Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ, The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ, are free to use and easily accessible.
Class 11 Environmental Studies Chapter 5 পরিবেশ প্রদুষণ,
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. AHSEC Board Class 11 Environmental Studies in Bengali Solutions, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Environmental Studies in Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Environmental Studies Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Solution in Bengali. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.
প্রশ্ন ৮। বায়ু প্রদূষনের মানবসৃষ্ট উৎস সমূহের নাম লিখবায়ু।
উত্তরঃ বায়ু প্রদূষনের মানবসৃষ্ট উৎস সমূহ হল –
১। বনাঞ্চল ধ্বংস।
২। যান – বাহন থেকে নির্গত ধোয়া।
৩। জীবাশ্ম ইন্ধনের দহন।
৪। দ্রুত শিল্পায়ন। এবং
৫। আধুনিক কৃষিকার্য।
প্রশ্ন ৯। যানবাহন থেকে নির্গত তিনটি প্রধান প্রদুষকের নাম লিখ।
উত্তরঃ যানবাহন থেকে নির্গত তিনটি প্রধান প্রদুষকের নাম হল –
১। কার্বন মনোক্সাইড।
২। হাইড্রো কার্বন। এবং
৩। নাইট্রাস অক্সাইড।
প্রশ্ন ১০। ঘরের ভিতরের দুটি প্রদুষকের নাম লিখ।
উত্তরঃ ঘরের ভিতরের দুটি প্রদুষকের নাম হল –
১। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। এবং
২। গ্যাস স্টোভের ধোয়া।
প্রশ্ন ১১। জলে প্রদুষন বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ জলে অবাঞ্চিত অতিরিক্ত দ্রব্য মিশে গিয়ে মানুষ, জীব জন্তু এবং জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকারক হয়ে পড়া অথবা সেই জলভাগ বা তার চারপাশে থাকা বিভিন্ন জীবিত পদার্থের স্বাভাবিক কার্য কলাপ বাধাগ্রন্থ হওয়াকে জল প্রদুষন বলে।
প্রশ্ন ১২। জল প্রদুষনের দুটি প্রধান উৎস উল্লেখ কর।
উত্তরঃ জল প্রদুষনের দুটি প্রধান উৎস হল –
১। ঘরোয়া আবর্জনা। এবং
২। উদ্যোগিক বর্জিত পদার্থ।
প্রশ্ন ১৩। জলে অপদ্রব্যের সংযোজন কিভাবে ঘটে?
উত্তরঃ অপরিশোধিত বর্জ্য পদার্থ এবং কৃষি আবর্জনা, উদ্যোগিক বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনার স্তূপ, টেঙ্কার থেকে তেল গড়িয়ে পড়া, খনন কার্য ইত্যাদির মাধ্যমে পানীয় জলের উৎসে অপদ্রব্যের মিশ্রণ ঘটে।
প্রশ্ন ১৪। জলের আসের্ণিক মিশ্রিত হলে মানুষের শরীরে তার কি প্রভাব দেখা যায়।
উত্তরঃ পানীয় জল অত্যাধিক পরিমাণে থাকা আসের্ণিক নিয়মিতভাবে শরীরে প্রবেশ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকারক হয়। দীর্ঘদিন ধরে আসের্ণিক মিশ্রিত জল ব্যবহার করলে মানুষের শরীরে খুজলি এবং চামড়ার কর্কট রোগ হয়। তাছাড়া আসের্ণিক মিশ্রিত জল ব্যবহার করলে হৃদরোগ, বহুমুত্র এবং অন্যান্য নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ১৫। মানবদেহে ফ্লোরাইডের প্রভাব কি হয়?
উত্তরঃ যখন ব্যবহার করা জলে ফ্লোরাইডের পরিমাণ ০.৮ থেকে ১ মি: গ্রা:/ লি: পর্যন্ত থাকে তখন ক্যালসিয়ামের যোগানের মাধ্যেমে আট বছরের কম বয়সি শিশুদের দাতেঁর এনামেল গঠনে সাহায্য করে। কিন্তু ১০ – ১৫ বছর ধরে খেয়ে যাওয়া জলে ফ্লোরাইডের পরিমাণ ১.৫ মি: গ্রা:/ লি: থেকে হলে হাড়ের ফ্লোরোসিস রোগ হয়।
প্রশ্ন ১৬। পরিবেশ দূষণকারী দুইটি ধাতুর নাম লিখ।
উত্তরঃ পরিবেশ দূষণকারী দুইটি ধাতুর নাম হল –
১। সিসা। এবং
২। আর্সেনিক।
প্রশ্ন ১৭। ডেন্টাল ফ্লোরোসিস কি?
উত্তরঃ যখন জলে ফ্লোরাইডের পরিমাণ ১.৫ মি: গ্রা:/ লি: থেকে বেশি হয় তখন দাতে এক ধরনের ক্ষয়ে যাওয়া রোগের সৃষ্টি হয়। একে ডেন্টাল ফ্লোরোসিস বলে। এই রোগের ফলে দাতের রং হলুদ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাতে ক্ষয় হয় এবং গর্ত হয়।
প্রশ্ন ১৮। হাড়ের ফ্লোরোসিস কি?
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম ফসফেট গ্রহন করার তীব্র আসক্তি থাকার ফলে হাড়ের ফ্লোরাইডের উপস্থিতি মাত্রাধিক হলে হাড় বিকৃতরূপ গ্রহন করে। একে স্কেলটেল ফ্লোরোসিস বলে ফ্লোরাইডের উপস্থিতি হাড়কে ক্ষয়িষ্ণু করে তোলে।
প্রশ্ন ১৯। তিনটি জল বাহিত রোগের নাম লিখ।
উত্তরঃ তিনটি জল বাহিত রোগের নাম হল –
১। টাইফয়েড।
২। কলেরা। এবং
৩। ডায়েরিয়া।
প্রশ্ন ২০। কলেরা রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার লিখ।
উত্তরঃ কলেরা রোগের পাতলা পায়াখানার সঙ্গে বামিও হয় এবং শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে প্রচণ্ড জল তেষ্টা পায়। কয়েক ঘণ্টা থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত এই লক্ষণ সমুহ দেখা দিতে পারে।
নির্দিষ্ট ঔষধ এবং শরীরে জলের যোগানের মাধ্যেমে এই রোগ নিরাময় সম্ভব।
প্রশ্ন ২১। জলথেকে কিভাবে রোগের সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ জল থেকে দুপ্রকার রোগের সৃষ্টি হয়।
১। রাসায়নিক থেকে: জলে অত্যাধিক পরিমাণে থাকা লৌহ, আর্সেনিক, সিসা, কেডমিয়াম ইত্যাদির শরীরে প্রবেশ করে নানাবিধ রোগের সৃষ্টি করে। জলে থাকা। অন্যান্য পদার্থ যেমন – ফ্লোরাইড, বিভিন্ন নাইট্রেট রাসায়নিক কীটনাশক ইত্যাদি মানুষের দেহে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে।
২। পরজীবী দ্বারা: বিভিন্ন ধরনের রোগের জীবাণু জল দ্বারা বাহিত হয় এবং জলের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ২২। ভূমি প্রদূষণ বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ মাটিতে বিভিন্ন ধরনের অবাঞ্ছিত পদার্থ, রাসায়নিক, উদ্যোগীক বর্জ্য ইত্যাদি মিশে গিয়ে মাটির উর্বরা শক্তি নষ্ট হওয়া এবং মাটি বিষাক্ত হওয়াকে ভূমি প্রদূষণ বলে।
প্রশ্ন ২৩। ভূমি প্রদূষনের দুটি উৎসের নাম লিখ।
উত্তরঃ ভূমি প্রদূষনের দুটি উৎসের নাম হল –
১। উদ্যোগীক বর্জ্য পদার্থ। এবং
২। পুর আবর্জনা।
প্রশ্ন ২৪। শব্দ প্রদূষনের শ্রবণ প্রভাব কি হতে পারে?
উত্তরঃ শব্দ প্রদূষনের সবচেয়ে ক্ষতিকারক এবং তাৎক্ষাণিক প্রভাব হল শ্রবন শক্তির হ্রাস। শব্দ প্রদূষন শ্রবন শক্তি ক্রমশ হ্রাস করে আনে এবং এরফলে মানুষ বধির হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২৫। শব্দ প্রদূষনের অশ্রবন প্রভাবসমুহ কি কি হতে পারে।
উত্তরঃ শব্দ প্রদূষনের অশ্রবন প্রভাবসমুহ হল বর্তালাপে অসুবিধা, বিরক্তিভাব, মানসিক উদ্বেগ, মানসিক চাপ, উগ্র আচরণ ইত্যাদি। এই প্রভাবের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। শান্তি বিঘ্নিত হয় এবং কর্মদক্ষতা কমে। অতি মাত্রায় শব্দ প্রদূষনের জন্য মানসিক অসংগতিও দেখা দিতে পারে।
প্রশ্ন ২৬। মানুষ কিভাবে শব্দ প্রদুষণ সৃষ্টি করে?
উত্তরঃ মানুষের বিভিন্ন ধরনের কার্য কলাপ মূলত শব্দ প্রদুষনের সৃষ্টি করে। ট্রাক, বাস, স্কুটার, অগ্নি নির্বাপক গাড়ি, পুলিচ ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি বাহন, উদ্যোগ, কলকারখানা , লাউস্পিকার, বাদ্য যন্ত্র, সাইবেন, আতসবাজি ইত্যাদি শব্দ প্রদুষনের সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ২৭। বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজন স্তরটি আছে? কোন প্রদুষক গ্যাস ওজন স্তরের ক্ষতি করছে?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্রেটোস্ফিয়ার স্তরে ওজন স্তরটি আছে। ক্লোরোফ্লোরোকার্বন নামক গ্যাসটি বায়ুমণ্ডলের ওজন ক্ষতি করছে।
প্রশ্ন ২৮। ওজন স্তর আমাদের কি উপকার করে?
উত্তরঃ ওজন স্তর সূর্যের মারাত্মক ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষন করে এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীর সমস্ত প্রনিকুলকে রক্ষা করে।
প্রশ্ন ২৯। বায়ু মণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বৃদ্ধির দুটি কারণ লিখ।
উত্তরঃ বায়ু মণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বৃদ্ধির দুটি কারণ হল-
১। জীবাশ্ম ইন্ধনের দহন। এবং
২। বনধবংস।
প্রশ্ন ৩০। শব্দ প্রদুষণ বলতে কি বুঝ? শব্দ প্রদুষনের দুটি উৎস উল্লেখ কর।
উত্তরঃ অবাঞ্ছিত এবং কোলাহল পূর্ণ শব্দ যখন একটি সীমা অতিক্রম করে তখন সেই স্থানের পরিবেশ মানুষের মস্তিষ্ক তথা মানসিক অবস্থার ক্ষতিসাধন করে। এই অবস্থানকে শব্দ প্রদুষণ বলে। শব্দ প্রদুষনের দুটি উৎস হল ১। কলকারখানা ২। মটর গাড়ীর শব্দ।
প্রশ্ন ৩১। কি উদ্দেশ্যে মনট্রিয়েল প্রটোকল সাক্ষরিত হয়েছিল।
উত্তরঃ ওজন স্তরের রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে শতাধিক দেশ ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়েল প্রটোকলে সাক্ষর করেছিল। তাই ১৬ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক ওজন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ৩২। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: প্রদুষক এবং প্রদুষণ।
উত্তরঃ ১। প্রদুষক: মানুষের কার্য কলাপের ফলে প্রকৃতিতে যে সকল পদার্থের উপস্থিতি স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে বেশি হলে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তাদেরকে প্রদুষক বলে।
২। প্রদুষণ: মানুষের কার্যকলাপের ফলে পরিবেশের বাতাস, জল এবং মাটির ভৌতিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক গুণাগুণের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন, যা মানুষের, জীব জন্তুর, অন্যান্য জীব এবং সম্পত্তির ক্ষতিশাধন করে তাকেই পরিবেশ প্রদুষণ বলে।
পার্থক্য: প্রদুষণ হলো বাতাস, জল, ভূমির ভৌতিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক গুণাগুণের অবাঞ্চিত পরিবর্তন যা ক্ষতিসাধন করে। প্রদুষনের কারকসমূহের উপাদান প্রদুষক।
প্রশ্ন ৩৩। সংজ্ঞা এবং পার্থক্য লেখো: জৈব বিয়োজনীয় এবং জৈব – অবিয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ।
উত্তরঃ যে সকল জৈব বর্জ্য পদার্থের বিয়োজন (Decomposition) ঘটে সেইসব বর্জ্য পদার্থকে জৈব বিয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন – শাকসবজি, মাছ, ফলমূল ইত্যাদির বর্জ্য অংশ।
যে সকল বর্জ্য পদার্থ প্রকৃতিতে বি হয় না সেইসব পদার্থকে জৈব অবিয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ বলে। যেমন – প্লাষ্টিক, পলিথিন, ইত্যাদির বর্জ্য অংশ।
পার্থক্য: জৈব বিয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ প্রকৃতিতে বিয়োজিত হয় না।
প্রশ্ন ৩৪। সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও: শব্দ প্রদুষনের উৎসসমুহ।
উত্তরঃ শব্দ প্রদুষনের মূল উৎস – প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট।
প্রাকৃতিক – মেঘের গর্জন হচ্ছে শব্দ দূষণের প্রাকৃতিক উৎস।
মানবসৃষ্ট – মানুষের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ শব্দ প্রদুষনের সৃষ্টি করে। ট্রাক, বাস, স্কুটার,অগ্নি নির্বাপক গাড়ি, পুলিশ ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি বাহন,বিভিন্ন ধরনের বিমান, রেলগাড়ি, উদ্যোগ, কল – কারখানা, লাউস্পিকার, বাদ্য যন্ত্র, সাইরেন, বিস্ফোরণ ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট অবাঞ্ছিত শব্দ প্রদুষনের সৃষ্টি করে। দীপাবলী উৎসরের সময় আতসবাজির শব্দ অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করলে শব্দ প্রদুষণ সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। আজকের যুগে পরিবেশ প্রদুষণের কারণ সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ পরিবেশ অবক্ষয় এবং প্রদুষণের মত বৃহৎ সমস্যার সঙ্গে আজকের বর্তমান পৃথিবীর সংঘাত চলছে। মূলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ প্রদুষন সমস্যাটি শুরু হয়েছিল।জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শুরু হাওয়া ঔদ্যোগীকরণ, নগরায়ন, পরিবহন ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ইত্যাদি আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রদুষনের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বর্ধিত জনসংখ্যা, খাদ্য শস্য এবং অন্যান্য উপভোগ্য সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধির ফলেই ব্যাপক হারে পরিবেশ ধবংস শুরু হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব জল ব্যবস্থা, ভূমি বাতাস ইত্যাদির সহন ক্ষমতার আঘাত হানে। প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নয়ন এবং অতভূতপূর্ব জনসখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদের গুণাগুণ এবং পরিমাণ দুটোর – ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মানুষের প্রবণতার ফলে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর যে লুন্টন চালাচ্ছে সেটাই পরিবেশ অবক্ষয় এবং পরিবেশ দূষণের মূল কারণ। তাছাড়া মানবজাতির লোভ এবং অতিবিলাসী জীবন যাত্রাও পরিবেশের উপর প্রচণ্ড ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে।
প্রশ্ন ২। প্রদুষণ কি? বিভিন্ন প্রকারের প্রদুষক এবং ক্ষতিকারক দ্রব্য সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ মানুষের বিভিন্ন কার্য কলাপের ফলে উৎপন্ন হওয়া যে সকল পদার্থ পরিবেশের ক্ষতি করে এবং পরিবেশকে দূষিত করে সেইগুলিকে প্রদুষক বলে।
প্রদুষক সাধারণত দুই ধরনের-
১। মুখ্য প্রদুষক। এবং
২। গৌণ প্রদুষক।
১। মুখ্য প্রদুষক: যে সমস্ত প্রদুষক কোন উৎস থেকে প্রত্যক্ষভাবে নির্গত হয় এবং পরিবেশে উপস্থিত থাকে তাদের মুখ্য প্রদুষক বলে। যেমন – সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ইত্যাদি।
২। গৌণ প্রদুষক: যে সমস্ত প্রদুষক কোন উৎস থেকে সৃষ্টি হওয়া প্রাথমিক প্রদুষকগুলির মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে উৎপন্ন হয় তাদের গৌণ প্রদুষক বলে। যেমন – পেরোক্সি এসিটাইল নাইট্রেট (PAN), গ্রাউণ্ড লেভেল ওজন ইত্যাদি।
তাছাড়া আরও কিছু দ্রব্য যেগুলি মানুষের কার্য – কালাপের জন্য পরিবেশে মিশে থাকে এবং পরিবেশের ক্ষতি করে এবং যেগুলি সাধারণত পরিবেশে থাকে না তাদের ক্ষতিকারক দ্রব্য বলে । যেমন – খাদ্য সংরক্ষণের জন্য মেশানো পদার্থ, রং, সাবানের জল ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩। বনাঞ্চল ধবংস এর কুফল সমন্ধে আলোচনা কর।
উত্তরঃ বনাঞ্চল হল পৃথিবীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বনাঞ্চল আমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যোগান দেওয়া ছাড়াও বায়ুতে কার্বন – ডাই – অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে পৃথিবীর বায়ুকে শুদ্ধ রাখে। বনাঞ্চলকে আমরা পৃথিবীর ফুসফুস বলতেও পারি। কিন্তু বর্তমানকালে উদ্যোগীকরণ এবং উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বনধবংস চলছে যা পৃথিবীর পরিবেশের জন্য এক অশনি সংকেত। জনসংখ্যা বৃদ্ধিই হচ্ছে বনধবংসের একটি প্রধান কারণ। ক্রমবর্দ্ধমান জনসংখ্যার ফলে প্রয়োজনীয় বাসস্থানের জন্য বনধবংস করা হচ্ছে। তাছাড়া এই বিশাল জনসংখ্যার ভরনপোষনের জন্যেও বনধবংস করে বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ইন্ধনের প্রয়োজনীয়তা, শিল্পের জন্য কাচা সামগ্রী, উন্নয়ন মূলক প্রকল্প,খাদ্যের বর্দ্ধিত চাহিদা, গরু – মোসের বিচরণ ইত্যাদির ফলে বনাঞ্চল ধবংসের ক্রিয়া কলাপ তীব্র গতিতে চলছে। ব্যাপক হারে বনধবংসের ফলে নানান ধরনের পরিবেশ জনিত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বনাঞ্চল কমে যাওয়ার ফলে বায়ুতে কার্বন – ডাই – অক্সাইডের অনুপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এরফলে গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস, মাটি দূষণ ভূমিক্ষয় ইত্যাদির মত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই বনাঞ্চল ধবংস পৃথিবীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক সমস্যা যা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত প্রয়োজনীয়।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ |
অধ্যায় – ১ | পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা |
অধ্যায় – ২ | বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা |
অধ্যায় – ৩ | জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন |
অধ্যায় – ৪ | প্রাকৃতিক সম্পদ |
অধ্যায় – ৫ | পরিবেশ প্রদুষণ |
অধ্যায় – ৬ | সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ |
অধ্যায় – ৭ | দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা |
অধ্যায় – ৮ | পথ সুরক্ষা |
প্রশ্ন ৪। যান – বাহন দ্বারা হওয়া প্রদুষণ কি কি কারকের উপর নির্ভরশীল। যান বাহনর দ্বারা হওয়া প্রদুষণ নিয়ন্ত্রনের উপায়গুলি কি কি?
উত্তরঃ যান বহনের দ্বারা হওয়া প্রদুষনের করাকগুলি নিন্মরূপ-
১। ইন্ধনের গুণাগুণ।
২। ব্যবহৃত ইঞ্জিনের প্রকার।
৩। দহনের দক্ষতা।
৪। বাহনটির বয়স।
৫। যান বাহনের জট।
৬। রাস্তার শোচনীয় অবস্থা। এবং
৭। ব্যবহৃত বাহনের প্রযুক্তি।
যান বাহনের দ্বারা হওয়া প্রদুষণ সাধারণত: নিন্মলিখিত উপায়গুলি অবলম্নন প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
১। ইন্ধনের গুণগত মান উন্নত করা এবং পরিষ্কার ইন্ধনের ব্যবহার।
২। সিসা বিহীন ইন্ধন ব্যবহার করা।
৩। উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন ব্যবহার করা।
৪। যান – বাহনের ধোয়া নির্গতকরণ মাত্রা হ্রাসের জন্য নীতি – নিয়ম বলবৎ করা।
৫। উন্নত মানের সড়ক তৈরি করা। এবং
৬। অন্তর্দহন ইঞ্জিনের উন্নটিকরন।
প্রশ্ন ৫। শিল্প প্রদুষণ এবং এর প্রভাব সম্বন্ধে আলোচনা কর।
উত্তরঃ মানব সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশও তার নির্মলতা হারাচ্ছে। মানব সভ্যতার উন্নয়নই হল পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ। মটর গাড়ী থেকে হওয়া বায়ু প্রদূষণ যদিও বায়ু প্রদুষনের সবথেকে বড় কারণ তথাপিও শিল্প উদ্যোগ থেকে হওয়া বায়ু প্রদুষণও পরিবেশের প্রচণ্ড ক্ষতি করছে। সাধারণ হিসাব মতে শিল্প উদ্যোগ থেকে ২০ শতাংশ বায়ু প্রদুষণ হয়। তাছাড়াও শিপ্ল উদ্যোগের ফলে জল প্রদুষণ এবং মাটি প্রদুষণও মারাত্বক ভাবে হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক প্রকল্প, ধাতব পদার্থ নির্মাণকারী প্রকল্প, স্মেন্টার, কাগজকল, সুতা এবং কাপড়ের মিল, পেট্রোলিয়াম শোধনাগার, সংশ্লেষিত রাবার উৎপাদন প্রকল্প ইত্যাদির মতো উদ্যোগ থেকে বায়ু প্র্দুষণ হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারখানা এবং খনিসমুহে সমগ্র পৃথিবীতে দৈনিক হাজার হাজার কর্মী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি কারক এবং বিষাক্ত পদার্থের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সিলিকসিক, ভ্রূণের বিকৃত, পক্ষাঘাত, চামড়ার এলার্জি, নিউমক নিওসিস ইত্যাদি রোগে ভোগে। বস্ত্র উদ্যোগের শ্রমিকরা নিশ্বাসের সঙ্গে তুলার কণা গ্রহন করে ফলে এরা ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর সমস্যায় ভুগে থাকে। এসবেস্টস কারখানার শ্রমিকরা এসবেস্টসিস নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই রকমভাবে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও বিভিন্ন স্বাস্থ্য জনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। এছাড়াও শিল্প উদ্যোগের ফলে জল দূষিত হয় এবং এর ফলে মাটিও প্রদুষিত হয় দূষিত জল এবং মাটি, মানুষের স্বাস্থ্যের প্রচণ্ড ক্ষতি করে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ৬। বায়ু প্রদূষণের প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রনের বিভিন্ন উপায় সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ বায়ু প্রদুষণ আজকের যুগে সমস্ত মানব সভ্যতার জন্য বিরাট এক হুমকি স্বরূপ। মটর গাড়ীর ব্যবহার এবং শিল্প উদ্যোগেই বায়ু দূষনের প্রধান কারণ। কিন্তু মানুষের পক্ষে এইগুলির ব্যবহার পরিত্যাগ করা অসম্ভব। তথাপিও নিন্মোক্ত ব্যবস্থাগুলির দ্বারা বায়ু প্রদুষণকে প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রন করা যায়।
১। ব্যক্তিগতভাবে গাড়ীর ব্যবহার কমিয়ে কারপুলের ব্যবহার করা।
২। মটর গাড়ীর ইঞ্জিনের যত্ন নেওয়া এবং সময় মত পরীক্ষা করানো।
৩। যতদূর সম্ভব জীবাশ্ম ইন্ধনের ব্যবহার কমানো এবং বিকল্প ইন্ধনের ব্যবহার বাড়ানো।
৪। ক্ষতিকারক পদার্থ না জমিয়ে সেইগুলিকে জ্বালিয়ে ফেলা বা মাটিতে গভীর গর্ত খুঁড়ে পুতে ফেলা।
৫। পুরনো ইঞ্জিন, চুলা প্রভৃতি ব্যবহার না করা।
৬। কল কারখানার চিমনী গুলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা এবং এইগুলিকে প্রচুর উচু করা।
৭। বার্নিশের পরিবর্তে জলভিত্তিক রং ব্যবহার করা।
৮। উৎপাদিত দ্রব্যের জন্য ব্যবহৃত কাচামাল ক্ষয় হতে দেওয়ার চাইতে পুনার্ব্যবহারযোগ্য বা নবীকরনীয় হওয়া।
৯। সিসাযুক্ত পেট্রোল ব্যবহার না করা।
১০। কল কারখানায় বৈদ্যুতিক অধক্ষেপক ব্যবহার করা। যাতে প্রদুষক পদার্থের কণা বায়ুতে মিশতে না পারে।
১১। কল কারখানা এবং তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের চিমনীতে ছাকনী ব্যবহার করা। এবং
১২। বেশী পরিমাণে গাছ লাগানো।
প্রশ্ন ৭। জল প্রদুষণের প্রধান উৎসসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ জল প্রদুষণের প্রধান উৎসসমূহ হল –
১। ঘরোয়া আবর্জনা।
২। উদ্যোগীক আবর্জনা এবং বর্জ্য পদার্থ।
৩। কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক।
৪। শহরাঞ্চল থেকে বয়ে যাওয়া আবর্জনা।
৫। দ্রবণীয় বর্জিত পদার্থ।
৬। তেল গড়িয়ে পড়া।
৭। আবর্জনার স্তূপ।
৮। গোটা আবর্জনা।
৯। তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প।
১০। তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
১১। ক্ষুদ্র অপদ্রব্য এবং বায়ু মণ্ডলীয় গ্যাস। এবং
১২। সংক্রামক দ্রব্য ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৮। কোন ধরনের জল খাওয়ার অনুপযুক্ত? পানীয় জলের মান উন্নয়নের তুমি কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করবে?
উত্তরঃ পরিশোধন না জল খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। পাকা কুয়া এবং টেপের জল আপত্তিজনক স্বাদের হলে তা পান করা অনুচিত। তাছাড়া বেশি পরিমাণে গাছ বা অতিরিক্ত লোহার উপস্থিতিতে জল রঙিন হলে তা খাওয়ার জন্য অনুপযুক্ত। তাছাড়া জালের গুণের নির্ধারিত মাত্রা অনুমোদিত মাত্রার তুলনায় বেশি হয় তাহলে সে ধরনের জলও খাওয়ার উপযুক্ত নয়।
পানীয় জলের মান উন্নয়নে নিন্মলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করা যেতে পারে।
১। বালি, পাথর এবং কয়লা ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে পরিচিত পরিশোধন ব্যবস্থার মাধ্যমে জল পরিশোধন করা উচিত।
২। বেশী ঘোলা এবং বেশি লোহা থাকা জলে ফি ব্যবহার করতে হবে এবং বর্ষাকালে পরিশোধন ব্যবস্থা অধিক উন্নত করতে হবে।
৩। ফুটিয়ে কঠিন জলকে কোমল করা যায়। এর ফলে ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু ঘটে।
৪। ব্যাক্টেরিয়াজনিত প্রদুষণ হ্রাস করতে ক্লোরিন ব্যবহার করা উচিত।
৫। জৈবিক শোধন দ্রব্য ব্যবহার করে জলকে ফ্লোরাইডমুক্ত করার পদ্ধতিতে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
৬। জল ফুটিয়ে পান করা উচিত।
প্রশ্ন ৯। পানীয় জলের নিরাপত্তার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত?
উত্তরঃ পানীয় জলের উৎস পরিষ্কার এবং নিরাপদ রাখতে নিন্মলিখিত ব্যবস্থা সমূহ গ্রহন করা উচিত।
১। স্থান: শৌচাগার, ব্রজ্য পদার্থের নলা আবর্জনা ইত্যাদি থেকে জলের উৎস নূন্যতম দশ মিটার থেকে পনেরো মিটার দূরে উচু স্থানে থাকা দরকার।
২। মঞ্চ: টিউবওয়েল এবং পাকা কুয়ার চারদিকে প্রায় এক মিটার উচু মঞ্চ বা আঁধার তৈরি করতে হবে এবং এই স্থানে জল যাতে জমা না হয় তার জন্য নালা তৈরি করতে হবে। পাকা মঞ্চটি বিকৃত বা অগ্ন হওয়া উচিত নয়।
৩। নালা: অপরিষ্কার জল যাতে জমা না হয় জন্য জলের উৎসের আশেপাশে নালার ব্যবস্থা সুন্দর হওয়া উচিত। এই স্থানে অতিরিক্ত জল ফেলা উচিত নয়।
৪। আবরণ: কোন বাইরের বস্তু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কুয়ার মুখ ঢাকনি দিয়ে বন্ধ করা উচিত।
৫। লাইনিং: বাইরের অপরিষ্কার জল যাতে পাকা কুয়ার প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কুয়ার চারদিকে ছয় মিটার সিমেন্ট এবং পাথর দিয়ে পাকা করতে হবে।
প্রশ্ন ১০। ভূমি প্রদুষনের প্রধান উৎস সমূহ কি কি?
উত্তরঃ ভূমি প্রদুষনের প্রধান উৎস সমূহ হল –
১। উদ্যোগীক বর্জ্য পদার্থ।
২। নগরের গোটা আবর্জনা।
৩। কৃষি কার্য বা কৃষি – আবর্জনা।
৪। তেজস্ক্রিয় প্রদুষক।
৫। খনি অঞ্চলের নিকটবর্তী অঞ্চলে জমা হওয়া খনিজ আবর্জনা।
৬। বায়ু প্রদুষানের ফলে হওয়া এসিড বৃষ্টি।
৭। শৌচাগারের আবর্জনা।
৮। প্রদুষিত জল মাটিতে পড়ার পর মাটি দ্বারা শোষিত হওয়া।
৯। গাড়ী এবং বিভিন্ন যান বাহন থেকে চুইয়ে পড়া তেল। এবং
১০। অতিরিক্ত বনধবংস এবং ভূমিস্খলন।
প্রশ্ন ১১। ভূমি প্রদূষণের প্রভাব সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমি প্র প্রভাব সমূহ হল –
১। ভূমি প্রদূষণের ফলে ভূমির উর্বরতা নষ্ট হয় এবং এর ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি প্রচণ্ড ভাবে ব্যহত হয়। ফলস্বরূপ ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
২। ভূমি প্রদূষণের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং ফলস্বরূপ উদ্ভিদের ফলন হ্রাস পায়।
৩। প্রদুষিত এবং বিষাক্ত মাটিতে উৎপন্ন গাছের ফল খেয়ে মানুষের স্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।
৪। মাটি প্রদুষনের পরে সেই মাটি থেকে ধূলিকণা বায়ুতে মিশে বায়ুতে মিশে বায়ু প্রদুষণ ঘটায়।
৫। মাটি প্রদুষনের ফলে ভু – গর্ভের জল দূষিত হয়।
৬। মাটি প্রদুষনের ফলে মাটিতে থাকা উপকারী অণুজীব সমূহের মৃত্যু ঘটে এবং এর ফলে মাটির নাইট্রোজেন স্থবির করণ হ্রাস পায় যার ফলে পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতন্ত্রে ও মারাত্মক ক্ষতি হয়। এবং
৭। মাটিতে জমে থাকা ময়লার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জীবাণু থাকে যারা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। জিয়ারডিয়াসিস, ধনুষ্টংকার ইত্যাদির মতো রোগ সংক্রামিত হয় ভূমি প্রদুষনের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ১২। ভূমি প্রদুষণ নিয়ন্ত্রনের উপায়গুলি বর্ণনা কর।
উত্তরঃ নিন্মলিখিত উপায়সমূহ অবলম্বন করে ভূমি প্রদুষণ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
১। বিভিন্ন উদ্যোগের বর্জ্য পদার্থ সমূহকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার আগে সেগুলোকে ভাল করে পরিশোধন করা।
২। গোটা আবর্জনাসমূহকে উৎসেই জৈব – বিয়োজনীয় ( biodegradable) – এবং জৈব – অবিয়োজনীয় (non biodegradable) হিসাবে ভাগ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সেগুলির বিয়োজন ঘটানো।
৩। রাসায়নিক সার এবং রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈবিক সার এবং জৈবিক কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত।
৪। মাটিতে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সমূহ দুর করার জন্য জৈব পরিচর্যা পদ্ধতি অবলম্বন করা ।
৫। বিভিন্ন গোটা আবর্জনাজাত বস্তুসমূহ যেমন প্লাষ্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদিকে পুনরাবর্তন করা।
৬। আম্লিক এবং ক্ষারীয় বর্জ্যকে মাটিতে পুতার পূর্বে এইগুলিকে প্রশমিত করা।
৭। ভূমি প্রদুষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
৮। মানুষের মধ্যে ভূমি প্রদুষণ সমন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবং
৯। বেশী করে গাছ লাগানো।
প্রশ্ন ১৩। জলে থাকা আর্সেনিক মানব দেহে কি প্রভাব ফেলে ব্যাখ্যা করে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ আর্সেনিক মানব দেহের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকারক পদার্থ হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে ক্রমাগত আর্সেনিকের সংস্পর্শে থাকলে চামড়ার কর্কট রোগ হয় এবং শ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যানসার হয়। পানীয় জলে অত্যাধিক পরিমাণে থাকা আর্সেনিক নিয়মিতভাবে শরীরে প্রবেশ করলে স্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক যুক্ত জল ব্যবহারের ফলে মানুষের চামড়ার খুজলি এবং চামড়ার ক্যানসার সৃষ্টি হয়। আর্সেনিক প্রভাবে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ – প্রত্যঙ্গও ক্যানসার হতে পারে। তাছাড়া আর্সেনিক মিশ্রিত জল ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন জনিত বিভিন্ন রোগ, হৃদরোগ এবং বহুমুত্র রোগের সৃষ্টি হয়। আর্সেনিকের উপস্থিতি বিভিন্ন জলের উৎসে ভিন্ন ভিন্ন হয়। ভু – গর্ভের জলে সবচেয়ে বেশি আর্সেনিক থাকে ফলে এই জলকে আর্সেনিক মুক্ত করে পান করা উচিত নতুবা এই জল পান মানুষের স্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
প্রশ্ন ১৪। বায়ু প্রদুষনের মানবসৃষ্ট যে কোন দুটি উৎস ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বায়ু প্রদুষণের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে প্রধান দুটো উৎস হল –
১। যান বাহন থেকে নির্গত ধোয়া। এবং
২। বনাঞ্চল ধবংস।
১। যান বাহন থেকে নির্গত ধোয়া: যানবাহন সৃষ্টি প্রদুষণ হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজ্জনক বায়ু প্রদুষণ। কঠোর আইন প্রবর্তন, নতুন মান নির্ণয় ইন্ধনের গুণাগুণ পরিবর্তন করা, যান বাহনের উন্নত মডেল ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্বেও যানবাহনের প্রদুষণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানবাহন থেকে নির্গত প্রধান প্রদুষক সমূহ হচ্ছে – কার্বন – মনোক্সাইড (CO), হাইড্রোকার্বন (HC) নাইট্রোজেনর বিভিন্ন অক্সাইড (NOₓ) এবং বায়ুতে ভেসে থাকা কানিকাসমুহ। যান বাহন থেকে নির্গত ধোয়ার দ্বারা প্রদুষণ হ্রাস করতে হলে ইন্ধনের গুণগত মান উন্নত করা এবং মোটর গাড়ীর ইঞ্জিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আবশ্যক।
২। বনাঞ্চল ধবংস: বনাঞ্চল সমূহ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ সম্পদ। একটি সবুজ আবরণে পৃথিবীকে ঢেকে থাকা এই অরণ্য সমূহ শুধু অসংখ্য সামগ্রী উৎপাদন করে না, জীবনের জন্য অতি গুরু্বপূর্ণ কিছু কাজেও করে থাকে । জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্ধিত হারে খাদ্য এবং বাসস্থানের প্রয়োজনে প্রচুর হারে বনাঞ্চল ধবংস করা হচ্ছে যার ফলে বায়ুতে কার্বন – ডাই – অক্সাইড এবং অন্যান্য সবুজ গৃহ গ্যাসের বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পৃথিবীর উষ্ণতা দিনে দিনে বৃদ্ধি করাচ্ছে।
প্রশ্ন ১৫। ওজোন স্তরের ক্ষয় এর প্রতিরোধী ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি টিকা লেখো।
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্রেটোস্ফিয়ারে ওজন গ্যাসের স্তরকে ওজন স্তর বলা হয়। এই ওজন স্তর সূর্যের রশ্মিতে থাকা অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে আমাদের এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। বায়ুতে ক্ষতিকারক গ্যাসীয় পদার্থের উৎপন্ন হওয়ার ফলে এই ওজন স্তর ক্রমান্বয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । আশির দশকের প্রথম ভাগে বিজ্ঞানীরা এন্টার্কটিকায় ওজোন স্তরে একটি বড় ফুটো দেখা গেছে বলে জানান। এন্টার্কটিকায় ওজোন গ্যাস ত্রিশ শতাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। এই ধরনের ফুটো উওর গোলার্ধেও আবিষ্কৃত হয়েছে। নাসার প্রাক সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে উওর গোলার্ধে ওজনের ত্রিশ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতি শতাংশ ওজনের হ্রাস পাওয়ার জন্য অতি বেগুনি রশ্মি শরীরে পড়ার জন্য মানুষের কর্কট রোগের পরিমাণ ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।ওজন স্তর ক্ষয়ের প্রধান কারণ হল ১৯৩০ সনে আবিষ্কৃত ক্লরোফ্লোরো কার্বনের ব্যবহার। এই ক্লরোফ্লোরো কার্বনের (CFC) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১৯৮৭ সনে মন্ট্রিয়েলে অনুষ্ঠিত একটি সম্মিলনে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে যা মন্ট্রিয়েল প্রটোকল নামে খ্যাত তাতে ৩৪টি দেশ স্বাক্ষর করে এবং ২০০০ সালে CFC এর ব্যবহার ৫০ শতাংশ হ্রাস সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
আজ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় কাজ হল ওজোন স্তর ধবংসকারী সি এফ সি গ্যাসের উৎপাদন এবং ব্যবহার যথেষ্ট কমিয়ে আনা। বিজ্ঞানীদের এই গ্যাসের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার ভয়াবহ প্রভাব সমূহের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিনটি আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ১৬ । বিভিন্ন প্রকারের বায়ু প্রদুষকগুলি বর্ণনা করো।
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকারের বায়ু প্রদুষক এবং তাদের উৎস নিন্মে আলোচনা করা হল –
১। কয়লা এবং তেল দহনের ফলে বায়ু প্রদুষক সালফার – ডাই – অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
২। কয়লার দহন, যান বাহনের ধোয়া, নিন্ম মানের গ্যাস স্টোভ, কেরোসিনের হিটার, লাকড়ির চুলো ইত্যাদি থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড বায়ু প্রদুষক সৃষ্টি হয়।
৩। জ্বালানো কয়লা, গ্যাসোলিন, মোটরের ধুলি – ধোয়া, নিন্মমানের চুল্লী,গ্যাস স্টোভ, কেরোসিনের হিটার, জ্বালানো কাঠ ইত্যাদির ব্যবহারের সময় করবেন – মনোক্সাইড নামক বায়ু প্রদূষকটির সৃষ্টি হয়।
৪। ইন্সিনিরেটর এবং প্রত্যেক কারখানার উৎপাদক প্রক্রিয়ার এস পি এম ছাই কালো ধোঁয়া ইত্যাদির সৃষ্টি হয়।
৫। তেল শোধনাগার, রাসায়নিক উদ্যোগ এবং বিটুমিনাস ইন্ধন জ্বালালে হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন হয়।
৬। বিস্ফোরণ পদার্থ বিস্ফোরণে, রং করার কার্যে এবং সার কারখানায় এমনিয়া প্রদুষকটির সৃষ্টি হয়।
৭। রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কালে, রং করার কার্যে ফসজিন বা কার্বনিল ক্লোরাইড নামক প্রদুষকের সৃষ্টি হয়। এবং
৮। তেল, চর্বি বা গ্লাইকোলের তাপ বিয়োজনের ফলে এলদিহাইড সৃষ্টি হয়। এই বায়ু প্রদুষকের জন্য শ্বাসনলীতে জ্বালাপোড়া অনুভব হয়।
We Hope the given একাদশ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন ও উত্তর will help you. If you Have any Regarding, Class 11 Environmental Studies Question and Answer in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.