর্মধারয়]

মন্বন্তর = অন্য মনু। [নিত্য সমাস]

উপবন = বনের সদৃশ [অব্যয়ীভাব]

পঞ্চপাণ্ডব = পঞ্চ পাণ্ডবের সমাহার। [দ্বিগু]

সপ্তশতী = সপ্ত শতের সমাহার [দ্বিগু]

ফরিয়াদ-তকলিফ = ফরিয়াদ ও তকলিফ। [দ্বন্দ্ব সমাস]

স্থিতপ্রজ্ঞ = স্থিত আছে প্রজ্ঞা যার। [বহুব্রীহি]

জট পাকানো = জটকে পাকানো। [করণ তৎপুরুষ]

হাঁ-করা = হাঁ করে থাকে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

রাজ্যচ্যুত = রাজ্য থেকে চ্যুত। [অপাদান তৎপুরুষ]

গায়েহলুদ = গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে। [অনুষ্ঠানবাচক অলুক বহুব্রীহি]

লাঠালাঠি = লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ। [ব্যতিহার বহুব্রীহি]

বটবৃক্ষ = বট নামক বৃক্ষ [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

প্রতিবাদ = বাদের বিপরীত [অব্যয়ীভাব]

অনশন = নয় অশন। [নঞ তৎপুরুষ]

কৃদন্ত = কৃৎ অন্তে যার। [বহুব্রীহি]

বৃষ্টিধৌত = বৃষ্টি দ্বারা ধৌত। [করণ তৎপুরুষ]

অণুবীক্ষণ = অণুকে বীক্ষণ। [কর্ম তৎপুরুষ]

সঙ্গীহীন = সঙ্গী দ্বারা হীন। [করণ তৎপুরুষ]

দেশাচার = দেশে প্রচলিত আচার। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

বৃহস্পতি = বৃহৎ যে পতি [কর্মধারয়]

হাতাহাতি = হাতে হাতে যে যুদ্ধ [ব্যতিহার বহুব্রীহি]

দৈন্যপীড়িত = দৈন্য দ্বারা পীড়িত। [করণ তৎপুরুষ]

পদ্মমুখী =পদ্মের ন্যায় মুখ যার (স্ত্রী) [বহুব্রীহি]

মনোবেড়ী = মনঃ রূপ বেড়ী। [রূপক কর্মধারয়]

পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা [উপপদ তৎপুরুষ]

দিনভর = দিন ব্যাপিয়া [নিত্য সমাস]

স্থানান্তরে = অন্য স্থান। [নিত্য সমাস], সেখানে।

কথামৃত = কথা অমৃতের ন্যায়। [উপমিত কর্মধারয়]

বেসামাল = নয় সামাল। [নঞ্ তৎপুরুষ]

আইনসঙ্গত = আইন দ্বারা সঙ্গত। [করণ তৎপুরুষ]

যথাবিধি = বিধিকে অতিক্রম না করে। [অব্যয়ীভাব

একমাত্র = কেবল এক। [নিত্য সমাস]

সাবধান = অবধানের সাথে বর্তমান। [সহার্থক বহুব্রীহি ]

কৌতূহলাক্রান্ত = কৌতূহল দ্বারা আক্রান্ত [করণ তৎপুরুষ]

সপ্তদশ = সপ্ত অধিক দশ। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

রাষ্ট্রপতি = রাষ্ট্রের পতি। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

সত্যবাদী = সত্য বলে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

দলপতি = দলের পতি। [সম্বন্ধ তৎপুরুষ]

গোমুখ = গো-এর মুখের ন্যায় মুখ যার। [মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি ]

খরদূষণ = খর দূষণ। [দ্বন্দ্ব]

বরদ = বর দেন যিনি। [উপপদ তৎপুরুষ]

করপল্লব = কর পল্লবের ন্যায় [উপমিত কর্মধারয়

সপত্নী = সমান পতি যাদের। [বহুব্রীহি ]

সুপ্তোত্থিত = পূর্বে সুপ্ত পরে উত্থিত। [কর্মধারয়]

এণাক্ষী = এণ-এর অক্ষির ন্যায় অক্ষি যার (স্ত্রী)। [মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি ]

পঞ্চদশ = পঞ্চ অধিক দশ। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

মধুপ = মধু পান করে যে। [উপপদ তৎপুরুষ]

রূপান্তর = অন্য রূপ। [নিত্য]

জীবনবীমা = জীবন নাশের আশঙ্কায় বীমা। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

ভূতপূর্ব = পূর্বে ভূত। [অধিকরণ তৎপুরুষ]

শুদ্ধব্রত = শুদ্ধ ব্রত যার। [বহুব্রীহি]

তুষারশুভ্র = তুষারের ন্যায় শুভ্র। [উপমান কর্মধারয়]

চিরবসন্ত = চিরকাল ব্যাপিয়া বসন্ত। [কর্ম তৎপুরুষ]

জামাইষষ্ঠী = জামাইয়ের কল্যাণার্থে ষষ্ঠী। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

এককড়ি = এক কড়ি বিনিময়ে ক্রীত [দ্বিগু]

ক্ষুরধার = ক্ষুরের ন্যায় ধার [উপমান কর্মধারয়]

শতকরা = প্রতি শত। [নিত্য]

আনাড়ী = নেই নাড়ী জ্ঞান যার। [নঞ্ বহুব্রীহি]

সারাৎসার = সার থেকে সার। [অলুক্ অপাদান তৎপুরুষ]

ষোড়শ = ষট্ অধিক দশ। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

অহোরাত্র = অহঃ ও রাত্রি [দ্বন্দ্ব]

নিরুপমা = নাই উপমা যার (স্ত্রী)। [নঞ বহুব্রীহি]

যন্ত্রতত্ত্ব = যন্ত্র বিষয়ক তত্ত্ব। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

শক্তিসাগর = শক্তি রূপ সাগর। [রূপক কর্মধারয়]

নিরপেক্ষ = নয় অপেক্ষ। [নঞ তৎপুরুষ]

দম্পতি = জায়া ও পতি। [দ্বন্দ্ব সমাস]

যন্ত্রতত্ত্ব = যন্ত্র বিষয়ক তত্ত্ব। [মধ্যপদলোপী কর্মধারয়]

শক্তিসাগর = শক্তি রূপ সাগর। [রূপক কর্মধারয়]

নিরপেক্ষ = নয় অপেক্ষ। [নঞ তৎপুরুষ]

দম্পতি = জায়া ও পতি। [দ্বন্দ্ব সমাস]

বিশিষ্টার্থক শব্দ বা বাগধারা

আলালের ঘরের দুলাল (বড়লোকের অপদার্থ সন্তান)—আলালের ঘরের দুলালেরা অযথা অর্থব্যয়ে স্ফূর্তি করে বেড়ায়।

উভয় সংকট (দুই রকমের বিপদের মাঝামাঝি পতিত হওয়া)– আমার এখন উভয় সংকট, দিদি-জামাইবাবুর ঝগড়ায় কাকে ধরি কাকে ছাড়ি।

কড়ায়-গণ্ডায় (পুরাপুরি)—গৃহ-কর্তা বাড়ির ভাড়া কড়ায়-গণ্ডায বুঝে নিলেন।

কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা (দুঃখের উপরে অধিক দুঃখ)—স্বামীহারা নারীকে চিকিৎসায় গাফিলতি ব্যাপারে দোষারোপ করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিও না।

চোখের বালি (বিরক্তি উদ্রেককারী ব্যক্তি)–কেন আমি তোমার চোখের বালি হলাম জানি না, আমাকে তুমি একেবারে সহ্য করতে পার না দেখি।

ডানহাতের ব্যাপার (ভোজন)—বর বিবাহ করতে থাকুক, ততক্ষণে আমরা ডানহাতের ব্যাপারটা সেরে ফেলি চল।

তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা (খুব রাগ করা)—বাজারের ব্যাগটিতে দোক্তা দেখতে না পেয়ে ঠাকুরমা বাবার উপর তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন।

তুলসী বনের বাঘ (ছদ্মবেশী)—সাধুবেশধারী লোকটির কাপড়ের নীচে একটা ছোরা পাওয়া গেল, এইরূপ তুলসী বনের বাঘ হতে সাবধান থেকো।

তাসের ঘর (ভঙ্গুর)—আগ্নেয়গিরির আশেপাশে বাড়িগুলি তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ল।

জিলিপির প্যাচ (কূটবুদ্ধি)—দেখতে তো বেশ সহজ সরল মনে হয়, তার পেটে কি এমন জিলিপি প্যাঁচ ছিল?

টাকার কুমীর (বিপুল ধনের অধিকারী)—অসৎ পথে উপার্জন করে আজ টাকার কুমীর হয়েছ, তোমার মুখে জনসেবার নাম শুনলে ঘৃণা হয়।

ঠোটকাটা (স্পষ্টবক্তা)—সুবীরের মতো ঠোঁটকাটা ছেলে খুব কম দেখেছি, যা চিন্তা করল, তাই বলে দিল।

দক্ষযক্ষ (হৈ-হট্টগোল)—সভায় এইরূপ দক্ষযজ্ঞের মধ্যে মূল বক্তব্য উত্থাপন না করাই ভাল।

ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির (অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি)—ডাকাতদের আক্রমণের সময় ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির সাজলে নিজের ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

ননীর পুতুল (শ্রমবিমুখ)—এমন ননীর পুতুল তরুণদের নিয়ে দেশ গঠন সম্ভব নয়।

অগস্ত্য যাত্রা (শেষ যাত্রা) -এই যাত্রাই তার অগস্ত্য যাত্রা হল।

পুকুর চুরি (সমূলে চুরি)—গতরাত্রিতে বিশ্বম্ভরবাবুর আমবাগানে পুকুর চুরি হয়েছে, ফলগুলি তো নিয়ে গেছে, গাছগুলিকেও নষ্ট করে দিয়াছে।

উত্তম-মধ্যম দেওয়া (ভাল ভাবে মারা) – চোরটি ধরা পড়লে গ্রামবাসীরা তাকে বেশ উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করে দিল।

কলুর বলদ (পর-চালিত ব্যক্তি)–“মা আমায় ঘুরাবি কত, কলুর চোখ-বাঁধা বলদের মত?”

বাংলা শব্দ-সম্ভার

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দাবলিকে আমরা মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি—(১) তৎসম (২) তদ্ভব (৩) অর্ধ-তৎসম (৪) দেশি ও (৫) বিদেশি।

তৎসম শব্দ – যে সমস্ত শব্দ সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসে অরিকৃত রূপে চলেছে, তাদের তৎসম শব্দ বলে। যেমন – পিতা, মাতা, শিক্ষালয়, আচার্য, শিক্ষক প্রভৃতি।

তদ্ভব শব্দ – যে-সমস্ত শব্দ ‘সংস্কৃত’ শব্দভাণ্ডার থেকে যাত্রা করে প্রাকৃত ভাষার পথে নির্দিষ্ট নিয়মে ধারাবাহিক : বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসে নূতনরূপে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে, তাদেরকে তদ্ভব বা প্রাকৃতজ শব্দ বলে।

যেমন –

সংস্কৃত – প্রাকৃত – তদ্ভব।

কৃষ্ণ > কন্হ > কানু, কানাই।

কর্ণ > কনণ > কান।

চন্দ্ৰ > চান্দ > চাঁদ।

বধূ > বহু > বউ।

অদ্য > অজ্জ > আজ।

রাধিকা > রাহিআ > রাই।

সন্ধ্যা > সঞঝা > সাঁঝ।

হস্ত > হথ > হাত।

কয়েকটি সংস্কৃত ক্রিয়াও প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে তদ্ভব রূপে বাংলায় এসেছে –

সংস্কৃত – প্রাকৃত – তদ্ভব।

খাদতি > খাতাই > খায়।

প্রবিশতি > পবিসই > পৈশে, পশে।

কথয়তি > কহেই > কহে, কয়।

শূণোতি > সুণই > শুনে, শোন।

আমাদের অতি-পরিচিত কয়েকটি তদ্ভব শব্দ কোন্ সংস্কৃত শব্দ হতে উদ্ভূত হয়, জেনে রাখ।

অধস্তাৎ–হেঁট।

অপর — আর।

অপস্মরতি–পাসরে। 

অবিধবা—এয়ো।

অষ্টাদশ—আঠারো। 

অশীতি—আশি।

আকর্ষণী—আঁকষি।

আদিত্য—আইচ (পদবী)।

উপাধ্যায়—ওঝা। 

এতদ্—এই।

একাদশ–এগারো। 

কঙ্কণ—কাঁকন। 

কর্কট–কাঁকড়া।

কাঙ্ক্ষা—খাঁই।

কীদৃশন—কেন। 

কুটজ—কুড়চি। 

কুটির—কঁড়ে।

কুণ্ঠিত—কঁড়ে (অলস)।

দীপাবলী—দেওয়ালি। 

পতঙ্গ—ফড়িং।

পরীক্ষা—পরখ। 

ময়া—মুই।

মাতা—মা।

ভদ্রক—ভালো।

মণ্ডপ—মেরাপ। 

ষোড়শ—ষোল।

লঘুক—হালকা।

হরিদ্রা—হলুদ।

সূত্রধর–ছুতার।

সংবরণ—সামলানো। 

সর্ব—সব।

সৌভাগ্য—সোহাগ, সোহাগা।

হড্ড—হাড়।

হস্তী—হাতি।

খাঁটি বাংলা বলতে এইসব তদ্ভব শব্দকেই বুঝায়। বাংলা ভাষা ভাণ্ডারের প্রায় অর্ধেক এই শ্রেণির শব্দে পূর্ণ। তদ্ভব শব্দ বাংলা ভাষার প্রাণ, আর তৎসম শব্দ তার অলংকার।

অর্ধ-তৎসম শব্দ – যে সমস্ত সংস্কৃত শব্দ প্রাকৃতের পথ না ধরে সরাসরি বাংলা ভাষায় আসতে চেয়েছে, অথচ তৎসম শব্দের মতো নিজের রূপটি অটুট রাখতেও পারে নি, তাদের সেই বিকৃত রূপকেই অর্ধ-তৎসম শব্দ বলে।

যেমন–

কৃষ্ণ–কেষ্ট। 

বৈষ্ণব—বোষ্টম। 

উৎসন্ন—উচ্ছন্ন। 

শ্রাদ্ধ—ছেরাদ্দ।

শ্রী—ছিরি।

প্রণাম—পেন্নাম। 

কীর্তন—কেত্তন। 

বৃহস্পতি–বেস্পতি, বিস্যুত।

একটা ব্যাপার লক্ষ কর — একই সংস্কৃত শব্দ হতে অর্থ-তৎসম শব্দ এবং তদ্ভব শব্দ দুইই পেয়েছি, এমন উদাহরণও দুর্লভ নয়—

সংস্কৃত – তদ্ভব – অর্ধ-তৎসম।

কৃষ্ণ – কানু, কানাই – কেষ্ট।

চন্দ্ৰ – চাঁদ – চন্দোর।

মিত্র – মিতা – মিত্তির।

চক্ৰ – চাক – চক্কুর।

গৃহিণী – ঘরনী– গিন্নী।

রাত্রি – রাত – রাত্তির।

দেশি শব্দ – বঙ্গদেশের প্রাচীনতম অধিবাসী কোল, ভিল প্রভৃতি অনার্যজাতির ভাষা হতে জ্ঞাতমূল বা অজ্ঞাতমূল যে সমস্ত শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলিকে দেশি শব্দ বলে।

যেমন – অঢেল, কাঁচুমাচু, কুলো, কুকুর, খোকা, খুকি, খাঁজ, গাড়ি, গোড়া, ঘাড়, ঘোড়া, চাউল, চাগাড়, চাঙ্গা, চিড়, চিংড়ি, চেঁচামেচি, চোঁচ, ছানা, ঝাঁকা, ঝিঙে, ঝুলি, ডোবা, ডাঁটো, ডাঁসা, ডিঙি, ঢেঁকি, ঢেউ, ডগমগ, ডবকা, ডাহা, ডাগর, তেঁতুল, ধাঁচা, নাদা, পাঁঠা, পেট, বাদুড় ইত্যাদি।

বিদেশি শব্দ – ভারতবর্ষের বাইরের দেশ হতে অথবা ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশ হতে যে-সকল শব্দ স্বরূপে বা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলিকে বিদেশি শব্দ বা আগন্তুক শব্দ বলে।

আগন্তুক শব্দগুলির মধ্যে বহির্ভারতীয় ইংরাজি, আরবি, ফারসি ও পোর্তুগীজ শব্দই সংখ্যায় বেশি। আর, অন্তর্ভারতীয় প্রতিবেশী শব্দাবলীর মধ্যে হিন্দির আধিক্যই উল্লেখনীয়।

আরবী – অকুফ, অছি, অছিলা, আকছার, আদায়, আদালত, আফিম, আলেকুম, আলোয়ান, আমিন, আমির, আয়েশ, ইজারা, ইজ্জত, ইনাম, ইমান, ইমারত, কাজিয়া, কাজী, কাতার, খত, খতম, খেলাপ, গাজী, গাপ, জমানত, জমায়ত, জরিপ, তুলকালাম, তেজারত, তারিখ, দায়রা, দিক, দুনিয়া, নাজিম, দেমাক, দোয়া, দোয়াত, দৌলত, নকশা, বাজে, বাতিল, ফৌজ, বকেয়া, বদর, মানে, মাফ, মারফত, মেরামত, মোকাবিলা, ফিরিস্তি, নকিব, ফানুস, শরাব, শরিফ, শরিয়ত, শামা, সাবুদ, সাবেক হজম, হজরত, হদিস, হাকিম, হারাম, হামলা, হাল, হালুইকর ইত্যাদি।

ফারসি – অজু, অজুহাত, অন্দর, আইন, কামাই, আশকারা, আশরফি, ওস্তাগর, কম, কাগজ, কারিগর, খাকী, খুব, খুশি, গালচে, গুজরান, গুমর, জমি, জরি, চাঁদা, চাপরাস, চাবুক, দস্তানা, দস্তিদার, দহরম, দাগ, দিলাসা, পল, পলক, পশম, পাইকার, নমুনা, বকশিশ, বগল, বজায়, বনিয়াদ, বন্দর, পেশকর, বরদাস্ত, বরফ, রোজা, রাহাজানি, শামিয়ানা, লাগাম, লাশ, শনাক্ত, শোরগোল, সাল, সিপাহী ইত্যাদি।

আরবি-ফারসির মিশ্রণ – ওকালতনামা, কুচকাওয়াজ, কেতাদুরস্ত, কোহিনুর, বেদখল, তাঁবেদার, বেকবুল, বেহায়া, শামাদান, সেরেফ, হকদার, বেহিসাবী ইত্যাদি।

তুর্কী – কলকা, কাঁচি, কানাত, কোর্মা, কুলি, মুচলেকা, বোঁচকা, চিক, তকমা, তোপ ইত্যাদি।

ইংরাজি – অক্সিজেন, আপিস, আপেল, ক্লাব, খাঁটি, ক্যামবিস, কুইনিন, গেঞ্জি, গেট, চিমনি, চান্স, চেক, চেন, টনিক, ড্রেন, থিয়েটার, নোটিস, পিয়স, পিল, পিয়ানো, পীচ, রেস, লিলি, সনেট, সার্কাস, হাইকোর্ট, হুইল, হুক, হোমিওপ্যাথি, সীল ইত্যাদি।

পোর্তুগীজ – আচার, আতা, আনারস, কপি, কাতান, মাইরি, তামাক, তিজেল, বোমা, ফরাসি, ফর্মা, ফিতা, বরগা, বালতি, বেহালা, যিশু, সালসা, মিস্ত্রী, সাগু, কাবার, কামরা, কিরিচ, কেদারা, খানা, কমলালেবু ইত্যাদি।

অন্যান্য বিদেশি শব্দ –

ফরাসি – কার্তজ, কুপন, রেনেসাঁস।

জার্মান – নাৎসী, কিনডারগার্টেন।

স্পেনীয় – ডেঙ্গু।

ওলন্দাজী – ইশকাপন, তুরুপ, রুইতন, হরতন।

গ্রীক – কেন্দ্র, দাম, সুরঙ্গ।

রাশিয়ান – ভডকা, বলশেভিক, স্পুটনিক।

জাপানি – জুজুৎসু, টাইফুন, রিক্শা, হারাকিরি, হাসুনোহানা।

চিনা – চা, লিচু।

সিংহলী – বেরিবেরি।

বৰ্মী – লুঙ্গী।

বিদেশি শব্দাবলির মধ্যে এ-পর্যন্ত বহির্ভারতীয় শব্দের পরিচয় পেলাম। এবার অন্তর্ভারতীয় প্রতিবেশী শব্দ।

হিন্দি – আলাল, ইস্তক, উতরাই, ওয়ালা, কচুরি, কাহিনি, কেয়াবাত, কোরা, খাট্টা, কানা, চালু, চাহিদা, চিকনাই, পানি, পায়দল, ফালতু, বাত, বানি, বীমা, বেলচা।

গুজরাটি – গরবা, তকলি, হরতাল।

মারাঠী – চৌথ, বর্গী।

তামিল – চুরুট। 

তেলুগু – প্যানডেল।

এই যে তৎসম, তদ্ভব, অর্ধ-তৎসম, দেশি বা বিদেশি শব্দরাশি বাংলা ভাষায় চলছে, বাংলার সমন্বয়সাধনী প্রতিভা কয়েকটি স্থলে এই শব্দাবলির শ্রেণিগত বৈষম্যের বালাই লোপ করে দিয়ে সঙ্কর শব্দের সৃষ্টি করেছে।

সঙ্কর শব্দ – এক শ্রেণির শব্দের সঙ্গে অন্য শ্রেণির উপসর্গ প্রত্যয় ইত্যাদির যোগে অথবা বিভিন্ন শ্রেণির শব্দের পারস্পরিক সংযোগে যেসব নূতন শব্দের সৃষ্টি হয়, তাদেরকে সঙ্কর শব্দ বলে।

(ক) তৎসম শব্দ + বাংলা শব্দ – পিতাঠাকুর, মাতাঠাকুরানী, নির্ভল, নিশ্চুপ, কাজকর্ম, ভুলবশত।

(খ) তৎসম শব্দ + বিদেশি শব্দ – হেডপণ্ডিত, বসন্তবাহার, লাটভবন, নৌবহর।

(গ) বিদেশি শব্দ + বাংলা শব্দ – হাটবাজার, মাস্টারমশায়, দুধ-পাউরুটি।

(ঘ) বিদেশি শব্দ + বিদেশি শব্দ – উকিল-ব্যারিস্টার, জজসাহেব, তোয়ালে-চাদর।

(ঙ) তৎসম শব্দ + বাংলা প্রত্যয় – একলা, দীপাবলী, আকাশ-ভরা ইত্যাদি।

(চ) তৎসম শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় – শিক্ষানবিস, উপায়দার, প্রমাণসই ইত্যাদি।

(ছ) বাংলা শব্দ + তৎসম প্রত্যয় – আমিত্ব, কাঁকরময়, রানীত্ব ইত্যাদি।

(জ) বিদেশি শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় – ফুলদানি, বুকসই, ঘুষখোর, ঠিকাদার ইত্যাদি।

(ঝ) বিদেশি শব্দ + তৎসম প্রত্যয় – এজেন্টগণ, খ্রিস্টিয় ইত্যাদি।

(ঞ) বিদেশি শব্দ + বাংলা প্রত্যয় – শহুরে, শাগরেদি, গোলাপী, খেয়ালী ইত্যাদি।

(ট) বিদেশি শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় – ডাক্তারখানা, হররোজ, সরাইখানা, সমঝদার ইত্যাদি।

কোনো কোনো শব্দ তৎসমরূপে এক অর্থ এবং বাংলা বা বিদেশি রূপে সম্পূর্ণ অন্য অর্থ প্রকাশ করে। যেমন –

(ক) বেশ (তৎ)—সজ্জা; বেশ (ফা)—ভালো।

(খ) মঞ্জিল (তৎ)—রজকালয়; মঞ্জিল (আ)—প্রাসাদ।

(গ) তীর (তৎ)—নদীকুল; তীর (ফা)—বাণ।

(ঘ) দীন (তৎ)—দরিদ্র; দীন (আ)—ধর্ম।

শব্দদ্বৈত

গরম জলে হাত দিও না। তোর গাটা কেন গরম-গরম লাগছে রে? গরম বিশেষণটি একবার বসে গরম-সম্বন্ধে নিশ্চয়তার ভাবটি প্রকাশ করছে। কিন্তু গরম-গরম বলায় গরম-সম্বন্ধে কি সন্দেহ জাগছে না? সকাল অর্থে দিনের প্রথম ভাব বোঝায়; কিন্তু সকাল-সকাল বললে আগেভাগে বা নির্ধারিত সময়ের আগেই বোঝায়। একই শব্দেব দ্বিত্ব প্রয়োগের দ্বারা ভাবের বৈচিত্র্য-সম্পাদন বাংলা ভাষার লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

শব্দদ্বৈত – ভাবের বৈচিত্র্য-সম্পাদনের জন্য একই শব্দকে বা সমার্থক শব্দকে পরপর দুইবার পূর্ণরূপে বা ঈষৎ পরিবর্তিত আকারে প্রয়োগ করলে তাকে শব্দদ্বৈত বলা হয়।

শব্দদ্বৈত প্রধানত তিন প্রকারের–

১। দ্বিরুক্ত শব্দের শব্দদ্বৈত – শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ল। টুকরো টুকরো মেঘ।

২। যুগ্মশব্দের শব্দদ্বৈত – গরিবদুখী, দোল-দুর্গোৎসব।

৩। পদবিকারবাচক শব্দদ্বৈত – ভাতটাত, মুড়িটুড়ি।

বাক্য প্রকরণ

সরল বাক্য – যে বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যথা—শ্যাম বাড়ি গিয়ে খেতে বসলে তরুণ এলো।‘এলো’ একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া।

জটিল বাক্য – যখন একটি প্রধান বাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক খণ্ডবাক্য বা অংশবাক্য যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণবাক্য গঠিত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। জটিল বাক্যে একটি অংশবাক্য অন্য একটি অংশবাক্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যথা—যদি মন দিয়ে খেলাপড়া করো, তবে পরীক্ষায় ভালো ফল করবে।

যৌগিক বাক্য – একাধিক সরল বাক্য যখন কোনো অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ বাক্য গঠিত হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যথা—রবি চারদিনে কাজটি করে দেবে বলেছিল কিন্তু সময়মত কাজটি করে দিল না।

মিশ্র বাক্য – যখন এক বা একাধিক সরল বাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক জটিল বাক্য যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে মিশ্র বাক্য বলে। যথা—মন্দ ছেলেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায় না এবং শিক্ষক মহাশয়ের পড়ায় মনোযোগ দেয় না কেবল বাজে সময় নষ্ট করে।

উদাহরণ –

★ দুঃখ ভোগ করছে তাতে পেয়েছে অটল জীবনী শক্তি। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ দুঃখ ভোগ করার মধ্য দিয়ে বা দুঃখ ভোগে পেয়েছে অটল জীবনী শক্তি।

★ তুমি লেখাপড়া শিখিয়া ইহাদিগের কি মঙ্গল সাধিয়াছ? (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ তুমি লেখাপড়া শিখিয়াছ কিন্তু তাহাতে ইহাদিগের কি মঙ্গল সাধিত হইয়াছে?

★ কী সুন্দর দৃশ্য ! (নির্দেশক বাক্যে)

উত্তরঃ দৃশ্যটি বড়োই সুন্দর।

★ বড়ো তেতো। (বিস্ময়সূচক বাক্যে)

উত্তরঃ বাপরে! কী তেতো !

★ তুমি খেলে আমি স্বস্তি পাবো। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি তুমি খাও তবেই আমি স্বস্তি পাবো।

★ মহাবৎ খাঁ যোদ্ধা। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

উত্তরঃ কে এই মহাবৎ খাঁ ?

★ সময়কালে সে উপস্থিত হল না। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন সময় উপস্থিত হল তখ সে উপস্থিত হল না।

★ নির্মেঘ আকাশেও বৃষ্টি হচ্ছে। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ আকাশ যদিও নির্মেঘ তবুও বৃষ্টি হচ্ছে।

★ চারজনে একজনকে বেঁধে রেখে চলে গেল। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ চারজনে একজনকে বাঁধল এবং তারপর চলে গেল।

★ সময়কালে সে উপস্থিত হল না। (অস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ সময়কালে সে অনুপস্থিত রইল।

★ টাকা দিলেই অপমান। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি টাকা দেওয়া হয় তবেই অপমান।

★ লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ দরিদ্র হলেও লোকটি সৎ।

★ বৃথা আশা মরতে মরতেও মরে না। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ বৃথা আশা মুমূর্ষু তবুও তা মরে না।

★ সাধারণ বাঙালির পোশাকে দাঁড়িয়ে তাদের পরিচিত নিমাইবাবু। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ সাধারণ বাঙালির পোশাকে দাঁড়িয়ে যে ভদ্রলোক তিনিই তাদের পরিচিত নিমাইবাবু।

★ তাকে ধরে শিকলি পরিয়ে নিয়ে চলল। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ তাকে ধরল এবং শিকলি পরিয়ে নিয়ে চলল।

★ যে রক্ষক সেই ভক্ষক। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ রক্ষকই ভক্ষক।

★ যে কোনো উপায়ে টাকটা শোধ করে দিতে হবে। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি কোনো উপায় থাকে তবে সেই উপায়েই টাকাটা শোধ করে দিতে হবে।

★ তাই চেনাও শক্ত, ধরাও শক্ত। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ তাই চেনা ও ধরা রীতিমতন শক্ত।

★ ইলিশের মরসুম ফুরালে বিপুলা পদ্মা কৃপণা হয়ে যায়। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন ইলিশের মরসুম ফুরিয়ে যায় তখন বিপুলা পদ্মা কৃপণা হয়ে যায়।

★ তপোবনের কী অনির্বচনীয় মহিমা! (বিস্ময় পরিহার করো)

উত্তরঃ তপোবনের মহিমা সত্যই অনির্বচনীয়।

★ মৃত্যুভয় আবার ভয় কি? (নস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ মৃত্যুভয় কোনো ভয় নয়।

★ তোমাকে অবহেলা করবে সাধ্য কার! (নির্দেশক বাক্যে)

উত্তরঃ তোমাকে অবহেলা করে এমন সাধ্য কারো নেই।

★ সে কোনো উত্তর দিল না। (অস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ সে নিরুত্তর রইল।

★ ভোরের অম্লান সূর্যোদয় দেখে কে মুগ্ধ হয় না? (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ ভোরের অম্লান সূর্যোদয় (সকলেই) দেখে এবং (সকলেই) মুগ্ধ হয়।

★ রেখো মা দাসেরে মনে। (না-বাচক বাক্যে)

উত্তরঃ দাসেরে ভুলিও না।

★ সত্যের কোনো পরাজয় নেই। (প্রশ্নসূচক বাক্যে)

উত্তরঃ সত্যের কি পরাজয় আছে?

★ যদি পড়াশোনা না করো তাহলে পরীক্ষায় পাশ করা মুস্কিল হবে। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ পড়াশোনা না করলে পাশ করা মুস্কিল হবে।

★ তা কষ্টসাধ্য হলেও দুঃসাধ্য নয়। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদিও তা কষ্টসাধ্য তবুও দুঃসাধ্য নয়।

★ বেলা পড়লে মা গৃহকাজে উঠে গেল। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন বেলা পড়ল তখন মা গৃহকাজে উঠে গেল।

★ সব কথার ঠিক ঠিক উত্তর দেয়। (নস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ সব কথার কোনোটিরই ভুল উত্তর দেয় না।

★ সময় নষ্ট করা চলবে না। (হ্যাঁ-বাচক বাক্যে)

উত্তরঃ সময় বাঁচাতে হবে।

★ শিশু প্রথম প্রথম হাঁটতে পারে না। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

উত্তরঃ শিশু কি প্রথম প্রথম হাঁটতে পারে?

★ শরীরটা আজ তার ভালো ছিল না। (অস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ শরীরটা আজ তার খারাপ ছিল।

★ উপার্জন যা হয় তা এই ইলিশের মরশুমে। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ ইলিশের মরশুমেই উপার্জন হয়।

★ ভাগ্য আমাদের সেই চেষ্টা দেখে অট্টহাস্য করছে। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখনই ভাগ্য আমাদের সেই চেষ্টা দেখছে তখনই অট্টহাস্য করছে।

★ এই দুর্ঘটনার অন্তঃপুরে একটা কান্না পড়ে গেল। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ এই দুর্ঘটনা ঘটিল এবং অন্তঃপুরে একটা কান্না পড়িয়া গেল।

★ তাদের পরস্পরের মধ্যে একটা রাস্তা থাকা চাই। (অনুজ্ঞাবাচক বাক্যে)

উত্তরঃ তাদের পরস্পরের মধ্যে একটা রাস্তা অবশ্যই রেখো।

★ যে শিক্ষা অন্তরের অমৃত তার সাহায্যে আমরা মৃত্যুর হাত এড়াব। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ অন্তরের অমৃতস্বরূপ শিক্ষার সাহায্যে আমরা মৃত্যুর হাত এড়াব।

★ না খেয়ে থাকলেও কারোর সাহায্য নেব না। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ না খেয়ে থাকব তবুও কারোর সাহায্য নেব না।

★ যদি যত্ন কর তবেই রত্ন মিলবে। (নস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ যত্ন করলেই রত্ন মিলবে।

★ তোমার কথা সকলেই শোনে (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

উত্তরঃ তোমার কথা কে না শোনে?

★ তোমার চুল পেকেছে, কিন্তু বুদ্ধি পাকেনি। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ তোমার চুল পাকলেও বুদ্ধি পাকেনি।

★ ধরা পড়লে আর রক্ষা থাকবে না। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি ধরা পড়ো তাহলে আর রক্ষা থাকবে না।

★ টাকায় সবই হয়। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)

উত্তরঃ টাকায় কী না হয়?

★ মধু যদি যায় তবেই সে যাবে। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ মধু গেলেই সে যাবে।

★ এমন কাজ করা উচিত নয়। (অনুজ্ঞাবাচক বাক্যে)

উত্তরঃ এমন কাজ কখনই কোরো না।

★ যার বুদ্ধি নেই সে-ই এমন কাজ করতে পারে। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ বুদ্ধিহীনই এমন কাজ করতে পারে।

★ আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখবে না। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ আজকের কাজ আজকেই করো কিন্তু কালকের জন্য ফেলে রাখবে না।

★ রমেশ অনেক ব্যাপারে কথা দেয় কিন্তু কখনই তা রাখে না। (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ রমেশ অনেক ব্যাপারে কথা দিলেও তা কখনও রাখে না।

★ অল্প মানুষই বেদ বেদান্তের অর্থ বোঝে। (নস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ খুব বেশি মানুষ বেদ বেদান্তের অর্থ বোঝে না।

★ গভীর আত্মপ্রত্যয়ে সাফল্য লাভ সম্ভব। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি গভীর আত্মপ্রত্যয় থাকে তবেই সাফল্য লাভ সম্ভব।

★ বা কী সাহস তোমার! (নির্দেশক বাক্যে)

উত্তরঃ তোমার বড়ই সাহস।

★ সে কোনো উত্তর দিল না। (নির্দেশমূলক বাক্যে)

উত্তরঃ তার কাছে কোনো উত্তর পাওয়া গেল না।

★ বধূর এখানে কোনো অধিকার নাই। (অস্ত্যর্থক বাক্যে)

উত্তরঃ বধূ এখানে অধিকারহীন।

★ অনুগ্রহ করে ভাবতে গেলে বারে বারে অন্যমনস্ক হতে হয়। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যখন অনুগ্রহ করে ভাবতে হয় তখন বারে বারে অন্যমনস্ক দেখায়।

★ তোমার সুখেই আমার সুখ। (জটিল বাক্যে)

উত্তরঃ যদি তুমি সুখী হও তাহলেই আমার সুখ ।

★ আপনি যদি আসেন তবে ভাবনা কী? (সরল বাক্যে)

উত্তরঃ আপনি এলে ভাবনা কী?

★ অসুস্থতার জন্যে আমি গান করতে পারবো না। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তরঃ আমি অসুস্থ, সেইজন্য গান করতে পারবো না।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top