Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer is made for Assam Seba Board students. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ
Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 10 Bengali Byakoron Suggestion, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Question Answer, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Notes, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Solution, Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer absolutely free of cost. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ | মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বই, বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই, বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ কারক, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ সমাস, দশম শ্রেণির ব্যাকরণ, If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
ব্যাকরণ
আবেদন পত্র
★ তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি প্রার্থনা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত।
মাননীয় প্রধান শিক্ষক সমীপেষু—
গৌহাটি ইংরাজি উচ্চবিদ্যালয়
মহাশয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আজ স্কুলে উপস্থিত হবার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমি দারুণ শিরঃপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ভীষণ অস্থিরতা বোধ করছি।
অতএব, আমাকে তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি প্রদান করলে বাধিত হব।
তারিখ ১২.০৫.২০১৮
বিনীত নিবেদন
ঋষি বোস
১০ম শ্রেণি
ক্রমিক নং-১১
★ তোমার বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে রচিত আবেদন পত্র।
সুধী,
আগামী ৫ জানুয়ারি, শুক্রবার অপরাহ্ন ৪ ঘটিকার সময় আমাদের স্কুল মিলনায়তনে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব ২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। মাননীয় পৌর প্রধান সম্মানিত সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করবেন।
আমরা এ উপলক্ষে আপনার সানুগ্রহ ও সবান্ধব উপস্থিতি কামনা করি।
তাং : ১.০২.২০১৮
বিনীত
নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
★ তোমার ছোটো বোনের বিবাহ উপলক্ষে একখানা আমন্ত্রণ পত্র।
মহাশয়,
আগামী ২৭ পৌষ, রবিবার আমার ছোটো বোন অমিতার সঙ্গে হাটহাজারী গ্রাম নিবাসী মহাশয় সুনীল সেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র অলকের শুভ পরিণয় অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি সবান্ধবে উপস্থিত হয়ে বর-কনেকে আশীর্বাদ করবেন। পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণের ত্রুটি মার্জনীয়।
নিবেদনে
সঞ্জয় পাল
স্থান : মোতি প্যালেস
শিলচর, আসাম।
★ তোমার নিজ এলাকায় বন্যা কবলিত জনসাধারণের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসকের নিকট একখানা আবেদন পত্র ।
করিমগঞ্জ জেলার মাননীয় জেলাশাসক মহোদয় সমীপেষু
মহাশয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত অধিকাংশ গ্রাম আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণের অধিকাংশ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছে, বহু পশু মরে গেছে। বলতে গেলে অধিকাংশ গ্রামবাসী এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় অনশন ও অর্ধাশনে কালযাপন করছে। ব্যাপকভাবে সংক্রামক রোগেরও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
অতএব সবিনয় নিবেদন এই যে, এতদ্ অঞ্চলের দুঃস্থ মানুষের সাহায্যার্থে অবিলমে সরকারের তরফ হতে রিলিফের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করছি।
করিমগঞ্জ
১১.০১.২০১৮
নিবেদনে
অজয় বড়ুয়া
★ তোমার এলাকায় জলকষ্টের আশু প্রতিকারের জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন পত্র।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় সমীপেষু
শিলচর পৌরসভা
মহাশয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমাদের ২০ নং ওয়ার্ডে পানীয় জলের অভাবে কয়েকশো পরিবার নিরতিশয় কষ্ট ভোগ করে আসছে। এখানে প্রায় দুই হাজার লোকের বাস। অথচ এখানে নলকূপের সংখ্যা মাত্র ৬টি। ভালো কোনো পুকুরও নেই। নলকূপগুলির জল আর্সেনিক যুক্ত হওয়ায় পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দরিদ্র মানুষ বিষাক্ত জল পান করে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে। জনগণের দুর্ভাগ্য যে, জনস্বাস্থ্য বিভাগের কৃপাদৃষ্টি আজ পর্যন্ত এই দুর্গত অঞ্চলের প্রতি নিবদ্ধ হয়নি।
অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে পৌরসভার সর্বময় কর্তা হিসেবে মহোদয় এই দুঃস্থ মানুষদের সেবায় এগিয়ে এসে অচিরে আমাদের এলাকার জনগণের জলকষ্টের প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে আজ্ঞা করবেন।
বিনীত নিবেদক
প্রবীর চক্রবর্তী
২০নং ওয়ার্ড, শিলচর
তারিখ : ১৯.১২.২০১৮
★ তোমার অঞ্চলের একটি রাস্তার সংস্কার সম্বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে চিঠি লেখ।
মাননীয় সম্পাদক মহোদয় সমীপেষু
দৈনিক অসম
সেন্ট্রাল রোড, শিলচর, আসাম,
মহাশয়,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় এতদ্সঙ্গে প্রেরিত পত্রখানা প্রকাশ করলে এতদঞ্চলের প্রবঞ্চিত মানুষের অশেষ উপকার সাধন হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
“রাস্তা-সংস্কার”
আমরা শিলচর জেলার সেন্ট্রাল রোডের অধিবাসীরা বহুদিন হতে রাস্তাঘাটের অভাবে কল্পনাতীত অসুবিধার মধ্যে জীবন-যাপন করছি। আমরা বলতে গেলে বহির্জগত হতে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছি। সেন্ট্রাল রোড হতে রেলস্টেশন পর্যন্ত তিন মাইল যাতায়াতের জন্য কেবল একটি রাস্তা রয়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তায় বহু লোক চলাচল করে। অথচ দেশ স্বাধীন হবার পর হতে এই রাস্তার কোনো মেরামত আজ পর্যন্ত হয়নি। ফলে এই রাস্তা অনেক স্থানে ভেঙে গেছে। এতদঞ্চলের প্রায় অর্থলক্ষাধিক লোকের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির এই শোচনীয় অবস্থা কর্তৃপক্ষ নীরবে কয়েক বছর যাবৎ লক্ষ করে আসছেন বটে, কিন্তু প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থাই আজ পর্যন্ত গ্রহণ করেননি। এই জেলার একটি বিরাট অঞ্চলের সহিত বহিরাঞ্চলের সম্পর্ক স্থাপনকারী এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অবিলম্বে পাকা করা দরকার। আমরা এই রাস্তাটির সংস্কার সম্পর্কে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সানুগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইতি—
স্থানীয় জনগণের পক্ষে
অতুল্য ঘোষ
সেন্ট্রাল রোড, শিলচর
তারিখ : ১ জুন, ২০১৮
বাক্য সংকোচন
রচনার চমৎকারিত্ব সৃষ্টির জন্য এবং ভাবের সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য বাক সংহতির প্রয়োজন। বাক্য সংহতির অন্য নাম একপদে পরিণতকরণ। কতকগুলি উপায়ে বাক্যাংশের বা পদ-সমষ্টির সংকোচন সম্ভব। সেই উপায়গুলি হল: ১ কৃৎ-প্রত্যয় যোগে, ২. তদ্ধিত-প্রত্যয় যোগে, ৩. সমাস-প্রয়োগে এবং ৪. সম্পূর্ণ ভিন্ন শব্দের প্রয়োগে।
১। কৃৎ প্রত্যয় যোগে –
★ অনুকরণ করিবার ইচ্ছা = অনুচিকীর্ষা।
★ উপকার করিবার ইচ্ছা = উপচিকীর্ষা।
★ লাভ করিবার ইচ্ছা = লিপ্সা।
★ গমনের ইচ্ছা = জিগমিষা।
★ জয় করিবার ইচ্ছা জিগীষা।
★ জানিবার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা।
★ শুনিবার ইচ্ছা = শুশ্রূষা।
★ মুক্তির বাসনা = মুমুক্ষা।
★ মরিবার ইচ্ছা = মুমূর্ষা।
★ যাহার মৃত্যু নিকটবর্তী = মুমূর্ষু।
★ খাইবার ইচ্ছা = বুভুক্ষা।
★ ক্ষমা করিবার ইচ্ছা = তিতিক্ষা।
★ দেখিবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা।
★ পার হইতে বা ত্রাণ লাভ করিতে অভিলাষী = তিতীর্ষ।
★ হনন [হত্যা বা বধ] করিবার ইচ্ছা = জিঘাংসা ।
★ পান করিবার ইচ্ছা = পিপাসা।
★ সহ্য করা যাহার স্বভাব = সহিষ্ণু।
★ যাহা বৃদ্ধি পাইতেছে = বর্ধিষ্ণু।
★ যাহা ক্ষয় পাইতেছে = ক্ষয়িষ্ণু।
★ যাহা পুনঃ পুনঃ দুলিতেছে = দোদুল্যমান।
★ যাহা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে বা জ্বল্ জ্বল্ করিতেছে = জাজ্বল্যমান।
★ যে পুনঃ পুনঃ কাঁদিতেছে = রোরুদ্যমান।
★ যাহা উড়িয়া যাইতেছে = উড়ন্ত, উড্ডীয়মান।
★ যাহা ধূম উদিগরণ করিছে = ধূমায়মান।
★ যাহা দীপ্তি পাইতেছে = দীপ্যমান।
★ যাহা সঞ্চয় করা হইতেছে = সঞ্চীয়মান।
★ যে বস্তুর অপচয় হইতেছে = অপচীয়মান।
★ যে কষ্ট সহিতে পারে = কষ্টসহিষ্ণু।
★ যাহারা এক স্থান হইতে অন্যস্থানে যাতায়াত করে = যাযাবর।
★ যে নিজেকে পণ্ডিত মনে করে = পণ্ডিতন্মন্য।
★ যে নারী সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পশ্যা।
★ যিনি বহু দেখিয়াছেন = বহুদর্শী, ভুয়োদর্শী।
★ যিনি দূরের ঘটনাও দেখিতে পান = দূরদর্শী।
★ পরিণামে কি হইবে দেখার ক্ষমতা যাহার নাই = অপরিণামদর্শী।
★ যে নারীর বিবাহ হয় নাই = অনূঢ়া।
★ যে কর্মের অযোগ্য = অকর্মণ্য
★ অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী।
★ মধু পান করে যে = মধুপ।
★ গৃহে থাকে যে = গৃহস্থ।
★ ঈশ্বরের অস্তিত্বে যে বিশ্বাস করে = আস্তিক।
★ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না যে = নাস্তিক।
★ মনুর পুত্র = মানব।
★ দনুর পুত্র = দানব।
★ অদিতির পুত্র আদিত্য। পৃথুর পুত্র = পার্থ।
★ ভৃগুর পুত্র = ভাগব।
★ কুন্তীর পুত্র = কৌন্তেয়।
★ জনকের কন্যা = জানকী।
★ ব্যাকরণ জানেন যিনি = বৈয়াকরণ।
★ বিজ্ঞান জানেন যিনি = বৈজ্ঞানিক।
★ ইতিহাস জানেন যিনি = ঐতিহাসিক
★ স্মৃতি জানেন যিনি = স্মার্ত।
★ বুদ্ধের উপাসনা করেন যিনি = বৌদ্ধ।
★ বিষ্ণুর উপাসনা করেন যিনি = বৈষ্ণব
★ শক্তির উপাসনা করেন যিনি = শাক্ত।
★ গণপতির উপাসনা করেন যিনি গাণপত্য।
★ শিবের উপাসনা করেন যিনি = শৈব
★ সব চেয়ে বড় = জ্যেষ্ঠ।
★ সব চেয়ে ছোট = কনিষ্ঠ।
★ যাহা বনে জাত = বন্য, বনজ।
★ যাহা যুক্তিসঙ্গত নহে = অযৌক্তিক।
★ যে স্ত্রীর বশীভূত = স্ত্ৰৈণ।
★ রেশমে নির্মিত = রেশমী।
★ শরীর সম্বন্ধীয় = শারীরিক।
★ যাহা হেমন্তকালে জন্মে = হৈমন্তিক।
★ যাহা শরৎকালে ঘটে = শারদীয়।
★ যিনি ঋষির মতন = ঋষিকল্প।
★ বোকার মত = বোকাটে।
★ পাগলের মত = পাগলাটে
★ ডুব দিতে জানে যে = ডুবুরি।
★ যে বিনা বেতনে কাজ করে বা যাহাতে বেতন লওয়া হয় না = অবৈতনিক।
★ দিবসের শেষ ভাগ = অপরাহ্ন।
★ যে তীর নিক্ষেপ করে = তীরন্দাজ।
★ পরিতুষ্ট হইয়া যাহা দেওয়া হয় =পারিতোষিক।
★ যিনি পুরাকালের বিষয় জানেন = পুরাতাত্ত্বিক।
★ পার হইবার জন্য যে মূল্য = পারানি।
★ পূর্বকাল সম্পর্কিত = প্রাক্তন।
★ বালকের অহিত = বালাই।
★ বার মাসের কাহিনী = বারমাস্যা।
★ ময়ূরের কণ্ঠের ন্যায় রং যাহার = ময়ূরকণ্ঠী।
★ জুয়া খেলে যে = জুয়ারী বা জুয়াড়ী।
★ চৈত্রমাসে উৎপন্ন = চৈতালী।
★ পাটনায় উৎপন = পাটনাই।
★ যে সাপ ধরিতে পটু = সাপুড়িয়া, সাপুড়ে।
★ প্রভাত হয় হয় = প্রভাতকল্প।
★ যে বহু কথা বলে বাচাল। যে মায়া জানে না = অমায়িক।
★ আট মাস যে জন্মিয়াছে = আটাশে।
★ এক পঙ্ক্তিতে বসার অযোগ্য = অপাঙ্ক্তেয়।
★ কোথাও উঁচু কোথাও নীচু = বন্ধুর।
★ যাহা সারাদিন [আট প্রহর] ব্যবহৃত হয় = আটপৌরে।
★ নদী মাতা যাহার = নদীমাতৃক।
★ যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়াইয়া মরে = হাতুড়ে।
★ যে বিচার না করিয়া কাজ করে = অবিমৃষ্যকারী।
★ পতিপুত্রযুক্তা নারী = বীরা।
★ যে নারী পতিপুত্রহীনা = অবীরা।
★ যে জমিতে দুইবার ফসল হয় = দোফসলী।
★ দুই দিকের হার [অনুপাত] সমান যাহার = দোহারা।
★ দুইয়ের মধ্যে একটি = অন্যতর।
★ বর্ণমালার পারম্পর্য রক্ষা করিয়া = বর্ণানুক্রমিক।
★ যিনি পণ্ডিত হইয়াও মূৰ্খ = পণ্ডিতমূৰ্খ।
★ গো-র ন্যায় বেচারী = গোবেচারী।
★ শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।
★ বীর যে শিশু = শিশুবীর।
★ শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী।
★ পা হইতে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক।
★ জীবন পর্যন্ত = আজীবন।
★ দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ।
★ ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।
★ কূলের বিরুদ্ধে = প্রতিকূল।
★ জন্ম হইতে অন্ধ = জন্মান্ধ।
★ পুত্র নাই যাহার = অপুত্রক।
★ পত্নী মৃত হইয়াছে যাহার = বিপত্নীক।
★ পত্নীর সহিত বর্তমান = সপত্নীক।
★ একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ।
★ কানে কানে যে মন্ত্রণা = কানাকানি।
★ যাহার সর্বস্ব হৃত হইয়াছে = হৃতসর্বস্ব।
★ কৃষি মাতা যে দেশের = কৃষিমাতৃক।
★ দুইদিকে অপ্ [জল] যাহার = দ্বীপ।
★ যে স্ত্রীর ভর্তা [স্বামী] বিদেশে আছেন = প্রোষিতভর্তৃকা।
★ যাহার মন অন্য দিকে নাই = অনন্যমনা।
★ যাহার দাড়ি জন্মায় নাই = অজাতশ্মশ্রু।
★ সুগন্ধ আছে যাহার = সুগন্ধি।
★ গাণ্ডীব ধনু যাহার = গাণ্ডীবধন্বা।
★ স্বামী নাই যাহার = বিধবা।
★ যাহার মমতা নাই = নির্মম।
★ সমুদ্র হইতে হিমাচল পর্যন্ত = আসমুদ্র-হিমাচল।
★ সাগর সমেত পৃথিবী = সসাগরা-পৃথিবী।
★ যাহার পরিমাণ করা যায় না= অপরিমেয়
★ যাহার উপায় নাই = নিরুপায়।
★ যাহার অন্য উপায় নাই = অনন্যো পায়।
★ যাহার ভাতের অভাব আছে = হাভাতে।
★ যাহার ঘরের অভাব আছে = হা-ঘরে।
★ যাহার কুল ও শীল জানা নাই = অজ্ঞাতকূলশীল।
★ যাহা খুব [অতি] দীর্ঘ নহে = নাতিদীর্ঘ।
★ যাহা অতি শীতও নয়, উষ্ণও নয় = নীতিশীতোষ্ণ।
★ সামান্য উষ্ণ = কবোষ্ণ।
★ যাহা হইতে পারে না = অসম্ভব।
★ যাহা শোনার যোগ্য নহে = অশ্রাব্য।
★ যাহা বলার যোগ্য নহে = অকথ্য।
★ কৰ্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত = আকর্ণ। জন্ম হইতে = আজন্ম।
★ মৃত্যু [মরণ] পর্যন্ত = আমৃত্যু [আমরণ]।
★ উপস্থিত বুদ্ধি যাহার আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি।
★ যাহা প্রথমে মধুর = আপাতমধুর।
★ যতটা পারা যায় [শক্তিকে অতিক্রম না করিয়া] = যথাশক্তি।
★ যে বিদেশে থাকে = প্রবাসী।
★ শৈশব হইতে = আশৈশব।
★ কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।
★ জানু পর্যন্ত লম্বিত = আজানুলম্বিত।
★ নাভি পর্যন্ত লম্বিত হার = ললন্তিকা
★ পথ দেখায় যে =পথপ্রদর্শক।
★ শিক্ষার উপর নির্ভর না করিয়া = শিক্ষা-নিরপেক্ষ।
★ যে পরিমিত কথা বলে = মিতভাষী।
★ যে আয় বুঝিয়া ব্যয় করে = মিতব্যয়ী।
★ যে গলায় কাপড় দিয়াছে = গললগ্নীকৃতবাস।
★ ইন্দ্রিয় জয় করিয়াছেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়।
★ যাহার দ্বিতীয় বা সদৃশ নাই = অদ্বিতীয়।
★ যাহা নিজ অধিকারের বহির্ভূত, তাহার চর্চা = অনধিকারচর্চা।
★ যাহা অন্য ব্যক্তিতে সাধারণ নয় = অনন্যসাধারণ।
★ কুৎসিত আকার যাহার = কদাকার।
★ খেলায় পটু যে = খেলোয়াড়।
★ যে নারীর একটিমাত্র সন্তান = কাকবন্ধ্যা।
★ যে শুভক্ষণে জন্মিয়াছে = ক্ষণজন্মা
★ যাহার ঘাম ঝরিতেছে = গলদঘর্ম।
★ দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সন্ধিক্ষণ = গোধূলি।
★ যে গাছে বছরে দুইবার ফল ধরে = দোফলা।
★ দুই রথীর যুদ্ধ = দ্বৈরথ।
★ ধনুর দ্বারা যে যুদ্ধ করে = ধনুর্ধর।
★ যে কাহারও অপেক্ষা রাখে না = নিরপেক্ষ।
★ যাহার গুণ নাই = নির্গুণ।
★ যাহার জন্য কর দিতে হয় না = নিষ্কর।
★ পরের সৌভাগ্য দেখিলে যে কাতর হয় = পরশ্রী কাতর।
★ মৃত্যু কামনায় উপবাস = প্রায়োপবেশন।
★ সর্বজন সম্বন্ধীয় • সার্বজনীন।
★ সর্বজনের কল্যাণে = সবর্জনীন।
★ যাহার অনুরাগ দূরত্ব হইয়াছে = বীতরাগ।
★ খরচের হিসাব নাই যাহার =বেহিসাবী।
★ বন্দোবস্তের অভাব=বেবন্দোবস্ত।
★ ছল করিয়া কান্না = মায়াকান্না।
★ যে নারীর হাসি শুচি = শুচিস্মিতা।
★ স্ত্রীর সহিত বর্তমান = সন্ত্ৰীক।
★ হৃদয়ের প্রীতিকর = হৃদ্য।
★ যেখানে মাছি প্রবেশ করিতে পারে না = নিমক্ষিক।
★ যে কোন অবলম্বন ছাড়াই থাকে = নিরালম্ব।
★ যাহার কিছুই নাই = নিঃস্ব, অকিঞ্চন।
★ হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার = চতুরঙ্গ।
★ যে নারীর সন্তান হয় না = বন্ধ্যা।
★ যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।
★ বেদান্ত জানেন যিনি = বৈদান্তিক।
★ বেদ জানেন যিনি = বেদজ্ঞ।
★ যাহার শ্রী আছে = শ্রীমান, শ্রীমতী [নারী]।
★ পুরুষের উদ্দাম নৃত্য = তাণ্ডব।
★ বাঘের চামড়া = কৃত্তি।
★ হরিণের চামড়া = অজিন।
★ পরিব্রাজকের বৃত্তি = প্রব্রজ্যা।
★ পরিব্রাজকের ভিক্ষা = মাধুকরী।
★ হস্তীর চীৎকার = বৃংহণ, বৃংহিত।
★ ধনুকের শব্দ = টঙ্কার।
উক্তি-পরিবর্তন
এই বক্তা এবং শ্রোতাকে লইয়া কথার কারবার। বক্তা যখন অন্যের কথা শ্রোতার কাছে বিবৃত করে, তখন সে দুইভাবে এরকম করতে পারে : এক নিজের জবানিতে এবং দুই অন্যে যেভাবে বলেছে, হুবহু ঠিক সেইভাবে—সেই অন্যের জবানিতে। উক্তি বলা হয়।
উক্তি [Narration] – বক্তার বাক্যটিকে অবিকৃতভাবে উদ্ধৃত করা বা প্রকাশকের নিজের কথায় রূপান্তরিত করে বলাকে ব্যাকরণে উক্তি বলে।
বক্তা শ্রোতার সম্মুখে তাঁর বক্তব্য দুই প্রকারের উপস্থাপিত করতে পারেন, নিজস্ব উক্তিতে অথবা অপরের উক্তিতে। কাজেই, উক্তি দুই প্রকাবঃ প্রত্যক্ষ উক্তি এবং পরোক্ষ উক্তি।
১। প্রত্যক্ষ উক্তি [Direct Narration] – বক্তা যদি অন্য কোন বক্তার উক্তি অপরিবর্তিতভাবে হুবহু শ্রোতার সম্মুখে উপস্থাপিত করেন, তবে তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলা হয়। যেমন – আলেকজাণ্ডার পুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি আমার নিকট কিরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা করেন?’
২। পরোক্ষ উক্তি [Indirect Narration] – বক্তা অন্য কোন বক্তার উক্তিকে নিজের মতো করে অর্থাৎ নিজের উক্তিতে প্রকাশ করলে তাকে পরোক্ষ উক্তি বলা হয়। যেমন – আলোকজাণ্ডার পুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে তিনি তাঁহার নিকট কিরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা করেন।
প্রত্যক্ষ উক্তিকে পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তিত করার নিয়মঃ
১। প্রত্যক্ষ উক্তিতে যে উদ্ধৃত চিহ্ন বা ড্যাস-চিহ্ন থাকে, তা উঠিয়ে পরোক্ষ উক্তিতে তার স্থানে ‘যে এই সংযোজক অব্যয় বসাতে হয়।
২। প্রত্যক্ষ উক্তিতে যে পুরুষের ক্রিয়া থাকে, পরোক্ষ উক্তিতে তা উক্তিটির ভাব-অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
৩। সাধারণতঃ উত্তম ও মধ্য পুরুষের স্থানে প্রথম পুরুষ হয়। ক্ষেত্র-বিশেষে ভাবপ্রকাশের সহায়ক নূতন শব্দও ব্যবহার করতে হয়।
৪। ইংরেজিতে যেমন প্রত্যক্ষ উক্তির প্রধান ক্রিয়াটির কাল-অনুযায়ী পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়ার কাল পরিবর্তিত হয়, বাংলায় তেমন হয় না।
৫। প্রত্যক্ষ উক্তির সর্বনাম পদকে পরোক্ষ উক্তিতে ভাব-অনুযায়ী পরিবর্তিত করতে হয়।
৬। প্রত্যক্ষ উক্তিতে সম্বোধন পদ থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে উহা কর্মকারকে রূপান্তরিত হয়।
৭। প্রত্যক্ষ উক্তিতে অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া থাকলে উহা পরোক্ষ উক্তিতে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত হয়।
৮। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বিস্ময়বোধক বাক্য থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে উহা ভাবানুযায়ী শব্দের প্রয়োগে রূপান্তরিত করতে হয়।
৯। প্রত্যক্ষ উক্তিতে মূল ক্রিয়া যদি সাধু ভাষায় হয়, তবে পরোক্ষ উক্তিতে সম্পূর্ণ বাক্যই সাধুভাষায় হবে ; আর মূল ক্রিয়া চলিত ভাষায় হলে পরোক্ষ উক্তিতে সম্পূর্ণ বাক্যই চলিত ভাষায় হবে।
১০। প্রত্যক্ষ উক্তিতে অদ্য, এখন, এখানে, আগামীকল্য, গতকল্য, ইতিমধ্যে ইত্যাদি শব্দ থাকলে তা পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তিত আকারে যথাক্রমে সেইদিন, তখন, সেখানে বা সেইখানে, পরদিন, পূর্বদিন, তৎপূর্বে ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়।
উক্তি-পরিবর্তন
এক. প্রত্যক্ষ উক্তি – রামকানাই ছুটিয়া আসিয়া বলিলেন, ‘মেজবউ, তোমার তো বুদ্ধিনাশের সময় হয় নাই ; তবে তোমার এমন ব্যবহার কেন? দাদা গেলেন, এখন আমি তো রহিয়া গেলাম। তোমার যা-কিছু বক্তব্য আছে, অবসর মত আমাকে বলিও, এখন ঠিক সময় নয়।’
পরোক্ষ উক্তি – রামকানাই ছুটিয়া আসিয়া মেজবউকে ডাকিয়া বলিলেন যে তাঁহার [মেজবউর] তো বুদ্ধিনাশের সময় তখন হয় নাই। তবে তাঁহার তেমন ব্যবহারের কারণ কি তাহা তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন। রামকানাইয়ের দাদা গিয়াছিলেন, তখন তিনি তো রহিয়া গিয়াছিলেন। তাই তাঁহার যা-কিছু বক্তব্য ছিল, তাহা অবসর মত তাঁহাকে বলিবার জন্য তিনি তাঁহাকে অনুরোধ করিলেন। কারণ তখন ঠিক সময় ছিল না।
দুই. প্রত্যক্ষ উক্তি – ঠাকুরদাস যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, ঐ স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপঠাকুর, আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই? তিনি বলিলেন, না, মা, আজ আমি, এখন পর্যন্ত, কিছুই খাই নাই। তখন, সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর, জল খাইও না, একটু অপেক্ষা কর।
পরোক্ষ উক্তি – ঠাকুরদাস যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া ঐ স্ত্রীলোক তাঁহাকে সস্নেহে জিজ্ঞাসা করিলেন যে সেদিন তাঁহার খাওয়া হইয়াছে কিনা। তিনি [ঠাকুরদাস] সসম্ভ্রমে তাঁহাকে জানাইলেন যে সেদিন তখন পর্যন্ত তিনি কিছুই খান নাই। তখন সেই স্ত্রীলোক সস্নেহে ঠাকুরদাসকে জল না খাইতে এবং একটু অপেক্ষা করিতে অনুরোধ করিলেন।
তিন. প্রত্যক্ষ উক্তি – কারখানার লোকেরা বললে, ‘আজ কিছু করা অসম্ভব কাল চেষ্টা দেখা যাবে।’ আমরা জিজ্ঞাসা করলুম, ‘রাত্রে আশ্রয় কোথায়?’ তারা বলল, ‘ডাক বাংলায়।
পরোক্ষ উক্তি – কারখানার লোকেরা আমাদের জানালে যে, সেদিন কিছু করা অসম্ভব। পরের দিন চেষ্টা দেখবে তারা বললে। আমরা রাত্রে কোথায় থাকবো তাদের জিজ্ঞাসা করলুম। তারা আমাদের ডাক বাংলায় থাকতে বললে।
চার. প্রত্যক্ষ উক্তি – রাজকুমারী তখন হীরে-জড়ানো হাতের বালা সখীর হাতে দিয়ে বললেন, “যা ভাই, এই বালার বদলে ঐ রাখালের কাছ থেকে এক গাছা দড়ি নিয়ে আয়।”
রাজকুমারীর সখী সেই বালা হাতে বাপ্পার কাছে এসে বললে, “এই বালার বদলে রাজকুমারীকে এক গাছা দড়ি দিতে পার ?”
হাসতে হাসতে বাপ্পা বললেন, “পারি, যদি রাজকুমারী আমায় বিয়ে করেন।”
পরোক্ষ উক্তি – রাজকুমারী তখন হীরে-জড়ানো হাতের বালা সখীর হাতে দিয়ে ঐ বালার বদলে ঐ রাখালের কাছ থেকে একগাছা দড়ি নিয়ে আসবার জন্যে অনুরোধ করলেন। রাজকুমারীর সখী সেই বালা হাতে বাপ্পার কাছে গিয়ে তিনি ঐ বালার বদলে রাজকুমারীকে এক গাছা দড়ি দিতে পারেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে। হাসতে হাসতে বাপ্পা বললেন যে, যদি রাজকুমারী তাঁকে বিয়ে করেন, তাহলে তিনি তা পারেন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.