Class 11 Political Science Chapter 2 ভারতীয় সংবিধানে অধিকার

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 2 ভারতীয় সংবিধানে অধিকার, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 2 ভারতীয় সংবিধানে অধিকার The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 2 ভারতীয় সংবিধানে অধিকার Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 2 ভারতীয় সংবিধানে অধিকার

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question in Bengali The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

১। ভারতের সংবিধানে সন্নিবিষ্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে ১২ হতে ৩৫নং অনুচ্ছেদগুলোতে মৌলিক অধিকারগুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে। প্রথমে সংবিধানে সাতটি মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সালের ৪৪-তম সংশোধনী আইন অনুসারে সম্পত্তির অধিকারটি (Right to Property ) মৌলিক অধিকারের তালিকা হতে বাতিল করা হয়। বর্তমানে মৌলিক অধিকারের সংখ্যা ছয়টি। এই ছয়টি মৌলিক অধিকার নিম্নরূপঃ

(ক) সাম্যের অধিকার (Articles 14-18)।

(খ) স্বাধীনতার অধিকার (Articles 19-22)। 

(গ) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (Articles 23 and 24 )।

(ঘ) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার (Articles 25-28)।

(ঙ) সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার (Articles 29 and 30 )।

(চ) সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (Articles 32-35)। 

প্রশ্ন ২। ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ যে কোন দুইটি মৌলিক অধিকারের আলোচনা করো। মৌলিক অধিকারগুলো কি সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ?

উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে ১২ হতে ৩৫নং অনুচ্ছেদগুলোতে মৌলিক অধিকারগুলি বর্ণিত করা হয়েছে। সংবিধানের ৪৪-তম সংশোধনী আইন দ্বারা সম্পত্তির অধিকার মৌলিক অধিকার হতে বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে মৌলিক অধিকারের সংখ্যা ছয়টি। 

এই ছয়টি মৌলিক অধিকারের মধ্যে দুইটি নিম্নরূপঃ

(ক) সমতার অধিকারঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৪ হতে ১৮নং অনুচ্ছেদে সাম্যের অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। সামোর অধিকার অনুসারে বংশ পদমর্যাদা, জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজের সকল ব্যক্তিকে সমান সুযোগ দিতে হবে। ভারতীয় সকল নাগরিক আইনের চক্ষে সমান এবং আইন সমানভাবে তাদের রক্ষ করবে। অস্পৃশ্যতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাতে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি সমানভাবে সামাজিক মর্যাদা পেতে পারে। সামোর অধিকার বলতে চূড়ান্ত সাম্যের কথা বোঝায় না। অনুন্নত শ্রেণীর জন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

(খ) সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকারঃ সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার হল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। সংবিধানে মৌলিক অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে তা অর্থহীন হয়ে পড়ত। সংবিধানের ৩২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে তার প্রতিকারের কয়েকটি ব্যবস্থাও রয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব হলে তারা হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। আদালত বিভিন্ন লেখ জারি করে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা অবলম্বন করে। 

হ্যাঁ। মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারণ এই অধিকার গুলোকে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি বলে গণ্য করা হয়। আর এই অধিকারগুলো ব্যতীত সংবিধানের গণতান্ত্রিক আদর্শ রক্ষা করা সম্ভব নয়। 

প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকগণের মৌলিক অধিকারগুলোর কতকগুলো বৈশিষ্ট্য আছে। 

প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ 

(ক) মৌলিক অধিকারগুলো আদালতে বিচারযোগ্যা। নাগরিকদের এই অধিকার খর্ব হলে তারা হাইকোর্ট বা সুপ্রীমকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। আদালত বিভিন্ন লেখ জারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বিহিত ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারে।

(খ) মৌলিক অধিকারগুলো স্বাধীন বা চরম নয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এগুলোর উপর কতকগুলো সীমাবদ্ধতা আছে। 

(গ) মৌলিক অধিকারগুলো ইতিবাচক ও নেতিবাচক। অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধকরণ, ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, বংশ প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে বৈষম্য না করা প্রভৃতি নেতিবাচক মৌলিক অধিকারের এবং স্বাধীনভাবে কথা বলা ও মত প্রকাশের অধিকার, ধর্মাচরণের অধিকার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার প্রভৃতি ইতিবাচক মৌলিক অধিকারের উদাহরণ।

(ঘ) জরুরিকালীন অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারগুলোর উপর সাময়িকভাবে বাধা নিষেধ আরোপিত হয়।

(ঙ) মৌলিক অধিকারগুলো বিশেষ করে শিশু ও নারীদের সুরক্ষা প্রদান করেছে এবং সংখ্যালঘুদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ প্রদান করেছে। 

প্রশ্ন ৪। সম্পত্তির অধিকারকে কেন সংশোধনের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার হতে বাতিল করা হয়েছে?

উত্তরঃ সম্পত্তির অধিকার বর্তমানে আর মৌলিক অধিকার নয়। এটি একটি বিধিবদ্ধ অধিকার (Legal Right)। 

১৯৭৮ সালের ৪৪-তম সংশোধনী আইনে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা হতে বাতিল করার প্রধান কারণগুলি নিম্নরূপঃ

(ক) সংবিধান রচনাকালেই গণপরিষদের কয়েকজন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে সম্পত্তির অধিকার একদিন পুঁজিপতিদের অধিকারে পর্যবসিত হবে।

(খ) ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংবিধান সংশোধনীতে ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংযোজন করা হয়েছে এবং সম্পত্তির অধিকার সমাজতান্ত্রি ক আদর্শের পরিপন্থি। তাই সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসাবে বিধিবদ্ধ রাখা সম্ভব ছিল না।

সংবিধানে ৪৪-তম সংশোধনের পর সংবিধানে ৩০০ (ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনের অনুশাসন ছাড়া কাউকে তার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করা যাবে না। বর্তমানে সম্পত্তির অধিকার একটি আইনগত অধিকার (Legal Rights) |

প্রশ্ন ৫। মৌলিক অধিকারগুলোকে কি সংশোধন করা যায়? যুক্তি দেখাও। 

উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের ৩৬৮নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত সংশোধন পদ্ধতি অনুসারে সংসদ মৌলিক অধিকারগুলোকে সংশোধন করতে পারে। ভারতের সংসদ উপরোক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে বহুবার এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। ১৯৬৭ সালের বিখ্যাত গোলক নাথ মামলায় সুপ্রীমকোর্ট ঘোষণা করেছিল যে সংসদের মৌলিক অধিকার সংশোধনের ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংসদ এই নির্দেশকে অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে ২৪-তম সংশোধন করে। এই সংশোধনী অনুসারে সংসদের সংবিধানের যে কোন অংশ সংশোধন করার ক্ষমতা আছে; তাই মৌলিক অধিকারও সংশোধন যোগ্য।

১৯৭৩ সালের বিখ্যাত কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রীমকোর্ট অভিমত ব্যক্ত করেছে যে সংসদের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায় সহ সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু সংসদ মৌলিক কাঠামো সংশোধন করতে পারবে না। ১৯৭৮ সালে জনতা দল সরকার ৪৪-তম সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা হতে বাতিল করে।

বর্তমান অবস্থায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় স্থাপনের প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করার জন্য সংসদ মৌলিক অধিকারগুলোকে পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু মৌলিক অধিকার সংশোধনকালে সংসদ সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না। 

প্রশ্ন ৬। সংবিধানে অধিকার পত্র সংযোজনের প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তরঃ অধিকার মানব জীবনের অত্যন্ত জরুরি বিষয়। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানে নাগরিকের জন্য কতকগুলো অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই সংবিধানে নাগরিকের অধিকার সম্বলিত একটি তালিকা সংযোজন করা হয়। এগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থাকে অধিকার পত্র বা Bill of Rights বলা হয়।

অধিকার পত্র অধিকারের উপর গুরুত্ব প্রদান করে এবং অধিকারসমূহ কার্যকরী করতে সহায়তা করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকের অধিকারগুলো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে। আর রাষ্ট্র নাগরিকের এই অধিকারগুলোকে অধিকার পত্রের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে। অধিকার পত্রের বিধি ও নীতি রাষ্ট্র কার্যকরী করে। কোন ব্যক্তি এই বিধি ভঙ্গ করলে রাষ্ট্র তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করে।

মৌলিক অধিকার গণতন্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশেষ। সুতরাং রাষ্ট্র নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করতে বাধ্য। কোন রাষ্ট্রে যদি ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে অধিকারপত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্র সেই নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়।

১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ (Civil war) আরম্ভ হয়, তখন আফ্রিকান সংবিধানে অধিকার পত্রের উদ্বোধন হয়। এই অধিকার পত্র নাগরিকের অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বিশেষ সংবিধানিক আদালত কর্তৃক এই অধিকারগুলোকে কার্যকর করা হয়। 

দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানে অধিকারপত্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে এই অধিকারগুলোকে অন্তর্নিহিত করা হয়েছে। তাই নাগরিকের অধিকারগুলো সুরক্ষার জন্য সংবিধানে অধিকার পত্রের সংযোজন করা একান্ত আবশ্যক। 

প্রশ্ন ৭। বিচারালয় কর্তৃক বিভিন্ন ব্যাখ্যা সমূহ সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলোর উপর কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে? 

অথবা, 

সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহের উপর বিচারালয় কর্তৃক ব্যাখ্যা সমূহের। প্রভাব আলোচনা করো।

অথবা, 

ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিচারালয় কর্তৃক ব্যাখ্যা সমূহের ভূমিকা আলোচনা করো?

উত্তরঃ ভারতের সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহের সুরক্ষায় বিচারবিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধানের ৩২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রীম কোর্ট বিভিন্ন লেখ জারি করে ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে।

বিচার বিভাগ কেবল নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোকে সুরক্ষাই প্রদান করেনি, বিভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের পরিসরকে বিস্তৃতও করেছে।

নিম্নোক্ত ব্যাখ্যসমূহ মৌলিক অধিকারগুলোর পরিসীমা বিস্তৃত করেছেঃ

(ক) বিচারালয় কর্তৃক ব্যাখ্যার ফলে স্বাধীনভাবে কথা বলা ও মত প্রকাশের অধিকারে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (Romesh Thapar Vs State of Madras, 1950 )

(খ) “ব্যক্তিগত স্বাধীনতা” (Personal liberty, Article 21) কথাতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য অন্যান্য অধিকারের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে যা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার  অর্থপ্রকাশে সহায়তা করেছে (Maneka Gandhi Vs. Union of India, 1978)

(গ) “জীবনের অধিকার” কথায় শিক্ষার অধিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (Mohini Jain Vs. State of Karnataka, 1952) 

(ঘ) জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারে (Right to life and liberty, Article 21) যথাযথ মজুরির কথা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (Asiad worker vs. Union of India, 1984)

(ঙ) সুপ্রীম কোর্টের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবিধানের ২১নং অনুচ্ছেদ নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করেছেঃ

(অ) উপযুক্ত পরিবেশের অধিকার। 

(আ) আশ্রয়ের অধিকার।

(ই) বিদেশ ভ্রমণের অধিকার।

(ঈ) বিনামূল্যে আইনগত সাহায্য লাভের অধিকার।

(উ) দ্রুত বিচারের অধিকার। 

(ঊ) গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার।

প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ ভারতে পৌর স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেছে কি? 

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ ভারতে পৌর স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এই অধিকারসমূহ ভারতে নিম্নোক্ত পৌর স্বাধীনতা আন্দোলনগুলোকে প্রভাবিত করেছিলঃ

(ক) দলিত ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের পরিবেশগত অধিকার রক্ষার জন্য ১৯৭২-৭৩ সালে চিপকো আন্দোলন হয়েছিল। জঙ্গলের ঠিকাদারদের গাছ কাটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। হিমালয়ের গাড়োয়ার অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এই আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল।

(খ) ১৯৭৪ সালে পৌর স্বাধীনতার জন্য রেলওয়ে কর্মীরা ধর্মঘট করেছিল। 

(গ) ১৯৮৯ সালে সর্দার সরোবর বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে মেধা পাটেকরের নেতৃত্বে ‘নর্মদা বাচাও আন্দোলন’ আরম্ভ হয়েছিল। স্থানীয় জনগণের পরম্পরাগত পেশা রক্ষার জন্য এবং স্থানীয় জনগণের বস্তুচ্যুতি রুখতে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। তাছাড়া পরিবেশ রক্ষার জন্যও এই আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  

(ঘ) দলিত সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য ভারতে বিভিন্ন আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭০ হতে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত অস্পৃশ্যতা নির্মূল ও আর্থিক বৈষম্য দূর করার জন্য বিভিন্ন পৌর আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজবাদী দলের নেতৃত্বে দলিত সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অধিকার সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন সংঘটিত 

(ঙ) ১৯৭০ সালের মধ্যভাগ হতে বিভিন্ন নারী আন্দোলন আরম্ভ হয়েছিল নারীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য।

প্রশ্ন ৯। ভারতীয় সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি বলতে কী বোঝ? মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতির মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো। 

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের স্রষ্টারা প্রকৃত জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে বেশ কিছু নীতি সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ করেছেন। এই নীতিগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুসরণ করা খুবই প্রয়োজন। অবশ্য এই নীতিগুলো রূপায়ণে সরকার কোনও বিশেষ পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য নয়। সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে লিপিবন্ধ এই নীতিগুলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি বলা হয়।

রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি ও মৌলিক অধিকার একে অপরের পরিপূরক। ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকার সমূহ লিপিবন্ধ করা হয়েছে এবং নির্দেশাত্মক নীতিগুলো সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে লিপিবন্ধ করা হয়েছে। 

ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতাগণ সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায় এবং চতুর্থ অধ্যায়কে একটি অপরটির পরিপূরক হিসাবে বিধিবদ্ধ করেছেন। মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে সংসদ এবং সুপ্রীম কোর্টের মধ্যে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতীয় সংবিধানের ১ম সংশোধনীর সময় মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতির সম্পর্ক নিয়ে প্রথম বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানের ১ম সংশোধনীতে জমিদারী প্রথা বিলোপ করা হয়। নির্দেশাত্মক নীতির রূপায়ণের জন্য জমিদারি প্রথার বিলোপ সাধন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠেছিল যে এটা সম্পত্তির অধিকারকে খর্ব করছে এবং ১৯৬৭ সালে গোলকনাথ মামলায় সুপ্রীম কোর্ট ঘোষণা করে যে মৌলিক অধিকার সংশোধন করা যায় না। কিন্তু ১৯৭৮ সালের ৪৪-তম সংশোধনীতে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা হতে বাতিল করা হয়।

সংসদ ২৪-তম সংশোধনী ও ২৫-তম সংশোধনীর মাধ্যমে গোলকনাথ মামলার সিদ্ধান্তকে অতিক্রম করে। সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের সঙ্গে নির্দেশাত্মক নীতির বিরোধ হলেও সংসদ নির্দেশাত্মক নীতি রূপায়ণ করে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা লাভ করে।

সংবিধানের ৪২-তম সংশোধন অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতির মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মিনার্ভা-মামলায় প্রদান করে মহামান্য সুপ্রীমকোর্ট। ১৯৮০ সালে মিনার্ভা মামলায় সুপ্রীম কোর্ট ঘোষণা করে যে মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে মৌলিক অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়কে তৃতীয় অধ্যায়ের ‘ভগিনী অধ্যায়’ (Sister part) হিসাবে ধরা হয়। সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকার সমূহ লিপিবন্ধ করা হয়েছে যা নাগরিকের পৌর ও রাজনৈতিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কে মৌলিক অধিকারে সুস্পষ্টভাবে আলোকপাত করা হয়নি। তাই সংবিধান প্রণেতাগণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারকে সন্নিবেশিত করার জন্য চতুর্থ অধ্যায়ে কতিপয় নির্দেশাত্মক নীতি লিপিবদ্ধ করেন। মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতি একে অপরের পরিপূরক। সুতরাং এটা বলা যায় যে নির্দেশাত্মক নীতিগুলো মৌলিক অধিকারের ত্রুটিগুলো দূর করেছে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নিম্নলিখিত যুক্তিগুলির সত্যতা নিরূপণ করো?

(ক) বিল অব রাইটের দ্বারা দেশের লোক মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে।

উত্তরঃ সত্য।

(খ) বিল অব রাইটের দ্বারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সংরক্ষণ হয়। 

উত্তরঃ সত্য।

(গ) পৃথিবীর সবদেশে বিল অব রাইট আছে।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(ঘ) কেউ সংবিধান ভঙ্গ করলে, সংবিধানের প্রতিবিধানের মাধ্যমে মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করা হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

২। নিম্নলিখিত কোন্ মৌলিক অধিকারকে খুব ভালো বলে বিবেচিত হয় –

(ক) মৌলিক অধিকারের মধ্যে ব্যক্তিগত অধিকার। 

(খ) আইনের দ্বারা গঠিত নাগরিকদের দেওয়া অধিকার।

(গ) সংবিধান দ্বারা প্রয়োগ ও সংরক্ষণের অধিকার। 

(ঘ) সংবিধান দ্বারা তৈরি অধিকার যার মধ্যে কোনো বাধা-নিষেধ আরোপ করা হবে না। 

উত্তরঃ (গ) সংবিধান দ্বারা প্রয়োগ ও সংরক্ষণের অধিকার।

প্রশ্ন ৩। নিম্নলিখিত পরিস্থিতি আলোচনা করো এবং সেই সঙ্গে পড়ে দেখো কোন্ মৌলিক অধিকার ব্যবহার অথবা ভঙ্গ হয়েছে এবং কীভাবে?

(ক) সরকারের নীতিসমূহকে সমালোচনা করে, অধিকর্তা প্রমাণ সাপেক্ষ সিনেমা তৈরি করেছেন।

(খ) অন্ধ্রের অনেক সামাজিক সংস্থা, অন্ধ্রপ্রদেশের বাইরে তেলেগু ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করেছে। 

(গ) জমি তৈরি করার জন্যে জনসাধারণকে অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের পুর্নবাসনের জন্য লোকেরা একসাথে সমবেত হয়েছিল। 

উত্তরঃ (ক) এইক্ষেত্রে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

(খ) এই ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও শিক্ষাবিষয়ক অধিকার জড়িত। এই অধিকার ভাষিক সংখ্যালঘুদের নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা বা রক্ষা করা এবং নিজেদের সংস্কৃতি সংরক্ষণের অধিকার প্রদান করেছে। সুতরাং অন্ধ্র সমিতির অন্ধ্রপ্রদেশের বাইরে তেলেগু ভাষার বিদ্যালয় পরিচালনার অধিকার রয়েছে।

(গ) এই ক্ষেত্রে স্বাধীনতার অধিকার ব্যবহৃত হচ্ছে। স্বাধীনতার অধিকার অনুযায়ী দেশের যে-কোন স্থানে বসবাস করার অধিকার আছে। সুতরাং বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পের দ্বারা বস্তুচ্যুত জনগণের পুনর্বাসনের জন্য মিছিল বের করার অধিকার আছে।

প্রশ্ন ৫। নিম্নলিখিত কোন অধিকার মৌলিক অধিকারকে ভঙ্গ করেছে?

(ক) ন্যূনতম পারিশ্রমিক না দেওয়া। 

(খ) বই নিষিদ্ধ করা।

(গ) মাইকের শব্দ বা রাত ৯টার পর মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। 

(ঘ) বক্তৃতা দেওয়া। 

উত্তরঃ ন্যূনতম মজুরি না দেওয়া মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল। এটি শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। 

প্রশ্ন ৬। সক্রিয় কর্মী যিনি, দরিদ্রের মধ্যে কাজ করেন বলে তাদের জন্য মৌলিক অধিকার দেওয়ার দরকার নেই। তারা কি চায় নির্দেশক নীতি বাধ্য করা। তোমরা কি সহমত পোষণ কর? কারণ দেখাতে হবে?

উত্তরঃ দরিদ্র জনসাধারণের মঙ্গলার্থে নিয়োজিত সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবীর অভিমত কতকাংশে সত্য হিসাবে ধরা যায়। মানুষের মৌলিক প্রয়োজন হল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান। এই প্রয়োজনসমূহ মেটানোর পর উক্ত দরিদ্র জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য মৌলিক অধিকারসমূহের প্রয়োজন। তাদের নিকট মৌলিক অধিকারের কোন গুরুত্ব নেই। কাজের সুযোগ, উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা, সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক, কুটির শিল্পের উন্নয়ন, অসুস্থ, বৃদ্ধ, ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্য প্রদান প্রভৃতি মৌলিক অধিকার অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং উক্ত বাস্তববাদী স্বেচ্ছাসেবীর অভিমত কতকাংশে সত্য।

প্রশ্ন ৪। নিম্নলিখিত কোনটি সত্য, যা সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকারের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে।

(ক) সরকারি স্কুল নিশ্চিত করেছে যে অনুন্নত সম্প্রদায়ের শিশুদের সংস্কৃতি স্কুলেই প্রবর্তন করবে?

(খ) অনুন্নত সম্প্রদায়ের শিশুর জন্য ভাষা, ধর্মেরও জন্যে একটি মুক্ত স্কুল খোলা হবে এবং সেই ধর্ম ও ভাষা তাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে।

(গ) অনুন্নত সম্প্রদায়ের লোকের দাবি হচ্ছে যে তাদের শিশুরা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নেবে না। তাদের নিজস্ব সমিতির তত্ত্বাবধানে তাদের শিশুদের শিক্ষা দান করে।

উত্তরঃ (গ) অনুন্নত সম্প্রদায়ের লোকের দাবি হচ্ছে যে তাদের শিশুরা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নেবে না। তাদের নিজস্ব সমিতির তত্ত্বাবধানে তাদের শিশুদের শিক্ষা দান করে।

প্রশ্ন ৭। বিভিন্ন রিপোর্ট দেখায় জাতগোষ্ঠী যারা ময়লা বা নোংরা কাজ করত, কারণ তাদের বাধ্য করা হয়েছিল। যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা তাদের অন্য কাজ দিতেন না। তাদের শিশুদের শিক্ষা থেকে নিরুৎসাহ করা হয়েছিল। এই দৃষ্টান্তে তাদের কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে? 

উত্তরঃ এই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত অধিকারগুলো ভঙ্গ হয়েছেঃ

(ক) যে-কোন নাগরিক স্বাধীনভাবে বৈধ পেশা, ব্যবসা ও বাণিজ্য করতে পারবে। এই অধিকারটি সংবিধানের ১৯নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে স্বাধীনতার অধিকার ভঙ্গ হচ্ছে।

(খ) সমতার অধিকারঃ এইক্ষেত্রে সমতার অধিকারও ভঙ্গ হচ্ছে। এই অধিকার অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের চক্ষে সমান। বর্তমানে অস্পৃশ্যতা বে-আইনি। ১৯৫৫ সালে সংসদ আইন প্রণয়ন করে অস্পৃশ্যতাকে বেআইনি ঘোষণা করে (Untouchability Offences, 1955)। ১৯৭৬ সালে এই আইনের নামকরণ করা হয় Protection of civil rights Act। যে-কোন প্রকার অস্পৃশ্যতা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 

(গ) সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকারঃ এই ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকারও ভঙ্গ হয়েছে। উক্ত গোষ্ঠীর লোকদের সন্তান-সন্ততিদের শিক্ষা গ্রহণে অনুমতি দিতে অস্বীকার করা সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার ভঙ্গের সামিল। কারণ কোন ছেলেমেয়েকে সরকার পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যে পরিচালিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বঞ্চিত করা যায় না (২৯ নং ধারা) 

প্রশ্ন ৮। তোমার মতে কোন্ মৌলিক অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়? সংক্ষেপে তার সঠিক মূল্যায়ন করো এবং দেখাও কেন এগুলো প্রয়োজন? 

উত্তরঃ আমার মতে, “সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। ভারতের নাগরিকগণ সংবিধান প্রদত্ত ছয় প্রকার মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। এর মধ্যে ‘সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার’ মৌলিক অধিকারসমূহ রক্ষা করার অন্যতম উপায়। সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে তারা হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। আদালত বিভিন্ন লেখ জারি করে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে যথাযথ ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top