Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ 

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 7 যুক্তরাষ্ট্রবাদ The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

যুক্তরাষ্ট্রবাদ 

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংবিধানের কোন্ ধারায় ভারতবর্ষকে ‘রাজাসমূহের একটি সংঘ’ বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সংবিধানের ১ নং ধারায়। 

প্রশ্ন ২। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কোন্ অঙ্গরাজ্যের নিজস্ব সংবিধান আছে?

অথবা, 

নিজস্ব সংবিধান থাকা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র রাজ্যটির নাম লেখো?

উত্তরঃ জম্মু ও কাশ্মীর।

প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংবিধানের কোন্ ধারায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জনজাতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ৩৭১ নং ধারায়।

প্রশ্ন ৪। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র সাংবিধানিক কি নামে পরিচিত?

উত্তরঃ “রাজ্যসমূহের সংঘ” নামে। 

প্রশ্ন ৫। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন বিভাগ অবশিষ্ট ক্ষমতা প্রয়োগ করে? 

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় আইনসভা বা সংসদ।

প্রশ্ন ৬। “যুক্তরাষ্ট্র হল এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যাতে ঐক্য ও শক্তির সঙ্গে অঙ্গরাজ্যের সমন্বয় সাধন হয়।” এই উক্তিটি কার?

উত্তরঃ অধ্যাপক ডাইসি (Prof. Dicey)-র উক্তি।

প্রশ্ন ৭। “ভারত একটি আংশিক যুক্তরাষ্ট্র”– এটা কার অভিমত? 

উত্তরঃ অধ্যাপক কে. সি. হোয়ার (Prof. K. C. Wheare)–এর অভিমত। 

প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংবিধানের কোন্ তপশীলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের বিষয় অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে?

উত্তরঃ সপ্তম তপশীলে ।

প্রশ্ন ৯। “শিক্ষা” বর্তমানে কোন্ বিষয় সূচীতে অন্তর্ভুক্ত? 

উত্তরঃ যুগ্ম তালিকায়।

প্রশ্ন ১০। সংবিধানের কোন্ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে? 

উত্তরঃ ৩৭০ নং ধারায়।

প্রশ্ন ১১। নিজস্ব সংবিধান থাকা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র রাজ্যটির নাম লেখো?

উত্তরঃ জম্মু ও কাশ্মীর। 

প্রশ্ন ১২। ভারতে দ্বৈত নাগরিকের ব্যবস্থা আছে কি? (হ্যা বা না লেখো)

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১৩। “Federation” শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে? 

উত্তরঃ ল্যাটিন শব্দ “Foedus” থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

প্রশ্ন ১৪। ভারতীয় সংবিধানের একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ লিখিত সংবিধান। 

প্রশ্ন ১৫। ভারতীয় সংবিধানের একটি এককেন্দ্রীক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ক্ষমতা বণ্টনে কেন্দ্রের প্রাধান্যতা। 

প্রশ্ন ১৬। সংবিধানের সপ্তম তপশীলে উল্লেখিত তিনটি বিষয়সূচির নাম লেখো? 

উত্তরঃ (ক) কেন্দ্র তালিকা।

(খ) রাজ্য তালিকা। এবং 

(গ) যুগ্ম তালিকা।

প্রশ্ন ১৭। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত সরকার ব্যবস্থা আছে কি? (হ্যাঁ বা না লেখো)।

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ১৮। সংবিধানের সপ্তম তপশীলে উল্লেখিত কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়ের উল্লেখ করো?

উত্তরঃ প্রতিরক্ষা।

সঠিক উত্তর বেছে লেখ

প্রশ্ন ১। শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে–

(ক) যুগ্ম তালিকায়।

(খ) রাজ্য তালিকায়।

(গ) কেন্দ্রীয় তালিকায়। 

(ঘ) উপরের কোনোটি নয়। 

উত্তরঃ (ক) যুগ্ম তালিকায়। 

প্রশ্ন ২। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের অভিভাবক ও সংবিধান ব্যাখ্যা কর্তা –

(ক) রাষ্ট্রপতি।

(খ) সংসদ।

(গ) কেবিনেট।

(খ) সুপ্রীম কোর্ট।

উত্তরঃ (ঘ) সুপ্রীম কোর্ট।

প্রশ্ন ৩। ভারতে, কোন ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে এবং কোন ক্ষমতা রাজ্যের হাতে ন্যস্ত হবে – এই বিষয়ে যদি বিরোধ সৃষ্টি হয় তবে তার মীমাংসা করে –

(ক) কেন্দ্রীয় আইন সভা।

(খ) বিচার বিভাগ।

(গ) রাজ্য আইন সভা।

(ঘ) রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল।

উত্তরঃ (খ) বিচার বিভাগ (সপ্রীম কোর্ট)। 

প্রশ্ন ৪। কাবেরী জল বিবাদ নীচের কোন দুই রাজ্যের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে?

(ক) তামিলনাডু ও কর্ণাটকের মধ্যে। 

(খ) গুজরাট ও মধ্য প্রদেশের মধ্যে।

(গ) মধ্য প্রদেশ ও কর্ণাটকের মধ্যে। 

(ঘ) চণ্ডীগড় ও পাঞ্জাবের মধ্যে।

উত্তরঃ (ক) তামিলনাড় ও কর্ণাটকের মধ্যে। 

প্রশ্ন ৫। কেন্দ্র সংবিধানের কোন্ ধারা অনুযায়ী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন ঘোষণা করতে পারে?

(ক) ৩৫২নং।

(খ) ৩৫৬ নং।

(গ) ৩৬০ নং।

(ঘ) ৩৬৫ নং।

উত্তরঃ (খ) ৩৫৬ নং।

প্রশ্ন ৬। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা নির্ধারণ করে?

(ক) সংবিধান।

(খ) রাজ্য সরকার।

(গ) বিচার বিভাগ। 

(ঘ) রাজ্যপাল।

উত্তরঃ (ক) সংবিধান।

প্রশ্ন ৭। ”Federation” শব্দটি “Foedus” শব্দ হতে উদ্ভূত হয়েছে। “Foedus” একটি –

(ক) গ্রিক শব্দ।

(খ) ল্যাটিন শব্দ।

(গ) রোমান শব্দ।

(ঘ) ইংরাজি শব্দ।

উত্তরঃ (খ) ল্যাটিন শব্দ।

প্রশ্ন ৮। “foedus” শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ চুক্তি। 

প্রশ্ন ৯। কোন্ দেশের সংবিধান হতে ‘রাজ্যসমূহের সংঘ’ ধারণাটি গ্রহণ করা হয়েছে?

(ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

(খ) আয়ারল্যাণ্ড।

(গ) কানাডা। 

(ঘ) ইংল্যাণ্ড।

উত্তরঃ (গ) কানাডা।

প্রশ্ন ১০। কে সর্বভারতীয় সেবা সৃষ্টি বা নির্মূল করতে পারে?

(ক) কেন্দ্রীয় সংসদ।

(খ) লোকসভা।

(গ) রাজ্যসভা। 

(ঘ) ইউ. পি. এস. সি।

উত্তরঃ (গ) রাজ্যসভা।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। যুক্তরাষ্ট্র বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যে শাসন ব্যবস্থায় দুই প্রকারের সরকার থাকে এবং লিখিত ও অনমনীয় সংবিধান দ্বারা উভয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের ব্যবস্থা থাকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।

প্রশ্ন ২। ভারতীয় সংবিধানের যে কোনো দুটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

(ক) দ্বৈত সরকারঃ ভারতীয় সংবিধানে দু ধরনের সরকার ব্যবস্থার উল্লেখ আছে। একটি হল কেন্দ্রীয় সরকার এবং অপরটি হল রাজ্য সরকার। 

(খ) ক্ষমতা বণ্টনঃ ভারতীয় সংবিধান কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতা বণ্টন করেছে। 

প্রশ্ন ৩। অবশিষ্ট ক্ষমতা কী?

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় তালিকা, রাজ্যতালিকা ও যুগ্ম তালিকা – এই তিনটি তালিকার বহির্ভূত বিষয়ের ক্ষমতাকে অবশিষ্ট ক্ষমতা বলে। ভারতে এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সংসদের হাতে নাস্ত করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। ভারতীয় সংবিধানের যে কোনো দুটি অযুক্তরাষ্ট্রীয় (এককেন্দ্রিক) বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের অযুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য দুটি হলঃ 

(ক) ভারতীয় সংবিধান কেন্দ্রের হাতে রাজ্য অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা প্রদান করেছে।

(খ) ভারতে এক নাগরিকত্ব প্রচলিত। 

প্রশ্ন ৫। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সাংবিধানিক বিবাদগুলো কীভাবে মীমাংসা করা হয়?

উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। এই স্বাধীন বিচারালয় সংবিধানের ব্যাখ্যা করে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংবিধান সম্পর্কিত বিবাদের মীমাংসা করে।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারালয় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ব্যাখ্যাকর্তা এবং অভিভাবক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

প্রশ্ন ৬। সাধারণ ভাষা কি রাষ্ট্রগঠনের একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত এবং কেন?

উত্তরঃ সাধারণ ভাষা জনগণের মধ্যে ঐক্যবোধ ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে সহায়তা করে। যুক্তরাষ্ট্র গঠনে এই উপাদান যথেষ্ট সহায়তা করে। ভারতীয় অনেক রাজ্য ভাষার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। আবার সাধারণ অর্থনৈতিক সুবিধা রাজ্যসমূহের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করেছে। সুতরাং রাষ্ট্রগঠনে বা রাজ্যগঠনে সাধারণ ভাষা, একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রগঠনের জন্য অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও আৱশ্যক।

প্রশ্ন ৭। তুমি কি মনে করো অবশিষ্ট ক্ষমতা পৃথকভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন আছে? এবং কেন?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে কেন্দ্র ও সরকারের মধ্যে তিনটি বিষয় সূচীর মাধ্যমে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়েছে। এই তিনটি বিষয়সূচী হল– কেন্দ্রীয় তালিকা, রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা। আর যে সকল বিষয় এই তিন বিষয়সূচীর অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলোকে অবশিষ্ট ক্ষমতা বলা হয়। এই অবশিষ্ট ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় আদর্শের পরিপন্থি। তাই অবশিষ্ট ক্ষমতা পৃথকভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন। কারণ কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এই ক্ষমতা পৃথকভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল।

প্রশ্ন ৮। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন সম্পর্কে রাজ্যগুলো অখুশি কেন? 

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে কেন্দ্র সরকারকে অধিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শ বিরোধী। তিনটি তালিকার মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়েছে। এই তালিকা তিনটি হল – (অ) কেন্দ্রীয় তালিকা, (আ) রাজ্য তালিকা ও (ই) যুগ্ম তালিকা। কেন্দ্রীয় তালিকায় সকল গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোর উপর একমাত্র কেন্দ্রই আইন প্রণয়ন করতে পারে। অধিকও কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়গুলোর উপর আইন প্রণয়নের অধিকারী। যুগ্মতালিকার কোনো বিষয়ের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই যদি আইন পাশ করে তাহলে কেন্দ্রীয় আইন অগ্রাধিকার লাভ করে। তাছাড়া অবশিষ্ট ক্ষমতাও কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। এই সকল কারণে রাজাগুলো ক্ষমতা বণ্টন নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করছে। 

প্রশ্ন ৯। ভারতীয় সংবিধানে একটি এককেন্দ্রীক প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এই দাবির স্বপক্ষে দুটি কারণ দেখাও?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে একটি এককেন্দ্রীক প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। 

এর প্রধান দুটি কারণ হল নিম্নরূপঃ

(ক) কেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষমতাঃ ভারতীয় সংবিধান কেন্দ্রের হাতে অধিক ক্ষমতা প্রদান করেছে। জরুরিকালীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এককেন্দ্রীক ব্যবস্থায় পরিবর্তিত হয়।

(খ) এক নাগরিকত্বঃ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দ্বিনাগরিকত্ব থাকে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান সারা দেশের জন্য এক নাগরিকত্বের প্রবর্তন করেছে। 

প্রশ্ন ১০। ভারতীয় সংবিধান বস্তুগতভাবে এককেন্দ্রীক। এই দাবির স্বপক্ষে দুটি কারণ দর্শাও?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য অপেক্ষা এককেন্দ্রীক বৈশিষ্ট্য অধিক পরিমাণে পরিলক্ষিত হয়। কাঠামোগত দিক দিয়ে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রীয় মনে হলেও, প্রকৃত অর্থে ভারতীয় সংবিধান এককেন্দ্রীক। এর প্রধান কারণগুলোর অন্যতম দুটি হল নিম্নরূপঃ

(ক) এক–নাগরিকত্বঃ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দ্বি–নাগরিকত্ব থাকে। কিন্তু ভারতবর্ষে সারা দেশের জন্য এক–নাগরিকত্ব প্রবর্তন করা হয়েছে।

(খ) অসম ক্ষমতা বণ্টন নীতিঃ গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয় কেন্দ্রীয় তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত। অধিকন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য তালিকার বিষয়সমূহের উপরও কেন্দ্র আইন প্রণয়ন করতে পারে।

প্রশ্ন ১১। স্ব–শ্বাসন (autonomy) ও বিচ্ছিন্নতা (secession) এর মধ্যে পার্থক্য কী? 

উত্তরঃ স্ব–শাসন এবং বিচ্ছিন্নতা শব্দ দুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। স্ব-শাসন অর্থ হল রাজ্যের আভ্যন্তরীণ বিষয় পরিচালনা করার স্বাধীনতা। অপর পক্ষে বিচ্ছিন্নতা হল পৃথক হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রগঠন। স্ব-শাসনের দাবিগুলো সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থেকে উত্থাপিত হয় এবং সাধারণত স্ব-শাসন আন্দোলনগুলো মূলত অহিংসার উপর ভিত্তি করে আইনের সীমার মধ্যে থেকে সংগঠিত হয়। অপরদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনগুলো হিংসাশ্রয়ী এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।

রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে স্ব-শাসনের দাবি উত্থাপন করেছিল তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, পঞ্জাবে অকালি দল ও পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই (এম)। অপরপক্ষে খালিস্তানি, নাগা, মিজো প্রভৃতি উগ্রপন্থী দলগুলো পৃথক রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপন করেছিল। 

প্রশ্ন ১২। ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত তিনটি তালিকায় কয়টি বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশীলে তিনটি তালিকা আছে– 

(ক) কেন্দ্রীয় তালিকা। 

(খ) রাজ্য তালিকা। ও 

(গ) যুগ্ম তালিকা।

কেন্দ্রীয় তালিকায় মোট ৯৭টি বিষয় লিপিবদ্ধ আছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল – প্রতিরক্ষা, রেল, পারমাণবিক শক্তি, যুদ্ধ ও শান্তি প্রভৃতি। রাজ্য তালিকায় মোট ৬১টি বিষয় লিপিবদ্ধ করা আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম বিষয়সমূহ হল- পুলিশ, কৃষি, কারাগার, জনস্বাস্থ্য প্রভৃতি। যুগ্মতালিকায় মোট ৫২টি, বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয়সমূহ হল- ফৌজিদারি আইন, শিক্ষা, বন, ট্রেড ইউনিয়ন প্রভৃতি। 

প্রশ্ন ১৩। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তালিকার যে কোনো তিনটি বিষয় উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত অন্যতম তিনটি বিষয় হল – 

(ক) প্রতিরক্ষা। 

(খ) পারমাণবিক শক্তি। ও 

(গ) রেল। 

প্রশ্ন ১৪। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত যে কোনো তিনটি বিষয় উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যতালিকাভুক্ত তিনটি বিষয় হল – 

(ক) পুলিশ।

(খ) কৃষি ও জনস্বাস্থ্য।

১৫। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত যে কোনো তিনটি বিষয় উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ যুগ্ম তালিকাভুক্ত তিনটি বিষয় হল–

(ক) শিক্ষা। 

(খ) বন। ও 

(গ) শ্রমিক সংস্থা।

প্রশ্ন ১৬। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো তিনটি যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) দ্বৈত সরকারঃ ভারতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আছে। 

(খ) লিখিত সংবিধানঃ ভারতের সংবিধান লিখিত।

(গ) ক্ষমতা বণ্টনঃ ভারতীয় সংবিধান কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের ব্যবস্থা করেছে। সংবিধানের সপ্তম তপশীলে তিনটি তালিকার মাধ্যমে উভয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকাগুলোর মাধ্যমে উভয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়েছে। 

প্রশ্ন ১৭। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এককেন্দ্রীক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের এককেন্দ্রীক বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) কেন্দ্রের হাতে ব্যাপক ক্ষমতাঃ ভারতীয় সংবিধান কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে। জরুরিকালীন অবস্থায় সারা দেশে কেন্দ্রের আধিপত্য বিস্তার হয়।

(খ) এক–নাগরিকত্বঃ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দ্বি–নাগরিকত্ব ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান সারা দেশের জন্য এক–নাগরিকত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।

(গ) অ–সম ক্ষমতা বণ্টনঃ ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কেন্দ্র–তালিকাভুক্ত। অধিকন্তু বিশেষ অবস্থায় কেন্দ্রীয় সংসদ রাজ্যতালিকাভুক্ত বিষয়ের উপরও আইন প্রণয়ন করতে পারে। 

প্রশ্ন ১৮। অবশিষ্ট ক্ষমতা কী? ভারতবর্ষে কে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?

উত্তরঃ অবশিষ্ট ক্ষমতা হল সপ্তম তপশীলে বিধিবদ্ধ তিনটি বিষয় সূচি (কেন্দ্র, রাজ্য ও যুগ্ম)-র বহির্ভূত বিষয়গুলোর উপর আইন প্রণয়নের ক্ষমতা।

ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় আইনসভা অর্থাৎ সংসদ এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। 

প্রশ্ন ১৯। ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশীলে কয়টি বিষয়সূচি বিধিবদ্ধ করা আছে ? সূচিগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশীলে তিনটি বিষয়সূচি বিধিবন্ধ করা আছে। 

এই সুচি তিনটি হল – 

(ক) কেন্দ্রীয় সূচি (Union List)। 

(খ) রাজ্যিক সূচি (State) List)। এবং 

(গ) যুগ্ম সূচি (Concurrent List)। 

প্রশ্ন ২০। বর্তমানে ভারতবর্ষে কয়টি অঙ্গ রাজ্য এবং কয়টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে?

উত্তরঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে ২৯টি অঙ্গ রাজ্য এবং ৬টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে। 

প্রশ্ন ২১। অবশিষ্ট ক্ষমতা কী? একটি উদাহরণ সহ সংক্ষেপে লেখো? 

উত্তরঃ অবশিষ্ট ক্ষমতা হল ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশীলে বর্ণিত তিনটি বিষয় সূচি (কেন্দ্র, রাজ্য এবং যুগ্ম)-র বহির্ভূত যে কোনো বিষয়ের উপর আইন প্রণয়নের ক্ষমতা। উদাহরণ– সাইবার (Ciber)।

পূর্ব উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা রাখার তিনটি কারণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ যদিও ভারতীয় সংবিধানে অনেক যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তথাপি ভারতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার আছে। 

ভারতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা থাকার কারণগুলো নিম্নরূপঃ

(ক) ভারতীয় সংবিধান সভাকে দেশ বিভাজন প্রভাবিত করেছিল। তাই পুনরায় দেশের মানুষ যাতে এরূপ দেশবিভাজনের সম্মুখীন না হয়, তার জন্য সংবিধান নির্মাতাগণ একটি শক্তিশালী কেন্দ্র সরকার রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

(খ) জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতি বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন। এই সরকার দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন করতে সক্ষম হবে। 

(গ) ভারতের মতো বিশাল দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে । এই সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রশ্ন ২। ভারতীয় সংবিধানে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জন্য কী কী বিশেষ ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে? কীভাবে তুমি তার মূল্যায়ন করবে?

উত্তরঃ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে সংবিধানের ৩৭০নং ধারা অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। 

এই মর্যাদা প্রদানকারী বিষয়গুলো হল নিম্নরূপঃ

(ক) জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য পৃথক সংবিধান এবং পৃথক জাতীয় পতাকা থাকবে।

(খ) জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যসরকারের অনুমোদন ব্যাতীত আভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য জম্মু–কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে না।

(গ) আর্থিক জরুরি অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে ঘোষণা করা যাবে না। 

(ঘ) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতিগুলো জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে প্রযোজ্য হবে না। 

(ঙ) ৩৬৮নং ধারা অনুযায়ী এই রাজ্যের স্বার্থ সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংশোধন কেবল মাত্র জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের অনুমোদন ক্রমেই করা যাবে।

জম্মু ও কাশ্মীরকে এই বিশেষ মর্যাদা প্রদান করায় দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বাইরের অন্যান্য রাজ্যের মানুষের মতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান ভারতের পূর্ণ সংহতিকে প্রতিহত করছে। তাই এই ধারা বিলুপ্তির প্রয়োজন। অন্যদিকে ওই রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে কাশ্মীরীরা মনে করেন ৩৭০ ধারা তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে পারছে না। তাই তারা আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করছে। 

প্রশ্ন ৩। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায় রাজ্যগুলোর সম প্রতিনিধিত্ব দেখা যায় না কেন?

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষ হল রাজ্যসভা (Council of States)। রাজ্যসভার রাজ্যগুলোর সম–প্রতিনিধিত্ব পরিলক্ষিত হয় না। রাজ্য সভায় ১২জন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন। রাজ্যসভার ওই ১২ জন সদস্য ব্যতীত বাকী সকল সদস্যগণ জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে জনগণ দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সদস্য সংখ্যা বণ্টিত হওয়ায় রাজ্যগুলোর রাজ্যসভায় সম প্রতিনিধিত্ব দেখা যায় না। কারণ জনবহুল রাজ্যগুলোর সদস্য সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম জনবহুল রাজা হতে অধিক। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মতো ছোট–বড় সকল রাজ্য হতে একই সদস্য সংখ্যা রাজ্য সভায় প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায় না। উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে উত্তরপ্রদেশ হতে রাজ্যসভায় ৩১জন সদস্য প্রতিনিধিত্ব করে কিন্তু সিকিম, মণিপুর, মিজোরাম এর মতো ছোট রাজ্যগুলো হতে মাত্র ১জন সদস্য রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এই পদ্ধতি প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শ বিরোধী।

প্রশ্ন ৪। বৃহত্তর স্বশাসনের জন্য রাজ্যসমূহ কর্তৃক উত্থাপিত দাবিগুলো কী কী? 

উত্তরঃ স্বাধীনতার পর হতে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। এর প্রধান কারণ হল কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ক্ষেত্রেই কংগ্রেস দলের সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু ১৯৬৬ সালের পর কয়েকটি রাজ্যে অ–কংগ্রেসী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই সমস্যার উদ্ভব হয়। বিশেষ করে সি. পি. আই (এম), ডি. এম. কে. এবং অকালি দল রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা প্রদানের দাবি করে। এই রাজনৈতিক দলগুলির মতে, কেন্দ্র হতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ না হলে দেশে একতা ও সংহতি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই রাজাগুলো নিম্নলিখিত দাবিসমূহ উত্থাপন করেঃ

(ক) ডি. এম. কে. দেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও সংহতি অক্ষুণ্ণ রেখে রাজ্য সরকারের হাতে অধিক ক্ষমতা ন্যস্ত করার দাবি উত্থাপন করে।

(খ) রাজাগুলো সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত হতে রাজ্য সরকারের হাতে অবশিষ্ট ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি উত্থাপন করে। 

(গ) বিকাশমুখী কার্যের জন্য ঋণ, অনুদান, প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে রাজ্যসমূহের আলোচনা করার স্বাধীনতা থাকার দাবি উত্থাপন করেন।

(ঘ) রাজ্যসমূহ তাদের হাতে অধিক আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের দাবি তুলে। ১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাম ফ্রন্ট সরকার কেন্দ্র–রাজ্যের আর্থিক সম্পর্ককে নতুনভাবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। 

(ঙ) রাজ্যসমূহ তাদের জন্য অধিক প্রশাসনিক ক্ষমতা পাওয়ার দাবি উত্থাপন করে। 

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top