রুদ্রশক্তি বাংলা কবিতা | Rudrashakti Poem in Bengali | রুদ্রশক্তি’ একটি অদ্ভুত কবিতা সংকলন, যা — Yogi Purnangsu Nath Mazumder – এর শ্রেষ্ঠ কবিতার জগতে একটি নতুন ধারা প্রদান করে। রুদ্রশক্তি বাংলা কবিতা | Rudrashakti Poem in Bengali এই বইটির মধ্যে সৃষ্টিতত্ত্ব, মানবতার অদ্ভুত গভীরতা, একাধিক মাধ্যমিক চিন্তার সহজভাবে ভেদ করা হয়েছে। বইটির নাম রুদ্রশক্তি, রুদ্র অর্থাৎ মহাদেব এবং শক্তি অর্থাৎ দেবী পার্বতী। এখানের বইয়ের নামের মধ্যে বুঝা যায় যে এটি মহাদেবের আশীর্বাদের দ্বারা নির্মিত। কবি পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার তার এই রুদ্রশক্তি বাংলা কবিতা | Rudrashakti Poem in Bengali পৃথিবীর অভিজ্ঞতার দ্বারা এই বইটি লিখতে সক্ষম হয়েছেন। মুক্তকে প্রকাশিত এই বইটি সকল বয়সের পাঠকের জন্য রুচিকর একটি অভিজ্ঞান সৃষ্টি করেছে। যোগী পূর্ণাংশু নাথ মজুমদারের কবিতায় আছে একটি মহান রূপকথা, যা আধুনিক প্রবন্ধনে নতুন আলোক ডাকছে। তার কবিতায় ছুটে আসা ভাষা, কাব্যরূপ, এবং আলোকচিত্র সংযোজনে এই বইটি বিশেষভাবে চমকপ্রদ।বইটিতে আছে কল্পনা ভিত্তিক, রুপভিত্তিক ছবি ফুটে উঠেছে। বইটিতে আছে বিভিন্ন ভাবনিও, হাস্য কৌতুক, আধুনিকতার ছুঁয়া কাব্য। কবির লিখা প্রথম প্রকাশিত বই হচ্ছে ‘জগৎ কল্পনা’, যার পর কবির দ্বিতীয় বইটি হচ্ছে এই মহাকাব্যগ্রন্থ রুদ্রশক্তি। কবির বাবার নাম পঙ্কজ নাথ, মায়ের নাম শিল্পী নাথ এবং বোনের নাম স্নেহা নাথ।
PDF DEMO
Read Also: Netaji Subhash Chandra Bose Biography in English | History of Netaji Subhash Chandra Bose
The title, meaning ‘Rudra’s Power,’ hints at the cosmic energy and transformative force explored within its pages. Mazumder’s poetic expression transcends cultural boundaries, inviting readers on a universal quest for understanding and inner harmony. This work serves as a poetic conduit, fostering connections across the cosmic expanse, and embracing the shared essence that unites all beings. Rudrashakti Story & Poems Book in Bengali This Rudrashakti Story & Poems Book in Bengali book contains 15 chapter that are all poem.
রুদ্রশক্তি বাংলা কবিতা | Rudrashakti Poem in Bengali
কবি পরিচিতঃ আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যের অবদান রেখেছেন এমন কবিদের মধ্যে যোগী পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার একজন। তার জন্ম বরাক উপত্যকার শিলচরে হয়। তাঁর মায়ের নাম শিল্পী নাথ, ও বাবার নাম পঙ্কজ নাথ মজুমদার। ওনার বোনের নাম স্নেহা নাথ মজুমদার। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তিনি বাস করেন হাইলাকান্দি জেলার আলগাপুর নামক গ্রামে।
১৪ বছরের থাকতে থেকেই কবি লিখার অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন তার মায়ের কাছ থেকে। কবি শিব পূজায় খুবই আস্থা রাখেন। কবির লিখা প্রথম প্রকাশিত বই হচ্ছে জগৎকল্পনা যা তিনি 2023 ইংরেজিতে প্রকাশ করেছেন। তার এই রুদ্রশক্তি বইটিতে তার লিখিত অনেক কবিতা আছে যা আধুনিক ,প্রাসঙ্গিক ইতিহাস ও উপহাস সকল বিষয় দিয়ে নির্মিত। এই আধুনিক যুগের সকল প্রকার অবস্থাকে কবিতা এই মহাকাব্য রুদ্রশক্তিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি এখন মাত্র ১৭ বছরের।
প্রার্থনা
কবি — পূর্নাংশু নাথ মজুমদার।
এই অগ্রহায়ণ মাসে
কে দাড়াবে আমার পাশে ?
সবাই ব্যস্ত ধান কাটতে ,
কে আসবে আমায় সাহায্য করতে !
পাওয়া যাচ্ছে না দিন মজুর |
কি হবে হুজুর ?
এখন যদি তুমি নিয়ে আসো বৃষ্টি,
হয়ে যাবে ধানগুলো থেকে অঙ্কুরের সৃষ্টি |
অধিক বৃষ্টির ফলে
আসবে বন্যা কল কলিয়ে ;
কি হবে আমাদের উপায় ?
ডুবে যাবে যে ধান গুলো বন্যায় !
কি খাব সারাবছর ?
খালি হয়ে যে যাবে আমার ভাড়ার !
তুমি দিন দয়াময় ,
কেন হচ্ছ না আমার উপর করুণাময় ?
এই কালো বাদলের ডাকে
ভয়ে ঘুম যায় ভেঙে !
মনে হয় এইনি পড়লো জলেরধারা ,
ধান কাটতে সাহায্য করবে কারা?
আমি যে একা ,
কাটতে পারিনা যে এত বড় বিঘা ||
এই অসহায় কৃষকের প্রার্থনা
কেনো তুমি শুনো না !
তুমি বিধাতা
তোমার কাছে আছে খাতা |
দেখো তোমার পাপ পূন্যের খাতায় —
করেছি পাপ আমি কোথায় ?
তব কেন শুনছো না আমার কথা
‘হে জগতের পিতা’ ।।
________________
তুমি যে রকম !
কবি — পূর্নাংশু নাথ মজুমদার।
তুমি যে রকম
আমিও ঠিক সেরকম ।
তুমি হয়তো থাক তিন তলার ঘরে ,
আমি ঠিকই আছে আমার কুড়ে ঘরে ।
তুমি যে রকম,
খাও ব্যঞ্জন বিভিন্ন রকম ,
ঠিক সেরকম ,
আমি খাই শুকনো ভাত ,জ্বালিয়ে অন্ধকারে মোম,
টাকা দুজনেই করছি নষ্ট ,
তব তোমার কেন হয় এত কষ্ট ?
তুমি কিংবা হইলে রাজপুত্র ,
আমি ভালোই আছি হয়ে ভিখারী পুত্র ।
তুমি থাকো চিন্তা ভরা মুখ নিয়ে !
কিন্তু আমি থাকি পরিবারের মুখ চেয়ে , হাসি নিয়ে
তোমার পদতলে হয়তো রাখো, কত মুচি ভিখারি ;
আমার পদতলে আছে শুধুই পাতালবাসী ।
গীতায় বর্ণিত আছে,
যে পাপ করছে
তাকে হতে হচ্ছে
সেই পদদলিত পাতালবাসী !
মানছি এখন নেই বেদের সভ্যতা,
তবু কেন মুখ বুঝে মানো সমাজের এই অসভ্যতা।
কেন বুঝনা এসেছ খালি হাতে ,
আর যেতেও হবে খালি হাতে ।
কেন পদতলে রাখো মুচি ভিখারিরে,
কেন তাদের বুকে জড়িয়ে ধরনা বলে — ‘ভাইরে’ ?
এই কলির যুগে
কেন মানুষ থাকবে দুর্ভোগে ?
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ,
কেন হও না সবাই মিলে এক ?
এই মৃত্যু লোকে সবাইকে যেতে হবে একের পর এক ।
আমারও দুটি হাত
তোমারও দুটি হাত,
যদি মিলাতাম ,
চার হাত পেতাম ।।
আমরা জানি ‘একতাই বল’
তব কেন দূরে সরে গিয়ে হচ্ছ দুর্বল ?
তোমার এই অটল সম্পত্তি নাই বা দিলে,
ক্ষুধার্ত ভিখারিরে।
তবু এটা মানো —‘ তুমি যে রকম ’
আমিও ঠিক সেরকম ।।
________________
নির্দয় রাণী
কবি — পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
এই দুর্ভিক্ষ নগরে,
হবে কি করে —
উন্নতি ।
রানী প্রণতি
বাড়াচ্ছে শুধু কর।।
সৈন্যরা বলছে শুধু ধর ধর ,
যারা না দেয় কর —
তাদেরকে ধর।
নেই ধান ,
ক্ষুধায় যায় প্রাণ।
প্রণতির বুকে নেই দয়া ,
নগরে নেই গাছের ছায়া ;
প্রজাদের পিঠে পড়ছে প্রহার ,
পেটে নেই খাবার ।
নিষ্ঠুর রাণীর কবল হইতে
কে পারবে পালাতে ?
সৈন্যরাও ক্লান্ত,
পাহারা দিতে দিতে সীমানা প্রান্ত ।
সৈন্যদের ও নেই বেতন ,
আজ্ঞা অমান্য করলে রানীর হয় নাম কর্তন ।
সবার মনে একি প্রশ্ন—
প্রণতি হঠাৎ, কেন হল এত উষ্ণ ?
________________
পরম্পরা
কবি — পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
মহান কবিদের কবিতা দেখে ,
ভয় পাই ভাইরে।
দেখলে কবিকে চোখের সামনে ,
উপায় আর থাকবে – নারে ।।
দাদু ছিলেন কবি ,
বাবাকেও বানিয়েছিলেন ।
বাবা যে এখন ,
আমার ঘাড়ে সবকিছু চাপালেন ।।
তোমাদের ঘাড়ে এবার,
আমি দেবো তুলে ।
তোমরা কিন্তু জ্ঞানটাকে,
রেখোনা ঘরে এমনি ফেলে ।।
জ্ঞান বণ্টন করা হয় যেন তোদের কর্ম,
দ্বেষ ছাড়া হয় যেন তোদের ধর্ম ।
________________
গ্রামের ছেলেরা
কবি — পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
আমরা গ্রামের ছেলেরা
ঘুরে বেড়াই পাড়ার পর পাড়া ।
পাঠশালায় যাই রোজ
বইপত্রের নেই খোঁজ !
কেটে কেটে সাতার ,
ভাবি কখন যাব কাতার।
খেলার মাঠ কুড়া
তাই ঠিক করতে লেগেছে সকল গাঁইয়া ছোরা ।
গেলে কোনো বড় শহরে
রাস্তা পার হতে ভয় করে ।।
পাঠশালায় শিখি আমরা
অনেক ছড়া,
কিন্তু ঘরে এসে ছড়াগুলো মিলিয়ে যায়
কোথায় ?
পাঠশালাতে গুন গুন শব্দ করে পড়ি ,
কতই না মজা করি;
আমরা করি গুরুজনদের সম্মান ,
তারা শুধু ধরে আমাদের কান!
তখন ভীষণ রাগ হয়
কিন্তু কিছু করার নেই তাই পালাতে হয় ।।
আমরা গ্রামের ছেলে,
ভুলিনা কারোর কিছু খেলে ;
যার খাই নুন
তার গাই গুন ।
দেখলে ক্ষুধার্ত ভিখারী
চুপিচুপি দেই রান্নাঘর থেকে ভাত ও তরকারি ;
পকেট ফাঁকা!
নেই কোনো টাকা
তাই হেঁটে হেঁটে ঘুরেবেরাই ,
পাড়ার পর পাড়া ।।
পড়ে মহাকাব্য জগতকল্পনা
কতই না করি কল্পনা ।
আমরা গ্রামের ছেলেরা ,
করি শুধু ঘুরাফেরা ।।
________________
গণ্ডগোল
কবি — পূর্ণাঙ্গশু নাথ মজুমদার।
নাকে ঢুকেছিল মাছি !
তাই এসেছে তার হাঁচি।
গতমাসে বাজিয়েছিল বাঁশি ,
এই মাস হলো কাশি !
কাশি হওয়ায় ঘুম নাই !
তাই খাচ্ছে শুধু দাওয়াই ||
খেয়ে কামরাঙা ,
হয়ে গেল তার জিহ্বা রাঙা ।।
বেশি বলেছিল কথা ,
তাই মুখে হলো ব্যাথা ।
খেয়েছিল বেগুন ,
চলেগেছে তার সবগুন !
পরীক্ষায় হয়েছে অনুতীর্ণ ,
তাই বসেছে এখন, হয়ে সংকীর্ণ ।।
_______________
দিবাস্বপ্ন
কবি — পূর্ণাঙ্গশু নাথ মজুমদার।
ধণ চুরি করে চুর মশাই ,
চোখ বুজে ভাবছে মনে মন —
আমার মত এ-জগতে ,
কার আছে এত ধণ ।।
মনি মুক্ত হীরা ,
রূপো ও স্বর্ণের দানি |
এসব রাখার জন্য ,
আছে গুপ্ত গুহা একখানি ।।
কিনব উড়োজাহাজ ,
যাব লন্ডন |
সেখানে গিয়ে
হবো বড় ডন ।
থাকবো অট্টালিকায়।
খাব দামী বেঞ্জন |
কত বড় বড় রাধুনী
করবে আমার জন্য রন্ধন |
বানিয়ে বাগান বাড়ি ,
শুব তুলার বিছানায় |
ফ্লাইটে চড়ে ,
যাব ঘানায় ।।
দিবাস্বপ্ন ছেড়ে যখন ,
চুরটি খোললো চোখ |
কারাঘরের অন্ধকার আয়নায় ,
দেখতে পেলো নিজের মুখ ।।
________________
গ্ৰামের পাঠশালা
কবি — পুর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
স্বাধীনতার পাঁচ বছর পর ,
বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ।
দূরদূরান্ত থেকে আসত ছাত্র
যেতে যেতে হয়ে যেত রাত্র ।
জমি দাতা হলেন দীববাবু
কে করবে কাবু !
ছাত্রদের হত শাস্তি
আসতনা কোনো আর্জি ।
বিংশ শতাব্দীর দশকেই,
আসলো এক আইন—
ছেলে মেয়েদের হবে না আর পেটাই।
তাই বেতগুলো ফেলে দিলেন শিক্ষকমশাই ।
মাঘ মাসেতে
ঘন শীতে ,
হয় সরস্বতী পূজা ,
ছাত্ররা সবাই মিলে করে কতই না মজা ।
নতুন আইনের সাথে সাথে
নতুন দুজন শিক্ষক আসেন ।
একজন আসতেন বেলা ১১ টায়
একজন ঠিক দশটায় !
সঠিক সময়ে স্কুলে আসা ,
নেই তাদের আশা ।।
একটু কঠিন অঙ্ক দেখলেই
তাদের হয় ভয় ।
এগুলো দেখে অভিভাবক সবাই ,
খুবই চিন্তিত হয় ।।
তারপর অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে যায় চলে
ছাত্রদের অন্য স্কুলে ।
নেই বিদ্যালয়ে ছাত্র ,
তাই শিক্ষক দুজন ভাবছেন সারারাত্র —
‘ যদি না থাকে শিক্ষার্থী ,
কি হবে আমাদের আর্থিক স্থিতি ,
পাঠশালার হয়ে যাবে একত্রীকরণ ,
এর ফলে আমাদের চাকরি হয়ে যাবে কর্তন ।।
________________
করুণাময় গাছ
কবি — পুর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
গাছই আমার মাতা পিতা ,
গাছই জগৎ পিতা ।।
গাছের মতো এত শান্ত
খুঁজে পেতে হবে তুমি ক্লান্ত ।
গাছের দেওয়া অক্সিজেন
সকল মানুষই নেন ;
গাছ ছাড়া যে মর্তলোক ,
বাকি রইবে না হতে পাতাললোক !
বৃক্ষ যদি থাকতো না , নদীর তীরে ;
ভেঙে যেত পার গুলো ধীরে ধীরে ।
গাছের ও যে প্রাণ আছে বলেছিলেন জগদীশ বসু ,
তব কেন বোঝনা এরা যে এই বসুন্ধরারই শিশু ,
এক পশলা বৃষ্টি হলে ,
বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিলে ,
থাকবে কোথায় ?
যাবে কোথায় ?
গাছেরাই যে আটকায় বন্যা —
তবু কেন হয়না তাদের উপর করুনা ?
এমন গাছ ধ্বংস হলে
জগৎ যাবে রসাতলে ।।
মৃত্যুর পর দেহখানি যে নিয়ে যাবে বাঁশের দুলনায়
সেটাও নির্মিত গাছেরই করুণায় ।
তাই বলি — সবাই মিলে ,
লাগাই গাছের চারা , বর্ষা এলে ।|
________________
শত্রুতা
কবি — পুর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
অগ্নি ডাকিয়া বলল — ,
ওহে শলিল ,
তোমার ও আমার মধ্যে নেই আর হিংসা ,
শুনে বহ্ণির মুখে প্রশংসা ,
বারি হ্যাঁ বন্ধু হ্যাঁ,
বলে অগ্রসর হয় ,
অগ্নি জল কে বলে ,
না-না এসনা আমার কাছে ,
যাও দাড়াও গিয়ে ওইপাশে ,
নীর পাবকের কথায় পাত্তা না দিয়ে ,
এগোতে লাগল সামনের দিকে ,
আলিঙ্গন করতে শলিল ধরলেন যখন ,
অসহায় অগ্নিদেব অদৃশ্য হলেন তখন ।।
________________
ধর্মসংকট
কবি —পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
ইনি আমার মাসী ,
উনি পিসি ,
যদি করে একজন অন্যজনকে অপমান ,
কি করে করি সমাধান ,
কি করে সহ্য করি তাদের অপমান ,
কারণ দুজনেই আমার চোখে সমান ,
কিছু মানুষ বলে ,
পিসি ও মাসী আলাদা ,
তারা নাকি কাঁচকলায় আদা ,
সত্যি প্রমাণ হলো শেষে ,
যারাই বলে ,
পিসি ও মাসী আলাদা ,
এটাই সত্যি ও সাদা ,
কে জানে এই ধর্মসংকট থেকে ,
কে বাঁচাবে আমাকে ,
কার পক্ষে করি বিচার ,
কার পক্ষে ব্যাবিচার ,
কি করে বুঝি,
পার্থক্য আছে কোথায় ,
কি করে বুঝি ,
কে ভালো কে খারাপ ,
কারণ আমার চোখে যে দুজনই সমান ।
________________
রাতকানা
কবি — পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
নাম তার টিন্কু ,
আসলে সে আমার কাকু ।
হয়েছে তার বিয়ে ,
তাই আসছিল সে ,
নতুন কনে-কে নিয়ে ।।
নববধূ তো আর জান তো না
তার স্বামী যে রাতকানা ।
রাত হতেই ভর্তামশাই ;
শুরু করেন ‘কই কই ’
দেখতে পাচ্ছিল না কিছু ,
কিন্ত চাইছিল স্ত্রীর কাছ থেকে লোকিয়ে রাখবে সবকিছু ।।
ভোর হতেই কাকু আমার ,
দেখতে পারছিলেন সব কিছু পরিষ্কার ।।
________________
খচখটে
কবি — পুর্নাংশু নাথ মজুমদার।
________________
নাম তার খচখটে ,
সে বড় বখাটে।
নেই ঘরের চিন্তা,
নেই পরিবারের চিন্তা,
কারণ সে সর্বস্বত্ত হারা ।
ঘুরেবেরায় পাড়ার পর পাড়া।।
খেলে খেলে জুয়া,
করেছে সর্বসম্পত্তি হাওয়া।
তার এই বদ-অভ্যাসে ,
এখন কেউ নেই তার পাশে।।,
বসে বসে করে কান্না,
কেউ দেয়না এসে শান্তনা ।
ভিখারীর বেশে,
ঘুরেফিরে পাগলের মতো হেসে হেসে।
দেখলে হারানো অট্টালিকা পারেনা সইতে,
তাই সরে আসে সেখান হইতে ।।
________________
পুজোর উপহার
কবি — যোগী পূর্ণাংশু নাথ মজুমদার।
পুজোয় এসেছেন মামা
দিয়েছেন সুন্দর একটি জামা ।
আসলেন পিসি ,
দেখে হলাম খুবই খুশি ।।
ভাবলাম দেবেন কিনে বাঁশি ,
কিন্তু দেখলেন তিনি তার মুখ ভরা হাসি ।।
পাশের বাড়ির খুঁরী ,
দিলেন একটি ঘুড়ি ।
ঘুড়িটি উপরে উঠাতেই ,
ছিঁড়ে গেল তার সুতটি !
বাবাকে বললাম গিয়ে দাও কিনে বন্দুক ,
তিনি দেখলেন আমায় একটি সিন্দুক ।
সিন্দুক খুলে দেখি সেটা ছিল ,
সম্পূর্ণ খালি ।।
দাদুভাই ,আসছিলেন ,
দুটি বড় বেগ আনছিলেন ।
দাদুভাই বেগ রাখতে না রাখতেই ,
লাগলাম খোলতে ।
দেখলাম অনেক কিছু এনেছেন ,
মা সবগুলো বেগ থেকে বের করে রাখছেন ।
তখন দেখলাম নেই খেলনা ,নেই বন্দুক ,
আছে শুধু একটি ছোট্ট সিন্দুক ।
সিন্দুকের ভিতরে ছিল একটি হার ,
বুঝতে বাকি রইলো না আমার ,
এই বার নেই আমার পুজোর উপহার !
________________
The Frog
Author — Yogi Purnangsu Nath Mazumder
We are not dog !
we are frog .
we used to play football ,
but now we are playing bat ball.
we have several nose
but we escape from those —
snake
have very large neck.
that are very mischievous
they eat us without sawing
any sympathy .
we live with peace
under trees.
Rudrashakti Story & Poems Book in Bengali | Rudrashakti Bengali Story Book PDF | Rudrashakti Bengali Story Book PDF | Bengali Story Book Rudrashakti | Rudrashakti Bengali Poem Book PDF | রুদ্রশক্তি বাংলা কবিতা | বাংলা কবিতা রুদ্রশক্তি
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.