Class 11 Environmental Studies Chapter 7 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Environmental Studies Chapter 7 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Environmental Studies Chapter 7 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Environmental Studies Chapter 7 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা are free to use and easily accessible.

Class 11 Environmental Studies Chapter 7 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. AHSEC Board Class 11 Environmental Studies in Bengali Solutions, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Environmental Studies in Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Environmental Studies Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Solution in Bengali. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলীর উত্তরঃ

প্রশ্ন ১। দুটো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুটো মানবসৃষ্ট দুর্যোগের নাম লেখো।

উত্তরঃ দুটো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হল – 

১। ভূমিকম্প। এবং 

২। বন্যা।

মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হল – 

১। উদ্যোগিক দূর্ঘটনা। এবং

২। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।

প্রশ্ন ২। অসম বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা আক্রান্ত হাওয়ার কারণ কী কী?

উত্তরঃ অসম বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

এই দুর্যোগগুলোর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো – 

১। বন্যা: ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় হয়ে থাকে।আসামের ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই উপত্যকায় সমস্ত বর্ষাকাল জুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়।যা আসামের বন্যা কবলিত রাজ্য হওয়ার প্রধান কারণ তাছাড়া ব্রহ্মপুত্র একটি সর্বাধিক পালিবাহী নদ যার ফলে এই নদের জল ধারণ ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে বনাঞ্চল ধবংসও এই স্থানে বন্যার প্রকোপকে দিনে দিনে বাড়াচ্ছে।

২। ভূমিকম্প: আসাম সহ সমস্ত উওর পূর্বাঞ্চল ভারতীয় এবং ইউরোপিও টেকটনিক প্লেটের সংযোগ সীমার কাছাকাছি হাওয়ার ফলে এই স্থানে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা এবং ঘটনা বেশি হয়।

৩। ভূমিস্খলন: পার্বত্য অঞ্চল বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে তা ছাড়া প্রচুর পরিমাণে বন ধবংসের কারণে আসামে ভূমিস্খলন বেশি হয়।

৪। ঝড়: বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী হওয়ার ফলে আসামে ঝড়ের প্রকোপ দেখা যায়।

এছাড়াও দুর্গম অঞ্চলের প্রাচুর্য এবং পার্বত্য অঞ্চলে ভরপুর হওয়ার জন্য আসামে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিভিন্ন সময়ে দেখা দেয়।

প্রশ্ন ৩। ভারতবর্ষ বিভিন্ন কৃত্রিম দুর্যোগের দ্বারা আক্রান্ত হাওয়ার তিনটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষ বিভিন্ন কৃত্রিম দুর্যোগের দ্বারা আক্রান্ত হাওয়ার তিনটি কারণ হল – 

১। ভারতবর্ষে বহু খনি আছে। এই খনিগুলিতে বিভিন্ন সময়ে অকস্মাৎ কিছু অনাকাঙ্খিত দুর্যোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

২। ভারতবর্ষে বহু উদ্যোগীক কারখানা আছে যেগুলিতে অনেক সময় সুরক্ষার দিক অবহেলিত  হয়। যার ফলে উদ্যোগগুলিতে দুর্ঘটনা ঘটে যা দুর্যোগের কারণ হয়ে উঠে।

৩। ভারতবর্ষে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যা অধিক হওয়ার কারণে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাছাড়া দুর্নীতির ফলে অনেক ক্ষেত্রে রাস্তাঘাট, রেলপথ, সেতু, নদী – বাঁধ ইত্যাদির নির্মাণ উপযুক্ত ভাবে না হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে পারে।

প্রশ্ন ৪। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ কিভাবে উপশম করা যায়? তোমার নিজস্ব চিন্তাধারার ভিত্তিতে  তিনটি উপায় লেখো।

উত্তরঃ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ উপশম করার জন্য তিনটি প্রধান উপায় হল – 

১। সতর্কতা: মানবসৃষ্ট দুর্যোগের বেশির ভাগই ঘটে থাকে সতর্কতার অভাবের জন্য। সেজন্য মানবসৃষ্ট দুর্যোগের উৎস যেমন – বিভিন্ন উদ্যোগ খনি ইত্যাদিতে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলির মালিকক উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সরকারের তরফ থেকে চাপ সৃষ্টি করা উচিত। অন্যথায় তাদের প্রতি উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

২। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ: অনেক সময় বিভিন্ন উদ্যোগগুলিতে কার্যরত কর্মীদের অজ্ঞানতা এবং অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যও দুর্যোগ ঘটতে পারে। সেজন্য উদ্যোগ, খনি ইত্যাদির বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মীদের তাদের কাজের এবং সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।

৩। সচেতনতা: মানবসৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ শুধুমাত্র উদ্যোগের কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এগুলির প্রভাবে জনসাধারণের প্রানহানি এবং সম্পদ হানি ঘটতে পারে। সেজন্য বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম দুর্যোগ, উহাদের কারন এবং সেগুলির সময় অবলম্বন করা সতর্কতার সমন্ধে গণ সচেতনতা গড়ে তুললে এই দুর্যোগ গুলির অনেকাংশে উপশম করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ৫। দুর্যোগের ফলে কোন কোন দিকে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটে? 

উত্তরঃ দুর্যোগের ফলে বিভিন্ন দিক দিয়ে মানব জীবনে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে। সেগুলির মধ্যে প্রধান কয়েকটি নীচে বর্ণিত হল।

১। মানুষের খাদ্য: দুর্যোগের ফলে খাদ্যভাব দেখা দেয়। কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব পড়ায় খাদ্যের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে খাদ্য সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়।

২। বাসস্থান: দুর্যোগের ফলে প্রচণ্ড মানুষের বাসস্থান ধবংস হয়, যার ফলে মানুষ গৃহহীন হয়।

৩। দৈনন্দিন জরুরি পরিষেবা: দুর্যোগের ফলে মানুষের দৈনন্দিন জরুরি পরিষেবা যেমন – বিদ্যুৎ, সংবাদ পত্র, পানীয় জল ইত্যাদি বাধা প্রাপ্ত হয়।

৪। যোগাযোগ ব্যবস্থা: রাস্তাঘাট,সেতু ইত্যাদি ধবংস হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধবংস হয়। যার ফলে মানুষের চরম বিপদ ঘনিয়ে আসে।

এছাড়াও অন্যান্য জরুরি সেবা যেমন – স্বাস্থ্য, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যাহত হয়।

প্রশ্ন ৬। দুর্যোগের আগে ও পরে কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত?

উত্তরঃ দুর্যোগের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী স্তরে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দুর্যোগের প্রকোপ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়।

দুর্যোগের পূর্ববর্তী স্তরের ব্যবস্থাগুলির মধ্যে প্রধান হল – 

১। সাবধানতা: সতর্কতা এবং সাবাধানতা অবলম্বন করলে দুর্যোগের হাত থেকে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা পাওয়া যায় বা দুর্যোগের ফলে কম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২। জনসচেনতা: দুর্যোগের কারণ এবং এর সময়ে অবলম্বন করা সবাধানত সমন্ধে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা উচিত।

৩। পূর্বানুমান: কিছু কিছু দুর্যোগ যেমন – ঝড় – তুফান, খরা যেগুলির পূর্বানুমান সম্ভব সেগুলির পূর্বানুমানকারী সংস্থার দ্বারা পূর্বানুমান করিয়ে প্রচার করা উচিত।

দুর্যোগের পরবর্তী স্তরের ব্যবস্থাগুলির মধ্যে প্রধান হল –

১। সাহায্য: দুর্যোগের পারে বা সময়ে পীড়িত লোকসকলকে উপযুক্ত সাহায্য সহায়তা করা।

২। পুনসংস্থাপন: দুর্যোগের ফলে জন সাধারণের আশ্রয় স্থল ধবংস হলে তাদের নতুনভাবে আশ্রয় নির্মাণ করে সংস্থাপিত করা উচিত।

৩। রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার পুননির্মাণ: দুর্যোগের ফলে রাস্তাঘাট ধবংস হয় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়। দুর্যোগের ফলে অতি সত্ত্বর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হয় যাতে সহজে পীড়িতদের  মধ্যে চিকিৎসা এবং ত্রান সামগ্রী পৌঁছানো যায়।

৪। স্বাস্থ্যসেবা: দুর্যোগের পর পীড়িতদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয়। তাছাড়া দুর্যোগের পর বিভিন্ন রোগ মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে সেজন্য জরুরি কালীন তৎপরতায় চিকিৎসা সেবার কাজ দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে চালিয়ে যেতে হয়।

প্রশ্ন ৭। বিগত দুটি দশকে দুর্যোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রকৃত এবং প্রধান কারণ কি কি?

উত্তরঃ বিগত দুটি দশকে দুর্যোগের সংখ্যা হঠাৎ করে প্রচণ্ডভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। 

এর প্রকৃত এবং প্রধান কারণগুলি হল – 

১। অপরিকল্পিতভাবে  বনধবংস। 

২। বেশি মাত্রায় উদ্যোগীকরণ।

৩। প্রাদুষণের ফলে বাতাসে সবুজ গৃহ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ঘটা বিশ্ব উষ্ণায়ন।

৪। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধ। এবং

৫। অপরিকল্পিতভাবে প্রবল পরিমাণে নগরায়ন।

প্রশ্ন ৮। বিশ্বের সব থেকে বড় ভূমিকম্প দুটি কোন স্থানে এবং কখন সংঘটিত হয়েছিল?

উত্তরঃ বিশ্বের সব থেকে বড় ভূমিকম্প দুটি হয়েছিল – 

১। চিলির বিও বিওতে ১৯৬০ ইংরাজীর ২২ শে মে। রিক্টার স্কেল ছিল ৯.৫

২। দক্ষিণ আলাস্কাতে ১৯৬৪ ইংরাজীর ২৮ সে মার্চ। রিক্টার স্কেল ছিল ৯.২

প্রশ্ন ৯। আসামে বর্তমান আসামে প্রায়ই বন্যা হাওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ আসামের প্রধান নদ ব্রাহ্মপুত্র এবং শাখা  নদী সমূহের জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়াই হল বর্তমান সময়ে আসামে বন্যা বেশি হওয়ার প্রধান কারণ। ব্রাহ্মপুত্র হল একটি পলিবাহী নদী। এই পলি বহন করার ফলে সহজেই বর্তমান আসামে বন্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বনধবংসও বর্তমান কালে বেশি বন্যা হওয়ার একটি কারণ।

প্রশ্ন ১০। ভূমিকম্পের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য পাঁচটি সমস্যা কি কি?

উত্তরঃ ভূমিকম্পের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সমস্যা হল – 

১। ঘরবাড়ী এবং বাসস্থান ধবংস।

২। বিপুল পরিমাণে ভূমিস্খলন।

৩। রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধবংস হওয়া।

৪। নদীর গতিপথের পরিবর্তন এবং গভীরতা হ্রাসের ফলে বন্যা হওয়া। এবং

৫। সুনামির সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক দুর্যোগের সূচনা হওয়া।

প্রশ্ন ১১। অসাম রাজ্যিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভাগটির কার্য ও উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃ অসাম রাজ্যিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভাগটির কার্য এবং উদ্দেশ্যগুলি হল – 

১। অসাম রাজ্যে যে কোন দুর্যোগের মোকাবিলায় পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।

২। দুর্যোগের মোকাবিলায় জনসাধারণের মধ্যে সচেনতা গড়ে তোলা এবং জনসাধারণকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত করা।

৩। দুর্যোগের সময় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ কার্য সম্পন্ন করা।

৪। দুর্যোগের মোকাবিলায় জন্য বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা। এবং

৫। দুর্যোগ পরবর্তীকালের  পুনবার্সনের কাজের উপযুক্ত বাস্তবায়ন করা।

প্রশ্ন ১২। তোমার চোখের সামনে ঘটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তুমি কি কি ব্যবস্থা নেবে অথবা কিভাবে এই বিষয়ে সচেতনতা লাভ করবে?

উত্তরঃ সাধারণভাবে চোখের সামনে ঘটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা যায়।

১। পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আরক্ষী বা ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স সেবাকে অবগত করানো।

২। অভিভাবকহীন জিনিসপত্র, প্যাকেট, ব্যাগ ইত্যাদি পেলে আরক্ষী বিভাগকে জানানো।

৩। বিপদজ্জনকভাবে ঝুলতে থাকা বিদুৎতের তার, খুঁটি, ট্রান্সফর্মার ইত্যাদির থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখলে বিদ্যুৎ বিভাগকে খবর দেওয়া।

৪। ফুটপাতে ঢাকনা না থাকা ম্যানহোল, বিপদজ্জনকভাবে ভেঙ্গে থাকা গাছ বা অট্টালিকা অংশ দেখতে পেলে পৌরসভা বা পৌরনিগমকে জানানো।

৫। রেললাইন কোন বিচ্যুতি দেখলে রেল বিভাগকে জানানো।

প্রশ্ন ১৩। ২০০৮ সনে সংঘটিত গুয়াহাটি ধারাবাহিক বিস্ফোরণটি কোন শ্রেণীর দুর্যোগ? 

উত্তরঃ এটি একটি মানবসৃষ্ট বা কৃত্রিম দুর্যোগ।

প্রশ্ন ১৪। ভারতবর্ষের খনি দুর্ঘটনার বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে বিভিন্ন সময়ে খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। বেশির ভাগ খনি দুর্ঘটনার কারণ ছিল খনিতে ঘটা বিস্ফোরণ। তাছাড়া খনিতে ঘটা জলপ্লাবন, অগ্নিকাণ্ড এবং খনির ছাদ খসে পড়াও ছিল বিভিন্ন খনি দুর্ঘটনার কারণ। ভারতবর্ষের সর্বাধিক বিপদজ্জনক খনি দুর্ঘটনাটি হয়েছিল চাসনালা খনিতে, বা ঘটেছিল। ১৯৭৫ ইংরাজীর ডিসেম্বর মাসে। সেই খনি দুর্ঘটনায় ৩৭৫ জন খনি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।এই খনি দুর্ঘটনার কারণ ছিল জলপ্লাবন। খনিতে জল ভরে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তাছাড়া নুনিদিহ খনিতে ১৯৭৩ সনে বিস্ফোরণ ঘটে ৪৮ জন খনি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও কেসরগড়, সুদামদিহ শাফট টোপা ইত্যাদি খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে বহু খনি কর্মীর মৃত্যু ঘটেছিল।

প্রশ্ন ১৫। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্তর কয়টি এবং কী কী? এই স্তরগুলিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন? 

উত্তরঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তিনটি স্তর যেমন – 

১। দুর্যোগ পূর্ববর্তী স্তর: এই স্তরের দুর্যোগ সম্পর্কে সাবধানতা এবং জন সচেতনতা গড়ে তোলা হয়। তাছাড়া পূর্বানুমান এবং দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিও এই স্তরে নেওয়া হয়।

২। দুর্যোগকালীন স্তর: এই স্তরে দুর্যোগের প্রকার অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং উদ্ধার কার্য চালানো হয়।

৩। দুর্যোগ পরবর্তী স্তর: এই স্তরে দুর্গতদের সাহায্য দান, পুনঃ সংস্থাপন করা হয় এবং রাস্তা ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পুন নির্মাণ করা হয়। তাছাড়া স্বাস্থ্য সেবাও এই স্তরের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ।

প্রশ্ন ১৬। একজন ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তোমার করণীয় পাঁচটি পদক্ষেপ কী কী?  

অথবা,

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ছাত্র – ছাত্রীর ভূমিকা লেখো।

উত্তরঃ ছাত্র – ছাত্রীর হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গ্রহণীয় পাঁচটি পদক্ষেপ হল – 

১। স্কুল কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যে সমস্ত পরামর্শ বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সে সমস্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের সমস্ত পরিবারকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জন্য প্রস্তুত করে তোলা।

২। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্ক গ্রন্থ না হয়ে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শসমূহ পালন করার ক্ষেত্রে ছাত্র – ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহন করতে পারবে।

৩। বিভিন্ন সময়ে পথ নাটিকা, আলোচনা সভা ইত্যাদির দ্বারা দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গণসচেতনতা গরো তোলা।

৪। রেডিও, দূরদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস সাধারণ লোককে অবগত করানো।

৫। সব সময় দুর্যোগ বিষয়ক নীতি নির্দেশিকা নিজে মেনে চলা।

প্রশ্ন ১৭। দুর্যোগের সময় কী কী করা উচিত নয়?

উত্তরঃ দুর্যোগের সময় নিন্মলিখিত কাজগুলি করা উচিত নয়। 

১। সন্ত্রস্ত বা ভীত হওয়া উচিত নয়।

২। প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং সাজ – সরঞ্জাম ছাড়াই উদ্ধার কার্যে হাত দেওয়া উচিত নয়।

৩। ধবংস স্তূপের থেকে কাঠ বাঁশ ইত্যাদি অসাবধানে টেনে সরানো উচিত নয়, এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

৪। দুর্ঘটনা স্থানে অসাবধানে ঘোরাফেরা করে ক্ষতি গ্রন্থেদের নতুন করে বিপদে ফেলা উচিত নয়।

৫। অত্যন্ত জরুরি না হলে দুর্ঘটনা স্থানটির উপর দিয়ে যাওয়া আসা না করা উচিত।

৬। বিদ্যুৎবাহী ইলেকট্রিক তারের স্পর্শ এড়িয়ে কার্য করা উচিত। এবং

৭। উদ্ধারকারী দলটি যেন কোনভাবেই সুরক্ষা বিধি লংঘন না করে।

প্রশ্ন ১৮। রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী (NDRF) এর বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ রাষ্ট্রীয় স্তরে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী অর্থাৎ National Disaster Response Force – NDRF নামে একটি বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যর অর্ধ সামরিক বাহিনীর থেকে নির্বাচিত করা হয়। NDRF বাহিনীর আটটি ব্যাটেলিয়ান স্থাপন করে দুর্যোগ  প্রবন অঞ্চলগুলিতে নিয়োজিত করা হয়। NDRF এর সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে রাসায়নিক, জৈবিক, তেজস্ক্রিয় এবং আনবিক দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য সক্ষম করে তোলা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই বাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে। এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভারতবর্ষে ” The National Institute for Disaster Management (NIDM) ” নামে একটি শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে।

প্রশ্ন ১৯। অসম রাজ্যিক দুর্যোগ ব্যবস্থা অভিকরণ কী? 

উত্তরঃ ২০১০ সনে অসমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা এবং এই ব্যাপারে জন সাধারণকে সচেতন করে তোলা এবং দুর্যোগের পরবর্তী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচী তৎপরতার সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য রাজ্যিক ব্যবস্থাপনা অভিকরণ অর্থাৎ Assam State Disaster Management Agency (ASDMA) স্থাপন করা হয়। এর মুখ্য কর্য্যালয় গুয়াহাটির দিসপুর রাজ্যিক সচিবালয়ে অবস্থিত।

প্রশ্ন ২০। অসমের রাজধানী শহর গুয়াহাটি বর্তমানে ভূমিস্খলনের সমস্যার জর্জরিত। এর কারণ কী বলে মনে কর? তোমার যুক্তিতে এই ভূমিস্খলন রোধ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

উত্তরঃ গুয়াহাটিতে বর্তমান সময়ে বেশি পরিমাণে হওয়া ভূমিস্খলনের কয়েকটি প্রধান কারণ হল – 

১। অত্যাধিক বৃষ্টিপাত।

২। মাত্রাতিরিক্ত বৃক্ষ।

৩। পুরনো বৃক্ষের অভাব।

৪। পাহাড়ের উপর অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ঘর নির্মাণ। এবং

৫। পাহাড়ী এলাকাতে বসতি স্থাপন ইত্যাদি।

নীচে দেওয়া ব্যবস্থাগুলো গ্রহন করলে ভূমিস্খলন কিছু পরিমাণে অন্তত রোধ করা সম্ভব হবে – 

১। পাহাড়ের উপর অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ঘর নির্মানে বাধা দান।

২। পাহাড়ে ঘর নির্মান করতে হলে উন্নত এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা।

৩। পাহাড়ী অঞ্চলে থাকা বেআইনি বাসাতিগুলো খালি করানো।

৪। ঢালু অঞ্চলে নতুন গাছের ছাড়া লাগানো।

৫। উপযুক্ত নালার সাহায্যে সঠিক জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করা। এবং

৬। ঢালু এবং দুর্বল স্থানে পাথর, তারের জালি ইত্যাদি দিয়ে সুরক্ষা দেওয়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২১। ভারতের ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ব্যবস্থাপনার ওপর একটি টিকা লেখো।

উত্তরঃ ভারতে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ব্যবস্থাপনার জন্য ভারত সরকার ১৯৯৯ সনে জেলা, রা এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরীকল্পনা এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সমিতির স্থাপন করেন কিন্তু ১৯৯৯ সনের ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর উড়িষ্যার সুপার সাইক্লোন ও ২০০১ সনের ২৬ জানুয়ারিতে গুজরাটের ভয়ংকর ভূমিকম্পের সময় ভারত সরকারের দুর্যোগ সজগতা ও জরুরিকালীন সাহায্য প্রধান ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ভীষণভাবে প্রকট হয়ে পড়ে। ভারত সরকারের দ্বারা গঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রাষ্ট্রীয় সমিতি পূর্বোক্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সমিতির দক্ষিণ করা রিপোর্টের দুর্যোগ মোকাবিলার প্রাথমিক দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রালয় থেকে গৃহ মন্ত্রালয়ে স্থানান্তর করে। 

২০০৪ সনের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ভারতের উপকুলবর্তী রাজ্যেগুলিতে ভয়ংকর সুনামির ফলে হাজার হাজার লোকের প্রাণনাশের পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই সময়ে সংসদের দুটি সদনেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ গঠন করে দুর্যোগের আগের ও পরের কাজগুলি জরুরি ভিত্তিতে করার ব্যবস্থা করা হয়। ২০০৫ সনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের পরিকল্পনা মতে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন, রাজ্যিক দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন এবং জেলা দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন স্থাপন করা হয় এবং প্রাধিকরনগুলির সভাপতিত্ব যথাক্রমে প্রধান মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও উপযুক্তদের অর্পণ করা হয়।

ইতিমধ্যে দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী অর্থাৎ National Disaster Response Force – NDRF নামে একটি উৎসর্গীকৃত বাহিনী স্থাপন করা হয়। এই বাহিনীর সদস্যদের অর্ধসামরিক বাহিনীর থেকে নির্বাচিত করা হয়। NDRF – এর সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে রাসায়নিক জৈবিক, তেজস্ক্রিয় এবং আনবিক দুর্যোগের মোকাবিলার জন্য সক্ষম করে তোলা হয়। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই বাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে।

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। ভূপাল গ্যাস দূর্ঘটনা কত সনে ঘটেছিল?

উত্তরঃ ১৯৮৪ সনে।

প্রশ্ন ২। ভূপাল গ্যাস দূর্ঘটনা কীসের কারখানাতে হয়েছিল? 

উত্তরঃ ইউনিয়ন কার্বাইড নামক গ্যাস কারখানাতে।

প্রশ্ন ৩। মানুষ দ্বারা সংঘটিত আসামের একটি ভয়ানক দুর্যোগ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ২০০৮ সনে গুয়াহাটি শহরে সংঘটিত ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।

প্রশ্ন ৪। মুম্বাই – এ অনুষ্ঠিত ২০০৮ সনের বিস্ফোরণটি কোন ধরনের দুর্যোগ? 

উত্তরঃ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।

প্রশ্ন ৫। ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে কখন ভয়ংকর সুনামি হয়েছিল?

উত্তরঃ ২০০৪ সনের ২৬ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ৬। ভারতে কত সনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করা হয়? 

উত্তরঃ ২০০৫ সনে।

প্রশ্ন ৭। NIDM এর পুরো নাম লেখো।

উত্তরঃ National Institute for Disaster Management.

প্রশ্ন ৮। NDRF কী?

উত্তরঃ রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ করার জন্য এটি একটি বাহিনী।

প্রশ্ন ৯। NDRF এর কয়টি ব্যাটেলিইয়ান আছে? 

উত্তরঃ মোট ৮ টি।

প্রশ্ন ১০। ASDMA এর সম্পূর্ন নাম লেখো।

উত্তরঃ Assam State Disaster Management Agency.

প্রশ্ন ১১। আসামে কখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়? 

উত্তরঃ ২০১০ সনে।

প্রশ্ন ১২। SDRF এর সম্পূর্ন নাম লেখো।

উত্তরঃ State Disaster Response Force.

প্রশ্ন ১৩। SDRF কখন গঠন করা হয়? 

উত্তরঃ ২০১০ সনে।

প্রশ্ন ১৪। SDRF এর কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ উত্তর গুয়াহাটির নিকট  শিলা নামক স্থানে।

প্রশ্ন ১৫। গুজরাটে কখন ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল?

উত্তরঃ ২০০১ সনের ২৬ জানুয়ারি।

প্রশ্ন ১৬। কত সনে উড়িষ্যাতে সুপার সাইক্লোন হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৯৯ সনে।

প্রশ্ন ১৭। সুনামি কোন ধরনের দুর্যোগ?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

প্রশ্ন ১৮। ‘ ১০৮ সেবা ‘ কোন ধরনের সেবা প্রধান করে?

উত্তরঃ জরুরিকালীন স্বাস্থ্যসেবা।

প্রশ্ন ১৯। ভারতবর্ষে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক উদ্যোগীক দুর্যোগ কোনটি ছিল?

উত্তরঃ ১৯৮৪ সনে ঘটে যাওয়া ভূপালে ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানার গ্যাস দুর্ঘটনা।

প্রশ্ন ২০। NDRF এর পূর্ন রূপটি লেখো।

উত্তরঃ National Disaster Response Force.

প্রশ্ন ২১। ASDRF এর পূর্ন রূপটি লেখো।

উত্তরঃ Assam State Disaster Response Force.

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখো।

উত্তরঃ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম হল – ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিস্খলন, আগ্নেয়গিরির উদগীরণ, খরা বা অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, দাবানল, শিলাবৃষ্টি, হিমস্খলন, সুনামি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২। কয়েকটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগের নাম লেখো।

উত্তরঃ কয়েকটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগের নাম হল – উদ্যোগীক দুর্ঘটনা, বিমান বা রেল দুর্ঘটনা, সন্ত্রাসবাদীর আক্রমন, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, মহামারী, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। একটি দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি কী কী হতে পারে?

উত্তরঃ সাধারণত একটি দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট হওয়া সমস্যা বা প্রতিকূল প্রভাবগুলো হল – 

১। স্বাভাবিক বা দৈনন্দিন জীবন যাপনে ব্যাঘাত।

২। জরুরিকালীন সেবাসমূহে ঘাটতি। এবং

৩। মানুষের খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য, যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘাটতি বা ব্যাঘাত।

প্রশ্ন ৪। কী কী কারণে দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে?

উত্তরঃ নীচের বৈশিষ্ট্য গুলোর জন্য দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে – 

১। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুর্যোগের পূর্বানুমান করা যায় না।

২। দুর্যোগ আমাদের কাছে নতুন এবং অপরিচিত থাকে।

৩। দুর্যোগগুলি অতি ক্ষিপ্র হয়।

৪। দুর্যোগের  সময় এবং স্থান অনিশ্চিত হয়। এবং

৫। দুর্যোগগুলো অতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে জীবন ও সম্পত্তির বিস্তর ক্ষতি সাধন করে।

প্রশ্ন ৫। একজন ছাত্র হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গ্রহণীয় যে কোনো চারটি পদক্ষেপের পরামর্শ দাও।

উত্তরঃ ছাত্র – ছাত্রীর হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গ্রহণীয় পাঁচটি পদক্ষেপ হল – 

১। স্কুল কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যে সমস্ত পরামর্শ বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সে সমস্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের সমস্ত পরিবারকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জন্য প্রস্তুত করে তোলা।

২। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্ক গ্রন্থ না হয়ে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শসমূহ পালন করার ক্ষেত্রে ছাত্র – ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহন করতে পারবে।

৩। বিভিন্ন সময়ে পথ নাটিকা, আলোচনা সভা ইত্যাদির দ্বারা দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গণসচেতনতা গরো তোলা।

৪। রেডিও, দূরদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস সাধারণ লোককে অবগত করানো। এবং

৫। সব সময় দুর্যোগ বিষয়ক নীতি নির্দেশিকা নিজে মেনে চলা।

প্রশ্ন ৬। দুর্যোগের সময় কী করা অনুচিত?

উত্তরঃ দুর্যোগের সময় নিন্মলিখিত কাজগুলি করা উচিত নয়। 

১। সন্ত্রস্ত বা ভীত হওয়া উচিত নয়।

২। প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং সাজ – সরঞ্জাম ছাড়াই উদ্ধার কার্যে হাত দেওয়া উচিত নয়।

৩। ধবংস স্তূপের থেকে কাঠ বাঁশ ইত্যাদি অসাবধানে টেনে সরানো উচিত নয়, এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

৪। দুর্ঘটনা স্থানে অসাবধানে ঘোরাফেরা করে ক্ষতি গ্রন্থেদের নতুন করে বিপদে ফেলা উচিত নয়।

৫। অত্যন্ত জরুরি না হলে দুর্ঘটনা স্থানটির উপর দিয়ে যাওয়া আসা না করা উচিত।

৬। বিদ্যুৎবাহী ইলেকট্রিক তারের স্পর্শ এড়িয়ে কার্য করা উচিত। এবং

৭। উদ্ধারকারী দলটি যেন কোনভাবেই সুরক্ষা বিধি লংঘন না করে।

প্রশ্ন ৭। একটি দুর্যোগের আগে এবং পরে গ্রহণীয় ব্যবস্থাসমূহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দুর্যোগের আগে গ্রহণীয় ব্যবস্থাগুলি হল – 

১। সাবধানতা অবলম্বন।

২। জনসচেতনতা। এবং

৩। পূর্বানুমান।

দুর্যোগের পরে গ্রহণীয় ব্যবস্থাগুলি হল – 

১। পীড়িতদের সাহায্য এবং ত্রাণ বণ্টন।

২। আশ্রয়হারাদের পূর্ন স্থাপন।

৩। রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার পুণ নির্মাণ। এবং

৪। স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।

প্রশ্ন ৮। নিন্মলিখিতগুলির পুরো নাম লেখো।

১। NDMA.

২। SDMA.

৩। DDMA.

৪। NDRF.

উত্তরঃ (১) NDMA: National Disaster Management Agency.

২। SDMA: State Disaster Management Agency.

৩। DDMA: District Disaster Management Agency.

৪। NDRF: National Disaster Response Force.

প্রশ্ন ৯। কখন ভারতে দুর্যোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়?

উত্তরঃ ২০০৪ সনের ২৬ ডিসেম্বর ভারতের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে ভয়ংকর সুনামির ফলে হাজার হাজার লোকের প্রাণনাশের পরে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই সময় সংসদের দুটি সদনেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ গঠন করে দুর্যোগের আগের ও পরের করণীয় কাজগুলি জরুরি ভিত্তিতে করার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশ্ন ১০। নিচের প্রদত্তগুলির সভাপতি কে হন?

১। NDMA.

২। SDMA.

৩। DDMA. 

উত্তরঃ ১। NDMA: এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী।

২। SDMA: এর সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী।

৩। DDMA: এর সভাপতি জেলার উপায়ুক্ত।

বিষয়সূচী-পত্ৰ
অধ্যায় – ১পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা
অধ্যায় – বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা
অধ্যায় – ৩জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন
অধ্যায় – ৪প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় – ৫পরিবেশ প্রদুষণ
অধ্যায় – ৬সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ
অধ্যায় – ৭দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
অধ্যায় – ৮পথ সুরক্ষা

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরু্বপূর্ণ বিষয় বলে তুমি মনে করো কি? যুক্তিসহ লেখো।

উত্তরঃ বর্তমান কালে বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট অনৈতিক ক্রিয়াকলপের ফলে দুর্যোগ এবং তার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় জীবন এবং সম্পদকে যতদূর সম্ভব রক্ষা করার জন্য পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই দুর্যোগ প্রশমনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বর্তমান যুগে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য যে কোন দুর্যোগের ফলে ব্যাপক জীবনহানি হয়। সেইজন্যই দুর্যোগের হাত থেকে প্রাণহানি এবং সম্পদহানি হ্রাস করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি প্রয়োজীয় এবং গুরু্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ দুর্যোগের মোকাবিলায় অনেক ক্ষেত্রে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ জাপানের কথা উল্লেখ করা যায়। বিশ্বের সর্বাধিক ভূমিকম্প পীড়িত দেশগুলির অন্যতম দেশ হল জাপান। কিন্তু সঠিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে জাপান অনেকাংশে এই ভূমিকম্পের বিনাশকারী প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে পুরোপুরি রোধ করা যায় না কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সতর্ক এবং সচেতন থাকলে দুর্যোগ প্রশমন অনেক সহজ হয়। সেজন্য উপযুক্ত দায়িত্ব পালন এবং সতর্কতার সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রশ্ন ২। ভূমিকম্পের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়? 

উত্তরঃ ভূমিকম্পের সময় নীচের সতর্কতাগুলো অবলম্বন করলে অনেকাংশে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।

১। ভূমিকম্পের সময় দরজার চৌকাঠ, ঘরের কোণ, মজবুত টেবিল বা বিছানার নীচে অথবা খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন।

২। ভূমিকম্প টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে খোলা স্থানে গেলে ভাল হয়।

৩। বিদ্যুতের তার অথবা গাছের তলায়, জলের ট্যাংক অথবা কাচের জলানার কাছে আশ্রয় নেওয়া বিপদজ্জনক হতে পারে। এবং

৪। রান্নাঘর বা স্নানগারে আশ্রয় নেওয়া অনুচিত । তাই যে সকল স্থানে আশ্রয় না নেওয়া।

প্রশ্ন ৩। ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত?

উত্তরঃ নীচের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে অবলম্বন করা উচিত।

১। শোওয়া, বসা বা পড়ার ঘরে সহজে উল্টে পড়া জিনিস – যেমন আলমারী, বইয়েরব রেক ইত্যাদি নিরাপদ দূরত্ব ভালভাবে রাখা উচিত।

২। বাড়ির মূল দরজার কাছে একটি ব্যাগ জল, কিছু শুকনো খাবার, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস, একটি হুইমেল, টর্চ ইত্যাদি ঢুকিয়ে রাখা উচিত যাতে জরুরি প্রয়োজনে সেগুলি ব্যাবহার করা যায়।

৩। কোদাল, কুঠার, দা ইত্যাদি হাতিয়ার একটি ব্যাগে ভরে রাখতে হয় যাতে ধবংস স্তূপের ভেতর থেকে এগুলির সাহায্যে বেরিয়ে আসা যায়।

৪। অগ্নি নির্বাপক বাহিনী, জেলা প্রশাসন, অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ইত্যাদির ফোন  নাম্বার হাতের কাছে অথবা মোবাইল ফোনে সংরক্ষন করে রাখা প্রয়োজন। এবং

৫। প্রাথমিক চিকিৎসার একটি বা তৈরি করে রাখা উচিত ।

প্রশ্ন ৪। উদ্ধার এবং সন্ধান কার্যে আবশ্যকীয় পদক্ষেপগুলি লেখো।

উত্তরঃ উদ্ধারকার্য এবং সন্ধানকার্যে কয়েকটি আবশ্যকীয় পদক্ষেপ হল – 

১। উদ্ধারকারীদের শাস্ত কিন্তু দৃঢ় হয়ে থাকা প্রয়োজন।

২। উদ্ধারকারীদের আগে বিস্তৃতভাবে তাল্লাসি করা উচিত।

৩। দুর্ঘটনা স্থানের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে সাবধানে উদ্ধার কার্য আরম্ভ করা উচিত।

৪। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

৫। আহত লোকেদের প্রথম সাহায্য করা উচিত।

৬। আঘাত প্রাপ্ত লোকজনকে কম্বল বা ত্রিপল দিয়ে  ঢেকে আনা উচিত যাতে আঘাতের পরিমাণ বেড়ে না যায়।

৭। দুর্ঘটনা গ্রন্থ লোকজনদের উদ্ধারের সময় ধারালো সঞ্জামের ব্যবহার সাবধানে করা উচিত। এবং

৮। আহতদের পরিধানের কাপড় ঢিলে করে দিয়ে আরামদায়ক জায়গায় রাখা উচিত।

প্রশ্ন ৫। ভারতবর্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টার বিষয়ে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বিশাল উপকূলবর্তী অঞ্চল, ভৌগোলিক অবস্থান জনসংখ্যার আধিক্য এবং মৌসুমী বায়ুর খামখেয়ালী আচরণের ফলে ভারতবর্ষ প্রায় প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন দুর্যোগের কবলে পড়ে। এই ধরনের দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য ভারত সরকার ১৯৯৯ সনে জেলা রাজ্যিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সমিতির স্থাপন করেন। এরপর ২০০৪ সনের সুনামির পর প্রণীত ২০০৫ সনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন মতে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন, রাজ্যিক দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন এবং জেলা দুর্যোগ প্রশমন প্রাধিকরন স্থাপন করা হয় এবং এই প্রাধিকরনগুলির সভাপতিত্ব যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং উপায়ুক্তদের অর্পণ করা হয়।

ইতিমধ্যে দুর্যোগের মোকাবিলা করার জন্য রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী অর্থাৎ National Disaster Response Force – NDRF নামে একটি উৎসর্গীকৃত বাহিনী স্থাপন করা হয়।এই বাহিনীর সদস্যদের অর্ধ সামরিক বাহিনীর থেকেই নির্বাচিত করা হয়। NDRF বাহিনীর আটটি ব্যাটেলিয়ান স্থাপন করে দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলগুলিতে নিয়োজিত করা হয়।

প্রশ্ন ৬। ‘ অসম রাজ্যিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রাধিকরন ‘ – এর (ASDMA) উদ্দেশ্য এবং কর্তব্যসমুহ কী?

উত্তরঃ ২০০৫ সনের রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে অসম সরকার দুর্যোগ প্রশমনের জন্য কয়েকটি গুরু্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ২০১০ সনে অসমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে রাজ্যের যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা, এই ব্যাপারে জন সাধারণকে সচেতন করে তোলা এবং দুর্যোগের পরবর্তী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচী তৎপরতার সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য রাজ্যিক্ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অভিকরন অর্থাৎ Assam State Disaster Management Agency (ASDMA) স্থাপন করা হয়। এর মুখ্য কার্যালয় গুয়াহাটির রাজ্যিক্ সচিবালয়ে অবস্থিত। ভারতীয় প্রশাসনীয় সেবার (IAS) সচিব পর্যায়ের অফিসারদের থেকে কোনো একজনকে এই সংস্থাটির মুখ্য  কার্যবাহী অফিসার এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজনকে প্রকল্প অফিসারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এই সংস্থাটির অধীনে কেন্দ্রীয় প্রাধিকরনের বাইরেও জেলা, ব্লক বা পঞ্চায়েত পর্যায়ে দুর্যোগ প্রশমনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

এই অভিকরণটির মুখ্য উদ্দেশ্য হল – 

১। পরিকল্পনা। 

২। প্রস্তুতি। 

৩। কার্যকরণ। 

৪। সমন্বয়। এবং

৫। জনসাধারণের অংশ গ্রহন।

প্রশ্ন ৭। অসম রাজ্যিক দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী (SDRF) সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ অসমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সার্থক কর্মসূচী তৈরি করার উদ্দেশ্যে অসম সরকার ২০১০ সনে একটি রাজ্যিক দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করেছেন। রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী সমান্তরালভাবে গঠন করা অসম সরকারের অধীনত এই বাহিনীর কার্যালয় উওর গুয়াহাটির সমীপে ‘ শিলা ‘ নামের জায়গায় অবস্থিত। এই বাহিনীটি অসম রাজ্যিক অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সঞ্চালকের অধীনস্থ। এই বাহিনীটিকে রাজ্যিক অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে দুর্যোগের সময়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্য সম্পাদন করতে নিয়োগ করা হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ  ছাড়াও বিভিন্ন  দূর্ঘটনা যেমন – অগ্নিকাণ্ড, নৌকাডুবি ইত্যাদিতে এই বাহিনী বিশেষ সাহায্য প্রদান করে থাকে।

প্রশ্ন ৮। দেশের একজন দায়িত্বশীল এবং সুনারগিক হিসেবে দুর্যোগ মোকাবিলায় কী ভূমিকা নেওয়া যেতে পারে?

উত্তরঃ নিন্মলিখিত কার্যগুলির মাধ্যমে দুর্যোগকে অনেকাংশে মোকাবিলায় করা যায়।

১। স্কুল – কলেজ বা বিভিন্ন সভায় দুর্যোগ মোকাবিলায় যে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়া হয় সেগুলি পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বন্ধু- বান্ধব এবং পরিচিতদের সঙ্গে আলোচনা করা।

২। অগ্নি নির্বাপক বাহিনী, জেলা প্রশাসন, অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ইত্যাদির ফোন নাম্বার হাতের কাছে অথবা মোবাইল ফোনে সংরক্ষন করা প্রয়োজন।

৩। বন্যা প্রবন অঞ্চলে বন্যার জন্য অগ্রিম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে খাদ্য, প্রাথমিক চিকিৎসা, টর্চ, পানীয় জল ইত্যাদি মজুত রাখা প্রয়োজন । বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিলে কলা গাছের ভেলা তৈরি রাখা উচিত।

৪। রেডিও, দূরদর্শন ইত্যাদিতে সম্প্রচারিত দুর্যোগের পূর্বাভাস অন্যকে জানানো।

৫। ঝড়, সাইক্লোন ইত্যাদির পূর্বাভাস পেলে ঘরের বাইরে না বেরোনো। এবং

৬। বিভিন্ন আকস্মিক বিপদ যেমন আগুনে পড়া, সপে কামড়ানো, মৌমাছির কামড় ইত্যাদি বিপদে করণীয় ক্রিয়া প্রায়ই রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয়। সেগুলি নোটবুকে টুকে রাখা এবং অন্যকে অবগত করানো।

ভারতবর্ষের ভয়াবহ দুর্যোগসমূহ: 

ভারতবর্ষে খনি দুর্ঘটনা: ভারতবর্ষে বহু খনি আছে।এই খনিগুলিতে বিভিন্ন সময়ে অকস্মাৎ কিছু অনাকাঙ্খিত সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই ধরনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনা এবং সেগুলির কারণ নীচে দেওয়া তালিকায় উল্লেখ করা হল – 

রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীর আটটি ব্যাটেলিয়নের তালিকা নীচে দেওয়া হল –

We Hope the given একাদশ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন ও উত্তর will help you. If you Have any Regarding, Class 11 Environmental Studies Question and Answer in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top