Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 1 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রশ্ন ২। অর্থব্যবস্থার কেন্দ্রীয় সমস্যাগুলো ব্যাখ্যা করো। অথবা, অর্থব্যবস্থার তিনটি মৌলিক সমস্যা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তরঃ প্রত্যেক অর্থ ব্যবস্থার মৌলিক সমস্যা তিনটি:
(ক) কী কী বস্তু উৎপাদন করতে হবে (What to produce): প্রত্যেক সমাজকে স্থির করতে হয় কী কী দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করবে। খাদ্যদ্রব্য না প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ? রাসায়নিক সার না কাপড় ? চিনি না কৃষি যন্ত্রপাতি ? তদুপরি কোন কোন দ্রব্য কী পরিমাণে উৎপাদন করা হবে, তাও প্রতিটি জনসমাজকে স্থির করতে হয়।
(খ) কীভাবে উৎপাদন করতে হবে (How to produce ) : নির্বাচিত দ্রব্যসামগ্রী কীভাবে উৎপাদন করা হবে ? অর্থাৎ উৎপাদন কার্যে কী কী উপকরণ নিযুক্ত হবে এবং কী উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে ?
(গ) কার জন্য উৎপাদন করতে হবে (For whom to produce ) : উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকার্য কার ভোগে লাগবে ? আরও সহজভাবে বলা যায় : মোট উৎপাদন কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বণ্টন করা হবে ? এটি হলো বণ্টন ব্যবস্থার সমস্যা।
প্রশ্ন ৩। উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার চারটি অভিধারণা/ স্বীকার্য লেখো।
উত্তরঃ (১) কেবলমাত্র দুটি দ্রব্য উৎপাদন করা হবে।
(২) উৎপাদনের উপকরণগুলির যোগান সীমিত।
(৩) উৎপাদনের প্রযুক্তি স্থির থাকে।
(৪) উপকরণগুলোর পূর্ণ নিয়োগ হয়েছে।
প্রশ্ন ৪। ইতিবাচক অর্থনীতি এবং আদর্শভিত্তিক অর্থনীতির পার্থক্য নিরূপণ করো। অথবা, ইতিবাচক ও নীতিবাচক অর্থবিজ্ঞানের পার্থক্য দেখাও।
উত্তরঃ ইতিবাচক বা যথার্থ বা বর্ণনামূলক অর্থনীতি শুধুমাত্র কোনো বিষয়ের বা ঘটনার কার্যকরণ সূত্র ব্যাখ্যা করে। যা হয়েছে বা হতে পারে শুধু এটিই অর্থবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় বলে মনে করে। অধ্যাপক রবিন্স বলেছিলেন, ‘লক্ষ্যসমূহের মধ্যে অর্থবিজ্ঞান নিরপেক্ষ।’
আদর্শভিত্তিক বা নীতিনির্ধারক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে ‘যা হওয়া উচিত’ তা অর্থবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় বলে মনে করে। অধ্যাপক পিণ্ডৰ মতে, ‘অর্থবিজ্ঞান শুধু আলোবাহক নয় ফলপ্রদও হতে হবে।’ অর্থনীতি মূল্য বিচার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, মজুরির হার কীভাবে নির্ধারিত হয়, জাতীয় আয় কীভাবে বণ্টিত হয়, দ্রব্যের দর কীভাবে স্থির হয় – তা যথার্থ অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে আলোকপাত করা হয়। কিন্তু কোনো এক অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলি কী ধরনের হওয়া উচিত সেই বিষয়টি নীতি নির্ধারক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, ইতিবাচক অর্থনীতি বাস্তবতার সঙ্গে জড়িত কিন্তু নীতি নির্ধারক অর্থনীতি নৈতিকতার সঙ্গে জড়িত।
প্রশ্ন ৫। কেন্দ্রীয় পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থা ও বাজার অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থা | বাজার অর্থব্যবস্থা |
(১) পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের মাধ্যম এবং বিতরণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। | (১) বাজার অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে। |
(২) জনগণের কল্যাণ সাধন করা এই ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। | (২) ব্যক্তিস্বার্থ এবং ব্যক্তিগত মুনাফা লাভ এই ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। |
(৩) পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে না। রাষ্ট্র যে সমস্ত দ্রব্য উৎপাদন করবে, ভোক্তা সেগুলি দ্রব্যই ভোগ করতে বাধ্য হয়। | (৩) বাজার অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে। ভোক্তা আপন রুচি ও পছন্দ মত দ্রব্যাদি ভোগ করতে পারে। |
(৪) এই ব্যবস্থায় পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পদ ব্যবহার হয়। মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর থাকে, বাজারের ওপর নয়। | (৪) এই ব্যবস্থায় দ্রব্যাদির চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে বাজারে মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যের মূল্য নির্ধারিত হয়। |
(৫) এই ব্যবস্থায় শ্রেণি বৈষম্য থাকে না। | (৫) এই ব্যবস্থায় শ্রেণি সংগ্রাম থাকে। |
পশ্ন ৬। সুযোগ ব্যয়ের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞানে সুযোগ ব্যয়ের ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে বিকল্প ব্যয় বা আর্থিক ব্যয়ও বলা হয়। উৎপাদনের উপকরণের যোগান সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে এই উপকরণগুলির বিকল্প ব্যবহার আছে। কোন উপাদান তাঁর সর্বোত্তম বিকল্প ব্যবহার হতে যা উপার্জন করতে পারত তা-ই হল ওই উপাদানের সুযোগ ব্যয়। উদাহরণস্বরূপ – মনে করি, একজন কৃষক নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে ইক্ষু চাষ করে। সেই জমিতে ৬০ কুইণ্টাল ইক্ষু উৎপাদন হয় এবং ওই জমির সর্বোত্তম বিকল্প চাষ হল তুলা। যদি ওই জমিতে ৪০ কুইন্টাল তুলা উৎপাদন হয়, তাহলে ৬০ কুইন্টাল ইক্ষুর সুযোগ ব্যয় হবে ৪০ কুইন্টাল তুলা।
ভোগের ক্ষেত্রেও সুযোগ ব্যয়ের ধারণা ব্যবহার করা যায়। একজন ভোক্তা যদি নির্দিষ্ট অর্থ ব্যয় করে সিনেমা না দেখে বই কেনে, তাহলে বইটির সুযোগ ব্যয় হল সিনেমার টিকিট মূল্য।
অভাবের জগতে এই তত্ত্বের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কারণ একটি পেতে হলে অন্যটি ছাড়তে হবে।
প্রশ্ন ৭। অর্থবিজ্ঞান অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞান সমাজ বিজ্ঞানের একটি প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অর্থবিজ্ঞান একজন ব্যক্তি এবং একটি সমাজকে কীভাবে সীমিত সম্পদের যথোচিত ব্যবহার করা সম্ভব, সে সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।
সুস্থ গণতন্ত্রে নাগরিকের সচেতনতা অপরিহার্য। একজন করদাতার জানা উচিত – সরকার কীভাবে কর সংগ্রহ করে, সংগৃহীত কর কীভাবে বায় করে, ব্যয় করতে গিয়ে কোন নীতি মেনে চলে, সংগৃহীত করের উচিত ব্যবহার হচ্ছে কি না ইত্যাদি। একজন সমাজচিন্তাশীল ব্যক্তি দরিদ্রতার কারণগুলো খুব সুক্ষ্মভাবে অধ্যয়ন করতে চাইবেন। এটা করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারবেন যে সমস্যাটির অনেকগুলো কারণই অর্থনৈতিক।
সচেতন গ্রাহক হিসাবে আমরা জানতে চাইব যে বাজারে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণগুলো কী? বিশ্বায়ন মানে কী? এর সুফল এবং কুফলগুলো কী কী ? পরিবেশ অর্থনীতি কী ? এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থনীতিতে অধ্যয়ন করা হয়।
প্রশ্ন ৮। অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করো। অথবা, অর্থবিজ্ঞানের পরিধি/ পরিসর আলোচনা করো।
উত্তরঃ বৈচিত্র্যময় বিশ্বে একদিকে রয়েছে মানুষের সীমাহীন অভাব এবং অন্যদিকে রয়েছে মানুষের অভাবমোচনের প্রকৃতি প্রদত্ত সামগ্রী। সমাজবদ্ধ মানুষের অসীম অভাব এবং ওই অভাববোধ মোচনের সীমিত সামগ্রীর সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বস্তুসামগ্রীর উৎপাদন, ব্যবহার, দুষ্প্রাপ্যতা, নির্বাচন, বণ্টন প্রভৃতির পর্যালোচনাই অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু।
স্বাভাবিকভাবে অর্থবিজ্ঞানের পরিসরে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
(১) ভোগকার্য: আমাদের অভাব দূর করার কার্যকলাপই ভোগ। ভোগ কার্যের সঙ্গে জড়িত বিধিগুলো, ভোক্তার ভারসাম্য ইত্যাদি অধ্যয়ন অর্থনীতির পরিসরের অন্তর্ভুক্ত।
(২) উৎপাদন: উপযোগী সামগ্রী অথবা সেবার সৃষ্টিই হচ্ছে ভোগ। উৎপাদনের চারটি উপাদান ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং সংগঠন। এগুলো ছাড়াও উৎপাদনের পরিধি, উৎপাদকের ভারসাম্য, আর্থিক ব্যবস্থা ইত্যাদি অর্থবিজ্ঞানে আলোচিত হয়।
(৩) বিতরণ: সামগ্রীর উৎপাদন কার্য সমাধার পর তাকে উপভোক্তার মধ্যে বিতরণ করে দিতে পারলেই ভোগকার্য সম্ভব হয়ে ওঠে। বিতরণ প্রক্রিয়া যাতে সঠিক হয় তার জন্য যে সকল নীতি বা তত্ত্ব অনুসরণ করা প্রয়োজন সে সমস্ত তত্ত্ব বিতরণ বিষয়ের আওতায় আলোচনা করা হয়।
(৪) বিনিময়: কোন ব্যক্তি বা অঞ্চল বা দেশ তার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস নিজে উৎপাদন করে নিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি, অঞ্চল এবং দেশের মধ্যে বিনিময় আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাই দেশীয় বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় হয়। অর্থনীতিতে এই দুই প্রকার বিনিময় নিয়েই আলোচনা করা হয়।
(৫) পরিবেশ অর্থনীতি: একদিকে অর্থনৈতিক উন্নতি দ্রুত করার জন্য শিল্পায়নের ওপর অধিক মনোযোগ এবং অন্যদিকে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য বিনষ্ট পৃথিবীর সমাজ বিজ্ঞানীদেরকে অনেক বেশি চিন্তিত করে তুলেছে। এক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা যেতে পারে সে উদ্দেশ্যে পারিপার্শ্বিকতার অধ্যয়ন অর্থনীতি শাস্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সংযোজন অর্থশাস্ত্রকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
(৬) দক্ষতা: সীমিত সম্পদকে দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সমাজ গড়াই অর্থনীতির মূল বিষয়। এই সীমিত সম্পদ দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে পারলেই মানবসমাজের কল্যাণ হবে।
মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থশাস্ত্রে নিত্য নতুন বিষয় সংযোজিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালের বিশ্ব অর্থনীতির জটিল ঘটনাপ্রবাহ অর্থবিজ্ঞানের পরিসরে প্রসারতা এনেছে।
প্রশ্ন ৯। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।
উত্তরঃ (১) ব্যক্তিগত অর্থনীতির অধ্যয়ন হল ব্যক্তিগত কিন্তু সমষ্টিবাদী অর্থনীতির অধ্যয়ন হল সামগ্রিক (Aggregate)।
(২) ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হল দরকৌশল ( Price- mechanism), যা চাহিদা এবং যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হল সামগ্রিক চাহিদা এবং সামগ্রিক যোগানের দ্বারা নির্ধারিত জাতীয় আয়, জাতীয় উৎপাদন, পুর্ণ নিয়োগ এবং সাধারণ মূল্যস্তর।
(৩) ব্যষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের ওপর আলোকপাত করে। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে।
(৪) ব্যক্তিগত অর্থনীতিকে দাম তত্ত্ব (Price theory) বলা হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতিকে আয় তত্ত্ব (Income theory) বলা হয়।
(৫) ব্যষ্টিগত অর্থব্যবস্থায় একজন ভোক্তার ভারসাম্য, ফার্মের ভারসাম্য, বাজার দাম নির্ধারণ, ফার্মের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থব্যবস্থায় জাতীয় আয়, সামগ্রিক চাহিদা, সামগ্রিক যোগান, সাধারণ দামস্তর ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
(৬) ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে যে কোনো সময়ের ভারসাম্য অবস্থা নির্ণয় করা যায়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতিতে নির্দিষ্ট সময়ের সাপেক্ষে ভারসাম্য অবস্থ নির্ণয় করা হয়।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। মুক্ত বস্তু ও অর্থনৈতিক বস্তুর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
উত্তরঃ যে সকল দ্রব্যের যোগান চাহিদার তুলনায় অধিক, তাদেরকে মুক্ত বস্তু বলে। যেমন – সূর্যের তাপ, বাতাস, বৃষ্টির জল।
মুক্ত বস্তুগুলো প্রকৃতির মুক্ত দান। যে সকল দ্রব্যের যোগান চাহিদার তুলনায় অপ্রচুর, তাদেরকে অর্থনৈতিক বস্তু বলা হয়। অর্থাৎ আর্থিক বস্তুগুলোর যোগান চাহিদার চেয়ে সীমিত। তাই এমন জিনিসের দর বা দাম থাকে। উদাহরণস্বরূপ খাদ্য, বস্ত্র, বৈদ্যুতিক আলো, মাইক্রওয়েভ ওভেন, কলম ইত্যাদি।
মুক্ত বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যয় সংক্ষেপের প্রয়োজন নেই কিন্তু আর্থিক বস্তুর ক্ষেত্রে বায় সংক্ষেপের প্রশ্ন রয়েছে। আর্থিক বস্তুর ক্ষেত্রে উৎপাদন, বিনিময় এবং মূল্য নির্ধারণের সমস্যা আছে, যা মুক্ত বস্তুর ক্ষেত্রে নেই।
প্রশ্ন ২। সম্পদ কাকে বলে ? নিম্নলিখিতগুলিকে অর্থনীতিতে সম্পদ হিসাবে গণ্য করা যায় কি ?
(ক) ব্যবসায় সুনাম।
(খ) পেশাদার গায়কের গান।
(গ) সানিয়া মির্জার খেলার প্রতিভা।
(খ) কাইনাত আক্তারের HSLC সার্টিফিকেট।
(ঙ) সিনেমার টিকিট।
(চ) মরুভূমির বালু।
উত্তরঃ কোনও দ্রব্যের উপযোগিতা, অপ্রচুরতা, বাহ্যিকতা এবং হস্তান্তরযোগ্যতা থাকলে তাকে সম্পদ বলা হয়। অন্যভাবে সকল অর্থনৈতিক দ্রব্যকেই সম্পদ বলা হয়।
(ক) ব্যবসায় সুনাম – সম্পদ নয়।
(খ) পেশাদার গায়কের গান সম্পদ নয়।
(গ) সানিয়া মির্জার খেলার প্রতিভা – সম্পদ নয়।
(ঘ) কাইনাত আক্তারের HSLC সার্টিফিকেট সম্পদ নয়।
(ঙ) সিনেমার টিকিট – সম্পদ।
(চ) মরুভূমির বালু সম্পদ।
প্রশ্ন ৩। দুটি পরিস্থিতি উল্লেখ করো –
(ক) যখন সম্পদ বৃদ্ধি পেলে কল্যাণ বৃদ্ধি পায়।
(খ) যখন সম্পদ বৃদ্ধি পেলে কল্যাণ হ্রাস পায়।
উত্তরঃ যে পরিস্থিতিতে সম্পদ বৃদ্ধি পেলে কল্যাণ বৃদ্ধি পায় তা নিম্নরূপ:
(১) সম্পদের বণ্টন ব্যবস্থা সুষম হলে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে পার্থক্য হ্রাস পাবে এবং কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে।
(২) দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ভোগ্য দ্রব্যাদি বৃদ্ধি ঘটালে কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে।
যে পরিস্থিতিতে সম্পদের বৃদ্ধিতে কল্যাণ হ্রাস পায় তা নিম্নরূপ:
(১) কোনো লোক যদি অধিক সম্পদ আহরণের আশায়, দিবারাত্র কাজ করে, সেক্ষেত্রে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে সত্যি কিন্তু এরূপ পরিশ্রমে তার দেহ ও মনের ক্ষতি হবে। ফলে কল্যাণ হ্রাস পাবে।
(২) স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক দ্রব্য যেমন – মদ, তামাক ইত্যাদির উৎপাদন বৃদ্ধি হলে সম্পদ বৃদ্ধি হবে কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে অবক্ষয় ঘটবে।
প্রশ্ন ৪। একটি অর্থনীতির তিনটি মৌলিক বা কেন্দ্রীয় সমস্যা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ অর্থনীতির মৌলিক বা কেন্দ্রীয় সমস্যা নিম্নরূপ:
(ক) কী এবং কী পরিমাণ উৎপাদন করতে হবে (What to produce )?
(খ) কীভাবে উৎপাদন করতে হবে (How to produce )?
(গ) কার জন্য উৎপাদন করতে হবে (For whom to produce)?
প্রশ্ন ৫। অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও। অর্থনৈতিক তত্ত্ব অধ্যয়নের মার্গ (approach) দুটি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞান হল দুষ্প্রাপ্য সম্পদগুলো এমনভাবে বিন্যস্ত করা যাতে অর্থনৈতিক কল্যাণ সর্বাধিক হয়।
অর্থনৈতিক তত্ত্ব অধ্যয়নের দুটি মার্গ/শাখা হল:
(ক) Micro Economics/ ব্যক্তিবাদী অর্থবিজ্ঞান।
(খ) Macro Economics/ বৃহৎ বা সমষ্টিবাদী অর্থবিজ্ঞান।
প্রশ্ন ৬। সম্পদ সৃষ্টির উপাদান হিসাবে মানুষের ভূমিকা কী ?
উত্তরঃ সম্পদ সৃষ্টির প্রধান কারণ মানুষের চাহিদা। এই চাহিদা পূরণের জন্য অর্থাৎ মানুষের দ্বারা মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সম্পদের সৃষ্টি হয়। মানুষ নিজের অভাববোধ ও চাহিদার তাড়নায় বিপুল সংখ্যক নিরপেক্ষ প্রাকৃতিক সামগ্রী সম্পদে রূপান্তরিত করে। সুতরাং সম্পদ সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মানুষ। মানুষ শারীরিক শক্তি ও মানবিক শ্রমের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। অর্থব্যবস্থার কেন্দ্রীয় সমস্যা আলোচনা করো।
উত্তরঃ প্রত্যেক অর্থ ব্যবস্থার মৌলিক সমস্যা তিনটি:
(ক) কী কী বস্তু উৎপাদন করতে হবে (What to produce): প্রত্যেক সমাজকে স্থির করতে হয় কী কী দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করবে। খাদ্যদ্রব্য না প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ? রাসায়নিক সার না কাপড়? চিনি না কৃষি যন্ত্রপাতি ? তদুপরি কোন কোন দ্রব্য কী পরিমাণে উৎপাদন করা হবে, তাও প্রতিটি জনসমাজকে স্থির করতে হয়।
(খ) কীভাবে উৎপাদন করতে হবে (How to produce): নির্বাচিত দ্রব্যসামগ্রী কীভাবে উৎপাদন করা হবে ? অর্থাৎ উৎপাদন কার্যে কী কী উপকরণ নিযুক্ত হবে এবং কী উৎপাদন পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে ?
(গ) কার জন্য উৎপাদন করতে হবে (For whom to produce): উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকার্য কার ভোগে লাগবে ? আরও সহজভাবে বলা যায়: মোট উৎপাদন কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বণ্টন করা হবে ? এটি হলো বণ্টন ব্যবস্থার সমস্যা।
প্রশ্ন ২। অর্থব্যবস্থার উৎপাদন সম্ভাব্যতা বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ এবং প্রাপ্ত প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দ্বারা দুটি বস্তুর উৎপাদিত সর্বোচ্চ সম্ভাবিত মিশ্রণকে উৎপাদন সম্ভাব্যতা বলে।
প্রশ্ন ৩। উৎপন্ন সম্ভাব্যতা সীমান্ত রেখা কী?
উত্তরঃ একটি দেশের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব ধরনের দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে দুটি দ্রব্য কী কী সমন্বয়ে উৎপাদন করা যায়, তা উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা দ্বারা বর্ণনা করা যায়। নিম্নে তালিকা ও চিত্রের সাহায্যে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার ধারণা দেখানো হল:
গমের উৎপাদন:
গম ও বস্ত্র উৎপাদনের বিভিন্ন পরিমাণগুলি A, B, C, D E সমন্বয়বিন্দু দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিন্দুগুলিকে যোগ করে যে রেখাটি পাওয়া যায়, তাকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা (PPC) বলে।
প্রশ্ন ৪। অর্থশাস্ত্রের বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
উত্তরঃ বৈচিত্র্যময় বিশ্বে একদিকে রয়েছে মানুষের সীমাহীন অভাব এবং অন্যদিকে রয়েছে মানুষের অভাবমোচনের প্রকৃতি প্রদত্ত সামগ্রী। সমাজবদ্ধ মানুষের অসীম অভাব এবং ওই অভাববোধ মোচনের সীমিত সামগ্রীর সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বস্তুসামগ্রীর উৎপাদন, ব্যবহার, দুষ্প্রাপ্যতা, নির্বাচন, বণ্টন প্রভৃতির পর্যালোচনাই অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু।
স্বাভাবিকভাবে অর্থবিজ্ঞানের পরিসরে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
(১) ভোগকার্য: আমাদের অভাব দূর করার কার্যকলাপই ভোগ। ভোগ কার্যের সঙ্গে জড়িত বিধিগুলো, ভোক্তার ভারসাম্য ইত্যাদি অধ্যয়ন অর্থনীতির পরিসরের অন্তর্ভুক্ত।
(২) উৎপাদন: উপযোগী সামগ্রী অথবা সেবার সৃষ্টিই হচ্ছে ভোগ। উৎপাদনের চারটি উপাদান ভূমি, শ্রম, মূলধন এবং সংগঠন। এগুলো ছাড়াও উৎপাদনের পরিধি, উৎপাদকের ভারসাম্য, আর্থিক ব্যবস্থা ইত্যাদি অর্থবিজ্ঞানে আলোচিত হয়।
(৩) বিতরণ: সামগ্রীর উৎপাদন কার্য সমাধার পর তাকে উপভোক্তার মধ্যে বিতরণ করে দিতে পারলেই ভোগকার্য সম্ভব হয়ে ওঠে। বিতরণ প্রক্রিয়া যাতে সঠিক হয় তার জন্য যে সকল নীতি বা তত্ত্ব অনুসরণ করা প্রয়োজন সে সমস্ত তত্ত্ব বিতরণ বিষয়ের আওতায় আলোচনা করা হয়।
(৪) বিনিময়: কোন ব্যক্তি বা অঞ্চল বা দেশ তার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস নিজে উৎপাদন করে নিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি, অঞ্চল এবং দেশের মধ্যে বিনিময় আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাই দেশীয় বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় হয়। অর্থনীতিতে এই দুই প্রকার বিনিময় নিয়েই আলোচনা করা হয়।
(৫) পরিবেশ অর্থনীতি: একদিকে অর্থনৈতিক উন্নতি দ্রুত করার জন্য শিল্পায়নের ওপর অধিক মনোযোগ এবং অন্যদিকে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য বিনষ্ট পৃথিবীর সমাজ বিজ্ঞানীদেরকে অনেক বেশি চিন্তিত করে তুলেছে। এক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা যেতে পারে সে উদ্দেশ্যে পারিপার্শ্বিকতার অধ্যয়ন অর্থনীতি শাস্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সংযোজন অর্থশাস্ত্রকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
(৬) দক্ষতা: সীমিত সম্পদকে দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সমাজ গড়াই অর্থনীতির মূল বিষয়। এই সীমিত সম্পদ দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে পারলেই মানবসমাজের কল্যাণ হবে।
মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থশাস্ত্রে নিত্য নতুন বিষয় সংযোজিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালের বিশ্ব অর্থনীতির জটিল ঘটনাপ্রবাহ অর্থবিজ্ঞানের পরিসরে প্রসারতা এনেছে।
প্রশ্ন ৫। কেন্দ্রীয় পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থা ও বাজার অর্থব্যবস্থার পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থা | বাজার অর্থব্যবস্থা |
(১) পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের মাধ্যম এবং বিতরণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। | (১) বাজার অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে। |
(২) জনগণের কল্যাণ সাধন করা এই ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। | (২) ব্যক্তিস্বার্থ এবং ব্যক্তিগত মুনাফা লাভ এই ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। |
(৩) পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে না। রাষ্ট্র যে সমস্ত দ্রব্য উৎপাদন করবে, ভোক্তা সেগুলি দ্রব্যই ভোগ করতে বাধ্য হয়। | (৩) বাজার অর্থব্যবস্থায় ভোক্তার স্বাধীনতা থাকে। ভোক্তা আপন রুচি ও পছন্দ মত দ্রব্যাদি ভোগ করতে পারে। |
(৪) এই ব্যবস্থায় পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পদ ব্যবহার হয়। মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর থাকে, বাজারের ওপর নয়। | (৪) এই ব্যবস্থায় দ্রব্যাদির চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে বাজারে মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্রব্যের মূল্য নির্ধারিত হয়। |
(৫) এই ব্যবস্থায় শ্রেণি বৈষম্য থাকে না। | (৫) এই ব্যবস্থায় শ্রেণি সংগ্রাম থাকে। |
প্রশ্ন ৬। বর্ণনাভিত্তিক বিশ্লেষণ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর। বর্ণনাভিত্তিক বিশ্লেষণে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি কীভাবে কার্য করে তা অধ্যয়ন করে থাকি। এধরনের বিশ্লেষণ শুধুমাত্র কোনো বিষয়ের বা ঘটনার কার্যকরণ সূত্র ব্যাখ্যা করে। যেমন- বেকার সমস্যার কারণ কী কী ? এটা বর্ণনাভিত্তিক বিশ্লেষণের আলোচ্য বিষয়।
প্রশ্ন ৭। কল্যাণভিত্তিক বিশ্লেষণ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ কল্যাণভিত্তিক বিশ্লেষণে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি কী ভাবে হওয়া উচিত – তা অধ্যয়ন করে থাকি। অর্থনীতির বিধিগুলো আমাদের বাঞ্ছনীয় কি না তা বিচার করি। যেমন – খাদ্যদ্রব্যের দাম কত হওয়া উচিত ? এটা কল্যাণভিত্তিক বিশ্লেষণের আলোচ্য বিষয়।
প্রশ্ন ৮। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত অর্থব্যবস্থার পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ (১) ব্যক্তিগত অর্থনীতির অধ্যয়ন হল ব্যক্তিগত কিন্তু সমষ্টিবাদী অর্থনীতির অধ্যয়ন হল সামগ্রিক (Aggregate)।
(২) ব্যষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হল দরকৌশল ( Price- mechanism), যা চাহিদা এবং যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হল সামগ্রিক চাহিদা এবং সামগ্রিক যোগানের দ্বারা নির্ধারিত জাতীয় আয়, জাতীয় উৎপাদন, পুর্ণ নিয়োগ এবং সাধারণ মূল্যস্তর।
(৩) ব্যষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের ওপর আলোকপাত করে। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে।
(৪) ব্যক্তিগত অর্থনীতিকে দাম তত্ত্ব (Price theory) বলা হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতিকে আয় তত্ত্ব (Income theory) বলা হয়।
(৫) ব্যষ্টিগত অর্থব্যবস্থায় একজন ভোক্তার ভারসাম্য, ফার্মের ভারসাম্য, বাজার দাম নির্ধারণ, ফার্মের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থব্যবস্থায় জাতীয় আয়, সামগ্রিক চাহিদা, সামগ্রিক যোগান, সাধারণ দামস্তর ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
(৬) ব্যষ্টিগত অর্থনীতিতে যে কোনো সময়ের ভারসাম্য অবস্থা নির্ণয় করা যায়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতিতে নির্দিষ্ট সময়ের সাপেক্ষে ভারসাম্য অবস্থ নির্ণয় করা হয়।
We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.