Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XI Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 2 বচন

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Medium Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Class 11 Logic and Philosophy in Bengali textbooks Solution Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

ভাগ – ৫ আধুনিক তর্কবিজ্ঞানে বছনের শ্রেণিবিভাগ

প্রথম খণ্ড

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বচনের আদিমতম এবং সরলতম রূপ কী?

উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন।

প্রশ্ন ২। ‘উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনের উদ্দেশ্য পদ একটি বিশিষ্ট পদ’—উক্তিটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ, উক্তিটি সত্য।

প্রশ্ন ৩। উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনের প্রতীকাত্মক রূপ কী?

উত্তরঃ উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনকে ‘S—P’ এভাবে প্রকাশ করা হয়। এখানে, ‘S’ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং ‘P’ হচ্ছে বিধেয় পদ।

প্রশ্ন ৪। দ্বয়াত্মক বা দ্বিব্যক্তিক সম্বন্ধ কী?

উত্তরঃ সম্বন্ধবাচক বচনে দুটি পদবিশিষ্টি সম্বন্ধের নাম দ্বয়াত্মক বা দ্বিব্যক্তিক সম্বন্ধ।

প্রশ্ন ৫। উদ্দেশ্য পদবিহীন বচনের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ চোর! চোর !

প্রশ্ন ৬। সম্বন্ধবাচক বা সম্বন্ধাত্মক বচনের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ রাম শ্যামকে হিংসা করে, বিড়াল মাছ খায় ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। তিনটি পদবিশিষ্ট সম্বন্ধকে কী বলে? 

উত্তরঃ ‘ত্রয়াত্মক বা ত্রিব্যক্তিক’ সম্বন্ধ।

প্রশ্ন ৮। চার পদবিশিষ্ট সম্বন্ধকে কী বলে? 

উত্তরঃ তুরিয়াত্মক বা চতুর্ব্যক্তিক সম্বন্ধ।

প্রশ্ন ৯। পাঁচ পদবিশিষ্ট সম্বন্ধকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ পঞ্চব্যক্তিক সম্বন্ধ।

প্রশ্ন ১০। পাঁচের অধিক পদবিশিষ্ট সম্বন্ধকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ বহুব্যক্তিক সম্বন্ধ।

প্রশ্ন ১১। সম্বন্ধসূচক পদ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সমস্ত উপাদানের মধ্যে সম্বন্ধ প্রকাশ করা হয়, তাকে ‘সম্বন্ধসূচক পদ’ বলে। 

প্রশ্ন ১২। আধুনিক তর্কবিজ্ঞানের শ্রেণিসদস্যতা বচনকে ও উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে কী নামে অভিহিত করা হয়?

উত্তরঃ শ্রেণিসদস্যতা বচন বা উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনকে পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে ‘সামান্য বচন’ নামে অভিহিত করা হয়।

প্রশ্ন ১৩। সম্বন্ধবাচক বচনের প্রতীকাত্মক রূপ কী?

উত্তরঃ সম্বন্ধবাচক বচনের প্রতীকায়িত রূপ হল xRy অথবা R (x, y)

প্রশ্ন ১৪। কোন্ তর্কবিজ্ঞানী শ্রেণিসদস্যতা বচন ও উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচনের মধ্যে পার্থক্যের কথা উল্লেখ করেছেন?

উত্তরঃ জার্মান তর্কবিজ্ঞানী ফ্রেজে (Frege) এবং ইতালীয় তর্কবিজ্ঞানী পিয়ানো (Peano)।

প্রশ্ন ১৫। সংযোগী কাকে বলে?

উত্তরঃ সংযৌগিক বচনে যে বচনগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাদের সংযোগী বলে। 

প্রশ্ন ১৬। একটি সংযোজক বচনে সংযোগীর সংখ্যা কয়টি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক।

প্রশ্ন ১৭। সংযৌগিক বচনের উপাদান বচনগুলি কোন্ শব্দ দ্বারা যুক্ত হয়?

উত্তরঃ ‘এবং’, ‘ও’, ‘আর’, ‘কিন্তু’ ইত্যাদি বা অনুরূপ অর্থযুক্ত শব্দ দ্বারা।

প্রশ্ন ১৮। সংযৌগিক বচনের প্রতীকাত্মক রূপ কী?

উত্তরঃ ‘p . q’

প্রশ্ন ১৯। নিহিতার্থক বা সংশ্লেষক বচনের কয়টি অংশ থাকে?

উত্তরঃ দুটি অংশ।

প্রশ্ন ২০। নিহিতার্থক বচনের দুটি অংশের নাম কী কী?

উত্তরঃ পূর্ববর্তী অংশ এবং পরবর্তী অংশ।

প্রশ্ন ২১। নিহিতার্থক বা সংশ্লেষক বচনের মূল বৈশিষ্ট্য কী? 

উত্তরঃ এই জাতীয় বচনে যদি পূর্ববর্তী অংশ সত্য হয়, তাহলে অনুবর্তী অংশ মিথ্যা হতে পারে না।

প্রশ্ন ২২। নিহিতার্থক বা সংশ্লেষক বা প্রাকল্পিক বচনকে পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে কী নামে অভিহিত করা হয়?

উত্তরঃ পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে এই জাতীয় বচনকে ‘সকল্পক বচন’ বলা হয়। 

প্রশ্ন ২৩। নিহিতার্থক বচনের প্রতীকী রূপ কী?

উত্তরঃ p ⊃ q

প্রশ্ন ২৪। বিকল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যে উপাদান বাক্যগুলি ‘অথবা’ ‘হয়—নয়’ ইত্যাদি শব্দ বা তর্কীয় যোজক দ্বারা পরস্পর যুক্ত হয়, সেইসব অঙ্গ বাক্যকে বিকল্প বলে।

প্রশ্ন ২৫। প্রতীকাত্মক তর্কবিজ্ঞানে বৈকল্পিক বচনের প্রতীকী রূপ কী?

উত্তরঃ p v q

প্রশ্ন ২৬। ‘সমাবেশিত’ বা ‘অভিব্যাপী’ শব্দের অর্থ কী? 

উত্তরঃ অন্তত একটি, সবগুলিও হতে পারে।

প্রশ্ন ২৭। প্রতীকাত্মক তর্কবিজ্ঞানে ‘অথবা’, ‘হয় … নয় ইত্যাদি শব্দ কোন্ অর্থে ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ সমাবেশিত বা অভিব্যাপী বা অবিসংবাদী অর্থে ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ২৮। নিষেধ বা নঞর্থক বচনের প্রতীকী রূপ কী?

উত্তরঃ ‘~P’

প্রশ্ন ২৯। আধুনিক তর্কবিজ্ঞানীরা কীসের সাহায্যে সামান্য বচনের আকারগত প্রকৃতি নির্দেশ করেছেন?

উত্তরঃ মানকের সাহায্যে (Quantifier)।

প্রশ্ন ৩০। সার্বিক বচনে কী ধরনের মানক ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ সার্বিক মানক।

প্রশ্ন ৩১। বিশেষ বচনে কী ধরনের মানক ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ সাত্ত্বিক মান।

প্রশ্ন ৩২। সার্বিক মানকের প্রতীকী রূপ কী?

উত্তরঃ X

প্রশ্ন ৩৩। সাত্ত্বিক মানকের প্রতীকী রূপ কী?

উত্তরঃ (∃x)

প্রশ্ন ৩৪। অ্যারিস্টটল কি একজন আধুনিক তর্কবিজ্ঞানী?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ৩৫। কোন্ কোন্ বিষয়ের ভিত্তিতে আধুনিক তর্কবিজ্ঞানীরা বচনের শ্রেণিবিভাগ করেছিলেন?

উত্তরঃ গঠন এবং উপাদানের ভিত্তিতে আধুনিক তর্কবিজ্ঞানীরা বচনের শ্রেণিবিভাগ করেছিলেন।

প্রশ্ন ৩৬। তর্কবিজ্ঞানে কয়রকম সরল বচনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ চার রকমের।

প্রশ্ন ৩৭। তর্কবিজ্ঞানে কয়রকম যৌগিক বচনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ চার রকমের। 

প্রশ্ন ৩৮। সামান্য বচনের প্রকৃতি কী?

উত্তরঃ সামান্য বচন হল অমৌলিক বচন।

প্রশ্ন ৩৯। ‘সকল মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন’ —এই বচনটি কোন্ শ্রেণিতে পড়ে?

উত্তরঃ শ্রেণি-সম্বন্ধ সূচক সামান্য বচন।

প্রশ্ন ৪০। বৈকল্পিক বচনে ‘অথবা’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ অভিব্যাপী বা সমাবেশিত অর্থে।

প্রশ্ন ৪১। যে বচন কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর অস্তিত্ব নির্দেশ করে, তাকে কী ধরনের বচন বলে?

উত্তরঃ অস্তিত্বমূলক সামান্য বচন।

প্রশ্ন ৪২। যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয়কে কোনো একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে প্রকাশ করা হয়, তাকে কী ধরনের বচন বলে?

উত্তরঃ শ্রেণিসদস্যতা বচন। 

প্রশ্ন ৪৩। যে বচনে কোনো একটি শ্রেণি অন্য আর একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে প্রকাশ করা হয়, তাকে কী ধরনের বচন বলে?

উত্তরঃ শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচন। 

প্রশ্ন ৪৪। যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো গুণ আছে বলে বোঝায়, তাকে কী ধরনের বচন বলে?

উত্তরঃ উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচন। 

প্রশ্ন ৪৫। বিবৃতির আধুনিক শ্রেণিবিভাজন অনুসারে বিবৃতি কয় প্রকারের?

উত্তরঃ তিন প্রকারের।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আধুনিক তর্কবিজ্ঞানে বচন বা বিবৃতিকে (Proposition) কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তরঃ আধুনিক তর্কবিজ্ঞানে বচনকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা— (অ) মৌলিক বচন এবং (আ) অ-মৌলিক বচন। মৌলিক বচনকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন— 

(ক) সরল বচন। 

(খ) যৌগিক বচন।

অমৌলিক বচনের একটি মাত্র প্রকারই হয়, সেটা হল সামান্য বচন। 

প্রশ্ন ২। সরল বচন (Simple Proposition) কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বচনে একটিমাত্র উক্তি থাকে, তাকে ‘সরল বচন’ বলে। অর্থাৎ সরল বচন হল সেই বচন, যাতে একটির বেশি উপাদান বাক্য থাকে না এবং যে বচনে একটিমাত্র তথ্য পরিবেশিত হয়। যেমন—

(ক) আজ বৃষ্টি পড়ছে। 

(খ) রাম স্কুলে যাবে। 

(গ) রামচন্দ্র দশরথের পুত্র ছিলেন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। সরল বচন কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ সরল বচন চার প্রকারের হয়। যেমন—

(ক) উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন (Subjectless Proposition) 

(খ) উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচন (Subject Predicate Proposition)

(গ) সম্বন্ধবাচক বা সম্বন্ধাত্মক বচন (Relational Proposition) 

(ঘ) শ্রেণিসদস্যতা বচন (Class-membership Proposition)

প্রশ্ন ৪। উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ বচনের আদিমতম এবং সরলতম রূপ হচ্ছে উদ্দেশ্যপদবিহীন বছন। এই জাতীয় বচনে কোনো উদ্দেশ্য পদ থাকে না, যদিও বচনটিতে একটি নির্দিষ্ট অর্থপূর্ণ বক্তব্য থাকে। 

যেমন—(ক) সাপ! সাপ! 

(খ) আগুন! আগুন! 

(গ)এখন অন্ধকার! 

(ঘ) বৃষ্টি পড়ছে ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫। উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন কয় প্রকারের হয় এবং সেগুলো কী কী?

উত্তরঃ উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন দুই রকমের হয়।

যেমন—

(ক) আবেগসূচক বা বিস্ময়সূচক (Exclamatory)

(খ) নৈর্ব্যক্তিক (Impersonal) 

প্রশ্ন ৬। উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো গুণ আছে বলে বোঝায়, তাকে ‘উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের’ বচন বলে। উদাহরণ— 

(ক) সক্রেটিস জ্ঞানী ছিলেন। 

(খ) বলটি গোলাকৃতি। 

(গ) কলমটি নীল রঙের ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। সম্বন্ধবাচক বা সম্বন্ধাত্মক বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ যখন কোনো বচনে দুই বা ততোধিক পদের মধ্যে সম্বন্ধ বোঝায়, সেই বচনকে ‘সম্বন্ধবাচক বচন’ বলে।যেমন— 

(ক) মা সন্তানকে ভালোবাসেন। 

(খ) রাম শ্যামকে হিংসা করে। 

(গ) শিক্ষক ছাত্রকে গণিত শেখান। ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৮। শ্রেণিসদস্যতা বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয়কে কোনো একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে প্রকাশ করা হয়, তাকে ‘শ্রেণি-সদস্যতা বচন’ বলে। যথা— 

(ক) রবীন্দ্রনাথ একজন কবি ছিলেন। 

(খ) অ্যারিস্টটল একজন দার্শনিক। 

(গ) অমর্ত্য সেন একজন অর্থনীতিবিদ।

প্রশ্ন ৯। যৌগিক বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বচনে একাধিক উপাদান বাক্য বা অঙ্গ বাক্য থাকে, তাকে যৌগিক বচন বলে। যেমন ‘রাম বুদ্ধিমান এবং মেধাবী ছাত্র’।

এই বচনটিতে দুটি উপাদান বাক্য আছে—

(১) রাম বুদ্ধিমান। এবং 

(ক) রাম মেধাবী ছাত্র। 

যৌগিক বচনের উপাদান বাক্যগুলি সরল বচন বা যৌগিক বচন হতে পারে। 

যেমন—রাম আসবে অথবা শ্যাম যাবে, কিন্তু যদু যাবে না।

প্রশ্ন ১০। যৌগিক বচন কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ প্রতীকাত্মক যুক্তিবিজ্ঞানে চারপ্রকার যৌগিক বচনের উল্লেখ আছে। 

এগুলো হল—

(a) সংযৌগিক বচন বা সংযোজক বচন (Conjunctive Proposition) 

(b) সংশ্লেষক বচন বা নিহিতার্থক বা প্রাকল্পিক বচন (Implicative Proposition)

(c) বৈকল্পিক বচন বা বিকল্পক বচন (Disjunctive Proposition)

(d) নিষেধ বচন বা নঞর্থক বচন (Negative Proposition)

প্রশ্ন ১১। সংযৌগিক বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ সংযৌগিক বচন এক প্রকার যৌগিক বচন, যার অন্তর্গত সরল বচন বা উপাদান বচনগুলি ‘এবং’ বা অনুরূপ শব্দের দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। বাংলায় ‘ও’, ‘আর’ ‘কিন্তু’, ‘যদিও’, ‘আরও’, ‘তথাপি’ ইত্যাদি শব্দ ‘ষ’, ‘স’ চিহ্ন সংযোজক রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন—(১) রাম এবং শ্যাম মেধাবী ছাত্র।—এখানে ‘রাম মেধাবী ছাত্র’, ‘শ্যাম মেধাবী ছাত্র’—এই দুটি সরল বচন ‘এবং’ এই সংযোজক দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত।

সংযৌগিক বচনে যে সরল বচনগুলি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাদের ‘সংযোগী’ (conjunct) বলে।

প্রশ্ন ১২। সংশ্লেষক বা নিহিতার্থক বা প্রাকল্পিক বচন বলতে কী বোঝায়? 

উত্তরঃ যে যৌগিক বচনে দুটি উপাদান বচন (সরল বচন) ‘যদি … তাহলে’ অথবা এই জাতীয় কোনো শর্তের দ্বারা যুক্ত হয়, তাকে ‘সংশ্লেষক বচন বা নিহিতার্থক বচন বা প্রাকল্পিক বচন’ বলে। এই ধরনের বচনে প্রথম উপাদান বচনটির পূর্বে ‘যদি’ এবং ‘তাহলে’ শব্দটি দুটি উপাদান বচনের মাঝখানে থাকে। যেমন— ‘যদি বৃষ্টি পড়ে, তাহলে মাটি ভেজে’।

এই জাতীয় বচনের দুটি অংশ থাকে—পূর্ববর্তী এবং অনুবর্তী। উপরোক্ত উদাহরণে ‘বৃষ্টি পড়ে’ হল পূর্ববর্তী অংশ, আর ‘মাটি ভেজে’ হল অনুবর্তী অংশ বা পরবর্তী অংশ বা অনুগ। পূর্ববর্তী অংশে একটি শর্তের উল্লেখ থাকে এবং অনুবর্তী অংশে মূল বক্তব্যটি থাকে। 

প্রশ্ন ১৩। বৈকল্পিক বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ দুটি সরল বচন অথবা (or) বা অনুরূপ অর্থবোধক শব্দের দ্বারা যুক্ত হয়ে যে যৌগিক বচন গঠন করে, তাকে ‘বৈকল্পিক বচন’ বলে। বৈকল্পিক বচনের উপাদান বাক্যগুলি বা অঙ্গ বচনগুলিকে ‘বিকল্প’ (disjunct) বলা হয়।

যেমন—‘রাম আসবে অথবা যদু আসবে’—এই যৌগিক বচন দুটি সরল বচনের বিকল্প দ্বারা গঠিত। বচনটির দুটি বিকল্প হল— 

(i) ‘রাম আসবে’,।

(ii) ‘যদু আসবে’।

বৈকল্পিক বচনের উপাদান বচনগুলো যুক্ত করার জন্য ‘বা’, ‘নচেৎ’ ‘কিংবা’, ‘হয় নয়’, ‘নাহলে’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ১৪। বৈকল্পিক বচনে ‘অথবা’ শব্দ কী কী অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে?

উত্তরঃ বৈকল্পিত বচনে ‘অথবা’, ‘হয় নয়’ ইত্যাদি যোজক দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। 

(ক) বিসংবাদী বা ঐকান্তিক বা ব্যাবর্তক অর্থে (Exclusive sense)

(খ) অবিসংবাদী বা অভিব্যাপী বা সমাবেশিত অর্থে (Inclusive sense) 

যখন কোনো বৈকল্পিক বচনের বিকল্প দুটি একসাথে সত্য হতে পারে না, আবার একসাথে মিথ্যা হতে পারে না, তখন ওই বচনের ‘অথবা’কে বিসংবাদী অর্থে ‘অথবা’বলা হয়। যেমন—‘হয় সে শিক্ষিত নয় সে অশিক্ষিত’। এই বচনে বিকল্প দুটি হল—‘সে শিক্ষিত’ এবং (খ) ‘অশিক্ষিত’। এই বিকল্প দুটির মধ্যে একটি সত্য হলে, অপরটি মিথ্যা হবে। একটি মিথ্যা হলে, অপরটি সত্য হবে। দুটি বিকল্প একইসঙ্গে সত্য হতে পারে না, কারণ উভয়েই পরস্পরবিরোধী। এখানে ‘হয় … নয়’ শব্দটি সরল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

অন্যদিকে যখন কোনো বৈকল্পিক বচনের বিকল্প দুটি একসাথে মিথ্যা হতে পারে না, কিন্তু অন্তত একটি সত্য হতে পারে, তখন সেই বচনের ‘অথবা’কে অবিসংবাদী অর্থে ‘অথবা’ বলা হয়। যেমন— ‘তিনি শিক্ষক অথবা রাজনীতিক’। এই বচনের বিকল্প দুটি হল—

(ক) তিনি শিক্ষক ও (খ) তিনি রাজনীতিক। এই প্রকারের বৈকল্পিক বচন সত্য হবে, যদি কোনো একটি বিকল্প সত্য হয় অথবা উভয় বিকল্প সত্য হয়। ‘অথবা’-র এই অর্থকে দুর্বল অর্থ বলা হয়। এই প্রকারের বচন মিথ্যা হয় যদি উভয় বিকল্প মিথ্যা হয়। 

প্রশ্ন ১৫। নিষেধ বা নঞর্থক বচন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ একটি মূল বচনের সঙ্গে ‘না’, ‘নয়’ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে সাধারণত নঞর্থক বচন গঠন করা হয়। যেমন—রাম মেধাবী ছাত্র নয়।

প্রশ্ন ১৬। আধুনিক তর্কবিজ্ঞানে ‘অথবা’ যোজকটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে? 

উত্তরঃ ইংরেজিতে (or) ‘অথবা’ কথাটি স্পষ্টভাবে অর্থাৎ একই অর্থে ব্যবহৃত না হলেও, লাতিন ভাষায় দুটি অর্থকে পরিষ্কারভাবে বোঝানোর জন্য দুটি পৃথক শব্দ ব্যবহার করা হয়। লাতিন ভাষায় ‘Vel’ (V) শব্দটির দ্বারা দুর্বল বা অবিসংবাদী অর্থে ‘অথবা’কে বোঝানো হয়। অন্যদিকে ‘out’ (A) শব্দটি দিয়ে বিসংবাদী বা সবল অর্থে ‘অথবা’কে বোঝানো হয়।

আধুনিক প্রতীকী তর্কবিজ্ঞানে ‘অথবা’ (or) যোজকটি অবিসংবাদী অর্থাৎ, দুর্বল অর্থে গ্রহণ করা হয়। এই অর্থে ‘অথবা’র প্রতীক (symbol) হল ‘V’ (Vel)। 

প্রশ্ন ১৭। সার্বিক বচন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ যে বচনে কোনো একটি শ্রেণি অপর একটি শ্রেণির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত বলে বোঝায়, সেই বচনকে সার্বিক বচন বলে। 

যেমন—সব ভারতীয়রা এশিয়াবাসী, ‘কোনো সৈনিক কাপুরুষ নয়’ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৮। বিশেষ বচন কাহাকে বলে?

উত্তরঃ যে বচনে কোনো একটি শ্রেণি অপর একটি শ্রেণির ক্ষেত্রে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত বলে বোঝায়, সেই বচনকে বিশেষ বচন বলে। যথা—’কোনো কোনো দার্শনিক গণিতজ্ঞ’, ‘কোনো কোনো কবি প্রাবন্ধিক নয়’ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৯। সামান্য বচন ও সার্বিক বচনের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি? যদি থাকে, তাহলে সেটা কী?

উত্তরঃ পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে, সামান্য ও সার্বিক বচনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সামান্য বচন ও সার্বিক বচন এক।

কিন্তু আধুনিক তর্কবিজ্ঞানে সামান্য বচন ও সার্বিক বচনের মধ্যে পার্থক্য বর্তমান। কারণ, সামান্য বচন সার্বিক বচনও হতে পারে, আবার বিশেষ বচনও হতে পারে। 

প্রশ্ন ২০। সামান্য বচন বা সাধারণ বচন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ সামান্য বচনই একমাত্র অমৌলিক বচন। সামান্য বচন শ্রেণিসম্পৰ্কীয় বচন। সামান্য বচন হল সেই বচন, যা কোনো কিছুর অস্তিত্ব বোঝায় অথবা সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রে কোনো গুণ বা উপলক্ষণ আছে বোঝায় কিংবা দুটি শ্রেণির মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়।

প্রশ্ন ২১। সামান্য বচন কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ সামান্য বচন তিন প্রকারের হয়। যেমন—

(ক) অস্তিত্বমূলক সামান্য বচন। 

(খ) এক-বিধেয়যুক্ত সার্বিক বা সামান্য বচন। 

(গ) শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচন।

প্রশ্ন ২২। অস্তিত্বমূলক সামান্য বচন কাকে বলে?

 উত্তরঃ অস্তিত্বমূলক সামান্য বচন হচ্ছে সেই বচন, যাতে কোনো কিছুর অস্তিত্বকে প্রত্যক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। যেমন— 

(১) ‘সমুদ্র আছে’,। 

(২) ‘ভূত বলে কিছু নেই’ ইত্যাদি। 

প্রশ্ন ২৩। এক বিধেয়যুক্ত সার্বিক বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ এই জাতীয় সামান্য বচনে কোনো গুণ বা উপলক্ষণকে সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। যেমন— 

(১) সকল বস্তুই পরিবর্তনশীল।

(২) পৃথিবীতে স্থায়ী বলে কিছু নেই, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৪। শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচন কাকে বলে?

উত্তরঃ শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচনে কোনো একটি শ্রেণি অপর একটি শ্রেণির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত বলে বোঝায়। বেশিরভাগ সামান্য বচনই এই প্রকারের হয়। যেমন— 

(১) সব ভারতীয়রা এশিয়াবাসী। 

(২) কোনো কোনো দার্শনিক গণিতজ্ঞ। 

(৩) কোনো সৈনিকই কাপুরুষ নয়। 

(৪) কোনো কোনো কবি প্রাবন্ধিক নয়।

যে বচনে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি বা বহির্ভুক্তি বোঝায় তাদের ‘সার্বিক বচন’ বলে। কিন্তু যে বচনে আংশিক অন্তর্ভুক্তি বা বহির্ভুক্তি বোঝায়, তাকে বিশেষ বচন বলে। উদাহরণ— (১) এবং (৩) সার্বিক বচন। উদাহরণ (২) এবং (৪) বিশেষ বচন।

প্রশ্ন ২৫। শ্রেণি-সদস্যতা বচন এবং সামান্য বচন কি এক? যদি না হয়, তাহলে এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ শ্রেণি-সদস্যতা বচন এবং সামান্য বচন এক নয়। সামান্য বচনে দুটি শ্রেণির একটি অপরটির অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত বোঝায়। কিন্তু শ্রেণি- সদস্যতা বচনে একজন ব্যক্তি একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বোঝায়।

(১) সব ভারতীয়রা এশিয়াবাসী। (সামান্য বচন)

(২) রবীন্দ্রনাথ একজন কবি। (শ্রেণি সদস্যতা বচন) 

প্রশ্ন ২৬। বচনের আকার সম্পর্কে পরম্পরাগত যুক্তিবিজ্ঞানী ও আধুনিক তর্কবিজ্ঞানীর মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ পরম্পরাগত যুক্তিবিজ্ঞানীরা তর্কীয় বচনের একটি আকারই স্বীকার করেন এবং সেটা হল উদ্দেশ্য—সংযোজক—বিধেয়’ আকার। কিন্তু আধুনিক তর্কবিজ্ঞানীরা উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচন’কেও বচন বলে স্বীকার করেন, যা হল সরল বচনের একটি প্রকার। 

প্রশ্ন ২৭। সামান্য বচন এবং উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচনের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সামান্য বচন এবং উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচনের মধ্যে পার্থক্য যে, সামান্য বচনে বিশেষ কোনো ব্যক্তির কথা বলা হয় না, একটি শ্রেণির কথা বলা হয়; কিন্তু বিশেষ বচনে বিশেষ ব্যক্তির কথা বলা হয়। 

প্রশ্ন ২৮। সামান্য বচন ও যৌগিক বচনের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সামান্য বচনে একটিমাত্র উপাদান বচন থাকে। যৌগিক বচনে একাধিক উপাদান বাক্য থাকে। 

সামান্য বচনকে একাধিক উপাদানে বিশ্লেষণ করা যায় না। এই জন্যেই সামান্য বচনকে অ-মৌলিক এবং সরল ও যৌগিক বচনকে মৌলিক বচন বলা হয়।

প্রশ্ন ২৯। সম্বন্ধের নিদর্শন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ একটি সম্বন্ধবাচক বচনে সম্বন্ধ একটি দিক বা পদ থেকে অন্য একটি দিকে বা পদে প্রসারিত হয়। এই দিকটিকে ‘সম্বন্ধের নিদর্শন’ বা বোধ অথবা ‘অভিমুখিতা’ বলে। যে পদ থেকে সম্বন্ধটি শুরু হয়, তাকে ‘নির্দেশ’ এবং যে পদের দিকে সম্বন্ধটি ধাবিত হয়, তাকে ‘সম্বন্ধী’ বলে। 

প্রশ্ন ৩০। একটি সম্বন্ধবাচক বচনের উদাহরণ দিয়ে তাকে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ‘বিড়াল মাছ খায়’— এটি একটি সম্বন্ধবাচক বচনের উদাহরণ। এখানে সম্বন্ধসূচক পদ ‘বিড়াল’ এবং ‘মাছ’।

বিড়াল—মাছ, সম্বন্ধের এই দিকটিকে ‘সম্বন্ধের নিদর্শন’ বা ‘বোধ’ বলে। বিড়াল = নিৰ্দেশ্য; মাছ = সম্বন্ধী।

প্রশ্ন ৩১। শ্রেণি-সদস্যতা বচন বোঝানোর জন্য কী প্রতীক ব্যবহার করা হয়? 

উত্তরঃ শ্রেণি-সদস্যতা বচনে শ্রেণি বোঝানোর জন্য ইংরেজি বর্ণমালার বড় হাতের বর্ণ A, B, C, D ইত্যাদি এবং ব্যক্তি বোঝানোর জন্য a, b, c, d ইত্যাদি বর্ণপ্রতীকের ব্যবহার হয়। তাছাড়া শ্রেণি সম্বন্ধ বোঝানোর জন্য ‘ᕮ’ (belongs of) চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়। যেমন— রবীন্দ্রনাথ একজন কবি ছিলেন (Rabindranath was a poet)— ‘r ᕮ P’

প্রশ্ন ৩২। শ্রেণিসদস্যতা বচন বা উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচনকে পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে ‘সামান্য বচন’ বলে ধরা হয় কেন?

উত্তরঃ কারণ শ্রেণিসদস্যতা বচন ও উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচন—উভয়প্রকার বচনই বিশিষ্ট বচন, কারণ দুটি বচনেরই উদ্দেশ্য পদটি বিশিষ্ট পদ। আর যে বচনের উদ্দেশ্য পদ বিশিষ্ট পদ হয়, পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে তাকে সামান্য বচন নামে অভিহিত করা হয়।

প্রশ্ন ৩৩। শ্রেণিসদস্যতা বচন ও উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ 

সাদৃশ্যবৈসাদৃশ্য
(১) উভয়প্রকার বচনকেই পরম্পরাগত তর্কবিজ্ঞানে ‘সামান্য বচন’ নামে অভিহিত করা হয়।(১) শ্রেণিসদস্যতা বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয়কে কোনো একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো গুণ আছে বলে বোঝায়।
(২) এই দুটি বচনই বিশিষ্ট বচন, কারণ দুটি বচনেরই উদ্দেশ্যপদটি বিশিষ্ট পদ।(২) সক্রেটিস একজন দার্শনিক ছিলেন—এটি শ্রেণিসদস্যতা বচনের উদাহরণ। অপরপক্ষে, সক্রেটিস জ্ঞানী ছিলেন—এটি উদ্দেশ্য বিধেয় আকারের বচনের উদাহরণ।

প্রশ্ন ৩৪। অভিব্যাপী বা সমাবেশিত শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ অভিব্যাপী অর্থে ‘অথবা’ শব্দটির অর্থ ‘অন্তত একটি’ সবগুলিও হতে পারে। যদি কোনো বৈকল্পিক বচনের অন্তত একটি বিকল্প বচন বা বিয়োজক সত্য হয়, তখন অভিব্যাপী বা সমাবেশিত অর্থ হয়। যেমন—‘তিনি হয় শিক্ষক নয় রাজনীতিক’। 

প্রশ্ন ৩৫। ঐকান্তিক বা ব্যাবর্তক অর্থ কী?

উত্তরঃ ঐকান্তিক অর্থে একটা বিয়োজক সত্য হলে অপরটি সত্য হতে পারে না। অর্থাৎ, একটি সত্য হলে, অপরটি মিথ্যা হবে; একটি মিথ্যা হলে অপরটি সত্য হবে। যেমন ‘হয় সে শিক্ষিত নয় সে অশিক্ষিত’।

প্রশ্ন ৩৬। অস্তিত্বমূলক বচন, এক বিধেয় বিশিষ্ট সামান্য বচন এবং শ্রেণি সম্বন্ধসূচক সামান্য বচনের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সামান্য বচনের অন্তর্গত অস্তিত্বমূলক বচন এবং এক বিধেয় বিশিষ্ট সামান্য বচনে একটি শ্রেণির কথা বা একটি গুণের বা উপলক্ষণের কথা বলা হয়। কিন্তু শ্রেণি সম্বন্ধ সূচক সামান্য বচনে দুটি শ্রেণির মধ্যে সম্পর্কের কথা বলা হয়।

রচনাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সরল বচনের শ্রেণিবিভাগ সম্বন্ধে আলোচনা করো। 

উত্তরঃ যে বচনে একটিমাত্র উক্তি থাকে, তাকে সরল‌ বচন বলে। সরল বচন চার প্রকার। যেমন—

(ক) উদেশ্য পদবিহীন বচনঃ যে সকল বচনে কোনো উদ্দেশ্য পদ থাকে না, তাকে উদ্দেশ্য পদবিহীন বচন বলে। যথা— সাপ। সাপ !

(খ) উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচনঃ যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো গুণ আছে বলে বোঝায়, তাকে উদ্দেশ্য-বিধেয় আকারের বচন বলে। 

যেমন— সক্রেটিস জ্ঞানী ছিলেন।

(গ) সম্বন্ধবাচক বা সম্বন্ধাত্মক বচনঃ যখন কোনো বচনে দুই বা ততোধিক পদের মধ্যে সম্বন্ধ বোঝায়, সেই বচনকে সম্বন্ধবাচক বচন বলে। 

যেমন— মা সন্তানকে ভালোবাসেন।

(ঘ) শ্রেণিসদস্যতা বচনঃ যে বচনে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয়কে কোনো একটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে প্রকাশ করা হয়, তাকে শ্রেণিসদস্যতা বচন বলে। 

যেমন—সক্রেটিস একজন দার্শনিক ছিলেন।

প্রশ্ন ২। যৌগিক বচন সম্বন্ধে আলোচনা করো।

উত্তরঃ যে বচনে একাধিক উপাদান বাক্য বা অঙ্গবাক্য থাকে, তাকে যৌগিক বচন বলে।

প্রতীকাত্মক যুক্তিবিজ্ঞানে চার প্রকার যৌগিক বচনের উল্লেখ আছে। সেগুলো হল: 

(ক) সংযৌগিক বচনঃ সংযৌগিক বচন একপ্রকার যৌগিক বচন। যার অন্তর্গত সরল বচন বা উপাদান বচনগুলি ‘এবং’ বা অনুরূপ অর্থযুক্ত শব্দের দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। যেমন— ‘রাম এবং শ্যাম মেধাবী ছাত্র’।

(খ) বৈকল্পিক বচনঃ বৈকল্পিক বচন একপ্রকার যৌগিক বচন, যার অন্তর্গত সরল বচন বা উপাদান বচনগুলি ‘অথবা’ বা অনুরূপ অর্থবোধক শব্দের দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন—‘রাম আসবে অথবা যদু আসবে’। 

(গ) সংশ্লেষক বচন বা নিহিতার্থক বা প্রাকল্পিক বচনঃ যে যৌগিক বচনে দুটি উপাদান বচন (সরল বচন) ‘যদি…. তাহলে’ অথবা এই জাতীয় কোনো শর্তের দ্বারা যুক্ত হয়, তাকে নিহিতার্থক বচন বলে। যেমন—‘যদি সূর্য ওঠে, তাহলে পৃথিবী আলোকিত হয়।’

(ঘ) নঞর্থক বচন বা নিষেধ বচনঃ একটি মূল বচনের সঙ্গে ‘না’, ‘নয়’ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে সাধারণত নঞর্থক বচন গঠন করা হয়। যেমন—এই জায়গাটা সুন্দর নয়।

প্রশ্ন ৩। সামান্য বচন বা সাধারণ বচন কাকে বলে? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো? 

উত্তরঃ সামান্য বচন হল সেই বচন, যা কোনো কিছুর অস্তিত্ব বোঝায় অথবা সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রে কোনো গুণ বা উপলক্ষণ আছে বোঝায় কিংবা দুটি শ্রেণির মধ্যে সম্পর্ক বোঝায়।

সামান্য বা সাধারণ বচন তিন প্রকারের হয়। যেমন—

(ক) অস্তিত্বমূলক সামান্য বচনঃ অস্তিত্বমূলক সামান্য বচন হচ্ছে সে বচন, যাতে কোনো কিছুর অস্তিত্বকে প্রত্যক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। 

যেমন—‘ভগবান আছেন’, ‘ভূত বলে কিছু নেই’, ইত্যাদি।

(খ) একবিধেয়যুক্ত সামান্য বচনঃ একবিধেয়যুক্ত সামান্য বচনে কোনো গুণ বা উপলক্ষণকে সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়। 

যেমন—‘সকল বস্তুই পরিবর্তনশীল’। ‘পৃথিবীতে স্থায়ী বলে কিছু নেই।’ ‘কোনো বস্তু স্থায়ী নয়।’

(গ) শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচনঃ শ্রেণি-সম্বন্ধসূচক সামান্য বচনে কোনো একটি শ্রেণি অপর একটি শ্রেণির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত বলে বোঝায়। যেমন—

(১) সব ভারতীয়রা এশিয়াবাসী।

(২) কোনো কোনো দার্শনিক গণিতজ্ঞ।

(৩) কোনো সৈনিকই কাপুরুষ নয়।

(৪) কোনো কোনো কবি প্রাবন্ধিক নন।

উদাহরণ (১)-এ ‘ভারতীয়’ শ্রেণি ‘এশিয়াবাসী’ শ্রেণির মধ্যে সম্পূর্ণরূপে অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণ (২)-এ ‘দার্শনিক’ শ্রেণি ‘গণিতজ্ঞ’ শ্রেণিতে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত; উদাহরণ (৩)-এ ‘সৈনিক শ্রেণি ‘কাপুরুষ’ শ্রেণির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বহির্ভুক্ত এবং উদাহরণ (৪)-এ ‘কবি’ শ্রেণি ‘প্রাবন্ধিক’ শ্রেণিতে আংশিক বহির্ভূত বোঝাচ্ছে।

যে বচনে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি বা বহির্ভুক্তি বোঝায়, তাদের ‘সার্বিক বচন’ বলে। কিন্তু যে বচনে আংশিক অন্তর্ভুক্তি বা বহির্ভুক্তি বোঝায়, তাদের ‘বিশেষ বচন’ বলে। 

প্রশ্ন ৪। সামান্য বচনের প্রতীকী রূপ সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানীরা মানকের সাহায্যে সামান্য বচনের আকারগত প্রকৃতি নির্দেশ করার চেষ্টা করেছেন। সামান্য বচনও সার্বিক হতে পারে, বিশেষ বচনও হতে পারে। কাজেই সার্বিক বচনের জন্য সার্বিক মানক এবং বিশেষ বচনের জন্য সাত্ত্বিক মানক ব্যবহার করা হয় । 

সার্বিক মানকের প্রতীকী রূপ (x)। (x)-এর অর্থ হল ‘Given any x’। সার্বিক বচনের প্রতীকী রূপে (x) মানকটি ব্যবহৃত হয়। যেমন— 

(ক) All humans are mortal. 

এর প্রতীকী রূপঃ (x)(Hx ᑐ Mx) [Give any x, if x is human. then x is mortal.]

(খ) No humans are perfect.

এর প্রতীকী রূপঃ (x)(Hx ᑐ ~ Px) [Given any x, if x is human. then is not perfect.]

সাত্ত্বিক মানকের প্রতীকী রূপ হল (∃x)

এর অর্থ, অন্তত একজন ‘x’ আছে।

(∃x) প্রতীকটি বিশেষ বচনের প্রতীকী রূপে ব্যবহার করা হয়। যেমন—

(ক) Some humans are wise.

এর প্রতীকী রূপঃ (∃x) (Hx . Wx)

অর্থাৎ অন্তত একজন ‘x’ আছে যে ‘x’ মানুষ কিন্তু জ্ঞানী।

(খ) Some humans are not wise. 

এর প্রতীকী রূপঃ (∃x) (Hx . ~ Wx)

অর্থাৎ অন্তত একজন ‘x’ আছে যে ‘x’ মানুষ কিন্তু জ্ঞানী নয়।

We Hope the given একাদশ শ্রেণীর তর্কবিজ্ঞান ও দর্শন will help you. If you any Regarding Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Question and Answers, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

FAQs

Question: Where I can get Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Notes in Bengali Chapter Wise?

Answer: You can get Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Notes in Bengali Chapter Wise On Roy Library. For every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly.

Question: Which is the best Site to get Assam Board Class 11 Logic and Philosophy Solutions in Bengali?

Answer: Roy Library is a genuine and worthy of trust site that offers reliable information regarding Assam Board Class 11 Logic and Philosophy Solutions in Bengali.

Question: How can students use the solutions for exam preparation?

Answer: Students can use the solutions for the following:

  • Students can use solutions for revising the syllabus.
  • Students can use it to make notes while studying.
  • Students can use solutions to understand the concepts and complete the syllabus.

IMPORTANT NOTICE

We have uploaded this Content by Roy Library. You can read-write and Share your friend’s Education Purposes Only. Please don’t upload it to any other Page or Website because it is Copyrighted Content.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top