Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নির্বাচন কী ?

উত্তরঃ যে পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি স্থির বা নির্ধারণ করে তাকে নির্বাচন বলা হয়।

প্রশ্ন ২। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার ব্যাখ্যা করো?

অথবা, 

সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভোটাধিকার দানের নীতিকে সার্বজনীন প্রাপ্ত-বয়স্কের ভোটাধিকার বলা হয়। 

প্রশ্ন ৩। সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ সংখ্যালঘু শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকল্পে যে প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা আছে তাকে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব বলে।

প্রশ্ন ৪। সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নীতি হল প্রকৃত গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের সর্বশ্রণীর বিভিন্ন মতামত ও স্বার্থ জনগণের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রভাব অনুযায়ী আইনসভায় প্রতিনিধিত্বের সুযোগ লাভ করা। জন স্টুয়ার্ট মিল (John Stuart Mill) ও লেকী (Lecky) সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের প্রধান সমর্থক ছিলেন। এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রাপ্ত ভোটের সমানুপাতে আইনসভায় প্রতিনিধিত্ব করে।

প্রশ্ন ৫। প্রথম প্রাক্তন পদ (সাধারণ প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রার্থীকে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সর্বাধিক ভোট পেতে হয় অর্থাৎ অন্যান্য প্রতিনিধি হতে অধিক ভোট পেতে হয়, সেই পদ্ধতিতে প্রথম প্রাক্তন পদ বা সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে বিজয়ী প্রার্থীর জালান্ডের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রয়োজন হয় না। 

৬। প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ যে নির্বাচন পদ্ধতিতে নাগরিকগণ তাদের প্রতিনিধিদের সরাসরি নির্বাচন করেন তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলে। 

প্রশ্ন ৭। পরোক্ষ নির্বাচন বলতে তুমি কী বোঝ? 

উত্তরঃ পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থায় নাগরিকগণ সরাসরি তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন না। নাগরিকগণ দেশের শাসনকার্যে অংশ গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমে নির্বাচকমণ্ডলী গঠন করেন এবং এই নির্বাচক মণ্ডলী শাসনকার্যে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। ভারতে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার সদস্যদের পরোক্ষ পদ্ধতিতে নির্বাচিত করা হয়।

প্রশ্ন ৮। কোন্ দেশে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত আছে? 

উত্তরঃ সুইজারল্যাণ্ডে (ছোটো ছোটো ক্যান্টনগুলোতে) 

প্রশ্ন ৯। কোন দেশে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল?

উত্তরঃ গ্রীসে (নগর রাজ্যগুলোতে)। 

প্রশ্ন ১০। বৃত্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সমর্থক কারা?

উত্তরঃ সমিতি প্রধান সমাজতন্ত্রবাদে সমর্থনকারীরা। 

প্রশ্ন ১১। ভারতের সংবিধানের কোন্ ধারায় নির্বাচন কমিশনের উল্লেখ আছে?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারায় নির্বাচন কমিশনের উল্লেখ আছে। 

প্রশ্ন ১২। ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্য কী? 

উত্তরঃ ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্য হল অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন কার্য পরিচালনা করা। 

প্রশ্ন ১৩। ভারতের নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কমিশনারকে কে নিযুক্ত করেন?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি। 

প্রশ্ন ১৪। ভারতের নির্বাচন কমিশন কি বহু-সদস্য বিশিষ্ট?

উত্তরঃ হ্যাঁ। ভারতের নির্বাচন কমিশন বহু- সদস্য বিশিষ্ট। 

প্রশ্ন ১৫। নির্বাচক মণ্ডলী কী? 

উত্তরঃ কোন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য সম্মিলিত ভোটার সমষ্টিকে নির্বাচক মণ্ডলী বলা হয়। 

প্রশ্ন ১৬। নির্বাচনী ক্ষেত্র বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ একজন প্রতিনিধি দেশের যে অঞ্চল বা এলাকা হতে একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আইন সভায় যোগদান করেন, সেই অঞ্চল বা এলাকাকে একটি নির্বাচনী ক্ষেত্র বলা হয়।

প্রশ্ন ১৭। প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ একটি নির্বাচক মণ্ডলী নির্বাচিত করে ভার মাধ্যমে শাসন কার্য পরিচালনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে, তাকে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলে।

প্রশ্ন ১৮। ভারতের কোথায় পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ছিল? 

উত্তরঃ ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী ছিল।

প্রশ্ন ১৯। সঠিক উত্তর বেছে বের করোঃ

(ক) নীচের কোনটির ভিত্তিতে ভারতে নাগরিকদের ভোটাধিকার নির্ধারিত হয়?

(অ) সম্পত্তির পরিমাণ। 

(আ) শিক্ষার। 

(ই) বাসস্থানের মর্যাদার।

(ঈ) সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের।

উত্তরঃ (ঈ) সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের।

প্রশ্ন ২০। নীচের কোনটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়? 

(ক) পারিবারিক সভায় আলোচনা।

(খ) শ্রেণীর মনিটর নির্বাচন।

(গ) একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বাছাই। 

(ঘ) গ্রাম সভা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত।

উত্তরঃ (ঘ) গ্রাম সভা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত। 

প্রশ্ন ২১। ভোটাধিকার কি ধরনের অধিকার?

উত্তরঃ রাজনৈতিক অধিকার।

প্রশ্ন ২২। বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ন্যূনতম বয়স কত?

উত্তরঃ ১৮ বছর।

প্রশ্ন ২৩। পূর্বে ভারতীয় ভোটারদের নূন্যতম বয়স কত ছিল?

উত্তরঃ ২১ বছর।

প্রশ্ন ২৪। কত তম সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতে ভোটাধিকারের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়? 

উত্তরঃ ৬১-তম সংশোধনীর মাধ্যমে।

প্রশ্ন ২৫। কত সালে ভারতে ভোটাধিকারের বয়স সীমা ২১ বছর হতে ১৮ বছর করা হয়? 

উত্তরঃ ১৯৮৯ সালে।

প্রশ্ন ২৬। ভারতে কত সদস্য-বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন আছে?

উত্তরঃ তিন সদস্য-বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন।

প্রশ্ন ২৭। কতসালে কোন্ দেশে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার লাভ করে? 

উত্তরঃ ১৯১৮ সালে, ব্রিটেনে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার লাভ করে। 

প্রশ্ন ২৮। ‘ভুয়ো ও জাল ভোটার’ চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ সংযোজন কী?

উত্তরঃ ডিজিটাল ক্যামেরা।

প্রশ্ন ২১। ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন?

উত্তরঃ সুকুমার সেন।

প্রশ্ন ৩০। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তি হচ্ছে বয়স/শিক্ষা/সম্পত্তি। (শুদ্ধ উত্তরটি বেছে নাও)

উত্তরঃ বয়স।

প্রশ্ন ৩১। কোন্ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতবর্ষে ভোটাধিকারের বয়সসীমা ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়? 

উত্তরঃ ৬১তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে। 

প্রশ্ন ৩২। সংবিধানের কোন্ অনুচ্ছেদে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার স্বীকৃত?

উত্তরঃ ৩২৬নং অনুচ্ছেদে।

প্রশ্ন ৩৩। প্রথমজনই জয়ী ব্যবস্থার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সর্বাধিক ভোট লাভ করে সেই প্রার্থীই নির্বাচিত/ বিজয়ী ঘোষিত হয়। এই পদ্ধতিতে বিজয়ী হওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হয় না।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ গণতন্ত্র ও নির্বাচন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। এই প্রতিনিধিরা জনগণের পক্ষে জনগণের মঙ্গলার্থে দেশ শাসন করেন। জন প্রতিনিধিগণ যদি জনগণের স্বার্থে কার্য সম্পাদন না করেন, তাহলে জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে সেই জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যাখ্যান করেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ রাজনৈতিক শিক্ষা লাভ করেন। গণতন্ত্রে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছা প্রকাশ করতে সক্ষম হন।

প্রশ্ন ২। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের পক্ষে দুটি যুক্তি দাও? 

উত্তরঃ সার্বজনীন প্রাপ্তবয়নের ভোটাধিকারের পক্ষে দুটি যুক্তি নিম্নরূপঃ

(ক) জন শক্তির প্ৰকাশঃ গণতন্ত্রের অর্থ হল জনগণ কর্তৃক জনগণের পক্ষে শাসন। তাই গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার। সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনগণ তাদের অধিকারগুলো সুরক্ষা করেন।

(খ) সাম্য শক্তির প্ৰকাশঃ গণতন্ত্র সাম্যের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্রে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারে এবং সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার তা সুনিশ্চিত করে।

প্রশ্ন ৩। প্রতিনিধিত্বের যে কোনো দুটি পদ্ধতির উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ প্রতিনিধিত্বের দুটি পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

(ক) প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি (First Past the Post system) বা সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি।

(খ) সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (Proportional Representation) 

প্রশ্ন ৪। পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার ভারতে পৃথক নির্বাচক মণ্ডলীর সূচনা করেছিল। এই ব্যবস্থার অর্থ হল, কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠী হতে প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হলে, কোবলমাত্র সেই গোষ্ঠীর লোকেরাই যোগ্য ভোটদাতা রূপে বিবেচিত হবে। এইরূপ ব্যবস্থায় সকল গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের লোক ভোটদাতা হিসাবে গণ্য হবেন না। 

প্রশ্ন ৫। সংরক্ষিত নির্বাচনী ক্ষেত্র এবং পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সংরক্ষিত নির্বাচনী ক্ষেত্র এবং পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ 

(ক) সংরক্ষিত নির্বাচনী কেন্দ্রের সকল ভোটারগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারী। কেবল প্রার্থীকে বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের লোক হতে হবে যে বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর জন্য কেন্দ্রটি সংরক্ষিত। কিন্তু পৃথক নির্বাচক মণ্ডলীর ক্ষেত্রে প্রার্থী ও ভোটদাতারা একই গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের হতে হবে।

(খ) ভারতীয় সংবিধানে তপশীলভুক্ত জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী কেন্দ্রের ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পৃথক নির্বাচক মণ্ডলীর ব্যবস্থা ভারতে ব্রিটিশ সরকার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই ব্যবস্থার বিলোপ সাধন হয়।

প্রশ্ন ৬। ভারতের সংবিধান প্রণেতাগণ কেন পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?

অথবা, 

ভারতের সংবিধান প্রণেতাগণ কেন পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার ভারতে পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠী হতে প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হলে, কেবলমাত্র সেই গোষ্ঠীর লোকেরাই যোগ্য ভোটদাতা হিসাবে বিবেচিত হতেন। ভারতের সংবিধান সভার অনেক সদস্যের এই ব্যাপারে সংশয় ছিল যে এই ব্যবস্থায় কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। অধিকন্ত ভারতের ঐক্য ও সংহতির মুল স্রোত হতে সেই বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই ভারতীয় সংবিধান প্রণেতাগণ এই ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন নি। 

প্রশ্ন ৭। প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি (First Past the post system) ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতিকে সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি বলা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের মোট নির্বাচক মণ্ডলীকে ভৌগলিক ভাবে এলাকা হিসাবে বিভাজিত করা হয়। এই এলাকাগুলিকে নির্বাচনী চক্র বলা হয়। প্রতিটি নির্বাচনী চক্র বা এলাকা হতে একজন প্রতিনিধি আইন সভায় নির্বাচিত হন। বিভিন্ন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যে প্রার্থী সর্বাধিক ভোট লাভ করে সেই প্রার্থী নির্বাচিত ঘোষিত হয়। এই পদ্ধতিতে বিজয়ী প্রার্থীকে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই এই পদ্ধতিকে প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি বলা হয়, কারণ এই ব্যবস্থায় যে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী অপেক্ষা অধিক ভোট পায় সে-ই নির্বাচিত হয়।

প্রশ্ন ৮। সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় সমাজের সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা হয়। এই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় দেশের বিভিন্ন মতামত বা স্বার্থ তাদের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রভাব অনুযায়ী আইন সভায় প্রতিনিধিত্বের সুযোগ লাভ করে। জন স্টুয়ার্ট মিল (John Stuart Mill) এই প্রতিনিধিত্বের প্রধান সমর্থক ছিলেন। 

সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি দুটি নিম্নরূপঃ

(ক) হেয়ার পদ্ধতি বা একক হস্তান্তর যোগ্য ভোট পদ্ধতি।

(খ) তালিকা পদ্ধতি। 

প্রশ্ন ৯। সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দুটি পদ্ধতির উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সমানুপাতিক পদ্ধতির প্রধান দুটি পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

(ক) হেয়ার পদ্ধতি বা একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট পদ্ধতি (Hare system or Method of Single Transferable vote)।

(খ) তালিকা পদ্ধতি (List system)।

প্রশ্ন ১০। ডিলিমিটেশন কমিশন (Delimitation Commission) এর দুটি কার্যের উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি ডিলিমিটেশন কমিটি নিয়োগ করেন। এই কমিশনের প্রধান দুটি কার্য নিম্নরূপঃ 

(ক) সমগ্র দেশের নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির সীমানা নির্ধারণ করা।

(খ) প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রের জনসংখ্যার বিন্যাস পর্যবেক্ষণ করে অনুসূচিত জাতি (Schedule Caste) এবং জনজাতি (Schedule Tribes) দের সংখ্যাধিক্য অনুসারে তাদের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচিত কেন্দ্র চিহ্নিত করা। 

প্রশ্ন ১১। ভারতের নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের কার্যকালের নিরাপত্তা ব্যাখ্যা করো। 

উত্তরঃ একজন মুখ্য কমিশনার এবং অন্য দুইজন সহাকারী নির্বাচন কমিশনার নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত। তাঁদের ভারতের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন। তাঁদের কার্যকাল ৬ বৎসর। এই ৬ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর অথবা অবসর গ্রহণের পর অর্থাৎ যেটি পূর্বে সম্পূর্ণ হবে সেটির পর তাদের কার্যকালের সমাপ্তি ঘটে। অবশ্য কার্যকল সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুপারিশে অন্যান্য কমিশনারদের অপসারিত করতে পারেন। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি সংসদের উভর কক্ষের বিশেষ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় অনুমোদিত সুপারিশক্রমে অপসারিত করেন।

প্রশ্ন ১২। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি দাও?

উত্তরঃ সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের স্বপক্ষে যুক্তি দুটি হল নিম্নরূপঃ 

(ক) সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়নের ভোটাধিকারে গণশক্তির প্রকাশ ঘটে। গণতন্ত্র যেহেতু জনগণের শাসন সেহেতু রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত। 

(খ) সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সাম্যনীতির প্রতিষ্ঠা হয়। গণতন্ত্রে সকলের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত। সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সামানীতির প্রকাশ ঘটে। 

প্রশ্ন ১৩। সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের চারজন সমর্থকের নাম লেখো? 

উত্তরঃ হেনরি মেইন, মেকলে, জে. এস. মিল এবং লেকি। 

প্রশ্ন ১৪। নারীদের ভোটাধিকারের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি প্রদর্শন করো?

উত্তরঃ নারীদের ভোটাধিকারের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি নিম্নরূপঃ

(ক) রাষ্ট্রীয় আইন নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। এইজন্য রাষ্ট্রের শাসকবর্গের নির্বাচনের ক্ষেত্রে পুরুষের মতো নারীরও ভোটাধিকার থাকা উচিত।

(খ) সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতা করে অগ্রসর হচ্ছে। সুতরাং নারীদের ভোটাধিকার থাকা উচিত।

প্রশ্ন ১৫। নারীদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে দুটি মুক্তি দাও?

উত্তরঃ নারীদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে নিম্নোক্ত দুটি যুক্তি দেওয়া যেতে পারেঃ 

(ক) নারীরা স্বামীদের মতানুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তাই অনেকে নারীদের ভোটাধিকারের বিপক্ষে মত পোষণ করেন।

(খ) নারীদের সহজাত গুণ হল তারা সন্তানকে লালন-পালন করে ও স্নেহ ভালবাসা দিয়ে সংসারকে ঐক্যসূত্রে বেঁধে রাখে। ভোটাধিকার পেলে তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে এবং এর ফলে তাদের সহজাত গুণ নষ্ট হবে। এই জন্য অনেকেই নারীদের ভোটাধিকার প্রদানের বিরোধী।

প্রশ্ন ১৬। রাষ্ট্রে বসবাসকারীদের মধ্যে কাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয় না? 

উত্তরঃ প্রতিটি রাষ্ট্রেই উন্মাদ, গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয় না।

প্রশ্ন ১৭। নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হয়? 

উত্তরঃ সংবিধান অনুসারে একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং প্রয়োজনবোধে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। বর্তমানে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা আছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসাবে কার্য পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপতি কমিশনারদের নিয়োগ করেন। তাঁদের কার্যকাল ৬ বৎসর।

প্রশ্ন ১৮। নির্বাচন কত প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ নির্বাচন সাধারণত তিন প্রকার; যথা- 

(ক) সাধারণ নির্বাচন।

(খ) অন্তবর্তী নির্বাচন।

(গ) উপ-নির্বাচন।

প্রশ্ন ১৯। অন্তর্বর্তী নির্বাচন বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কার্যকাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করলে বা লোকসভা বা বিধানসভা ভঙ্গ করে দেওয়া হলে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় তাকে অন্তর্বর্তী নির্বাচন বলে। 

প্রশ্ন ২০। উপনির্বাচন বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কার্যকাল পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কোন নির্বাচিত সদস্য পদত্যাগ করলে বা পদচ্যুত হলে বা মৃত্যু হলে তার আসন শূন্য হয়। ওই শূন্য আসন পূর্ণ করার জন্য যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়, তাকে উপনির্বাচন বলে। 

প্রশ্ন ২১। নির্বাচন কমিশনের দুটি কার্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশনের দুটি কার্য নিম্নরূপঃ 

(ক) প্রতিষ্ঠান সমূহের নির্বাচনের জন্য আইনানুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংশোধন করা। 

(খ) সচিত্রা ভোটার পরিচয় পত্র প্রদান করা।

প্রশ্ন ২২। নির্বাচন কমিশনের কার্যের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ নির্বাচন কমিশনের কার্যের সীমাবদ্ধতা নিম্নরূপঃ

(ক) কমিশনের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব।

(খ) কমিশনের নিজস্ব কোন কর্মচারী নেই। কমিশন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীর উপর নির্ভরশীল। 

প্রশ্ন ২৩। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অন্যান্য দুই সহকারী নির্বাচন কমিশনারদের কিভাবে পদচ্যুত করা হয়ঃ

উত্তরঃ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অন্যান্য সহকারী নির্বাচন কমিশনারদের কেবল রাষ্ট্রপতিই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুপারিশে অপসারণ করতে পারেন।

প্রশ্ন ২৪। সীমানা নির্ধারণ আয়োগ বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ যে সংস্থা নির্বাচন ক্ষেত্র ও আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা সম্পন্ন করে তাকে সীমানা নির্ধারণ আয়োগ বলে। এই আয়োগ রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন। 

প্রশ্ন ২৫। সীমানা নির্ধারণ আয়োগের প্রধান কার্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সীমানা নির্ধারণ আয়োগের প্রধান কার্য হল নির্বাচন চক্র বা ক্ষেত্রের সীমানা নির্ধারণ করা এবং জনবিন্যাসের বৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণ করে অনুসূচিত জাতি ও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসন চিহ্নিত করা।

প্রশ্ন ২৬। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার কী? 

উত্তরঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার বলে। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তি হচ্ছে বয়স।

প্রশ্ন ২৭। কার তত্ত্বাবধানে ভারতবর্ষে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? ভারতবর্ষে কোন্ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়? 

উত্তরঃ ভারতের নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভারতবর্ষে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ১৯৫২ সালের ১৭ এপ্রিল প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন ২৮। বর্তমানে ভারতবর্ষে কত সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন রয়েছে? এই কমিশনে কে সভাপতিত্ব করেন?

উত্তরঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে তিন-সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন রয়েছে। এই কমিশনে মুখ্য নির্বাচন আয়ুক্ত সভাপতিত্ব করেন।

প্রশ্ন ২৯। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের বিপক্ষে দুটি যুক্তি প্রদর্শন করো? 

উত্তরঃ সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের বিপক্ষে দুটি যুক্তি হলঃ

(ক) সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তি হল বয়স। এই নীতিতে ভোটারের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তাই অজ্ঞ, অশিক্ষিত রাজনৈতিক সচেতনহীন ব্যক্তিকে ভোটাধিকার দেওয়া উচিত নয়। 

(খ) রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে অজ্ঞ, অশিক্ষিত ভোটারদের সম্যক জ্ঞান না থাকার দরুন তারা অযোগ্য প্রার্থীকে পছন্দ করতে পারে যা সুস্থ রাজনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।

প্রশ্ন ৩০। “সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী হওয়া” (FPTP) এবং সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব  নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ “সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী হওয়া” এবং সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে দুটি পার্থক্য হল—

(১) “সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী হওয়া” (FPTP) প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন ব্যবস্থায় সমগ্র দেশকে ভৌগোলিক ভিত্তিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নির্বাচনী চক্র বা অঞ্চলে বিভাজিত করা হয়। কিন্তু সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় বিশাল ভৌগোলিক এলাকাকে নির্বাচনী চক্র রূপে নির্ধারণ করা হয়। সমগ্র দেশকে একটি নির্বাচনী চক্র বা এলাকা হিসাবেও গণ্য করা হতে পারে।

(২) “সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী হওয়া” অর্থাৎ সাধারণ প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে একজন প্রার্থীকে সংখ্যাধিক্য ভোট (৫০%+১) পাওয়ার প্রজোয়ান হয় না। কেবল অন্য প্রার্থীদের চেয়ে অধিক ভোট পেতে হয়। কিন্তু সমানুপাতিক ব্যবস্থায় একজন প্রার্থীকে সংখ্যাধিক্য ভোট পেয়ে বিজয়ী হতে হয়।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top