Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান is a textbook prescribed by the ASSAM AHSEC Board Class 11 Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান | একাদশ শ্রেণীর প্রাগ্রসর বাংলা পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্ন ও উত্তর

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 11 Advance Bengali Chapter 4 সুদূরের আহ্বান Question Answer. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st year Advance Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. AHSEC Board Class XI Advance Bengali Books Solutions will be able to solve all the doubts of the students. HS 1st Year Advance Bengali Subject Suggestion Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Textbooks. HS 1st Year Advance Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

সুদূরের আহ্বান

পদ্যাংশ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘সুদূরের আহ্বান’ কবিতার নামাকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

উত্তরঃ পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননা, গৃহের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি তাদের অনাসক্তি। তারা জীবন মৃত্যুকে তুচ্ছ করে প্রাণের আবেগে ছুটে চলে অজানাকে জানতে, অচেনাকে চেনার তাগিদে। তারা আপনকর্মের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকেন পৃথিবীতে। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের সহযাত্রী হতে চান। তিনিও নিজের জীবনকে গৃহের চারদেওয়ালে সীমাবদ্ধ রাখতে পক্ষপাতী নন। প্রেম-প্রীতি – ভালোবাসা, সৌন্দর্য কোনোটাতেই কবির অভিরুচি নেই, কিন্তু যারা ক্ষুদ্র গৃহকোণে সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য জীবন অতিবাহিত করে তাদের প্রতি কবির ঘৃণা বা ঈর্ষা কোনোটাই নেই। তবে কবি তার এই গৃহমুখী বাঙালী বংশধরদের মতো নিস্কিয় জীবন অতিবাহিত করতে চান না। কবির কানে সুদূরের ডাক এসে পৌঁচেছে। সীমাহীন বৰ্হিজগত তাঁকে আকর্ষণ করছে উত্তপ্ত মরু প্রান্তর, অজানা নদী উৎস, দুর্গম গিরিশৃঙ্গ যেখানে আজ পর্যন্ত মানুষের পদাপর্ণ হয়নি, তারা অনাবিষ্কৃত, তাই তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের আবিষ্কার করার ইচ্ছায় বেরিয়ে পড়েন দুর্গম পথে। সুদূরের ডাকে সাড়া দিয়ে যে সব অভিযাত্রীরা মৃত্যুকে তুচ্ছ করে অজানা ও অচেনা পথে অগ্রসর হয়েছে যুগ যুগ ধরে কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজেকে তাদের দলের একজন ভেবে গর্ববোধ করছেন। এসব দিক দিয়ে বিচার করে বলা যায় নামকরণ সার্থক।

২। ‘সুদূরের আহ্বান’ কবিতার মূল বক্তব্য তোমার নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না, গৃহের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি তাঁদের অনাসক্তি। তারা জীবন-মৃত্যুকে তুচ্ছ করে প্রাণের আবেগে ছুটে চলেন বিশ্বের অজানাকে জানতে, অচেনাকে চেনার তাগিদে। তারা আপনকর্মের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকেন পৃথিবীতে। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের সহযাত্রী হতে চান। তিনিও নিজের জীবনকে গৃহের চারদেওয়ালে সীমাবদ্ধ রাখতে পক্ষপাতী নন। প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা সৌন্দর্য কোনোটাতেই কবির অভিরুচি নেই। কিন্তু যারা ক্ষুদ্র গৃহকোণে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করে তাদের প্রতি কবির ঘৃণা বা ঈর্ষা কোনোটাই নেই। তবে কবি তার এই গৃহমুখী বাঙালী বংশধরদের মতো নিষ্ক্রিয় জীবন অতিবাহিত করতে চান না। কবির কানে সুদূরের ডাক এসে পৌঁছেছে। তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন উত্তপ্ত মরুপ্রান্তর, অজানা নদীর উৎসকে দুর্গম গিরিশৃঙ্গকে আবিষ্কার করার জন্য। তিনি নিজেকে দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের দলের একজন ভেবে গর্ববোধ করছেন। দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের জন্মলগ্নের রবি সপ্তম স্থানে অবস্থান ছিল। রবি সপ্তমস্থানে অবস্থান হলে নাম-যশ হয় কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আলাদা। রবি তাদেরকে চঞ্চল করে তুলেছে। দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের জন্মলগ্নের তারকা তাদের জন্য অশুভ বা অমঙ্গলকারী হয়ে ওঠে।

৩। সুদূরের আহ্বান কবিতায় কবি কাদের কথা বলেছেন ? তাদের পরিচয় কী ? কেন বলেছেন -‘অন্তরে আমি তাদেরই দলের দলী।’

উত্তরঃ নির্ভীক ও দ্বিধাহীন যে সকল যুবক ঘর ছেড়ে বের হয়ে এসেছে, যাদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা দিয়েছে, ঘরে যারা স্থির হয়ে বসে থাকতে পারছেনা, কবি তাদের দলের দলী হতে চেয়েছেন এবং এখানে তাদের কথা বলেছেন। তারপর কবিতার সারাংশ দেখো।

৪। ‘সুদূরের আহ্বান’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ? এই আহ্বানে কবি কীভাবে সাড়া দিতে চেয়েছেন ?

উত্তরঃ সুদূরের আহ্বান বলতে কবি সে জায়গার ডাককে বুঝিয়েছেন, যে জায়গায় মানুষ কোন দিন যায়নি, বা চোখেও দেখেনি।

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না, গৃহের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি তাঁদের অনাসক্তি। তারা জীবন-মৃত্যুকে তুচ্ছ করে প্রাণের আবেগে ছুটে চলেন বিশ্বের অজানাকে জানতে, অচেনাকে চেনার তাগিদে। তাঁরা আপনকর্মের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকেন পৃথিবীতে। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের সহযাত্রী হতে চান। তিনিও নিজের জীবনকে গৃহের চারদেওয়ালে সীমাবদ্ধ রাখতে পক্ষপাতী নন। প্রেম প্রীতি-ভালোবাসা সৌন্দর্য কোনোটাতেই কবির অভিরুচি নেই। কিন্তু যারা ক্ষুদ্র গৃহকোণে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করে তাদের প্রতি কবির ঘৃণা বা ঈর্ষা কোনোটাই নেই। তবে কবি তার এই গৃহমুখী বাঙালী বংশধরদের মতো নিষ্ক্রিয় জীবন অতিবাহিত করতে চান না। কবির কানে সুদূরের ডাক এসে পৌঁছেছে। তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন উত্তপ্ত মরুপ্রান্তর, অজানা নদীর উৎসকে, দুর্গম গিরিশৃঙ্গকে আবিষ্কার করার জন্য। তিনি নিজেকে দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের দলের একজন ভেবে গর্ববোধ করছেন। দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের জন্মলগ্নের রবি সপ্তম স্থানে অবস্থান ছিল। রবি সপ্তমস্থানে অবস্থান হলে নাম-যশ হয় কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আলাদা। রবি তাদেরকে চঞ্চল করে তুলেছে। দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের জন্মলগ্নের তারকা তাদের জন্য অশুভ বা অমঙ্গলকারী হয়ে ওঠে।

S.L. No.সূচীপত্র
পদ্যাংশ
পাঠ – ১গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ
পাঠ – ২দুই বিঘা জমি
পাঠ – ৩সনেট
পাঠ – ৪সুদূরের আহ্বান
পাঠ – ৫রানার
পাঠ – ৬উত্তরাধিকার
পাঠ – ৭কাস্তে
গদ্যাংশ
পাঠ – ৮রাজধর্ম
পাঠ – ৯ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে
পাঠ – ১০রামায়ণ
পাঠ – ১১রূপকথা
ছোটগল্প
পাঠ – ১২কাবুলিওয়ালা
পাঠ – ১৩রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
পাঠ – ১৪খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)

সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করঃ

১। “অগ্নি-আখরে আকাশে যাহার লিখিছে আপন নাম

             চেন কি তাদের ভাই ?

দুই তরঙ্গ জীবন -মৃত্যু জুড়ে তারা উদ্দাম,

             দুয়েরি বল্লা নাই ।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রমেন্দ্র মিত্রের ‘সুদূরের আহবান’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। কবি এখানে তাদের কথা বলতে চেয়েছেন যারা আপন কর্মের মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে পৃথিবীতে। সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের সহযাত্রী যে কবি নিজেও তাও উল্লেখ করেছেন।

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যাঁরা জীবন- মরণকে তুচ্ছ ভেবে প্রাণের আবেগে ছুটে চলে অজানাকে জানার জন্য, অনাবিষ্কৃতকে আবিষ্কৃত করার ইচ্ছায়। যাঁরা নিজের জীবনকে গৃহের চারদেওয়ালে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়না। দুর্বার যাদের চলার গতি। কবি সেই মানুষদের সহযাত্রী হতে চেয়েছেন।

২। “তপতী কমারী মরু আজ চাহে প্রথম পায়ের ধূলি।

অজানা নদীর উৎস ডাকিছে ঘোমটা আধেক খুলি।

নিঃসঙ্গ গিরিচূড়া 

তুহিন তুষার-শয়নে আমারে স্মরিছে বিরহাতুরা।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘সুদূরের আহবান’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। এখানে কবি অভিযাত্রীদের সুদূরের প্রতি আকর্ষণের কথা ব্যক্ত করেছেন। ‘তপতী’ হল সূর্যদেবের কন্যা। 

কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র গৃহের কোণে আজীবন কাটিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁর মধ্যে সমগ্র বিশ্বের অচেনা, অজানাকে চেনার-জানার অমোঘ আগ্রহ রয়েছে। পৃথিবীতে এমন কত নদী, মরুভূমি, বরফে আবৃত পর্বত চূড়া এছাড়াও আরো কত জায়গা রয়েছে, যেখানে আজ পর্যন্ত মানুষ পদার্পণ করেননি, তাই অনাবিষ্কৃত থেকেই গেছে। সে সব কিছু দুঃসাহসী অভিযাত্রী কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হওয়ার জন্য অপেক্ষারত।

৩। “মোদের লগ্ন সপ্তমে ভাই রবির অট্ট হাসি,

জন্ম-তারকা হয়ে গেছে ধূমকেতু।

নৌকা মোদের নোঙর জানেনা, শুধু চলে স্রোতে ভাসি –

কেন যে বুঝিনা, বুঝিতে চাহিনা হেতু।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘সুদূরের আহবান’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। দঃসাহসিক অভিযাত্রীরা নিরন্তর কর্মের মধ্যে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা আপন জীবন নৌকাকে অনন্ত স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। নিরন্তর চলাতেই তাদের আনন্দ। কবি এখানে সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রীদের কথা বর্ণনা করেছেন। একজন ব্যক্তি জন্ম নেওয়ার মুহূর্তে আকাশে অবস্থান করা তারকাই হয় সেই মানুষটির জন্ম তারকা। এই তারকার উপর নির্ভর করেই সেই ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হবে বা কেমন যাবে তা বিচার করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিচার করা হয় রবিগ্রহ যদি কোনো ব্যক্তির জন্ম লগ্ন হতে সপ্তমঘরে বিরাজমান হয় তবে তার নাম-যশ হয়। কিন্তু দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের ক্ষেত্রে তা একটু আলাদা। তাদের জন্মলগ্নে তারকার অবস্থান অমঙ্গলসূচক। তারা গৃহে সীমাবদ্ধ থাকতে চায়না। তাদের অভিযান অচেনাকে চেনার, অজানাকে জানার, অনাবিষ্কৃতকে আবিষ্কৃত করার। তাঁরা চঞ্চল, এই চির অশান্ত অভিযাত্রীরা তাদের জীবন নৌকা ভাসিয়ে দিয়েছে অশান্ত সমুদ্রের স্রোতে। তারা নোঙর ফেলতে জানেনা। ক্রমাগত চলাই তাদের চলার লক্ষ্য।

৪। “যে শোণিত ধারা ঘুমায়ে কাটাল পুরুষ চতুৰ্দশ,

দেখি আজো ভাই লাল তার রং তাজা তার জৌলস।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘সুদূরের আহবান’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। কবি এখানে নিরুদ্যম বাঙালী জীবনকে দেখে কল্পনায় নিজেকে দুর্গম পথের যাত্রী হিসেবে মনে করেন।

বাঙালিরা এতদিন ধরে গৃহকোণে ছোট-ছোট আশা, সুখ নিয়ে ছিল ব্যস্ত। তাদের জীবন ছিল নিরুদ্যম, নিষ্ক্রিয়। কবি তার পূর্বপুরুষদের এধরনের জীবনযাত্রা দেখে কল্পনায় নিজেকে দুর্গম পথের যাত্রী হিসেবে মনে করেছেন। তিনি তাঁর রক্তের মধ্যে গতির সন্ধান পান। এককথায়, নিরন্তর চলাতেই তাঁর আনন্দ। তিনি নিষ্প্রাণতা বা নিষ্ক্রিয়তাকে স্বীকার করেননা।

৫। “ঈর্ষা করিনা, ঘৃণা নহে ভাই শুধু নহি উৎসুক।

মনের গ্রন্থি জটিল বড় যে খুলিতে সহেনা তর;

সোহাগের ভাষা কখন শিখি যে নাই মোটে অবসর।”

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘সুদূরের আহবান’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। সুদূর পিয়াসী কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাংসারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি ছিল অনাসক্তি। এখানে তা-ই বর্ণিত হয়েছে।

সাংসারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের মোহ ও আকর্ষণ কোনটাই ছিলনা। তবে যারা গৃহকোণে ছোট-ছোট আশা- আকাঙ্খাকে ঘিরে সখু নিদ্রায় মগ্ন থাকে তাদের প্রতি কবির ঘৃণা বা ঈর্ষা ছিলনা। কবি নিজের জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননা। তাঁর মতে জটিলতায় আচ্ছাদিত মানুষের মনের সুক্ষ্ম গ্রন্থিগুলি খোলার তাঁর সময় নেই। কারণ কবি অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার, অনাবিষ্কৃতকে আবিষ্কৃত করার দুঃসাহসিক অভিযানের সংগে নিজেকে যুক্ত করেছেন। তিনি এই দুর্গ পথের অভিযাত্রী। বৈচিত্র্যহীন গৃহজীবন তাঁর জন্য নয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। “অগ্নি-আখরে আকাশে যাহারা লিখিছে আপন নাম, আমি যে তাদের চিনি ।” – এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে ? উক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও ? 

উত্তরঃ যাঁরা দুর্গম পথের অভিযাত্রী। যাঁরা আপন জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ না রেখে অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার তাগিদ নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে।

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যাঁরা মুক্তপ্রাণ। যাঁরা নিজেকে গৃহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অজানাকে জানার, অসম্ভবকে সম্ভব করার অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। এককথায় তাঁরা নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। আপন কর্মের মাধ্যমে তাঁরা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে পৃথিবীতে। 

২।“ অন্তরে আমি তাদেরই দলের দলী” – কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজেকে কাদের দলের দলী বলেছেন ? সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ যাঁরা দুর্গম পথের অভিযাত্রী। অর্থাৎ যাঁরা আপন জীবনকে গৃহে সীমাবদ্ধ না রেখে অজানাকে জানার, অসম্ভবকে সম্ভব করার অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। এককথায় যারা নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজেকে তাদের দলের দলী বলেছেন।

৩। “স্তোত্র রচিও, যদি পার, তব প্রিয়ার আঁখি বাখানি।” কে, কার উদ্দেশ্যে এবং কেন এই উক্তি করেছেন ?

উত্তরঃ এখানে কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র তাঁদের উদ্দেশ্যে এই উক্তি করেছেন যারা গৃহে সুস্থির জীবন অতিবাহিত করছে। কবি একদল উদ্দাম যুবকের ডাকে সাড়া দিয়েছেন যারা নিজেকে গৃহে সীমাবদ্ধ না রেখে অজানাকে জানার, অসম্ভবকে সম্ভব করার অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু যে মানুষেরা গৃহের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থেকে সুখ উপভোগ করছেন, প্রেয়সীর‌ চোখের সৌন্দর্য -মাধুর্য নিয়ে গীতিকাব্য রচনা করছেন তাদের কবির ঈর্ষা বা ঘৃণা কোনোটাই নেই, তবে কবির ইহাতে অভিরুচিও নেই।

৪।‌ “তুহিন তুষার – শয়নে আমারে স্মরিছে বিরহাতুরা।”-

– বিরহাতুরা কে ? সে কাকে স্মরণ করছে এবং কেন ?

উত্তরঃ বিরহাতুরা হল দুর্গম অরণ্যে মানুষের দৃষ্টির আড়ালে লুকিয়ে থাকা নদী। সে কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রকে স্মরণ করছে। কারণ কবি অজানাকে জানার এবং অসম্ভবকে সম্ভব করার তাগিদ নিয়ে গৃহের সীমাবদ্ধতাকে অগ্ৰাহে করে বেরিয়ে পড়েন তাই দুর্গম অরণ্যে মানুষের দৃষ্টির আড়ালে লুকিয়ে থাকা নদী  তাঁকে স্মরণ করছে যাতে তাঁকেও কবি সন্ধান করে। সকলের নজরে নিয়ে আসেন।

৫। “তপতি কুমারী মরু আজ চাহে প্রথম পায়ের ধূলি।”

– ‘তপতী’ কথার অর্থ কী ? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ ‘তপতী’ হল সূর্যদেবের কন্যা।

কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র গৃহের কোণে আজীবন কাটিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁর মধ্যে সমগ্র বিশ্বের অচেনা, অজানাকে চেনার-জানার অমোঘ আগ্রহ রয়েছে।

পৃথিবীতে এমন কত নদী, মরুভূমি, বরফে আবৃত পর্বত চূড়া এছাড়াও আরো কত জায়গা রয়েছে, যেখানে আজ পর্যন্ত মানুষ পদার্পণ করেননি, তাই অনাবিষ্কৃত থেকেই গেছে। সে সব কিছু দুঃসাহসী অভিযাত্রী কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হওয়ার জন্য অপেক্ষারত।

৬। “মোদের লগ্ন সপ্তমে ভাই রবির অট্টহাসি

             জন্মতারকা হ’য়ে গেছে ধূমকেতু

নৌকা মোদের নোঙর জানেনা, শুধু চলে স্রোতে ভাসি

             কেন যে বুঝিনা, বুঝিতে চাহিনা হেতু।”

– প্রসঙ্গটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ একজন ব্যক্তি জন্ম নেওয়ার মুহূর্তে আকাশে অবস্থান করা তারকাই হয় সেই মানুষটির জন্ম তারকা। এই তারকার উপর নির্ভর করেই সেই ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হবে বা কেমন যাবে তা বিচার করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিচার করা হয় রবিগ্রহ যদি কোনো ব্যক্তির জন্ম লগ্ন হতে সপ্তমঘরে বিরাজমান হয় তবে তার নাম-যশ হয়। কিন্তু দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের ক্ষেত্রে তা একটু আলাদা। তাদের জন্মলগ্নে তারকার অবস্থান অমঙ্গলসূচক। তারা গৃহে সীমাবদ্ধ থাকতে চায়না। তাদের অভিযান অচেনাকে চেনার, অজানাকে জানার, অনাবিষ্কৃতকে আবিষ্কৃত করার। তাঁরা চঞ্চল, এই চির অশান্ত অভিযাত্রীরা তাদের জীবন নৌকা ভাসিয়ে দিয়েছে অশান্ত সমুদ্রের স্রোতে। তারা নোঙর ফেলতে জানেনা। ক্রমাগত চলাই তাদের চলার লক্ষ্য।

 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। সুদূরের আহবান কবিতাটির রচয়িতা কে?

উত্তরঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র।

২। ‘সুদূরের আহবান’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত ?

উত্তরঃ ‘প্রথমা’ কাব্যগ্রন্থ।

৩। প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?

উত্তরঃ প্রথমা।

৪। প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার ও রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ‘সাগর থেকে ফেরা’।

৫। ‘অন্তরে আমি তাদেরই দলের দলী’-কে তাদের দলের দলী ?

উত্তরঃ কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র।

৬। “দুই তুরঙ্গ তাহাদের রথে উদ্ধত উদ্দাম,

– শোন তার শিঞ্জিনী।” – ‘শিঞ্জিনী’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ শিঞ্জিনী শব্দের অর্থ নুপূরের ধ্বনি।

৭। তপতী কথার অর্থ কী ?

উত্তরঃ তপতী হলেন সূর্যের কন্যা।

৮। ‘সুদূরের আহ্বান’ কবিতায় কবির জন্ম তারকা কোনটি ?

উত্তরঃ ধূমকেতু।

৯। ‘ছাড়পত্র’, ‘ঘুমনেই’, ‘মিঠেকড়া’ – কাব্যগুলির কবি কে ?

উত্তরঃ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।

FAQs

Question: Where I can get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Suggestion Chapter Wise?

Answer: You can get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Suggestion Chapter Wise On Roy Library. For every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly.

Question: Which is the best Site to get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Solutions?

Answer: Roy Library is a genuine and worthy of trust site that offers reliable information regarding Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Solutions.

Question: How can students use the solutions for exam preparation?

Answer: Students can use the solutions for the following:

  • Students can use solutions for revising the syllabus.
  • Students can use it to make notes while studying.
  • Students can use solutions to understand the concepts and complete the syllabus.

IMPORTANT NOTICE

We have uploaded this Content by Roy Library. You can read-write and Share your friend’s Education Purposes Only. Please don’t upload it to any other Page or Website because it is Copyrighted Content.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top