AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার

Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 6 অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একচেটিয়া বাজারের মধ্যে চারটি পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একচেটিয়া বাজারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা এবং বিক্রেতা থাকেন কিন্তু একচেটিয়া বাজারে একজন বিক্রেতা থাকেন।

(২) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি সমজাতীয় কিন্তু একচেটিয়া বাজারে উৎপাদিত দ্রব্যের বিকল্প দ্রব্য থাকে না।

(৩) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুক্ত প্রবেশ এবং প্রস্থানের সুবিধা থাকে কিন্তু একচেটিয়া বাজারে নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ প্রায় অসম্ভব।

(৪) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রেতা দাম গ্রহণকারী কিন্তু একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতা দাম প্রস্তুতকারী।

(৫) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রিত দ্রব্যের সকল এককের দাম সমান কিন্তু একচেটিয়া বাজারে দাম বিভেদকরণের জন্য সকল এককের দাম সমান হয় না।

প্রশ্ন ২। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্যসমূহ সমজাতীয় কিন্তু একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্যসমূহ পৃথকীকৃত।

(২) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রি ব্যয় থাকে না কিন্তু একাধিকার বাজারে বিক্রি ব্যয়ের গুরুত্ব আছে।

(৩) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চাহিদা রেখা আনুভূমিক। কিন্তু একাধিকার বাজারে চাহিদা রেখা বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী।

(৪) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতার বাজার সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকে কিন্তু একাধিকার বাজারে ক্রেতার বাজার সম্পর্কে অসম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে।

প্রশ্ন ৩। একচেটিয়া বাজার এবং একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ একচেটিয়া বাজার এবং একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:

(১) একচেটিয়া বাজারে একজন বিক্রেতা থাকে কিন্তু একাধিকার বাজারে যথেষ্ট সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা থাকে।

(২) একচেটিয়া বাজারে নতুন প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করতে পারে না কিন্তু একাধিকার বাজারে মুক্ত প্রবেশ এবং প্রস্থান থাকে।

(৩) একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতার উৎপাদিত দ্রব্যের কোন বিকল্প দ্রব্য থাকে না কিন্তু একাধিকার বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি ঘনিষ্ঠ পরিবর্ত দ্রব্য।

(৪) একচেটিয়া বাজারে বিক্রি ব্যয় থাকে না। কিন্তু একাধিকার বাজারে বিজ্ঞাপন ব্যয় বা বিক্রি ব্যয় থাকে।

প্রশ্ন ৪। একচেটিয়া বাজারের শ্রেণিবিভাগ করো।

উত্তরঃ একচেটিয়া বাজারকে সাতটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি। এই শ্রেণিগুলি হল-

(১) প্রাকৃতিক একচেটিয়া বাজার।

(২) আইনসিদ্ধ একচেটিয়া বাজার।

(৩) ঐচ্ছিক একচেটিয়া বাজার।

(৪) ব্যক্তিগত একচেটিয়া বাজার।

(৫) সাধারণ একচেটিয়া বাজার।

(৬) সরকারি একচেটিয়া বাজার।

(৭) আইনসিদ্ধ একচেটিয়া বাজার।

প্রশ্ন ৫। একচেটিয়া বাজারের অস্তিত্ব সমাজের জন্য লাভদায়ক হতে পারে কি?

উত্তরঃ একচেটিয়া বাজারের অস্তিত্ব সমাজের জন্য লাভদায়ক হতে পারে। যেহেতু-

(১) জনকল্যাণমূলক সেবাকার্য যোগানের ক্ষেত্রে অপচয় মূলক প্রতিযোগিতার চাপ থাকে না।

(২) প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে উত্তেজনা, আশংকা এবং অনিশ্চিয়তা থেকে মুক্ত হয়ে একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গবেষণা এবং উন্নয়নে অধিক মনোনিবেশ করতে পারে।

(৩) একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃহদায়তন উৎপাদনের সুবিধাসমূহ লাভ করে। ফলে প্রতিযোগিতা বাজার থেকে কম দামে দ্রব্য বিক্রয় করতে পারবে।

(৪) একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকতে পারে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত একচেটিয়া ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সামাজিক দায়বদ্ধতা লক্ষণীয়।

(৫) ভবিষ্যতে অধিক বিক্রির মাধ্যমে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে কম দামে যোগান দিতে পারে।

প্রশ্ন ৬। একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দুটো পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের এবং দুটো একচেটিয়া বাজারের উপাদান উল্লেখ করো।

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারের উপাদান –

(১) বহু বিক্রেতা থাকে এবং তাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ প্রতিযোগিতা থাকে।

(২) দীর্ঘকালে দাম গড় ব্যয়ের সমান হয়।

একচেটিয়া বাজারের উপাদান –

(১) দ্রব্যের পৃথকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য।

(২) ঋণাত্মক ঢাল বিশিষ্ট গড় আয় এবং প্রান্তিক আয় রেখা।

প্রশ্ন ৭। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ী তার সামগ্রীর দর নিরূপণ করতে কী কী কারকের কথা বিবেচনা করে?

উত্তরঃ একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ী দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয় বিবেচনা করে-

(১) দ্রব্যের চাহিদা যদি স্থিতিস্থাপক হয়, সেই ক্ষেত্রে দাম বাড়লে ভোগ কমবে।

কিন্তু চাহিদা যদি অস্থিতিস্থাপক হয়, তাহলে দাম বাড়ানো সম্ভব হবে। ভোগের পরিমাণও বিশেষ হ্রাস পাবে না।

(২) বাজারে বিক্রয়জাত সামগ্রীর পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলে একচেটিয়া ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশা করে না।

(৩) ক্রেতার পছন্দ ও ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে একচেটিয়া ব্যবসায়ী দ্রব্যের দাম নিরূপণ করে।

(৪) একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মূল লক্ষ্য অধিক মুনাফা অর্জন করা। এই লক্ষ্যে অনড় থেকে একচেটিয়া ব্যবসায়ী দাম স্থির করবে।

প্রশ্ন ৮। একচেটিয়া ও পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি কী কী?

উত্তরঃ একচেটিয়া ও পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি হল –

(১) উভয় বাজারে অসংখ্য ক্রেতা থাকে।

(২) উভয় বাজারের উদ্দেশ্য সর্বাধিক লাভ করা।

(৩) লাভ সর্বোচ্চকরণের প্রথম শর্ত MR = MC, উভয় বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

(৪) উভয় বাজারে উৎপাদিত দ্রব্যের কোন বিকল্প থাকে না।

প্রশ্ন ৯। একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো। এই রকম একটি বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক একটি বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অধিক/ কম না সমান লেখো। 

উত্তরঃ একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বৈশিষ্ট্য হল-

(ক) একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রত্যেক বিক্রেতার দ্রব্যগুলি ঘনিষ্ঠ পরিবর্ত।

(খ) এই বাজারে বিজ্ঞাপন ব্যয় বা বিক্রি ব্যয় থাকে।

(গ) একাধিকার বাজারে চাহিদা রেখা বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী।

একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম থাকে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। একটি কাল্পনিক তালিকা ও রেখাচিত্রের সাহায্যে একটি একচেটিয়া প্রতিষ্ঠানের মোট আয়, গড় আয় এবং প্রান্তিক আয়ের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ একটি তালিকার সাহায্যে মোট আয়, গড় আয় এবং প্রান্তিক আয়ের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে বোঝানো যায়

পরিমাণদামমোট আয়গড় আয়প্রান্তিক আয়
110101010
291898
382486
472874
563062
653050
74284-2
83243-4

একচেটিয়া ব্যবসায়ী এক একক সামগ্রী 10 টাকা বিক্রি করার সময় মোট আয়, গড় আয়, প্রান্তিক আয় 10 টাকাই থাকে। প্রতিষ্ঠান বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে গড় আয় হ্রাস পেতে থাকে এবং প্রান্তিক আয় তা অপেক্ষা অধিক হারে হ্রাস পেতে থাকে। গড় আয় যখন 1 টাকা হারে হ্রাস পায়, তখন প্রান্তিক আয় 2 টাকা হারে হ্রাস পায়। নিচে চিত্রের সাহায্যে এই সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হল।

চিত্রে দেখা যায়, গড় আয় রেখা এবং প্রান্তিক আয় রেখা উভয়েই বাম থেকে ডানদিকে নিচে নেমে গেছে। মোট আয় রেখাও নিম্নগামী হয়েছে কারণ H বিন্দুর পর প্রান্তিক আয় রেখা ঋণাত্মক হবে।

প্রশ্ন ২। প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একাধিকারমূলক বাজারের মধ্যে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যগুলির বর্ণনা করো।

উত্তরঃ সাদৃশ্য –

(১) উভয় বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা যথেষ্ট থাকে। ফলে প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজার যোগানের ছোট অংশ যোগান দেয়।

(২) উভয় বাজারে প্রতিষ্ঠানের অবাধ প্রবেশ ও অবাধ প্রস্থানের সুযোগ থাকে। ফলে উভয় বাজারে দীর্ঘকালে স্বাভাবিক মুনাফা লাভ করা যায়।

বৈসাদৃশ্য-

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি সমগুণসম্পন্ন অর্থাৎ পূর্ণ সাদৃশ্যযুক্ত কিন্তু একাধিকার বাজারে প্রত্যেক বিক্রেতার দ্রব্য ঘনিষ্ঠ পরিবর্ত।

(২) পূর্ণাঙ্গ বাজারে দ্রব্যগুলি সমজাতীয় থাকায় বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিক্রি ব্যয় বহন করতে হয় না। একাধিকার বাজারে বিজ্ঞাপন খাতে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়।

(৩) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে, গড় আয় = প্রান্তিক আয়। একাধিকার বাজারে গড় আয় > প্রান্তিক আয়।

(৪) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে দ্রব্য একই দামে বিক্রয় করতে হয় অর্থাৎ বিক্রেতা হল দাম গ্রহণকারী কিন্তু একাধিকার বাজারে প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দ্রব্য পৃথকীকরণ থাকায় নিজেরাই দাম নির্ধারণ করে অর্থাৎ বিক্রেতা হল দাম নির্ণয়কারী।

(৫) পূর্ণাঙ্গ বাজার কাল্পনিক, এর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু একাধিকার বাজার প্রকৃত বাজার, এর অস্তিত্ব আছে।

প্রশ্ন ৩। নিচে দেওয়া তালিকা থেকে মোট বিক্রয়লব্ধ আয় (TR) চাহিদা রেখা (AR) এবং মূল্য স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ৪। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মোট স্থির ব্যয় 100 টাকা এবং নিচে দেওয়া, হয়েছে তার চাহিদা অনুসূচি। যদি –

স্বল্পকালীন ভারসাম্য পরিমাণ, দাম এবং লাভ নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

পরিমাণ (Q)দাম (P)মোট আয় (TR)
1100100
290180
380240
470280
560300
650300
740280
830240
920180
1010100

স্বল্পকালে মোট ব্যয় 100 টাকা হলে একচেটিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠানের লাভ সর্বাধিক হরে 6 নং এককে যেহেতু মোট আয় সর্বাধিক।

প্রতিষ্ঠানের লাভ = 200 টাকা

স্বল্পকালীন ভারসাম্য পরিমাণ = 50

মোট লাভ= মোট আয় – মোট ব্যয়

= 300-100

= 200

প্রশ্ন ৫। রেখাচিত্রের সাহায্যে একচেটিয়া বাজারের AR এবং MR এর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতা দামের হ্রাস-বৃদ্ধি করে উৎপাদিত সামগ্রী বর্ধিত আকারে বিক্রি করে। এই বাজারে গড় এবং প্রান্তিক বিক্রি আয় রেখা বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী। কারণ দামের পরিমাণ চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা অনুসারে বিভিন্ন হয়ে থাকে। চিত্রে AR এবং MR হল গড় এবং প্রান্তিক আয় রেখা।

প্রশ্ন ৬। গড় ব্যয় ও প্রান্তিক ব্যয়ের সাহায্যে একচেটিয়া ব্যবসায়ী কীভাবে ভারসাম্য অবস্থা লাভ করতে পারে চিত্রের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও। এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লাভের পরিমাণ দেখাও।

অথবা, 

একচেটিয়া বাজার কী? একচেটিয়া ব্যবসায়ী নিজের উৎপাদিত দ্রব্যের দাম কীভাবে স্থির করে চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

একচেটিয়া ব্যবসায়ী কীভাবে ভারসাম্য লাভ করে চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যে বাজারে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিক্রেতা হিসাবে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে একচেটিয়া বাজার বলে।

একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মোট লাভ সর্বাধিক হবে সেই উৎপাদন মাত্রায় যেখানে তার প্রান্তিক ব্যয় প্রান্তিক আয়ের সমান।

মনে করি, একচেটিয়া ব্যবসায়ী প্রতিটি দ্রব্য 5.00 টাকা দামে 9 একক দ্রব্য বিক্রি করে। মোট বিক্রয় আয় হবে 45.00। আবার মনে করি, 4.75 টাকা দামে 10 একক বস্তু বিক্রি করতে পারে। এখন মোট বিক্রি আয় হবে (4.75×10) = 47.50 টাকা। প্রান্তিক আয় এই ক্ষেত্রে 47.50- 45.00 = 2.50 টাকা। যদি প্রান্তিক ব্যয় (MC) 2.50 টাকার কম হয়, তাহলে উৎপাদক 10 নম্বর একক উৎপাদন করে লাভবান হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত MR > MC, একচেটিয়া ব্যবসায়ী তার উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াবে, কারণ উৎপাদনের প্রতি একক বৃদ্ধির ফলে মুনাফার মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। শেষপর্যন্ত, সে থামবে যখন দেখা যাবে MR = MC. মোট লাভ সর্বোচ্চ হবে যখন MR = MC হবে। নিচে চিত্রের সাহায্যে একচেটিয়া ব্যবসায়ীর দাম ও উৎপাদনের ভারসাম্য দেখানো হল।

ওপরের চিত্রে AR হল গড় আয় রেখা এবং MC প্রান্তিক ব্যয় রেখা, AC গড় ব্যয় রেখা এবং MR হল প্রান্তিক আয় রেখা। MR এবং MC রেখা K বিন্দুতে একে অন্যকে ছেদ করল। MR ও MC রেখা যখন সমান; উৎপাদন তখন OM, দাম তখন OQ (=MT)

এখন মোট একচেটিয়া আয় = মোট আয় – ‘মোট ব্যয়

= OM x MT – OM x MS

= OMTQ – OMSR

= QRST

এটি একচেটিয়া বাজারে ব্যবসায়ীর লাভের পরিমাণ।

ব্যবসায়ীর ভারসাম্যের শর্ত হল MR = MC

কিন্তু AR > AC

প্রশ্ন ৭। উৎপাদন ব্যয় শূন্য বলে ধরে নিয়ে একচেটিয়া বাজারে হ্রস্বকালীন ভারসাম্যের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ শূন্য উৎপাদনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসায়ী সেই অবস্থায় ভারসাম্য অবস্থা লাভ করে যে অবস্থায় মোট আয় সর্বোচ্চ হয় বা প্রান্তিক আয় শূন্য হয়।

চিত্রে মোট বিক্রি আয় (TR), গড় বিক্রি আয় (AR) এবং প্রান্তিক বিক্রি আয় (MR) রেখা অঙ্কন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মোট বিক্রি আয় থেকে মোট ব্যয় বিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ পাওয়া যায়। উৎপাদনের পরিমাণ যখন 10 একক হয়, প্রান্তিক বিক্রি আয় শূন্যের সমান হয়। A থেকে আনুভূমিক অক্ষের উল্লম্ব রেখাখণ্ডের দূরত্বই লাভের পরিমাণ বোঝায়। ক্রেতারা সম্মিলিতভাবে যে দাম দিতে ইচ্ছুক, সেই দামেই উৎপাদিত বস্তু বিক্রি হবে। বাজার চাহিদা রেখা AR রেখা দ্বারা বোঝা যায়। 10 টি দ্রব্যের প্রতি একক উৎপাদন স্তরের দাম হল 5 টাকা, তাহলে মোট আয় 50 টাকা।

প্রশ্ন ৮। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ী মোট আয় রেখা এবং মোট ব্যয় রেখার সাহায্যে লাভ অর্জন কীভাবে করে দেখাও।

উত্তরঃ একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ী সেই অবস্থায় সর্বোচ্চ লাভ অর্জন করে যে অবস্থায় মোট আয় এবং মোট ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য যোগাত্মকভাবে সর্বোচ্চ হয়।

নিম্নে রেখাচিত্রের সাহায্যে এই বিষয়টি দেখানো হলো –

ওপরের চিত্রে TP, TC এবং TR যথাক্রমে মোট উৎপাদন, মোট ব্যয় এবং মোট লাভ রেখা। যখন উৎপাদনের পরিমাণ q₁, মোট আয় এবং মোট ব্যয় হল যথাক্রমে TR₁ এবং TC₁। উৎপাদনের এই স্তরে TR₁ এবং TC₁ এর মধ্যে পার্থক্য হল মোট লাভ অর্থাৎ AB। যখন উৎপাদনের পরিমাণ q₂ থেকে কম, তখন উৎপাদন ব্যয়, উৎপাদনের আয় থেকে অধিক, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন q₃ থেকে অধিক হলে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

সুতরাং উৎপাদনের q₂ থেকে q₃ এর ভিতরে থাকা অবস্থায় উৎপাদন প্রতিষ্ঠানটি ধনাত্মক লাভ অর্জন করবে। চিত্র থেকে প্রতীয়মান, উৎপাদনের পরিমাণ q₀ হলে মোট আয় এবং মোট ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য সর্বাধিক হয়। অর্থাৎ লাভ সর্বাধিক। মোট লাভ নির্দেশক TR রেখার উচ্চতম বিন্দু q₀ উৎপাদন স্তরে লাভ সর্বাধিক প্রতিফলিত হয়। TR এবং TC রেখার পার্থক্যের ভিত্তিতে দেখা গেল যে একচেটিয়া উৎপাদন প্রতিষ্ঠান q₀ উৎপাদন করা অবস্থায় ভারসাম্য লাভ করে।

প্রশ্ন ৯। স্বল্পবিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা Oligopoly বাজারের ব্যবহারের তিনটি দিক নিয়ে আলোচনা করো।

উত্তরঃ অলিগপলি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আচরণের তিনটি দিক হল-

(১) এই বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় বিক্রেতাদের মধ্যে জোটবন্ধন হতে পারে। একে অন্যের মধ্যে প্রতিযোগিতা না করে লাভ সর্বাধিক করে। এমতাবস্থায় Oligopoly প্রতিষ্ঠানসমূহ একচেটিয়া প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করে।

(২) এই বাজারে যদি কোন বিক্রেতা মনে করে যে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে অধিক লাভ অর্জন করবে তখন অন্য ব্যবসায়ী তা অনুসরণ করবে না। ফলে দাম বৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি হ্রাস পাবে এবং প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সুতরাং এই বাজারে বিক্রেতারা দরযুদ্ধ থেকে দূরে থাকে এবং দাম সাধারণতঃ স্থির থাকে।

(৩) এই বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে পরস্পর নির্ভরশীলতা থাকে। একজন বিক্রেতার আচরণ অন্য বিক্রেতার কার্যকলাপকে প্রভাবান্বিত করে। দাম এবং পরিমাণের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা স্বতন্ত্রভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।

প্রশ্ন ১০। প্রতিযোগিতা বাজারে দ্রব্যের দাম একাধিকার বাজারের চেয়ে কম। ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ নিম্নলিখিত কারণে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্যের দাম একাধিকার প্রতিযোগী বাজার থেকে কম হয়।

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দাম = প্রান্তিক ব্যয়। কিন্তু একাধিকার বাজারে দাম > গড় ব্যয়।

(২) একাধিকার প্রতিযোগী বাজার বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিযোগিতামূলক বিজ্ঞাপন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে।

(৩) পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতারা বাজারে বিক্রিত দ্রব্যের দাম, গুণাগুণ সম্পর্কে পূর্ণ অবগত। ফলে বিক্রেতাদের পক্ষে অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। কিন্তু একাধিকার বাজারে দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য থাকায় ক্রেতার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান আহরণ করা সহজ নয়।

প্রশ্ন ১১। নিম্নলিখিত কারকের ভিত্তিতে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক, একচেটিয়া এবং একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের পার্থক্য লেখো।

(ক) দ্রব্য সামগ্রীর বৈশিষ্ট্য।

(খ) চাহিদা রেখা।

(গ) বিক্রেতার সংখ্যা।

(ঘ) ভারসাম্য অবস্থা।

উত্তরঃ (ক) দ্রব্যসামগ্রীর বৈশিষ্ট্য –

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি পুর্ণ সাদৃশ্যযুক্ত।

(২) একচেটিয়া বাজারের উৎপাদিত দ্রব্যগুলির বিকল্প দ্রব্য থাকে না।

(৩) একাধিকার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রেতার দ্রব্যগুলি ঘনিষ্ঠ বিকল্প দ্রব্য।

(খ) চাহিদা রেখা-

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে চাহিদা রেখা আনুভূমিক OXঅক্ষের সমান্তরাল অর্থাৎ পূর্ণ স্থিতিস্থাপক।

(২) একচেটিয়া ব্যবসায়ীর চাহিদা রেখা নিম্নাভিমুখী।

(৩) একাধিকার প্রতিযোগিতা বাজারের চাহিদা রেখাও বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী অর্থাৎ স্থিতিস্থাপকতা আছে।

(গ) বিক্রেতার সংখ্যা-

(১) একচেটিয়া বাজারে একজন বিক্রেতা।

(২) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে অসংখ্য বিক্রেতা।

(৩) একাধিকার বাজারে বহু সংখ্যক বিক্রেতা।

(ঘ) ভারসাম্য অবস্থা –

(১) পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে, P = AR = MC = MR = AC

(২) একচেটিয়া বাজারে, MR = MC, AR > ACT

(৩) একাধিকার বাজারে, MR = MC, AR = AC

প্রশ্ন ১২। একজন একচেটিয়া বিক্রেতার প্রান্তিক আয় এবং প্রান্তিক ব্যয় নিচে দেওয়া হল –

QMRMC
15070
24550
34240
43835
53228
63030
72534
82038
91845

(ক) উৎপাদনের ভারসাম্য স্তর নির্ণয় করো।

(খ) ভারসাম্য উৎপাদনের লাভের পরিমাণ নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

(ক) প্রতিষ্ঠানটি 6 নং উৎপাদনে ভারসাম্য লাভ করেছে।

(খ) প্রতিষ্ঠানটির 16 টাকা লোকসান হয়েছে।

প্রশ্ন ১৩। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মোট ব্যয় (TC) ও দাম (P) নিচে দেওয়া হল। বিক্রেতার ভারসাম্য স্তর নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

প্রতিষ্ঠানটি 5 নম্বর একক উৎপাদনে ভারসাম্য অবস্থা লাভ করেছে। কারণ, এই অবস্থায় MR = MC।

প্রশ্ন ১৪। একজন একচেটিয়া বিক্রেতার মোট আয় এবং মোট ব্যয় নিচে দেওয়া হল-

(ক) প্রান্তিক আয় ও প্রান্তিক ব্যয় অনুসূচি লেখো।

(খ) ভারসাম্য উৎপাদন নির্ণয় করো।

উত্তরঃ (ক)

(খ) বিক্রেতা 6 নম্বর একক উৎপাদনে ভারসাম্য লাভ করেছে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তরঃ

প্রশ্ন ১। যখন মোট বিক্রয়লব্ধ আয় রেখা-

(ক) উৎপত্তির মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করে ধনাত্মক ঢাল নিয়ে চলা সরলরেখা হয়।

(খ) যখন তা আনুভূমিক হয়।

তখন চাহিদারেখার আকৃতি কী হবে?

উত্তরঃ (ক) 

(খ) 

প্রশ্ন ২। অনমনীয় দাম বলতে কী বোঝ? স্বল্প বিক্রেতার বাজারে বিক্রেতার ব্যবহার কী করে অনমনীয় দামে উপনীত হয়?

উত্তরঃ উৎপাদনের ব্যয় এবং চাহিদার পরিবর্তন সত্বেও দাম স্থির থাকাকে অনমনীয় দাম বলে।

স্বল্পবিক্রেতার বাজারে কোন বিক্রেতাই দাম পরিবর্তন করে প্রতিদ্বন্দ্বির প্রত্যাহ্বানের মুখোমুখি হতে চায় না। প্রত্যেক বিক্রেতাই দর যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে চায়। কারণ এই বাজারে একজন বিক্রেতা দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করলে অন্যান্য বিক্রেতারা তাকে অনুসরণ করবে না কিন্তু যদি একজন বিক্রেতা দাম হ্রাস করে, তাহলে অন্য বিক্রেতারা দাম হ্রাস করবে। সুতরাং, স্বল্প বিক্রেতার বাজারে দামে স্থিরতা থাকে।

প্রশ্ন ৩। যখন চাহিদা রেখা স্থিতিস্থাপক হয় তখন প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয়ের মান কী হবে?

উত্তরঃ যখন চাহিদা রেখা স্থিতিস্থাপক হয়, তখন প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয়ের মূল্য ধনাত্মক হবে এবং যখন চাহিদা রেখা অস্থিতিস্থাপক হয়, তখন প্রান্তিক আয়ের মূল্য ঋণাত্মক হবে।

প্রশ্ন ৪। একচেটিয়া ব্যবসায়ীর ইচ্ছামতো দাম আদায় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা কী কী?

উত্তরঃ একচেটিয়া ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 

এগুলি হল-

(১) একচেটিয়া ব্যবসায়ী অধিক দাম ধার্য করলে বিক্রেতাকে জনরোষের সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই গণ আন্দোলনের ভয়ে অনেক সময় একচেটিয়া বিক্রেতা অধিক দাম আদায় করতে পারে না।

(২) যদি কোন একচেটিয়া ব্যবসায়ী অত্যধিক মুনাফা অর্জন করতে থাকে, তা হলে ভবিষ্যতে এ বস্তুর বিকল্প দ্রব্য সৃষ্টি হতে পারে। তখন একচেটিয়া আধিপত্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

(৩) সরকারি নিয়ন্ত্রণের ভয়েও অনেক সময় একচেটিয়া ব্যবসায়ী অধিক দামের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করবার সাহস পায় না।

(৪) একচেটিয়া বিক্রেতার দ্রব্যের চাহিদা যদি স্থিতিস্থাপক হয়, তাহলে দাম বাড়লে দ্রব্যটির ভোগ কমবে। ফলে বিক্রির পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং আয়ও কমে যাবে। সর্বাধিক লাভের জন্য বিক্রেতাকে দাম কমিয়ে বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হয়। এই দৃষ্টিকোণে একচেটিয়া ব্যবসায়ী দ্রব্যের দাম স্থির করবে।

(৫) সম্ভাব্য প্রতিযোগিতাকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য অনেক সময় একচেটিয়া ব্যবসায়ী যুক্তিসঙ্গতভাবে দাম স্থির করতে পারে।

উপরের আলোচনা থেকে উপলব্ধি করলাম, তত্ত্বগত আলোচনায় একচেটিয়া ব্যবসায়ীর পক্ষে অধিক দামের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লাভে অর্জনের সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে নানাবিধ সমস্যার জন্য উচ্চহারে দাম নির্ধারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।

প্রশ্ন ৫। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মোট ব্যয় (TC) এবং মোট আয় (TR) নিচে দেওয়া হল –

প্রান্তিক আয় এবং প্রান্তিক ব্যয় গণনা করো।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ৬। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে লাভ সর্বোচ্চ করার জন্য একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে যোগাত্মক উৎপাদন উৎপন্ন করার জন্য কী কী শর্ত পূর্ণ করা প্রয়োজন লেখো।

উত্তরঃ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে, লাভ সর্বোচ্চ করার জন্য নিম্নলিখিত শর্ত পূর্ণ করা প্রয়োজন।

(১) যোগাত্মক উৎপাদন স্তরে, বাজার দাম প্রান্তিক ব্যয়ের সমান হতে হবে।

(২) ভারসাম্য বিন্দুতে প্রান্তিক ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী ঢালসম্পন্ন হতে হবে।

(৩) যোগাত্মক উৎপাদন স্তরে।

(ক) স্বল্পকালে বাজার দাম গড় পরিবর্তনশীল ব্যয়ের বেশি কিংবা সমান হতে হবে অর্থাৎ P≥AVC।

(খ) দীর্ঘকালে বাজার দাম গড় ব্যয়ের বেশি কিংবা সমান হতে হবে অর্থাৎ P≥AC।

প্রশ্ন ৭। স্বাভাবিক লাভ (Normal profit) এবং অতি স্বাভাবিক লাভ (Supernormal profit) এর মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ স্বাভাবিক লাভ ও অতি স্বাভাবিক লাভের মধ্যে পার্থক্য হল-

স্বাভাবিক লাভঅতি স্বাভাবিক লাভ
(১) শূন্য আর্থিক লাভকে স্বাভাবিক লাভ বলে।(১) যোগাত্মক আর্থিক লাভকে অতি স্বাভাবিক লাভ বলে।
(২) স্বাভাবিক লাভের শর্ত হল: AR = AC অথবা TR = TC(২) অতি স্বাভাবিক লাভের শর্ত হল: AR = P > AC অথবা TR> TC
(৩) স্বাভাবিক লাভ মোট ব্যয়ের অংশ।(৩) অতি স্বাভাবিক লাভ মোট ব্যয়ের অতিরিক্ত আয়।

প্রশ্ন ৮। একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ীর মোট ব্যয় (TC) এবং গড় আয় (AR) নিচে দেওয়া হল:

উৎপাদনের ভারসাম্য স্তর নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

একজন একচেটিয়া ব্যবসায়ী 7 নং একক উৎপাদনের সময় সর্বোচ্চ লাভ অর্জন করে। সুতরাং ভারসাম্য উৎপাদনের স্তর হল 7 একক।

প্রশ্ন ৯। পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যোগান রেখার তিনটি নির্ধারক উল্লেখ করো।

উত্তরঃ পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানের যোগানরেখার তিনটি নির্ধারক হল-

(১) অসংখ্য ক্রেতা।

(২) উৎপাদনের উপাদানের গতিশীলতা।

(৩) বাজারে প্রচলিত স্থির দাম।

প্রশ্ন ১০। একজন একচেটিয়া ফার্মের মোট স্থির ব্যয় 100 টাকা এবং চাহিদা অনুসূচি নিচে দেওয়া হয়েছে-

এটি হতে স্বল্পকালীন ভারসাম্যের পরিমাণ, দাম ও মুনাফা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

পরিমাণ (Q)দাম (P)মোট আয় (TR)
1100100
290180
380240
470280
560300
650300
740280
830240
920180
1010100

স্বল্পকালে মোট ব্যয় 100 টাকা হলে একচেটিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠানের লাভ সর্বাধিক হরে 6 নং এককে যেহেতু মোট আয় সর্বাধিক।

প্রতিষ্ঠানের লাভ = 200 টাকা

স্বল্পকালীন ভারসাম্য পরিমাণ = 50

মোট লাভ= মোট আয় – মোট ব্যয়

= 300-100

= 200

প্রশ্ন ১১। চাহিদা রেখা যখন স্থিতিস্থাপক হয় তখন প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয়ের মান কী হবে?

উত্তরঃ চাহিদা রেখা যখন স্থিতিস্থাপক হয় তখন প্রান্তিক বিক্রয়লব্ধ আয়ের মান হবে ধনাত্মক।

প্রশ্ন ১২। নিচে দেওয়া তালিকা থেকে মোট আয়, চাহিদা রেখা এবং চাহিদার মূল্যগত স্থিতিস্থাপকতা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ 

We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top