SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 Bengali Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF SEBA Class 10 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 10 Bengali (MIL) Chapter – 4 প্রতিনিধি Suggestions with you. SEBA Class 10 Bengali Solutions Chapter – 4 প্রতিনিধি I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Notes. If you liked SEBA Class 10 Bengali Chapter – 4 প্রতিনিধি Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রতিনিধি
অনুশীলনীর প্ৰশ্নোত্তরঃ
১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
( ক ) শিবাজি কে ?
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রের মারাঠা জাতির জাতীয় বীর হলেন ছত্রপতি শিবাজি ।
( খ ) প্রতিনিধি কবিতার কবি কে ?
উত্তরঃ প্রতিনিধি কবিতার কবি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
( গ ) শিবাজি কখন তাঁর গুরুকে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে দেখেছেন ?
উত্তরঃ একদিন প্রভাতে শিবাজি তাঁর গুরুকে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে দেখেছেন ।
( ঘ ) শিবাজি বালাজির হাতে কী লিখে দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ শিবাজি বালাজির হাতে চিঠি লিখে দিয়েছিলেন ।
( ঙ ) কোথা থেকে শিবাজি তাঁর গুরুকে ভিক্ষা করতে দেখেছেন ?
উত্তরঃ দুর্গদ্বার থেকে শিবাজি তাঁর গুরুকে ভিক্ষা করতে দেখেছেন ।
( চ ) গুরু শিবাজিকে , কাঁধে ঝুলি তুলে দিলেন কেন ?
উত্তরঃ গুরু শিবাজিকে , ভিক্ষা করার জন্য কাঁধে ঝলি তুলে দিয়েছিলেন।
( ছ ) শিবাজি তাঁর গুরুকে চিঠিতে কী দান করেছিলেন ?
উত্তরঃ শিবাজি তাঁর গুরুকে চিঠিতে রাজ্য ও রাজধানী দান করেছিলেন।
( জ ) আলোচ্য কবিতায় শিষ্য গুরুর প্রসাদ কখন গ্রহণ করেছিলেন ?
উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় শিষ্য মধ্যাহ্ন স্নানের পর গুরুর প্রসাদ গ্রহণ করেছিলেন ।
( ঝ ) গুরু তাঁর শিষ্যকে কী দিয়ে তাঁর পতাকা নির্মাণ করে নিতে বলেছেন ?
উত্তরঃ গুরু তাঁর শিষ্যকে বৈরাগীর উত্তরীয় দিয়ে তাঁর পতাকা নির্মাণ করে নিতে বলেছেন ।
( ঞ ) কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে পাঠ্য কবিতাটি গৃহীত হয়েছে ?
উত্তরঃ কবির “ কথা ও কাহিনি ” কাব্যগ্রন্থ থেকে পাঠ্য কবিতাটি গৃহীত হয়েছে ।
২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
( ক ) কী উদ্দেশ্যে শিবাজি তাঁর গুরুর পদে রাজ্য ও রাজধানী দান করেছিলেন ?
উত্তরঃ একদিন প্রভাতে শিবাজি দুর্গশীর্ষ থেকে দেখতে পান যে তাঁর গুরু দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছেন । শিবাজির ধারণা হলো তিনি যদি রাজ্য ও রাজধানী গুরুকে সমর্পণ করেন তবে গুরু রামদাস ভিক্ষা বন্ধ করে দেবেন ।
( খ ) প্রকৃত রাজার ধর্ম কী ?
উত্তরঃ প্রকৃত রাজার আসল ধর্ম হলো সুষ্ঠুভাবে প্রজাপালন করা । রাজার রাজত্ব প্রজাদের সুশাসনের জন্য , উৎপীড়নের জন্য নয় । রাজ্য রাজার নয় , তিনি ভগবানের প্রতিনিধি মাত্র ।
( গ ) রাজর্ষি হওয়ার যোগ্যতা কারা পেতে পারেন ?
উত্তরঃ রাজা হবেন ভিক্ষুকের প্রতিনিধি । যারা রিক্ত , ঐশ্বর্যহীন , সর্বত্যাগী প্রকৃত রাজার এই গুণগুলি থাকলেই তিনি রাজর্ষি হবার গুণ ও যোগ্যতা পেতে পারেন ।
( ঘ ) রবীন্দ্রনাথ রচিত চারটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো ।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ রচিত চারটি কাব্যগ্রন্থ হলো — বলাকা , খেয়া , নৈবেদ্য ও সোনার তরী ।
( ঙ ) রাজাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ রাজাকে নিজের রাজ্যে অত্যন্ত ন্যায়নিষ্ঠ , শত্রুর প্রতি তীক্ষ্ণদণ্ড , মিত্রের প্রতি সরল ব্যবহার সম্পন্ন এবং ব্রাহ্মণের প্রতি ক্ষমাশীল হতে হবে । রাজা গুণসম্পন্ন হলে সুশাসক ও আদর্শ রাজা বলে পরিচিত হন । তাই রাজাকে বলা হয় ঈশ্বরের প্রতিনিধি ।
( চ ) গুরু রামদাস কীভাবে শিষ্য শিবাজিকে পরীক্ষা করতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ গুরু রামদাস পত্র পাঠ করে বুঝতে পারেন শিবাজি তাঁকে রাজ্য এবং রাজধানী দান করেছেন । গুরু শিবাজিকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর কীভাবে চলবে । তাঁর কী গুণ আছে। উত্তরে শিবাজি বলেন যে তিনি গুরুর দাসত্বে তাঁর প্রাণ আনন্দে দান করবেন । সে সময় গুরু রামদাস শিষ্যকে ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে দিয়ে ভিক্ষা করতে নিয়ে যান ।
( ছ ) গুরু রামদাস তাঁর শিষ্যকে গুরুর নামে রাজ্যভার গ্রহণ করতে বললেন কেন ?
উত্তরঃ রাজা শিবাজিকে ভিখারির বেশে দেখে প্রজাগণ কাঁপা হাতে লজ্জাভরে ভিক্ষা দেয় । অবশেষে গুরু নগরের এক প্রান্তে দিনের শেষে নদীতীরে ভিক্ষান্ন রন্ধন করে সারাদিনের ক্ষুধার্ত শিবাজিকে অন্ন প্রদান করেন । শিষ্য গুরুকে আরো কঠিন পরীক্ষা দিতে তৈরি বলে জানালেন । গুরু রামদাস শিষ্যের ত্যাগে অত্যন্ত প্রীত হয়ে পুনরায় তাঁকে রাজ্যভার অর্পণ করে গুরুর নামে রাজ্যশাসন করতে বললেন ।
( জ ) প্রকৃত রাজধর্ম কী তা বুঝিয়ে লেখো ।
উত্তরঃ প্রকৃত রাজধর্ম হলো — রাজা সকলের পালক , রক্ষক ও পরিচালক হবেন । তিনি অসামান্য গুণের অধিকারী হবেন । রাজা চরাচরকে সুষ্ঠুভাবে রক্ষা ও পালন করবেন । দেশ কাল পাত্র বিবেচনা না করে রাজা অন্যায়কারীর প্রতি দণ্ড প্রয়োগ করবেন ।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো ।
( ক ) ____ রাজার সাজে ____ , ____ মাঝে কে তুমি কর বাস ।
উত্তরঃ আমাবে , রাজার সাজে বসায়ে সংসার মাঝে কে তুমি আড়ালে কর বাস ।
( খ ) ____ উত্তরীয় ____ করিয়া নিয়ো ।
উত্তরঃ বৈরাগীর উত্তরীয় পতাকা , করিয়া নিয়ো কহিলেন গুরু রামদাস।
( গ ) অবশেষে ____ নগরের এক ____ নদীকূলে সারি ।
উত্তরঃ অবশেষে দিবসান্তে নগরের এক প্রান্তে , নদীকূলে সন্ধ্যাস্নান সারি।
( ঘ ) দুর্গে ____ বাজে ক্ষান্ত দিয়া ____ বিশ্রাম ____ পুরবাসী।
উত্তরঃ দুর্গে দ্বিপ্রহর বাজে ক্ষান্ত দিয়া কর্মকাজে বিশ্রাম করিছে পুরবাসী ।
( ঙ ) ____ মা আমার লয়েছে ____ ভার সুখে আছে সর্ব ____।
উত্তরঃ অন্নপূর্ণা মা আমার লয়েছে বিশ্বের ভার , সুখে আছে সর্ব চরাচর।
( চ ) এ কেবল ____ জল ঢেলে _____ । বৃথা চেষ্টা ____ মিটাবারে ।
উত্তরঃ এক কেবল দিনেরাতে জল ঢেলে ফুটা পাত্রে , বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবারে ।
( ছ ) তোমারি ____ প্রাণ ____ করিব দান ।
____ কহিলা নমি তাঁরে ।
উত্তরঃ তোমারি দাসত্বে প্রাণ আনন্দে করিব দান । শিবাজি কহিলা নাম তাঁরে ।
৪। রচনাধর্মী উত্তর লেখো ।
( ক ) “ প্রতিনিধি ” কবিতাটির সারাংশ লেখো ।
উত্তরঃ সারাংশ দেখ ।
( খ ) কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো ।
উত্তরঃ ১৩০৫ সালের কার্তিক মাসে রচিত ‘ প্রতিনিধি ’ কবিতার প্রেরণা সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন তিলক মহারাজের শিবাজি উৎসব উদযাপন থেকে । কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ শিবাজির রাজর্ষি রূপটি ফুটিয়ে তোলেন । ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে শিবাজির রাজ্যশাসনের দৃষ্টান্ত রবীন্দ্রনাথের হৃদয়কে যেমন নাড়া দিয়েছিল— তেমনি তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল রামদাস স্বামীর ধর্ম আন্দোলন । গুরু রামদাস ও শিষ্য শিবাজির মিলনে মহারাষ্ট্রের হিন্দু ধর্মের পুনরুজ্জীবন , মহাজাতির পুনর্গঠন । “ যে রাজ্য শিবাজি গুরু রামদাসকে দান করেছিলেন , গুরু শিষ্যকে সেই রাজ্যই শাসন করতে দিলেন , অন্ধ কর্তৃত্বে নয় , ঈশ্বরে প্রতিনিধি রূপে মাত্র ” । প্রতিনিধি কবিতায় শিবাজি শাসকের নয় , সেবকের ভূমিকায় প্রতিফলিত হয়েছেন ।
“ গুরু কহে তবে শোন করিলি কঠিন পণ
অনুরূপ নিতে হবে ভার―
এই আমি দিনু কয়ে মোর নামে মোর হয়ে
রাজ্য তুমি লহ পুনর্বার ।
তোমারে করিল বিধি ভিক্ষুকের প্রতিনিধি
রাজ্যেশ্বর দীন উদাসীন ।
পালিবে যে রাজধর্ম জেনো তাহা মোর কর্ম
রাজ্যলয়ে রবে রাজ্যহীন । ”
সন্ন্যাসীর ত্যাগ , বৈরাগ্য এবং বিশ্বমানবতার সঙ্গে একাত্মতার প্রতীক গৈরিক পতাকা শিবাজির রাজধর্মের অবলম্বন ছিল । তিনি এই আদর্শে গুরু রামদাস দ্বারা দীক্ষিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের কথায় ―
বৎস তবে এই লহ মোর আশীর্বাদ সহ
আমার গেরুয়া গাত্রবাস
বৈরাগীর উত্তরীয় পতাকা করিয়া নিয়ো
কহিলেন গুরু রামদাস । ”
শিবাজির এই রাজ আদর্শ মুগ্ধ করেছিল রবীন্দ্রনাথকে । রবীন্দ্রনাথ বলেছেন — “ শিবাজি যে চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তাহা কোনো ক্ষুদ্র দলের মধ্যে আবদ্ধ ছিল না । তাহার প্রধান কারণ , তিনি হিন্দুজাতি ও হিন্দুধর্মকে মুসলমান শাসন হইতে মুক্তিদান করিবার সংকল্প করিয়াছিলেন — সুতরাং ভারতের ইতিহাসকে নতুন করিয়া গড়িয়া তোলাই তাঁহার লক্ষ্যের বিষয় ছিল ইহাতে সন্দেহ নাই । বস্তুত তখন ভিতরে বাহিরে আঘাত পাইয়া সমস্ত ভারতবর্ষে নানা স্থানেই একটা যেন ধর্মচেষ্টার উদ্বোধন হইয়াছিল । হিন্দুধর্ম সমাজে তখন যে একটি জীবনচাঞ্চল্য ঘটিয়াছিল , বিশেষভাবে দাক্ষিণাত্যে তাহা নানা সাধুভক্তকে আশ্রয় করিয়া নব নব ধর্মোৎসাহে প্রকাশ পাইয়াছিল । সেইরূপ সচেতন অবস্থায় ঔরঙ্গ জেবের অত্যাচারে শিবাজির ন্যায় বীরপুরুষ যে ভারতবর্ষে ধর্মকে জয়যুক্ত করিবার ব্রত গ্রহণ কবিবেন তাহা স্বাভাবিক ।
শিবাজি যে সকল যুদ্ধ বিগ্রহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তাহা সোপান – পরম্পরার মতো , তাহা রাগারাগি লড়ালড়ি মাত্র নহে । তাহা সমস্ত ভারতবর্ষকে এবং দূর কালকে লক্ষ্য করিয়া একটি বৃহৎ আয়োজন বিস্তার করিতেছিল ; তাহার মধ্যে একটি বিপুল আনুপূর্বিকতা ছিল । তাহা কোনো সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রকাশ নহে , একটি বৃহৎ অভিপ্রায় সাধনের উদ্যোগ । ” সখারাম তাঁর “ শিবাজির দীক্ষা ” পুস্তিকাতে মন্তব্য করেছেন— “ হিন্দুশক্তির এই অজেয়তার কারণ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়া বৈদেশিক ঐতিহাসিকগণ প্রায়ই বিভ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছেন । অনেকে কল্পনা করিয়াছেন , দস্যুজন সুলভ দুর্নিবার ও উত্তরোত্তর বর্ধমান লুণ্ঠন প্রবৃত্তিই এই শক্তিকে অতীব ভীষণ ও অজেয় করিয়া তুলিয়াছিল । রবীন্দ্রনাথের কবিতায় শিবাজির মহত্ত্ব ও আদর্শের উজ্জ্বল চিত্র প্রতিভাসিত হয়েছে । সেজন্য ‘ প্রতিনিধি ’ নামকরণটি সার্থক হয়েছে ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
( গ ) রাজা শিবাজির উপর গুরু রামদাসের প্রভাব আলোচনা করো ।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ শিবাজি উৎসব কবিতায় দেশবাসীকে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানিয়েছেন—
“ সেদিন শুনিনি কথা ― আজ মোরা তোমার আদেশ
শির পাতি লব ।
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে ভারতে মিলিবে সবর্বদেশ
ধ্যানমন্ত্রে তব ।
ধ্বজা করি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন
দরিদ্রের বল ।
এক ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে এ মহাবচন
করিব সম্বল । ”
শিবাজি উৎসব পালনের ভিতর দিয়ে সখারাম শিবাজির ধর্মোদুবোধনের প্রয়োজন ও রাষ্ট্রীয় বিপ্লবের কর্মকাণ্ডকে পরাধীন ভারতবাসীকে বিদেশী শাসনের উচ্ছেদ সাধন সংগ্রামে আদর্শরূপে বরণ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভারতচিত্তকে ধর্মের বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়াকেই স্বরাজলাভের প্রাথমিক সোপানরূপে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন ।
শিবাজির চরিত্র ছিল মূর্ত – মহৎ নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের প্রতীক । তিনি বাংলা ও মহারাষ্ট্রকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন । ছত্রপতি শিবাজি আধুনিককালে হিন্দুদের জাতীয় বীর মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা । সম্রাট আকবরের মতন হিন্দু মুসলমান উভয়ের কাছে প্রিয় ছিলেন । এটা ঐতিহাসিক সত্য যে শিবাজি মুসলমান রাজশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন । কিন্তু সে সময় বহু বিখ্যাত মুসলমান শিবাজির বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন । তখন হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল না কোনো তিক্ততা । মোগল সম্রাট আকবরের অধীনে বহু হিন্দু উচ্চপদে আসীন ছিলেন । এ দৃষ্টান্ত বহু মুসলমান নবাব অনুসরণ করেছিলেন । আকবরের সময় হিন্দুদের সঙ্গে সম্রাটের যে সম্পর্ক ছিল , শিবাজির সময়েও মুসলমানদের সঙ্গে শিবাজির অনুরূপ সম্পর্ক ছিল । হিন্দুরা আকবরের প্রতি যে শ্রদ্ধা পোষণ করে থাকে , মুসলমানরাও শিবাজিকে সেরকম শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে থাকেন ।
শিবাজির মতন মহাপুরুষেরা শুধু যেসব জাতির উপকার করেছেন এমন নয় , তাঁরা মনুষ্যত্বের উদ্ধারসাধক । মানব সমাজের দাসত্ব পাশ মোচনকারী বলে পৃথিবীর সব দেশেই তাঁদের আবির্ভাব বাঞ্ছনীয় । জগতের মঙ্গলের জন্য শিবাজির মতন মহাপুরুষের জন্ম নেওয়া অবশ্যই দরকার ।
( ঘ ) ভারতের পুরাতন সংস্কৃতি অনুসারে ভারতীয় রাজধর্মের স্বরূপ আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ধর্মশাস্ত্র প্রযোজকদের মধ্যে অগ্রগণ্য ভগৱান মনু তাঁর সংহিতায় সপ্তম অধ্যায়ে আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেছেন—
রাজধর্মান্ প্রবক্ষ্যামি যথাবৃত্তো ভবেন্নপঃ ।
সম্ভবশ্চ যথা তস্য সিদ্ধিশ্চ পরমা যথা ৷৷
রাজধর্ম পর্যালোচনা করতে হলে প্রসঙ্গানুসারে প্রথমেই আসে রাজ্যের উৎপত্তি ও উপযোগিতার কথা । সাধারণভাবেই দেখা যায় , যা কিছু সৃষ্ট চেতন অচেতন পদার্থ বিদ্যমান , সকলেরই প্রয়োজন রয়েছে । সেজন্য ধর্মশাস্ত্র প্রযোজকদের অগ্রগণ্য ভগবান মনু রাজার উৎপত্তির কথা বলার পূর্বেই তার উপযোগিতা উল্লেখ করেছেন—
অরাজকে হি লোকেহস্মিন্ সর্বতো বিদ্রুতে ভয়াৎ রক্ষার্থমস্য সর্বস্য রাজানমসৃজৎ প্ৰভুঃ ।।
নিজ নিজ ধর্মে নিরত ব্রাহ্মণাদি সকল বর্ণের এবং ব্রহ্মচর্যাদি আশ্রমের রক্ষক হিসাবে রাজা সৃষ্ট হয়ে থাকে ।
যিনি সকলের পালক , রক্ষক , পরিচালক হবেন , তিনি নিশ্চয় আলোকসামান্য গুণের অধিকারী হবেন । সেজন্য ভগবান মনু রাজার গুণোৎকর্ষ নির্ধারণের জন্য বলেছেন — ইন্দ্ৰ , বায়ু , যম , সূর্য , অগ্নি , বরুণ , চন্দ্র এবং কুবেরের সারভূত অংশ নিয়েই ভগবান রাজাকে সৃষ্টি করেছেন । এই সকল তেজস্বী দেবতার অংশজাত বলেই রাজা সকল প্রাণীকে অভিভূত এবং সন্তপ্ত করতে পারেন , কিন্তু কোনো প্রাণী তাঁর দিকে সরাসরি দৃষ্টিপাত পর্যন্ত করতে পারেন না ।
রাজা স্বকীয় তেজে এবং প্রভাবে অগ্নি , বায়ু , সূর্য , চন্দ্র , যম , কুবের , বরুণ এবং মহেন্দ্রের সঙ্গে তুলনীয় । সেজন্য তিনি বয়সে বালক , বৃদ্ধ — যাই হোন না কেন — তিনি সকলের পুজ্য । সাধারণ মনুষ্যজ্ঞানে বয়সাদি রাজার ক্ষেত্রে কখনো বিচার্য নয় । এ বিষয়ে নির্দেশ―
বালোহপি নাবমন্তব্যো মনুষ্য ইতি ভূমিপঃ ।
মহতী দেবতা হোষা নবরূপেণ তিষ্ঠতি ৷৷
রাজার প্রভাব যেমন আলোকসামান্য তেমনই তার কর্মবিধিও অচিন্তনীয় । তিনি প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য ঈশ্বরের মতন বিভিন্ন প্রকার রূপ ধারণ করেন । যেমন শত্রুপক্ষের কাছে রাজা কখনো শত্রু , কখনো মিত্র , কখনো হত্তা , কখনো চরম উদাসীন । রাজার এই একই অঙ্গে বহুরূপ প্রদর্শনের বৈশিষ্ট্য কেবল শত্রুদের কাছেই নয় , প্রজাদের কাছেও প্রকট ।
রাজা সর্বতেজোময় । তাঁর অনুগ্রহে প্রভূত সম্পদ ও উন্নতি এবং ক্রোধে মৃত্যু । সেজন্য কখনো কোনো কারণে রাজার প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করা উচিত নয় । রাজার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ আত্মহনন তুল্য । রাজরোষ অগ্নি অপেক্ষা ক্ষতিকর । রাজার বিরুদ্ধাচরণ বশতঃ রাজরোষে পতিত হলে সেই মানুষের ধন , সম্পদ , পশু সহ সবংশে ধ্বংস হয় ।
মনু রাজার দিব্য উদ্ভব ও অলৌকিক প্রভাব উল্লেখ করে জীবকুলকে নির্দেশ দিয়েছেন — রাজার অভিলষিত কার্যে যেমন প্রত্যেকের প্রবর্তিত হওয়া উচিত তেমনই তাঁর অনভিলষিত বিষয়গুলিকে সযত্নে পরিহার করা উচিত ।
( ঙ ) গুরু রামদাসের গানের বিশেষত্ব উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ রামদাস ছিলেন মহারাষ্ট্রের মারাঠা জাতির জাতীয় বীর ছত্রপতি শিবাজির গুরুদেব । গুরুর আদর্শনিষ্ঠা , জীবন , ত্যাগ ও সাধনা রাজা শিবাজিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে । গেরুয়াধারী সর্বত্যাগী সাধক গুরু রামদাসের ভগবৎ ভক্তি অপরিসীম । প্রকৃত রাজধর্ম কী তা তিনি শিষ্য শিবাজিকে শিখিয়েছেন । ভারতীয় সংস্কৃতির পুরাতন বিশ্বাসই হলো আদর্শবান রাজাই হবেন ভিক্ষুকের প্রতিনিধি । ত্যাগ ও সাধনাপূর্ণ ঐশ্বর্যহীন , রিক্ত রাজাই রাজর্ষি হওয়ার যোগ্য । গুরু রামদাস শিবাজিকে এই পাঠই শিখিয়েছেন । রাজ্য নিয়ে রাজ্যহীন হয়ে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্য শাসন করাই হলো উপযুক্ত রাজার প্রধান কর্তব্য । গুরুর পাদুকা দুটি সিংহাসনে স্থাপন করে শিবাজি রাজ্য শাসন করতেন । বৈরাগীর উত্তরীয় গেরুয়া রঙের । সেজন্য শিবাজির পতাকার রং ছিল গেরুয়া ।
একদিন সকালে শিবাজি দুর্গের উপরিভাগ থেকে দেখেন যে তাঁর গুরু সর্বত্যাগী গেরুয়াবস্ত্র পরিহিত সন্ন্যাসী দ্বারে দ্বারে মুষ্টিভিক্ষা করছেন । দৃশ্যটি দেখে শিবাজি ভাবলেন তিনি গুরু রামদাসকে অপর্যাপ্ত দান করে তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বিরত করবেন । শিবাজি একটি পত্র লিখে বালাজির হাতে দিয়ে গুরুর কাছে পাঠিয়ে দেন । সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী গান গেয়ে গেয়ে পথ চলেছেন । তাঁর চিত্ত কামনা বাসনা শূন্য । রামদাস গান শেষ করে মধ্যাহ্নস্নান সেরে যখন দুর্গদ্বারে আসলে বালাজি গুরুকে প্রণাম করে রাজার পত্রটি তাঁর চরণকমলে রাখেন । গুরু আগ্রহভরে পত্রটি পড়ে বুঝলেন শিষ্য ছত্রপতি শিবাজি নিজের রাজ্য ও রাজধানী তাঁর পাদপদ্মে দান করেছেন । পরদিন গুরু রাজার কাছে গিয়ে এরকম কাজের কারণ জানতে চান । তাঁর কী গুণ আছে ! রাজ্য রাজধানী নিয়ে তিনি কী করবেন !
প্রত্যুত্তরে শিবাজি বলেন যে তিনি গুরুর দাসত্বে তাঁর প্রাণ আনন্দে দান করবেন । তখন গুরু রামদাস শিষ্যকে তাঁর ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে দিয়ে নগরের পথে ভিক্ষা করতে নিয়ে যান । রাজাকে ভিখারির পোশাকে দেখে প্রজাগণ কম্পিত হাতে লজ্জাভরে ভিক্ষা দেয় । অবশেষে গুরু নগরের একপ্রান্তে দিনের শেষে নদীর ধারে ভিক্ষায় পাওয়া চাল রান্না করে সারাদিনের ক্ষুধার্ত শিবাজিকে অন্নপ্রসাদ দান করেন । শিষ্য শিবাজি গুরু রামদাসকে জানান তিনি আরো কঠিন । পরীক্ষা দিতে তৈরি । রামদাস শিষ্যের ত্যাগে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে পুনরায় তাঁকে রাজ্যের দায়িত্ব অর্পণ করে গুরুর নামে গুরুর হয়ে রাজ্য শাসন করতে বলেন । রাজার রাজত্ব প্রজাদের সুশাসনের জন্য , অত্যাচারের জন্য নয়। এ – রাজ্য তাঁর নয় । তিনি ঈশ্বরের দূত মাত্র । প্রজাদের মঙ্গল সাধনই একমাত্র কর্তব্য হওয়া উচিত সকল রাজার ।
৫। ব্যাখ্যা লেখো ।
( ক ) “ এ কেবল দিনে রাত্রে জল ঢেলে ফুটাপাত্রে
বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবারে । ”
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ প্রতিনিধি ” নামক কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে । সংসারের কেউই নিজ নিজ অবস্থায় সন্তুষ্ট নয় । অপরের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি লুব্ধ দৃষ্টি তাদের ব্যাকুল করে তোলে । আশা আকাঙ্ক্ষা যত বাড়তে থাকে ততই অসন্তোষ বাড়ে এবং মানুষ লোভের বশীভূত হয়ে পড়ে । আশা আকাঙ্ক্ষা অপরিমিত কিন্তু তা মেটাবার ক্ষমতা একান্তই সীমিত এই সত্যটি মানুষ ভুলে যায় । তাই নিজের সাধ্যের অতীত অলীক সুখের কল্পনায় নিমগ্ন হয়ে অশান্তিকে আহবান করে আনে। আশার ছলনা এতই প্রবল যে মানুষ নিজের ক্ষমতা বিচারের শক্তি হারিয়ে ফেলে , আর সেজন্য তার আকাঙ্ক্ষা যতই হোক না কেন তার সামান্য ভগ্নাংশমাত্রই সে পায় । চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যের এই অসঙ্গতি মানুষকে অশান্ত করে তোলে , মনে জাগায় ঈর্ষার প্রবল তাড়না।
সেই তাড়নায় মানুষ অসম্ভবের , আলেয়ার পেছনে ধাওয়া করে চলে যুগে যুগে বারে বারে । সে নিজেই জানে না , কি চায় সে মনের গভীরে । তার চাওয়ার প্রকাশ অস্পষ্ট । কবির ভাষায় ‘ যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই , যাহা পাই তাহা চাই না ’ । এই ভুলের মাশুল দিতে গিয়ে মানুষ ঈর্ষাতুর হৃদয়ে অপরের সাফল্য সুখকেও হিংসা করে । সে মনে করে অচেনা জগতে হয়ত রয়েছে তার সর্বকামনা বাসনা নিরসনের উপায় – এই ভেবে হা হুতাশ করে সে অলস প্রহর গোনে । সে জানে না মানবজীবনের ধারা কুসুমাস্তীর্ণ পথে চলে না , সুখ – শান্তি কোনো স্থানবিশেষেরও দান নয় — এটা মনের একটা বিশিষ্ট ভাব যা মানুষ অর্জন করে চিত্ত সংযমের দ্বারা । সাধ ও সাধ্যের মধ্যে এই পার্থক্য মানুষকে অসম্ভবের পিছনে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়ায় । তাকে হতাশা জর্জর অসূয়াতে করে তোলে ক্লান্ত ও অবসন্ন ।
( খ ) “ অন্নপূর্ণা মা আমার লয়েছে বিশ্বের ভার
সুখে আছে সর্বচরাচর । ”
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ প্রতিনিধি ” নামক কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে । মানুষ নানাভাবে ঈশ্বরকে দেখতে চেয়েছে । কোনো কোনো মানুষের কাছে তিনি নিরাকার আবার কারো কাছে তিনি বিরাজিত সাকার হয়ে । সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঈশ্বর উপলব্ধি বদলিয়েছে — তিনি এখন মন্দির , মসজিদ বা গির্জায় নেই । তার উপস্থিতি “ বহুরূপে সম্মুখে তোমার ” । একালের মানুষ বিশ্বাস করে মানুষই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সন্তান । এই পার্থিব জগতেই রয়েছে স্বর্গ নরক । মানুষই ঈশ্বর , মানুষই শয়তান । যখন সে ষড়রিপুর কবলিত হয় তখন তার মধ্যে শয়তানের বাস । আর যখন সে ষড়রিপু মুক্ত হয়ে সত্যসন্ধানী হয় তখন তার ভেতরে দেবতার অধিষ্ঠান হয় ।
যাঁরা বরণীয় মানুষ তাঁরা মনুষ্যত্বের জয়গান করেন । কবিরাও বলেছেন “ মানবীর তরে কাঁদি যাচি না দেবতা ” বা “ সবার উপরে মানুষ সত্য , দেবতা আছে বা নাই । ” এক ও অনন্তকে মানুষের মধ্যে উপলব্ধি করার নামই ভালোবাসা । ভালোবাসাই যে অমৃতমন্ত্র যা মানুষকে মানুষের কাছে এনে দেয় । পিতারূপে পুত্ররূপে , মাতারূপে , কন্যারূপে , বধূরূপে এমনকি দাসরূপেও তাই দেবতা আমাদের কাছে ধরা দিয়েছেন । আমাদের প্রাচীন কবিরাও বলে গেছেন “ দেবতারে প্রিয় করি প্রিয়েরে দেবতা ” —মানুষে এবং সর্বজীবে ভালোবাসাই তাই ঈশ্বরকে ভালোবাসা । মানুষের সেবাই ঈশ্বরের সেবা , মানুষের কাজে লাগাই ঈশ্বরের কাজে লাগা । ঈশ্বর তো সর্বব্যাপী । এই প্রীতিমূলক ঈশ্বরের কথাই বিবেকানন্দ বারবার বলে গেছেন— “ জীবে প্রেম করে যেইজন , সেইজন সেবিছে ঈশ্বর ” ।
( গ ) “ তোমারি দাসত্বে প্রাণ আনন্দে করিব দান ’
শিবাজি কহিলা নমি তারে । ”
উত্তরঃ বিশ্বস্রষ্টার এই সৃষ্টিই হলো দেবালয় । যে বিচিত্র বহু হয়ে তিনি খেলে বেড়ান দিকে দিকে , সুরে , গানে , নৃত্যে , চিত্রে , বর্ণে বর্ণে , রূপে রসে , সুখদুঃখের আঘাতে – সংঘাতে , ভালোমন্দের দ্বন্দ্বে মনের সংকীর্ণতাবশে মানুষ তাঁকে চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি করতে চায় । নিখিল বিশ্বের সকল বিস্ময়ের যিনি উৎস , শব্দের পেছনে যিনি আলো , তমসার ওপারে যিনি জ্যোতির্ময়ী , সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত জুড়ে যার লীলাখেলা তার অবস্থান উপাসনালয়ে নয় , মানুষের অন্তরে । জীবের মধ্যেই যিনি শিব হয়ে বিরাজমান তাকে লাভ করতে সর্বাগ্রে সব জীবকে আপনজ্ঞানে ভালোবাসতে হবে । ভালোবাসাই ঈশ্বরের ভালোবাসা । এরই অভাবে আমাদের সত্যের দিক নষ্ট হয়ে যায় । জন্তুর পক্ষে তাতে কিছু আসে যায় না , কিন্তু মানুষের পক্ষে তেমন বিনাশ আর নেই । মঠ মন্দির – মসজিদ – গির্জা তৈরি করে আভিজাত্য প্রদর্শন করা যায় , অহংকারে মত্ত হতে পারে , কিন্তু হৃদয়ে প্রেমের অভাবে তা দেবালয় হয় না ।
( ঘ ) “ হে ভবেশ , হে শংকর সবারে দিয়েছ ঘর ,
আমারে দিয়েছ শুধু পথ । ”
উত্তরঃ ভগবান আছেন কি নেই — এ প্রশ্ন সভ্য মানুষের চিন্তাভাবনাকে সুদীর্ঘকাল ধরেই আলোড়িত করেছে , সংশয় দোলার ত্রিশঙ্কুর মতো ঝুলিয়ে রেখেছে । নিখিল বিশ্বের সকল বিস্ময়ের যিনি উৎস , শব্দের পেছনে যিনি আলো , তমসার ওপারে যিনি জ্যোতির্ময়ী , সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত জুড়ে যার লীলাখেলা “ ধেনুহারা বৎসের ’ ” মতো মানুষ তাঁকে খুঁজে ফিরেছে । তম থেকে মহত্তমে উত্তীর্ণ হবার দুঃসাধ্য অধ্যবসায় শুরু হয় সেই । শাস্ত্র , স্তোত্র , পুঁথিপত্র বাদ রাখেনি কিছুই । সব দিয়ে সব পাবার সর্বনাশা নেশায় মানুষ ভগবানকে পেতে চেয়েছে । এই অসার অন্তঃসারশূন্য ডাকে মানুষের দেহ গেছে ভেঙে , কণ্ঠ হয়েছে শুধু মাত্র ক্ষীণ । প্রকৃতপক্ষে যিনি সর্বভূতে বিরাজমান তার সন্ধান উপাসনালয়ে নয় — মানুষের অন্তরে করা উচিত ।
ঈশ্বর সব জীবের মধ্য দিয়ে সর্বস্থানে নিজেকে প্রকাশ করেছেন । জীবের মাঝেই যিনি শিব হয়ে বিরাজমান তাঁকে লাভ করতে গেলে সর্বাগ্রে সেজন্য সব জীবকে আপন জ্ঞানে ভালোবাসতে হবে ।
( ঙ ) “ বৈরাগীর উত্তরীয় পতাকা করিয়া নিয়ো’
কহিলেন গুরু রামদাস । ”
উত্তরঃ মানুষ চক্ষু , কর্ণ , নাসিকা , জিহ্বা ও ত্বক — এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের অধিকারী । এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমেই পৃথিবীর রূপরস গন্ধ মানুষ অনুভব করে । এই আস্বাদনের ফলেই মানুষের চিত্ত আনন্দ হিল্লোলে পূর্ণ হয়ে ওঠে । চিত্ত ভূমানন্দের অধিকারী হয় । প্রকৃতি প্রেমিক প্রকৃতির রূপৈশ্বর্য এই ভাবেই অবলোকন করেন । সৌন্দর্য ক্ষুদ্র ‘ আমি ’ ধ্বংস করে সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত জুড়ে এক নতুন আমির জন্ম দেয় । তখন প্রাকৃতিক বর্ণবিভায় প্রকৃতি প্রেমিকের অন্তর্লোক ও বহির্লোক যুগপৎ প্লাবিত হয় ।
কিন্তু সংসারে আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যাঁরা “ ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা ” দর্শনে বিশ্বাসী । তারা জ্ঞানমার্গীয় সাধনায় ইন্দ্রিয় দমন করেন । প্রকৃতির সবই তাদের কাছে অলীক , মায়াময় বলে মনে হয়।
বিশ্বের সকল বিস্ময়ের যিনি উৎস , শব্দের পেছনে যিনি আলো , তমসার ওপারে যিনি জ্যোতির্ময়ী , সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত জুড়ে যার লীলাখেলা তাকে ইন্দ্রিয়ের দ্বার রুদ্ধ করে উপভোগ করার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই । পাবার চেষ্টা করা বাতুলতা মাত্র , তাতে দিব্যি তর্ক চালানো যায় , তৃপ্তি হয় না । রসিক চিত্ত সেজন্য রূপসাগরে ডুব দিয়েই অরূপরতন খুঁজে নেন ।
৬। তাৎপর্য লেখো ।
( ক ) ওহে ত্রিভুবনপতি , বুঝিনা তোমার মতি
কিছুই অভাব তব নাহি ।
উত্তরঃ মানুষ নানাভাবে ঈশ্বরকে দেখতে চেয়েছে । কোনো কোনো মানুষের কাছে তিনি নিরাকার , আবার কারো কাছে তিনি বিরাজিত সাকার হয়ে । সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঈশ্বর উপলব্ধি বদলিয়েছে — তিনি এখন মন্দির , মসজিদ বা গির্জায় নেই । তাঁর উপস্থিতি “ বহুরূপে সম্মুখে তোমার ” । এ কালের মানুষ বিশ্বাস করে মানুষই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সন্তান । এই পার্থিব জগতেই রয়েছে স্বর্গ – নরক । মানুষ যখন ষড়রিপু মুক্ত হয়ে সত্যসন্ধানী হয় । তখন তার ভেতরে দেবতার অধিষ্ঠান হয় । বিশ্বের সব বিস্ময়ের যিনি উৎস , তমসার ওপারের যিনি জ্যোতির্ময়ী তিনি আমাদের পরম নিয়ন্ত্রক । তিনি আমাদের ভগবান । কারও কাছে আল্লা , কারো কাছে গড । তিনিই আমাদের অভয় , আমাদের অমৃত । যে সীমার মধ্যে আমাদের সত্য সেই সীমার মধ্যেই আমাদের চরম পরিপূর্ণতা । বিবেকানন্দ তাই বলেছেন— “ তোমরা সব ছুঁড়িয়া ফেলিয়া দাও , এমনকি নিজেদের মুক্তি পর্যন্ত দূরে ফেলিয়া দাও — অপরের সাহায্য করো ।
বসন্তের ন্যায় লোকের হিত আচরণ— এই আমার ধর্ম । ” রবীন্দ্রনাথ ‘ যাত্রী ’ গ্রন্থে লিখেছেন— “ যে সাধনায় লোভকে ভিতরের দিক থেকে দমন করে সে সাধনা ধর্মের । ” গৌতমবুদ্ধ , শ্রীচৈতন্য প্রমুখ মহাপুরুষ একই স্তরে এসে জ্ঞানের এই বিশুদ্ধতম রূপটি ধর্মের কল্যাণী রূপের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন । জ্ঞানের এই বিশুদ্ধতম রূপটি ভরিয়ে দেয় জীবনের পেয়ালা । সত্যিই সকলকে সমান চোখে দেখা , সকলের সঙ্গে হৃদয়ের নিবিড় যোগ সাধন করে বিশ্বময় নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়া যার পক্ষে হয় তার তো জীবন ধন্য , এ শিক্ষা “ সংস্কার মুক্ত হয়ে বিশ্বজীবন প্রবাহে আত্মসমর্পণ ” করার শিক্ষা ।
( খ ) “ গুরু কহে , তবে শোন করিলি কঠিন পণ
অনুরূপ দিতে হবে ভার । ”
উত্তরঃ পরের কাছে প্রশংসা লাভের জন্য , বড়ো সাজার নেশায় মানুষ কি না করে । কিন্তু তার সেই আচরণের মধ্যে ক্ষুদ্রতা বাসা বেঁধে থাকে । মানুষ যখন অন্তরের টানে , বিবেকের তাড়নায় মনুষ্যত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তখনই সে প্রকৃত বৃহৎ হয় ।
মানুষ কাজ করে । সে এই কাজের পরিণাম বহু ক্ষেত্রে হাতে হাতে পেতে চায় । স্বার্থপর , আত্মকেন্দ্রিক মানুষ যেমন নিজের ভোগ ঐশ্বর্যের মধ্যে পরম তৃপ্তি খুঁজে ফেরে তেমনি মহত্বের ভান করা কিছু মানুষ অপরের বিপদমুক্তি ঘটিয়ে , আর্থিক সমস্যার সমাধান করে অথবা ক্ষুন্নিবৃত্তি মিটিয়ে মানবসমাজের কাছে বাহবা পেতে চায় । তারা প্রয়োজনে পরোপকারের ব্যাপারটি প্রচারের আলোকে এনে পাঁচজনের প্রশংসা কুড়োতে ব্যতিব্যস্ত থাকে । কিন্তু তাদের সেই দান ধ্যান ও পরোপকারে শক্তির মত্ততা , অহংকারী মনোভাব এত বেশি প্রকটিত হয় যে মানবতার ঐশ্বর্য বিবেকের শুদ্ধি ঘটাতে বিফল হয় , অন্তরের আনন্দ বীভৎস রূপ ধারণ করে । সাধক রামপ্রসাদ তাই বলেছিলেন — জাঁকজমক করলে পুজো / অহংকার হয় মনে মনে / আমি লুকিয়ে করবো মায়ের পুজো / জানবে নাকো জগজ্জনে । স্বার্থপরতা যেমন নিন্দনীয় , অহংকারও তেমনি প্রশংসনীয় নয় । বড়ো প্রতিভার বৈশিষ্ট্যই হলো — নিজেদের নিঃশেষ করেই তারা আনন্দ লাভ করেন । পরকে পূর্ণ করে নিঃশব্দে অন্তরালে আত্মগোপন করাকে তারা গৌরবের বলে মনে করেন।
( গ ) অতুল ঐশ্বর্যে রত , তাঁর ভিখারির ব্রত
এ যে দেখি জলে ভাসে শিলা ।
উত্তরঃ আমাদের জীবনের গণ্ডি একটা বিশেষ কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ । আমরা পৃথিবীতে জন্মাই এবং সেই বিশেষ কালটা শেষ হলেই মারা যাই। জন্ম ও মৃত্যুর এই মধ্যবর্তী সময়টিই আয়ুষ্কাল বা আয়ু । এই কালের নেই কোনো নির্দিষ্ট সীমা । কেউ কম বয়সে মরলে তার মৃত্যুকে আমরা বলি ‘ অকালমৃত্যু ’ , তার জন্য আমাদের শোকের শেষ থাকে না । সেজন্য মনে হয় আমরা মানুষের জীবনের আয়ুষ্কালের একটা মূল্য দিই , যার আয়ু যত বেশি তার জীবন তত মূল্যবান ।
কিন্তু মানুষের জীবন মনুষ্যত্বের উদ্বোধনেই মূল্যবান । – ঈশ্বর ও বাবা – মায়ের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ আছে তেমনি কর্তব্য আছে সমাজের সমস্ত মানুষের প্রতি । এই কর্তব্যের মধ্যেই প্রকৃত সমাজসেবার আদর্শ ও প্রেরণা । যে – মানুষ স্বল্পায়ু হয়েও মানবজাতির সুখ বা হিতের জন্য বিরাট কাজ করে গেছেন , মানুষের কাছে তাঁর দাম অনেক বেশি । শংকরাচার্য মাত্র ৩২ বছর বেঁচেছিলেন , শ্রীচৈতন্যদেব ৪৮ বছর , এতে কি তাঁদের জীবনমূল্য কমে গেছে ? একালের স্বামী বিবেকানন্দ মাত্র ৩৯ বছর বেঁচেছিলেন । এঁরা সময়কে পিছনে ফেলে প্রাণের প্রাচুর্যে সব বাধা তুচ্ছ করে এগিয়েছিলেন বলেই সমস্ত মানবজাতির ‘ মনের মন্দিরে ’ স্থান পেয়েছেন ।
নিজের স্বার্থসিদ্ধির আশায় যা করা হয় , মনুষ্যত্বের উদ্বোধক নয় বলে তা মনুষ্যজনোচিত নয় । যাঁরা জীবনে কল্যাণকর্ম করেন , নরলোকে তাঁরাই ধন্য , তাঁরাই প্রণম্য , তাঁরাই স্মরণীয় , মরেও তাঁরা অমর , তাঁরাই ভোগ করেন অনন্ত আয়ু ।
৭। ব্যাকরণ :
( ক ) প্রতিশব্দ লেখো :
উত্তরঃ ঘুম — নিদ্রা , তন্দ্রা ।
রবি — সূর্য , অরুণ , ভানু ।
তৃণ — ঘাস ।
মন্দির — দেবালয় , দেবগৃহ ।
সন্ধ্যা — সাঁঝ ।
বিভাবরী — রাত্রি , যামিনী , নিশা ।
নিখিল — সমগ্র ।
( খ ) সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উত্তরঃ মহাকাশ = মহা + আকাশ ।
দেবেন্দ্র = দেব + ইন্দ্ৰ ।
চন্দ্রাতপ = চন্দ্ৰ + আতপ ।
( গ ) বাক্য রচনা করো —
মিটাবারে , চরাচর , দ্বারে দ্বারে , সমাপন , দাসত্ব , থরথর , প্রতিনিধি , পুরবাসী ।
উত্তরঃ মিটাবারে — বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবাবে ।
চরাচর — চরাচব মাঝে ঈশ্বর বিরাজমান ।
দ্বারে দ্বাবে — শিবাজি দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করেছিলেন ।
সমাপন — সব যুদ্ধেরই সমাপন দরকার ।
দাসত্ব — ইংরেজের দাসত্ব করা অনুচিত ।
থরথর — ভূমিকম্পে সমস্ত এলাকা থরথর করে কেঁপে উঠল ।
প্রতিনিধি — শিবাজি সমগ্র মারাঠা জাতির প্রতিনিধি ছিলেন ।
পুরবাসী — পুরবাসীগণ কম্পিত হাতে ভিক্ষা দিল।
( ঘ ) পদ পরিবর্তন—
উত্তরঃ অধুনা — আধুনিক ।
অগ্নি — আগ্নেয় ।
আঘাত — আহত ।
অন্তর — আন্তরিক ।
দেব ― দৈব ।
তপ্ত — তাপ ।
উল্লাস — উল্লসিত ।
মন — মানসিক ।
সন্ধ্যা ― সান্ধ্য ।
তরুণ — তারুণ্য ।
মন্ত্ৰ — মন্ত্ৰণা ৷
দূর – দূরত্ব ।
আগুন — অগ্নি , আগ্নেয় ।
বৈরাগি — বৈরাগ্য ।
ঘুম — ঘুমন্ত ।
অলস — অলসতা ।
চন্দ্ৰ ― চাঁদ ।
৮। নিজে করো —
উচিত , ভ্রম , শীত , বিধি , মহত্ব , এক , উদার , সংযম , মোহ , নৈশ ।
উত্তরঃ উচিত — ঔচিত্য ।
ভ্রম — ভ্রান্তি ।
শীত— শৈত্য ।
বিধি — বিধান ।
এক — একই ।
মহত্ব — মহান ।
উদার — উদারতা ।
মোহ — মোহনা ।
নৈশ ― নিশি ।
( ঙ ) উক্তি পরিবর্তন করো ।
১ । উক্তি কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ উক্তি দুই প্রকার — প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উক্তি।
( ১ ) প্রত্যক্ষ উক্তি — অনিল বললো , “ আমি প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি । ”
পরোক্ষ উক্তি — অনিল বললো যে সে প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছে ।
( ২ ) প্রত্যক্ষ উক্তি — রাম বলল , “ আমি আজ যাব না । ”
পরোক্ষ উক্তি — রাম জানাল যে সে আজ যাবে না।
( ৩ ) প্রত্যক্ষ উক্তি — শিক্ষক মহাশয় আমাকে বলেছেন , “ তোমার বাড়ির ঠিকানাটা কী ? ”
পরোক্ষ উক্তি — শিক্ষক মহাশয় আমার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করলেন ।
( ৪ ) প্রত্যক্ষ উক্তি — হরি বললো , “ আমি কালিদাসের নাম শুনেছি । ”
পরোক্ষ উক্তি — হরি বললো যে সে কালিদাসের নাম শুনেছে ।
৯। নিজে করো ।
১। বাবা আমাকে বললেন , “ এখন আমাকে বিরক্ত করিস না । ”
২। অনিতা মাকে বলল , “ আমরা কোথায় যাচ্ছি মা । ”
৩। রানি বিট্টুকে বলল , “ তুই কোথায় যাচ্ছিস ? ”
৪। ভদ্রলোকটি বললেন , “ ওগো সাধু আমি টাকা – পয়সা চাই না । ”
উত্তরঃ ১। বাবা আমাকে বললেন যে এখন তাকে বিরক্ত না করতে ।
২। অনিতা তার মাকে জিজ্ঞেস করলো যে তারা কোথায় যাচ্ছে ।
৩। রানি বিট্টুকে জিজ্ঞেস করলো সে কোথায় যাচ্ছে ।
৪। ভদ্রলোকটি সাধুকে বললেন সে টাকা – পয়সা চায় না ।
( ঘ ) প্রবাদ – প্রবচন : প্রবাদ – প্রবচন বাংলা চলিত ভাষার অন্যতম সম্পদ । কোনো শিক্ষিত ও পণ্ডিতগণ এগুলো রচনা করেননি । এগুলো সাধারণ সহজ সরলমনা জনসাধারণের রচনা । যেমন— উদাহরণ—
অতিভক্তি চোরের লক্ষণ — অত্যধিক বিনয় বা ভক্তি সন্দেহের সৃষ্টি করে ।
অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী — স্বল্পমাত্রায় জ্ঞান বিপজ্জনক।
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল — অনধিকার চর্চা , অবাঞ্ছিত ।
মিছা কথা আর সিঁচা জল কতক্ষণ রয় — মিথ্যা কথা ধরা পড়বেই।
১০। নিজে করো :
নানা মুনির নানা মত , সবুরে মেওয়া ফলে , সস্তার তিন অবস্থা , ভাগের মা গঙ্গা পায় না , মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত ।
উত্তরঃ নানা মুনির নানা মত — অনেকের অনেক রকম মতামত ।
সবুরে মেওয়া ফলে — অপেক্ষা করলে ভালো ফল পাওয়া যায় ।
সস্তার তিন অবস্থা — অতিরিক্ত সস্তা জিনিস খারাপ হয় ।
ভাগের মা গঙ্গা পায় না ― অত্যন্ত ভাগাভাগিতে ঠাই হয় না ।
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত — সীমিত ক্ষমতা ।
দশচক্রে ভগবান ভূত — বহুলোকের বিরূপ ব্যবহারে নাকাল হওয়া ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
দান প্রতিদান এর প্রশ্ন উত্তর যদি করেন ভালো হয়
Amra Sesta Korchi