Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XI Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Medium Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Class 11 Logic and Philosophy in Bengali textbooks Solution Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রশ্ন ৭। অ্যারিস্টটলের সূত্র ‘Dictum de Omni et nullo’ থেকে কী কী নিয়ম পাওয়া যায়? 

উত্তরঃ অ্যারিস্টটলের ‘Dictum de Omni et nullo’ সূত্রটি থেকে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো পাওয়া যায়:

(ক) এই সূত্রটি অনুযায়ী ন্যায় অনুমানে তিনটি পদ থাকতে হবে।

(খ) এই সূত্র অনুসারে প্রত্যেক ন্যায়ে তিনটি বচন থাকতে হবে।

(গ) এই সূত্র মতে, হেতুপদ আশ্রয়বাক্যে একবার অন্তত ব্যাপ্ত হতে হবে।

(ঘ) যদি সাধ্য আশ্রয়বাক্যে সাধ্যপদ অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সিদ্ধান্তে তা ব্যাপ্ত হবে না। একইভাবে, পক্ষপদ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকলে তা সিদ্ধান্তে অব্যাপ্ত হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারবে না।

(ঙ) এই সূত্রানুসারে, কোনো কথা যদি সাধ্য আশ্রয়বাক্যে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাহলে সেই কথা সিদ্ধান্তে স্বীকার বা অস্বীকার করা হবে। এটা থেকে নিয়ম পাওয়া গেল যে, যদি একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হয়।

(চ) এই সূত্রানুযায়ী, একটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হবে, কারণ কোনো ব্যক্তি বা বস্তুসমূহকে কোনো শ্রেণির অংশ হিসেবে স্বীকার করা হয়। অর্থাৎ, এই নিয়মটি পাওয়া গেল—দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হতে পারবে না।

(গ), (ঘ), (ঙ) এবং (চ)-এর সংযুক্ত ফল হিসেবে আমরা ন্যায়ের অন্য নিয়মগুলো পাই। তাই অ্যারিস্টটটলের সূত্রটিকে সকল প্রকার নিরপেক্ষ ন্যায়ের ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন ৮। ন্যায়ের বৈধতা কীভাবে বিচার করা হয়?

উত্তরঃ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করতে গেলে প্রথমেই যুক্তিটিকে নিয়মসম্মতভাবে বিন্যস্ত করতে হয়।

(ক) প্রথমেই সিদ্ধান্তটি নির্ণয় করতে হয়। সিদ্ধান্ত নির্ণয় করতে গেলে সিদ্ধান্ত নির্দেশক শব্দ বা শব্দসমূহ দেখে নির্ণয় করতে হয়। সিদ্ধান্তের পূর্বে সাধারণত কতকগুলো শব্দ ব্যবহার করা হয়, যেমন— ‘অবশ্য’, ‘সুতরাং’, ‘অতএব’, ‘সেই কারণে’, ‘এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়’ ইত্যাদি।

(খ) ন্যায়ের গঠন অনুসারে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যপদটি পক্ষপদ এবং সিদ্ধান্তের বিধেয়পদটি সাধ্য পদ। অতএব, পক্ষপদটি যে বাক্যে থাকে, তাকে পক্ষ আশ্রয়বাক্য এবং সাধ্যপদটি যে বাক্যে থাকে, তাকে সাধ্য আশ্রয়বাক্য হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। তাছাড়াও আশ্রয়বাক্যের পূর্বে বা মধ্যে কতকগুলো নির্দেশক শব্দ থাকে, যথা— ‘যেমন’, ‘কারণ’, ‘কেননা’, ‘সেহেতু’, ‘আর’, ‘এবং’ ইত্যাদি। এই শব্দ বা শব্দসমূহ দেখে আশ্রয়বাক্য নির্ধারণ করা যায়।

(গ) যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত বিন্যাসের জন্য প্রথমে সাধ্য আশ্রয়বাক্য এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্যের জন্য উপরে জায়গা রেখে সিদ্ধান্তটি ‘∴’ চিহ্ন দিয়ে যথার্থ তর্কবাক্য হিসেবে লিখতে হবে।

(ঘ) এইভাবে, প্রথমে সাধ্য আশ্রয়বাক্য, তারপর পক্ষ আশ্রয়বাক্য এবং শেষে সিদ্ধান্ত—এইভাবে যুক্তিটিকে বিন্যস্ত করতে হবে। ন্যায়ের প্রতিটি বচনকেই যথার্থ তর্কবাক্য বা তর্কীয় বচন হিসেবে লিখতে হবে। প্রত্যেক বচনের পাশে (ডানপাশে বা বামপাশে) বচনটি A না E না I না O সেই প্রতীকচিহ্ন বসাতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি বচনের পাশে গুণ ও পরিমাণের চিহ্ন বসাতে হবে।

(ঙ) এভাবে যুক্তিটিকে বিন্যস্ত করার পর ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না তা দেখতে হবে। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেই দোষের জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ নাম উল্লেখ করতে হবে।

(চ) ন্যায়ের সকল নিয়ম অনুসৃত হলে, যুক্তিটি বৈধ হয়। কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হলে, যুক্তিটি অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। 

(ছ) যুক্তি বৈধ হলে তার সংস্থান এবং মূর্তি উল্লেখ করতে হয়। অবৈধ হলে অবৈধতার কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়।

প্রশ্ন ৯। লুপ্তাবয়ব (Enthymeme) ন্যায় বলতে কী বোঝো? 

উত্তরঃ ন্যায়ের আকার সম্পর্কে একটি নিয়ম হল, ন্যায়ের অবয়বে তিনটি বচন থাকতে হবে। কিন্তু তাকে অনেক সময় যুক্তি বা অনুমানটি এমনভাবে প্রকাশ করা হয় যে, কখনও সাধ্য আশ্রয়বাক্য লুপ্ত থাকে। কখনও পক্ষ আশ্রয়বাক্য লুপ্ত থাকে, কখনও সিদ্ধান্ত লুপ্ত থাকে, কখনও বা একটিমাত্র বাক্যের মাধ্যমে সমস্ত অনুমানটি প্রকাশ করা হয়। এভাবে ন্যায়ের সম্পূর্ণ অর্থটি বোধগম্য হয়। এই জাতীয় ন্যায়কে ‘লুপ্তাবয়ব ন্যায়’ বলে।

প্রশ্ন ১০। লুপ্তাবয়ব (Enthymeme) ন্যায়ের পর্যায়গুলি কী কী?

উত্তরঃ লুপ্তাবয়ব ন্যায়ের চারটি পর্যায় হয়:

(ক) প্রথম পর্যায়ের লুপ্তাবয়ব ন্যায়ে সাধ্য আশ্রয়বাক্য লুপ্ত থাকে। যেমন—’রাধাকৃষ্ণণ একজন পণ্ডিত ব্যক্তি কারণ তিনি একজন দার্শনিক।’ 

ন্যায়টির সম্পূর্ণ রূপ হল (তর্কবিজ্ঞানসম্মত): 

(A) সকল দার্শনিকরা হয় পণ্ডিত ব্যক্তি।

(A) রাধাকৃষ্ণণ হন একজন দার্শনিক।

∴ (A) রাধাকৃষ্ণণ হন একজন পণ্ডিত ব্যক্তি।

(খ) দ্বিতীয় পর্যায়ের লুপ্তাবয়ব ন্যায়ে পক্ষ আশ্রয়বাক্য লুপ্ত থাকে। যেমন— ‘সকল মানুষই মরণশীল, অতএব, রামও মরণশীল।’

এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত পূর্ণ প্রকাশিত রূপ: 

(A) সকল মানুষ হয় মরণশীল।

(A) রাম হয় মানুষ।

∴ (A) রাম হয় মরণশীল।

(গ) তৃতীয় পর্যায়ের লুপ্তাবয়ব ন্যায়ে সিদ্ধান্ত লুপ্ত থাকে। যেমন—’সকল দার্শনিকরা তর্কবিদ্ আর রাধাকৃষ্ণণ একজন দার্শনিক।’

(A) সকল দার্শনিকরা হন তর্কবিদ।

(A) রাধাকৃষ্ণণ হন একজন দার্শনিক।

∴ (A) রাধাকৃষ্ণণ হন একজন তর্কবিদ।

(ঘ) চতুর্থ পর্যায়ের লুপ্তাবয়ব ন্যায়ে একটিমাত্র বাক্যের মাধ্যমে সম্পূর্ণ যুক্তিকে প্রকাশ করা হয়। যেমন—

প্রদত্ত ন্যায়—’সে এত দুর্বল যে সে হাঁটতে পারে না।’ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল:

(E) কোনো দুর্বল ব্যক্তি নয় এমন ব্যক্তি যে হাঁটতে পারে।

(A) সে হয় একজন দুর্বল ব্যক্তি।

∴ (E) সে নয় এমন ব্যক্তি যে হাঁটতে পারে।

প্রশ্ন ১১। “ন্যায়ের প্রথম সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্যটি সার্বিক বচন হতে হবে।”—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ন্যায়ের প্রথম সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্যটি যদি সামান্য বা সার্বিক বচন না হয়, তাহলে তা বিশেষ বচন হবে। প্রথম সংস্থানে হেতুপদ সাধ্যআশ্রয়বাক্যে উদ্দেশ্য এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্যে বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাজেই সাধ্য আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হলে হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত হবে। ন্যায়ের নিয়ম মতে, হেতুপদ দুটি আশ্রয়বাক্যের একটিতে অন্তত ব্যাপ্ত হতে হবে। কাজেই হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত না হওয়ায় পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হতে হবে। পক্ষ আশ্রয়বাক্যে হেতুপদ বিধেয়, তাই পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হবে, কারণ নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত হয়। পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সদর্থক হবে। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে, কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয় না। পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে, সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে। সিদ্ধান্ত নঞর্থক হওয়ায় তার বিধেয়পদ ব্যাপ্ত হবে। কিন্তু সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত নয়, কারণ সাধ্য আশ্রয়বাক্য বিশেষ সদর্থক বচনে কোনো পদই ব্যাপ্ত হয় না। ফলে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটবে।

এই কারণে প্রথম সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সর্বদাই সামান্য বা সার্বিক বচন হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ১২। ‘পক্ষ আশ্রয়বাক্যটি সদর্থক হতে হবে।’—প্রথম সংস্থানের এই নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পক্ষ আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক না হয়, তাহলে সেটি নঞর্থক হবে। তাই এ ক্ষেত্রে সাধ্য আশ্রয়বাক্যকে সদর্থক হতে হবে। এই সংস্থানে সাধ্যপদ যেহেতু আশ্রয়বাক্যের বিধেয়, সেইহেতু সাধ্যপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হতে পারবে না। যদি তাই হয়, তাহলে সিদ্ধান্তেও তা ব্যাপ্ত হতে পারবে না। কিন্তু পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হতে বাধ্য। অর্থাৎ, সেখানে সাধ্যপদ ব্যাপ্য হতে বাধ্য। তাই পক্ষ আশ্রয়বাক নঞর্থক হতে পারে না। সদর্থক হতে বাধ্য ।

প্রশ্ন ১৩। ‘দ্বিতীয় সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সামান্য হতে হবে’—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ দ্বিতীয় সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্য ‘সামান্য’ না হলে ‘বিশেষ’ বচন হবে। দ্বিতীয় সংস্থানে সাধ্যপদটি সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য। তাই সাধ্য আশ্রয়বাক্য ‘বিশেষ’ হলে সাধ্যপদ ব্যাপ্য হবে না। অতএব, সিদ্ধান্তের বিধেয়ও ব্যাপ্য হতে পারবে না, কারণ, সিদ্ধান্তের বিধেয় হল ‘সাধ্যপদ’। অতএব, সিদ্ধান্তটি সদর্থক বাক্য হবে, কারণ সদর্থক বচনের বিধেয়পদ অব্যাপ্য। সিদ্ধান্ত সদর্থক হলে উভয় আশ্রয়বাক্যকেই সদর্থক হতে হবে। কিন্তু তাহলে হেতুপদটি কোনো আশ্রয়বাক্যেই ব্যাপ্য হতে পারবে না, কারণ এই সংস্থানে হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যেই বিধেয়। অতএব, সাধ্য আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে, ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ’ ঘটবে। সেজন্য, সাধ্য আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হতে বাধ্য ।

প্রশ্ন ১৪। ‘দ্বিতীয় সংস্থানে একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হতে হবে’—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ একমাত্র নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় এবং দ্বিতীয় সংস্থানে ‘হেতুপদ’ উভয় আশ্রয় বাক্যেরই বিধেয়। তাই দুটি আশ্রয় বাক্য সদর্থক হলে ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ ঘটবে। অতএব, এই সংস্থানে একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হতে বাধ্য। 

প্রশ্ন ১৫। ‘তৃতীয় সংস্থানে পক্ষ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হতে বাধ্য’।—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো। 

উত্তরঃ যদি পক্ষ আশ্রয়বাক্য তৃতীয় সংস্থানে সদর্থক না হয়ে নঞর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে এবং সাধ্য আশ্রয়বাক্য সদর্থক হবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নঞর্থক হলে সাধ্যপদ ব্যাপ্য হবে, কিন্তু সাধ্য আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়ায় সাধ্যপদ ব্যাপ্য হতে পারবে না। এই সংস্থানে সাধ্যপদটি সাধ্য আশ্রয় বাক্যের বিধেয়। পক্ষ আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে ‘অবৈধ সাধ্যপদ’ দোষ ঘটে। অতএব, তৃতীয় সংস্থানে পক্ষ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ১৬। ‘তৃতীয় সংস্থানে সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হবে।’—এই নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কারণ, সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পক্ষ পদটি পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হতে পারে না, কেননা এই সংস্থানে পক্ষ পদটি পক্ষ আশ্রয়বাক্যের বিধেয় এবং প্রথম নিয়মানুযায়ী পক্ষ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হতে হবে। অতএব, এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত, বিশেষ না হয়ে সামান্য হলে ‘অবৈধ পক্ষপদ দোষ’ ঘটে। অতএব, তৃতীয় সংস্থানে সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ১৭। ‘চতুর্থ সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে পক্ষ আশ্রয়বাক্য সামান্য হতে বাধ্য’— নিয়মটি প্রমাণ করো।

উত্তরঃ কারণ, চতুর্থ সংস্থানে হেতুপদটি সাধ্য আশ্রয়বাক্যের বিধেয় এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য। ফলে, আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সেখানে হেতুপদটি ব্যাপ্য হবে না এবং তাহলে সেটি পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হতে হবে। অতএব, পক্ষ আশ্রয়বাক্য ‘সামান্য’ হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ১৮। ‘চতুর্থ সংস্থানে পক্ষ আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্ত বিশেষ হতে বাধ্য’—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কারণ, পক্ষপদটি যেহেতু চতুর্থ সংস্থানে পক্ষ আশ্রয়বাক্যের বিধেয় সেইহেতু পক্ষ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে পক্ষপদটি আশ্রয়বাক্যে ‘অব্যাপ্য’ থাকবে। আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্য থাকলে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না এবং যেহেতু পক্ষপদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য সেজন্য সিদ্ধান্ত ‘বিশেষ’ বচন হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ১৯। ‘চতুর্থ সংস্থানে যদি একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হয়, তাহলে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হবে।’—এই বিশেষ নিয়মটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যদি একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হয়, তাহলে সাধ্য আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হবে। কারণ, একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে, সিদ্ধান্ত নঞর্থক হলে সাধ্যপদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হবে, তখন আশ্রয়বাক্যে সেই পদ ব্যাপ্য হতে হবে। চতুর্থ সংস্থানে সাধ্য আশ্রয়বাক্যে সাধ্যপদটি যেহেতু উদ্দেশ্য, সেহেতু সাধ্য আশ্রয়বাক্যে সামান্য হতে হবে।

প্রশ্ন ২০। নিম্নলিখিত যুক্তিগুলোর বৈধতা নির্ণয় করো।

অথবা,

নিম্নের যুক্তিগুলো বৈধ না অবৈধ নির্ণয় করো।

(১) পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। অতএব, চন্দ্র সূর্যের চারদিকে ঘোরে।

উত্তরঃ ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

পৃথিবী হয় একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে। (A) 

চন্দ্র হয় একটি উপগ্রহ যা পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে। (A)  

∴ চন্দ্র হয় একটি উপগ্রহ যা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ, কারণ এখানে ‘চতুষ্পদ দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে প্রত্যেক ন্যায় অনুমানে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে—তার বেশিও নয়, কমও নয়। কিন্তু এই ন্যায়ে তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ আছে। সেগুলো হল— 

(১) পৃথিবী। 

(২) একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে।

(৩) চন্দ্র। 

(৪) একটি উপগ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে।

(২) প্রতিটি মুরগি থেকে ডিম হয়। প্রতিটি ডিমের থেকে মুরগি হয়। অতএব, ডিমের জন্ম হয় ডিম থেকে।

উত্তরঃ ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল মুরগি হয় এমন প্রাণী যাদের ডিম থেকে জন্ম হয়।(A)

সকল ডিম হয় এমন বস্তু যাদের মুরগি থেকে জন্ম হয়। (A)

∴ সকল ডিম হয় এমন বস্তু যাদের ডিম থেকে জন্ম হয়। (A)

এই ন্যায়টি চতুষ্পদ দোষে দুষ্ট। ন্যায়ের নিয়ম মতে, প্রতিটি ন্যায় অনুমানে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে তার বেশিও নয়, কমও নয়। 

কিন্তু এখানে তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ আছে—

(১) মুরগি। 

(২) এমন প্রাণী যাদের ডিম থেকে জন্ম হয়।

(৩) ডিম।

(৪) এমন বস্তু যাদের মুরগি থেকে জন্ম হয়। অতএব ন্যায়টি অবৈধ।

(৩) সেনাধ্যক্ষ সৈন্য পরিচালনা করেন। সেনাধ্যক্ষের স্ত্রী সেনাধ্যক্ষকে পরিচালনা করেন। সুতরাং সেনাধ্যক্ষের স্ত্রী সৈন্য পরিচালনা করেন।

উত্তরঃ যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সেনাধ্যক্ষ হন একজন ব্যক্তি যিনি সৈন্য পরিচালনা করেন। (A) 

সেনাধ্যক্ষের স্ত্রী হন একজন ব্যক্তি যিনি সেনাধ্যক্ষকে পরিচালনা করেন। (A) 

∴ সেনাধ্যক্ষের স্ত্রী হন একজন ব্যক্তি যিনি সৈন্য পরিচালনা করেন। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘চতুষ্পদ দোষ’ ঘটেছে। বৈধ ন্যায়ের নিয়মানুসারে প্রত্যেক ন্যায়ে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকে। কিন্তু উপরোক্ত যুক্তিটিতে তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ পাওয়া যায়— 

(১) সেনাধ্যক্ষ।

(২) একজন ব্যক্তি যিনি সৈন্য পরিচালনা করেন।

(৩) সেনাধ্যক্ষের স্ত্রী। 

(৪) একজন ব্যক্তি যিনি সেনাধ্যক্ষকে পরিচালনা করেন।

(৪) তিনি অন্ধবিশ্বাসী নন, কারণ অশিক্ষিতরা অন্ধবিশ্বাসী আর তিনি অশিক্ষিত নন।

উত্তরঃ যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল অশিক্ষিতরা হন অন্ধবিশ্বাসী। (A)

তিনি নন অশিক্ষিত। (E)

∴ তিনি নন অন্ধবিশ্বাসী (E)

এই ন্যায়টিতে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, যদি কোনো পদ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারবে না। এখানে, সাধ্যপদ ‘অন্ধবিশ্বাসী’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়েছে। অতএব, যুক্তিটি অবৈধ।

(৫) প্লেটো অ্যারিস্টটলের শিক্ষক। সক্রেটিস প্লেটোর শিক্ষক। অতএব সক্রেটিস অ্যারিস্টটলের শিক্ষক।

উত্তরঃ যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

প্লেটো হন অ্যারিস্টটলের শিক্ষক। (A) 

সক্রেটিস হন প্লেটোর শিক্ষক। (A)

∴ সক্রেটিস হন অ্যারিস্টটলের শিক্ষক। (A)

এই ন্যায়টি দোষযুক্ত। এখানে ‘চতুষ্পদী দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, প্রত্যেক ন্যায় অনুমানে শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে। কিন্তু এই ন্যায়টিতে আমরা তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ পাই। সেগুলো হল— 

(১) প্লেটো।

(২) অ্যারিস্টটলের শিক্ষক।

(৩) সক্রেটিস। ও 

(৪) প্লেটোর শিক্ষক। অতএব, যুক্তিটি অবৈধ।

(৬) সে অবশ্যই ভীরু, কেননা সে অসৎ এবং কেবলমাত্র অসৎ লোকেরাই ভীরু হয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল ভীরু প্রকৃতির লোকেরা হয় অসৎ লোক। (A)

সে হয় অসৎ লোক। (A)

∴ সে হয় ভীরু প্রকৃতির লোক। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। কারণ এখানে ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, প্রত্যেক ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যের অন্ততপক্ষে একটিতে ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘অসৎ লোক’ দুটি আশ্রয়বাক্যেই অব্যাপ্ত।

(৭) জন পরীক্ষায় পাস করবে, কারণ সে বুদ্ধিমান এবং কেবলমাত্র বুদ্ধিমান ছেলেরাই পরীক্ষায় পাস করে।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল ব্যক্তি যারা পরীক্ষায় পাস করে তারা হয় বুদ্ধিমান। (A) 

জন হয় বুদ্ধিমান। (A)

∴ জন হয় একজন ব্যক্তি যে পরীক্ষায় পাস করবে। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে। বৈধ ন্যায়ের নিয়মমতে, হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যের অন্ততপক্ষে একটিতে ব্যাপ্ত হতে হয়। কিন্তু এই যুক্তিটিতে হেতুপদ ‘বুদ্ধিমান’ দুটি আশ্রয়বাক্যেই ‘A’ বচনের বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হওয়ায় ব্যাপ্ত হয়নি। সেজন্য, ন্যায় অনুমানটি দোষযুক্ত।

(৮) কেবলমাত্র গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই মদ তৈরি হয়। স্পেন একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। সুতরাং এখানেও মদ তৈরি হয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল দেশ যেখানে মদ তৈরি হয়, হয় গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। (A)

স্পেন হয় একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। (A) 

∴ স্পেন হয় এমন দেশ যেখানে মদ তৈরি হয়। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যের অন্ততপক্ষে একটিতে ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু ন্যায় অনুমান হেতুপদ ‘গ্রীষ্মপ্রধান দেশ’ দুটি আশ্রয়বাক্যেই ‘A’ বচনের বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হওয়ায় অব্যাপ্ত।

(৯) আমি মানুষ। সে আমি নয়। সুতরাং সে মানুষ নয়। 

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

আমি হই মানুষ। (A) 

সে নয় আমি। (E)

∴ সে নয় মানুষ। (E)

এই যুক্তিটি অবৈধ। ন্যায়টিতে অবৈধ সাধ্যপদ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, যদি কোনো পদ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারে না। এই যুক্তিটিতে সাধ্যপদ ‘মানুষ’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়ায় অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘E’ বচনের বিধেয় হওয়ায় ব্যাপ্ত। সেজন্য ন্যায়টি দোষযুক্ত।

(১০) ভারতের অন্তর্গত অসম। অসমের অন্তর্গত নয় মুম্বাই। অতএব, ভারতের অন্তর্গত নয় মুম্বাই।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

অসম নয় ভারতের অন্তর্গত। (A)

মুম্বাই নয় অসমের অন্তর্গত। (E)

∴ মুম্বাই নয় ভারতের অন্তর্গত। (E)

এই যুক্তিটি ‘চতুষ্পদী দোষে দুষ্ট’। ন্যায়ের নিয়মমতে, প্রতিটি ন্যায় তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে। এখানে, তিনটির পরিবর্তে 

চারটি পদ আছে। সেগুলো হল:

(১) অসম। 

(২) ভারতের অন্তর্গত। 

(৩) মুম্বাই। 

(৪) অসমের অন্তর্গত। 

অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(১১) মানুষ পাপী। সন্ন্যাসীরাও মানুষ। সুতরাং সন্ন্যাসীরা পাপী।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো মানুষ হয় পাপী। (I)

সকল সন্ন্যাসীরা হয় মানুষ। (A)

∴ কোনো কোনো সন্ন্যাসীরা হয় পাপী। (I)

এই ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দুষ্ট। বৈধ ন্যায়ের নিয়মমতে হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যের একটিতে অন্ততপক্ষে ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘মানুষ’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘I’ বচনের উদ্দেশ্য এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের বিধেয়পদ হওয়াতে অব্যাপ্ত। সুতরাং, এই ন্যায়টি অবৈধ।

(১২) তিনি নিশ্চয় একজন পণ্ডিত। কারণ তিনি মননশীল। আর সকল পণ্ডিতই মননশীল।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল পণ্ডিত হন মননশীল। (A)

তিনি হন মননশীল। (A)

∴ তিনি হন একজন পণ্ডিত। (A)

এই ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে দুষ্ট। বৈধ ন্যায়ের নিয়মানুসারে, হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যের একটিতে অন্ততপক্ষে ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘মননশীল’ উভয় আশ্রয়বাক্যেই ‘A’ বচনের বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য অব্যাপ্ত। সুতরাং, এই ন্যায়টি অবৈধ।

(১৩) কেবল জড়পদার্থই আকৰ্ষিত হয়। আলো আকৰ্ষিত হয় না। অতএব আলো জড়পদার্থ নয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল আকৰ্ষিত বস্তু হয় জড়পদার্থ। (A)

আলো নয় আকর্ষিত বস্তু। (E)

∴ আলো নয় জড়পদার্থ। (E)

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। বৈধ ন্যায়ের নিয়মানুযায়ী, আশ্রয়বাক্যে যদি কোনো পদ অব্যাপ্ত থাকে, সিদ্ধান্তে সেই পদ ব্যাপ্ত হতে পারে না। এক্ষেত্রে সাধ্য আশ্রয়বাক্যে সাধ্যপদ ‘জড়পদার্থ’ ‘A’ বচনের বিধেয়পদ হওয়ার জন্য অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্তে সাধ্যপদ ‘E’ বচনের বিধেয় হওয়ার দরুন ব্যাপ্ত। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ

(১৪) কেবল ধার্মিকরা সুখী। সে নয় সুখী। সুতরাং সে নয় ধার্মিক। 

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক। (A)

সে নয় সুখী। (E)

∴ সে নয় ধার্মিক। (E)

এই ন্যায়টি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট। বৈধ ন্যায়ের নিয়মানুসারে, আশ্রয়বাক্যে যদি কোনো পদ অব্যাপ্ত থাকে, সিদ্ধান্তে সেই পদ ব্যাপ্ত হতে পারে না। এক্ষেত্রে সাধ্য আশ্রয়বাক্যে সাধ্যপদ ‘ধার্মিক’ ‘A’ বচনের বিধেয়পদ হওয়ার জন্য অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্তে এই পদ ‘E’ বচনের বিধেয় হওয়ার দরুন ব্যাপ্ত। অতএব যুক্তিটি অবৈধ।

(১৫) সে পাগল হতে পারে না, কারণ সে শিক্ষিত নয় এবং কিছু কিছু শিক্ষিত লোকেরা পাগল।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো শিক্ষিত লোক হয় পাগল। (I)

সে নয় শিক্ষিত। (E)

∴ সে নয় পাগল (E)

এই যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, আশ্রয়বাক্যের কোনো অব্যাপ্ত পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘পাগল’ সাধ আশ্রয়বাক্যের ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়াতে অব্যাপ্ত। কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘E’ বচনের বিধেয়রূপে ব্যাপ্ত হয়েছে, কারণ ‘E’ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয়পদই ব্যাপ্ত। অতএব, যুক্তিটি অবৈধ।

(১৬) আমরা মোটরগাড়ির ওপর নির্ভরশীল। আমাদের মোটরগাড়ি গাড়িচালকের উপরে নির্ভরশীল। সুতরাং আমরা গাড়িচালকের ওপর নির্ভরশীল।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

আমাদের মোটরগাড়ি হয় গাড়িচালকের উপর নির্ভরশীল। (A)

আমরা হই মোটরগাড়ির ওপর নির্ভরশীল। (A)

∴ আমরা হই গাড়িচালকের উপর নির্ভরশীল। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘চতুষ্পদী দোষ’ ঘটেছে। ন্যায় এর নিয়মানুযায়ী, প্রত্যেকটি ন্যায়ে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে, তার বেশিও নয়, কমও নয়। এই যুক্তিটিতে তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ পাই। সেগুলো হল: 

(১) আমাদের মোটরগাড়ি। 

(২) গাড়িচালকের উপর নির্ভরশীল। 

(৩) আমরা। 

(৪) মোটরগাড়ির ওপর নির্ভরশীল।

(১৭) সে পরীক্ষায় কৃতকার্য হবে। কারণ, সে একজন বুদ্ধিমান ছাত্র। আর কেবল বুদ্ধিমান ছাত্রেরাই পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারে।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল ব্যক্তি যারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারে তারা হয় বুদ্ধিমান ছাত্র। 

(A) সে হয় বুদ্ধিমান ছাত্র। (A)

∴ সে হয় এমন ব্যক্তি যে পরীক্ষায় কৃতকার্য হবে। (A)

এখানে অব্যাপ্য হেতুপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, আশ্রয়বাক্যে হেতুপদটিকে একবার অন্তত ব্যাপ্ত হতে হবে। কিন্তু এই ন্যায়ে হেতুপদ ‘বুদ্ধিমান ছাত্র’ উভয় আশ্রয়বাক্যেই ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়ার জন্য অব্যাপ্ত। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(১৮) অনেক শিক্ষক এ বছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। আমাদের প্রধানশিক্ষক এ বছর জাতীয় পুরস্কার পাননি। অতএব, তিনি শিক্ষক নন। 

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো শিক্ষক হন এমন ব্যক্তি যারা এবছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। (I)

আমাদের প্রধানশিক্ষক নন এমন ব্যক্তি যিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। (E)

∴ আমাদের প্রধানশিক্ষক নন শিক্ষক। (E) 

এই ন্যায়টিতে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, আশ্ৰয়বাক্যে কোনো পদ অব্যাপ্ত থাকে, সিদ্ধান্তে সেই পদ ব্যাপ্ত হতে পারে না। এখানে সাধ্যপদ ‘শিক্ষক’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যের ‘I’ বচনের উদ্দেশ্য হওয়াতে অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘E’ বচনের বিধেয় হওয়াতে ব্যাপ্ত। অতএব যুক্তিটি অবৈধ।

(১৯) কুকুর বিশ্বস্ত প্রাণী এবং তারা মাংস খায়। অতএব, মাংসাশী প্রাণীমাত্রেই বিশ্বস্ত।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ: 

সকল কুকুর হয় বিশ্বস্ত প্রাণী। (A)

সকল কুকুর হয় মাংসাশী প্রাণী। (A)

∴ সকল মাংসাশী প্রাণী হয় বিশ্বস্ত প্রাণী। (A)

এই যুক্তিটি অবৈধ পক্ষপদ দোষে দুষ্ট। বৈধ ন্যায়ের নিয়মমতে, যদি কোনো পদ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারবে না। এই যুক্তিটিতে পক্ষপদ ‘মাংসাশী প্রাণী’ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়াতে অব্যাপ্ত। কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘A’ বচনের উদ্দেশ্যরূপে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য ব্যাপ্ত হয়েছে। কারণ ‘A’ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্ত, কিন্তু বিধেয় পদ অব্যাপ্ত। অতএব যুক্তিটি অবৈধ।

(২০) যেহেতু সকল চতুষ্পদ জীবই জন্তু এবং কোনো পাখিই চতুষ্পদী নয়, সুতরাং সিদ্ধান্ত করা যায় যে পাখি জন্তু নয়।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল চতুষ্পদ জীব হয় জন্তু। (A) 

কোনো পাখি নয় চতুষ্পদ জীব। (E)

∴ কোনো পাখি নয় জন্তু। (E)

এখানে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, যদি কোনো পদ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারে না। এই যুক্তিটিতে, সাধ্যপদ ‘জন্তু’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত, কিন্তু সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত। অতএব, যুক্তিটি অবৈধ।

(২১) তিনি নিশ্চয় হিন্দু। কারণ তিনি শিবপূজা করেন। আর কেবল হিন্দুরাই শিবপূজা করে।

উত্তরঃ এই তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল:

সকল ব্যক্তি যারা শিব পূজা করেন তারা হন হিন্দু। (A)

তিনি হন এমন ব্যক্তি যে শিবপূজা করেন। (A)

∴ তিনি হন হিন্দু। (A)

এই যুক্তিটিতে ন্যায়ের কোনো নিয়মই লঙ্ঘন করা হয়নি। দুটি আশ্রয়বাক্যেই সদর্থক হওয়াতে সিদ্ধান্তও সদর্থক। হেতুপদ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের উদ্দেশ্য হওয়াতে ব্যাপ্ত এবং আশ্রয়বাক্যের অব্যাপ্ত কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হয়নি। অতএব, এই ন্যায়টি বৈধ। এটি প্রথম সংস্থানের বৈধমূর্তি BARBARA।

(২২) কোনো ডানাযুক্ত প্রাণী কুকুর নয় এবং কুকুর মাত্রেই চতুষ্পদী। অতএব, কোনো চতুষ্পদী নয় ডানাযুক্ত প্রাণী।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো ডানাযুক্ত প্রাণী নয় কুকুর। (E)

সকল কুকুর হয় চতুষ্পদী। ( A )

∴ কোনো চতুষ্পদী হয় ডানাযুক্ত প্রাণী। (E)

এই ন্যায়টি অবৈধ। বৈধ ন্যায়ের নিয়মমতে, যদি কোনো পদ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্ত থাকে। তাহলে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্ত হতে পারে না। এখানে পক্ষপদ ‘চতুষ্পদী’ পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়াতে অব্যাপ্ত। কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘E’ বচনের উদ্দেশ্য হওয়ার জন্য ব্যাপ্ত হয়েছে। অতএব যুক্তিটি অবৈধ পক্ষপদ দোষে দুষ্ট।

(২৩) কোনো মানুষ চতুষ্পদী নয় এবং সকল মানুষ জীব। সুতরাং কোনো জীব চতুষ্পদী নয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী। (E)

সকল মানুষ হয় জীব। (A)

∴ কোনো জীব নয় চতুষ্পদী। (E)

এই যুক্তিটিতে ‘অবৈধ পক্ষপদ দোষ’ ঘটেছে।

(২৪) সে চাকুরিটির জন্য উপযুক্ত। কারণ সে স্নাতক। আর কেবল স্নাতকেরাই এই চাকুরিটির জন্য উপযুক্ত।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল ব্যক্তি যারা এই চাকুরিটির জন্য উপযুক্ত তারা হয় স্নাতক। (A)

সে হয় স্নাতক। (A)

∴ সে হয় এমন ব্যক্তি যে চাকুরিটির জন্য উপযুক্ত। (A)

এই যুক্তিটি অবৈধ। এখানে ‘অব্যাপ্ত হেতুপদ’ দোষ ঘটেছে।

(২৫) সকল শিক্ষিত লোকই বুদ্ধিমান। যেহেতু তিনি শিক্ষিত নন, সুতরাং তিনি বুদ্ধিমান নন।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল শিক্ষিত লোক হয় বুদ্ধিমান। (A)

তিনি নন শিক্ষিত। (E)

∴ তিনি নন বুদ্ধিমান। (E)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এটি অবৈধ সাধ্যপদ দোষে দুষ্ট।

(২৬) কোনো মানুষ পূর্ণ নয়, সকল মানুষই জীব। অতএব, কোনো জীবই পূৰ্ণ নয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো মানুষ নয় পূর্ণ। (E)

সকল মানুষ হয় জীব। (A)

∴ কোনো জীবই নয় পূর্ণ। (E)

এই যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যপদ দোষ আছে। অতএব, এটি অবৈধ।

(২৭) সূর্য করদাতা নয়, কেননা, সূর্য প্রজা নয় এবং সকল করদাতাই প্রজা।

উত্তরঃ ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ :

সকল করদাতা হয় প্রজা। (A)

সূর্য নয় প্রজা (E)

∴ সূর্য নয় করদাতা (E)

এই ন্যায়টিতে দ্ব্যর্থক বা অনেকার্থক সাধ্যপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, একটি ন্যায়ে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকে। এই নিয়মে, যদি একটি ন্যায় অনুমানে কোনো পদ দুই ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাহলে অনেকার্থক দোষ ঘটে। এখানে সাধ্যপদ ‘করদাতা’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘রাজস্বদাতা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘করদাতা’ শব্দটির অর্থ কিরণদাতা। অতএব, যুক্তিটি অবৈধ।

(২৮) কোনো কোনো মানুষ পাপী। মুনিরাও মানুষ সুতরাং মুনিরাও পাপী।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো মানুষ হয় পাপী। (I)

সকল মুনিরা হয় মানুষ। (A)

∴ কোনো কোনো মুনিরা হয় পাপী। (I)

এই ন্যায়টি অবৈধ হেতুপদ দোষে দুষ্ট। ন্যায়ের নিয়মমতে, হেতুপদটি দুটি আশ্রয়বাক্যের অন্ততপক্ষে একটিতে ব্যাপ্ত হতে হবে। এখানে, হেতুপদ ‘মানুষ’ সাধ্য আশ্রয়বাক্য I বচনের উদ্দেশ্যে এবং পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ‘A’ বচনের বিধেয় হওয়ার দরুন উভয়ক্ষেত্রেই অব্যাপ্য। সুতরাং যুক্তিটি অবৈধ।

(২৯) ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ পাপ সৃষ্টি করেছে। অতএব, ঈশ্বর পাপ সৃষ্টি করেছেন।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো মানুষ হয় এমন ব্যক্তি যারা পাপ সৃষ্টি করেছে। (I)

ঈশ্বর হন এমন একজন যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। (A)

∴ ঈশ্বর হন এমন একজন যিনি পাপ সৃষ্টি করেছেন। (A)

এই যুক্তিটিতে ‘চতুষ্পদী দোষ’ ঘটেছে। অতএব ন্যায়টি অবৈধ। এখানে চারটি পদ হল: 

(ক) মানুষ।

(খ) ঈশ্বর।

(গ) এমন ব্যক্তি যারা পাপ সৃষ্টি করেছে। 

(ঘ) এমন একজন যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন।

(৩০) সে হয় অন্ধ, কারণ সকল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি হয় অন্ধ এবং সে হয় একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি হয় অন্ধ। (A)

সে হয় একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি। (A)

∴ সে হয় অন্ধ। (A)

এখানে ‘দ্ব্যর্থক’ বা ‘অনেকার্থক সাধ্যপদ দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মানুসারে, একটি ন্যায়ে শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে। যদি ন্যায়ের তিনটির পদের মধ্যে যে-কোনো একটি পদ একাধিক অর্থবাচক হয়, তাহলে ‘অনেকার্থক দোষ’ ঘটবে। এখানে সাধ্যপদ ‘অন্ধ’ দুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সিদ্ধান্তে ’অন্ধ’ শব্দটির অর্থ ‘দৃষ্টিশক্তিহীন’, কিন্তু সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘অন্ধ’ শব্দটির অর্থ ‘নির্বিচার’ অর্থাৎ, যে বিচার করে না। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(৩১) সে হয় ধনী এবং সে হয় দাস। সুতরাং কোনো দাস নয় ধনী।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সে নয় ধনী। (E)

সে হয় দাস। (A)

∴ কোনো দাস নয় ধনী। (A)

এখানে দ্ব্যর্থক বা অনেকার্থক পক্ষপদ দোষ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, একটি ন্যায় অনুমানে শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে। যদি ন্যায়ের তিনটি পদ থাকবে। যদি ন্যায়ের তিনটি পদের মধ্যে যে-কোনো একটি পদ একাধিক অর্থবাচক হয়, তাহলে ‘অনেকার্থক দোষ’ ঘটে। এখানে পক্ষপদ ‘দাস’ দুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। পক্ষ আশ্রয়বাক্যে ‘দাস’ শব্দটি ‘পদবি’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্তে ‘দাস’ শব্দটির অর্থ ক্রীতদাস বা ভৃত্য। অতএব ন্যায়টি অবৈধ।

(৩২) কোনো রাজাই গরিব নয়; কিন্তু সব রাজাই মানুষ, সুতরাং কোনো মানুষ গরিব নয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো রাজা নয় গরিব। (E)

সকল রাজা হয় মানুষ। (A)

∴ কোনো মানুষ নয় গরিব। (E)

এই ন্যায়টিতে ‘অবৈধ পক্ষপদ দোষ’ ঘটেছে।

(৩৩) পুস্তকটি টেবিলের উপরে আছে। টেবিলটি মাটির উপরে আছে। সুতরাং পুস্তকটি মাটির উপরে আছে।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

টেবিলটি হয় এমন বস্তু যা মাটির উপরে আছে। (A)

পুস্তকটি হয় এমন বস্তু যা টেবিলের উপরে আছে। (A)

∴ পুস্তকটি হয় এমন বস্তু যা মাটির উপরে আছে। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘চতুষ্পদী দোষ’ ঘটেছে।

(৩৪) শিব অবশ্যই চৌর্যবৃত্তি, কেননা শিব হলেন হর এবং হর হল চৌর্যবৃত্তি।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

হর হয় চৌর্যবৃত্তি। (A)

শিব হন হর। (A)

∴ শিব হল চৌর্যবৃত্তি। (A)

এই যুক্তিটিতে ‘দ্ব্যর্থক বা অনেকার্থক হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়মমতে, একটি ন্যায় অনুমানে তিনটি পদ থাকবে। ন্যায় অনুমানের তিনটি পদের মধ্যে কোনো পদ দুটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারবে না। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘হর’ দুটি আশ্রয়বাক্যে দুই ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ‘হর’ শব্দের অর্থ ‘হরণ বা চুরি করা’, কিন্তু পক্ষ আশ্রয় বাক্যে ‘হর’ শব্দের অর্থ হল ‘মহাদেব’। অতএব, ন্যায়টি অবৈধ।

(৩৫) কোনো মানুষ পশু নয়। কোনো দেবদূত মানুষ নয়। অতএব, কোনো দেবদূত পশু নয়।

উত্তরঃ এই ন্যায়টির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো মানুষ নয় পশু। (E)

কোনো দেবদূত নয় মানুষ। (E)

∴ কোনো দেবদূত নয় পশু। (E)

এই যুক্তিটি অবৈধ। এখানে নঞর্থক হেতুবাক্যজনিত দোষ’ ঘটেছে। কারণ, ন্যায়ের নিয়মমতে, দুটি নঞর্থক হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয় না। এই ন্যায়টিতে দুটি আশ্রয়বাক্যই নঞর্থক। সেজন্য এটি অবৈধ।

(৩৬) সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। কারণ, সে পরিশ্রমী এবং কেবল পরিশ্রমীরাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল ব্যক্তি যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে তারা হয় পরিশ্রমী। (A)

সে হয় পরিশ্রমী। (A)

সে হয় একজন ব্যক্তি যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। (A)

এই যুক্তিটি ‘অব্যাপ্য হেতুপদ দোষে’ দূষিত। সুতরাং, এটি অবৈধ।

(৩৭) সকল মানুষ পরিশ্রমী নয়, কিন্তু সে পরিশ্রমী। তাই সে মানুষ হতে পারে না।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো কোনো মানুষ নয় পরিশ্রমী। (O)

সে হয় পরিশ্রমী। (A)

∴ সে নয় মানুষ। (E)

এই ন্যায়টি ‘অবৈধ সাধ্যপদ দোষে’ দুষ্ট। সুতরাং, এটি অবৈধ।

(৩৮) শব্দ দেখা যায় না। কোনো রঙ শব্দ নয়। অতএব, কোনো রঙ দৃশ্য বস্তু নয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

কোনো শব্দ নয় দৃশ্যবস্তু। (E)

কোনো রঙ নয় শব্দ। (E)

∴ কোনো রঙ নয় দৃশ্যবস্তু। (E)

এই ন্যায়টিতে ‘নঞর্থক হেতুবাক্যজনিত দোষ’ ঘটেছে।

(৩৯) কেবলমাত্র জড়বস্তুই আকৰ্ষিত হয়। বায়ু আকর্ষিত হয়। অতএব, বায়ু জড়বস্তু।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল আকৰ্ষিত বস্তু হয় জড়বস্তু। (A)

বায়ু হয় আকর্ষিত বস্তু। (A)

∴ বায়ু হয় জড়বস্তু। (A)

এই ন্যায়টিতে ন্যায় অনুমানের সকল নিয়ম অনুসৃত হয়েছে। সুতরাং, যুক্তিটি বৈধ। এটি প্রথম সংস্থানের বৈধমূর্তি এবং মূর্তির নাম BARBARA।

এখানে দুটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হওয়ায় সিদ্ধান্তও সদর্থক হয়েছে। হেতুপদ ‘আকৰ্ষিত বস্তু’ সাধ্য আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্ত হয়েছে। পক্ষপদ ‘বায়ু’ পক্ষ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাপ্ত হয়েছে।

(৪০) রাম নিশ্চয় সুখী। কারণ, তিনি একজন ধার্মিক লোক এবং কেবলমাত্র ধার্মিক লোকেরাই সুখী হয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল সুখী (ব্যক্তি) হয় ধার্মিক লোক। (A)

রাম হন একজন ধার্মিক লোক। (A)

∴ রাম হয় সুখী। (A)

এই যুক্তিটি বৈধ। এখানে ‘অবৈধ হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে। 

(৪১) অ্যারিস্টটল একজন বিখ্যাত তর্কবিজ্ঞানী ছিলেন। কারণ, তিনি একজন দার্শনিক ছিলেন এবং সব বিখ্যাত তর্কবিদই দার্শনিক।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল বিখ্যাত তর্কবিজ্ঞানী হল দার্শনিক। (A)

অ্যারিস্টটল হন একজন দার্শনিক। (A)

∴ অ্যারিস্টটল হন একজন বিখ্যাত তর্কবিজ্ঞানী। (A)

এই যুক্তিটি অবৈধ। এখানে ‘অবৈধ হেতুপদ দোষ’ ঘটেছে।

(৪২) একমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরাই সৎ। কেবলমাত্র সৎ ব্যক্তিরা সুখী হয়। অতএব, কেবলমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরা সুখী হয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল সৎ ব্যক্তিরা হয় জ্ঞানী ব্যক্তি। (A)

সকল সুখী ব্যক্তিরা হয় সৎ ব্যক্তি। (A)

∴ সকল সুখী ব্যক্তিরা হয় জ্ঞানী ব্যক্তি। (A)

এই যুক্তিটিতে ন্যায় অনুমানের সকল নিয়ম অনুসৃত হয়েছে। সুতরাং, যুক্তিটি বৈধ। এটি প্রথম সংস্থানের বৈধমূর্তি এবং মূর্তির নাম BARBARA।

(৪৩) ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই, কারণ ঈশ্বর প্রত্যক্ষগোচর নন আর অস্তিত্বশীল বস্তু প্রত্যক্ষগোচর হয়।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

সকল অস্তিত্বশীল বস্তু হয় প্রত্যক্ষগোচর। (A)

ঈশ্বর নন প্রত্যক্ষগোচর। (E)

∴ ঈশ্বর নন অস্তিত্বশীল। (E)

এই যুক্তিটি বৈধ। এখানে ন্যায়ের সকল নিয়ম অনুসৃত হয়েছে। কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। এটি দ্বিতীয় সংস্থানের বৈধমূর্তি CAMESTRES।

(৪৪) আমার হাতটি টেবিলটি স্পর্শ করেছে। টেবিলটি মেঝে স্পর্শ করেছে। সুতরাং আমার হাতটি মেঝে স্পর্শ করেছে।

উত্তরঃ এই যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ:

টেবিলটি হয় এমন যা মেঝে স্পর্শ করেছে। (A)

আমার হাতটি হয় এমন যা টেবিলটি স্পর্শ করেছে। (A)

∴ আমার হাতটি হয় এমন যা মেঝে স্পর্শ করেছে। (A)

এই ন্যায়টি অবৈধ। এখানে ‘চতুষ্পদী দোষ’ ঘটেছে। ন্যায়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ন্যায়ে তিনটি এবং শুধুমাত্র তিনটি পদ থাকবে, তার বেশিও নয়, কমও নয়। কিন্তু এই যুক্তিটিতে তিনটির পরিবর্তে চারটি পদ পাই। সেগুলো হল: 

(১) টেবিলটি। 

(২) এমন যা মেঝে স্পর্শ করেছে।

(৩) আমার হাতটি।

(৪) এমন যা টেবিলটি স্পর্শ করেছে।

We Hope the given একাদশ শ্রেণীর তর্কবিজ্ঞান ও দর্শন will help you. If you any Regarding Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Question and Answers, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

FAQs

Question: Where I can get Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Notes in Bengali Chapter Wise?

Answer: You can get Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Notes in Bengali Chapter Wise On Roy Library. For every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly.

Question: Which is the best Site to get Assam Board Class 11 Logic and Philosophy Solutions in Bengali?

Answer: Roy Library is a genuine and worthy of trust site that offers reliable information regarding Assam Board Class 11 Logic and Philosophy Solutions in Bengali.

Question: How can students use the solutions for exam preparation?

Answer: Students can use the solutions for the following:

  • Students can use solutions for revising the syllabus.
  • Students can use it to make notes while studying.
  • Students can use solutions to understand the concepts and complete the syllabus.

IMPORTANT NOTICE

We have uploaded this Content by Roy Library. You can read-write and Share your friend’s Education Purposes Only. Please don’t upload it to any other Page or Website because it is Copyrighted Content.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top