Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? solutions are free to use and easily accessible.
Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question in Bengali The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.
প্রশ্ন ১১। ভারতের সংবিধানের যে কোনো দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের দুইটি বৈশিষ্ট্য হল নিম্নরূপঃ
(ক) ভারতের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান।
(খ) ভারতে দুই ধরনের সরকার আছে। সমগ্র দেশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক রাজ্যের জন্য পৃথক রাজ্য সরকার।
প্রশ্ন ১২। ব্রিটিশ সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের যে কোনো দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ ব্রিটিশ সংবিধান হতে গৃহীত বৈশিষ্ট্য দুইটি হল নিম্নরূপঃ
(ক) সংসদীয় পদ্ধতির সরকার।
(খ) আইনের শাসন (Rule of law) – এর ধারণা।
প্রশ্ন ১৩। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের যে কোনো দুইটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান হতে গৃহীত দুইটি বৈশিষ্ট্য হল নিম্নরূপঃ
(ক) নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।
(খ) ন্যায়ালয়ের স্বাধীনতা।
প্রশ্ন ১৪। কানাডার সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের যে কোনো দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ কানাডার সংবিধান হতে গৃহীত বৈশিষ্ট্য দুইটি নিম্নরূপঃ
(ক) আংশিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধারণা।
(খ) অবশিষ্ট ক্ষমতার (residuary power) – র ধারণা।
প্রশ্ন ১৫। একটি আদর্শ সংবিধানের যে কোন দুইটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আদর্শ সংবিধানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দুইটি নিম্নরূপঃ
(ক) সংবিধানের ভাষা পরিষ্কার, প্রাঞ্জল ও যথাযথ হওয়া উচিত।
(খ) সংবিধানের নমনীয় ও অনমনীয় প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ১৬। কেন ভারতের সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি তারিখে বলবৎ করা হয়েছিল।
উত্তরঃ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২৬শে জানুয়ারি দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্য হিসাবে ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ হিসাবে প্রথম সমগ্র ভারতে উদযাপন করা হয়। তাই ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৫০ সালের ওই দিনেই সংবিধান বলবৎ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই দিনটি প্রতি বছর গণতন্ত্র (প্রজাতন্ত্র) দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।
প্রশ্ন ১৭। কেন সংবিধানের প্রয়োজন?
অথবা,
সংবিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ নিম্নোক্ত কারণসমূহের জন্য সংবিধানপ্রয়োজনঃ
(ক) সংবিধানে প্রয়োজনীয় মৌলিক নিয়মনীতি রচনা করা হয় যার মাধ্যমে সরকার গঠন হয় এবং সরকার ক্ষমতা লাভ করে।
(খ) সংবিধান সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে যাতে বিভাগগুলোর কার্যপ্রণালী সরল হয়।
(গ) সংবিধান জনগণের পক্ষে সরকারের কার্যপ্রণালী নিয়ন্ত্রণ করে।
(ঘ) সংবিধান নাগরিকের স্বাধীনতা ও অধিকারগুলোর সুরক্ষা প্রদান করে।
প্রশ্ন১৮। প্রজাতন্ত্র (Republic) বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তরঃ প্রজাতন্ত্র বা গণরাজ্য হলো এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা, যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান হলেন জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন। তিনি বংশানুক্রমিক বা উত্তরাধিকার সূত্রে রাষ্ট্রপ্রধান হন না। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি পরোক্ষভাবে ভারতের জনগণ কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। সুতরাং ভারতবর্ষ একটি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র।
প্রশ্ন ১৯। সংবিধান সভার (গণ পরিষদের) যে কোনো চারজন সদস্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ (ক) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।
(খ) ড. বি. আর. আম্বেদকর।
(গ) পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
(ঘ) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ।
প্রশ্ন ২০। ভারতের সংবিধানের খসড়া কমিটির যেকোনো চারজন সদস্যের নাম লেখো।
উত্তরঃ (ক) ড. বি. আর আম্বেদকর (সভাপতি)।
(খ) এন. গোপালাস্বামী আয়েঙ্গার (সদস্য)।
(গ) এ. কৃষ্ণাস্বামী আয়ার (সদস্য)।
(ঘ) কে. এম. মুন্সী (সদস্য)।
প্রশ্ন ২১। ভারতের সংবিধানের যেকোনো দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (ক) ভারতের সংবিধান দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান।
(খ) ভারতের সংবিধান নমনীয়তা এবং অনমনীয়তার সংমিশ্রণ।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সংবিধান সভা বা গণপরিষদের গঠন ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ কেবিনেট মিশন (Cabinet Mission)-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী সংবিধান সভা বা গণ পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে এই গণ পরিষদ গঠিত হয়। ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক আইনসভার প্রতিনিধিগণ দ্বারা ২৯২ জন সদস্য নির্বাচিত হন। প্রতি দশলক্ষ জনসংখ্যায় একজন প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। ৯৩জন সদস্য দেশীয় রাজ্যগুলির রাজা কর্তৃক মনোনীত হন। গণ পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৮৯ জন। নির্বাচনে কংগ্রেস ২১১টি আসনে এবং মুসলিম লীগ ৭৩টি আসনে জয়লাভ করে। সমগ্র ভারতের জন্য একটি সংবিধান রচনা করাই ছিল গণপরিষদের মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন ২। ভারতের সংবিধান অন্যান্যদেশের সংবিধান অনুকরণ করে রচনা করা হয়েছিল। উক্তিটির সত্যতা বিচার করো।
উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের অধিকাংশ অনুচ্ছেদগুলি বিভিন্ন দেশের সংবিধান অনুকরণ করে রচিত হয়েছে।
এর পক্ষে প্রধান যুক্তিগুলিনিম্নরূপঃ
(ক) সংসদীয় ব্যবস্থা, আইনের শাসন, এককেন্দ্রীক উপাদান ব্যবস্থা ও অন্যান্য কতিপয় বৈশিষ্ট্য ব্রিটিশ সংবিধান হতে গ্রহণ করা হয়েছে।
(খ) সংবিধানের প্রস্তাবনা, মৌলিক অধিকার, বিচারালয়ের প্রাধান্যতা প্রভৃতি বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান হতে গ্রহণ করা হয়েছে।
(গ) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতিগুলো আয়ারল্যাণ্ডের সংবিধান হতে গ্রহণ করে আমাদের সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
(ঘ) জরুরিকালীন অবস্থা সংক্রান্ত বিষয়টি জার্মানির সংবিধান হতে গৃহীত হয়েছে।
তবে ভারতীয় সংবিধানের নিজস্বতা (originality) রয়েছে।
প্রশ্ন ৩। সংবিধানের খসড়া কমিটি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?
অথবা,
সংবিধানের খসড়া কমিটি গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ১৬ই মে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই গণ পরিষদ ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয়। ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ গণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। গণ পরিষদে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আটটি মুখ্য কমিটি ছিল। ড. বি. আর. আম্বেদকরের সভাপতিত্বে সাত সদস্য – বিশিষ্ট একটি খসড়া কমিটি গঠিত হয়েছিল। এই খসড়া কমিটি সংবিধান রচনা করে যা ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে ভারতীয় সংবিধান। কার্যকরী করা হয়। এই ২৬শে জানুয়ারি দিনটি প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ৪। কখন ভারতের সংবিধান সংবিধান সভা বা গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল? কখন এই সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল?
উত্তরঃ ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর সংবিধান সভা (গণ পরিষদ) কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি এই সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল।
প্রশ্ন ৫। সংবিধান রচনার সঙ্গে জড়িত সংবিধান সভার বিভিন্ন কমিটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ গণপরিষদে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মুখ্য আটটি কমিটি ছিল। নিয়মনীতি, দিশা নির্ণয়, পরামর্শ, খসড়া, কেন্দ্রীয় বিষয়সমূহ, কেন্দ্রীয় সংবিধান, প্রাদেশিক সংবিধান, রাজ্যগুলি সম্পর্কিত বিষয় প্রভৃতির উপর আলোকপাত করার জন্য এই কমিটিগুলি গণ পরিষদে সৃষ্টি করা হয়েছিল। ড. বি. আর. আম্বেদকরের সভাপতিত্বে সাত সদস্য – বিশিষ্ট একটি খসড়া কমিটি গঠিত হয়েছিল। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের কমিটি সমূহের প্রধানরূপে ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, সর্দার প্যাটেল, ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, এবং মৌলানা আজাদের মতো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রশ্ন ৬। ভারতের সংবিধানে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোন দেশের সংবিধান কেবলমাত্র একটি পরিষদ বা সভা কর্তৃক রচিত হয় না। ভারতীয় গণপরিষদের সদস্যদের সহমতে ভারতের সংবিধান রচিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জন্য ভারতীয় সংবিধানের মূল নীতি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছিল। বছরের পর বছর সংবিধানের রীতিনীতি নিয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় নানা ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয় যার সঙ্গে সংবিধান রচনার অনেক সামাস্য আছে। আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত সাংবিধানিক আকৃতি ও গঠন যার দ্বারা সমাজের অসমতা দূর করা সম্ভব – এই বিষয়ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে আলোচিত হয়েছিল। জাতীয়বাদী আন্দোলনের নেতৃবর্গের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত হয়েছে। উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় সকলের মধ্যে সহমত সৃষ্টি করেছিল। এই প্রস্তাব জওহরলাল নেহরু গণপরিষদে উত্থাপন করেছিলেন। এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করেই ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে লিপিবন্ধ করা হয়। এই মৌলিক নীতিগুলি হল সমতা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সাৰ্বভৌমত্ব ও বিশ্ব নাগরিকত্বের অস্তিত্ব। তাই ভারতীয় সংবিধান কেবলমাত্র কতিপয় নিয়ম নীতি নিয়ে গঠিত নয়। এটি জনগণের সম্মুখে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় নেতৃবৃন্দের প্রদত্ত বহু প্রতিশ্রুতির সার্থক রূপায়ণ।
প্রশ্ন ৭। ভারতের সংবিধানকে জীবন্ত দলিল হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয় কেন?
অথবা,
“ভারতীয় সংবিধান যেন একটি জীবন্ত দলিল’ – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ব্রিটিশ সংবিধানের মতো ভারতের সংবিধানও একটি জীবন্ত দলিল। আমাদের সংবিধান সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে সর্বদাই পরিবর্তিত হয়েছে। সংবিধানের কার্যকারিতায় অনেক নমনীয়তা পরিলক্ষিত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি হতে কার্যকরী হয়। সাংবিধানিক আইন ও সংবিধান সম্পর্কিত বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত সমূহ, প্রচলিত রীতিনীতি এবং সর্বোপরি সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি আমাদের সংবিধানকে জীবন্ত দলিলরূপে আখ্যা দিতে সহায়তা করেছে। ভারতের সামাজিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর সঙ্গে আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ব্যতীত অন্যান্য অংশের উপযুক্ত পরিবর্তনও সাধিত হচ্ছে। তাই ভারতের সংবিধানকে জীবন্ত দলিল রূপে আখ্যা দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংবিধানের বিধিগত ক্ষমতার ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বিশ্বের অধিকাংশ সংবিধানই লিপিবদ্ধ। কিন্তু এই লিপিবদ্ধ সংবিধানসমূহ প্রায় সময়ই কেবল শব্দ ভাণ্ডারে পরিণত হয় যা ব্যক্তির জীবনে কোন ধরনের প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয় না। ভারতীয় সংবিধান দেশ ও ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
এর প্রধান কারণ সমূহ নিম্নরূপঃ
(ক) সংবিধানের রীতিনীতির প্রকার ঘোষণাঃ ভারতের সংবিধান প্রণেতাগণ জনসাধারণের উন্নতি ও তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহের রীতিনীতি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন।
(খ) সংবিধানের স্থায়ী ব্যবস্থাঃ প্রত্যেক নাগরিকের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য সংবিধানে সুস্পষ্ট স্থায়ী ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে।
(গ) প্রতিষ্ঠানের ভারসাম্যের নমুনাঃ ভারতীয় সংবিধান সমানভাবে সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি সমর্থন করেছে। বিচক্ষণ ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দ্বারা ভারতীয় সংবিধানে প্রতিষ্ঠানগুলির ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও স্বাধীন বিধিবদ্ধ কাঠামো যেমন – নির্বাচন আয়োগ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে।
উপরোক্ত উপাদানগুলি ভারতের সংবিধানের ক্ষমতাকে কার্যকরী করতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন ৯। সংবিধানের যেকোনো দুইটি সংজ্ঞা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ লর্ড ব্রাইসের মতে, “সংবিধান হল আইনের ভিত্তিতে সংঘটিত একটি রাজনৈতিক সমাজের কাঠামো।”
গিলক্রিস্টের মতে, “সংবিধান গঠিত হয় কতকগুলি লিখিত নিয়ম ও আইন নিয়ে, যেগুলি সরকারের গঠন ও নীতি নির্ধারণ করে, যার উপর সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করে।”
প্রশ্ন ১০। একটি আদর্শ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলি কীরূপ হওয়া উচিত?
উত্তরঃ একটি আদর্শ সংবিধানের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য থাকা উচিতঃ
(ক) সংবিধানের ভাষা পরিষ্কার ও সঠিক হওয়া উচিত।
(খ) সংবিধান বিশদভাবে বর্ণিত হওয়া উচিত।
(গ) অকারণে সংবিধান দীর্ঘ হওয়া উচিত নয়।
(ঘ) সংবিধান পূর্ণরূপে নমনীয় বা অনমনীয় হওয়া উচিত নয়। সংবিধানে নমনীয়তা ও অনমনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য থাকা উচিত।
প্রশ্ন ১১। সংবিধানের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তরঃ প্রত্যেক রাষ্ট্রেই সংবিধান থাকে। সংবিধান বাতীত রাষ্ট্রের কোন অস্তিত্ব নেই। সংবিধান সরকারের কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করে এবং জনগণের স্বার্থে সরকারের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সংবিধানই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের উপর ন্যস্ত করে। সংবিধান নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলির স্বীকৃতি প্রদান করে। সংবিধানই সরকারকে স্বৈরাচারী হতে বাধা দেয়। সুতরাং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে সংবিধানের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন ১২। সংবিধানের চারটি কার্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ সংবিধানের চারটি কার্য নিম্নরূপঃ
(ক) সংবিধানের প্রথম কার্য হল, প্রয়োজনীয় মৌলিক নিয়মনীতি রচনা করে তাঁর মাধ্যমে সকলের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখা।
(খ) সংবিধানের দ্বিতীয় কার্য হল সমাজে কার উপর কোন দায়িত্ব ন্যস্ত হবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া। এটির মাধ্যমে সরকার কিভাবে গঠিত হবে তা স্থির করা হবে।
(গ) সংবিধানের তৃতীয় কার্য হল, কিভাবে সরকার জনসাধারণের উপর বিধি – নিষেধ আরোপ করবে তা নির্দিষ্ট করা।
(ঘ) সংবিধানের চতুর্থ কার্য হল জনগণের সকল আশা – আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য এবং সঠিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সরকারকে ক্ষমতা প্রদান করা।
প্রশ্ন ১৩। লিখিত এবং অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো?
উত্তরঃ লিখিত এবং অলিখিত সংবিধানের মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ:
(ক) লিখিত সংবিধান সাধারণত সংবিধান পরিষদ বা সংবিধান সভা দ্বারা লিপিবন্ধ ও বিধিবদ্ধ হয়। কিন্তু অলিখিত সংবিধান লিপিবন্ধ বা বিধিবন্ধ করা হয় না। সংবিধানের মূল ভিত্তি হল প্রচলিত প্রথা ও নিয়মনীতি। এটি দীর্ঘ ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
(খ) লিখিত সংবিধান দলিল আকারে থাকে। কিন্তুু অলিখিত সংবিধানের এইরূপ কোন নির্দিষ্ট আকার নেই।
(গ) লিখিত সংবিধান সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করে দেয়। কিন্তুু অলিখিত সংবিধান সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দেয় না।
(ঘ) লিখিত সংবিধান সাধারণত দুষ্পরিবর্তনীয় হয়। কিন্তুু অলিখিত সংবিধান সুপরিবর্তনীয় হয়।
প্রশ্ন ১৪। নমনীয় ও অনমনীয় সংবিধানের প্রভেদগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ নমনীয় ও অনমনীয় সংবিধানের প্রভেদগুলি নিম্নরূপঃ
(ক) নমনীয় সংবিধান সহজ পদ্ধতিতে আইনসভার সাধারণ সংখ্যাধিক্যে সংশোধন করা যায়। কিন্তুু অনমনীয় সংবিধান সংশোধন করতে হলে আইনসভার বিশেষ সংখ্যাধিক্যের প্রয়োজন হয়।
(খ) নমনীয় সংবিধানে স্থিতিশীলতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু অনমনীয় সংবিধান স্থিতিশীল।
(গ) নমনীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি সহজ ও সরল। কিন্তুু অনমনীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি জটিল।
(ঘ) নমনীয় সংবিধান এককেন্দ্রীক সরকারের ক্ষেত্রে উপযোগী। কিন্তু অনমনীয় সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে উপযোগী।
প্রশ্ন ১৫। নমনীয় ও অনমনীয় সংবিধান ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সংশোধন প্রণালীর উপর ভিত্তি করে কোন সংবিধান নমনীয় বা অনমনীয় হয়। যে সংবিধানের সংশোধন প্রণালী অত্যন্ত সহজ এবং সরল সেই সংবিধানকে নমনীয় আখ্যা দেওয়া হয়। ইংল্যাণ্ডের সংবিধান নমনীয়। এই সংবিধান সংশোধন করার জন্য পার্লামেন্টের কোন বিশেষ সংখ্যাধিক্যের প্রয়োজন হয় না। ইংল্যাণ্ডের পার্লামেন্ট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারে।
অনমনীয় সংবিধান বলতে সেই সংবিধানকে বোঝায় যা সংশোধন করতে একটি জটিল পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনমনীয়। একটি জটিল পদ্ধতির মাধ্যমে এই সংবিধান সংশোধন করা হয়।
প্রশ্ন ১৬। মন্ত্রী মিশনের যেকোনো চারটি সুপারিশ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মন্ত্রী মিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত চারটি হল অন্যতম প্রধানঃ
(ক) ভারতের ভবিষ্যৎ সংবিধান রচনার জন্য একটি ‘সংবিধান সভা’ গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
(খ) ভারতের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য একটি অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
(গ) পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব বাতিল করার সুপারিশ করা হয়।
(ঘ) প্রাদেশিক আইনসভাগুলোতে জাতি ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব করা হয়।
প্রশ্ন ১৭। সংবিধানের প্রস্তাবনা বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রস্তাবনার অর্থ হল মুখবন্ধ। প্রত্যেক সংবিধান তার একটি নিজস্ব দার্শনিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রস্তাবনায় সংবিধানের ক্ষমতার উৎস এবং তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়। সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি সংবিধান প্রণেতাগণকে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্রের রূপরেখা অংকন করতে উৎসাহ দান করে। প্রস্তাবনায় গণতান্ত্রিক প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটে। প্রস্তাবনাকে সংবিধানের চাবিকাঠি বলা হয়।
প্রশ্ন ১৮। প্রস্তাবনার গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তরঃ সংবিধানে প্রস্তাবনার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রস্তাবনায় সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত শাসন কর্তৃপক্ষ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের উপর ন্যস্ত ক্ষমতাগুলির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা থাকে। সংবিধানের প্রতিটি অংশের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে প্রস্তাবনায় বর্ণিত থাকে। বিচারপতিগণ প্রস্তাবনায় বর্ণিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি রেখে সংবিধানের যেকোনো অংশের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতিফলন ঘটে।
প্রশ্ন ১৯। “আমরা ভারতীয় জনগণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে ‘আমরা ভারতীয় জনগণ’ কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এই কথার অর্থ হল ভারতীয় জনগণ প্রকৃত শাসন ক্ষমতার অধিকারী। নব গঠিত ভারত রাষ্ট্রের ক্ষমতার প্রসঙ্গে এই কথার নিম্নোক্ত তিনটি অর্থ আছে —
(ক) সার্বভৌম ক্ষমতা ভারতের জনগণের উপর নাস্ত।
(খ) সংবিধান নির্মাতাগণ জনসাধারণের প্রকৃত প্রতিনিধি। এবং
(গ) জনগণের সম্মতির উপর সংবিধান প্রতিষ্ঠিত।
প্রশ্ন ২০। ভারতীয় সংবিধানকে বিশ্বের দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানকে বিশ্বের দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান বলা হয়। এই সংবিধানে মোট ৩৯৫টি ধারা আছে। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ৭টি, জাপানের সংবিধানে ১০৩টি, কানাডার সংবিধানে ১৯৭টি এবং চীনের সংবিধানে ১৩৮টি ধারা সন্নিবেশিত আছে। অধিকন্তুু ভারতের সংবিধানে ২২টি অংশ (Parts) এবং ১২টি তপশীল (Schedule) সংযোজন করা হয়েছে। সুতরাং প্রকৃত অর্থে ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান।
প্রশ্ন ২১। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার চারটি আদর্শ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে কতকগুলি আদর্শের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
এই আদর্শগুলি হতে নিম্নে চারটি উল্লেখ করা হলঃ
(ক) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়।
(খ) চিন্তা, ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম ও উপাসনার স্বাধীনতা।
(গ) ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সুযোগ লাভে সমতার নীতি।
(ঘ) সকলের মধ্যে সংহতি ও ভ্রাতৃত্বভাব বর্ধিত করা।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.