Class 4 Bengali Question Answer Chapter 8 বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু

Join Roy Library Telegram Groups

Class 4 Bengali Question Answer Chapter 8 বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু, is a textbook prescribed by the Assam SEBA Board Class 4 Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 4 Bengali Question Answer Chapter 8 বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 4 Bengali Question Answer Chapter 8 বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু Solutions are free to use and easily accessible.

Class 4 Bengali Question Answer Chapter 8 বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 4 Ankuran in Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 4 Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. SEBA Board Class IV Bengali Textbooks Solutions will be able to solve all the doubts of the students. Class 4 Bengali Suggestion, Class 4 Bengali Notes Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam SEBA Board Class 4 Model Activity Task. Assam SEBA Board Class 4 Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

• উত্তর দাও:

(ক) কোন আহোম মহিলা মোগলের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ আহোম মহিয়সী মুলাগাভরু মোগলের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিলেন।

(খ) কোন আহোম রাজার রাজত্বকালে ‘কলিয়াবর যুদ্ধ’ হয়েছিল?

উত্তরঃ আহোম রাজা স্বৰ্গদেউ চুহুংমুঙ বা স্বর্গ নারায়ণের রাজত্বকালে কলিয়াবর যুদ্ধ হয়েছিল।

(গ) মুলাগাভরুর স্বামীর নাম কী ছিল?

উত্তরঃ ফ্রাচেংমুং বরগোঁহাই ছিলেন মুলাগাভরুর স্বামী।

(ঘ) কবচ কাপড় কী?

উত্তরঃ রাতের ভেতর সুতা কেটে কাপড় তৈরি করবে আহোম রমণী আর সেই কাপড় পরে বীরযোদ্ধা যুদ্ধ করতে যাবে। তাতে জয় অবশ্যই আসবে। এ ধরনের বিশ্বাস ছিল অহোম সমাজে। এই বিশেষ তৈরী কাপড়কে কবচ কাপড় বলে।

• উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) হেংদাঙ কী?

উত্তরঃ হেংদাঙ হল বিশাল তরবারির মতো একপ্রকার ধারালো অস্ব আহোম যোদ্ধারা এই অস্ত্রটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন।

(খ) মুলাগাভরুর স্বামী ফ্রাচেংমুং বরগোহাঁই যুদ্ধে যাবার সময় তাঁর কাছে কী চেয়েছিলেন।

উত্তরঃ মুলাগাভরুর স্বামী ফ্রাচেংমুং বরগোহাঁই যুদ্ধে যাবার সময় মুলগাভরুর কাছে ‘কবচ কাপড়’ চেয়েছিলেন।

(গ) মুলাগাভরুর কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল?

উত্তরঃ কলিয়াবর যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠান সেনাপতি তুর্বকের অস্ত্রের আঘাতে মুলাগাভরু হাতির পিঠ থেকে পড়ে যান ও মারা যান।

• কে, কেন এবং কখন নীচের উক্তিগুলো করেছিলেন বলো ।

(ক) “আমি আর দেরি করতে পারছি না। যুদ্ধের জন্য সব সরঞ্জাম তৈরি হয়েছে। আমি তুর্বককে ‘কবচ কাপড়’ ছাড়াই বিতাড়িত করতে পারব।”

উত্তরঃ আহোম বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু তাঁর পতী ও আহোম রাজ্যের মন্ত্রী ও সেনাপতি ফ্রাচেংমুং বরগোঁহাইকে যুদ্ধযাত্রার পূর্বে ‘কবচ কাপড় তৈরি করে দিতে পারেননি। সেজন্য তিনি বরগোঁহাইকে যুদ্ধে যেতে বাধা দিয়েছিলেন। বীর সেনাপতি ফ্রাচেংমুং কোন বাধা না মেনে যুদ্ধে রওনা হবার পূর্বে মুলাগাভরুকে এই আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

(খ) ‘রাতের মধ্যে কবচ কাপড় বুনে না দেওয়ার জন্যই আমার স্বামীর এ দশা হল।

উত্তরঃ কবচ কাপড় ছাড়াই আহোম সেনাপতি ফ্রাচেংমুং বরগোঁহাই যুদ্ধক্ষেত্রে যান। সেখানে মুসলমান সেনাপতি তুর্বকের সাথে তাঁর তুমুল যুদ্ধ হয়। প্রাণপণ যুদ্ধ করেও তার মৃত্যু হয়। পভির মৃত্যুসংবাদে মুলাগাভরু শোকে ভেঙে পড়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন আলোচ্য ভাবনাটি।

• সংক্ষেপে পরিচিতি লেখো-

মুলাগাভরু, স্বর্গদেউ চুহুংমুং, ফ্রাচেংমুং বরগোহাঁই

উত্তরঃ মুলাগাভরু — আহোম বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু ছিলেন আহোম রাজার মন্ত্রী ও পরে সেনাপতি বীর ফ্রাচেংমুং বরগোহাঁই-এর পত্নী।

সলমান সেনাপতির হাতে পতীর মৃত্যুর পর শোকে বিচলিত হয়ে নিজে আহোম সেনাদলের নেতৃত্ব দেন। তাঁর সাহস ও বীরত্ব দেখে মোগল সৈন্যও অবাক হয়ে যায়। বীরাঙ্গনা মুলাগাভরুর নেতৃত্বে বহু মোগল সেনার মৃত্যু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুগল সেনাপতি তুর্বকের অস্ত্রের আঘাতে এই অসীম সাহসী ও বীরাঙ্গনা নারীর মৃত্যু হয়।

স্বৰ্গদেউ চুহুংমুং — স্বৰ্গদেউ চুহুংমুং ছিলেন একজন সুপ্রসিদ্ধ আহোম রাজা। তিনি স্বর্গ নারায়ণ নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালেই মুসলমানরা প্রথম অসম আক্রমণ করেছিল।

ফ্রাচেংমুং বরগোহাঁই — তিনি আহোমরাজ স্বর্গদেউয়ের একজন মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীকালে মুঘলদের বিরুদ্ধে আহোম সেনাদলের নেতৃত্ব দেবার জন্য স্বর্গদেউ তাঁকে সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ করেন। বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু ছিলেন এই বীর সেনাপতির পত্নী। মোগল ‘সেনাপতি তুর্বকের সাথে অসীম বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

• পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।

এরপর স্বর্গদেউ অন্য একজন মন্ত্রী _________ প্রধান সেনাপতিরূপে নির্বাচিত করে তুবককে _________ করতে আদেশ দিলেন।মুলাগাভরু এই বরগোঁহাইয়েরই _________।

উত্তরঃ এরপর স্বৰ্গদেউ অন্য একজন মন্ত্রী ফ্রাচেংমুং বরগোঁহাইকে প্রধান সেনাপতিরূপে নির্বাচিত করে তুর্বককে প্রতিহত করার আদেশ

দিলেন। মুলাগাভরু এই বরগোঁহাইয়ের পত্নী

S.L. No.সূচি-পত্র
অধ্যায় -১সকল দেশের সেরা
অধ্যায় -২একটি মিশমি রূপকথা
অধ্যায় -৩কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা
অধ্যায় -৪ফলার বর্ণন
অধ্যায় -৫কাচ আবিষ্কার
অধ্যায় -৬নেপাল ও গোপাল
অধ্যায় -৭প্রভাতি
অধ্যায় -৮বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু
অধ্যায় -৯অসমের কাঁসা শিল্প
অধ্যায় -১০ঝড়
অধ্যায় -১১মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র
অধ্যায় -১২অবসরের ব্যবহার
অধ্যায় -১৩জন্মদিনের আয়োজন
অধ্যায় -১৪মজার দেশ

খ—ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

• নীচের যুক্তবর্ণগুলো ভেঙে পড় ও লেখো।

ন্স ন+স  ন-এ স ন্স       ফ্রান্স, ঝান্সি

ম্ল  ম+ল   ম-এ ল  ম্ল     ম্লান, অম্লান

• যুক্তবর্ণ গঠন কর:

ন+স    ন-এ স ন্স   

ম+ল    ম-এ ল  ম্ল

নীচে ক্ল, গ্ল, প্ল, ফ্ল, ব্লু, হু এই যুক্তবর্ণ ভেঙে পড়ো ও সেগুলো দিয়ে শব্দ লিখো।

ক্ল ক+ল    

গ্ল গ+ল      

প্ল প+ল  

ফ্ল ফ+ল    

ব্ল ব+ল                                                                                                                                                                                                   

ল্ল ল+ল   

শ্ন শ+ল

হ্ল হ+ল

ক-এ ল ক্ল

গ-এ ল গ্ল  

প-এ ল প্ল 

ফ-এ ল ফ্ল

ব-এ ল ব্ল 

ল-এ ল ল্ল 

শ-এ ল শ্ল

হ-এ ল হ্ল

ক্লান্ত, ক্লেশ, শুক্ল, ক্লাস

গ্লাস, গ্লানি

প্লাবন

ফ্লানেল, ফ্লোরেন্স

ব্লটিং, ব্লাউজ, ব্ল্যাকবোর্ড, ব্লক

দিল্লি, পল্লব, উল্লাস,আল্লা                               

শ্লোক, অশ্লিল, শ্লেষ্মা                                     

আহ্লাদ, প্রহ্লাদ

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস।

শ্লাঘা মানে প্রশংসা।

ঝান্সির রানি ঘোড়ায় উঠে যুদ্ধ করেছিলেন।

ফ্লোরেন্স নাইটেংগেল রুগ্ন মানুষের সেবা করেছিলেন।

জেনে নাও:

(১) ইতিহাস প্রসিদ্ধ অসমের মানুষ সাহস ও বীরত্বের জন্য অতুলনীয়।

(২) এ রাজ্যের নারীরাও পুরুষের সমকক্ষ।

(৩) প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করতেও পারেন।

অসম একটি রাজ্যের নাম। অতএব এটি একটি বিশেষ্যপদ।

দ্বিতীয় বাক্যে এ রাজ্যের ‘এ’ পদটি ‘অসম’ পদের পরিবর্তে বসেছে। ‘এ’ পদটি ‘অসম’ পদের পরিবর্তে বসেছে। এতএব এই ‘এ’ পদটি সর্বনাম পদ। ঠিক তেমনিভাবে ‘অসমের মানুষ’, ‘নারীরা ও পুরুষেরা হলো বিশেষ্য পদ। কিন্তু নারীর পরিবর্তে তৃতীয় বাক্যে ব্যবহার করা ‘তাঁরা’ পদটি. সর্বনাম পদ।

এভাবে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত পদকে সর্বনাম পদ বলা হয়।

যেমন – এ, ও, তাঁরা, সে, তুমি, আমি, তিনি ইত্যাদি।

বাক্যে একই শব্দ বার বার ব্যবহার করলে শুনতে ভাল লাগে না। তাই বিশেষ্য পদের পরিবর্তে সর্বনাম পদ ব্যবহার করা হয়।

• নীচের বাক্যগুলো পড়ো এবং সর্বনাম পদগুলো বের করে লেখো। কোন বিশেষ পদের পরিবর্তে সর্বনাম পদের ব্যবহার করা হয়েছে, তা পাশে উল্লেখ করো।

নমিতার বাড়ি তারাপুর গ্রামে। ও সেই গ্রামের পাঠশালাতে পড়ে। ওর দাদু গ্রামটির প্রধান। গ্রামবাসী তাঁকে সমীহ করে চলেন। উনি তাঁদের সুখ-দুঃখের খবর রাখেন।

উত্তরঃ

সর্বনাম পদকোন বিশেষ্য পদের পরিবর্তে বসেছে
সেইতারাপুর
নমিতা
ওর নমিতার
তাঁকে নমিতার দাদুকে/গ্রাম প্রধানকে
উনি নমিতার দাদু / গ্রাম প্রধান
তাঁদেরগ্রামবাসীদের

• পাঠে তোমরা ‘নারী’ ও ‘স্বামী’ এই দুটো শব্দ পেয়েছ। এই দুটিকে বিভিন্ন নামেও জানা যায়, যেমন-

নারী – মহিলা, রমণী, অঙ্গনা, বনিতা।

স্বামী – পতি, নাথ, প্রভু, মালিক।

• এখন নীচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো।

পত্নী, রণ, শোক, পৃথিবী, নদী

উত্তরঃ পত্নী – বণিতা, বালা, সীমন্তিনী, বামা জায়া, ভার্যা।

রণ – যুদ্ধ, সংঘাত, লড়াই, সমর।

শোক – দুঃখ, ব্যাথা, বেদনা, মর্মপীড়া, মনস্তাপ।

পৃথিবী – ধরিত্রী, জগৎ, ভূ, ধরা, মেদিনী, ধরণী, অবনী, ভূধর।

নদী – নদ, তটিনী, প্রবাহিনী।

• বাক্য রচনা করো।

বীরত্ব, যুদ্ধ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তুমুল, চিরস্মরণীয়, মহীয়ান

উত্তরঃ বীরত্ব – মুলাগাভরু মুসলমানদের বিরুদ্ধে বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করেছিলেন।

যুদ্ধ – আহোমদের সাথে মুঘলদের দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ হয়েছিল।

দৃঢ়প্রতিজ্ঞ – মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য মুলাগাভরু প্রতিজ্ঞা ছিলেন।

তুমুল – তুর্বক সেনার সাথে মুলাগাভরুর আহোম সোনার তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল।

চিরস্মরণীয় – বীরাঙ্গনা মুলাগাভরু তার অসীম সাহস ও বীরত্বের জন্য অসমবাসীর অন্তরে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

মহীয়ান – অহোম রাজত্বকালে অনেক মহীয়ান পুরুষ জন্মেছিলেন।

গ—জ্ঞান সম্প্রসারণ

• কলিয়াবর বর্তমান কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তরঃ বর্তমান অসম রাজ্যের শোণিতপুর জেলায় অবস্থিত।

• সেই জেলার ম্যাপে কপিলি নদী ও আকাশী গঙ্গা শনাক্ত করো।

উত্তরঃ আসামের ম্যাপ দেখে নাও। অসমের ম্যাপে শোণিতপুর জেলা দেখে নাও। এরপর কপিলি নদী ও আকাশী গঙ্গা নদী দুটির অবস্থান দেখে নাও।

• তুর্বক ছাড়াও মিরজুমলা, রামসিংহ আরও অনেকে অসম আক্রমণ করেছিলেন। মহাপরাক্রমী মোগল সেনাপতি রামসিংহকে বীর লাচিত শরাইঘাটের যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন। সেই বীরের বিষয়ে কী জানো লেখো।

উত্তরঃ লাচিত বরফুকন মোমাই তামুলি বরবড়ুয়ার সন্তান। রাজা চক্রধবজ সিং তাকে মোগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনাপতি নিয়োগ করেন। ১৬৬৭ সালে তিনি আহোম সৈন্যদের সংঘবদ্ধ করেন এবং মোগলদের হাত থেকে গৌহাটী পুনরুদ্ধার করেন। ১৯৭১ সালে তিনি শরাইঘাটের যুদ্ধে মোগল সেনাপতি রামসিংহকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন এবং কামরূপ পুনরুদ্ধার করেন। তিনি‌ মানবতার প্রতীক ছিলেন। তাঁর যুদ্ধবিদ্যা ছিল অসীম। শরাইঘাট যুদ্ধের এক বছর পর রোগভোগে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বীরত্বকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর ২৪শে নভেম্বর দিনটি ‘লাচিত দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।

ঘ—প্রকল্প

এক সময়ে আহোম রাজ্যের রাজধানী গড়গাঁও-এ ছিল। এখনও সেখানে আহোম রাজত্বকালের অনেক কীৰ্তিচিহ্ন আছে। সেগুলোর বিষয়ে বড়োদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজের খাতায় লেখো।

উত্তরঃ গড়গাঁও রাজবাড়ি – শিবসাগর থেকে ১৩ কিমি দূরে গড়গাঁও-এ আহোম রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ আছে।

শিবসাগর — প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শিবসাগর অনন্য কীর্তি। ১৭৩৪ সালে আহোম রাজ শিবসিংহ রানী মদরিকার জন্য এটি তৈরী করেন। শিবসাগরের পারে তিনটি শিবমন্দির আছে- শিবদোল, বিষ্ণুদোল এবং দেবীদোল। শিবদোেল ভারতবর্ষের উচ্চতম শিবমন্দির বলে মনে করা হয়।

রংঘর – আহোম রাজ প্রমত্ত সিংহ এটি তৈরী করেন। এটি দু’তলার ডিম্বাকৃতি রাজবাড়ি।

তলাতল ঘর – শিবসাগর থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে আহোম রাজ্যের দ্বিতীয় কীর্তি তলাতল ঘর। এটি একটি রাজপ্রাসাদ যার তিনতলা মাটির নীচে এবং বাকী চারতলা মাটির উপরে। মাটির নীচের তলাগুলিকে তলাতল ঘর বলে আর মাটির উপরের তলাগুলিকে কারেং ঘর বলে। আহোম রাজা রুদ্রসিংহ এটি তৈরী করেন। এখানে আহোম রাজ্যের সৈন্যশিবির ছিল। এখানে দুটি গোপন সুড়ঙ্গ আছে।

জয়সাগর — মানুষের তৈরী সবচেয়ে বড় পুকুর জয়সাগর। এটি শিবসাগর শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত। এর পাড়ে আহোম রাজত্বকালের নিদর্শন সম্বলিত একটি যাদুঘর আছে।

চড়াইদেও — আহোম রাজাদের অন্য একটি রাজধানী। এখানে ধ্বংসাবশেষ ও একটি সমাধিস্থল আছে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top