Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ Question Answer is made for AHSEC Students. Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 11 Bengali Grammar | ব্যাকরণ

Here we will provide you complete Bengali Medium Class 11 বাংলা ( MIL ) HS 1st Year Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam. Here we have given for All Subject, You can practice these here…

সমাসে পরপদের পরিবর্তন –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

মহারাজা – মহারাজ।

দিবারাত্র – দিবারাত্রি।

সমাস-ঘটিত অন্যান্য অশুদ্ধি –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

পিতৃসখা – পিতৃসখ।

কৃৎ তদ্ধিতাদি ঘটিত অশুদ্ধি –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

তথাপিও – তথাপি।

সত্ত্বা – সত্তা।

বিশেষ্য-বিশেষণাদির অপপ্রয়োগ –

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

অপমান হওয়ার আরভয় নেই – অপমানিত হওয়ার।

বিশেষ্যের বিশেষণবৎ প্রয়োগঃ

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

গোপন কথাটো বলো – গোপনীয়।

ব্যাকরণপদুষ্ট কিন্তু বাংলার বহুপ্রচলিত –

শুদ্ধ – বাংলায় প্রচলিত।

বহুরূপ – বহুরূপী।

ব্যাকরণদুষ্ট, কিন্তু বাংলায় বহু প্রচলিত অশুদ্ধি প্রয়োগ –

শুদ্ধ – বাংলায় প্রচলিত।

ইতঃপূর্বে – ইতিপূর্বে।

নৈরাশ্য – নিরাশা।

শ্রেষ্ঠ – শ্রেষ্ঠতর – তম।

কনিষ্ঠ – কণিষ্ঠতর – তম।

উচ্চারণ দোষ ঘটিত অশুদ্ধি – 

বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে য ফলার উচ্চারণজনিত অশুদ্ধি একটি উল্লেখযোগ্য উপবিভাগ। বাংলায় য-ফলা উচ্চারণ খুব স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট না হওয়ার জন্য, এ ধরনের অশুদ্ধি সংঘটিত হয়। এর কয়েকটি উদাহরণ—

অশুদ্ধ – শুদ্ধ।

ব্যখ্যা – ব্যাখ্যা।

ব্যকরণ – ব্যাকরণ।

ব্যয়াম – ব্যায়াম।

কারক বিভক্তি

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

(ক) বাংলায় কারক কয়টি।

উত্তরঃ বাংলায় কারক ছয়টি।

(খ) কর্তৃকারকের ‘তে’ বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে।

(গ) কর্মকারকের সপ্তমী বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ পুলিসে খবর দাও।

(ঘ) করণ কারকের শূন্য বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ছেলেরা বল খেলছে।

(ঙ) সম্প্রদান কারকের ‘তে’বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ সমিতিতে চাঁদা দিতে হবে।

(চ) অপাদান কারকের ষষ্ঠী বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়।

(ছ) সম্বন্ধ পদের একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ অমিতের দাদা বড়ো গায়ক— এখানে অমিতের দাদা (সম্বন্ধ পদ)।

(জ) অধিকারণ কারকের ‘কে’ বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ ঘরকে চল।

(ঝ) বাংলার বিভক্তি কয়টি?

উত্তরঃ বিভক্তি দুই প্রকারের শব্দ বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি।

(ঞ) “শিকারি বেড়াল গোফে চেনা যায়’— নিম্নরেখ পদটি কোন কারকে সূচিত করে।

উত্তরঃ করণ কারক।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

(ক) বাক্যের উপাদান কয়টি ও কী কী?

উত্তরঃ বাক্যের উপাদান পাঁচটি। বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয়ও ক্রিয়া।

(খ) কারক বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সম্বন্ধকে কারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্ক ছয় প্রকারে নির্ধারিত হয়। তাই কারক ছয় প্রকার, যেমন— কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, নিমিত্তকারক, অপাদানকারক ও অধিকরণকারক।

বাক্যে মূল ক্রিয়াকে প্রশ্ন করে এই ছয়রকম সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়। যেমন—

রাজা প্রাসাদে বসে স্বহস্তে রাজকোষ হতে

প্রজাদের ধন বিতরণ করছেন।

এই বাক্যে মূল ক্রিয়া ‘বিতরণ করছেন’। মূল ক্রিয়ারে কে, কী, কীসের দ্বারা, কাদেরকে, কোথা থেকেও কোথায় দিয়ে প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া যায় তা যথাক্রমে কর্তৃ, কর্ম, করণ, নিমিত্ত, অপাদান ও অধিকারণ কারক।

(গ) ‘কারক’ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ কারক ছয় প্রকার।

যেমন— কতৃকারক, কর্মকারক, কারণ কারক, সম্প্রদান কারক, অপাদান কারক, অধিকরণ কারক।

(ঘ) কর্তৃকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হতে পারে কি? যদি পারে, তবে একটি উদাহরণ উল্লেখ করো যদি না পারে, তবে কেন, তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ কর্তৃকারকে সাধারণত প্রথমা বিভক্তি যুক্ত হলেও, ক্ষেত্রবিশেষে কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্য কখনো দ্বিতীয়া বিভক্তিও যুক্ত হয় যেমন—

কর্মবাচ্যে— তোমাকে এ কাজে করতেই হবে।

ভাববাচ্যে – আমাকে এবার উঠতে হবে।

অকর্মক ক্রিয়ার কর্তার লোকটিকে একদম মনে পড়ছে না।

(ঙ) করণ কারকে প্রথমা ও ষষ্ঠী বিভক্তির প্রয়োগ দেখিয়ে একটি করে উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ করণ কারকে প্রথমা বিভক্তি- খেলাধুলা বা মারামারি অর্থসূচক ক্রিয়ার করণে তৃতীয়া বিভক্তির লোপ হয় এবং সেক্ষেত্রে শূন্য বিভক্তি হয়। যেমন— তিনজন মিলে তাস খেলছে (অর্থাৎ তাস দিয়ে খেলছে)

কারণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি— করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভক্তি চিহ্নত্ত যুক্ত হয়। করণ কারকে তাই ষষ্ঠী বিভক্তির প্রয়োগও দেখা যায়। যেমন—

চোরকে লাঠির বাড়ি মারা হল (এখানে লাঠির বাড়ি)

(চ) কর্ম কারকের দুটি প্রকারভেদের নাম কী?

উত্তরঃ কর্ম কারকের দুটি প্রকার ভেদের নাম হ’ল— মুখ্যকর্ম ও গৌণকর্ম।

(ছ) অনুসর্গ ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ বাংলায় অপাদান কারকে কোনো বিভক্তি চিহ্নযুক্ত হয়নি। এই কারকে বিভক্তির পরিবর্তে কয়েকটি অব্যয় ইত্যাদি শব্দ বা অনুসর্গ ব্যবহার করা হয়। অপাদান কারক ছাড়াও অন্যান্য কারকেইও এই ধরনের অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। এধরনের অনুসর্গগুলোকে কারক বাচক অনুসর্গ বলা হয়। 

বাংলার কারক বাচক অনুসর্গগুলো–

করণ কারকে – দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক করে।

সম্প্রদানে – জন্য, তবে, লাগিয়া, নিমিত্ত, কারণ হেতু।

অপাদানে – হতে, থেকে, কাছ থেকে, নিকট হতে।

অধিকরণে – কাছে, মধ্যে, ভিতর, নিকটে।

এই কারকবাচক অনুসর্গগুলোর স্বতন্ত্র প্রয়োগ লক্ষ করা যায়, এবং এগুলোর নিজস্ব অর্থও আছে। এগুলো অবিকৃতভাবে অথবা বিভক্তিযুক্তভাবে বিশেষ্যর পরে প্রযুক্ত হয়।

(জ) করণ কারকে সাধারণত কোন কোন কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ করণ কারকে দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক, করে ইত্যাদি কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।

(ঝ) অপাদান কারকে সাধরণত কোন কোন কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ অপাদান কারকে হতে, থেকে, কাছ থেকে, নিকট হতে ইত্যাদি কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।

(ঞ) বাংলায় অধিকরণে কারকে কোন কোন কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ অধিকরণ কারকে কাছে, মধ্যে, ভিতর, নিকটে ইত্যাদি কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়।

(ট) নিম্নলেখ পদের কারক বিভক্তি কোন কারকে কোন বিভক্তি নির্ণয় করো।

১। ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’

উত্তরঃ কর্তৃকারকের শূন্য বিভক্তি।

২। ‘তোমার সব খুলে বলব।

উত্তরঃ কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি (‘য়’ বিভক্তি)

৩। আমি কলমে লিখি, তুমি পেনসিলে লেখো।

উত্তরঃ কারণ করকে তৃতীয়া বিভক্তি (‘এ’বিভক্তি)

৪। ‘অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে প্রাণ।

উত্তরঃ সম্প্রদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৫। ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়’

উত্তরঃ অপাদান কারকে ষষ্ঠী ‘র’ বিভক্তি।

৬। তিলে তেল হয়।

উত্তরঃ অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৭। তিলে তেল আছে।

উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘এ’ সপ্তমী বিভক্তি।

৩। উত্তর দাওঃ

(ক) বাংলায় সাধারণত কোন কারকে কোন বিভক্তি প্রযুক্ত হয়, তা উদাহরণসহ আলোচনা করো?

উত্তরঃ বাংলায় সাধারণত কারকে যে শব্দবিভক্তিগুলো যুক্ত হয়, সেগুলো হল— কর্তৃকারক -অ (অথবা শূন্য বিভক্তি) এ, (য়ে, য়) তে (এতে)। যেমন –

(ক) কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি – বনলতা বই পড়ে।

(খ) কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি – রতনে রতন চেনে।

(গ) কর্তৃকারকে ‘তে’ বিভক্তি – বুলবুলিতে ধান খেয়েছে।

(ঘ) কর্তৃকারকে ‘য়’ বিভক্তি – ঘোড়ায় গাড়ি টানে।

কর্তৃকারকে সাধারনত প্রথমা বিভক্তি যুক্ত হলেও ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী বিভক্তির ব্যবহার হতে দেখা যায়। যেমন—

কর্তৃকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি – তোমাকে এ কাজ করতেই হবে।

কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি – তোমার দ্বরা এ কাজ হবে না।

কর্তৃকারকে ষষ্ঠী বিভক্তি – গৃহদাহ শরৎচন্দ্রের রচিত।

কর্তৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি – জ্ঞানে মৌনী ত্যাগে তিনি শ্লাঘারহিত।

কর্মকারকে সাধারণত দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—

‘কে’ বিভক্তি — ডাক্তরকে ডাকো।

‘রে’ বিভক্তি – তারে একবার খাওয়াও না।

কখনো কর্মকারকে শূন্যবিভক্তির প্রয়োগও দেখা যায়। যেমন— বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করো। কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি –

‘এ’ বিভক্তি – পুলিসে খবর দাও।

‘য়’ বিভক্তি – তোমায় সব খুলে বলব।

করণ কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি কারক বাচক অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভক্তি চিহ্নও যুক্ত হয়।

করণ করকে প্রথম বিভক্তি – লোকটাকে বেত মেরেছে

করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি – ‘এ’ বিভক্তি ছলে-বলে কাজটা করতেই হবে।

‘য়’ বিভক্তি — টাকায় কী না হয়।

‘তে’ বিভক্তি – কড়িতে বাঘের দুধ মেলে।

করণ কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি — এ কলমের লেখা সুন্দর ।

এরপর সম্প্রদান কারকে সাধারণত চতুর্থী বিভক্তি যুক্ত হয় তার চিহ্ন কে, রে।

কে বিভক্তি – ভিখারিকে ভিক্ষা দাও।

রে বিভক্তি – যে আমারে গৃহ করে দান।

এছাড়াও সম্প্রদান কারকে অন্যান্য বিভক্তিও যুক্ত হয়। যেমন—

শূন্য বিভক্তি – দিব তোমা ভক্তি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

‘এ’ বিভক্তি – অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্রাণ।

‘তে’ বিভক্তি – সমিতিতে চাঁদা দিতে হবে।

‘য়’ বিভক্তি – আমায় দে মা তবিলদারি।

‘র’ বিভক্তি – দেবতার ধন কে যায় কি যায় ফিরায়ে।

অপাদান কারকে হতে, থেকে অনুসর্গ ব্যবহার হয়, তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিভক্তির প্রয়োগও লক্ষ করা যায়।

অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি – বাড়ি পালিয়ে কোথায় যাবে

অপাদান কারকে কে রে বিভক্তি — জলকে অনিলের বড়ো ভয় অপাদান কারকে ষষ্ঠী ‘র’ বিভক্তি –যেখানে বাখের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।

অপাদান কারক ‘এ’ ‘তে’ বিভক্তি – মেঘে বৃষ্টি হয় এতে আলকাতরা জন্মায়।

অধিকরণে কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয় ‘এ’ বিভক্তি— তিলে তেল আছে।

অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি – বুড়িতে আনারস রেখেছি।

অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি – তোমার বাড়ি সিয়ে আমি দুদিন কিরে এসেছি।

অধিকরণ কারকে ‘কে’ বিভক্তি – ঘরকে চল।

(খ) বাংলায় সকাল কারকেই যে ‘এ’ বিভক্তি ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ বাংলায় সকল কারকেই ‘এ’ বিভক্তি ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন—

কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি – দলে মিলি কারি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ ।

কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি – বৃথা গঞ্জ দশাননে।

করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি – ভাতে পেট ভরে।

সম্প্রদায় কারকে ‘এ’ বিভক্তি – সর্ব কর্মফল শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ করবে।

অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি – তিলে তেল হয়।

অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি – সমুদ্রজলে লবণ আছে।

(গ) বিভিন্ন কারকে ‘র’ বিভক্তির ব্যবহার উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ কর্তৃকারকে ‘র’ বিভক্তি – আমার বই পড়া শেষ হয়েছে

সম্প্রদান কারকে ‘র’ বিভক্তি – দেবতার ধন, কে যায় ফিরায়ে লয়ে, এই বেলা শোন।

অপাদান কারকে ‘র’ বিভক্তি – অনিরুদ্ধ আমার বয়সে বড়ো।

(ঘ) কর্ম, অপাদান এর অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি – রাখাল গোরু চরায়।

অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি – বাড়ি পালিয়ে কোথায় যাবে?

অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি – আমি আগামী সোমবার দিল্লি যাব পারের দিন উৎসব।

(ঙ) কোন কোন কারকে প্রথমা বিভক্তি প্রযুক্ত হতে পরে?

উত্তরঃ কর্তৃকারকে সাধারণত শূন্য বিভক্তি হয়। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে প্রথমা বিভক্তির এ, য় (যে) তে, এতে (এরে) বিভক্তিগুলোও ব্যবহৃত হয়। যেমন—

কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি – নবকুমারকে ব্যাঘ্রে হত্যা করিয়াছে।

কর্তৃকারকে ‘ত’ বিভক্তি – গোরুতে লাঙ্গল টানে।

কর্তৃকারকে ‘য়’ বিভক্তি — ধোপায় কাপড় কাচে।

আবার করণ কারকে প্রথমা বিভক্তির প্রয়োগ ছেলেরা বল খেলছে।

সম্প্রদান কারকে প্রথমা বা (শূন্য বিভক্তি) – দিব তোমা ভক্তি শ্রদ্ধাঞ্জলি

অপাদান কারকে প্রথমা বিভক্তি – সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর পাঠশালা পলায়ন।

অধিকরণ কারকে প্রথমা বিভক্তি — তোমার বাড়ি গিয়ে আমি দুদিন কিরে এসেছি।

(চ) শব্দ বিভক্তি কাকে বলা হয়? এই বিভক্তিগুলো কোন অর্থ প্রকাশ করে? বাংলায় শব্দবিভক্তিগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ শব্দবিভক্তি বিভক্তিরেরই রূপ। শব্দের সঙ্গে এ, র, কে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। এই বিভক্তিচিহ্নগুলোর কোনো আলাদা প্রয়োগ হয় না, এগুলোর আলাদাভাবে নিজস্ব কোনো অর্থও নেই। বাক্যমধ্যে শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এগুলো পদের অর্থকে বা কারককে সুনিশ্চিত করে।

বাংলাভাষায় কারকে যে শব্দবিভক্তিগুলো যুক্ত হয়, সেগুলো হল –

কর্তৃকারক – অ (শূন্য বিভক্তি) এ, (য়ে, য়) তে (এতে)

কর্মকারক ও সম্প্রদান কারক – এ (য়ে, য়) কে, রে (এরে)

করণ কারক ও অধিকরণ কারক – এ (য়ে, য়) তে (এতে)

(ছ) উদাহরণসহ বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য আলোচনা করো।

উত্তরঃ বাক্যে কারকের অর্থ অর্থাৎ ক্রিয়াপদের মধ্যে অন্যান্য নামপদে- সম্বন্ধকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করতে কতগুলো বিভক্তি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে কারক বিভক্তি বলা হয় । এই বিভক্তি দুই প্রকারের শব্দবিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি। শব্দের সঙ্গে এ, র, কে, এবং, ধাতুর সঙ্গে, এ, ই, ছে, ছেন, বে, বেন, ছিল, তাম, লাম ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। এই বিভক্তিচিহ্নগুলোর কোনো আলাদা প্রয়োগ হয় না, এগুলোর আলাদাভাবে নিজস্ব কোনো অর্থ ও নেই। বাক্যমধ্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এগুলো পদের অর্থকে বা কারকে সুনিশ্চিত করে। যেমন— পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কি না খায়, এখানে কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু কারকে বিভক্তির পরিবর্তে কয়েকটি অব্যয় শব্দ বা অনুসর্গ ব্যবহার করা হয়। এধরনের অনুসর্গগুলোকে কারক বাচক অনুসর্গ বলা হয়। বাংলার কারক বাচক অনুসর্গগুলো যেমন—

কারণ কারকে, দ্বারা দিয়ে, কর্তৃক।

সম্প্রদানে – জন্য, তরে, নিমিত্ত।

আপাদানে — হতে, থেকে, কাছ থেকে।

অধিকারণ — কাছে, মধ্যে ভিতর।

এই কারকবাচক অনুসর্গগুলোর স্বতন্ত্র প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় এবং এগুলোর নিজস্ব অর্থও আছে। এগুলো অবিকৃতভাবে অথবা বিভক্তিযুক্তভাবে বিশেষ্যের পরে প্রযুক্ত হয়। যেমন— তোমার দ্বারা এ কাজে হবে না।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top