Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার 

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question in Bengali Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 8 স্থানীয় সরকার The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রশ্ন ১৬। স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তরঃ স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনের চারটি বৈশিষ্ট্য হলঃ

(ক) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো বিধিবন্ধ আইনের অধীনে গঠিত।

(খ) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো স্বশাসিত সংস্থা।

(গ) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। 

(ঘ) স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলোর সার্বভৌম ক্ষমতা নেই।

প্রশ্ন ১৭। অসম পঞ্চায়েত আইন, ১৯৯৪ অনুসারে গাঁও পঞ্চায়েতের চারটি কার্য লেখো?

উত্তরঃ অসম পঞ্চায়েত আইন, ১৯৯৪ অনুসারে গাঁও পঞ্চায়েতের কার্যক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে। 

এর চারটি কার্য হল নিম্নরূপঃ

(ক) গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ ইত্যাদি কার্যাবলির রূপায়ণ।

(খ) পশু প্রজনন, দুগ্ধ পালন, মীন পালন ইত্যাদি প্রকল্পের বাস্তবায়ন।

(গ) গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কম্যুনিটি হল নির্মাণ প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কার্যাবলি।

(ঘ) দারিদ্র দূরীকরণ কার্যসূচীর রূপায়ণ, সরকারী বণ্টন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন প্রভৃতি।

প্রশ্ন ১৮। স্থানীয় সরকারগুলোর চারটি কার্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ স্থানীয় সরকারগুলোর কার্যাবলি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

(ক) পর্যবেক্ষণমূলক কার্যাবলিঃ স্থানীয় সরকারগুলো নানাধরনের পর্যবেক্ষণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করে। যেমন – জল সরবরাহ, জল নিষ্কাশন, ময়লা ও আবর্জনা পরিষ্কার, রাস্তাঘাটে আলোর ব্যবস্থা প্রভৃতি।

(খ) রক্ষণাবেক্ষণমূলক কার্যাবলিঃ স্থানীয় সরকারসমূহ স্বাস্থ্য রক্ষা, গৃহ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, মহামারী প্রতিরোধ সহ নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্য সম্পাদন করে।

(গ) সামাজিক কার্যাবলিঃ স্থানীয় সরকারগুলো জনগণের কল্যাণার্থে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। এই সংস্থাগুলো শিশু–প্রসূতি কল্যাণ, সামাজিক উৎসব, মেলা, গ্রন্থাগার ইত্যাদির ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করে।

(ঘ) জনহিতকর কার্যাবলিঃ স্থানীয় সরকারগুলো বিভিন্ন প্রকারের জনহিতকর কার্যাবলি সম্পাদন করে। যেমন – বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা, স্থানীয় সরকারি পরিবহণের ব্যবস্থা করা, বিদ্যুৎ সরবরাহ করা, রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা প্রভৃতি।

প্রশ্ন ১৯। ভারতের ৭৩-তম সংবিধান সংশোধনের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তরঃ (ক) ত্রি–স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাঃ ৭৩-তম সংশোধনী আইনে ত্রি–স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উল্লেখ আছে। এর বিশেষত্ব হল – গ্রাম পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পর্যায়ে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এবং জেলা পর্যায়ে জেলা পরিষদ। 

(খ) নির্বাচনী ব্যবস্থাঃ সকল পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানই জনগণ দ্বারা প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত। প্রত্যেক পঞ্চায়েত সংস্কার কার্যকাল পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে কোন পঞ্চায়েত সংস্থা ভঙ্গ হলে ছয়মাসের ভেতর নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে।

(গ) উক্ত আইন অনুযায়ী প্রত্যেক রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য একজন রাজ্যিক নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করেন। 

(ঘ) ৭৩-তম সংবিধান সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে একাদশ তপশিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তপশিলে ২৯টি বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে নাস্ত। 

প্রশ্ন ২০। ভারতীয় সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনী আইন অনুসারে পঞ্চায়েতীরাজ প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ সংবিধানের ৭৩-তম ও ৭৪-তম সংশোধনী আইনের পর পঞ্চায়েতীরাজ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭৩-তম সংশোধনী আইন দ্বারা পঞ্চায়েতীরাজ প্রতিষ্ঠানের গঠন ও নির্বাচন ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ত্রিস্তরীয় কাঠামোতে বর্তমানে সকল রাজ্যেই একই প্রকার ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা প্রচলিত। নীচু স্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত যা এক বা একাধিক গ্রাম অন্তর্ভুক্ত করে। মধ্যবর্তী স্তর আঞ্চলিক পঞ্চায়েত বা তালুক পঞ্চায়েত। সর্বোচ্চ স্তরে আছে জেলা পরিষদ যা সমগ্র জেলার গ্রামীণ এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

ত্রিস্তরীয় সকল পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানই জনগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। প্রত্যেক পঞ্চায়েত সংস্থার কার্যকাল পাঁচ বছর। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভঙ্গ করলে ছয়মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭৩-তম সংশোধনীর পূর্বে বহু রাজ্যের জেলা সংস্থাগুলোতে পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল। আর সংস্থাসমূহ ভঙ্গ করার ঠিক পরই নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত না। বর্তমানে পঞ্চায়েতীরাঞ্জ ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় সুসংহত ও অধিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ২১। সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধন অনুসারে পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলির গঠন সংক্ষেপে উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধন অনুসারে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে ভারতের সকল রাজ্যেই একই প্রকার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থা প্রচলিত। ৭৩-তম সংশোধনী আইন অনুসারে নীচু স্তরে হলো, গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রাম পঞ্চায়েত এক বা একাধিক গ্রাম অন্তর্ভুক্ত করে। মধ্যবর্তী স্তর হলো ব্লক পর্যায়ে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত। আঞ্চলিক পঞ্চায়েতকৈ মণ্ডল (Block) বা তালুকও বলা হয়। মধ্যবর্তী স্তরের এই স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র রাজ্যে গঠন করার দরকার হয় না। সর্বোচ্চ স্তর হলো জিলা পরিষদ বা জিলা পঞ্চায়েত যা সমগ্র জিলার গ্রামীণ এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে।

উক্ত সংশোধনী আইন গ্রামসভা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক করেছে। গ্রামসভা এলাকার ভোটার তালিকায় নথিভূক্ত সকল নির্বাচক (ভোটার) নিয়ে গঠিত হয়। রাজ্য আইনসভা এর ভূমিকা ও কার্যাবলী নির্ধারণ করে।

নিস্তরীয় সকল পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠান জনগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। প্রত্যেক পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানের কার্যকাল পাঁচ বছর। যদি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে পঞ্চায়েত ভঙ্গ হয় তবে ভঙ্গ হওয়ার ছয় মাসের ভিতর নতুনভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭৩-তম সংশোধনীর পূর্বে বহু রাজ্যে জিলা সংস্থাগুলোতে পরোক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল। উক্ত সংশোধনী আইন অনুসারে প্রত্যেক রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য একজন রাজ্যিক নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করেন। 

৭৩-তম সংশোধনী অনুসারে সকল পঞ্চায়েত সংস্থার এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। অনুসূচিত জাতি এবং অনুসূচিত জনজাতির জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা পঞ্চায়েতের সকল স্তরের সভাপতি/সভানেত্রীর আসনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংবিধানের একাদশ অনুসূচীতে (the Eleventh schedule) তালিকাবদ্ধ পঞ্চায়েতের কার্যাবলীর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো কী কী? 

উত্তরঃ সংবিধানের একাদশ অনুসূচী পঞ্চায়েত সংস্থা সমূহের উপর মোট ২৯টি বিষয় নাস্ত করেছে। 

এই অনুসূচীতে তালিকাবদ্ধ প্রধান বিষয়সমূহের কয়েকটি নিম্নরূপঃ 

(ক) কৃষি ও কৃষি উন্নয়ন।

(খ) ক্ষুদ্র জলসেচ প্রকল্প, জল সংরক্ষণ ও জলাধার উন্নয়ন।

(গ) খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্প।

(ঘ) গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ। 

(ঙ) পানীয় জল সরবরাহ।

(চ) রাস্তা ও সেতু নির্মাণ ও মেরামত। 

(ছ) গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ।

(জ) দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি।

(ঝ) শিক্ষা – প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। 

(ঞ) দুর্বল শ্রেণীর উন্নয়ন – বিশেষভাবে অনুসূচীত জাতি ও জনজাতি।

(ট) সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ।

(ঠ) সরকারি বণ্টন ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ২। সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনী আইনে গ্রামসভার কার্যগুলো কী কী? 

উত্তরঃ ৭৩-তম সংশোধনী আইন অনুযায়ী গ্রামসভার প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপঃ

(ক) গ্রামসভা গ্রামপ্রধান ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নির্বাচন করে। 

(খ) গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজেট পাশ করে।

(গ) নতুন কর ধার্য করার অনুমতি প্রদান করে। 

(ঘ) গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসাবের প্রতিবেদন বিচার করে।

(ঙ) গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যের পুনর্বিচার করে। 

(চ) গ্রামপ্রধান যদি ঠিকমতো কার্য না করে তাহলে তাকে অপসারণ করে।

প্রশ্ন ৩। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা কী?

অথবা, 

ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ বর্তমানে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর জনসংখ্যা বিশাল হওয়ার জন্য রাষ্ট্রের কার্যাবলীও জটিল ও বিস্তৃত হয়েছে। তাই কেবল একটি সরকারি কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই কার্যগুলো সম্পাদন করা সম্ভবপর নয়। এমনকী যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় অঙ্গরাজ্যগুলোর পক্ষেও এই সকল বিবিধ স্থানীয় সমস্যার সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা সম্ভবপর নয়। এই কারণেই ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা হয়। বিকেন্দ্রীকরণ হল সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় এলাকার জনগণের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া। এটি কেন্দ্র হতে গ্রাম পর্যন্ত ক্ষমতা বণ্টনের একটি শাসনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর প্রধান কারণ হল স্থানীয় এলাকার মানুষ নিজেদের সমস্যার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দরুন তারা নিজেদের সমস্যা সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন ৪। স্থানীয় স্বায়ক শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করো?

উত্তরঃ স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

(ক) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা গঠিত প্রতিষ্ঠান। স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সীলমোহর দ্বারা আইনানুসারে কার্য সম্পাদন করে।

(খ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য সরকারের নীতি ও পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। 

(গ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বভৌম ক্ষমতা নেই।

(ঘ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থার নিজস্ব এলাকা আছে। এই এলাকার মধ্যে তাদের কার্য সীমাবদ্ধ। 

(ঙ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় সমস্যার সমাধানকল্পে কার্য সম্পাদন করে। 

(চ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থাগুলো আর্থিক দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও এই সংস্থাগুলোর অনেক আয়ের উৎস আছে।

স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠানগুলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদন করে। 

প্রশ্ন ৫। স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থার সাফল্যের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী আলোচনা করো?

উত্তরঃ স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থার সাফল্যের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

(ক) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থাগুলোর সাফল্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদের একান্ত প্রয়োজন। এর জন্য পর্যাপ্ত উৎস থাকা প্রয়োজন। 

(খ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থাগুলোর সাফল্যের জন্য রাজ্যসরকারের যথাযথভাবে পরিদর্শন ও সহায়তার প্রয়োজন।

(গ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থাগুলোকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উৎসাহ দান করা প্রয়োজন। এই সংস্থাগুলোকে অধিক স্বাধীনতা প্রদান করা উচিত। 

(ঘ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন সংস্থাগুলোর সাফল্য স্থানীয় জনগণের উপর নির্ভর করে। এজন্য স্থানীয় জনগণের স্থানীয় সরকারের কাজকর্মে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করা উচিত।

(ঙ) স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যের জন্য জনগণের মধ্যে পৌর চেতনাবোধ বৃদ্ধি করা উচিত। এজন্য জনগণের মধ্যে পৌরবোধ জাগ্রত করা ও শিক্ষার বিস্তার করা অত্যন্ত জরুরি।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতের সংবিধান গ্রাম পঞ্চায়েতসমূকে স্বশাসনের সংখা রূপে অবলোকন করেছে। নিম্নের উক্তিগুলোতে বর্ণিত পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তা করো এবং ব্যাখ্যা করো কীভাবে এ সব পরিস্থিতি পঞ্চায়েতসমূহকে স্থানীয় সরকার সংস্থায় পরিণত হতে শক্তিশালী অথবা দুর্বল করে?

(ক) কোনো রাজ্য সরকার একটি বৃহৎ কোম্পানিকে একটি ইস্পাত কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়। এই ইস্পাত কারখানা দ্বারা বহু ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রামের গ্রাম সভা একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে যে এই এলাকায় কোন বৃহৎ শিল্প স্থাপনের পূর্বে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে এবং তাদের অভিযোগ দূর করতে হবে। 

(খ) সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে প্রকল্পের মোট ব্যায়ের ২০শতাংশ পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

(গ) কোনো গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে তহবিল জমা রেখেছে। সরকারি আধিকারিক এই বলে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন যে নিন্ধারিত প্রকল্পের জন্য মঞ্জুরীকৃত তহবিল অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

(ঘ) সরকার দুঙ্গারপুর গ্রামকে দুভাগে ভাগ করেন এবং এক ভাগকে যমুনা, অপর ভাগকে সোহানী নাম দেওয়া হলো। বর্তমানে সরকারি খাতায় দুসারপুর গ্রাম মুছে গেল।

(ঙ) কোনো গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যবেক্ষণ করল যে তাদের এলাকার জলের উৎস দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তারা স্থির করল যে কিছু স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য গ্রামের যুবক একত্রিত করবে এবং গ্রামের পুরাতন পুকুর ও কূপ পুনরুজ্জীবিত করবে। 

উত্তরঃ উপরোক্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলঃ

(ক) গ্রামসভার অনুমতি ও পরামর্শ ব্যতীত ইস্পাত কারখানা স্থাপন করলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দুর্বল হবে।

(খ) এটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। 

(গ) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।

(ঘ) সরকারের এই কার্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে।

(ঙ) গ্রাম পঞ্চায়েতের এই প্রচেষ্টা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে মজবুত করবে। 

প্রশ্ন ২। মনে করো তোমাকে কোনো রাজ্যের স্থানীয় সরকারের পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব অর্পণ করা হলো, তুমি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে স্বশাসনের সংস্থা রূপে কী কী ক্ষমতা ন্যস্ত করবে? যে কোনো পাঁচটি ক্ষমতার উল্লেখ করো এবং এই ক্ষমতা দানের যৌক্তিকতায় প্রতিটি ক্ষমতার জন্য দু–লাইনে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যথাযথভাবে কার্য সম্পাদন করবার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে নিম্নলিখিত ক্ষমতা দেওয়া উচিতঃ

(ক) গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে কর ধার্য ও সংগ্রহ করবার অধিকার প্রদান করা উচিত। এর ফলে পঞ্চায়েতগুলো স্বনির্ভরশীল হবে এবং এরজন্য পঞ্চায়েতগুলো জনকল্যাণকামী প্রকল্প তৈরি করতে উৎসাহ বোধ করবে।

(খ) গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা তৈরির ক্ষমতা থাকা উচিত। স্থানীয় বিষয় সম্পর্কে স্থানীয়দের মতামত গ্রহণ করা সঠিক পদক্ষেপ। 

(গ) কৃষির উন্নতির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে অধিক ক্ষমতা প্রদান করা উচিত। কারণ ভারতবর্ষের গ্রামগুলোর অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষির উন্নতিকল্পে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে এই ক্ষমতা প্রদান করা উচিত।

(ঘ) গ্রামের মঙ্গল সাধনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প তৈরির ক্ষমতা প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। কারণ গ্রামের সমস্যাগুলো সম্পর্কে পঞ্চায়েতগুলো ওয়াকিবহাল।

(৫) গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তহবিল মঞ্জুরের ক্ষমতা প্রদান করা একান্ত জরুরি। কারণ তহবিল মঞ্জুরির ক্ষমতা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর হাতে থাকলে পঞ্চায়েতগুলো উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পাদন করতে পারবে। 

প্রশ্ন ৩। সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধন অনুযায়ী সামাজিকভাবে সুবিধাভোগীহীন শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাসমূহ কী কী? 

উত্তরঃ সামাজিকভাবে সুবিধাভোগীহীন শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাগুলো নিম্নরূপঃ

(ক) সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধন অনুযায়ী পঞ্চায়েত সংস্থাগুলোতে অনুসূচীত জাতি ও জনজাতির জন্য আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

(খ) যে সকল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২০% এর অধিক জনসংখ্যা অনগ্রসর শ্রেণীর সেই এলাকার পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(গ) জেলার তপশীলভুক্ত সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে সরপক্ষের পদেও সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে।

স্থানীয় সংস্থাসমূহে বর্তমানে সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছে। 

প্রশ্ন ৪। সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কালের স্থানীয় সরকার সমূহের মধ্যে প্রধান পার্থক্য সমূহ কী কী?

উত্তরঃ ৭৩-তম সংশোধনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালের স্থানীয় সরকার সমূহের মধ্যে প্রধান পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) পূর্বে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থায় কোনো সমরূপতা (Uniformity) ছিল না। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রূপে প্রচলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সকল রাজ্যেই এক ধরনের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বিদ্যমান।

(খ) পূর্বে পঞ্চায়েত সংস্থাসমূহের কার্যকাল সমান ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সকল রাজ্যেই পঞ্চায়েত সংস্থার কার্যকাল পাঁচ বছর।

(গ) পূর্বে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ৭৩-তম সংশোধনের পরবর্তীকালে পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

(ঘ) পূর্বে পৃথক নির্বাচন কমিশন ও পৃথক অর্থ কমিশন নিয়োগের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে প্রত্যেক রাজ্যে এই সংস্থা দুটি গঠিত হয়েছে। 

প্রশ্ন ৫। নীচের কথোপকথনটি পড়ো। এ কথোপকথনে উত্থাপিত বিষয়গুলো সম্পর্কে তোমার অভিমত দুশত শব্দের মধ্যে লেখো।

অলকঃ আমাদের সংবিধান পুরুষ ও মহিলাদের সমতা সুনিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সংস্থায় মহিলাদের সংরক্ষণ ক্ষমতায় তাদের ন্যায্য অংশ সুনিশ্চিত করেছে। 

নেহা: কিন্তু মহিলাদের ক্ষমতার পদমর্যাদাই যথেষ্ট নহে। স্থানীয় সংস্থাসমূহের বাজেটে মহিলাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকা উচিত।

জয়েসঃ আমি এ সংরক্ষণ ব্যবস্থা পছন্দ করি না। স্থানীয় সংস্থাকে গ্রামীণ জনগণের প্রতি দৃষ্টি দিতে হয় এবং তা স্বাভাবিক ভাবেই মহিলাদের স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি দিবে।

উত্তরঃ সংবিধান অনুযায়ী ভারতের সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। ভারতের সংবিধানে নারী ও পুরুষকে সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১৫নং ধারা অনুযায়ী সরকার লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, জন্ম প্রভৃতির ভিত্তিতে কোনোপ্রকার বৈষম্য করতে পারবে না। সংবিধানের ৭৩-তম ও ৭৪-তম সংবিধান সংশোধনীর পূর্বে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত কোন ব্যবস্থা ছিল না। কিন্ত সংশোধনী আইন দুটিতে মহিলাদের জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলোতে ৩৩% আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা স্থানীয় সংস্থাগুলোর সভাপতি/সভানেত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। স্থানীয় সংস্থায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ সমতার নীতি বিরোধী হলেও বাস্তব অর্থে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা জাতির সামগ্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। কারণ এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পূর্বে স্থানীয় সংস্থায় মহিলাদের প্রতিনিধি সংখ্যা একেবারে নগণ্য ছিল। কিন্ত বর্তমানে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সংরক্ষণ নীতির ফল স্বরূপ এটা সম্ভব হয়েছে। মহিলাদের অংশগ্রহণে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে কার্যপ্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে মহিলাদের বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। এভাবে মহিলারা রাজনীতি ও প্ৰশাসন সংক্ৰান্ত কার্যে দক্ষ হচ্ছে। 

প্রশ্ন ৬। সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনীর অনুবিধিগুলো পড়ো। নিম্নের বিষয় সমূহের মধ্যে কোনটি এই সংশোধনী সমাধান করবে?

(ক) সদস্যগণকে বদলের ভয় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করে রাখে। 

(খ) প্রভাবশালী সম্প্রদায় এবং সামন্ত জমিদার স্থানীয় সংস্থা সমূহে প্রাধান্য বিস্তার করে।

(গ) গ্রামে নিরক্ষরতা অত্যন্ত বেশি। নিরক্ষর লোক গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। 

(ঘ) গ্রামের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং ফলপ্রসু করতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর অর্থ এবং ক্ষমতার প্রয়োজন। 

উত্তরঃ (ঘ) গ্রামের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং তা ফলপ্রসু করতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর অর্থ এবং ক্ষমতা উভয়েরই প্রয়োজন। সংবিধানের ৭৩-তম সংশোধনী আইন পঞ্চায়েত সংস্থাগুলোর হাতে মোট ২৯টি বিষয়ের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে। এই বিষয়গুলো সংবিধানের একাদশ অনুসূচীতে বিধিবন্ধ আছে।

প্রশ্ন ৭। নিম্নলিখিতগুলোর মধ্যে কোনটি তোমার মতে বিকেন্দ্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত করে? অন্যান্য বিকল্প পছন্দগুলো বিকেন্দ্রীকরণের জন্য কেন পর্যাপ্ত নয়?

(ক) গ্রাম সভা আহবান করার ক্ষমতা। 

(খ) গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজ্য সরকার দ্বারা শুরু করা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খণ্ড উন্নয়ন অধিকারিকের নিকট থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন।

উত্তরঃ (খ) গ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রামবাসী কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন। এর ফলে গ্রামে বিকেন্দ্রীকরণের পরিসর বর্ধিত হবে। সুতরাং গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজ্য সরকারের আরম্ভ করা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খণ্ড উন্নয়ন আধিকারিকের (B. D. O.) নিকট হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদন বিকেন্দ্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত করে। অন্য বিকল্প পছন্দ বিকেন্দ্রীকরণের প্রধান বিষয়ভূক্ত নয়। 

প্রশ্ন ৯। রাঘবেন্দ্র পরপান্না নামে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র প্রাথমিক শিক্ষায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্র বিকেন্দ্রীকরণের ভূমিকা অধ্যয়ন করতে চেয়েছিল। সে গ্রামবাসীকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এই প্রশ্নগুলো নিম্নে দেওয়া হলো। তুমি যদি এ সকল গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন হতে তা হলে এসকল প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর কী দিতে? 

গ্রামের প্রতিটি শিশু যাতে বিদ্যালয়ে যেতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা আলোচনা করতে গ্রাম সভার একটি সভা আহ্বান করা হবে।

(ক) সভার সুবিধাজনক দিন তুমি কীভাবে স্থির করবে? চিন্তা করে দেখো তোমার পছন্দ মত দিনে সভায় কে কে উপস্থিত থাকতে সমর্থ হবে/সমর্থ হবে না। 

১। খণ্ড উন্নয়ন আধিকারিক অথবা জিলাশাসক কর্তৃক নির্ধারিত দিন।

২। গ্রামের বাজার দিন। 

৩। রবিবার।

৪। নাগপঞ্চমী–সংক্রান্তি।

(খ) সভার সুবিধাজনক স্থান কোনটি? এবং কেন? 

১। জিলাশাসকের নির্দেশনামা দ্বারা নিদ্ধারিত স্থান।

২। গ্রামের ধর্মীয় স্থান।

৩। দলিত মহল্লা।

৪। উচ্চ সম্প্রদায়ের তলা।

৫। গ্রামের বিদ্যালয়। 

(গ) গ্রামসভার সভায় প্রথমত জিলাশাসক প্রেরিত একটি নির্দেশনামা পাঠ করা হয়। এটি একটি শিক্ষা পদযাত্রা সংগঠিত করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং এর যাত্রাপথ কী হওয়া উচিত তা নিদ্ধারণ করে দেয়। এই সভা যে সকল শিশু কখনও বিদ্যালয়ে যায় না, অথবা মেয়েদের শিক্ষা অথবা বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা অথবা বিদ্যালয়ের সময় প্রভৃতি বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি। সভায় কোনো মহিলা উপস্থিত হয়নি কারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। জনগণের অংশ গ্রহণের উদাহরণ রূপে সভায় আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে তুমি কী ভাবো?

(ঘ) মনে করো তোমার শ্রেণী কক্ষ হলো একটি গ্রাম সভা। সভার কার্যসূচি আলোচনা করো এবং লক্ষ্য রূপায়ণে কতিপয় পদক্ষেপ উত্থাপন করো। 

উত্তরঃ উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের ব্যাখ্যা নিম্নরূপঃ 

(ক) (৩) রবিবার সভার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক দিন। কারণ রবিবার বন্ধের দিন। তাই অধিক সংখ্যক গ্রামবাসী সভায় উপস্থিত থাকবে। 

(খ) (৫) গ্রামের বিদ্যালয় উপযুক্ত সভাস্থল। 

(গ) গ্রামসভার বৈঠকে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ ও মহিলার যোগদান করা উচিত। বৈঠকে সকলের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত। গ্রামসভার বৈঠকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের উপস্থিত হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে এই উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। সকল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে আলোপ আলোচনা হওয়া উচিত। জনগণের নিকট হতে পরামর্শ চাওয়া উচিত। স্কুলে অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারে সভায় আলোচনা জরুরি। বিদ্যালয় গৃহের অবস্থা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে।

(ঘ) সভার কার্যসূচি আলোচনা পূর্বক গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া সুনিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা প্রয়োজনঃ 

(অ) অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে তাদের সন্তান পাঠানোর ব্যাপারে সচেতন করা উচিত।

(আ) গ্রামবাসীদের মধ্যে শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

(ই) ছেলে–মেয়েদের উৎসাহ প্রদানকারী কিছু কিছু জিনিসপত্র দেওয়া উচিত। যেমন – বই, খাতা, স্কুলের পোশাক, মধ্যাহ্নভোজন প্রভৃতি উৎসাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top