Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 3 নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question in Bengali The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্বের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপঃ

(অ) সমানুপাতিক পদ্ধতি। 

(আ) সীমাবদ্ধ ভোট পদ্ধতি।

(ই) স্তূপীকৃত ভোট পদ্ধতি। 

(ঈ) দ্বিতীয় ব্যালট ভোট পদ্ধতি।

প্রশ্ন ২। ভারতে প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি বা সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কী প্রভাব বিস্তার করেছে?

উত্তরঃ ভারতে প্রথম প্রাক্তন পদ বা সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানে এই পদ্ধতি বর্ণিত আছে। ভারতের জন্য পদ্ধতিটি খুবই উপযোগী। 

এই পদ্ধতি ভারতে নিম্নলিখিতভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেঃ

(ক) এই পদ্ধতি অতি সহজ ও সরল। সাধারণ মানুষ সহজেই এই পদ্ধতি বোঝতে পারে সহজ ও সরল হওয়ার কারণে এই পদ্ধতি ভারতে জনপ্রিয়।  

(খ) এই ব্যবস্থায় বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলিকে কেন্দ্র এবং রাজ্য পর্যায়ে সরকার গঠনের সংখ্যাধিক্য পেতে সহায়তা করে।

(গ) এই পদ্ধতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলি জাতি বা সম্প্রদায় ভিত্তিক রাজনীতিতে নিরুৎসাহ বোধ করে।

(ঘ) এই ব্যবস্থায় সাধারণ ভাবে সকল জনগণের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত হয়। তাই দেশের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে এই পদ্ধতি খুবই উপযোগী। 

(ঙ) এই পদ্ধতি সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য সহায়ক। কারণ এই পদ্ধতি আইন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে সক্ষম।

সাধারণ প্রতিনিধিত্ব (FPTP) পদ্ধতি দ্বি-দলীয় শাসন ব্যবস্থায় সর্বোত্তম। 

কিন্তু আমাদের দেশে এই পদ্ধতি অনেকাংশে সাফল্য লাভ করেছে।

প্রশ্ন ৩। ভারতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কেন করা হয়েছে?

উত্তরঃ প্রথম প্রাক্তন পদ প্রথায় (FPTP) নির্দিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পায়, তাকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় তা ছোট ছোট সমাজিক গোষ্ঠীর পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দেখা দেয়। ভারতের সামাজিক ব্যবস্থায় এটি আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি (সাধারণ প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি) তে অর্থবান ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী সকল নির্বাচনী কেন্দ্রেই বিজয়ী হবে এবং শোষিত সামাজিক গোষ্ঠী সর্বদাই প্রতিনিধিত্বহীন হয়ে থাকবে। আমাদের সংবিধান প্রণেতাগণ এই বিষয়ে অতি সতর্ক ছিলেন এবং তাঁরা সংখ্যালঘু অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন।

এই বিষয়টি স্বাধীনতার পূর্বেও আলোচিত হয়েছিল এবং ব্রিটিশ সরকার এই সমস্যা সমাধানের জন্য পৃথক নির্বাচক মণ্ডলীর (Separate electorate) ব্যবস্থা প্রদান করেছিলেন। এই ব্যবস্থায় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকেরাই কেবলমাত্র ভোটদাতা হিসাবে গণ্য হয়েছিলেন।

গণপরিষন এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী কেন্দ্রের (Reserved Constituency) সূচনা করে। এই নির্দিষ্ট সংরক্ষিত নির্বাচনী কেন্দ্রের সকল ভোটদাতারাই ভোটদানের যোগ্য হবে। কেবল প্রার্থীকে সেই গোষ্ঠী বা জাতির সদস্য হতে হবে যে জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য আসনটি সংরক্ষিত।

সংখ্যালঘু অনুন্নত সামাজিক গোষ্ঠী বা জাতির সঠিক প্রতিনিধিত্বের জন্য একটি সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজন। ভারতীয় সংবিধানে অনুসূচীত জাতি ও জনজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল দশ বৎসরের জন্য এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাকে বছবার বর্ধিত করা হয়েছে। 

মহিলাদের সঠিক প্রতিনিধিত্বের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন প্রতিষ্ঠানগুলিতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতের লোকসভা ও বিধানসভাগুলিতেও আসন সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে লোকসভায় একটি বিল অনুমোদনের জন্য বিবেচনাধীন অবস্থায় আছে। ভারতে আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত কার্যটি সম্পাদন করে ডিলিমিটেশন কমিশন (Delimitation Commission)।

প্রশ্ন ৪। ভারতের নির্বাচন কমিশনের কার্যাবলী আলোচনা করো।

অথবা, 

ভারতীয় নির্বাচনী আয়োগের ক্ষমতা এবং কার্যাবলীর ওপর একটি টাকা লেখো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪(১) এবং ৩২৪(৬) ধারায় নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। 

এই দায়িত্ব সংক্রান্ত কার্যগুলি নিম্নরূপঃ

(ক) ভোটার তালিকা প্রণয়নঃ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংশোধন করে। 

(খ) পরিচয় পত্র প্রদানঃ ভুয়ো ও জাল ভোট বন্ধ করার জন্য কমিশন ‘সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র’ প্রদান করে।

(গ) নির্বাচনী প্রতীকদানঃ কমিশন জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলি নির্ধারণ করে তাদের স্বীকৃতি ও প্রতীক প্রদান করে।

(ঘ) আচরণ বিধি স্থির করাঃ কমিশন রাজনৈতিক দল, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী, সরকার, কর্তব্যরত কর্মচারী ও ভোটারদের আচরণ বিধি তৈরি করে।

(ঙ) পরিদর্শক নিয়োগঃ নির্বাচনী আচরণ বিধি পালিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশন পরিদর্শক (Observer) নিয়োগ করতে পারে।

(চ) কর্মচারী নিয়োগঃ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন কার্য সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মচারীর জন্য কমিশন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের নিকট অনুরোধ করতে পারে।

(ছ) নির্বাচন পরিচালনাঃ কোন নির্বাচনের পূর্বে কমিশন নির্বাচনের দিন-তারিখ, মনোনয়ন পত্র পেশ, পরীক্ষা ও প্রত্যাহারের সময়, তারিখ এবং ওই পত্রের বৈধতা বিচার করার তারিখ স্থির করে।

(জ) নির্বাচন স্থগিত বা বাতিলঃ নির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন কোন নির্বাচন কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারে।

(ঝ) পরামর্শ দানঃ রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের নিকট কেন্দ্রীয় ও রাজ্যিক আইন সভার সদস্যদের অযোগ্যতা সম্পর্কে পরামর্শ চাইতে পারেন। এই ব্যাপারে কমিশন তাঁদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

প্রশ্ন ৫। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সুনিশ্চয়তার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী? 

উত্তরঃ গণতন্ত্রের সাফল্যের মূল ভিত্তি হল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া। 

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপঃ

(ক) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন। সরকারের কমিশনের উপর কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত নয়।

(খ) নির্বাচনে শাসক দলের শাসনযন্ত্রের পক্ষপাতমূলক ব্যবহার প্রতিহত করা। 

(গ) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সার্বজনীন ভোটাধিকারের প্রবর্তন করা উচিত। ভারতীয় সংবিধানে ১৮ বৎসর বা তার উর্ধের সকল বয়ছ নাগরিককে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছে (Article 326)। 

(ঘ) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রয়োজন হয়। এই সংস্থাগুলি সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিশনকে সহায়তা করে। 

(ঙ) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী ও প্রয়োজন বোধে উপদ্রুত অঞ্চলে সামরিকবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ ভোটদান কালে নিরাপত্তা ও শান্তির বাতাবরণ অক্ষুণ্ণ থাকলে ভোটারগণ অবাধে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বল ও প্রয়োজন বোধে সমারিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হাতে নির্বাচনের সময় থাকা প্রয়োজন। 

প্রশ্ন ৬। ভারতের নির্বাচনী সংস্কারগুলোর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর?

উত্তরঃ কোন নির্বাচনী ব্যবস্থাই ত্রুটিমুক্ত নয়। যে কোন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার দোষ বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন উপায় থাকে। ভারতেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রবর্তন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ষাট বছরের নির্বাচনী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি দেখতে পাই। ভারতে নির্বাচনের সময় বাহুবল ও অর্থের ব্যবহার হয়। তাই কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই বাহুবল ও অর্থের প্রভাবকে প্রতিহত করতে হবে। তার জন্য নির্বাচনী সংস্কারের আরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বুথ দখল, অন্যের ভোটদান প্রভৃতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। শাসক দলের প্রশাসন যন্ত্রের অপব্যবহার রোধ করতেও নির্বাচনী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অধিকন্তু সাধারণ প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার পরিবর্তে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার প্রবর্তন করা উচিত। এই সকল ত্রুটিগুলি দূর করার জন্য নির্বাচনী সংস্কার একান্ত আবশ্যক। 

প্রশ্ন ৭। ভারতের নির্বাচনী বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো?

উত্তরঃ নির্বাচন ব্যবস্থা আধুনিক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। এ কথা ভেবেই ভারতীয় গণপরিষদ গুরুত্ব সহকারে নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছেন। 

ভারতের নির্বাচনী বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ

(ক) ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় কতকাংশে প্রত্যক্ষ এবং কতকাংশে পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। লোকসভা, বিধানসভা ও স্বশাসিত সংস্থাগুলোর সদস্যগণ প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন। অপরদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার সদস্যগণ পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন।

(খ) ভারতে সম-ভোটাধিকার নীতি স্বীকৃত অর্থাৎ একজন ভোটারেরএকটি মাত্র ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। সকল ভোটারের ভোট মূল্য এক সমান। 

(গ) ভারতের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা জনসংখ্যার অনুপাতে ও আঞ্চলি ভিত্তিতে গঠিত। 

(ঘ) প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের ও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার আছে।

(ঙ) একজন প্রার্থীর নির্বাচনী রায়ের ঊর্ধসীমা নির্দিষ্ট এবং সেই ব্যক্তি নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দিতে বাধ্য থাকেন। 

(চ) স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের উপর নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। 

(ছ) তপশীলভুক্ত জাতি ও উপজাতিদের জন্য লোকসভা, বিধানসভা ও স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। কিন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। 

(জ) ভারতে সাধারণ প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৮। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার বলতে কী বোঝায়? এর স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি যুক্তি দাও? 

উত্তরঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল সুস্থ ও প্রাপ্তবরর নাগরিককে ভোটাধিকার দানের নীতিকে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার বলা হয়।

স্বপক্ষেঃ

(ক) জনশক্তির পূর্ণ প্রকাশঃ গণতন্ত্রের অর্থ হল জনগণ কর্তৃক জনগণের পক্ষে জনগণের শাসন ব্যবস্থা। তাই গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনগণ তাদের অধিকারগুলো সুরক্ষা করতে পারেন। এর ফলে গণশক্তির পূর্ণ প্রকাশ ঘটে।

(খ) সাম্যনীতির প্রকাশঃ গণতন্ত্র সাম্যের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্রে সকলেই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকারী এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে তা সুনিশ্চিত হয়।

বিপক্ষেঃ

(ক) সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার অজ্ঞ ও অশিক্ষিত শ্রেণির লোককেও রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদান করে। অযোগ্য অশিক্ষিত লোকও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করতে পারে যা সুস্থ রাজনীতির জন্য মোটেই কাঙ্খিত নয়।

(খ) অজ্ঞ ও অশিক্ষিত ভোটারদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না থাকার দরুন তারা প্রার্থীদের যাচাই করতে ভুল করে এবং অনেক সময় তারা অযোগ্য প্রার্থীর পক্ষে ভোটদান করে থাকে। আর অযোগ্য বা দুর্নীতি গ্রস্থ প্রার্থীনে জয়লাভের দরুন দেশে দুর্নীতিবাজ নেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নীচের কোনটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সাদৃশ্য আছে? 

(ক) পারিবারিক সভায় আলোচনা।

(খ) ক্লাসের নেতা নির্বাচন।

(গ) রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রার্থী মনোনয়ন।

(ঘ) গ্রামসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত।

(ঙ) বৈদ্যুতিক মাধ্যমের দ্বারা মতামত সমীক্ষা।

উত্তরঃ (ঘ) গ্রাম সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত। 

প্রশ্ন ২। নীচের কোন্ কাজটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা করা হয় না?

(ক) নির্বাচন নীতি নির্ধারণ।

(খ) প্রার্থী মনোনয়ন।

(গ) নির্বাচনী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

(ঘ) আদর্শ আচরণ বিধি প্রণয়ন করা।

(ঙ) পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করা।

উত্তরঃ (ঙ) পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করা।

প্রশ্ন ৩। নীচের উল্লেখ করা বিষয়গুলোর মধ্যে কোনটি লোকসভা এবং বিধানসভা দুটি নির্বাচনী পদ্ধতিতেই কার্যকর? 

(ক) ১৮ বৎসরের উপরে সকল নাগরিকই বৈধ ভোটদাতা।

(খ) বিভিন্ন প্রার্থীর জন্য ভোটদাতারা পছন্দের তালিকা দিতে পারেন।

(গ) প্রত্যেক ভোটের সমান গুরুত্ব আছে। 

(ঘ) বিজয়ী প্রার্থীকে অর্দ্ধেকের বেশি ভোট পেতে হবে।

উত্তরঃ (ঘ) বিজয়ী প্রার্থীকে অর্দ্ধেকের বেশি ভোট পেতে হবে।

প্রশ্ন ৪। প্রথম প্রাক্তন পদ প্রথায়, সেই প্রার্থীকেই জয়ী ঘোষণা করা হবে যে –

(ক) সবচেয়ে বেশি ডাক-ভোট পায়।

(খ) সে দলের সদস্য হওয়া, যার দেশে সবচেয়ে বেশি নম্বরের ভোট আছে। 

(গ) সেই নির্বাচনী কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট আছে।

(ঘ) ৫০ শতাংশ এর বেশি ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

উত্তরঃ (গ) সেই নির্বাচনী কেন্দ্রে সকল প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট আছে।

প্রশ্ন ৫। নির্বাচনী কেন্দ্রের সংরক্ষণ এবং পৃথক নির্বাচক মণ্ডলীর মধ্যে পার্থক্য কী? কেন সংবিধান প্রণেতাগণ শেষেরটিকে বাতিল করেছেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সরকার ভারতে পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠী হতে প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হলে, কেবলমাত্র সেই গোষ্ঠীর লোকেরাই যোগ্য ভোটদাতা হিসাবে বিবেচিত হতেন। ভারতের সংবিধান সভার অনেক সদস্যের এই ব্যাপারে সংশয় ছিল যে এই ব্যবস্থায় কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না। অধিকন্ত ভারতের ঐক্য ও সংহতির মুল স্রোত হতে সেই বিশেষ গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই ভারতীয় সংবিধান প্রণেতাগণ এই ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন নি।

প্রশ্ন ৬। নীচের কোনটি অসত্য চিহ্নিত করো এবং শুদ্ধ করো, বদল করো, যোগ করো অথবা পুণর্গঠন করো শুধুমাত্র একটি বাক্যে।

(ক) প্রথম প্রাক্তন পদ প্রথা পালন করা হয় ভারতের সকল নির্বাচনে।

(খ) নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত এবং মিউনিসিপাল নির্বাচন পরিচালনা করে না। 

(গ) নির্বাচন আয়ুক্তকে ভারতের রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন না। (ঘ) একজনের বেশি নির্বাচন আয়ুক্ত নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। 

উত্তরঃ (ক) প্রথম প্রাক্তন পদ প্রথা (FPTP) ভারতের সকল নির্বাচনে অনুসর করা হয় না।

(খ) এই উক্তিটি শুদ্ধ। 

(গ) ভারতের রাষ্ট্রপতি কোন নির্বাচন আয়ুক্তকে অপসারণ করতে পারেন যদি সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। 

(ঘ) একাধিক আয়ুক্ত নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক নয়। 

প্রশ্ন ৭। ভারতীয় নির্বাচনী প্রথার উদ্দেশ্য হল সামাজিকভাবে অনগ্রসরদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দেওয়া। আমরা এখনও ১০শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি আইন সভার নির্বাচিত করতে পারিনি। এই অবস্থার উন্নতিকল্পে পরামর্শ দাও?

উত্তরঃ মহিলাগণ দেশের জনগণের প্রায় অর্ধেক। কিন্তু সংসদ ও রাজ্য আইন সভার তাদের প্রতিনিধিত্ব নগন্য। এই অবস্থার উন্নতির জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়িত করা উচিত। 

(ক) সংসদ ও রাজ্য আইন সভাগুলোতে মহিলাদের জন্য ৩০% আসন সংরক্ষণ বিল অনুমোদনের জন্য রাজনৈতিক দলসমূহকে সহমতের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

(খ) মহিলাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা জাগ্রত করা একান্ত প্রয়োজন যাতে তারা নির্বাচনে অধিক হারে অংশগ্রহণ করতে পারে। 

(গ) রাজনৈতিক দলসমূহের এমন এক পরিবেশ তৈরি করা উচিত যা মহিলাকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ও আইনসভায় প্রতিনিধিত্বে অংশ গ্রহণ করতে উৎসাহবোধ করবে।

প্রশ্ন ৮। এখানে কিছু ইচ্ছার কথা আছে যা প্রকাশ করা হয়েছিল সভায় একটি নূতন দেশের সংবিধান রচনার জন্য। প্রথম প্রাক্তনপদ প্রথা না সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব কোন পদ্ধতি এসব ইচ্ছার ক্ষেত্রে মানানসই হবে লেখ। 

(ক) মানুষের উচিত তাদের প্রতিনিধিকে পরিষ্কারভাবে জানা, যাতে তারা সেই প্রতিনিধির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে।

(খ) আমাদের ছোটো ভাষিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী সমস্ত দেশে ছড়িয়ে আছে। আমাদের উচিত প্রত্যেকের সঠিক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা। 

(গ) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোট এবং আসনের মধ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকা উচিত নয়। 

(ঘ) মানুষের ক্ষমতা থাকা উচিত ভাল প্রার্থী নির্বাচনের জন্য, এমনকি যদি সেই প্রার্থী রাজনৈতিক দলকে পছন্দ না করে তবুও। 

উত্তরঃ (ক) প্রথম প্রাক্তন পদ প্রথা (FPTP) অধিকতর উপযুক্ত।

(খ) ভাষিক সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব অধিকতর উপযোগী।

(গ) সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা অধিকতর উপযোগী। 

(ঘ) প্রথম প্রাক্তন পদ পদ্ধতি অতি উত্তম।

প্রশ্ন ৯। একজন প্রাক্তন নির্বাচনী অধ্যক্ষ একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে নির্বাচন লড়েছিলেন। এই ব্যাপারটি নিয়ে নানারকম মতামতের সৃষ্টি হয়েছে। একটি মত হল একজন প্রাক্তন নির্বাচনী অধ্যক্ষ একজন স্বাধীন নাগরিক এবং তার যে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করার বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আছে। অন্যমতে, এধরনের সুযোগের ফলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতায় প্রভাব পড়বে। সুতরাং প্রাক্তন নির্বাচনী অধ্যক্ষের কোন অবস্থায়ই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। তুমি কোন্ মতটিকে পছন্দ করো এবং কেন?

উত্তরঃ প্রাক্তন নির্বাচন আয়ুক্তকে কোনও প্রকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হলে নিশ্চিতভাবেই তার পদের নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। 

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে আয়ুক্তকে কোনও প্রকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত নয়।

প্রশ্ন ১০। ভারতীয় গণতন্ত্র এখন প্রথম প্রাত্তন পদ প্রথা থেকে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তত, তুমি কি এই উক্তির সাথে একমত? তোমার মতের পক্ষে বা বিপক্ষে কারণ দর্শাও। 

উত্তরঃ আমাদের মতে ভারতীয় গণতন্ত্র এই মুহূর্তে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তত নয়। এর প্রধান কারণ সমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি খুবই জটিল। সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতি সহজে বোঝতে পারবে না।

(খ) সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি দেশের ঐক্য ও সংহতি রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলি তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে কিছু না কিছু সদস্যপদ লাভ করবে যা বহুদলীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

(গ) ভারতের মতো জনবহুল বিশাল দেশে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা উপযোগী নয়। এই পদ্ধতি নির্বাচনে গ্রহণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। কারণ কোটি কোটি ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব স্থির করে প্রতিনিধি নির্বাচন করা এক জটিল ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top