SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 6 পুত্রভিক্ষা Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

পুত্রভিক্ষা 

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। পদ্যটি শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ো এবং সবাই মিলে আবৃত্তি করো।

উত্তরঃ নিজেরা করো।

প্রশ্ন ২। দুজন করে দলে ভাগ হয়ে কবিতা থেকে কঠিন শব্দগুলো খুঁজে বের করে খাতায় লিখবে, তারপর শব্দ-সম্ভার বা অভিধান থেকে অর্থ জেনে শব্দার্থগুলো লিখবে।

উত্তরঃ নিজেরা করো। যেমন-

কাঙ্গালিনী – ভিখারিণী। 

দরিদ্র – গরিব।

ভাগ্যবতী – সৌভাগ্যবতী। 

অশরণা – আশ্রয়হীনা। 

বিড়ম্বনা – প্রতারণা। 

দুর্গতি – দুর্দশা। 

প্রাণদণ্ড- মৃত্যুদণ্ড। 

ত্রিভুবনে – স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালে।

মহিমার – মহত্ত্বের। 

হিল্লোল – তরঙ্গ। 

সায়াহ্ন – সন্ধ্যা, সাঁঝ। 

নিষাদ – চণ্ডাল, ব্যাধ।

শ্রুতি – শ্রবণ। 

আসক্তি – অনুরক্তি। 

সম্বল – পাথেয়। 

অঞ্চল – শাড়ির প্রাক্ত, আঁচল। 

অশনি – বজ্ৰ। 

প্ৰহ্লাদ- আনন্দ। 

আমোদ- প্রমোদ। 

চন্দ্রানন – চাঁদবদন।

প্রশ্ন ৩। উত্তর দাও।

(ক) ‘পুত্রভিক্ষা’ কবিতায় ‘রাজরানি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ‘পুত্রভিক্ষা’ কবিতায় রাজরানি বলতে দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর ভক্ত প্রহ্লাদের মাতা কয়াধুকে বোঝানো হয়েছে।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

(খ) প্রহ্লাদের পিতামাতার নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ প্রহ্লাদের পিতামাতার নাম ছিল ‘হিরণ্যকশিপু’ এবং মাতার নাম ‘কয়াধু’।

(গ) ‘সে যে আঁচলের নিধি’—কে কাকে ‘আঁচলের নিধি’ বলেছেন?

উত্তরঃ প্রহ্লাদের মাতা কয়াধু দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর নিকটে প্রহ্লাদের মায়ের ‘আঁচলের নিধি’ বলেছেন।

(ঘ) “জানি তব রাজ করে, ন্যায়-দণ্ড শোভা করে,”- ‘রাজ-করে’ শব্দটির অর্থ কি? এখানে রাজা কে?

উত্তরঃ ‘রাজ করে’ শব্দটির অর্থ ‘রাজার হাতে’ বা ‘রাজহস্তে’। এখানে রাজা হলেন ‘হরি বিদ্বেষী দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু।

(ঙ) ‘জনক পালক, তারে- কভু কি নাশিতে পারে’- এখানে কে কার জনক?

উত্তরঃ এখানে দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু হরিভক্ত প্রহ্লাদের জনক।

প্রশ্ন ৪। অর্থ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

(ক) সে মোর প্রভাত রবি

সায়াহ্ন চাঁদের ছবি;

উত্তরঃ মাতার কাছে সন্তান বড়ো আদরের ধন, জীবনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। কয়াধুর কাছে তাঁর পুত্র প্রহ্লাদও সেরূপ সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। ভোরবেলায় সূর্য রাত্রির অন্ধকার দূর করে পৃথিবীতে আলোকের ধারা নিয়ে আসে- সমস্ত পৃথিবী সুপ্তি ভেঙ্গে জীবনের কলরবে মুখরিত হইয়া উঠে; আবার সূর্যাস্তের পর পৃথিবীর উপর যখন ছায়া জমে আসে, তখন আকাশে চাঁদ উঠলে সেই চাঁদের আলোয় পৃথিবী ও আকাশ সৌন্দর্যে ভরে যায়। প্রহ্লাদের মাতা কয়াধুর কাছে তাঁর পুত্র প্রহ্লাদও সেরূপ আলোর আনন্দ ও সৌন্দর্য বহন করে আনে। সেজন্য পুত্রকে তিনি তাঁর জীবনের আকাশে ভোরের সূর্য ও সন্ধ্যার চাঁদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ এই পুত্রের বিহনে তাঁর জীবনে দুঃখের অন্ধকার নেমে আসবে।

(খ) ‘সে যে মোর আঁচলের নিধি’- জগতে অতুল।

উত্তরঃ মায়ের কাছে সন্তান জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। সেইজন্য প্রহ্লাদের মাতা কয়াধু প্রহ্লাদ সম্বন্ধে রাজার কাছে এই কথা বলেছেন। মেয়েদের আঁচলে বাঁধা ধনটুকুই তাদের একান্ত নিজস্ব বস্তু। স্নেহের পুত্র প্রহ্লাদও মাতা কয়াধুর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ও একান্ত আপনার ধন। তাঁর সঙ্গে জগতের অন্য কোনো কিছুর তুলনা হয় না। সেজন্য কয়াধু তাঁর রাজরানির মহিমা, সুখ-ঐশ্বর্য সমস্ত ত্যাগ করেও শুধুমাত্র পুত্রের জীবনটুকুই রাজার কাছে প্রার্থনা করেছেন।

(গ) হিয়া তো অশনি নহে – নহে তো নিষাদ।

উত্তরঃ দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু ছিলেন একান্ত হরি-বিদ্বেষী। কিন্তু তার পুত্র প্রহ্লাদ শিশুকাল থেকেই হরি-ভক্ত। পুত্রের এই হরিভক্তি দৈত্যরাজ সহ্য করতে না পেরে, সর্বসমক্ষে পুত্রের শাস্তি ঘোষণা করলেন। সেই শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড। পাগলা হাতির পদপৃষ্ঠে অথবা গলায় পাথর বেঁধে সমুদ্রে নিক্ষেপ- এই ছিল দণ্ডাদেশ। এই দণ্ডাদেশ শুনে মাতা কয়াধু বলেছেন, পুত্রের মুখ দেখলে ও দেহ স্পর্শ করলে সব পিতামাতারই স্নেহ উদ্বেল হয়ে ওঠে, সেখানে পিতা হয়ে তিনি তাঁরই পুত্রের এই শাস্তি-বিধান কি করে ঘোষণা করলেন। সেজন্য রানি বলেছেন “হিয়া তো অশনি নহে- নহে তো নিষাদ”।

প্রশ্ন ৫। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো।

(ক) ‘ত্রিভুবনে জয় হোক তব মহিমায়’- কে, কার সম্বন্ধে, কোন ঘটনা প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছিলেন।

উত্তরঃ দৈত্যরাজ মহিষী কয়াধু হরিবিদ্বেষী দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু সম্বন্ধে এই উক্তি করেছিলেন।

দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু হরিবিদ্বেষী ছিলেন বলে দৈত্য রাজ্যে হরিনাম উচ্চারণ করা নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন অত্যন্ত হরিভক্ত। প্রহ্লাদ হরিনাম করে রাজার আদেশ অমান্য করায় রাজা তাকে বধ করার আদেশ দেন। এই কথা শুনে রানি রাজার কাছে শিশুপুত্রের প্রাণ ভিক্ষার জন্যে কাতর আবেদন জানাল। তিনি রাজ্যধন ও অন্য প্রকার সব সুখ ত্যাগ করে, পুত্রকে নিয়ে চলে যাবেন। সেই ঘটনার প্রসঙ্গে কয়াধু এই উক্তি করেছেন।

(খ) ‘পুত্রভিক্ষা’ পদ্যে মাতৃহৃদয়ের ব্যাকুলতার যে পরিচয় পাও, তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ প্রহ্লাদ হরিভক্ত থাকায় হরি-বিদ্বেষী হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে আদেশ দেন। সেটা শুনে প্রহ্লাদের মাতা রাজরানি কয়াধু ব্যাকুলভাবে রাজার কাছে কাতরভাবে পুত্রের জীবন ভিক্ষা চেয়েছেন। পিতার হৃদয় সন্তানের প্রতি স্নেহে দুর্বল হবার কথা; অথচ হিরণ্যকশিপু কীভাবে পুত্রের প্রতি এরূপ নিষ্ঠুর আদেশ দিলেন- একথা কয়াধু ভেবে পান না। রাজা ন্যায়দণ্ডের ধারক ও বিচারক হতে পারেন; কিন্তু তাঁরও তো প্রাণ ও হৃদয়ে দয়ামায়া আছে। তার অভাবে কয়াধু ভিখারিণীর মতো মহারাজের কাছে তার অবোধ বালক পুত্রের প্রাণভিক্ষা করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন যে, রাজরানি হয়ে আজ দরিদ্র প্রজার স্ত্রী অপেক্ষাও তিনি দুর্ভাগা ও কাঙ্গালিনী; কারও দুধের শিশু এভাবে প্রাণদণ্ড পায় না। কয়াধু জানালেন, অবোধ বালক প্রহ্লাদের রাজ-বিধি সম্বন্ধে জ্ঞান নেই ; সেই নিতান্ত ছেলেমানুষের মতো সরল প্রাণে ছেলে-খেলা করে। সেই শিশুকে ধর্মদ্রোহী বলে রাজা আজ শাস্তি দিতে চেয়েছেন, পিতার হৃদয় আজ প্রতিহিংসায় পূর্ণ হয়েছে। অথচ প্রহ্লাদ এখনও শিশুর মতো ঘুমের ঘোরে অসহায়ভাবে মাকে জড়িয়ে ধরে, ক্ষুধা পেলে অভিমান করে, সামান্য ধমক খেলেই চোখের জলে বুক ভেসে যায়।

এই পুত্র কয়াধুর কাছে ভোরের সূর্য ও রাত্রের চাঁদ ও সদ্যফোটা বসন্তের ফুলের মতোই প্রিয়। মায়ের আঁচলের ধন সেই প্রহ্লাদকে রাজা হাতির পায়ের নীচে পিষ্ট করে, গলায় পাথর বেঁধে সমুদ্রে ডুবিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে, নিষ্ঠুরের মতো বধ করতে চেয়েছেন। যে পিতা পুত্রকে পালন করে, তার হৃদয় কি এত নিষ্ঠুর হতে পারে যে, ননীর পুতুলের মতো পুত্রকে হত্যা করবে? এটা নিশ্চয়ই লোকের মিথ্যা রটনা, এই ভেবে অভাগিনী মাতা সান্ত্বনা পেতে চায়। কয়াধু স্বীকার করলেন যে, প্রহ্লাদের মুখে ‘হরি’ নাম শুনে তাঁর হৃদয়বীণার তার অপূর্ব আনন্দে অনুরণিত হয়ে উঠে। হরি দৈত্যরাজের শত্রু হলেও, পাপ থেকে মুক্ত হবার আশায় কয়াধু প্রাণ ভরে পুত্রমুখে সেই হরিনাম শুনেছেন। এই ভক্তিকে দোষ বলে গণ্য করে রাজ-রোষ উদ্যত হয়েছে; অভাগিনী মাতা সেজন্য আজ রাজ্যধন ও অন্য সকল প্রকার সুখ বিসর্জন দিয়ে আঁচল পেতে কেবল তাঁর প্রাণের সম্বল পুত্র প্রহ্লাদকে ফিরিয়ে দিতে রাজার কাছে কাতরভাবে আবেদন জানিয়েছেন। রাজা সুখে রাজত্ব করুন, দৈত্যভূমির লোক তৃপ্তিলাভ করুক, তিনি দূরে থেকে প্রতিদিন তাঁকে শত শত নমস্কার জানাবেন, ত্রিভুবনে রাজার মহিমা ও জয় ঘোষিত হউক; কয়াধু তার কিছুই প্রত্যাশা করেন না, কেবল মায়ের কোলের ধন সরল শিশুর প্রাণটুকু যেন রাজা মাতা কয়াধুকে ফিরিয়ে দেয়। পুত্রের জন্য মাতৃহৃদয়ের ব্যাকুলতার এক করুণ ও মর্মস্পর্শী চিত্রই এখানে অঙ্কিত হয়েছে।

(গ) পুত্রকে বিনাশ করার জন্য রাজা কী কী উপায় অবলম্বন করেছিলেন?

উত্তরঃ পুত্রকে নাশ করার জন্য রাজা তিনটি উপায় অবলম্বন করেছিলেন। প্রথমটি হল- তাকে হাতির পায়ের তলায় পিষে হত্যা করা; দ্বিতীয়টি গলায় পাথর বেঁধে সমুদ্রের জলে ডুবিয়ে মারা এবং তৃতীয়টি মন্ত্রপূত দৈবশক্তিসম্পন্ন আগুনে পুড়িয়ে মারা।

খ- ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) 

প্রশ্ন ৬। কবিতায় ‘ধর্মদ্রোহী’ শব্দটি পেয়েছ। এর অর্থ হচ্ছে, যে ধর্ম-সংগত আচরণের বিরোধী। এবার নিম্নলিখিত শব্দের অর্থ লেখো এবং বাক্যে প্রয়োগ করো।

রাজদ্রোহী, দেশদ্রোহী, পিতৃদ্রোহী

উত্তরঃ (ক) রাজদ্রোহী- যে রাজার বিরুদ্ধাচরণ করে।

ব্রিটিশ সরকার নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে রাজদ্রোহী আখ্যা দিয়েছিলেন।

(খ) দেশদ্রোহী- দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে যে

বিদেশী গুপ্তচরদের যারা সাহায্য করে তারা দেশদ্রোহী।

(গ) পিতৃদ্রোহী- পিতার বিরুদ্ধে আচরণ করে যে।

পিতৃদ্রোহী ঔরঙ্গজেব পিতাকে বন্দী করে সিংহাসন দখল করেন।

প্রশ্ন ৭। লিঙ্গ পরিবর্তন করো।

কাঙ্গালিনী, ভাগ্যবতী, দীনা, অভাগী, ভিখারিণী।

উত্তরঃ (ক) কাঙ্গালিনী – কাঙ্গাল। 

(খ) ভাগ্যবতী – ভাগ্যবান। 

(গ) দীনা – দীন।

(ঘ) অভাগী – অভাগা। 

(ঙ) ভিখারিণী – ভিখারী।

প্রশ্ন ৮। কবিতায় দুটি শব্দ পেয়েছ ‘করে’, ‘করি’ ও ‘দেহ’। শব্দ দুটিকে ভিন্ন স্থানে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো।

দেহ (শরীর) …………………………………………..

দেহ (দেওয়া) …………………………………………..

করে (হাতে) …………………………………………..

করে (করা) …………………………………………..

করি (হাতি) …………………………………………..

উত্তরঃ দেহ (শরীর)- ভীমের দেহ বিশাল ছিল

দেহ (দেওয়া)- দেহ আজি ভিক্ষা দান

করে (হাতে)- জানি তব রাজ করে

করে (করা)- আমি কাজটি শেষ করেই আসব

করি (হাতি)- করির পদপিষ্ঠে প্রহ্লাদকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন রাজা

প্রশ্ন ৯। পদান্তর করো।

দিন, শোভা, প্রাণ, অবোধ, শিশু, বিচার, ভক্তি, দোষ

উত্তরঃ (ক) দিন – দৈনিক। 

(খ) শোভা – শোভিত, শোভন। 

(গ) প্রাণ – প্রাণবন্ত। 

(ঘ) অবোধ – বোধহীনতা। 

(ঙ) শিশু – শৈশব। 

(চ) বিচার – বিচার্য।

(ছ) ভক্তি – ভক্ত। 

(জ) দোষ – দোষী।

প্রশ্ন ১০। গদ্যরূপ দাও।

পরশিলে, চুম্বিতে, তব, বিনাশিবে, গ্রাসিয়াছে, মতি, মরমে, নাশিতে, হিয়া।

উত্তরঃ 

(ক) পরশিলে – স্পর্শ করলে। 

(খ) চুম্বিতে – চুম্বন করতে।

(গ) তব – তোমার। 

(ঘ) বিনাশিবে – বিনাশ করবে। 

(ঙ) গ্রাসিয়াছে – গ্রাস করেছে। 

(চ) মতি – মত্ত হওয়া। 

(ছ) মরমে – মর্মে। 

(জ) নাশিতে – নাশ করতে। 

(ঞ) হিয়া – হৃদয়।

☐ জেনে নাও-

তোমরা জান যে- ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে কাল বলে। কাল সাধারণত তিন প্রকার- বর্তমান কাল, অতীত কাল, ভবিষ্যৎ কাল। যে ক্রিয়া বা কাজ সচরাচর ঘটে বা বর্তমানে ঘটছে বুঝায় তাকে বর্তমান কাল বলে।

প্রশ্ন ১১। নীচের উদাহরণের মতো বর্তমান কালের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

(ক) আমরা রোজ প্রার্থনা করি।

(খ) সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।

(গ) ………………………….।

(ঘ) ………………………….।

ওপরের কাজগুলো রোজই ঘটে থাকে। যে কাজগুলো নিত্য হয় বা সাধারণত ঘটে থাকে সেই ক্রিয়ার কালকে সাধারণ বা নিত্য বর্তমান কাল বলে।

উত্তরঃ (ক) আমরা রোজ প্রার্থনা করি।

(খ) সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।

(গ) ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যেক দিন পড়াশুনা করে।

(ঘ) নিয়ম করে প্রত্যেক দিন জোয়ার-ভাঁটা হয়।

ওপরের কাজগুলো রোজই ঘটে থাকে। যে কাজগুলো নিত্য হয় বা সাধারণত ঘটে থাকে সেই ক্রিয়ার কালকে সাধারণ বা নিত্য বর্তমান কাল বলে।

(ক) অভাগিনী মাগে ভিক্ষা পাতিয়া অঞ্চল।

(খ) তুষার খেলা করছে।

(গ) ………………………….।

(ঘ) ………………………….।

ওপরের কাজগুলো এখনই ঘটছে। যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটছে কিন্তু এখনো সেই ক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ হয়নি তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে।

উত্তরঃ (ক) অভাগিনী মাগে ভিক্ষা পাতিয়া অঞ্চল।

(খ) তুষার খেলা করছে।

(গ) রেলগাড়ি প্রত্যেকদিন নিয়মমতো চলে।

(ঘ) ঘড়ির কাঁটা প্রত্যেকদিন নিয়মমতো চলে।

ওপরের কাজগুলো এখনই ঘটছে। যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটছে কিন্তু এখনো সেই ক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ হয়নি তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে।

(ক) চুম্বিতে সে চাঁদমুখ কে না গ’লে যায়।

(খ) রিনি বোধহয় বইটি নিয়েছে।

(গ) ………………………….।

(ঘ) ………………………….।

ওপরের কাজ বা ক্রিয়াগুলো কিছুকাল পূর্বে ঘটেছে কিন্তু ফল এখনো আছে তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে।

উত্তরঃ (ক) চুম্বিতে সে চাঁদমুখ কে না গ’লে যায়।

(খ) রিনি বোধহয় বইটি নিয়েছে।

(গ) শ্যাম সংবাদপত্র পাঠ করছে।

(ঘ) এক সুখ স্বপ্নে রাম বিভোর হয়ে আছে।

ওপরের কাজ বা ক্রিয়াগুলো কিছুকাল পূর্বে ঘটেছে কিন্তু ফল এখনো আছে তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে।

(ক) দেহ আজি ভিক্ষা দান।

(খ) ভেতরে এসো।

(গ) ………………………….।

(ঘ) ………………………….।

আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, অনুমতি ইত্যাদি অর্থে যে ক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তাকে বর্তমান অনুজ্ঞঙ্গ বলে।

উত্তরঃ (ক) দেহ আজি ভিক্ষা দান।

(খ) ভেতরে এসো।

(গ) মঞ্জু ক্লাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।

(ঘ) ওয়ান-ডেতে ভারত পাকিস্তানকে হারিয়েছে।

আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, অনুমতি ইত্যাদি অর্থে যে ক্রিয়া ব্যবহৃত হয় তাকে বর্তমান অনুজ্ঞঙ্গ বলে।

প্রশ্ন ১২। নীচের বাক্যগুলো পড়ে বুঝে বর্তমান কালের চারটি রূপ উল্লেখ করো।যেমন- 

(ক) ওরা কাজ করে।সাধারণ বা নিত্য বর্তমান
(খ) দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল।_____________
(গ) আমার খাওয়া হয়েছে।_____________
(ঘ) বিপদে মোরে রক্ষা করো।_____________
(ঙ) পাল্কী চলে।_____________
(চ) কানে কানে কথা বলছে।_____________
(ছ) শিশুটি ঘুমিয়েছে।_____________
(জ) দীর্ঘজীবী হও।_____________

উত্তরঃ 

(ক) ওরা কাজ করে।সাধারণ বা নিত্য বর্তমান
(খ) দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল।পুরাঘটিত বর্তমান।
(গ) আমার খাওয়া হয়েছে।পুরাঘটিত বর্তমান।
(ঘ) বিপদে মোরে রক্ষা করো।বর্তমান অনুজ্ঞা।
(ঙ) পাল্কী চলে।সাধারণ বর্তমান।
(চ) কানে কানে কথা বলছে।ঘটমান বর্তমান।
(ছ) শিশুটি ঘুমিয়েছে।পুরাঘটিত বর্তমান।
(জ) দীর্ঘজীবী হও।বর্তমান অনুজ্ঞা।
পাঠে তোমরা ‘জনক-পালক’ শব্দগুলো পেয়েছ। এই দুটো শব্দে ‘অক’ প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে। 
যেমন- জন্ + অক = জনক, পাল্ + অক = পালক।

প্রশ্ন ১৩। এবার তোমরা অক প্রত্যয় যুক্ত করে পাঁচটি শব্দ লেখো।

উত্তরঃ পাত+অক্ = পাতক। 

ঘাত+অক = ঘাতক। 

চাল+অক = চালক।

বহ+অক্ = বাহক। 

বাল+অক্ = বালক।

প্রশ্ন ১৪। সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।

দুর্গতি = ………. + ………

নিষাদ = ………. + ………

সম্বল = ………. + ………

নমস্কার = ………. + ………

উত্তরঃ দুর্গতি = দুঃ + গতি।

নিষাদ = নিঃ + ষাদ।

সম্বল = সম্ + বল

নমস্কার = নমঃ +কার

প্রশ্ন ১৫। এক কথায় প্রকাশ করো।

(ক) তিন ভুবনের সমাহার ………………………

(খ) ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন যিনি ………………………

(গ) বিষ্ণুর উপাসনা করেন যিনি ……………………….

উত্তরঃ (ক) তিন ভুবনের সমাহার – ত্রিভুবন

(খ) ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন যিনি – আস্তিক

(গ) বিষ্ণুর উপাসনা করেন যিনি – বৈষ্ণব

১৬। বিভিন্ন কারকে তৃতীয়া বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্যরচনা করো। (শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)।

উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা করো।

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ১৭। এসো, কবি যাদবেন্দ্রের রচিত ‘মায়ের আকৃতি’ শীর্ষক পদ্যটি সবাই মিলে আবৃত্তি করি। এই পদ্যটিতে মাতৃহৃদয়ের উৎকণ্ঠাকে কবি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় রূপদান করেছেন।

উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা আবৃত্তি করো।

প্রশ্ন ১৮। তুমি কোথাও দূরে গেলে বা দেরি করে ঘরে ফিরলে তোমার মার উৎকণ্ঠা হয়, সেটি অনুভব করে নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে। যেমন- আমার জন্মদায়িনী মা সব সময় আমার জন্য চিন্তিত থাকে। স্কুল থেকে ফেরার নির্দিষ্ট সময় সামান্য পার হয়ে গেলে কিংবা টিউশন শেষ করে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে মা খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বার বার বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে অনেকসময় রাস্তার মোড়ে গিয়েও মা অপেক্ষা করে। মাস্টারমশাইয়ের বাড়ি থেকে ফিরতে সন্ধে হয়ে গেলে মা নিজেই কখনো কখনো আনতে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে একবার দুর্গাঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বেশি রাত হয়ে গিয়েছিল বলে মা না খেয়ে থেকে কান্নাকাটি শুরু করেছিল। সব সময় আমার বিপদের কথায় এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থাকে যে আমি বাইরে বেরোলে মার কথা চিন্তা করে সময় নষ্ট না করে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি ফিরে আসি। কারণ আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি। আমার জন্য মাকে কষ্ট পেতে দেখলে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি মাকে কষ্ট দিতে পছন্দ করি না। মা হচ্ছে আমার সব থেকে সেরা বন্ধু।

ঘ – প্রকল্প

প্রশ্ন ১৯। মহৎ লোকের বাণী যেমন— ‘অহিংসা পরম ধর্ম’, ‘গুরুজনে করো নতি’ ইত্যাদি সংগ্রহ করে লেখো এবং শ্রেণিতে ঝুলিয়ে রাখো।

১। জীবে প্রেম করে যেই জন 

সেই জন সেবিছে ঈশ্বর-

২। যত মত তত পথ-

৩। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই-

৪। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে।

৫। প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে

স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদের কুঁড়ে ঘরে।

৬। পরের কাছে হইব বড়ো

 একথা গিয়ে ভুলে

বৃহৎ যেন হইতে পারি

নিজের প্রাণমূলে।

৭। জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে

সে জাতির নাম মানুষ জাতি।

এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত,

একই রবিশশী মোদের সাথী।

৮। একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top