Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XI Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Medium Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Class 11 Logic and Philosophy in Bengali textbooks Solution Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রশ্ন ৫। ন্যায়ের মূর্তি কী?

উত্তরঃ ন্যায়ের অন্তর্গত বচনগুলির গুণ ও পরিমাণের ভিত্তিতে ন্যায়ের যেসব বিশেষ বিশেষ আকার হয়, এদের ন্যায়ের ‘মূর্তি’ বলে। 

ন্যায়ের মূর্তি সম্পর্কে যুক্তিবিজ্ঞানীরা সকলে একমত নন। তাঁদের ব্যাখ্যায় আমরা ন্যায়ের মূর্তির নিম্নোক্ত তিনটি অর্থ পাই:

(ক) প্রথম অর্থে, ‘মূর্তি’ হল দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণগত এবং পরিমাণগত বিন্যাস বা আকার। গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচন A, E, I, O—এই চার প্রকারের। কাজেই দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী ষোলোটি বিন্যাস সম্ভব। যেহেতু, ন্যায়ের চারটি সংস্থান এবং প্রতিটি সংস্থানে এই ষোলোটি বিন্যাস সম্ভব, অতএব, মূর্তির সংখ্যা সর্বমোট ১৬x৪=৬৪টি।

(খ) দ্বিতীয় অর্থে, ‘মূর্তি’ হল দুটি আশ্রয় বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বিন্যাস বা আকার। দুটি আশ্রয়বাক্যের সঙ্গে সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণ যুক্ত করলে ষোলোটি বিন্যাসের প্রতিটির আবার চারটি করে মূর্তি পাওয়া যায়।

এভাবে ৬৪টি মূর্তির প্রতিটিতে চারটি করে মূর্তি পাওয়া যাবে, যার ফলে মোট মূর্তি সংখ্যা হবে ২৫৬টি (৬৪×৪=২৫৬)।

(গ) তৃতীয় অর্থে, ‘মূর্তি’ বলতে ন্যায়ের বৈধ আকার বোঝায়। এই অর্থে মূর্তি হচ্ছে দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী এমন বিন্যাস যার থেকে বৈধ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়। এভাবে, ৬৪টি মূর্তি থেকে মাত্র ১৯টি বৈধ মূর্তি পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৬। অ্যারিস্টটলের সূত্র ‘Dictum de Omni et nullo’ সম্বন্ধে আলোচনা করো।

উত্তরঃ ন্যায়ের সংস্থানের নির্ভুল (Perfect) আকার নির্ধারণ করবার জন্য মৌলিক নীতি হিসেবে অ্যারিস্টটল একটি সূত্র উদ্ভাবন করেছিলেন। এই সূত্রটি ‘Dictum de Omni et nullo’ অর্থাৎ ‘সকল হয় এবং কোনো নয়-এর সূত্র’ (সংস্কৃতে, যজ্জাতি বিধেয়ম্ তদ্‌ব্যক্তি বিধেয়ম্) বলা হয়।

এই সূত্রটির অর্থ হল, “কোনো ব্যাপ্ত পদ সম্পর্কে যে বিধেয়কে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, সেই পদের অন্তর্গত সকলের ক্ষেত্রেও সেই বিধেয়কে একইভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়।” যেমন—

(ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল। (A)

সকল দার্শনিক হয় মানুষ। (A)

∴ সকল দার্শনিক হয় মরণশীল। (A)

(খ) কোনো মানুষ নয় অমর। (E)

সকল দার্শনিক হয় মানুষ। (A)

∴ কোনো দার্শনিক নয় অমর। (E)

এই দুটি উদাহরণের প্রথমটিতে (ক) ‘মরণশীল’ বিধেয়পদটি সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষের’ ক্ষেত্রে স্বীকৃত হওয়ায় এবং ‘মানুষ’ পদটি ব্যাপ্ত হওয়াতে ‘সকল দার্শনিক’ যারা মানুষের অন্তর্গত, তাদের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হয়েছে।

দ্বিতীয় উদাহরণটিতে (খ) ‘অমর’ বিধেয়পদটি সাধ্য আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্যপদ ‘মানুষের’ ক্ষেত্রে অস্বীকৃত হওয়ায় এবং ‘মানুষ’ পদটি ব্যাপ্ত হওয়াতে ‘সকল দার্শনিক’ যারা ‘মানুষ’ শ্রেণির অন্তর্গত, তাদের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তে অস্বীকৃত হয়েছে।

অ্যারিস্টটলের সূত্রটি প্রত্যক্ষভাবে ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদিও সকল প্রকার নিরপেক্ষ ন্যায়ের ক্ষেত্রেও সূত্রটিকে মৌলিক ভিত্তি বলা হয়।

প্রশ্ন ৭। ন্যায়ের সম্ভাব্য বিভিন্ন মূর্তিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ গুণ ও পরিমাণে সংযুক্ত ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচন চার প্রকারের হয়—A, E, I এবং O।

ন্যায়ের মূর্তি বলতে যদি দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণগত এবং পরিমাণগত বিন্যাস বা আকার বোঝায়, তাহলে প্রত্যেক সংস্থানে মোট ষোলোটি পাওয়া যায়। যেমন—

 প্রথম বচনটি সাধ্য আশ্রয়বাক্য এবং দ্বিতীয় বচনটি পক্ষ আশ্রয়বাক্য। যেহেতু ন্যায়ের চারটি সংস্থান এবং প্রতিটি সংস্থানে ষোলোটি বিন্যাস সম্ভব, অতএব মূর্তির সংখ্যা সর্বমোট ১৬x৪=৬৪টি।

আবার মূর্তি বলতে যদি দুটি আশ্রয়বাক্যে এবং সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণের দ্বারা নির্ধারিত ন্যায়ের আকার বোঝায়, তাহলে উপরোক্ত ষোলোটি মূর্তির প্রত্যেকটি থেকে আবার চারটি করে মূর্তি হতে পারে। যেমন—

সুতরাং চারটি সংস্থানে ৬৪x৪=২৫৬ টি মূর্তি পাওয়া সম্ভব।

অন্যদিকে, মূর্তি বলতে যদি ন্যায়ের বৈধ আকারবোঝায়; এই অর্থে মূর্তি হচ্ছে দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী এমন বিন্যাস যার থেকে বৈধ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়। 

বৈধ ন্যায়ের নিয়মগুলো প্রয়োগ করলে দেখা যায়, প্রথম অর্থে ন্যায়ের যে ষোলোটি আকারের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে EE, EO, OE, OO অবৈধ, কারণ এখানে দুটি আশ্রয়বাক্যই নঞর্থক। আবার, II, IO, OI এই তিনটি আকারও অবৈধ। কারণ দুটি আশ্রয়বাক্যই বিশেষ বচন, যা বৈধ ন্যায়ের নিয়ম বহির্ভূত। আবার IE আকারও অবৈধ, কেননা সাধ্য আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হলে এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে বৈধ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয় না।

এভাবে ষোলোটি মূর্তি থেকে আটটি মূর্তি বাদ গেল। বাকি আটটি মূর্তি হল: AA, AE, AI, AO, EA, EI, IA, OA। এগুলোর মধ্যে প্রথম সংস্থানে মাত্র চারটি, দ্বিতীয় সংস্থানে চারটি, তৃতীয় সংস্থানে ছয়টি এবং চতুর্থ সংস্থানে পাঁচটি (৪ + ৪ + ৬ + ৫), সর্বমোট উনিশটি বৈধ মূর্তি পাওয়া যায়। 

প্রশ্ন ৮। প্রথম সংস্থানের বৈধমূর্তিগুলোর নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) BARBARA (AAA) 

(২) CELARENT (EAE)

(৩) DARII (AII)

(৪) FERIO (EIO)

প্রশ্ন ৯। দ্বিতীয় সংস্থানের বৈধমূর্তিগুলোর নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) CESARE (EAE)

(২) CAMESTRES (AEE)

(৩) FESTINO (EIO)

(৪) BAROCO (AOO)

প্রশ্ন ১০। তৃতীয় সংস্থানের বৈধমূর্তিগুলোর নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) DARAPTI (AAI)

(২) DATISI (AII)

(৩) DISAMIS (IAI)

(৪) FELAPTON (EAO)

(৫) BOCARDO (OAO)

(৬) FERISON (EIO)

প্রশ্ন ১১। চতুর্থ সংস্থানের বৈধমূর্তিগুলোর নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) BRAMANTIP (AAI)

(২) CAMENES (AEE) 

(৩) DIMARIS (IAI)

(৪) FESAPO (EAO)

(৫) FRESISON (EIO)

প্রশ্ন ১২। ন্যায়ের মূর্তির বিশেষ নামকরণের অর্থ কী? প্রতিটি সংস্থানের বৈধমূর্তি নির্ধারণ করো:

উত্তরঃ ন্যায়ের মূর্তির বিশেষ নামগুলোর প্রথম স্বরবর্ণ (vowel) সাধ্য আশ্রয়বাক্য, দ্বিতীয় স্বরবর্ণ পক্ষ আশ্রয়বাক্য এবং তৃতীয় স্বরবর্ণ সিদ্ধান্ত বোঝায়। 

মূর্তির তৃতীয় অর্থটি সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য।

প্রথম সংস্থানের বৈধমূর্তি নির্ধারণ:

বৈধতা নির্ণয়ের উদ্দেশ্য নিম্নোক্ত আটটি বিন্যাস বিচার করা যাক: AA, AE, AI, AO, EA, EI, IA, OA

(ক) AA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

সকল মানুষ হয় মরণশীল।

সকল কবি হয় মানুষ। 

∴ সকল কবি হয় মরণশীল।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(A) সকল S হয় M।

(A) সকল S হয় P।

উপরোক্ত ন্যায় অনুমানে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্তও সদর্থক। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য বচনের উদ্দেশ্য হওয়াতে ব্যাপ্ত এবং আশ্রয়বাক্যের অব্যাপ্ত কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। অতএব, এটি বৈধ ন্যায় এবং এটি বৈধমূর্তির নাম BARBARA।

(খ) AE সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।

(E) কোনো কুকুর নয় মানুষ। 

∴ (E) কোনো কুকুর নয় মরণশীল জীব।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(E) কোনো S নয় M।

∴ (E) কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। এখানে সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় হিসেবে অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্ত E বচনের বিধেয়রূপে ব্যবহার হওয়াতে ব্যাপ্ত। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(গ) AI সংযোগের উদাহরণ—

মূর্ত উদাহরণ

(A) সকল ধনী ব্যক্তি হয় অহংকারী।

(I) কোনো কোনো ব্যবসায়ী হয় ধনী।

∴(I) কোনো কোনো ব্যবসায়ী হয় অহংকারী।

বিমূর্ত উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(I) কোনো কোনো S হয় M।

∴(I) কোনো কোনো S হয় P।

এটি একটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্ত ও সদর্থক হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়ায় সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে এবং আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। এই ন্যায়ের বৈধ মূর্তির নাম হল— DARII।

(ঘ) AO সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল রাজা হয় ধনী।

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় রাজা।

∴ (O) কোনো কোনো মানুষ নয় ধনী।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(O) কোনো কোনো S নয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। সাধ্যপদ সিদ্ধান্তে O বচনের বিধেয়রূপে ব্যাপ্ত হয়েছে, কিন্তু আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনে বিধেয়রূপে অব্যাপ্ত। সুতরাং ন্যায়টি অবৈধ।

(ঙ) EA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ 

(E) কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী প্রাণী।

(A) সকল রাজা হয় মানুষ। 

∴ (E) কোনো রাজা নয় চতুষ্পদী প্রাণী।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(E) কোনো M নয় P।

(A) সকল S হয় P।

∴ (E) কোনো S নয় PI

এই ন্যায়টি বৈধ। কারণ, এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়েছে। আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। এই ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম CELARENTI

(চ) EI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো মানুষ নয় ভগবান।

(I) কোনো কোনো জীব হয় মানুষ।

∴ (O) কোনো কোনো জীব নয় ভগবান।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(E) কোনো M নয় P।

(I) কোনো কোনো S হয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P

এই ন্যায়টি বৈধ। এখানে ন্যায়ের কোনো নিয়মই ভঙ্গ করা হয়নি। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞথর্ক হওয়াতে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়েছে। আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত। এটির বৈধমূর্তির নাম FIERO।

(ছ) IA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ। 

(A) সকল সাধু হয় মানুষ।

∴ (I) কোনো কোনো সাধু হয় সৎ।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(I) কোনো কোনো M হয় P।

(A) সকল S হয় M।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এই ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দুষ্ট। ন্যায়ের নিয়মে হেতুপদকে অন্ততপক্ষে একবার আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হতে হয়। কিন্তু এই ন্যায়ে, হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্ত। ফলে ন্যায়টি অবৈধ।

(জ) OA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ।

(A) সকল কবি হয় মানুষ।

∴ (O) কোনো কোনো কবি নয় সৎ।

প্রতীকাত্মক উদাহরণ

(O) কোনো কোনো M নয় P।

(A) সকল S হয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এখানে অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, হেতুপদকে অন্ততপক্ষে একবার আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হতে হবে। এই ন্যায়ে হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্য। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

অতএব, প্রথম সংস্থানে মাত্র চাররকম ‘যথার্থ বা বৈধমূর্তি’ পাওয়া যায়। যথা— 

BARBARA (AAA), CELARENT (EAE), DARII (AII), FERIO (EIO)

দ্বিতীয় সংস্থানের বৈধমূর্তি নির্ধারণ:

(ক) AA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল গোরু হয় চতুষ্পদ প্রাণী।

(A) সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ প্রাণী।

∴ (A) সকল ঘোড়া হয় গোরু।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(A) সকল S হয় M।

∴ (A) সকল S হয় P।

এটি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দূষিত। ন্যায়ের নিয়মানুযায়ী, হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে অন্ততপক্ষে একবার ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু এখানে, হেতু উভয় আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্ত। অতএব, এই ন্যায়টি অবৈধ।

(খ) AE সংযোগের উদাহরণ— 

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় স্বার্থপর।

(E) কোনো গোরু নয় স্বার্থপর।

∴ (E) কোনো গোরু নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(E) কোনো S নয় M।

∴ (E) কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি বৈধ, কারণ এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক, তাই সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়েছে। আশ্রয় বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। এই ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম CAMESTRES I

(গ) AI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ।

(I) কোনো কোনো জীব হয় চতুষ্পদ।

∴(I) কোনো কোনো জীব হয় ঘোড়া।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(I) কোনো কোনো S হয় M।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এই ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দূষিত। দুটি আশ্রয়বাক্যেই সদর্থক বচন ( A এবং I) হওয়ায় হেতুপদ তাদের বিধেয়রূপে একবারও ব্যাপ্ত হয়নি। কারণ, সদর্থক বচনে বিধেয়পদ ব্যাপ্ত হয় না। অতএব, এই ন্যায়টিতে ‘হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে একবার অন্তত ব্যাপ্ত হতে হবে’ নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়েছে। অতএব, এটি অবৈধ ন্যায়।

(ঘ) AO সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ।

(O) কোনো কোনো জীব নয় চতুষ্পদ।

∴ (O) কোনো কোনো জীব নয় ঘোড়া।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P নয় M।

(O) কোনো কোনো S নয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের সব নিয়ম অনুসৃত করা হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়ায় সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে এবং একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়েছে। আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম BAROCO।

(ঙ) EA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো দেবতা নয় মরণশীল।

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল। 

∴ (E) কোনো মানুষ নয় দেবতা।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো P নয় M।

(A) সকল S হয় M।

∴ (E) কোনো S নয় P।

এখানে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। অতএব, এই ন্যায়টি বৈধ। ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম CESARE।

(চ) EI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো মানুষ নয় পূর্ণ।

(I) কোনো কোনো দেবতা নয় পূর্ণ।

∴ (O) কোনো কোনো দেবতা নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো P নয় M।

(I) কোনো কোনো S হয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি বৈধ। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়েছে। আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্য পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়নি। এই ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম FESTINO। 

(ছ) IA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় মরণশীল।

(A) সকল জীব হয় মরণশীল।

∴ (I) কোনো কোনো জীব হয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

 (I) কোনো কোনো P হয় M।

(A) সকল S হয় M।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ। কারণ, এখানে ‘হেতুপদ’ উভয় আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্ত। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, হেতুপদ অন্ততপক্ষে একটি আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হতে হবে। অতএব, এটি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ ঘটেছে।

(জ) OA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।

(A) সকল সাধু হয় জ্ঞানী।

∴ (O) কোনো কোনো সাধু নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(O) কোনো কোনো P নয় M।

(A) সকল S হয় M।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য ব্যাপ্ত হয়েছে, কিন্তু সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। ন্যায়ের নিয়মমতে, আশ্রয়বাক্যে কোনো পদ অব্যাপ্ত হয়, সিদ্ধান্তে সেই পদ ব্যাপ্ত হতে পারে না। অতএব, এটি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট।

অতএব, দ্বিতীয় সংস্থানে চারটি বৈধমূর্তি পাওয়া যায়। সেগুলো হল : CESARE (EAE), CAMESTRES (AEE), FESTINO (EIO), BAROCO (AOO)

তৃতীয় সংস্থানের বৈধমূর্তি নির্ধারণ:

(ক) AA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল গোরু হয় চতুষ্পদী প্রাণী।

(A) সকল গোরু হয় গৃহপালিত প্রাণী।

∴ (I) কোনো কোনো গৃহপালিত প্রাণী হয় চতুষ্পদী।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(A) সকল M হয় S।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। আশ্রয়বাক্য দুটি সদর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্ত সদর্থক হয়েছে। হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই ব্যাপ্ত। দুটি আশ্রয়বাক্য সামান্য হওয়ায় সিদ্ধান্ত সামান্য হতে পারত। কিন্তু সেক্ষেত্রে পক্ষপদ পক্ষ আশ্রয় বাক্য A বচনের বিধেয় রূপে অব্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত A বচনের উদ্দেশ্যরূপে ব্যাপ্ত হত এবং সেক্ষেত্রে অবৈধ পক্ষপদ দোষ ঘটত। সুতরাং সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হওয়ায় কোনো পদই ব্যাপ্ত হয়নি এবং অবৈধ সাধ্য বা পক্ষপদ দোষ ঘটারও সম্ভাবনা দেখা দেয়নি। অতএব, এটি বৈধ এবং এটির বৈধ মূর্তির নাম DARAPTI।

(খ) AE সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

(E) কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী।

∴ (E) কোনো চতুষ্পদী নয় মরণশীল।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(E) কোনো M নয় S।

∴ (E) কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। এখানে, সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। সেহেতু পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সিদ্ধান্ত নঞর্থক হওয়ায় সাধ্যপদ ব্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু সেই পদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(গ) AI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় জ্ঞানী।

∴ (I) কোনো কোনো জ্ঞানী (ব্যক্তি) হয় মরণশীল।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(I) কোনো কোনো M হয় S।

∴(I) কোনো কোনো S হয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্ত সদর্থক। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়ায় সিদ্ধান্ত বিশেষ। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত। আশ্রয়বাক্যের অব্যাপ্ত কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। কারণ সিদ্ধান্ত I বচন হওয়ায় কোনো পদই ব্যাপ্ত নয়। অতএব, এই বৈধমূর্তির নাম DATISI।

(ঘ) AO সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।

∴ (O) কোনো কোনো জ্ঞানী (ব্যক্তি) নয় মরণশীল।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল M হয় P।

(O) কোনো কোনো M নয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। এখানে, সাধ্যপদ ই বচনের বিধেয় হিসেবে ব্যাপ্ত, কিন্তু সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয়রূপে অব্যাপ্ত—যাহা ন্যায়ের নিয়ম বিরুদ্ধ। অতএব অবৈধ।

(ঙ) EA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো মানুষ নয় পূর্ণ।

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।

∴ (O) কোনো কোনো মরণশীল জীব নয় পূর্ণ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো M হয় P।

(A) সকল M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি বৈধ। এখানে সাধ্য আশ্রয়বাক্যে নঞর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হওয়াতে সিদ্ধান্ত সামান্য বচন হতে পারত। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবৈধ পক্ষপদ দোষ ঘটত। তাই সিদ্ধান্ত বিশেষ নঞর্থক বচন, সেখানে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত হয় না। হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যেই ব্যাপ্ত। অতএব, ন্যায়টি বৈধ এবং এটির নাম FELAPTON।

(চ) EI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো মানুষ নয় অমর।

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ।

∴ (O) কোনো কোনো সৎ (ব্যক্তি) নয় অমর।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো M নয় P।

(I) কোনো কোনো M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে এবং একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য ব্যাপ্ত। পক্ষপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত দুটি বচনেই অব্যাপ্ত। সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত। অতএব, এটি বৈধমূর্তি এবং এটির নাম FERISON।

(ছ) IA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় জ্ঞানী।

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

∴ (I) কোনো কোনো মরণশীল হয় জ্ঞানী।

সাংকেতিক উদাহরণ

(I) কোনো কোনো M হয় P।

(A) সকল M হয় S।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এই ন্যায়টি বৈধ। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্তও সদর্থক হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বিশেষ সদর্থক বচন হওয়ার জন্য কোনো পদই ব্যাপ্ত হয়নি। অতএব, ন্যায়টি বৈধমূর্তি এবং এটির নাম DISAMIS।

(জ) OA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

∴ (O) কোনো কোনো মরণশীল নয় জ্ঞানী।

সাংকেতিক উদাহরণ

(O) কোনো কোনো M নয় P।

(A) সকল M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়ম অনুসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। পক্ষপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই অব্যাপ্ত, সাধ্যপদ সাধ্য, আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাপ্য। অতএব, ন্যায়টির বৈধ মূর্তির নাম হল BOCARDO। 

অতএব, তৃতীয় সংস্থানে ছয়রকমের বৈধমূর্তি পাওয়া যায়। সেগুলো হল : DARAPTI (AAI), DATISI (AII), DISAMIS (IAI), FELAPTON (EAO), BOCARDO (OAO), FERISON (EIO)

চতুর্থ সংস্থানের বৈধমূর্তি নির্ধারণ:

(ক) AA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় জীব।

(A) সকল জীব হয় মরণশীল।

∴ (I) কোনো কোনো মরণশীল হয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(A) সকল M হয় S।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়মই অনুসৃত হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্তও সদর্থক হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সামান্য বলে সিদ্ধান্ত সামান্য বচন হতে পারত। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবৈধ পক্ষপদ দোষ ঘটত। অতএব, সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বিশেষ সদর্থক বচন হওয়াতে কোনো পদ ব্যাপ্ত হয়নি, সুতরাং কোনো অবৈধ দোষ ঘটেনি। ন্যায়টির বৈধমূর্তির নাম BRAMANTIP।

(খ) AE সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

(E) কোনো মরণশীল নয় নির্দোষ।

∴ (E) কোনো নির্দোষ নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(E) কোনো M নয় S।

∴ (E) কোনো S নয় P।

এখানে ন্যায়ের সকল নিয়ম অনুসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তের ব্যাপ্ত পদ আশ্রয় বাক্যেও ব্যাপ্ত হয়েছে। অতএব, এটি বৈধ ন্যায় এবং এই বৈধমূর্তির নাম CAMENES।

(গ) AI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল বুদ্ধিমান জীব হয় মানুষ।

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় জ্ঞানী।

∴ (I) কোনো কোনো জ্ঞানী হয় বুদ্ধিমান জীব।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(I) কোনো কোনো M হয় S।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এই ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দুষ্ট। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে একবার অন্তত ব্যাপ্ত হতে হয়। কিন্তু এই ন্যায়ে হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্য। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(ঘ) AO সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(A) সকল বুদ্ধিমান জীব হয় মানুষ।

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।

∴ (O) কোনো কোনো জ্ঞানী নয় বুদ্ধিমান।

সাংকেতিক উদাহরণ

(A) সকল P হয় M।

(O) কোনো কোনো M নয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি অবৈধ হেতুপদ দোষে দুষ্ট। ন্যায়ের নিয়মে, হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে অন্ততপক্ষে একবার ব্যাপ্ত হতে হয়। কিন্তু এই ন্যায়ে হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্য। সুতরাং অবৈধ।

(ঙ) EA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো মানুষ নয় অমর।

(A) সকল অমর হয় দেবতা।

∴ (O) কোনো কোনো দেবতা নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো P নয় M।

(A) সকল M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এখানে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। এখানে দুটি আশ্রয়বাক্যই সামান্য হওয়াতে সিদ্ধান্তও সামান্য হতে পারত, কিন্তু সিদ্ধান্ত সামান্য বচন হলে অবৈধ পক্ষপদ দোষ ঘটত। হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যেই ব্যাপ্ত। সাধ্যপদ সাধ্যআশ্রয় ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাপ্ত। অতএব, এই ন্যায়টি বৈধ এবং এটি বৈধমূর্তির নাম FESAPO।

(চ) EI সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(E) কোনো অমর নয় মানুষ।

(I) কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ।

∴ (O) কোনো কোনো সৎ (ব্যক্তি) নয় অমর।

সাংকেতিক উদাহরণ

(E) কোনো P নয় M।

(I) কোনো কোনো M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টি বৈধ। এখানে ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়ায় সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হয়েছে। একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। পক্ষপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই অব্যাপ্ত, আবার সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাপ্ত। অতএব, এটি বৈধ এবং এর বৈধমূর্তির নাম FRESISON।

(ছ) IA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(I) কোনো কোনো জীব হয় মানুষ।

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

∴ (I) কোনো কোনো মরণশীল হয় জীব।

সাংকেতিক উদাহরণ

(I) কোনো কোনো P হয় M।

(A) সকল M হয় S।

∴ (I) কোনো কোনো S হয় P।

এটি বৈধ ন্যায়। এখানে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হওয়াতে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হয়েছে। দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্তও সদর্থক হয়েছে। হেতুপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বিশেষ সদর্থক বচনে কোনো পদই ব্যাপ্ত না হওয়ায় অবৈধ সাধ্যপদ দোষ কিংবা অবৈধ পক্ষপদ দোষ কোনোটাই ঘটেনি। এটির বৈধমূর্তির নাম DIMARIS।

(জ) OA সংযোগের উদাহরণ—

বাস্তব উদাহরণ

(O) কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী।

(A) সকল সুখী (ব্যক্তি) হয় ধার্মিক।

∴ (O) কোনো কোনো ধার্মিক নয় মানুষ।

সাংকেতিক উদাহরণ

(O) কোনো কোনো P নয় M।

(A) সকল M হয় S।

∴ (O) কোনো কোনো S নয় P।

এই ন্যায়টিতে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, আশ্রয়বাক্যে কোনো পদ অব্যাপ্ত থাকলে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত, কিন্তু এখানে সাধ্য আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত। ফলে ন্যায়টি অবৈধ ।

অতএব, চতুর্থ সংস্থানে পাঁচ রকমের বৈধমূর্তি পাওয়া যায়। সেগুলো হল: BRAMANTIP (AAI), CAMENES (AEE), DIMARIS (IAI), FESAPO (EAO), FRESISON (EIO)

অতিরিক্ত মিশ্র প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের দুটি বিশেষ নিয়ম নিম্নরূপ:

(ক) সাধ্য আশ্রয়বাক্যটি সার্বিক/সামান্য বচন হতে হবে।

(খ) পক্ষ আশ্রয়বাক্যটি সদর্থক হতে হবে ।

প্রশ্ন ২। ন্যায়ের দ্বিতীয় সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ ন্যায়ের দ্বিতীয় সংস্থানের দুটি বিশেষ নিয়ম নিম্নরূপ:

(ক) সাধ্য আশ্রয়বাক্যটি সামান্য/সার্বিক বচন হতে হবে। 

(খ) যে-কোনো একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হতে হবে।

প্রশ্ন ৩। ন্যায়ের তৃতীয় সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ ন্যায়ের তৃতীয় সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো নিম্নরূপ:

(ক) পক্ষ আশ্রয়বাক্য অবশ্যই সদর্থক বচন হতে হবে।

(খ) সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হতে হবে।

প্রশ্ন ৪। ন্যায়ের চতুর্থ সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ন্যায়ের চতুর্থ সংস্থানের বিশেষ নিয়মগুলো নিম্নরূপ: 

(ক) সাধ্য আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে, পক্ষ আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হবে।

(খ) পক্ষ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে, সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হবে। 

(গ) কোনো একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে, আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হবে।

প্রশ্ন ৫। ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ন্যায়ের প্রথম সংস্থানে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়:

(ক) অ্যারিস্টটলের ‘Dictum de Omni et nullo’ -এ Statement Concerning all and none (যজ্জাতি বিধেয়ম্ তদ্ব্যক্তি বিধেয়ম্) সূত্রটি একমাত্র প্রথম সংস্থানের ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষভাবে প্রযোজ্য, যে কারণে ন্যায়ের প্রথম সংস্থানকে ‘পূর্ণ (Perfect) সংস্থান’ বলে।

(খ) কেবল প্রথম সংস্থানেই A বচন সিদ্ধান্তরূপে পাওয়া যায়।

(গ) কেবল প্রথম সংস্থানেই A, E, I এবং O —এই চার প্রকার বচনের বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।

(ঘ) একমাত্র প্রথম সংস্থানে পক্ষপদ ও সাধ্যপদ আশ্রয়বাক্যে ও সিদ্ধান্তে, দু’জায়গাতেই যথাক্রমে উদ্দেশ্য ও বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ৬। ন্যায়ের প্রথম সংস্থানকে কেন পূর্ণ সংস্থান বলা হয়?

উত্তরঃ অ্যারিস্টটলের ‘Dictum de Omni et nullo’ বা ‘Statement concerning all and none’ কেবলমাত্র ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয় বলে ন্যায়ের প্রথম সংস্থানকে পূর্ণ (perfect) সংস্থান বলা হয়।

অ্যারিস্টটলের মতে, যদি কোনো বিধেয়পদ কোনো বিশেষ শ্রেণির ক্ষেত্রে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত হয় এবং এই শ্রেণিবাচক উদ্দেশ্য পদটি যদি ব্যাপ্ত হয়, তাহলে সেই পদ সেই শ্রেণিবাচক পদের অন্তর্গত যে-কোনো বস্তু বা ব্যক্তির ক্ষেত্রেও যথাক্রমে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত হবে। যথা—

(ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল। (A)

সকল রাজা হয় মানুষ। (A)

∴ সকল রাজা হয় মরণশীল। (A)

এখানে ‘মরণশীল’ এই বিধেয়পদটি সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য শ্রেণিবাচক পদ ‘মানুষের’ ক্ষেত্রে স্বীকৃত হওয়ায় এবং ‘মানুষ’ পদ A বচনের উদ্দেশ্যরূপে ব্যাপ্ত হওয়াতে ‘সকল রাজা’ যারা মানুষ শ্রেণির অন্তর্গত, তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়েছে (সিদ্ধান্ত)। আবার,

(খ) সকল মানুষ নয় পূর্ণ। (E)

সকল রাজা হয় মানুষ। (A)

∴ কোনো রাজা নয় পূর্ণ। (E)

এখানে ‘পূর্ণ’ বিধেয় পদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ নামক শ্রেণিবাচক পদের ক্ষেত্রে অস্বীকৃত হয়েছে। ‘মানুষ’ শ্রেণিবাচক পদটি E বচনের উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যাপ্ত। তাই ‘পূর্ণ’ এই পদটি ‘মানুষ’ শ্রেণির অন্তর্গত ‘সকল রাজার’ ক্ষেত্রেই অস্বীকৃত হয়েছে (সিদ্ধান্তে)। 

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top