SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 10 হারানো সভ্যতার খোঁজে Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

হারানো সভ্যতার খোঁজে

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে অর্থ জেনে নাও।

পোড়ামাটি, ভাস্কর্য, সংগ্রহালয়, বৌদ্ধস্তূপ, রোমাঞ্চ, ভগ্নাবশেষ।

উত্তরঃ পোড়ামাটি – মাটিকে আগুনে পোড়ানো।

ভাস্কর্য – ধাতু, পাথর প্রভৃতি দিয়ে শিল্পকর্ম।

সংগ্ৰহালয় – কোনো কিছু সংগ্রহ করে যেখানে রাখা হয়।

বৌদ্ধস্তূপ – বুদ্ধদেব এবং বুদ্ধদেব সংক্রান্ত জিনিসের সমাহার।

রোমাঞ্চ – শিহরণ জাগানো।

ভগ্নাবশেষ – ধ্বংসের সামান্য অংশ।

প্রশ্ন ২। শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে তাৎপর্য জেনে নাও।

নষ্ট-কোষ্ঠী, কীৰ্তিচিহ্ন, নটরাজ শিৰ

উত্তরঃ নষ্ট-কোষ্ঠী – যে চিহ্ন বা নিদর্শন কালের বিবর্তনে বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হারিয়ে গেছে, যা অজ্ঞানতাজনিত কারণে সংরক্ষিত করা যায়নি। সেই সকল মহা মূল্যবান নিদর্শন বা দলিলকে এক কথায় বলা হয় নষ্ট-কোষ্ঠী।

কীৰ্তিচিহ্ন – মানুষের অমর কার্যকলাপের যে নজীর বা নিদর্শন সংরক্ষিত করে রাখা হয়, তাকেই বলা হয় কীৰ্তিচিহ্ন।

নটরাজ শিব – নৃত্যরত দেবাদিদেব মহেশ্বর। স্ত্রী সতীর মৃত্যুর কারণে ক্রুদ্ধ শিব স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল ব্যাপি যে তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন, সেই নাচের ভঙ্গিমা বোঝাতে “নটরাজ শিব”- কথাটি ব্যবহার করা হয়।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

প্রশ্ন ৩। নীচের কথাগুলো পড়ো এবং বুঝে নাও।

পাঠটি কয়েকজনের সংলাপ-নির্ভর একটি আলোচনা। এই আলোচনায় কয়েকটি চরিত্রে কথোপকথনের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এ-থেকে তোমরা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছ। দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করলে কম সময়ে এবং কম পরিশ্রমে কোনো বিষয়ের উপর অগাধ জ্ঞান অর্জন করা যায়।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

প্রশ্ন ৪। উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) ভারতীয় সভ্যতা যে প্রাচীন কালের তা বিশ্ববাসী কখন জেনেছিল?

উত্তরঃ ভারতীয় সভ্যতা যে প্রাচীনকালের তা বিশ্ববাসী দেখেছিল সিন্ধুসভ্যতা আবিষ্কারের পর।

(খ) সিন্ধু-সভ্যতার যে-কোনো তিনটি কেন্দ্রবিন্দুর নাম কী?

উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতার তিনটি কেন্দ্রবিন্দুর নাম হল- লোথাল, গুজরাট এবং দ্বারকা।

(গ) প্রত্নতত্ত্ব কী? প্রত্নতত্ত্ববিদ কাদের বলা হয়?

উত্তরঃ প্রত্নতত্ত্ব মানে হল খননকার্যের মাধ্যমে প্রাচীন সভ্যতা বা নিদর্শন উদ্ধার। এই কাজের যারা বিশেষজ্ঞ তাদের বলা হয় প্রত্নতত্ত্ববিদ।

(ঘ) অসমের কোন কোন অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তরঃ অসমের গুয়াহাটির আমবনি, তেজপুরের বরাচুবুরি, গোলাঘাট জেলার বড়পাথরের কাছে ডুবরনি প্রভৃতি জায়গায় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।

(ঙ) তেজপুরের কাছে কোন গ্রাম থেকে, পোড়ামাটির কুয়োর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে?

উত্তরঃ তেজপুরের কাছে ‘বরাচুবুরি’ গ্রামে খনন করে পোড়ামাটির কুয়োর ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে।

(চ) আমবাড়ির খনন স্থানটিকে কেন ‘প্রাচীন শিল্পের সংগ্রহালয় বা শিল্পীর কর্মস্থল’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ আমবাড়ির খনন স্থানটিকে প্রাচীন শিল্পের সংগ্রহালয় বা শিল্পীর কর্মস্থল বলা হয়েছে কেননা আমবাড়িতে দুটি পর্যায়ের ইঁটের তৈরি বাসস্থানের অবশেষ পাওয়া গেছে। এই ভগ্নাবশেষের কালসীমা খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে। এখান থেকে প্রচুর পাথরের ভাস্কর্য, পোড়ামাটির মূর্তি, বাসনকোসন, শিল্পসামগ্রী, উদ্ধার করা হয়েছে। এক-একজন দেবতার অনেক মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এটিকে বলা হয় শিল্পের সংগ্রহালয় বা শিল্পীর কর্মস্থল।

(ছ) আহোমরা কোন অঞ্চল থেকে অসমে এসেছিলেন?

উত্তরঃ আহোমরা দক্ষিণ চীন থেকে ভারতে এসেছিলেন।

(জ) সবার মন অতীতচারী হয়ে উঠল কেন?

উত্তরঃ প্রত্নতাত্ত্বিক খননের অনেক কথাই জানতে পারল সফরকারী সদস্যরা রণদ্বীপের কাছ থেকে। রণদ্বীপের কাছ থেকে তারা জানতে পারল সূর্য পাহাড়, আমবাড়ি, বরাচুবুরি, ডুবরনি, মাইবং ইত্যাদি অঞ্চলের কথা। কেবল তাই নয়, এই সব অঞ্চলের অনেক ছবি ছিল রণদ্বীপের কাছে। যা তার ল্যাপটপে বন্দী হয়ে ছিল। ল্যাপটপ খুলে সে সেই ছবিগুলো বের করে দিল সবার দেখার উদ্দেশ্য। সবাই একমনে সেই ছবি দেখতে দেখতেই অতীতচারী হয়ে উঠল।

প্রশ্ন ৫। দলে আলোচনা করে লেখো।

(ক) পাঠে গোয়ালপাড়া জেলার দুটি স্থানের খননকার্যের কথা বলা হয়েছে। এই খননকার্যের ফলে অঞ্চলটির কী কী বৈশিষ্ট্য আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তরঃ পাঠে গোয়ালপাড়া জেলার দুটি খননকার্যের কথা বলা হয়েছে। সেই দুটি হল পাগলাটেক ও বরভিটা। এই খননকার্যের বৈশিষ্ট্য হল একদিকে যেমন ইঁটের মন্দিরের অবশেষ, পোড়ামাটির বৌদ্ধস্তুপের ভগ্নাবশেষ তেমনি প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে এই অঞ্চলে পাওয়া গেছে, বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানের এক স্পষ্ট ছবি। শুধু তাই নয়, হিন্দু এবং বৌদ্ধধর্মের ভগ্নাবশেষ তো আছেই। তার সাথে আছে জৈন ধর্মের নিদর্শন। জৈনধর্মের প্রথম গুরু আদিনাথ এবং ঋষভনাথের দুটি পাথরের মূর্তিও ওখান থেকে উদ্ধার হয়েছে।

(খ) চন্দ্রশেখর, আব্দুল আর বীণাপাণি নিজেদের অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য দেখেছে। বীণাপাণি তো চরাইদেওয়ের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধেও সজাগ। তোমরা তোমাদের অঞ্চলে কোনো ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান বা খনন সম্বন্ধে লেখো।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো অথবা ক্লাসের শিক্ষক শিক্ষিকার সাহায্য নাও।

ロ জেনে নাও।

পাঠটিতে অসমের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি খননকার্যের আলোচনা থেকে কিছু তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। এই তথ্যগুলোকে এভাবে সাজানো যেতে পারে-
(ক) প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যটির নাম (সাধারণত স্থান-নামের ওপর ভিত্তি করেই এই নামকরণ করা হয়।)।
(খ) খননকার্যের স্থানটি কোথায় অবস্থিত?
(গ) সেই স্থান থেকে কী কী আবিষ্কার বা উদ্ধার করা হয়েছে?
(ঘ) আবিষ্কৃত নিদর্শনগুলো কোন শতাব্দীর বা কত বছরের পুরোনো?
(ঙ) আবিষ্কৃত নিদর্শনের বৈশিষ্ট্য।
(চ) প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর তাৎপর্য কী বা ইতিহাসের সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা কোথায়?
(ছ) নতুন আবিষ্কার আমাদের পুরোনো চিন্তা-ভাবনাকে যদি প্রভাবিত করে থাকে, তাহলে তার বিবরণ।

প্রশ্ন ৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

সূর্যপাহাড়ের ……………….. খনন অসমের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে……………….. শতকের পাথরের বৌদ্ধস্তূপ,……………….. শতকের মন্দিরের পাদবিন্যাস ও……………….. আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক ……………….. খননে একটি ইটের এবং আরেকটি ইট ও পাথর দিয়ে তৈরি মন্দিরের অবশেষ উদ্ধার হয়েছে।

উত্তরঃ সূর্যপাহাড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন অসমের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রথম-দ্বিতীয় শতকের পাথরের বৌদ্ধস্তূপ, সপ্তম-অষ্টম শতকের মন্দিরের পাদবিন্যাস ও পোড়ামাটির ভাস্কর্য আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগে খননে একটি ইটের এবং আরেকটি ইট ও পাথর দিয়ে তৈরি মন্দিরের অবশেষ উদ্ধার হয়েছে।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন ৭। নীচের ব্যাসবাক্যগুলোকে সমস্ত পদে পরিবর্তন করো।

বীণা পাণিতে যার ………………….

দশ আনন যার ………………………

চন্দ্র শিখরে যার ……………………..

ত্রি লোচন যার ………………………

উত্তরঃ বীণা পাণিতে যার – বীণাপাণি

দশ আনন যার – দশানন

চন্দ্র শিখরে যার – চন্দ্ৰচূড়

ত্রি লোচন যার – ত্রিলোচন

ロ জেনে নাও।

পাঠে তোমরা ‘বীণাপাণি’ শব্দটি পেয়েছ। এখানে পূর্বপদ হচ্ছে বীণা’ এবং পরপদ বা উত্তর পদ ‘পাণি’। এই দুটি পদের সমাস হয়েছে এবং পদ দুটির অর্থের প্রাধান্য না পেয়ে অন্য এক তৃতীয় অর্থ নির্দেশ করেছে। যেমন- বীণা পাণিতে যার-বীণাপাণি। বীণাপাণির অর্থ হল সরস্বতী। এরকম সমাসকে বহুব্রীহি সমাস বলে।

প্রশ্ন ৮। নীচের সমস্ত পদগুলোকে ব্যাস বাক্যে পরিবর্তন করো।

পীতাম্বর – পীত অম্বর যার

পুণ্যশ্লোক – …………………

কৃতবিদ্য – …………………

নীলবসনা – …………………

ত্রিনয়ন – …………………

যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ বিশেষণ (পীত) ও পরপদ বিশেষ্য (অম্বর) তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি বলে।

পাপমতি – পাপে মতি যার

নীলকণ্ঠ – …………………

যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ ও পর দুটোই বিশেষ্য হয় তাকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি বলে।

কেশাকেশি – কেশে কেশে ধরে যে যুদ্ধ

কোলাকুলি – …………………

পরস্পর একজাতীয় ক্রিয়াকরণ বোঝালে তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি বলে।

মৃগনয়না – মৃগের নয়নের মতো নয়ন যার

স্বর্ণাভ – …………………………..

যে বহুব্রীহি ব্যাসবাক্যে মধ্য পদে লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে।

গায়েহলুদ – গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

হাতেখড়ি – …………………………..

যে বহুব্রীহি সমাসের বিভক্তি লোপ হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলে।

বেপরোয়া – নাই পরোয়া যার

অজ্ঞান – …………………………..

যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদে নঞর্থক বা নিষেধার্থক অব্যয় থাকে তাকে নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।

উত্তরঃ পীতাম্বর – পীত অম্বর যার

পূণ্যশ্লোক – পূণ্য যুক্ত শ্লোক

কৃতবিদ্য – কৃত যুক্ত বিদ্যা

নীলবসনা – নীল যুক্ত বসনা

ত্রিনয়ন – ত্রি নয়ন যার

পাপমতি – পাপে মতি যার

নীলকণ্ঠ – নীল কণ্ঠ যার

কেশাকেশি – কেশে কেশে ধরে যে যুদ্ধ

কোলাকুলি – যে কোলাকুলি করে

মৃগনয়না – মৃগের নয়নের মতো নয়ন যার

স্বর্ণাভ – স্বর্ণের মতো আভা যার

গায়ে হলুদ – গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

হাতেখড়ি – হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে

বেপরোয়া – নাই পরোয়া যার

অজ্ঞান – জ্ঞান নেই যার

প্রশ্ন ৯। নীচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।

প্রাচীন …………….

ধ্বংস ……………..

পুরোনো ……………

বিশাল ……………..

উত্তরঃ 

প্রাচীন – নবীন

ধ্বংস – সৃষ্টি

বিশাল – ছোটো

পুরোনো – নতুন

প্রশ্ন ১০। বাক্য রচনা করো।

ইতিহাস, পোড়ামাটি, উদ্ধার, খনন, নির্মাণ।

উত্তরঃ ইতিহাস – ইতিহাসে নম্বর তোলা খুব কঠিন।

পোড়ামাটি – পোড়ামাটির পুতুল খুব টেকসই।

উদ্ধার – খননকার্যের ফলে অসমে অনেক ঐতিহাসিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

খনন – আমাদের অঞ্চলে খননকার্য চলেছে তেলখনির সন্ধানে।

নির্মাণ – কুরুক্ষেত্র প্রাঙ্গণে অর্জুনের প্রশ্ন শ্রীকৃষ্ণকে- ধ্বংসের কথা সবাই বলছে, নির্মাণের কথা কেউ বলছে না কেন?

প্রশ্ন ১১। বিভিন্ন কারকে সপ্তমী বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্যরচনা করো।

উত্তরঃ (ক) বুলবুলিতে ধান খেয়েছে। (কর্তকারক)

(খ) ভারতীকে ডেকে আনো। (কর্মকারক)

(গ) বেলা যে পড়ে এল জলকে চল। (নিমিত্ত কারক)

(ঘ) বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা। (অপাদান কারক)

(ঙ) বারি ঝরে ঝরোঝরো ভরা ভাদরে। (অধিকরণ কারক।)

প্রশ্ন ১২। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ে নিজেরা পাঁচটি প্রশ্ন প্রস্তুত করো।

যেমন- ট্রেন কোন দিকে ছুটে চলছে?

পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগেও কেউ কাউকে চিনত না, কিন্তু এখন বেশ গাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। অসমের সীমানা ছাড়িয়ে ট্রেন ছুটে চলেছে নয়াদিল্লির দিকে। একই কামরায় রয়েছে গোয়ালপাড়ার চন্দ্রশেখর সিংহ ও আব্দুল খালেক, গুয়াহাটির অনিন্দিতা ভরদ্বাজ, শিবসাগরের বীণাপাণি গগৈ এবং শিলচরের রণদীপ পুরকায়স্থ। অনিন্দিতা আর বীণাপাণি দুই বান্ধবী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। চন্দ্রশেখর আর আব্দুল বেরিয়েছে দেশ দেখতে- দিল্লি, আগ্রা ঘুরে রাজস্থান পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা। রণদীপ প্রত্নতত্ত্বের গবেষক, যাচ্ছে খনন বিষয়ে এক আলোচনাচক্রে যোগ দিতে।

উত্তরঃ (ক) গাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগে কেউ কাউকে চিনত না, তারপর তাদের বন্ধুত্ব হল কীভাবে?

(খ) ট্রেনটি কোথা থেকে কোথায় ছুটে চলেছে?

(গ) একই কামরায় কারা কারা রয়েছে?

(ঘ) অনিন্দিতা আর বীনাপাণি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী?

(ঙ) রণদীপ কোন বিষয়ের গবেষক।

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ

ロ এসো, জানি।

খননকার্য- খননকার্য বলতে সাধারণত বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রণালীবদ্ধভাবে মাটি খোঁড়ার কাজকে বোঝানো হয়ে থাকে। খননকার্যের উদ্দেশ্যকে আমরা দুটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি- ভূতাত্ত্বিক গবেষণা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। ভূতাত্ত্বিক গবেষণার খনন থেকে মাটি ও শিলার গঠন, স্তর-বৈশিষ্ট্য, খনিজের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে নানা তথ্য জানা যেতে পারে; আর প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ইতিহাস অধ্যয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রয়োজনে সাগরের তলায়ও খনন চালানো হয়। সঁফুরা- পান সাজিয়ে দেওয়ার জন্য বাটির মতো ঢাকনাওয়ালা পাত্র।

প্রশ্ন ১৩। এবার তোমরা পাঁচ-ছয় জনের দলে ভাগ হয়ে ‘ঐতিহাসিক স্থান’ বিষয়টির ওপর আলোচনা শুরু করো। আলোচনা কীভাবে শুরু হল, কে কী বলল, আলোচনা কীভাবে এগিয়ে গেল, শেষে কোনো সিদ্ধান্ত হল। কি না, সিদ্ধান্ত হলে কী সিদ্ধান্ত হল- এসব তথ্য বা বিবরণ ক্রমানুসারে খাতায় লিখে আলোচনাটির একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দাও। 

অনিন্দিতা গুয়াহাটির মেয়ে হয়েও আবাড়ির খননকার্য দেখতে যায়নি, তোমাদের অঞ্চলের এ-ধরনের কোনো ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থান যদি তুমি এখনও না দেখে থাক তাহলে অভিভাবক বা শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীকে বলে সেই স্থান দেখার ব্যবস্থা করো এবং স্থানটির বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য জেনে নাও।

উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ১৪। পড়ো ও কথাটি নিয়ে ভাবো।

মনে করো, শিক্ষামূলক ভ্রমণে তোমরা কোনো প্রাচীন মন্দির, প্রাসাদ বা কীৰ্তিচিহ্ন দেখতে গেছ। তোমাদের কয়েকজন বন্ধু সেই সব ঐতিহাসিক স্থাপত্যের গায়ে চক বা কাঠকয়লা দিয়ে তাদের নাম, ঠিকানা লিখে যাচ্ছে, একজন আবার ধারালো কিছু দিয়ে নাম খোদাই করতে লেগেছে এ-অবস্থায় তুমি কী করবে? নিজেও লিখতে শুরু করবে, না বন্ধুদের বারণ করবে?

উত্তরঃ প্রাচীন কীর্তিচিহ্নগুলো আমাদের জাতীয় সম্পদ। কোনো অবস্থাতেই তোমরা এগুলোর ক্ষতিসাধন করবে না। কোনো কীৰ্তিচিহ্ন দেখতে গিয়ে জায়গাটিকে নোংরা করে আসবে না।

প্রশ্ন ১৫। “প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদগুলোর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং সংরক্ষণের অতি আবশ্যক”  এই কথাটি বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে তর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। সপক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দেখাতে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নেবে।

উত্তরঃ নিজেরা দলগতভাবে চেষ্টা করো।

ঘ – প্রকল্প

প্রশ্ন ১৬। তোমাদের পাশের কোনো পুরোনো কীর্তিচিহ্ন/ মন্দির/ নামঘর/ মসজিদের বিষয়ে জেনে নিয়ে শ্রেণির সবাই একটি ক্ষেত্র ভ্রমণের আয়োজন করো আর সেখানে যা যা দেখবে সেগুলোর বর্ণনা খাতায় লিখে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীকে দেখাবে।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top