Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র
Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 4 পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রশ্ন ১১। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মোট ব্যয় (TC) নিচে দেওয়া হল। যদি দ্রব্যের দাম 20 টাকা হয় তাহলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি কী পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করবে?
পরিমাণ | মোট ব্যয় |
0 | 10 |
1 | 30 |
2 | 45 |
3 | 60 |
4 | 73 |
5 | 83 |
6 | 105 |
7 | 140 |
8 | 180 |
উত্তরঃ
বস্তুর পরিমাণ | মোট ব্যয় | দাম | মোট আয় | লাভ |
0 | 10 | 20 | 0 | -10 |
1 | 30 | 20 | 20 | -10 |
2 | 45 | 20 | 40 | -5 |
3 | 60 | 20 | 60 | 0 |
4 | 73 | 20 | 80 | 7 |
5 | 83 | 20 | 100 | 17 |
6 | 105 | 20 | 120 | 15 |
7 | 140 | 20 | 140 | 0 |
8 | 180 | 20 | 160 | -20 |
প্রতিষ্ঠানটি 5 একক দ্রব্য উৎপাদন করবে, কারণ, এখানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ লাভ অর্জন করবে।
প্রশ্ন ১২। যখন একটি দ্রব্যের দাম 10 টাকা, যোগানের পরিমাণ হয় 20 একক। যখন দাম 15 টাকা বৃদ্ধি করা হল, তখন যোগানের পরিমাণ 30 একক পর্যন্ত বৃদ্ধি হল। যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
প্রারম্ভিক দাম (P) = 10 টাকা
প্রারম্ভিক যোগান (Q) = 20 একক
নতুন দাম (P₁) = 15 টাকা
নতুন যোগান (Q₁) = 30 একক
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা, Eₛ = Q₁ – Q/P₁ – P x P/Q
= 30 – 20 /15 – 10 x 10/20
= 10/5 x 10/20
= 1
প্রশ্ন ১৩। যখন একটি দ্রব্যের দাম 5 টাকা, একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মোট আয় 50 টাকা। যখন দাম 7 টাকায় বৃদ্ধি হয়, মোট আয় 105 টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হল। যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
প্রারম্ভিক দাম (P) = 5 টাকা
মোট আয় (TR) = 50 টাকা
প্রারম্ভিক যোগান (Q) 50/5 = 10
যখন নতুন দাম (P₁) = 7 টাকা, মোট আয় (TR₁) = 105 টাকা
নতুন যোগান (Q₁) = 105/7 = 15
এখন, যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = Q₁- Q/ P₁ – P x P/Q
= 15 – 10/7 – 5 x 5/10
= 5/2 x 5/10
= 5/4
= 1.25
প্রশ্ন ১৪। একটি দ্রব্যের দাম 10 টাকা থেকে 20 টাকায় বৃদ্ধি হওয়ায় যোগানের পরিমাণ 15 একক বৃদ্ধি হল। যোগান স্থিতিস্থাপকতা 0.5 হলে, প্রারম্ভিক যোগান এবং চূড়ান্ত যোগানের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
প্রারম্ভিক দাম (P) = 10 টাকা
প্রারম্ভিক যোগান (Q) = ?
নতুন দাম (P₁) = 20 টাকা
নতুন যোগান (Q₁) =? ΔQ = 15
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = 0.5
Eₛ = Q₁- Q/ P₁ – P x P/Q
= 0.5 = 15/ 20 – 10 x 10/Q
= 0.5 = 15/10 x 10/Q
= Q = 15 x 10/5
= 30
প্রারম্ভিক যোগান (Q) = 30 একক
চূড়ান্ত বা নতুন যোগান (Q₁) = 30 + 15 = 45 একক
প্রশ্ন ১৫। বাজার দাম 10 টাকা হওয়ার সময় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি একটি দ্রব্যের 5 একক যোগান দেয়। যদি দাম 20 টাকায় বৃদ্ধি পায় এবং যোগানের স্থিতিস্থাপকতা 0.5 হয়, তাহলে চূড়ান্ত যোগানের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
প্রারম্ভিক দাম (P) = 10 টাকা
প্রারম্ভিক যোগান (Q) = 5 একক
নতুন দাম (P₁) = 20 টাকা
নতুন যোগান (Q₁) = ?
Es = 0.5
সূত্রমতে, Eₛ = Q₁- Q/ P₁ – P x P/Q
= 0.5 = Q – 5/ 20 – 10 x 10/5
= 0.5 = Q – 5/10 x 10/5
= 2.5 = Q₁ – 5
= 2.5 + 5 = Q₁
Q₁ = 7.5 একক
∴ চূড়ান্ত বা নতুন যোগানের পরিমাণ 7.5 একক।
প্রশ্ন ১৬। একটি দ্রব্যের দাম 4% বৃদ্ধি হওয়ায় যোগানের পরিমাণ 2% বৃদ্ধি হয়েছে। যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = যোগানের শতকরা পরিবর্তন/ দামের শতকরা পরিবর্তন
= 4%/2% = 2
প্রশ্ন ১৭। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 10 একক দ্রব্য উৎপাদন করে। যদি প্রতিষ্ঠানের মোট আয় 110 টাকা হয়, তাহলে দ্রব্যের ভারসাম্য দাম এবং ভারসাম্য উৎপাদনের গড় ব্যয় নির্ণয় করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
মোট উৎপাদন (Q) = 10 একক
মোট আয় (TR) = 110 টাকা
আমরা জানি, TR = P x Q
P = TR /Q
= 110 /10
= 11 টাকা
ভারসাম্য দাম (P) = 11 টাকা
আবার পূর্ণ প্রতিযোগিতায়, P = AC = MC
∴ গড় ব্যয় = 11 টাকা
প্রশ্ন ১৮। বাজার দর এবং স্বাভাবিক দরে মধ্যে যে কোন চারটি পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ বাজার দর এবং স্বাভাবিক দরের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
(১) অতি স্বল্পকালীন সময়ে প্রচলিত দামকে বাজার দাম বলে। আবার স্বাভাবিক দাম হল দীর্ঘকালীন দাম।
(২) বাজার দরের ক্ষেত্রে যোগানের তুলনায় চাহিদার প্রাধান্য অধিক থাকে কিন্তু স্বাভাবিক দামের ক্ষেত্রে যোগান এবং চাহিদা উভয়ই সক্রিয় থাকে।
(৩) বাজার দাম ঘন ঘন উঠানামা করে কিন্তু স্বাভাবিক দর স্থির থাকে।
(৪) বাজার দামে অস্বাভাবিক লাভ, স্বাভাবিক লাভ বা ক্ষতি হতে পারে কিন্তু স্বাভাবিক দর শুধু স্বাভাবিক লাভ দেবে।
প্রশ্ন ১৯। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ:
(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা এবং অসংখ্য বিক্রেতা থাকেন।
(২) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদিত সামগ্রী পূর্ণ সাদৃশ্যযুক্ত।
(৩) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতা বাজার সম্পর্কীয় যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণভাবে অবগত থাকে।
(৪) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মুক্ত প্রবেশ এবং মুক্ত প্রস্থানের সুযোগ থাকে।
প্রশ্ন ২০। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে দাম রেখা চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে চাহিদা ও যোগানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার দ্বারা দাম নির্ধারিত হয়। যোগান স্থির থাকা অবস্থায় যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তাহলে দাম অধিক হয়। আবার চাহিদা স্থির থাকা অবস্থায় যদি যোগান বৃদ্ধি পায়, তাহলে দাম কম হয়। এই প্রক্রিয়ায় যখন চাহিদা ও যোগান সমান হয় তখনই দাম নির্ধারিত হয়।
ওপরের চিত্রের সাহায্যে এই বিষয়টি দেখানো হল যে DD হল চাহিদা রেখা এবং SS হল যোগান রেখা। E রিন্দতে যোগান এবং চাহিদা রেখা কাটাকাটি করেছে। E বিন্দুই হল ভারসাম্য বিন্দু। E বিন্দুর সংশ্লিষ্ট দাম হল ভারসাম্য বিন্দু। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম, দাম রেখা হল একটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার মূল্য এবং উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক প্রদর্শন করা এক আনুভূমিক রেখা।
প্রশ্ন ২১। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে AR = MR কেন হয়?
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে একটি দ্রব্যের একটি মাত্র দাম প্রচলিত থাকে। প্রত্যেক বিক্রেতাকেই বাজারে প্রচলিত দামেই দ্রব্য বিক্রয় করতে হয়। একই দামে বিক্রেতা যত খুশি একক বিক্রয় করতে পারে। বিক্রেতার গড় আয় রেখা আনুভূমিক। এইজন্য পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে গড় আয় = প্রান্তিক আয় অর্থাৎ AR = MR নিম্নে চিত্রের সাহায্যে এই বিষয়টি দেখানো হলো:
প্রশ্ন ২৩। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে দাম = প্রান্তিক ব্যয়। ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে বিক্রেতার প্রধান উদ্দেশ্য হল সর্বাধিক লাভ করা। এই বাজারে অতিরিক্ত এককটির উৎপাদন ব্যয় দাম থেকে কম হলে উৎপাদক উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। এরূপ অবস্থায় চাহিদা অপরিবর্তিত থাকলে পুনরায় দ্রব্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রান্তিক ব্যয়ের সমান হবে।
আবার, দাম প্রান্তিক উৎপাদন ব্যয়ের বেশি হলে লাভের প্রত্যাশায় নতুন প্রতিযোগির আবির্ভাব ঘটবে এবং তাতে যোগান বৃদ্ধি পেয়ে দাম হ্রাসপ্রাপ্ত হবে। সুতরাং, পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে দাম = প্রান্তিক উৎপাদন ব্যয় (P = MC)।
প্রশ্ন ২৪। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানের যোগান রেখার চারটি নির্ধারক উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানের যোগান রেখার চারটি নির্ধারক হল-
(১) প্রযুক্তিগত উন্নতি – উৎপাদন পদ্ধতি অর্থাৎ টেকনলজির উন্নতি হলে যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
(২) একক কর – সরকার কর প্রয়োগ করলে একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির লাভ হ্রাস পায় এবং তা যোগানের হ্রাস ঘটায়।
(৩) উৎপাদন ব্যয় – বিভিন্ন উৎপাদনের উপাদান ব্যয় পরিবর্তনের ফলে যোগানের পরিবর্তন হয়।
(৪) অস্থিরতা – রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধের ফলে বস্তুর যোগানের পরিবর্তন হয়।
প্রশ্ন ২৫। বাজারের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তরঃ বাজারের শ্রেণিবিভাগ নিম্নরূপ:
(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজার।
(২) একচেটিয়া বাজার।
(৩) একাধিকার প্রতিযোগী বাজার।
(৪) অল্প সংখ্যক প্রতিযোগী বাজার।
(৫) দ্বৈত উৎপাদনকারীর বাজার।
প্রশ্ন ২৬। স্বল্পকাল ও দীর্ঘকালের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ স্বল্পকাল ও দীর্ঘকালের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
(১) স্বল্পকাল বলতে এমন একটি সময়কাল বুঝায় যে সময়ের মধ্যে শুধু পরিবর্তনশীল ব্যয় বৃদ্ধি সম্ভব। দীর্ঘকালে পরিবর্তনশীল ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থির ব্যয়েরও পরিবর্তন করা যায়।
(২) স্বল্পকালে চাহিদার সঙ্গে যোগানের আংশিক সামঞ্জস্য বিধান করা যায়। কিন্তু দীর্ঘকালে চাহিদার সঙ্গে যোগানের পূর্ণ সামঞ্জস্য বিধান করা যায়।
(৩) স্বল্পকালে দ্রব্যের দাম প্রান্তিক ব্যয়ের সমান হবে। কিন্তু দীর্ঘকালে দ্রব্যের দাম প্রান্তিক ব্যয় ও ন্যূনতম গড় ব্যয় উভয়েরই সমান হবে।
(৪) স্বল্পকালে দামের ওপর যোগানের প্রভাব কিছুটা দেখা যায়। কিন্তু দীর্ঘকালে দাম চাহিদা ও যোগানের ঘাত প্রতিঘাতে নির্ধারিত হয়।
প্রশ্ন ২৭। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারের ক্ষেত্রে ‘অদৃশ্য হাতের’ ধারণাটি লেখো।
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে অদৃশ্য হাতের নাম হল ‘দাম ব্যবস্থা। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের স্বাধীনতা থাকলেও ইচ্ছামত ক্রয় বিক্রয় করা যায় না। কোন জিনিস ক্রয় করতে হলে এর জন্য দাম দিতে হয় এবং বিক্রেতা এটা বিক্রি করে দাম পায়। সুতরাং বিভিন্ন ব্যক্তির ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্রিয়াকলাপ বাজার দামের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রশ্ন ২৮। যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয়কারী চারটি উপাদান লেখো।
উত্তরঃ যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নিম্নলিখিত বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
(১) উৎপাদনের উপাদানের সহজলভ্যতা: যদি উৎপাদনের উপাদান সহজে পাওয়া যায় তাহলে সেই বস্তুটির যোগান স্থিতিস্থাপক হয়।
(২) বাজারের প্রকৃতি: যদি বাজার একচেটিয়া প্রকৃতির হয়, যোগান অস্থিতিস্থাপক হয়। অন্যদিকে, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যোগানের স্থিতিস্থাপকতা বেশি হয়।
(৩) উৎপাদন ব্যয়ের প্রকৃতি: উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি উৎপাদন ব্যয় কমতে থাকে তাহলে সেই বস্তুটির যোগান স্থিতিস্থাপক হয়।
(৪) সময়ের প্রভাব: স্বল্পকালে প্রয়োজনমত উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হয় না, ফলে যোগান অস্থিতিস্থাপক হয়। দীর্ঘকালে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়, তাই যোগান স্থিতিস্থাপক হয়।
প্রশ্ন ২৯। যোগানের স্থিতিস্থাপকতার প্রকারসমূহ লেখো।
উত্তরঃ যোগানের স্থিতিস্থাপকতা পাঁচ প্রকার-
(১) পূর্ণ স্থিতিস্থাপক যোগান।
(২) পর্ণ অস্থিতিস্থাপক যোগান।
(৩) একক স্থিতিস্থাপক যোগান।
(৪) অপেক্ষাকৃত স্থিতিস্থাপক যোগান।
(৫) অপেক্ষাকৃত অস্থিতিস্থাপক যোগান।
প্রশ্ন ৩০। যখন দাম 12 টাকা, একটি প্রতিষ্ঠান 800 একক দ্রব্যের যোগান দেয়। যখন দাম 14 টাকা বৃদ্ধি হয় এবং যোগানের স্থিতিস্থাপকতা 1.2 হয়, নতুন যোগানের পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তরঃ P = 12 টাকা
Q = 800 একক
Q₁ = ?
ΔP = 14 – 12 = 2
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা (Eₛ) = 1.2
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা, (Eₛ)= X ΔQ/ΔP = P/Q
= 1.2 = ΔQ/2 x 12/800
= 1.2 = 3ΔQ/400
= 480 = 3ΔQ
= ΔQ = 480/3
= 160
∴ নতুন যোগানের পরিমাণ = 800 + 160 = 960 একক
প্রশ্ন ৩১। যখন দাম 12 টাকা, একটি প্রতিষ্ঠান 1200 একক দ্রব্যের যোগান দেয়। যদি যোগান 1600 এককে বৃদ্ধি পায়, এবং যোগানের স্থিতিস্থাপকতা 2 হয়, নতুন দাম নির্ণয় করো।
উত্তরঃ P = 12 টাকা,
Q = 1200
P₁ = ?
Q₁ = 1600
Eₛ = 2
Eₛ = ΔQ/ΔP x P/Q
= 2 = 400/ΔP x 12/1200
= 2 = 4/ΔP
= ΔP = 4/2 = 2
∴ নতুন দাম 12 + 2 = 14 টাকা
প্রশ্ন ৩২। ব্যাঘাত বিন্দু বা লাভ-ক্ষতিবিহীন সমতাবিন্দু ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক লাভ অর্জন করা যোগান রেখার বিন্দুটিকে ব্যাঘাত বিন্দু বলা হয়। যখন TR = TC অথবা AR = AC হয় তখন লাভ ক্ষতিবিহীন সমতাবিন্দু আখ্যায়িত করা হয়। রেখাচিত্রে দেখানো হলো –
Q বিন্দুটি ব্যাঘাত বিন্দু, যেখানে AR = AC = LQ = OP
একটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্যয় সংকুলান করে, যেহেতু দাম (OP) = গড় ব্যয় (LQ)।
প্রশ্ন ৩৩। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য বিক্রেতা একই দামে তাদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয় করে। কোন বিক্রেতা নিজের ব্যক্তিগত চেষ্টায় দাম ও চাহিদা প্রভাবিত করতে পারে না। তাকে প্রচলিত বাজার দামে উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয় করতে হয়।
(২) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি সমগুণসম্পন্ন অর্থাৎ পূর্ণ সাদৃশ্যযুক্ত। ফলে বিক্রেতা বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিক্রয় ব্যয় বহন করতে হয় না।
প্রশ্ন ৩৪। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কি উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে চায়? স্বল্পকালীন সময়ে লাভ সর্বোচ্চকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কোন তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে?
উত্তরঃ একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ লাভ অর্জন করতে চায়।
স্বল্পকালীন সময়ে লাভ সর্বোচ্চকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নিম্নলিখিত তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
(ক) বাজার দাম = স্বল্পকালীন প্রান্তিক ব্যয়। (P = SMC)
(খ) স্বল্পকালীন প্রান্তিক ব্যয় ক্রমে হ্রাস পাবে না।
(গ) বাজার দাম > গড় পরিবর্তনশীল ব্যয়। (P>AVC)
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। যোগানের দাম স্থিতিস্থাপকতা কী? এটা কীভাবে পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ দাম পরিবর্তনের ফলে যে হারে যোগানের পরিমাণ পরিবর্তিত হয় তাকেই যোগানের স্থিতিস্থাপকতা বলে।
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নিম্নলিখিত সূত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা যায়।
সাংকেতিকভাবে,
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = যোগানের পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন/ দামের শতকরা পরিবর্তন
Eₛ = ΔQ/ΔP x P/Q
এখানে, Eₛ = যোগানের স্থিতিস্থাপকতা
P = প্রারম্ভিক দাম
q = প্রারম্ভিক যোগানের পরিমাণ
ΔQ = যোগানের পরিমাণের পরিবর্তন
ΔP = দামের পরিবর্তন
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করতে দুইটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়:
(ক) শতকরা পদ্ধতি: এই পদ্ধতি মতে,
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = যোগানের পরিমাণের আনুপাতিক পরিবর্তন/ দামের শতকরা পরিবর্তন
(খ) আনুপাতিক পদ্ধতি: এই পদ্ধতি মতে,
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = যোগানের পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন/ দামের আনুপাতিক পরিবর্তন
প্রশ্ন ২। জ্যামিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে যোগানের বিভিন্ন প্রকার দাম স্থিতিস্থাপকতার ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ স্থিতিস্থাপকতা যোগানের একটি বৈশিষ্ট্য। দাম পরিবর্তনের অনুপাত এবং যোগানের পরিমাণের পরিবর্তনের অনুপাতের মধ্যে সম্পর্কই হল যোগানের স্থিতিস্থাপকতা।
যোগানের স্থিতিস্থাপকতা = যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি/ মূল যোগান ÷ দাম বৃদ্ধি/ মূল দাম
নিচের রেখাচিত্রের সাহায্যে যোগানের বিভিন্ন প্রকার দাম স্থিতিস্থাপকতা ব্যাখ্যা করা হলো:
এই চিত্রে SS রেখাটি যোগান রেখা। যোগান রেখার সঙ্গে একটি স্পর্শক রেখা অংকন করা হল। স্পর্শক রেখাটি দাম রেখাকে A বিন্দুতে ছেদ করেছে। এই বিন্দুতে যোগানের স্থিতিস্থাপকতা অধিক হবে (Eₛ > 1)। স্পর্শক রেখা পরিমাপ অক্ষ ছেদ করলে, যোগানের স্থিতিস্থাপকতা কম হবে (Eₛ < 1)। এই অবস্থা চিত্রের C বিন্দুতে দেখানো হল। স্পর্শক রেখা O বিন্দু অর্থাৎ মধ্যস্থলে থাকলে যোগানের স্থিতিস্থাপকতা একের সমান হবে (Eₛ = 1)। এই অবস্থা চিত্রের B বিন্দুতে দেখানো হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। বাজার যোগান রেখা কীভাবে অংকন করা হয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে বিক্রেতাগণ যে পরিমাণ দ্রব্য যোগান দিতে প্রস্তুত থাকে তা দেখানোর জন্য যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়, তাকে যোগান অনুসূচি বলে এবং এই যোগান অনুসূচি চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করলে যে উর্দ্ধগামী রেখা পাওয়ায় যায়, তাকে যোগান রেখা বলে। বাজারের বিভিন্ন দ্রব্যের যোগানসূচি থেকে বাজার যোগানসূচি প্রস্তুত করা যায়। নিম্নে অনুসূচি ও চিত্রের সাহায্যে এই বিষয়টি দেখানো হলো –
দাম | দাম A-র যোগানের পরিমাণ (S) | B-র যোগানের পরিমাণ (S) | বাজার যোগান (S) |
2 | 5 | 1 | 6 |
4 | 10 | 2 | 12 |
6 | 15 | 3 | 18 |
8 | 20 | 4 | 24 |
10 | 25 | 5 | 30 |
প্রশ্ন ৪। বাজার দর কী ? বাজার দর নির্ধারণ একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
অথবা,
চাহিদা এবং যোগান রেখার সাহায্যে বাজারের ভারসাম্যের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অতি স্বল্প সময়ে বাজারে প্রচলিত দরকে বাজার দর বলে। দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার দ্বারা বাজার দর নির্ধারিত হয়। চাহিদা পরিবর্তন হলে দামও পরিবর্তন হয়। অতি স্বল্প সময়ে যোগান সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক থাকে অর্থাৎ যোগানের কোন পরিবর্তন হয় না।
নিচের রেখাচিত্রের সাহায্যে বাজার দর নির্ধারণ দেখানো হলো-
ওপরের রেখাচিত্রে DD এবং SS হল যথাক্রমে বাজার চাহিদা রেখা। DD রেখা এবং SS রেখা C বিন্দুতে পরস্পর কাটাকাটি করেছে। এই C বিন্দু হলো ভারসাম্য অবস্থা অর্থাৎ P₁C হচ্ছে দ্রব্যটির ভারসাম্য দাম। এই ভারসাম্য অবস্থায় OP₁ দামে OQ₁ দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় হবে।
প্রশ্ন ৫। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভারসাম্য বা লাভ সর্বোচ্চকরণের শর্তগুলি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভ সর্বোচ্চকরণের শর্তগুলি হলো:
(১) প্রান্তিক ব্যয় = প্রান্তিক আয়। (MC = MR)
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভ সর্বোচ্চকরণের একটি অতি প্রয়োজনীয় শর্ত হল, প্রান্তিক ব্যয় = প্রান্তিক আয়। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রান্তিক আয় প্রান্তিক ব্যয় থেকে বেশি হয় উৎপাদক অধিক পরিমাণে উৎপাদন করতে অনুপ্রাণিত হয়। কিন্তু উৎপাদক অধিক পরিমাণে উৎপাদন করলে প্রান্তিক আয় হ্রাস পায় এবং প্রান্তিক ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এই প্রবণতা অবশেষে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করবে যাতে প্রান্তিক আয় এবং প্রান্তিক ব্যয় সমান হবে।
নিচে একটি তালিকার সাহায্যে বিষয়টি বোঝানো হল:
উৎপাদন পর্যায় | প্রান্তিক আয় | প্রান্তিক ব্যয় | স্বাভাবিক লাভের ওপর লাভ |
1 | 50 | 45 | 5 |
2 | 49 | 40 | 9 |
3 | 47 | 42 | 5 |
4 | 45 | 45 | 0 |
5 | 40 | 50 | -10 |
এই তালিকার 4 নং পর্যায়ে প্রান্তিক আয় এবং প্রান্তিক ব্যয় সমান হওয়ায়, উৎপাদক উৎপাদন বন্ধ করবে এবং সর্বাধিক লাভ অর্জন করবে।
(২) প্রান্তিক ব্যয় > প্রান্তিক আয়
প্রান্তিক আয় = প্রান্তিক ব্যয়ের পর্যায় থেকে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হলে প্রান্তিক আয় প্রান্তিক ব্যয় থেকে কম হবে।
নিচে একটি উদাহরণের সাহায্যে এই কথাটির ব্যাখ্যা করা হলো-
উৎপাদন পর্যায় | প্রান্তিক আয় | প্রান্তিক ব্যয় | MC ও MR এর তুলনা |
1 | 35 | 35 | MR = MC |
2 | 34 | 28 | MR > MC |
3 | 33 | 29 | MR > MC |
4 | 31 | 31 | MR = MC |
5 | 29 | 34 | MR < MC |
এই উদাহরণে MR = MC উৎপাদনের দুটি পর্যায়ে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল উৎপাদক কোন্ পর্যায়ে উৎপাদন করবে? যদি উৎপাদক 1 একক দ্রব্য উৎপাদন করে, তাহলে সে 2 একক এবং 3 একক উৎপাদনের লাভের পরিমাণ থেকে বঞ্চিত থাকবে। সেজন্য সর্বোচ্চ লাভ অর্জনের জন্য উৎপাদক প্রথম একক উৎপাদন করার পর উৎপাদন কার্য বন্ধ না করে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ একক পর্যন্ত উৎপাদন করে যাবে। যখন উৎপাদক চতুর্থ একক দ্রব্য উৎপাদন করবে, তখন লাভ সর্বোচ্চ হবে।
(৩) স্বল্পকালে দাম গড় পরিবর্তনশীল ব্যয় অপেক্ষা অধিক বা তার সমান হতে হবে। আবার দীর্ঘকালে দাম গড় ব্যয় থেকে অধিক বা তার সমান হতে হবে।
We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.