Class 12 Economics Chapter 3 মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Board Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 3 মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা with you. Are you a Student of Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 3 মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা Which you Can Download Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 3 মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা for free using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 3 মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা

Today’s We have Shared in This Post, HS 2nd Year Economics in Bengali Solutions for Free with you. HS 2nd Year Economics in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC HS 2nd Year Economics in Bengali Questions and Answers Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

প্রশ্ন ৫। ভারতের মৌদ্রিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সংক্ষেপে RBI হচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান। RBI সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মুদ্রানীতি গ্রহণ করে। মুদ্রা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত দেশের মুদ্রা ও ঋণযোগান ব্যবস্থা পরিচালনা এবং বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের ঋণ ব্যবস্থা ও সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে নীতি তাকে মুদ্রানীতি বলে। রিজার্ভ ব্যাংক নানাবিধ ফলপ্রসূ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের অর্থের যোগান নিয়ন্ত্রণ করে দাম ও বৈদেশিক বিনিময় হারের স্থায়িত্ব রক্ষা করে। টাকাকড়ির প্রচলন ও ব্যাংক ক্রেডিট নিয়ন্ত্রণ – এই দুটি কাজের একচেটিয়া ক্ষমতা RBI এর হস্তে ন্যস্ত যা দ্বারা RBI অর্থের মোট যোগান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। 

দেশের অন্যান্য ব্যাংকের কার্যকলাপের ওপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকের ব্যবস্থা করে RBI সুষ্ঠু ব্যাংক ব্যবস্থা গড়ে তুলে। দেশের অর্থসংক্রান্ত নীতির যথাযথ রূপায়ণ RBI এর হস্তে ন্যস্ত থাকে।

ভারতের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশে RBI অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দামস্তরের স্থিরতা রক্ষা, কৃষি শিল্প ও অন্যান্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া, সরকারি ঋণ সংগ্রহ করা ইত্যাদি বিষয়গুলো RBI সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছে। সুতরাং দেখা যায়, অর্থ সংক্রান্ত নীতির কর্তৃপক্ষ হিসাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৬। ‘অর্থনীতিতে মুদ্রার যোগান পরিবর্তনের জন্য RBI দায়বদ্ধ।’ – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ দেশের মূল্যস্তরের সুস্থিরতা বজায় রাখতে হলে মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ একান্ত আবশ্যক। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। RBI বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ প্রদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশে মুদ্রার যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখে। মুদ্রার মূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য RBI প্রধানতঃ ‘ব্যাংক হার’ এবং ‘খোলা বাজার প্রক্রিয়া’- এই দুটি হাতিয়ার প্রয়োগ করে।

(১) ব্যাংক হার: যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহকে ঋণ প্রদান করে তাকে ব্যাংক হার বলে। ব্যাংক হার বৃদ্ধি পেলে বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রদেয় ঋণের সুদের হার বেশি হয়। ফলে বিনিয়োগকারীরা অধিক সুদে ঋণ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। ফলস্বরূপ, বাজারে মুদ্রার যোগান হ্রাস পায়। পক্ষান্তরে, ব্যাংক হার কম হলে বাণিজ্যিক ব্যাংক অধিক পরিমাণে সুদ প্রদান করতে সক্ষম হয় এবং মুদ্রার যোগান বৃদ্ধি পায়। সুতরাং দেখা যায়, রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংক হারের হ্রাসবৃদ্ধি করে মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

(২) খোলা বাজার প্রক্রিয়া: মুদ্রার যোগান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে RBI খোলা বাজার প্রক্রিয়া গ্রহণ করে থাকে। এই প্রক্রিয়া অনুসারে, মুদ্রার যোগান হ্রাস করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুক্ত বাজারে ঋণপত্র বিক্রি করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ এই ঋণপত্র ক্রয় করে। ফলে তাদের ঋণসৃষ্টির ক্ষমতা হ্রাস পায়। পক্ষান্তরে, যখন মুদ্রার যোগান বৃদ্ধির লক্ষ্য থাকে, তখন RBI ঝণপত্র ক্রয় করে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নগদ অর্থ বৃদ্ধি পায় এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক অধিক পরিমাণে ঋণ প্রদানে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে মুদ্রার যোগান স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। এভাবে পরিস্থিতি অনুসারে RBI মুদ্রার যোগান হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারে বলে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রার যোগান পরিবর্তনের জন্য দায়বদ্ধ।

প্রশ্ন ৭। মুদ্রার লেনদেন চাহিদাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ হাতে টাকা রাখার ইচ্ছা হতে অর্থের চাহিদা সৃষ্টি হয়। ‘Most of the people receive their incomes by the week or the month, while the expenditure goes on day by day. So, a certain amount of ready money is kept in hand for carrying out day to day transactions’ অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষ এক নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অর্থ উপার্জন করে কিন্তু দৈনন্দিন ব্যয় সংকুলানের জন্য প্রত্যহ কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। এজন্য মানুষ কিছু পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখতে চায়। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কত পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখবে তা প্রধানত ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর নির্ভর করে। আয় যত বেশি হয়, লেনদেনের অভিপ্রায়ে অর্থের চাহিদাও তত বেশি হয়।

সুতরাং দেখা যায়, আয় প্রাপ্তি ও ব্যয়ের সময়ের ব্যবধানই নগদ টাকা হাতে রাখার ইচ্ছা প্রবৃত্তি মানুষের মনে জাগরিত করে। এটাকেই বলা হয় মুদ্রার লেনদেন চাহিদা।

প্রশ্ন ৮। বাণিজ্যিক ব্যাংক মুদ্রা সৃষ্টি করতে পারে কি ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত বাণিজ্যিক ব্যাংক মুদ্রা সৃষ্টি করতে না পারলেও পরোক্ষভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক মুদ্রা সৃষ্টি করতে পারে। 

ব্যাংকের আমানত দুই প্রকার – 

(ক) প্রাথমিক আমানত বা নগদ আমানত। 

(খ) মাধ্যমিক বা উদ্ভুত আমানত। 

সঞ্চয়কারীর জমাকে প্রাথমিক আমানত বলে। ব্যাংক প্রাথমিক আমানত থেকে উদ্ভুত আমানত সৃষ্টি করে। এই উদ্ভূত আমানত সৃষ্টিকে ঋণমুদ্রা সৃষ্টি বলা হয়। ব্যাংক প্রাথমিক আমানত থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, ব্যবসায়ী, উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিকে ঋণপ্রদান করে। কিন্তু ব্যাংক ঋণের পরিমাণ নগদ টাকাতে দেয় না, সেটা ধনাদেশ অর্থাৎ চেকের মাধ্যমে দেয়। ব্যাংক ঋণগ্রহণকারীর নামে একটা নতুন Account (হিসাব) খোলে। এই নতুন হিসাব বা Account কে আরেকটা ঋণের উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়। কিন্তু প্রতিটি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এক নির্দিষ্ট জমা অনুপাত প্রাথমিক অনুপাত থেকে বাদ দিতে হয়। প্রাথমিক অনুপাত থেকে নগদ জমা অনুপাত বাদ দিলে যা থাকে তাকে অতিরিক্ত জমা বলা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক অতিরিক্ত জমাটুকু ঋণ হিসাবে এগিয়ে দেয়। একটি প্রাথমিক আমানত থেকে বেশ কয়েকটা উদ্ভুত আমানত বা ঋণ মুদ্রার সৃষ্টি হতে পারে। যেহেতু ব্যাংক আমানত দেশের মোট মুদ্রা যোগানের একটি অংশ, সেহেতু বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণমুদ্রা সৃষ্টি করে মুদ্রার মোট যোগানের সম্প্রসারণ ঘটায়।

প্রশ্ন ৯। তারল্য ফাঁদ বা নগদ স্পৃহার ফাঁদ কী ? এটি সুদের হারের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত ?

উত্তরঃ তারল্য ফাঁদ হল একটি পরিস্থিতি যেখানে অর্থনীতিতে সুদের পরিমাণের হার অত্যন্ত কম। যেখানে প্রত্যেকটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি প্রত্যাশা করে ভবিষ্যতে সুদের হার বাড়বে এবং ফলশ্রুতিতে মূলধনের ক্ষতি ঘটিয়ে ঋণপত্রের দাম কমবে। প্রত্যেকে তাদের সম্পদ মুদ্রায় রূপান্তরিত করে এবং মুদ্রার প্রত্যাশাভিত্তিক বা কল্পনাপ্রসূত চাহিদা অসীম হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যাশাভিত্তিক চাহিদা রেখা সমান্তরাল সরলরেখা হয়। নিচে রেখাচিত্রের সাহায্যে তারল্যফাঁদ দেখানো হয়েছে।

ওপরের চিত্রে চাহিদা ফলককে অনুভূমিক অক্ষে ও সুদের হারকে উল্লম্ব অক্ষে দেখানো হয়েছে। যখন চাহিদা ফলন অসীম স্থিতিস্থাপক হয়, তখন অর্থব্যবস্থা তারল্যপ্রীতির ফাঁদে পৌঁছে।

প্রশ্ন ১০। ঘাটতি বিত্তায়নের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সরকারের ব্যাংক হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি দেখা দিলে সেই ঘাটতি রিজার্ভ ব্যাংক দূর করতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় বাজেটে যখন মোট সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ সরকারি আয়ের চেয়ে অধিক হয়, তখন বাজেট ঘাটতির উদ্ভব হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাজেটে মোট সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ হল 50 হাজার কোটি টাকা এবং মোট সরকারি আয়ের পরিমাণ হল 45 হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হবে 50000 – 45000 = 5000 কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাংক 5 হাজার কোটি টাকার নতুন মুদ্রা তৈরি করে সরকারের বিক্রি করা ঋণপত্র বাবদ সরকারকে 5 হাজার কোটি টাকার মুদ্রার যোগান দেবে। সরকার তখন এই মুদ্রার দ্বারা তার ব্যয়সমূহ পরিশোধ করবে। এভাবে সরকার দ্বারা বাজেটের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিত্ত যোগান করাকে ঘাটতি বিত্তায়ন বলা হয়। 

প্রশ্ন ১১। ‘শেষ পর্যায়ের ঋণদাতা’ হিসাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কার্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতীয় মুদ্রা ব্যবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জামিনদার অর্থাৎ Guarantor। RBI বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ব্যাংক হিসাবে কাজ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আমানতের একটি অংশ রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে। RBI বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য পরামর্শ দান করে এবং তাদের আর্থিক সংকটে ঋণ দান করে মুক্ত করে।  আমানতকারীদের সঞ্চয় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হলে রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য অবস্থার অবনতির সময় রিজার্ভ ব্যাংক ঋণ দান করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শেষ আশ্রয়ের ঋণদাতা বা অন্তিম পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয়।

প্রশ্ন ১২। ‘মুদ্রা গুণক’ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

ব্যাংক কীভাবে আমানত মুদ্রা সৃষ্টি করে থাকে ?

উত্তরঃ কোন একটি অর্থনীতিতে মুদ্রার মোট যোগান এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রার অনুপাতকে মুদ্রা গুণক বলে। Every loan cards a deposit অর্থাৎ প্রত্যেক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে। এই ব্যাংক সৃষ্ট আমানত দেশের অর্থ যোগানকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করে।

ধরা যাক, একজন গ্রাহক ব্যাংকের নিকট 1000 টাকা জমা রাখল। যদি নিয়মানুসারে ব্যাংককে আমানতের 10% নগদ মুদ্রায় জমা রাখতে হয়, তবে সেই ব্যাংক 100 টাকা নগদে রেখে বাকি 900 টাকা অপর কাউকে ঋণ হিসাবে প্রদান করবে। সেই ঋণের প্রাপক যদি ওই টাকা অন্য কোন ব্যাংকে জমা রাখে, তাহলে দ্বিতীয় ব্যাংক 900 টাকার শতকরা 10% রেখে বাকি 90% অর্থাৎ 810 টাকা ঋণ প্রদান করবে। তৃতীয় ব্যাংকে যদি এই 810 টাকা জমা হয়, তাহলে সেই ব্যাংক শতকরা 10% অর্থাৎ 81 টাকা রেখে বাকি 729 টাকা ঋণ প্রদান করবে। এভাবে চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত সকল ব্যাংকের জমার পরিমাণ হবে = 1000+ 900 + 810 +729 +………. + 0 = 10000 টাকা।

অর্থাৎ নগদ 1000 টাকা জমা রাখার ফলে সকল ব্যাংকের মোট আমানত‌ 10000 টাকা হবে। সুতরাং দেখা গেল, জমা টাকার 10 গুণ বেশি আমানত ব্যাংক ব্যবস্থা সৃষ্টি করল। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘মুদ্রা গুণক’ বলা হয়।

প্রশ্ন ১৩। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। দেশের ঋণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের একটি প্রধান উপাদান। অন্যদিকে সঞ্চয় বৃদ্ধিও মূলধন গঠনের জন্য অপরিহার্য। উন্নয়নের এই দুটো প্রধান কার্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পূরণ করতে পারে। বর্তমানকালে দ্রুত শাখা সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় সঞ্চয় পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঞ্চয় সংগ্রহের ওপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে কৃষিখণ্ড, উদ্যোগখণ্ড এবং ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটছে। ব্যাংক ঋণ উৎপাদনমুখী হওয়ার ফলে উৎপাদনের মাত্রা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংক ঋণের সুবিধা গ্রহণ করে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা স্ব-নিয়োজন প্রকল্পসমূহ গ্রহণ করতে পারছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদার মুক্তনীতির অধীনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সুদের হার কমিয়ে দেয় এবং কম সুদে উন্নয়নমূলক কাজে ঋণের যোগান দেয়। গ্রামাঞ্চলে কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোগী, মীনপালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে কম সুদে ঋণ প্রদান করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাম্য ঋণের অভাব অনেকখানি দূর করতে পেরেছে। তৎসঙ্গে উপার্জনের  উৎসগুলো  সৃষ্টি করে বাণিজ্যিক  ব্যাংকগুলো দারিদ্র দুরীকরণ কার্যেও সহায় করছে।  গ্রাম ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে শাখা সম্প্রসারণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাংকের বিভিন্ন সুবিধাগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রশ্ন ১৪। অর্থনীতিতে মুদ্রার মোট চাহিদাকে নিচে দেওয়া সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যায় –

অথবা, 

মুদ্রার চাহিদা মানে কী ? মুদ্রার চাহিদা কীভাবে সুদের হারের সাথে জড়িত ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অর্থব্যবস্থার মুদ্রার মোট চাহিদা হল দৈনন্দিন ব্যয় জনিত চাহিদা এবং প্রত্যাশা  ভিত্তিক চাহিদার সমষ্টি ।

এখানে T হল নির্দিষ্ট সময়সীমা অর্থব্যবস্থার লেনদেনের মোট মূদ্রামূল্য এবং K হচ্ছে ধনাত্মক ভগ্নাংশ । এই সমীকরণকে আমরা এভাবে পরিবর্তন করতে পারি –

এখানে Y হচ্ছে বাস্তব GDP, P হচ্ছে সাধারণ মূল্যস্তর। এই সমীকরণ থেকে বুঝা যায়, দৈনন্দিন ব্যয়জনিত মুদ্রার চাহিদা প্রকৃত আয় ও মূল্যস্তরের সঙ্গে ধনাত্মকভাবে সম্পর্কিত।

মুদ্রার প্রত্যাশাভিত্তিক চাহিদাকে আমরা নিম্নের সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করতে পারি।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তর

প্রশ্ন ১। সরাসরি পণ্য বিনিময় ব্যবস্থা কী ? তার অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ পণ্য বা দ্রব্য বিনিময় প্রথার অসুবিধাসমূহের ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হল –

(১) অভাবের পারস্পরিক সংগতিহীনতা: অভাবের পারস্পরিক সংগতি না থাকলে বিনিময় প্রথা কার্যকরী হয় না। অর্থাৎ বিনিময় প্রথা কার্যকরী করতে হলে দুজন ব্যক্তির অভাব পরস্পরের পরিপূরক হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ – একজন ব্যক্তি কাপড়ের বিনিময়ে চাল চাচ্ছে এবং অন্য ব্যক্তি চালের বিনিময়ে কাপড়। এক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তির অভাব পরস্পরের পরিপূরক হওয়ায় বিনিময় কার্য সংঘটিত হতে পারে। কিন্তু চাল চাওয়া ব্যক্তিটি কাপড়ের পরিবর্তে চাল না চেয়ে সরষের তেল চাইলে বিনিময় প্রথা কার্যকরী হবে না।

(২) মূল্য নির্ধারণে অসুবিধাঃ বিনিময় প্রথায় মূল্য পরিমাপের জন্য নির্দিষ্ট কোন মানদণ্ড নেই অর্থাৎ একটি বস্তুর কত পরিমাণের বিপরীতে অন্য বস্তুটি কত পরিমাণ সংগ্রহ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি বিনিময় প্রথায় ছিল না। তাই পণ্য বিনিময় প্রথায় দ্রব্যের মূল্যাংকনের  ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।

(৩) বিভাজনের ক্ষেত্রে অসুবিধাঃ দ্রব্যসমূহের  বিভাজনীয়তা  গুণ না থাকার জন্য বিনিময় কার্য কঠিন হয়ে ওঠেছিল । উদাহরণস্বরূপ – একজন ব্যক্তির একটি ছাগল আছে, তার প্রয়োজন সামান্য লবণের। এক্ষেত্রে একটি ছাগলকে বিভক্ত করে লবণ সংগ্রহ করা অসম্ভব।

(৪) সঞ্চয়ের অসুবিধাঃ ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য মানুষ সঞ্চয় করতে চায়। পণ্য বিনিময় প্রথায় সঞ্চয় বলতে উৎপাদিত বস্তুর সঞ্চয়কে  বোঝায়। কিন্তু উৎপাদিত দ্রব্যগুলো দীর্ঘদিন সঞ্চয় করে রাখা সম্ভব নয়। কিছু কিছু বস্তু আছে যেগুলো অতি সহজে বিনষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য সঞ্চয়ের অসুবিধা দ্রব্য বিনিময় প্রথার একটি বড় সমস্যা ছিল।

প্রশ্ন ২। মুদ্রার মুখ্য কার্যকারিতা কী কী ? মুদ্রার ব্যবহার কীভাবে সরাসরি পণ্য বিনিময় ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি দূর করে ?

উত্তরঃ মুদ্রা হল সর্বজন গ্রাহ্য বিনিময়ের এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম। মুদ্রার প্রাথমিক কার্যগুলি হল –

(১) মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে কার্য সম্পাদন করে।

(২) মুদ্রা সঞ্চয়ের ভাণ্ডার হিসাবে কার্য সম্পাদন করে।

(৩) মুদ্রা দেনা পাওনার মানদণ্ড রক্ষা করার কার্য সম্পাদন করে।

(৪) মুদ্রা হিসাবের একটি সুবিধাজনক একক হিসাবে কাজ করে।

মুদ্রা ব্যবহারের ফলে বিনিময় প্রথার অসুবিধাসমূহ দূর হয়েছে। নিম্নে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

(১) অভাবের সংগতিহীনতা বিনিময় প্রথার প্রধান অসুবিধা ছিল। মুদ্রা আবিষ্কারের ফলে এই অসুবিধা সম্পূর্ণ দূর হয়ে গেছে।

(২) মুদ্রার ব্যবহারের ফলে দ্রব্য অবিভাজ্যতার অসুবিধা দূর হয়েছে। এখন ছাগলের মালিক ছাগলকে মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করে সেই মুদ্রার দ্বারা কিছু লবণ, কিছু মাছ, কিছু কাপড় সংগ্রহ করতে পারে।

(৩) মুদ্রাই হল মূল্যের মাপকাঠি। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য পরিমাপের সাধারণ মানদণ্ড হিসাবে মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। অতএব প্রতিটি মুদ্রার পৃথক পৃথক বিনিময় নির্ধারণের প্রয়োজন নেই।

(৪) মুদ্রা এখন সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে। মুদ্রা আবিষ্কার সঞ্চয়কে সহজ ও সরল করে তুলেছে। মানুষ তার উদ্বৃত্ত সম্পদ মুদ্রা হিসেবে দীর্ঘকাল সঞ্চয় করে রাখতে পারে।

ওপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায়, মুদ্রা ব্যবহারের ফলে বিনিময় প্রথার সকল অসুবিধা দূর হয়েছে।

প্রশ্ন ৩। দৈনন্দিন ব্যয় জনিত মুদ্রার চাহিদা বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে লেনদেনের মূল্যের সঙ্গে জড়িত ?

উত্তরঃ হাতে টাকা রাখার ইচ্ছা হতে অর্থের চাহিদা সৃষ্টি হয়। ‘Most of the people receive their incomes by the week or the month, while the expenditure goes on day by day. So, a certain amount of ready money is kept in hand for carrying out day to day transactions’ অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষ এক নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অর্থ উপার্জন করে কিন্তু দৈনন্দিন ব্যয় সংকুলানের জন্য প্রত্যহ কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। এজন্য মানুষ কিছু পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখতে চায়। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কত পরিমাণ নগদ অর্থ হাতে রাখবে তা প্রধানত ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর নির্ভর করে। আয় যত বেশি হয়, লেনদেনের অভিপ্রায়ে অর্থের চাহিদাও তত বেশি হয়।

সুতরাং দেখা যায়, আয় প্রাপ্তি ও ব্যয়ের সময়ের ব্যবধানই নগদ টাকা হাতে রাখার ইচ্ছা প্রবৃত্তি মানুষের মনে জাগরিত করে। এটাকেই বলা হয় মুদ্রার লেনদেন চাহিদা।

প্রশ্ন ৪। মুদ্রার প্রত্যাশাভিত্তিক বা দূরকল্পিত মুদ্রার চাহিদা কেন সুদের হারের সঙ্গে বিপরীতভাবে জড়িত ?

উত্তরঃ কোনও ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি লাভ করার সম্ভাবনা যদি দেখা দেয়, ওই সময় বিনিয়োগের জন্য যদি কেউ কিছু অর্থ হাতে রাখে, তাহলে একে বলা হয় কল্পনাপ্রসূত চাহিদা। কল্পনাপ্রসূত চাহিদার সাথে সুদের হারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাজারে যদি সুদের হার বেশি হয়, তাহলে লোকের নগদ টাকা হাতে রাখার ইচ্ছা কম হবে। আবার সুদের হার যদি কম হয়, তাহলে নগদ টাকা হাতে রাখার ইচ্ছা বেশি হবে।

ওপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায়, সুদের হার বৃদ্ধি পেলে কল্পনাপ্রসূত অভিপ্রায়ে মুদ্রার চাহিদা কমে যায় এবং সুদের হার হ্রাস পেলে কল্পনাপ্রসূত অভিপ্রায়ে মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন ৫। ধরো কোন ঋণপত্রে প্রতিজ্ঞা লিপিবদ্ধ আছে যে, দুইবছর পর কোনো মধ্যবর্তী প্রতিদান ছাড়া 500 টাকা প্রত্যার্পণ করা হবে। যদি সুদের হার 5% হয়, তাহলে ঋণপত্রের দাম কত ?

উত্তরঃ 

∴ ঋণপত্রের দাম = 453.51 টাকা।

প্রশ্ন ৬। নগদস্পৃহা ফাঁদ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ অতি নিম্ন সুদের হারে মুদ্রার কল্পনাপ্রসূত চাহিদা অসীম হলে মুদ্রার চাহিদা রেখা অনুভূমিক হয়ে যায়। X অক্ষের সমান্তরাল এই অনুভূমিক অংশটি তারল্য ফাঁদের সৃষ্টি করে। মুলধন ক্ষতি হওয়ার আশংকায় এক্ষত্রে বণ্ডে বিনিয়োগ করতে জনগণ নিরুৎসাহিত হয়।

নিচে চিত্রের সাহায্যে নগদস্পৃহার ফাঁদ দেখানো হয়েছে।

মুদ্রার প্রত্যাশাভিত্তিক চাহিদা অসীম হওয়ায় L বিন্দুর পর চাহিদা রেখা OX- অক্ষের সমান্তরাল সরলরেখা হয়েছে। এই অংশটিই তারল্য ফাঁদ।

প্রশ্ন ৭। ভারতে মুদ্রা যোগানের বিকল্প সংজ্ঞা কী কী ?

উত্তরঃ কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত মুদ্রার মোট সমষ্টিকে মুদ্রার যোগান বলে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক চারটি বিকল্প মুদ্রাযোগানের হিসাব প্রকাশ করে থাকে। M1, M2, M3, এবং M4

প্রশ্ন ৮। আইনগ্রাহ্য মুদ্রা কী ? আদেশনির্ভর মুদ্রা কী কী ?

উত্তরঃ আইনের দ্বারা স্বীকৃত অর্থাৎ বিধিসম্মতভাবে গ্রহণযোগ্য মুদ্রাকে আইনগ্রাহ্য মুদ্রা বলে। যেমন ভারতবর্ষে প্রচলিত কাগজী মুদ্রা হচ্ছে আইনগ্রাহ্য মুদ্রা। 

সরকারের আদেশ অনুযায়ী প্রচলিত মুদ্রাকেই আদেশ মুদ্রা বলে। এধরনের মুদ্রার লিখিত মূল্য অন্তর্নিহিত মূল্য থেকে বেশি হয়। কাগজী মুদ্রা এবং ধাতুমুদ্রা আদেশ মুদ্রার উদাহরণ

প্রশ্ন ৯। সম্প্রসারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রা কী ?

উত্তরঃ মুদ্রার যোগানের যে অংশ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অংশটিকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রা বলে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন ১০। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি নিচে দেওয়া হল –

(১) সঞ্চয় গ্রহণঃ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠনের কাছ থেকে সঞ্চয় গ্রহণ করে। তিন প্রকারের জমা প্রচলিত আছে – 

(ক) চলতি জমা/‌ চাহিদা জমা। 

(খ) সঞ্চয় জমা। এবং 

(গ) স্থির জমা বা কাল জমা। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবসার মূল ভিত্তি হচ্ছে ব্যাংকের আমানত।

(২) ঋণের যোগান: বাণিজ্যিক ব্যাংক হ্রস্ব এবং দীর্ঘকালীন ঋণ প্রদান করে। ঋণ প্রদানের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক লাভ উপার্জন করে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক মাটি, সোনা, সরকারি ঋণপত্র ইত্যাদি বন্ধকি হিসাবে গ্রহণ করে। ব্যাংক কৃষি, উদ্যোগ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা সংগঠনকে ঋণ প্রদান করে।

(৩) আমানতের সৃষ্টি: বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ মুদ্রা সৃষ্টি করে। সঞ্চয়কারীর জমা থেকে ব্যাংক উদ্ভূত আমানতের সৃষ্টি করে। ব্যাংক যখন ঋণ অনুমোদন করে তখন নগদ টাকা না দিয়ে একটি নতুন হিসাব খোলে। এই নতুন হিসাব বা আমানতই ঋণমুদ্রারূপে আত্ম প্রকাশ করে।

(৪) অন্যান্য কার্য: জনগণ ব্যাংকে মূল্যবান অলংকার, নথিপত্র ইত্যাদি নিরাপদে রাখার সুবিধা লাভ করে। আজকাল মানুষ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বা ভিসা কার্ডের সাহায্যে মূল্যবান বস্তু বাজার থেকে কিনতে পারে। মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অতি সহজে টাকা পাঠাতে পারে। জমাকারীরা ঘরে বসে ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারে এবং ব্যাংকের সেবা লাভ করতে পারে।

প্রশ্ন ১১। মুদ্রাগুণিতক কী ? তার মূল্য কীভাবে স্থির হয় ? মুদ্রাগুণিতকের মান নির্ণয়ে কোন্ অনুপাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে ?

উত্তরঃ কোন একটি অর্থনীতিতে মুদ্রার মোট যোগান এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রার অনুপাতকে মুদ্রা গুণিতক বলা হয়।

মুদ্রা গুণিতকের মূল্য সর্বদা একের বেশি হয়।

এখানে, M = মুদ্রার যোগান

H = উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মুদ্রা

Cdr = Currency deposit ratio (কারেন্সি সঞ্চয় অনুপাত)

rdr = reserve deposit ratio (সংরক্ষিত সঞ্চয় অনুপাত)

মুদ্রা গুণকের মান নির্ণয়ে কারেন্সি সঞ্চয় অনুপাত এবং সংরক্ষিত সঞ্চয় অনুপাতের গুরুত্ব বেশি।

প্রশ্ন ১২। RBI এর আর্থিক নীতির মূল উপায়গুলি কী কী ? বাইরের চাপ স্থিতিকরণে RBI কী কী পন্থা অবলম্বন করে ?

উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রার স্থিরতা রক্ষার জন্য ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই উদ্দেশ্যে রিজার্ভ ব্যাংক পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সামগ্রিকভাবে ঋণের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

নিম্নে RBI এর প্রয়োগ করা মুদ্রানীতির হাতিয়ারগুলো উল্লেখ করা হল।

পরিমাণগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাঃ

(১) ব্যাংক রেইটের হ্রাস-বৃদ্ধি।

(২) খোলা বাজারে কারবার।

(৩) নগদ জমা অনুপাত।

(৪) বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত।

গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাঃ

(১) ক্রেডিট রেশনিং বা ঋণ বরাদ্দ প্রথা।

(২) নৈতিক প্রণোদন।

প্রশ্ন ১৩। তুমি কি মনে কর যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আর্থ কাঠামোর মুদ্রা উৎপাদন করে ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো জমা আমানত থেকে ঋণমুদ্রা সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১৪। RBI এর কোন্ ভূমিকা ঋণের অন্তিম উৎস হিসাবে পরিচিত ?

উত্তরঃ ভারতীয় মুদ্রা ব্যবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জামিনদার অর্থাৎ Guarantor। RBI বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ব্যাংক হিসাবে কাজ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আমানতের একটি অংশ রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে। RBI বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য পরামর্শ দান করে এবং তাদের আর্থিক সংকটে ঋণ দান করে মুক্ত করে।  আমানতকারীদের সঞ্চয় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হলে রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দান করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য অবস্থার অবনতির সময় রিজার্ভ ব্যাংক ঋণ দান করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শেষ আশ্রয়ের ঋণদাতা বা অন্তিম পর্যায়ের ঋণদাতা বলা হয়।

We Hope the given Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF will help you. If you Have any Regarding, HS 2nd Year Economics in Bengali PDF, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top