Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ Question Answer is made for AHSEC Students. Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ

Here we will provide you complete Bengali Medium Class 11 বাংলা ( MIL ) HS 1st Year Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam. Here we have given for All Subject, You can practice these here…

(ঙ) টীকা লিখ।

উত্তরঃ  তৎসম শব্দ – তৎসম শব্দটির অর্থ হ’ল ‘তৎ’ অর্থাৎ তার ‘সম’ অর্থাৎ সমান।

‘তৎ’ বলতে এখানে সংস্কৃত শব্দকে বোঝানো হয়েছে। অতত্রব যে শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে অবিকৃতভাবে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে, সেই শব্দকে তৎসম শব্দ বলা হয়। যেমন- নিমন্ত্রন, প্রসন্ন, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি।

অর্ধ-তৎসম শব্দ – অর্ধ-তৎসম অর্থাৎ অর্ধেকটা সংস্কৃত আর অর্ধেকটা সংস্কৃত নয়। যেসব সংস্কৃত শব্দ লোকমুখে উচ্চারিত হতে হতে বিকৃতি লাভ করে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে সেই শব্দগুলিকে অর্ধ-তৎসম শব্দ বলা হয়। যেমন–

মহোৎসব > মোচ্চব।

উৎসন্ন > উচ্চন্ন।

কীর্তন > কেত্তন।

তদ্ভব শব্দ – ‘তৎ ভব’ অর্থাৎ তা থেকে উৎপন্ন অর্থাৎ সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন শব্দই তদ্ভব শব্দ। যেসব সংস্কৃত শব্দ প্রাকৃত অপভ্রংশ ভাষার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক পরিবর্তন লাভ করে বাংলা ভাষায় আসে সেই শব্দগুলিকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ।

যেমন- 

হস্ত > হখ > হাত।

কৃষ্ণ > কন্হ > কানু।

দেশি শব্দ – আর্যদের ভারতে আসার আগে এদেশে বসবাসকারী অনার্যদের মুখের যেসব ভাষা রূপান্তরিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদার বলা হয় দেশি ভাষা। যেমন—ঝিঙে, ডিভি, মুড়ি, চিল।

বিদেশি শব্দ – বিভিন্ন সময়ে এদেশে নানা বিদেশি নানা কারণে এসেছে। দীর্ঘদিন তারা এদেশে থাকার ফালে তাদের মুখের বহু শব্দ বাংলা ভাষার সঙ্গে মিলে গেছে, সেই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। যেমন—

ইংরেজি শব্দ – চেয়ার, টেবিল।

ফারাসি শব্দ – বাহাদুর, আদালত।

আরবি শব্দ – আস্তাবল।

পর্তুগিজ শব্দ – আনারস, আলপিন, আলকাতরা।

ইতালি – কোম্পানি, গেজেট।

অনুবাদ ঋণ – ইংরেজি শব্দের প্রভাবে অনেক শব্দ বাংলায় অনুবাদ করে গ্রহণ করা হয়েছে। এধরনের শব্দকে বলা হয় – অনুবাদ ঋণ। যেমন–

University > বিশ্ববিদ্যালয়।

Wrist Watch > হাতঘড়ি।

ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় গৃহীত শব্দাবলি– বর্তমানকালে প্রচুর পরিমাণে ইংরেজি শব্দ বংলা শব্দভাণ্ডারে গৃহীত হয়েছে। বাংলাভাষার এই ইংরেজি শব্দাবলিকে প্রধানত দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথম বিভাগে ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলায় গৃহীত সামান্য পরিবর্তিত শব্দাবলিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যেমন—

গ্লাস > গেলাস।

গার্ড > গারদ।

দ্বিতীয় বিভাগের ইংরেজি শব্দগুলো বাংলায় গৃহীত হয়েছে, তবে উচ্চারণের দিক থেকে অবিকৃত থেকেছি। যেমন— শার্ট, কোর্ট, ট্রেন।

অশুদ্ধ সংশোধন

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

(ক) বাংলা ভাষার অশুদ্ধি সংশোধন ও অশুদ্ধি বিচার কয়টি বিভাগে বিভক্ত।

উত্তরঃ বাংলা ভাষার অশুদ্ধি সংশোধন ও অশুদ্ধি বিচারকে চৌদ্দটি বিভাগে বিভক্ত।

(খ) বর্ণাত্তদ্ধি’ বিভাগের যে কোনো একটি উপবিভাগের নাম বলো।

উত্তরঃ ‘বর্ণাত্তদ্ধি’ বিভাগের একটি উপবিভাগের নাম হ’ল—ই-ঈ-ঘটিত অশুদ্ধি।

(গ) শুদ্ধ বানানটি নির্দেশ করো : ব্যকরণ, ব্যাকরণ শিরচ্ছেদ, শিরশ্ছেদ।

উত্তরঃ শুদ্ধ বানান হচ্ছে- ব্যাকরণ, শিরশ্ছেদ।

(ঘ) মুহূর্ত-মুহুর্তঃ কোন ধরনের বর্ণাশুদ্ধির উদাহরণ?

উত্তরঃ ঊ-ঊ ঘটি বর্ণাশুদ্ধির উদাহরণ।

(ঙ) যুক্তাক্ষর ঘটিত অশুদ্ধির যে কোনো একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

দ্বন্দ – দ্বন্দ্ব।

(চ) ‘উজ্জ্বল’ এর শব্দ রূপটি নির্ণয় করো।

উত্তরঃ উজ্জ্বল।

(ছ) কৃৎ তদ্বিতাদি ঘটিত অশুদ্ধির যে কোনো একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

উদ্বেলিত – উদ্বেল।

(জ) ‘শরৎ চন্দ্র’ শব্দটি বাংলার বহুল প্রচলিত হলেও শব্দটি ব্যাকরণদুষ্ট। এর শুদ্ধ রূপটি কী?

উত্তরঃ শরচ্চন্দ্র রূপটি শুদ্ধ।

(ঝ) ‘চাকচিক্য’ বাংলায় প্রচলিত হলেও, এর শুদ্ধ রূপটি কী?

উত্তরঃ চাকচক্য।

(ঞ) ইতোমধ্যে’ শব্দটি শুদ্ধ, কিন্তু তার পরিবর্তে বাংলায় কী ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ইতিমধ্যে।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

(ক) একই ‘অহ্ন’ শব্দযোগে গঠিত ‘মধ্য + অহ্ন’ এবং ‘পূর্ব + অহ্ন শব্দ দুটির শুদ্ধ রূপ নির্ণয় করো।

উত্তরঃ ‘মধ্য + অহ্ন’ এর শুদ্ধ রূপ — মধ্যাহ্ন

‘পূর্ব + অহ্ন’ এর শুদ্ধ রূপ — পূর্বাহ

(খ) সন্ধি-বিষয়ক অশুদ্ধির যে কোনো দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সন্ধি-বিষয়ক অশুদ্ধির উদাহরণ—

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

দুরাবস্থা – দুরবস্থা।

দিগেন্দ্ৰ – দিগিন্দ্র।

(গ) ‘সমাস-বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার’ বিভাগের উপবিভাগ দুটির নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ‘সমাস-বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার’ বিভাগের উপবিভাগ দুটির নাম হ’ল—

সমাসে পূর্বপদের পরিবর্তন।

সমাসে পরপদের পরিবর্তন।

(ঘ) অশুদ্ধি সংশোধন করো–

উত্তরঃ কনিষ্ঠতম – ভৌগলিক, শারিরিক, উর্দু, রসায়ন।

কণিষ্ঠতম – কণিষ্ঠ।

ভৌগলিক – ভৌগোলিক।

শারিরিক – শারীরিক।

উর্দ্ধ – ঊর্দ্ধ।

রসায়ন – রসায়ন।

৩। উত্তর দাওঃ

(ক) দারণ ও বর্ণাযুদ্ধির বিভিন্ন উপবিভাগের বৈশিষ্ট্যসহ পরিচয় দাও।

উত্তরঃ বাংলাভাষার স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণের অশুদ্ধ প্রয়োগের ফালে যে ধরনের অশুদ্ধি সংঘটিত হয়, তাকে বর্ণাশুদ্ধি বলা হয়। সাধারণত বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণের ই, ঈ, উ, ঊ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের শ, ষ, স, জ, য, র, ড়, ঢ় সহ ব-ফলা, ও য-ফলা ইত্যাদির উচ্চারণে কোনো পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। তাই এসব ক্ষেত্রে বর্ণাশুদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা থেকে যায়।

এই বিভাগকে আবার কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত করা হয়। এই উপবিভাগ গুলো হল–

১.১ ই-ঈ-ঘটিত অশুদ্ধি – বাংলার ই, এর ঈ র উচ্চারণে সাধারণত কোনো বিশেষ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। এই বর্ণাশুদ্ধির সম্ভাবনা এক্ষেত্রে বহুপরিমানে বেড়ে যায়। এই উপবিভাগের কায়েকটি বর্ণাশুদ্ধির উদাহরণ–

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

বাল্মিকী – বাল্মিকি।

উ-উ-ঘটিত অশুদ্ধি –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

শুশ্রুষা – শুশ্রূষা।

পূণ্য – পুন্য।

ণ, ন ঘটিত অশুদ্ধি –

কনিকা – কণিকা।

ধারন – ধারণ।

শ-ষ-স ঘটিত অশুদ্ধি –

পুরষ্কার – পুরস্কার।

শষ্য – শস্য।

২। যুক্তাক্ষর ঘটিত অশুদ্ধি – স্ব ফলা ঘটিত অশুদ্ধি

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

সাহার্য – সাহায্য।

৩। উচ্চারণ দোষ ঘটিত –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

পিচাশ – পিশাচ।

৩.১ বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে য-ফলার উচ্চারণজনিত অশুদ্ধি একটি উল্লেখযোগ্য উপবিভাগ। যেমন–

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

ব্যখ্যা – ব্যাখ্যা।

ব্যপ্ত – ব্যাপ্ত।

৪। একাই শব্দের বিভিন্ন বর্ণবিন্যাসঃ সংস্কৃত ভাষার কয়েকটি শব্দে দ্বিবিধ বানানে প্রচলিত। এই দ্বিবিধ বর্ণবিন্যাস থেকেও অশুদ্ধি সংঘটিত হয়। যেমন—

যদ্যাপি – যদ্যপি।

তরুছায়া – তরুচ্ছায়া।

৫। শব্দ প্রয়োগের অসাবধানতা – অনেক ক্ষেত্রে শব্দ প্রয়োগের অসাবধানতার জন্যও ভাষা প্রয়োগে অশুদ্ধতা সংঘটিত হয়।

আর্ত – পীড়িত।

আত্ত – গৃহীত।

পারক – সমর্থ।

পারগ – পারদর্শী।

৬। সন্ধি-বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার : সন্ধি সম্বন্ধে সঠিক ধারণা না থাকার ফলে এধরনের অশুদ্ধি সংঘটিত হয়। এই বিভাগটিও কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত—

৬.১. অ-কাড়ের পরবর্তী বিসর্গের বিভক্ত –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

মনযোগ – মনোযোগ।

সদ্যজাত – সদ্যোজাত।

৬.২. বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে তৃতীয় বর্ণ–

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

বাকদান – বাগদান।

ভবিষ্যৎবাণী – ভবিষ্যদবাণী।

৬.৩. বর্গের তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে প্রথম বর্ণ –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

হৃদপিণ্ড – হৃৎপিণ্ড।

৬.৪. বিসর্গ স্থানে শ, ষ, স

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

পুরষ্কার – পুরস্কার।

৬.৫. ম স্থানে অনুস্বার বা পঞ্চম বর্ণঃ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

বারম্বার – বারংবার।

৬.৬. সন্ধি বিষয়ক অন্যান্য অশুদ্ধি 

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

যদ্যাপি – যদ্যপি।

৭. সমাস-বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার

৭.১. সমাসে পূর্বপদের পরিবর্তন 

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

গুণীগন – গুণিগন।

৭.২. পরপদের পরিবর্তনঃ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

মহারাজা – মহারাজ।

অহর্নিশি – অহর্নিশ।

৭.৩ সমাস-ঘটিত অন্যান্য অশুদ্ধি 

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

জ্ঞাতার্থে – জ্ঞানার্থে।

৭.৪. কৃৎ-তদ্ধিতাদি ঘটিত অশুদ্ধি – এই বিভাগটিতে প্রত্যয়জনিত অশুদ্ধির আলোচনা করা হয়।

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

উচিৎ – উচিত।

সাধ্যাতীত – অসাধ্য।

৭.৫. বিশেষ্য-বিশেষণাদির অপপ্রয়োগ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

সকলেই মৌন হয়ে থাকলেন – সকলেই মৌনী হয়ে থাকলেন

দেবী অন্তর্ধান হলেন – দেবী অন্তর্হিত হলেন

৭.৬. বিশেষ্যের বিশেষণবৎ প্রয়োগ –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

একথা আমার মনে উদয় হল – উদিত হল

৭.৭. ব্যাকরণ দুষ্ট, কিন্তু বাংলার বহুপ্রচলিত –

শুদ্ধ – বংলায় প্রচলিত।

অর্ধাঙ্গ – অর্ধাঙ্গিনী।

নৈরাশ্য – নিরাশা।

(খ) সন্ধি বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার?’ বিভাগের উপবিভাগগুলোর বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করো?

উত্তরঃ সন্ধি সম্বন্ধে সঠিক ধারণা না থাকার ফলে এধরনের অশুদ্ধি সংঘটিত হয়। এই বিভাগটিও কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত। যেমন—

১.১. অ কারের পরবর্তী বিসর্গের পরিবর্তন – এই উপবিভাগের উদাহরণ—

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

যশলাভ – যশোলাভ।

মনচোর – মনশ্চোর।

১.২ বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে তৃতীয় বর্ণ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

বাক্‌দান – বাগদান।

বণিকগণ – বণিগগণ।

১.৩ বর্গের তৃতীয় চতুর্থ স্থানে প্রথম বর্ণ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

হৃদপিণ্ড – হৃৎপিণ্ড।

ক্ষুধপিপাসা – ক্ষুৎপিপাসা।

১.৪. বিসর্গ স্থানে শ, ষ, স –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

তিরষ্কার – তিরস্কার।

নমস্কার – নমস্কার।

১.৫ ম-স্থানে অনুস্বার বা পঞ্চম বর্ণ–

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

কিম্বা – কিংবা।

সম্বরণ – সংবরণ।

১.৬ সন্ধি বিষয়ক অন্যান্য অশুদ্ধি –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

সন্মত – সম্মত।

অধ্যাবসায় – অধ্যবসায়।

(গ) টীকা লেখো

সমাস-বিষয়ক অশুদ্ধি বিচার – এই বিভাগের কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত যেমন— 

সমাসে পূর্বপদে পরিবর্তন –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

সলম্বিত – সলম্ব।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top