Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XI Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন Solutions are free to use and easily accessible.
Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Medium Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Class 11 Logic and Philosophy in Bengali textbooks Solution Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.
অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে তর্কবিজ্ঞানসম্মত বচনে রূপান্তরিত করো:
১। সকল রাজহাঁস সাদা হয় না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো রাজহাঁস নয় সাদা।
২। প্রত্যেক প্রাণী মাংসাশী নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো প্রাণী নয় মাংসাশী।
৩। লেখকরা বোকা নয়।
তর্কীয় বচন: (E) কোনো লেখকরা নয় বোকা।
৪। সৎ ব্যক্তি ব্যতীত কোনো মানুষই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো মানুষ সৎ ব্যক্তি ছাড়া নয় বিশ্বাসযোগ্য।
৫। কেবল শিক্ষিত ব্যক্তিরাই স্বাক্ষর।
তর্কীয় বচন: (A) সকল স্বাক্ষর ব্যক্তিরা হয় শিক্ষিত।
৬। প্রত্যেক মানুষের ভুল হয়।
তর্কীয় বচন: (A) সকল মানুষের হয় ভুল।
৭।মানুষ কদাচিৎ শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো মানুষ নয় শারীরিক প্রতিবন্ধী।
৮। কেবল প্রাপ্তবয়স্করাই ভোট দিতে পারে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা ভোট দিতে পারে হয় প্রাপ্তবয়স্ক।
৯। জ্ঞানী ব্যক্তিরাই সাধারণত নরমপন্থী হন।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো জ্ঞানী ব্যক্তিরা হন নরমপন্থী।
১০। বেশিরভাগ ছাত্ররাই ফুটবল খেলায় পারদর্শী নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ছাত্ররা নয় ফুটবল খেলার পারদর্শী।
১১। কেবল অশিক্ষিত ব্যক্তিরাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয় অশিক্ষিত।
১২। দয়া মহৎ গুণ।
তর্কীয় বচন: (A) দয়া হয় মহৎ গুণ।
১৩। প্রত্যেক ব্যাধি অনারোগ্য হয় না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ব্যাধি নয় অনারোগ্য।
১৪। শিক্ষকরা সাধারণত জ্ঞানী হন।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো শিক্ষকেরা হন জ্ঞানী।
১৫। অসন্তুষ্ট ব্যক্তিরা কি করে সুখী হবে?
তর্কীয় বচন: (E) কোনো অসন্তুষ্ট ব্যক্তি নয় সুখী।
১৬। কে অসৎ ব্যক্তিকে ভালোবাসে?
তর্কীয় বচন: (E) কোনো অসৎ ব্যক্তি নয় এমন যে ভালোবাসার যোগ্য।
১৭। খুব কম মানুষই যুক্তিপূর্ণ কথা বলে।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো মানুষ নয় এমন ব্যক্তি যে যুক্তিপূর্ণ কথা বলে।
১৮। বিদ্বান সর্বত্র পূজিত।
তর্কীয় বচন: (A) সকল বিদ্বান ব্যক্তি হন পূজিত।
১৯। সকল ছাত্র সমান পারদর্শী হয় না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ছাত্র নয় সমান পারদর্শী।
২০। বেশিরভাগ মানুষ সভায় অনুপস্থিত ছিল।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো মানুষ হয় তারা যারা সভায় অনুপস্থিত ছিল।
২১। কেবল পুরুষেরাই মসজিদে প্রবেশ করতে পারে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা মসজিদে প্রবেশ করতে পারে হয় পুরুষ।
২২। মানুষই একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী।
তর্কীয় বচন: (A) সকল বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী হয় মানুষ।
২৩। এভারেস্ট পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ।
তর্কীয় বচন: (A) এভারেস্ট হয় পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ।
২৪। প্রায় সব ভারতীয়রা ধার্মিক।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ভারতীয়রা হন ধার্মিক।
২৫। ত্রিভুজ কখনও বর্গক্ষেত্র হয় না।
তর্কীয় বচন: (E) কোনো ত্রিভুজ নয় বর্গক্ষেত্র।
২৬। বর্ণভেদ কখনও ঐক্যসাধন করতে পারে না।
তর্কীয় বচন: (E) কোনো বর্ণভেদ নয় এমন যা ঐক্যসাধন করতে পারে ।
২৭। কেবল জ্ঞানীরাই শান্তি স্থাপন করতে পারেন।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা শান্তিস্থাপন করতে পারেন হন জ্ঞানী।
২৮। প্রত্যেক মানুষ মরণশীল।
তর্কীয় বচন: (A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।
২৯। সাধুব্যক্তিরা কদাচিৎ সুখী হয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো সাধুব্যক্তিরা নয় সুখী।
৩০। একমাত্র সাধুব্যক্তিরা সুখী হয়।
তর্কীয় বচন: (A) সকল সুখী ব্যক্তি হয় সাধু।
৩১। একমাত্র স্নাতকরাই এই পদটির জন্য দরখাস্ত করতে পারে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা এই পদটির জন্য দরখাস্ত করতে পারে হয় স্নাতক।
৩২। প্রত্যেক বিদ্যার্থী মূলত ভালো।
তর্কীয় বচন: (A) সকল বিদ্যার্থী হয় মূলত ভালো।
৩৩। সব ভালো লেখক ভালো বক্তা নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ভালো লেখক নয় ভালো বক্তা।
৩৪। কেবল ধার্মিকরাই সুখী।
তর্কীয় বচন: (A) সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক।
৩৫। অসৎ ব্যক্তিরা কখনো-কখনো জীবনে সফলতা লাভ করে।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো অসৎ ব্যক্তিরা হয় এমন যারা জীবনে সফলতা লাভ করে।
৩৬। কোনো মানুষই মূর্খকে ভালোবাসে না।
তর্কীয় বচন: (E) কোনো মানুষ নয় এমন যারা মূর্খকে ভালোবাসে।
৩৭। প্রশংসা করা সকল ব্যক্তি বন্ধু নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো প্রশংসা করা ব্যক্তি নয় বন্ধু।
৩৮। কেবল শীতপ্রধান দেশই মদ তৈরি করে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল দেশ যারা মদ তৈরি করে হয় শীতপ্রধান দেশ।
৩৯। খুব কম লোকই প্রলোভনমুক্ত হয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো লোক নয় প্রলোভনমুক্ত।
৪০। একমাত্র হিন্দুরাই শিবপূজা করে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ব্যক্তি যারা শিবপূজা করে হয় হিন্দু।
৪১। অধিকাংশ সুনাগরিকেরাই দেশপ্রেমিক।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো সুনাগরিকরা হয় দেশপ্রেমিক।
৪২। ঝড়ের সময় প্রত্যেক গৃহই বন্দরসদৃশ।
তর্কীয় বচন: (A) সকল গৃহই ঝড়ের সময় হয় বন্দরসদৃশ।
৪৩। কেবল দেশপ্রেমিকরা হয় সৈনিক।
তর্কীয় বচন: (A) সকল সৈনিকরা হয় দেশপ্রেমিক।
৪৪। সকল সৈনিক দেশপ্রেমিক নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো সৈনিক নয় দেশপ্রেমিক।
৪৫। সকল দার্শনিকরা পাগল নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো দার্শনিকরা নয় পাগল।
৪৬। বেশিরভাগ ছাত্রই অঙ্ক পরীক্ষায় পাস করে না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ছাত্র নয় এমন যারা অঙ্ক পরীক্ষায় পাস করে।
৪৭। রাজীব ছাড়া সকল ছাত্রই উপস্থিত।
তর্কীয় বচন: (A) সকল ছাত্র রাজীব ছাড়া হয় উপস্থিত।
৪৮। যে-কোনো শিশু খেলায় যোগ দিতে পারে।
তর্কীয় বচন: (A) সকল শিশু হয় এমন যারা খেলায় যোগ দিতে পারে।
৪৯। যে-কোনো উত্তরই নির্ভুল হয় না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো উত্তর নয় নির্ভুল।
৫০। প্রতিটি সদস্যই উপস্থিত নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো সদস্য নয় উপস্থিত।
৫১। বেশিরভাগ ছাত্রই তর্কবিজ্ঞান বুঝতে পারে।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন ব্যক্তি যারা তর্কবিজ্ঞান বুঝতে পারে।
৫২। কিছু কিছু বই নষ্ট হয়ে গেছে।
তর্কীয় বচন : (I) কোনো কোনো বই হয় এমন যা নষ্ট হয়ে গেছে।
৫৩। কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি সুখী।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী।
৫৪। তিন-চতুর্থাংশ সদস্য উপস্থিত আছেন।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো সদস্য হয় উপস্থিত।
৫৫। দশজন সদস্য ভোট দিতে যাননি।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো সদস্য নয় এমন ব্যক্তি যারা ভোট দিতে গিয়েছিলেন।
৫৬। প্রায় সকল ছাত্রই ধর্মঘটে সামিল হননি।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ছাত্র নয় এমন ব্যক্তি যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন।
৫৭। কবিরা প্রায় আবেগপ্রবণ হয়।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো কবিরা হয় আবেগপ্রবণ।
৫৮। ভারতীয় ছাত্ররা সাধারণত তাদের শিক্ষককে শ্রদ্ধা করে।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ভারতীয় ছাত্ররা হয় এমন ব্যক্তি যারা তাদের শিক্ষককে শ্রদ্ধা করে।
৫৯। পর্যটকরা প্রায়ই এই জায়গাটি দেখতে যান।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো পর্যটকরা হন এমন ব্যক্তি যারা এই জায়গাটি দেখতে যান।
৬০। ছাত্রেরা অনেকসময় ভুল করে।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ছাত্ররা হয় এমন ব্যক্তি যারা ভুল করে।
৬১। দার্শনিকেরা অনেকসময় বৈজ্ঞানিক হন না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো দার্শনিকরা নন বৈজ্ঞানিক।
৬২। প্রায় সব সময়ই ভক্তেরা এই মন্দিরে পুজো দিতে যান।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো ভক্তেরা হন এমন ব্যক্তি যাঁরা এই মন্দিরে পুজো দিতে যান।
৬৩। এই মন্দিরে সর্বদা ভক্তেরা আসে না।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ভক্তেরা নয় এমন ব্যক্তি যারা এই মন্দিরে আসে।
৬৪। দার্শনিকরা কদাচ গণিতজ্ঞ হয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো দার্শনিকেরা নয় গণিতজ্ঞ।
৬৫। একমাত্র কবিরাই কল্পনাপ্রবণ।
তর্কীয় বচন: (A) সকল কল্পনাপ্রবণ ব্যক্তিরা হয় কবি।
৬৬। মাজুলী পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ।
তর্কীয় বচন: (A) মাজুলী হয় পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ।
৬৭। আসাম ভারতের সবচাইতে বেশি জনবহুল রাজ্য নয়।
তর্কীয় বচন: (E) আসাম নয় ভারতের সবচাইতে বেশি জনবহুল রাজ্য।
৬৮। কোনো একজন বিখ্যাত ব্যক্তি এই সভার প্রধান অতিথি।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি হন এই সভার প্রধান অতিথি।
৬৯। কোনো একটি ধাতু কঠিন পদার্থ নয়।
তর্কীয় বচন: (O) কোনো কোনো ধাতু নয় কঠিন পদার্থ।
৭০। কয়েকজন মানুষ নিঃস্বার্থ।
তর্কীয় বচন: (I) কোনো কোনো মানুষ হয় নিঃস্বার্থ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ব্যাকরণসম্মত সাধারণ বাক্যকে তর্কীয় বচনে রূপান্তরিত করার নিয়মগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ব্যাকরণসম্মত বাক্যকে তর্কীয় বচনে রূপান্তরিত করার নিয়মগুলি নিম্নরূপ:
(ক) রূপান্তরিত বচনটি ক্রম অনুসারে ‘উদ্দেশ্য — সংযোজক — বিধেয়’ — এই রূপে থাকতে হয়।
(খ) বচনের চতুর্বর্গীয় পরিকল্পনায় ‘সকল’, ‘কোনো’, ‘কোনো কোনো’ ছাড়া অন্য কোনো পরিমাণ চিহ্ন স্বীকার করা হয় না।
(গ) যে বাক্যে উদ্দেশ্যের সঙ্গে কোনো পরিমাণ চিহ্ন থাকে না, সেই বাক্যটিকে বচনে রূপান্তরিত করার সময় পরিমাণ চিহ্ন দিতে হয়।
(ঘ) একক বচনের তিনটি অংশ ‘উদ্দেশ্য — সংযোজক — বিধেয়’ ; সামান্য ও বিশেষ বচনের চারটি অংশ : পরিমাণ চিহ্ন — উদ্দেশ্য — সংযোজক — বিধেয়।
(ঙ) সংযোজকটি ‘হওয়া ক্রিয়া’ অর্থাৎ ‘ভূ-ধাতুর’ বর্তমান কালের রূপে ব্যবহার করতে হয়।
প্রশ্ন ২। ‘বচনের সরলীকরণ’ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ কোনো সাধারণ বাক্য বা ব্যাকরণসম্মত বাক্যকে তর্কবিজ্ঞানসম্মত বচনে রূপান্তরিত করার পদ্ধতিকে ‘বচনের সরলীকরণ’ বলে।
পরম্পরাগত তর্ক বিজ্ঞানে গুণ ও পরিমাণের মিশ্রনীতি অনুযায়ী চার রকমের বচন A, E, I, O স্বীকার করা হয়। তর্কবিজ্ঞানসন্মত বচনে রূপান্তরিত করার সময় ‘A’ না ‘E’ না ‘I’ না ‘O’ বচন তা দেখাতে হবে। এই রূপান্তর করার প্রক্রিয়াটির নাম ‘বচনের সরলীকরণ’।
ভাগ – ৪ পদের ব্যাপ্যতা
প্রথম খণ্ড
অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ‘A’ বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদ।
প্রশ্ন ২। ‘A’ বচনে কোন্ পদ অব্যাপ্ত?
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
প্রশ্ন ৩। ‘E’ বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্ত।
প্রশ্ন ৪। ‘I’ বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ ‘I’ বচনে কোনো পদ ব্যাপ্ত নয়, উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্ত।
প্রশ্ন ৫। ‘0’ বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
প্রশ্ন ৬। ‘O’ বচনে কোন্ পদ অব্যাপ্ত?
উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদ।
প্রশ্ন ৭। নঞর্থক বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
প্রশ্ন ৮। সদর্থক বচনে কোন্ পদ অব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
প্রশ্ন ৯। সামান্য বচনে কোন্ পদ ব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদ।
প্রশ্ন ১০। বিশেষ বচনে কোন্ পদ অব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদ।
প্রশ্ন ১১। ‘কোনো বৃক্ষই নয় সর্বভুক’—এই বিবৃতিটিতে দুটি পদই কি ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্ন ১২। বচনের এমন একটি উদাহরণ দাও যেখানে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত?
উত্তরঃ ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব’।
প্রশ্ন ১৩। ‘সামান্য বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত হয়’। উক্তিটি কি সত্য?
উত্তরঃ হ্যাঁ, উক্তিটি সত্য।
প্রশ্ন ১৪। কোনো সামান্য বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদ সমান বাচ্যার্থসম্পন্ন নির্দিষ্ট বিশিষ্ট পদ হলে তার উদ্দেশ্য পদই কি কেবল ব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ না, উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্ত হয়।
প্রশ্ন ১৫। বিধেয় পদ ব্যাপ্ত কি না, তা বুঝতে হলে কী জানা প্রয়োজন?
উত্তরঃ বিধেয় পদের গুণগত প্রকৃতি জানা প্রয়োজন।
শুদ্ধ উত্তর দাও:
১। সামান্য বচনের উদ্দেশ্য সামগ্রিক বাচ্যার্থ/লক্ষণার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উত্তরঃ বাচ্যার্থ।
২। সামান্য/বিশেষ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত হয়।
উত্তরঃ সামান্য।
৩। সদর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত/অব্যাপ্ত।
উত্তরঃ অব্যাপ্ত।
৪। নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত/অব্যাপ্ত।
উত্তরঃ ব্যাপ্ত।
৫। বিশেষ সদর্থক বচনে (I) উদ্দেশ্য এবং বিধেয় দুই-ই ব্যাপ্ত/অব্যাপ্ত।
উত্তরঃ অব্যাপ্ত।
শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
১। ______ বচনে কোনো পদ ব্যাপ্ত হয় না।
উত্তরঃ I
২। নঞর্থক বচনের ______ ব্যাপ্ত।
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
৩। উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত হয় ______ বচনে।
উত্তরঃ সামান্য বচনে।
৪। সদর্থক বচনে ______ ব্যাপ্ত হয় না।
উত্তরঃ বিধেয় পদ।
৫ । ______ বচনে উভয় পদই ব্যাপ্ত।
উত্তরঃ E
৬। ‘সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী।’ বাক্যটি _____ বচনের উদাহরণ।
উত্তরঃ সংজ্ঞামূলক।
৭। ‘সকল অকৃতদার পুরুষ হয় অবিবাহিত।’ বাক্যটি ______ বা ______।
উত্তরঃ সমার্থক, পুনরাবৃত্তি।
৮। ______ বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় দুই-ই অব্যাপ্ত।
উত্তরঃ I
৯। O বচনে উদ্দেশ্য _____, কিন্তু বিধেয় _______I
উত্তরঃ অব্যাপ্ত, ব্যাপ্ত।
১০। ______ বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করা হয়।
উত্তরঃ নঞর্থক।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে তর্কীয় বচনে রূপান্তরিত করো এবং প্রত্যেকটিতে ব্যাপ্ত পদের নীচে রেখাচিহ্ন দাও:
(ক) ধনী ব্যক্তিরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয় না।
তর্কীয় বচন—
(O) কোনো কোনো ধনী ব্যক্তিরা নয় এমন ব্যক্তি যারা শান্ত প্রকৃতির হয়।
(খ) কয়েকজন ব্যতীত সকল সদস্যই সভায় উপস্থিত আছেন।
তর্কীয় বচন—
(I) কোনো কোনো সদস্য হয় এমন ব্যক্তি যাঁরা সভায় উপস্থিত আছেন।
(গ) সকল নাগরিকই দেশপ্রেমিক নয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো নাগরিক নয় দেশপ্রেমিক।
(ঘ) কোনো সিংহই দ্বিপদ প্রাণী নয়।
তর্কীয় বচন—(E) কোনো সিংহ নয় দ্বিপদ প্রাণী।
(ঙ) কেবল শক্ত মনের মানুষেরাই বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
তর্কীয় বচন—
(A) সকল ব্যক্তি যারা বিপদের সম্মুখীন হতে পারে হয় শক্ত মনের মানুষ।
(চ) কয়েকজন মানুষ নিঃস্বার্থ।
তর্কীয় বচন—(I) কোনো কোনো মানুষ হয় নিঃস্বার্থ।
(ছ) কদাচিৎ মানুষ অনুশোচনা করে।
তর্কীয় বচন—
(O) কোনো কোনো মানুষ নয় এমন ব্যক্তি যারা অনুশোচনা করে।
(জ) প্রত্যেক ব্যক্তিই শান্তি চায়।
তর্কীয় বচন—(A) সকল ব্যক্তি হয় এমন যারা শান্তি চায়।
(ঝ) সত্রের সকল সন্ন্যাসীরা অকৃতদার।
তর্কীয় বচন—(A) সকল সত্রের সন্ন্যাসীরা হয় অকৃতদার।
(ঞ) বেশিরভাগ ছাত্রই অঙ্ককে কঠিন বিষয় মনে করে। তর্কীয় বচন—
(I) কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন ব্যক্তি যারা অঙ্ককে কঠিন বিষয় মনে করে।
প্রশ্ন ২। নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে তর্কীয় বচনে রূপান্তরিত করো এবং ব্যাপ্ত ও অব্যাপ্ত পদগুলি উল্লেখ করো।
(ক) প্রত্যেক মানুষ মরণশীল।
তর্কীয় বচন— (A) সকল মানুষ হয় মরণশীল। ব্যাপ্ত পদ ‘মানুষ’, অব্যাপ্ত পদ ‘মরণশীল’।
(খ) ছাত্ররা সাধারণত ভালো।
তর্কীয় বচন—(I) কোনো কোনো ছাত্র হয় ভাল।
অব্যাপ্ত পদ—‘ছাত্র’ এবং ‘ভালো’।
(গ) সাধু ব্যক্তিরা কদাচিৎ সুখী হয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো সাধু ব্যক্তি নয় সুখী। ব্যাপ্ত পদ—‘সুখী’ অব্যাপ্ত পদ – ‘সাধু’ ব্যক্তি।
(ঘ) একমাত্র স্নাতকরাই পদটির যোগ্য।
তর্কীয় বচন—(A) সকল ব্যক্তি যারা এই পদটির যোগ্য হয় স্নাতক।
ব্যাপ্ত পদ—‘ব্যক্তি’ যারা এই পদটির যোগ্য।
অব্যাপ্ত পদ— ‘স্নাতক’।
(ঙ) সকল রাজহাঁস সাদা নয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো রাজহাঁস নয় সাদা। ব্যাপ্ত পদ—‘সাদা’। অব্যাপ্ত পদ –‘রাজহাঁস’।
(চ) খুব কম লোকই প্রলোভনমুক্ত হয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো লোক নয় এমন ব্যক্তি যারা প্রলোভনমুক্ত।
অব্যাপ্ত পদ—লোক, ব্যাপ্ত পদ—এমন ব্যক্তি যারা প্রলোভনমুক্ত।
(ছ) যে কেউ এটা করতে পারে।
তর্কীয় বচন—(A) সকল মানুষ হয় এমন যারা এটা করতে পারে।
ব্যাপ্ত পদ—মানুষ, অব্যাপ্ত পদ—এমন যারা এটা করতে পারে।
(জ) এমন কোনো মানুষ নেই, যে সাধারণত ভালো নয়। (A) সকল মানুষ হয় তারা যারা সাধারণত ভালো।
ব্যাপ্ত পদ — ‘মানুষ’, অব্যাপ্ত পদ-তারা যারা সাধারণত ভালো।
(ঝ) নদী পার হবার চেষ্টা করতে গিয়ে, অনেক লোক ডুবে গিয়েছিল।
তর্কীয় বচন—(I) কোনো কোনো লোক হয় এমন যারা নদী পার করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছিল।
অব্যাপ্ত পদ—‘লোক’, অব্যাপ্ত পদ – ‘এমন যারা নদী পার করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছিল।’
(ঞ) সামান্য সংখ্যক বাদে সকলকে বন্দি করা হয়েছিল।
তর্কীয় বচন —(I) কোনো কোনো মানুষ হচ্ছে তারা যাদের বন্দি করা হয়েছিল।
অব্যাপ্ত পদ—‘মানুষ’ এবং ‘তারা যাদের বন্দি করা হয়েছিল।’
(ট) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বর্তমান।
তর্কীয় বচন—(A) পৃথিবী হচ্ছে এমন গ্রহ যার বায়ুমণ্ডল বর্তমান।
ব্যাপ্ত—‘পৃথিবী’, অব্যাপ্ত পদ—‘এমন গ্রহ যার বায়ুমণ্ডল বর্তমান’।
(ঠ) প্রত্যেক পদের জাত্যর্থ থাকবে না।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো পদ নয় এমন যাদের জাত্যর্থ আছে।
ব্যাপ্ত পদ—‘এমন যাদের জাত্যর্থ আছে।’
অব্যাপ্ত পদ—‘পদ’।
(ড) শুধু অজ্ঞ মানুষেরা জাদুবিদ্যায় বিশ্বাসী।
তর্কীয় বচন—(A) সকল মানুষ যারা জাদুবিদ্যায় বিশ্বাসী হয় অজ্ঞ।
ব্যাপ্ত পদ—‘মানুষ যারা জাদুবিদ্যায় বিশ্বাসী’।
অব্যাপ্ত পদ—‘অজ্ঞ’’।
(ঢ) প্রত্যেক ভুলই নিন্দনীয় নয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো ভুল নয় নিন্দনীয়।
ব্যাপ্ত পদ: ‘নিন্দনীয়’, অব্যাপ্ত পদ—‘ভুল’।
(ণ) কেবলমাত্র স্নাতকেরাই বাঞ্ছনীয়।
তর্কীয় বচন—(A) সকল বাঞ্ছনীয় মানুষরা হয় স্নাতক।
ব্যাপ্ত পদ—বাঞ্ছনীয় মানুষরা, অব্যাপ্ত পদ— স্নাতক।
প্রশ্ন ৩। নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে তৰ্কীয় বচনে রূপান্তরিত করো এবং অব্যাপ্ত পদের নীচে রেখাচিহ্ন দাও:
১। সমস্ত চক্চকে বস্তু সোনা নয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো চকচকে বস্তু নয় সোনা।
২। পারদ ছাড়া সমস্ত ধাতুই কঠিন।
তর্কীয় বচন—(A) সকল ধাতু পারদ ছাড়া হয় কঠিন।
৩। সিংহ কখনো কফি খায় না।
তর্কীয় বচন—(E) কোনো সিংহ নয় এমন জন্তু যে কফি খায়।
৪। বিদ্বান সর্বত্র পূজিত।
তর্কীয় বচন—(A) সকল বিদ্বান ব্যক্তি হন পুজিত।
৫। ধনী লোক সাধারণত ভদ্র হয় না।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো ধনী লোক নয় ভদ্র।
৬। কয়েকজন ছাড়া সকল সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তর্কীয় বচন— (I) কোনো কোনো সদস্য হলেন এমন ব্যক্তি যারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
৭। সকল নাগরিক দেশপ্রেমিক নয়।
তর্কীয় বচন—(O) কোনো কোনো নাগরিক নয় দেশপ্রেমিক।
৮। কোনো সিংহ দ্বিপদ নয়।
তর্কীয় বচন—(E) কোনো সিংহ নয় দ্বিপদ প্রাণী।
৯। সৎ মানুষ বিশ্বাসযোগ্য হন।
তর্কীয় বচন—(A) সকল সৎ মানুষ হন বিশ্বাসযোগ্য।
১০। কে অধীনতা ভালবাসে?
তর্কীয় বচন—(E) কোনো লোক নয় এমন ব্যক্তি যে অধীনতা ভালোবাসে।
প্রশ্ন ৪। পদের ব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ একটি পদ যখন তার সমগ্র বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে ব্যাপ্য বা ব্যাপ্ত পদ বলা হয়। অপরপক্ষে, একটি পদ যখন তার আংশিক বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে অব্যাপ্য বা অব্যাপ্ত পদ বলা হয়।
প্রশ্ন ৫। ব্যাপ্ত ও অব্যাপ্ত পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্যাপ্ত পদ: কোনো পদ (Term) যখন সেই পদটির দ্বারা নির্ধারিত সকল ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায় অর্থাৎ, পদটিকে সম্পূর্ণ বাচ্যার্থে ব্যবহার করা হয়, তখন সেই পদটি ‘ব্যাপ্ত’ হয়েছে বলা হয়।
অব্যাপ্ত পদ: কোনো পদ যখন সেই পদটির দ্বারা নির্ধারিত বস্তু বা ব্যক্তির একাংশ বোঝায়, অর্থাৎ পদটিকে যখন আংশিক বাচ্যার্থে ব্যবহার করা হয়, তখন সেই পদটি ‘অব্যাপ্ত’ হয়েছে বলা হয়।
প্রশ্ন ৬। বচনের উদ্দেশ্য পদের ব্যাপ্যতা কীভাবে নির্ধারণ করা যায়?
উত্তরঃ বচনে উদ্দেশ্য পদটি ব্যাপ্য বা ব্যাপ্ত কিনা, তা উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে যুক্ত পরিমাণ চিহ্ন দেখে বোঝা যায়। উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে যুক্ত পরিমাণ চিহ্ন ‘সকল’, ‘কোনো’, ‘নয়’ পরিমাণ চিহ্ন থাকে, তাহলে বচনে উদ্দেশ্য পদটি ব্যাপ্ত হয়। যেমন –
(ক) (A) ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল’—এখানে ‘সকল’ পরিমাণ চিহ্নটি থাকায় উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ ব্যাপ্ত।
(খ) (E) কোনো মানুষ নয় অমর। — এই বচনটিতে ‘কোনো—নয়’ পরিমাণ চিহ্ন থেকে বোঝায় এই উদ্দেশ্য পদটি ব্যাপ্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে যদি ‘কোনো কোনো’ পরিমাণ চিহ্ন যুক্ত থাকে, তবে পদটি অব্যাপ্ত হয়। যেমন—
(গ) কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ (I)
(ঘ) কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ (O)
দুটি বচনে উদ্দেশ্যের আগে পরিমাণ চিহ্ন ‘কোনো কোনো’ থাকায় উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ পদটি অব্যাপ্ত।
প্রশ্ন ৭। বচনে বিধেয় পদের ব্যাপ্যতা কীভাবে নির্ধারণ করা যায়?
উত্তরঃ বচনের বিধেয় পদ ব্যাপ্ত কিনা, তা বুঝতে হলে, বিধেয় পদের গুণগত প্রকৃতি জানা প্রয়োজন। গুণগতভাবে বচন দুই প্রকারের হয়—সদর্থক বচন এবং নঞর্থক বচন।
সদর্থক বচনে পরিমাণের দিক থেকে বিধেয় শ্রেণির কোনো অংশ সমগ্র উদ্দেশ্য শ্রেণির অথবা আংশিক উদ্দেশ্য শ্রেণির সমান, সেই কথা বলা হয়; যেমন—
(ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল (A) এই বচনটির অর্থ, সমগ্র ‘মানুষ’ শ্রেণি ‘মরণশীল জীব’ শ্রেণির একটি অংশমাত্র। অতএব, ‘মরণশীল’ পদটি অব্যাপ্ত।
(খ) কোনো কোনো হাঁস হয় সাদা (I) — এখানে ‘হাঁস’ শ্রেণির একটি অংশ ‘সাদা’ শ্রেণির অংশ। অতএব ‘সাদা’ পদটি অব্যাপ্ত।
অপরদিকে নঞর্থক বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করা হয় এবং যখন কিছু অস্বীকার করা হয়, তখন তাকে সম্পূর্ণভাবেই অস্বীকার করা হয়। এজন্য নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত হয়।
প্রশ্ন ৮। পদের ব্যাপ্যতা সম্পর্কিত নিয়মগুলো উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পদের ব্যাপ্যতা সম্পর্কে আমরা নিম্নোক্ত নিয়মগুলো পাই:
(ক) সামান্য বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত, কিন্তু বিশেষ বচনে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্ত।
(খ) সদর্থক বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্ত, কিন্তু নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত।
প্রশ্ন ৯। কোন্ শর্তে ‘A’ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয়পদই ব্যাপ্ত হয়?
উত্তরঃ কতকগুলি ব্যতিক্রম ‘A’ বচন আছে, যেমন—সংজ্ঞামূলক, যার উদ্দেশ্য এবং বিধেয় নির্দিষ্ট বিশিষ্ট পদ অথবা যার বিধেয় পদ উদ্দেশ্যপদের সমার্থক বা পুনরাবৃত্তি। এই সব ধরনের বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্ত বলা যায়।
উদাহরণ:
(ক) সংজ্ঞামূলক বচন—সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী।
(খ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় নির্দিষ্ট বিশিষ্ট পদ: নরেন্দ্র মোদি হলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
(গ) সমার্থক বা পুনরাবৃত্তি: সকল অকৃতদার পুরুষ হয় অবিবাহিত।
রচনাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। বচনের চতুবর্গীয় বিভাজনে পদের ব্যাপ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তরঃ বচনের চতুর্বর্গীয় বিভাজনে পদের ব্যাপ্যতা নিম্নে আলোচনা করা হলো
(ক) সামান্য সদর্থক বচন অর্থাৎ ‘A’ বচনে পদের ব্যাপ্যতা: সামান্য সদর্থক বচনে উদ্দেশ্যপদের সঙ্গে পরিমাণ চিহ্ন থাকায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে, উদ্দেশ্য পদ তার সমগ্র বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং ‘A’ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত। অন্যদিকে ‘A’ বচনে বিধেয় পদের সঙ্গে কোনো পরিমাণ চিহ্ন না থাকায় তার বাচ্যার্থ অস্পষ্ট থাকে। কাজেই ‘A’ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্ত। যেমন (A) ‘সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব’। —এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ তার সমগ্র বাচ্যার্থ ব্যবহৃত হয়েছে। তাই সেটা ব্যাপ্ত। কিন্তু বিধেয় পদ ‘মরণশীল জীব’ তার সমগ্র না আংশিক বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। কাজেই এই পদটি অব্যাপ্ত।
(খ) সামান্য নঞর্থক বচন অর্থাৎ ‘E’ বচনে পদের ব্যাপ্যতা: ‘E’ বচনে উদ্দেশ্য সমগ্র বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হওয়ায় তা ব্যাপ্ত। অন্যদিকে, বিধেয় পদটি নঞর্থক বচনের বিধেয় হওয়ায় উদ্দেশ্যের সমগ্র বাচ্যার্থের ক্ষেত্রে অস্বীকৃত হয়েছে। কাজেই সেটাও ব্যাপ্ত। যেমন— (E) ‘কোনো গাছ নয় মানুষ’। এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্ত। উদ্দেশ্য ‘গাছ’, তার সমগ্র বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হওয়ায় ব্যাপ্ত। অপরপক্ষে, ‘মানুষ’ এই বিধেয় পদটিকে উদ্দেশ্যে সমগ্র বাচ্যার্থের ক্ষেত্রে অস্বীকার করা হয়েছে। কাজেই এক্ষেত্রে বিধেয় পদও ব্যাপ্ত।
(গ) বিশেষ সদর্থক বচনে অর্থাৎ ‘I’ বচনে পদের ব্যাপ্যতা:
বিশেষ সদর্থক বচনে উদ্দেশ্যের সঙ্গে যুক্ত পরিমাণ চিহ্ন থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তা অব্যাপ্ত, অর্থাৎ উদ্দেশ্যকে আংশিক বাচ্যার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। বিধেয় পদটির ক্ষেত্রে পরিমাণগত চিহ্ন না থাকায় তার বাচ্যার্থ সামগ্রিক না আংশিক তা স্পষ্ট নয়। সুতরাং সেটাও অব্যাপ্ত। অতএব, ‘I’ বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্ত। যেমন—
(I) কোনো কোনো মানুষ হয় জ্ঞানী।
(ঘ) বিশেষ নঞর্থক বচনে অর্থাৎ ‘0’ বচনে পদের ব্যাপ্যতা: ‘O’ বচনে উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে পরিমাণ চিহ্ন ‘কোনো কোনো’ থাকায় সেটা যে আংশিক বাচ্যার্থে ব্যবহৃত হয়েছে, তা স্পষ্ট। অতএব, উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্ত। কিন্তু ‘O’ বচন নঞর্থক হওয়ায় তার বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে অস্বীকৃত। অতএব, বিধেয় পদটি ব্যাপ্ত। অর্থাৎ ‘O’ বচনে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্ত, কিন্তু বিধেয় পদ ব্যাপ্ত। যেমন ‘কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ’। এককথায় বলা যায়।
‘A’ বচনে উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্ত, কিন্তু বিধেয়পদ অব্যাপ্ত।
‘E’ বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্ত।
‘I’ বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্ত।
‘O’ বচনে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্ত, কিন্তু বিধেয় পদ ব্যাপ্ত।
প্রশ্ন ২। ছাত্র-ছাত্রীদের অনুশীলনীর জন্য:
নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত বচনে রূপান্তরিত করো, গুণ ও পরিমাণ উল্লেখ করো এবং কোন্ পদ ব্যাপ্য এবং কোন্ পদ অব্যাপ্য তা নির্দেশ করো।
১। পরিশ্রমী ব্যতীত কেহই জীবনে সফলতা লাভ করে না।
২। সতর্ক মানুষেরা ভুল করে না।
৩। কোনো বস্তু একসঙ্গে গোল ও বর্গাকার হতে পারে না।
৪। নিরপরাধ ব্যক্তি কখনো-কখনো শাস্তি পায়।
৫। বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত।
৬। কিশোরেরা কদাচিৎ বাধ্য হয়।
৭। একমাত্র আগ্রহী ছাত্ররাই জীবনে সাফল্যলাভ করতে পারে।
৮। খুব কম লোকই প্ৰকৃত সুখী।
৯। শিশু মাত্রই সরল।
১০। কেবলমাত্র বিজ্ঞানীরাই চিন্তাশীল।
১১। একটি উত্তর ভালো নয়।
১২। সব শিক্ষিত ব্যক্তি উদারচেতা নয়।
১৩। কিছু বৃক্ষ ফল দেয়।
১৪। ধনী লোকেরা ক্বচিৎ সুখী হয়।
১৫। মন ছাড়া কোনো দ্রব্য চেতন নয়।
১। ……………………………………………………………………
২। ……………………………………………………………………
৩। ……………………………………………………………………
৪। ……………………………………………………………………
৫।……………………………………………………………………
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.