Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Board Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি with you. Are you a Student of Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Which you Can Download Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি for free using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি

Today’s We have Shared in This Post, HS 2nd Year Economics in Bengali Solutions for Free with you. HS 2nd Year Economics in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC HS 2nd Year Economics in Bengali Questions and Answers Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

স্থির বিনিময় হারের সুবিধা-

(১) বিশ্ব বাণিজ্যকে গতিশীল করে তোলে।

(২) বিনিময় হারে স্থিরতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

(৩) আকস্মিক আয়ের উত্থিত অবস্থা প্রতিরোধ করে।

(৪) স্থির বিনিময় হার উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য আবশ্যকীয়।

স্থির বিনিময় হারের অসুবিধা-

(১) স্থির বিনিময় হার হল পরম্পরাগত ব্যবস্থা যার ব্যবহারিক গুরুত্ব থাকে না।

(২) বিনিময় হারের অস্থিরতার জন্য মূল্যের স্থিরতা রক্ষা করা যায় না।

(৩) আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বাজারের ব্যয় তথা লাভের পরিমাণ প্রতিফলিত করে না।

প্রশ্ন ২। পরিবর্তনশীল বা নমনীয় বিনিময় হার কী ? নমনীয় বিনিময় হারের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো লেখো।

উত্তরঃ নমনীয় বিনিময় হার বলতে সেই অবস্থাকে বুঝায় যার মাধ্যমে কাগজী নোটের ব্যবহারিক একক চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থির করা হয়। চাহিদা এবং যোগানের পরিবর্তনের ফলে এই বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে। 

নমনীয়/পরিবর্তনশীল/ভাসমান বিনিময় হারের সুবিধা –

(১) অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রগতির হার প্রতিফলিত করে।

(২) লেনদেন সমতা রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়।

(৩) আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের প্রগতি সাধন করে।

(৪) আন্তঃরাষ্ট্রীয় তরলতার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে না। নমনীয় 

বিনিময় হারের অসুবিধা –

(১) এই বিনিময় হার অস্থির এবং অনিশ্চিত।

(২) ব্যাপক মূলধনের সঞ্চারে অর্থনীতি অস্থির করে তোলে।

(৩) ব্যয়জনিত মুদ্রাস্ফীতির কারণে আর্থিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৩। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কীভাবে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় ? ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার এবং স্থির বৈদেশিক বিনিময় হারের পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার এবং স্থির বৈদেশিক বিনিময় হারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

(১) যে বিনিময় হার বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে কার্যকরী হয়ে থাকা চাহিদা এবং যোগানের দ্বারা নির্ণয় করা হয়, তাকে নমনীয় বা ভাসমান বিনিময় হার বলে। পক্ষান্তরে, সোনার মূল্য বা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যের আধারে সরকার দ্বারা নির্ধারণ করে দেওয়া মুদ্রার বিনিময় হার হল স্থির বৈদেশিক বিনিময় হার।

(২) নমনীয় বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণতঃ কোন হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু স্থির বিনিময় হার নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ হস্তক্ষেপ থাকে।

(৩) নমনীয় বিনিময় হার বাজার ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু স্থির বিনিময় হার স্বর্ণ বিনিময় হার এবং পেগ পদ্ধতি দ্বারা বের করা হয়।

(৪) বর্তমানে নমনীয় বিনিময় হার প্রায় সকল দেশ প্রয়োগ করে। স্থির বিনিময় হার বর্তমানে কোনো দেশ ব্যবহার করে না।

প্রশ্ন ৪। অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) এর ভূমিকা বর্ণনা করো।

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) সমগ্র বিশ্বের বিত্তীয় ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়ক। বিশ্ব মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিরতা রক্ষা, আন্তরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা করা IMF-এর মূল উদ্দেশ্য। IMF এর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বিশ্বের 185টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে পুঁজি সংগ্রহ করে তার উপযুক্ত ব্যবহার করা। কোনো একটি সদস্য রাষ্ট্র বিত্তীয় ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বিত্তীয় সাহায্য এগিয়ে দেয়। এই সংকট সাধারণত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা থেকেই সৃষ্টি হয়।

অনুন্নত রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে IMF এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মুদ্রার ভাণ্ডার রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে ঋণ এগিয়ে দিয়ে IMF সদস্য রাষ্ট্রগুলোর হ্রস্বকালীন বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বৈদেশিক বিনিময় মূল্যের স্থিরতা রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান যুগিয়ে আসছে। এছাড়া সদস্যরাষ্ট্রগুলোর আভ্যন্তরীণ সুস্থিরতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন ৫। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বিনিময় হারের নির্ধারকসমূহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বিনিময় বাজারে পরিবর্তনশীল বিনিময় হার নির্ধারণে যোগান এবং চাহিদা প্রভাব বিস্তার করে।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার কারণ হল –

(১) অন্য দেশের দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করা।

(২) আন্তর্জাতিক ঋণ ও সুদ প্রদান করা।

(৩) বহির্বিশ্বে বিনিয়োগ করা।

(8) বিদেশে বিত্তীয় সম্পদ ক্রয় করা।

(৫) বিদেশ ভ্রমণ, তীর্থযাত্রা, দান ইত্যাদির জন্য ব্যয়।

(৬) বৈদেশিক মুদ্রার ফাটকা বাজার কার্যাবলি।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও বিনিময় হারের মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যদি বিনিময় হার কম হয়, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা অধিক হয়। 

বৈদেশিক মুদ্রার যোগান নির্ভর করে –

(১) ঘরোয়া বাজার থেকে বিদেশি ব্যক্তির দ্রব্য ও সেবা ক্রয়।

(২) ঘরোয়া বাজারে বিদেশি কোম্পানি বা বিত্তশালী ব্যক্তির বিনিয়োগ।

(৩) বিদেশির ঘরোয়া সম্পদের ক্রয়।

(৪) ফাটকা কারবারীর কার্যাবলির ফলে বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে যোগান এবং চাহিদা পরস্পর সমান হলে ভারসাম্য বিনিময় হার পাওয়া যায়।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগান এবং চাহিদার উপরিও অন্য তিনটি উপাদান বিনিময় হার প্রক্রিয়াকে প্রভাবান্বিত করে। এই তিনটি উপাদান হল – ফটকা ব্যবসা, সুদের হার এবং আয়ের পরিমাণ।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তর

প্রশ্ন ১। বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ এবং চলতি লেনদেনের হিসাবনিকাশের পার্থক্য দেখাও।

অথবা, 

পরিশোধের সমতা এবং বাণিজ্যের সমতার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ এবং চলতি লেনদেনের হিসাব নিকাশের মধ্যে পার্থক্য হল –

(১) মোট দৃশ্য আমদানি এবং মোট দৃশ্য রপ্তানির পার্থক্যই হল বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ। যাকে ইংরেজিতে বলে balance of trade। অর্থাৎ দ্রব্য রপ্তানি ও দ্রব্য আমদানির পার্থক্যই হল বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ। কিন্তু বস্তুর হিসাব এবং সেবাকার্যের হিসাবের সমষ্টিই হল চলিত হিসাব।

(২) বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশে শুধু দৃশ্যমান বস্তুর হিসাব করা হয়।কিন্তু চলতি লেনদেনে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বস্তুর হিসাব করা হয়।

(৩) বহির্বাণিজ্যের হিসাব নিকাশ একটি সংকীর্ণ ধারণা। এটি চলতি লেনদেন হিসাবনিকাশের একটি অংশ বিশেষ। চলতি লেনদেনের হিসাব নিকাশ একটি বিস্তৃত ধারণা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক সমতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

প্রশ্ন ২। সরকারি সংরক্ষিত তহবিলের লেনদেন সমূহ কী?

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকার কিছু আর্থিক নীতি পূরণ করতে সরকারি সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন ও বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি পূরণ  করতে সরকারি সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করা হয়। সরকারি সংরক্ষিত তহবিলের লেনদেনসমূহ স্বয়ংচালিত লেনদেন নয়। এটি প্রণোদিত লেনদেন হিসাবে দেখা যায়। এধরনের লেনদেনের তহবিল বৈদেশিক মুদ্রা সিকিউরিটিস, স্বর্ণমান এবং SDR এ রাখা হয়।

প্রশ্ন ৩। নামিক বিনিময় হার এবং প্রকৃত বিনিময় হারের পার্থক্য নিরূপণ করো।

উত্তরঃ একটি দেশের মুদ্রা এবং অন্য একটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হারকে নামিক বিনিময় হার বলে। এই বিনিময় হার মুদ্রার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, 1 ডলার = 68 টাকা।

দ্রব্যসামগ্রীর আভ্যন্তরীণ মূল্যস্তর এবং সেই সামগ্রীসমুহের বৈদেশিক মূল্যস্তরের অনুপাত হল প্রকৃত মূল্যস্তর।

প্রশ্ন ৪। ধরে নাও, একটি রুপি ক্রয় করতে 1.25 ইয়েনের প্রয়োজন হয় এবং জাপানে দামস্তর হচ্ছে 3 এবং ভারতের দাম স্তর 1.2। ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রকৃত বিনিময় হার গণনা করো।

উত্তরঃ দেওয়া আছে,

প্রশ্ন ৫। বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবের সমস্থিতি স্বর্ণমানের অধীনে উৎপন্নকারী স্বয়ংচালিত পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ স্বর্ণমান ব্যবস্থা স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থার এক নামান্তর। স্বর্ণমান ব্যবস্থায়‌ সকলগুলি দেশের মুদ্রার মূল্য সোনার মানে প্রকাশ করা হয়। এই বিনিময়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশসমূহের মুদ্রা সোনার হতে পারে অথবা অন্য ধাতুর মুদ্রা হলেও একে সোনায় রূপান্তর করার ব্যবস্থা থাকে। সোনার মূল্যের মানে দেশের মধ্যে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কারেন্সী A এর এককের মূল্য যদি 1 গ্রাম সোনা এবং কারেন্সী B এর এককের মূল্য 2 গ্রাম সোনা হয়, তাহলে Bর কারেন্সী মূল্য A এর দ্বিগুণ হবে। এক্ষেত্রে বিনিময় হার হবে B এক একক কারেন্সীর মূল্য A এর কারেন্সীর দুই একক হবে। স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার সঠিকভাবে নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের পর্যাপ্ত পরিমাণে সোনার মজুত থাকতে হবে। স্বর্ণমান ব্যবস্থায় দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন সমতার মধ্যে তারতম্যের জন্য ভারসাম্যহীনতা উদ্ভব হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি দেশের মধ্যে কারেন্সীর স্বর্ণমূল্যের ভিত্তিতে বিনিময় হার পুনরায় নির্ধারিত হবে।

প্রশ্ন ৬। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কীভাবে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়, ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

নমনীয় বিনিময় হার প্রণালীতে বিনিময় হার কীভাবে নিরূপিত হয় ?

উত্তরঃ পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বাজারের চালিকা শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় কোন একটি দেশের কারেন্সীর বিনিময় হার বৈদেশিক বিনিময় বাজারে বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রার চাহিদা এবং যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। যখন বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগান এবং চাহিদা পরস্পর সমান হয় তখন ভারসাম্য বিনিময় হার পাওয়া যায়।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার চাহিদা হয় –

(১) ঘরোয়া গ্রাহকেরা বিদেশি উৎপাদিত সামগ্রী ক্রয় করার জন্য।

(২) বিদেশে দান ও অনুদান প্রেরণ করার জন্য।

(৩) দেশের নাগরিক বিত্তীয় পরিসম্পদ ক্রয় করার জন্য।

(৪) আন্তর্জাতিক ঋণ মেটানোর জন্য।

বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার যোগানের উৎস হল –

(১) বহির্বিশ্বে দেশের রপ্তানি।

(২) প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।

(৩) ঘরোয়া বাজার থেকে অনাবাসীরা দ্রব্য ও সেবার প্রত্যক্ষ ক্রয়।

নিচে চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য বিনিময় হার দেখানো হল –

ওপরের চিত্রে ভারসাম্য বিনিময় হার হল E

প্রশ্ন ৭। অবমূল্যায়ন এবং অবচয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ একটি দেশের প্রচলিত মুদ্রার মূল্য সেই দেশের সরকারের দ্বারা অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় হ্রাস করার প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন বলে। সরকারি আদেশের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। পক্ষান্তরে, পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় বাজার ব্যবস্থার দ্বারা দেশীয় মুদ্রার বহির্মূল্য সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে অবচয় বলে। একটি দেশের মুদ্রার বৈদেশিক চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতে দেশীয় মুদ্রার অবচয় বা অবক্ষয় ঘটে।

স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থায় অবমূল্যায়ন ঘটে এবং পরিবর্তনশীল বিনিময় হার ব্যবস্থায় অবচয় ঘটে।

প্রশ্ন ৮। বৈদেশিক বিনিময় বাজারের দুটি ভাগ কী কী ?

উত্তরঃ বৈদেশিক বিনিময় বাজারের দুটি ভাগ হল-

(1) Spot Market.

(2) Forward Market.

প্রশ্ন ৯। দেশীয় সামগ্রীর চাহিদা ও সামগ্রীর দেশীয় চাহিদা – এই দুটি ধারণা কি এক ?

উত্তরঃ না, উভয় ধারণা সমান নয়। ঘরোয়া এবং বিদেশের চাহিদার সমষ্টি হল দেশীয় সামগ্রীর চাহিদা। শুধু ঘরোয়া চাহিদা সামগ্রীর দেশীয় চাহিদা নির্দেশ করে।

প্রশ্ন ১০। আয় অপেক্ষক প্রান্তিক আমদানি কী, যখন M = 60 + 0.06Y। আয়‌ অপেক্ষক প্রান্তিক আমদানি এবং সামগ্রিক চাহিদা অপেক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক কী ?

উত্তরঃ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে আমদানির পরিমাণ কী পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তা প্রান্তিক আমদানি প্রবণতার ওপর নির্ভর করে।

M = 60 + 0.06Y

M = M + MY

∴ এখানে প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা = 0.06

যখন আয় বৃদ্ধি পায়, তখন সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়। কারণ, অতিরিক্ত আয় বৈদেশিক দ্রব্যের ক্ষেত্রে ব্যয় হয়, ঘরোয়া দ্রব্যের জন্য নয়।

প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি হ্রাস করার দুটি ব্যবস্থা লেখো।

উত্তরঃ বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি কমাবার জন্য প্রধানতঃ দুটি ব্যবস্থা একই সময়ে গ্রহণ করতে হয়। এই ব্যবস্থা দুটি হল রপ্তানি বৃদ্ধি ও আমদানি হ্রাসকরণ।

রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি সামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর রেহাই, রপ্তানিকারীদের পুরস্কার ও সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে উৎসাহিত করা, রপ্তানি সামগ্রীর মান উন্নত করা, রপ্তানি সামগ্রীর দাম হ্রাসকরণ, রপ্তানি সামগ্রীর বাজার চাহিদা অধ্যয়ন করা, প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন চাহিদা সৃষ্টি করা ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমদানি কমাবার জন্য বিলাস দ্রব্যের আমদানি কমানো, আমদানি সামগ্রীর ওপরে উচ্চহারে শুল্ক বসানো, আমদানি দ্রব্যের বিকল্প সামগ্রী নিজের দেশেই উৎপাদন করে নেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ১২। ভারতের লেনদেন সমতার ঘাটতির কারণগুলো বর্ণনা করো।

অথবা, 

বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার যে কোন চারটি কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভারতের প্রতিকূল লেনদেন সমতার প্রধান কারণগুলো হল –

(১) আমদানীজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি: ভারতের প্রধান আমদানিজাত দ্রব্য হল পেট্রোলিয়াম, খনিজ তেল, কল-কারখানার কাঁচামাল, রাসায়নিক সার, ধাতব দ্রব্য, যন্ত্রপাতি ও পরিবহনের সরঞ্জাম, লৌহ-ইস্পাত ইত্যাদি। এইসকল সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি তৎসঙ্গে ঘরোয়া বাজারে এগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের লেনদেন সমতায় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।

(২) রপ্তানিজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস: ভারতের প্রধান আমদানিজাত দ্রব্য চা, পাটজাত দ্রব্য, সূতী বস্ত্র। কিন্তু এগুলো বহির্বাণিজ্যে বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে। চা রপ্তানির ক্ষেত্রে শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়া, পাট রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, সূতীবস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও কোরিয়া – এসকল দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ফলে ভারতের রপ্তানি বহুলাংশে হ্রাস পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

(৩) বৈদেশিক বাণিজ্যে সুদ প্রদান: বৈদেশিক লেনদেন ঘাটতির আরও একটি কারণ হচ্ছে অদৃশ্য দেনাপাওনার খাতে পাওনার তুলনায় দেনার আধিক্য। বিদেশি ঋণের পরিশোধ, বিদেশি ঋণের অত্যধিক সুদের বোঝা ইত্যাদি কারণে প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়েছে।

(৪) সোভিয়েত রাশিয়ার অস্তিত্ব লোপ: সোভিয়েত ইউনিয়ন 80 এর দশক পর্যন্ত ভারতের অন্যতম বাণিজ্যের অংশীদার ছিল। কিন্তু 1990 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ১৩। SDR কী ?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার 1970 সালে বিশেষ ঋণ গ্রহণ অধিকার অর্থাৎ SDR প্রবর্তন করেছে। Special Drawing Rights বা সংক্ষেপে SDR ব্যবস্থাটি হল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) সদস্য রাষ্ট্রকে স্বল্পমেয়াদী আন্তর্জাতিক লেনদেনের সমস্যা মিটাইবার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের কোটা অনুযায়ী এক নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পমেয়াদী ঋণ দিয়ে থাকে। SDR থেকে যা তোলা হয় তা IMF এর নিকট ঋণ বলে গণ্য হয় না। 1981 সালে SDR ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে 5 নিযুত ডলার ঋণ লাভ করে।

প্রশ্ন ১৪। NEER এবং REER ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ NEER এর পূর্ণ রূপ হল Nominal Effective Exchange Rate অর্থাৎ নামিক কার্যকরী বিনিময় হার। এই হার প্রত্যেক মুদ্রার মূল্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঘরোয়া দেশে তার প্রভাব বা ভারের ওপর নির্ভর করে আরোপিত করা হয় অর্থাৎ গুরুত্ব অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রাসমূহ ওজন যুক্ত করা হবে। এভাবে মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করাকে মৌদ্রিক সক্রিয় বিনিময় হার বা নামিক কার্যকরী বিনিময় হার বলে (NEER)।

REER এর পূর্ণ রূপ হল Real Effective Exchange Rate অর্থাৎ প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার। প্রত্যেক অংশীদারী রাষ্ট্রের প্রকৃত বিনিময় হারের ভারমুক্ত গড় হিসাবে প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার গণনা করা হয়। এক একক বৈদেশিক সামগ্রী ক্রয় করতে হলে কী পরিমাণ দেশীয় সামগ্রীর প্রয়োজন হবে – তা প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

প্রশ্ন ১৫। একটি সারণীর মাধ্যমে লেনদেন সমতার বিভিন্ন খাত দেখাও।

উত্তরঃ লেনদেন সমতার বিভিন্ন হিসাব/খাত

পাওনাদেনা
১। দ্রব্য রপ্তানি বা দৃশ্য রপ্তানি১। দ্রব্য আমদানি বা দৃশ্য আমদানি
২। সেবা রপ্তানি বা অদৃশ্য রপ্তানি২। সেবা আমদানি বা অদৃশ্য আমদানি
৩। স্বর্ণ রপ্তানি৩। স্বর্ণ আমদানি
৪। প্রতিদানহীন দেনা৪। প্রতিদানহীন দেনা
৫। মূলধনী প্রাপ্তি৫। মূলধনী দেনা

প্রশ্ন ১৬। ধরো, C = 40 + 0.8YD, T = 50, I = 60, G = 40, X = 90, M = 50 + 0:05Y

(ক) ভারসাম্য আয় বের করো।

(খ) ভারসাম্য আয়ে শুদ্ধ রপ্তানি নির্ণয় করো।

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 40 থেকে 50 বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয় এবং শুদ্ধ রপ্তানির কী পরিবর্তন হবে ?

প্রশ্ন ১৭। ধরা হল, C = 60 + 0.7Y, সরকারি ব্যয় G = 50, X = 80, সরকারি কর রাজস্ব (T) = 60 এবং আমদানি (M) = 50 + 0.107

(ক) ভারসাম্য আয়ের স্তর নির্ণয় করো।

(খ) ভারসাম্য আয়ের পরিমাণে শুদ্ধ রপ্তানি নির্ণয় করো।

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 50 হতে 60 এ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয় এবং শুদ্ধ রপ্তানি আয়ের কী পরিবর্তন হবে ?

উত্তরঃ 

দেওয়া আছে,

(গ) যদি সরকারি ব্যয় 50 থেকে 60 এ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভারসাম্য আয়ের পরিবর্তন হয়,

প্রশ্ন ১৮। বৈদেশিক লেনদেন সমতার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বৈদেশিক লেনদেন সমতার বৈশিষ্ট্যগুলি হলঃ

(১) পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে কোন দেশের সবরকমের আর্থিক লেনদেনের সামগ্রিক ও পূর্ণাঙ্গ হিসাবকে বৈদেশিক লেনদেন হিসাব বলে।

(২) সাধারণত লেনদেনের হিসাব এক বছর হিসাবে হয়।

(৩) চলতি এবং মূলধনী হিসাবের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রকার আন্তরাষ্ট্রীয় লেনদেনের হিসাব বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবে উল্লেখ থাকে।

(৪) এতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের দেনা এবং পাওনা এই দুটি হিসাব অন্তর্ভুক্ত হয় ।

(৫) লেনদেন হিসাবে দেনা ও পাওনার হিসাব সর্বদাই সমান হয়।

প্রশ্ন ১৯। বিভিন্ন দেশ যে সকল বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় তাদের বৈদেশিক হিসাবনিকাশ স্থির করার উদ্দেশ্যে মনোনিবেশ করেছে, তার কয়েকটি সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বিনিময় হার নির্ধারণের তিনটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

(১) স্থির বিনিময় হার: দুই বা দুইয়ের বেশি দেশের চলতি মুদ্রার বিনিময় হার যা একটি পর্যায়ে স্থির এবং কদাচিৎ সংশোধিত হয়। স্থির বিনিময় হার দুই প্রকার -স্বর্মমান ও ব্রেটন উডস পদ্ধতি।

স্বর্ণমান: 1870 সাল থেকে 1914 সাল পর্যন্ত স্বর্ণমান প্রচলিত ছিল। সকল প্রচলিত মুদ্রা সোনা দিয়েই তৈরি হত। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশ নিজের মুদ্রা এক স্থির মূল্যে সোনার মানে প্রকাশ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল।

ব্রেটন উডস পদ্ধতি: এই পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসমূহ আমেরিকান ডলারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করা হয়। ডলার সাপেক্ষে একটি দেশের মুদ্রামূল্যেই স্বর্ণসাপেক্ষে সেই মুদ্রার মূল্য সূচক। IMF এর অনুমোদন সাপেক্ষে একটি দেশের মুদ্রার সমতা মূল্য পরিবর্তন সম্ভব হয়।

(২) নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারের চাহিদা ও যোগানের শক্তিদ্বারা মুদ্রা বিনিময় হার স্থিরীকরণকে নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার বলে।

(৩) পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার: পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার হল একটি পদ্ধতি যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারণে অনুমতি দেয় কিন্তু বিনিময় হার স্থির করার ব্যাপারে কখনো কখনো হস্তক্ষেপ করে।

We Hope the given Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF will help you. If you Have any Regarding, HS 2nd Year Economics in Bengali PDF, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top