Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 12 বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো।
(ক) কত খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছিল?
উত্তরঃ ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
(খ) কোন নাবিক প্রথমে ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ পোর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা প্রথমে ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন।
(গ) ওলন্দাজরা ভারতবর্ষে কোন অঞ্চলে প্রথম দুর্গটি স্থাপন করে?
উত্তরঃ ওলন্দাজরা ভারতবর্ষের পুলিকট অঞ্চলে প্রথম ‘দুর্গটি স্থাপন করে।
(ঘ) দ্বিতীয় চার্লস বোম্বাই কাদের লিজে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় চার্লস বোম্বাই ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিদের লিজে দিয়েছিলেন।
(ঙ) পাঞ্জাব, মহীশূর এবং মারাঠা রাজ্য ইংরেজদের কোন নীতির হয়েছিল?
উত্তরঃ পাঞ্জাব, মহীশূর এবং মারাঠা রাজ্য ইংরেজদের ‘বিভাজন এবং শাসন’ (Divide and Rule) নীতির শিকার হয়েছিল।
প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলা
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
কলম্বাস | পোর্তুগিজ নারিক |
উইলিয়াম হকিন্স | পোর্তুগিজ দুর্গ |
ভাস্কো-ডা-গামা | ইংরেজ সংবাদবাহক |
দ্বিতীয় চার্লস | ওলন্দাজ |
পুলিকট | আমেরিকা |
উত্তরঃ
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
কলম্বাস | আমেরিকা |
উইলিয়াম হকিন্স | ইংরেজ সংবাদবাহক |
ভাস্কো-ডা-গামা | পোর্তুগিজ নাবিক |
দ্বিতীয় চার্লস | পোর্তুগিজ দুর্গ |
পুলিকট | ওলন্দাজ |
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূরণ করো—
(ক) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি __________ খ্রিস্টাব্দে রানি প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য রাজকীয় অনুমতি পেয়েছিলেন।
উত্তরঃ ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে রানি প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য রাজকীয় অনুমতি পেয়েছিলেন।
(খ) __________ দ্বারা দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়।
উত্তরঃ সরকারের দ্বারা দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়।
(গ) ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় চার্লস __________ ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে লিজ দিয়েছিলেন।
উত্তরঃ ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় চার্লস বোম্বাই ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে লিজ দিয়েছিলেন।
(ঘ) ১৭১৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট __________ ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ফরমান প্রদান করেন।
উত্তরঃ ১৭১৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ার ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ফরমান প্রদান করেন।
(ঙ) __________ দের শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল।
উত্তরঃ ইংরেজ দের শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল।
প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
(ক) ১৮ শতকে মোগল সাম্রাজ্য শক্তিশালী ছিল।
উত্তরঃ ১৮ শতকে মোগল সাম্রাজ্য শক্তিশালী ছিল। (অশুদ্ধ)।
(খ) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে একমাত্র ইউরোপীয় ব্যবসায়ী কোম্পানি ছিল।
উত্তরঃ ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে একমাত্র ইউরোপীয় ব্যবসায়ী কোম্পানি ছিল। (অশুদ্ধ)।
(গ) ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
উত্তরঃ ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতায় উপস্থিত হয়েছিলেন। (অশুদ্ধ)।
(ঘ) ভারতীয় কৃষকদের অত্যাচার করে রাজস্ব সংগ্রহ পদ্ধতি প্রবর্তিত হওয়ার ফলে ভারতীয় কৃষকরা ঋণগ্রস্থ হয়েছিল।
উত্তরঃ ভারতীয় কৃষকদের অত্যাচার করে রাজস্ব সংগ্রহ পদ্ধতি প্রবর্তিত হওয়ার ফলে ভারতীয় কৃষকরা ঋণগ্রস্থ হয়েছিল। (শুদ্ধ)।
(ঙ) বাণিজ্যবাদ উপনিবেশবাদকে উৎসাহ দিয়েছিল।
উত্তরঃ বাণিজ্যবাদ উপনিবেশবাদকে উৎসাহ দিয়েছিল। (শুদ্ধ)।
প্রশ্ন ৫। দলগতভাবে আলোচনা করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
(ক) ইউরোপীয় বণিক গোষ্ঠীর ভারতবর্ষে আগমনের কারণ।
উত্তরঃ দলগতভাবে আলোচনা করে ইউরোপীয় বণিক গোষ্ঠীর ভারতবর্ষে আগমনের কারণ-এর প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে। যেমন–
ইউরোপীয় বণিক গোষ্ঠীর ভারতবর্ষে আগমনের কারণ–
১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর একজন মোগল সম্রাটও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত বিদ্রোহ দমন করে মোগল সাম্রাজ্যকে একত্রিত করতে পারেননি। ফলস্বরূপ, মোগল শাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোগল শাসনাধীন বিভিন্ন স্থানে অনেক ছোটো ছেটো স্বাধীন রাজ্যের উত্থান হয়। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে আধিপত্য স্থাপনের দিকে অগ্রসর হয় এবং ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে একটি বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে রানি প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে একচেটিয়াভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য রাজকীয় অনুমতিপত্র লাভ করে।
এর অর্থ এই যে প্রাচ্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ছাড়া সেই দেশের অন্য কোনো কোম্পানি ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না। পরে অবশ্য বেশি দিন ইউরোপের অন্যান্য কোম্পানি গুলোকে প্রাচ্যের দেশগুলিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। পরে পোর্তুগিজ, ডাচ বা ওলন্দাজ, ফরাসি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ইত্যাদি ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা লক্ষ করে ভারতবর্ষে আগমন করে।
(খ) বাণিজ্যবাদ বলতে কী বোঝ? বাণিজ্যবাদ এবং উপনিবেশবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ দলগতভাবে আলোচনা করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে। যেমন—
বাণিজ্যবাদ বলতে ব্যবসা-বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করাকে বোঝায়।
১৬ শতক থেকে ১৮ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত ইউরোপের প্রধান প্রধান দেশগুলি বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করলেও খুব শীঘ্রই এমন এক পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যে সব দেশই ব্যবসার সামগ্রী রপ্তানি করার উপর গুরুত্ব দিয়ে আমদানি করতে অনিচ্ছুক হয়। এসবের কারণেই ইউরোপের বাণিজ্য প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুদ্ধের কারণ হয়ে পড়েছিল এবং এই বাণিজ্যই উপনিবেশ সম্প্রসারণে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। ফলে ইউরোপের দেশগুলো বিদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে উপনিবেশ স্থাপনে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। তারা উপনিবেশগুলোকে অপর দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে নিষেধ করে। এটাই হল বাণিজ্যবাদ এবং উপনিবেশবাদের মধ্যে সম্পর্ক।
(গ) ভারতবর্ষের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে ইউরোপীয় বণিকদের প্রভাব।
উত্তরঃ দলগতভাবে আলোচনা করে লিখতে হবে। যেমন-
বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতীয় শাসকগণ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করে তুলতে পারেননি। তাদের বেশিরভাগই নিজেদের লক্ষ্য অনুধাবনের ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তারা প্রায় আনুগত্যও লাভ করতে পারেননি। ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভারতে আসা ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিসর বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে পরে স্থানীয় শাসনও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। অবশেষে সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়।
প্রশ্ন ৬। ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে পোর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ এবং ফরাসিদের ব্যবসায়িক ঘাঁটিগুলি বসাও।
উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।
প্রশ্ন ৭। ইংরেজদের ভারতবর্ষে আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষে উপলব্ধ ভারতীয় কুঠির উদ্যোগসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ ইংরেজদের ভারতবর্ষে আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষে উপলব্ধ ভারতীয় কুঠির উদ্যোগসমূহের তালিকা নিচে দেওয়া হল১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি মোগল সম্রাট জাহাংগিরের দরবারে উইলিয়াম হকিন্সকে সুরাটে একটি কুঠি স্থাপনের অনুমতি নেবার জন্য পাঠায়।
১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সুরাটে একটি বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের জন্য মোগল সম্রাটের থেকে অনুমতি লাভ করে।
অপর আর একজন ইংরেজ বণিক টমাস রো মোগল সম্রাট জাহাংগিরের দরবারে এসে তিনবছর থেকে আগ্রা, সুরাট, আমেদাবাদ এবং ব্রোচে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি লাভ করেন।
ইংরেজ বণিক ফ্রান্সিস ডে একজন স্থানীয় নায়ক থেকে মাদ্রাজ কিনে নিয়ে সেখানে ফোর্ট সেন্ট জর্জ নামে একটি সুরক্ষিত কুঠি স্থাপন করেন। এছাড়া, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার পাশে হুগলিতে একটি কুঠি স্থাপন করেন।
পরবর্তী সময়ে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ঔরঙ্গজেবের থেকে কলকাতায় আরও একটি কুঠি স্থাপনের জন্য অনুমতি লাভ করে এবং সেখানে, ফোর্ট উইলিয়াম নামে একটি দুর্গ নির্মাণ করে।
প্রশ্ন ৮। ‘১৭ শতকের শেষভাগ এবং ১৮ শতকের শুরুর সময় থেকেই ভারতবর্ষের ইতিহাস এক দিকনির্ণয়কারী ভূমিকা নিয়েছিল’—উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ১৭ শতকের শেষভাগ এবং ১৮ শতকের শুরুর সময় থেকেই ভারতবর্ষের ইতিহাস এক দিকনির্ণয়কারী ভূমিকা নিয়েছিল। ইংরেজরা ভারতের একটি বৃহৎ অংশ দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। ভারতবর্ষে ইংরেজদের সফলতার অনেক কারণ আছে। প্রথমত, ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের একতা ছিল না। পাঞ্জাব, মহীশূর এবং মারাঠার মতো শক্তিশালী রাজ্যগুলি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে বাধা দেবার চেষ্টা করেনি। এই রাজ্যগুলো ইংরেজদের ‘বিভাজন এবং শাসন’ (Divide and rule) নীতির শিকার হয়েছিল। অন্যদিকে ইংরেজরা সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ ছিল। বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতীয় শাসকগণ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করে তুলতে পারেননি। তাদের বেশিরভাগই নিজেদের লক্ষ্য অনুধাবনের ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তারা প্রজার আনুগত্যও লাভ করতে পারেননি। ইংরেজ সৈন্যরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত রণকৌশল প্রয়োগ করেছিল তখন ভারতীয় সৈন্যরা সেই ক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে ছিল। ইংরেজদের শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল, কিন্তু ভারতীয় কোনো রাজ্যেরই শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল না।
এভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভারতে আসা ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিসর বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে পরে স্থানীয় শাসনও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। অবশেষে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটিয়ে কোম্পানি ভারতের ৬৩ শতাংশ অঞ্চল এবং ৭৮ শতাংশ জনসংখ্যাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বাকি অংশটুকুও কোম্পানির পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণেই ছিল।
ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন ১। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর অনেকগুলি স্বাধীন রাজ্য সৃষ্টি হওয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে বাবরের প্রতিষ্ঠিত মোগল সাম্রাজ্য পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল। ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর একজন মোগল সম্রাটও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত বিদ্রোহ দমন করে মোগল সাম্রাজ্যকে পুনরায় একত্রিত করতে পারেনি। এর ফলে মোগল শাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোগল শাসনাধীন বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলি স্বাধীন রাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রশ্ন ২। কোন কোন ইউরোপীয় দেশ ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে এসেছিল? ক্রমানুসারে উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ইত্যাদি ইউরোপীয় দেশ ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে এসেছিল।
প্রশ্ন ৩। ইউরোপীয় লোকদের ভারতবর্ষ কেন আকর্ষণ করত ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ প্রচুর ধন সম্পত্তির দেশ। ভারতবর্ষের মশলা, বস্ত্র, রেশম, ধাতব দ্রব্য, সোনা, রূপা, মূল্যবান পাথর ইত্যাদি জলপথে এবং স্থলপথে ইউরোপে পৌঁছাত। এই কারণে ইউরোপীয় লোকদের ভারতবর্ষ আকর্ষণ করত।
প্রশ্ন ৪। ইউরোপের কোন কোন রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল ভিত্তি সাম্রাজ্যবাদ ছিল?
উত্তরঃ ইউরোপের ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ইত্যাদি রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল ভিত্তি সাম্রাজ্যবাদ ছিল।
প্রশ্ন ৫। ইউরোপের কোন রাষ্ট্রগুলো ভারতবর্ষে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেছিল?
উত্তরঃ ইউরোপের পোর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি, ইংল্যান্ড ইত্যাদি রাষ্ট্রগুলো ভারতবর্ষে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেছিল।
প্রশ্ন ৬। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়ে তুমি একজন তাঁতি হিসাবে কল্পনা করে তোমার পরিবারের লোকদের আর্থিক দুর্দশার বিষয়ে উল্লেখ করো।
উত্তরঃ নিজে লেখো।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো।
(ক) বাবরের প্রতিষ্ঠিত মোগল সাম্রাজ্য কার রাজত্বকালে পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল?
উত্তরঃ বাবরের প্রতিষ্ঠিত মোগল সাম্রাজ্য ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল।
(খ) কার কঠোর শাসন নীতি মারাঠা, শিখ এবং জাঠদের মোগল শাসনের অবসান ঘটিয়ে পুনরায় স্বাধীন হবার জন্য উৎসাহিত করেছিল?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের কঠোর শাসন নীতি মারাঠা, শিখ এবং জাঠদের মোগল শাসনের অবসান ঘটিয়ে পুনরায় স্বাধীন হবার জন্য উৎসাহিত করেছিল।
(গ) ইংরেজ বণিকেরা ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল কেন?
উত্তরঃ ইংরেজ বণিকেরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশেষ করে ভারতবর্ষের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিল।
(ঘ) ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রানি প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে কত বছরের জন্য রাজকীয় অনুমতিপত্র লাভ করে?
উত্তরঃ ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি রানি প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য রাজকীয় অনুমতিপত্র লাভ করে।
(ঙ) ওলন্দাজরা কত খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের পুলিকটে তাদের প্রথম দুর্গটি নির্মাণ করে?
উত্তরঃ ওলন্দাজরা ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের পুলিকটে তাদের প্রথম দুর্গটি নির্মাণ করে।
(চ) ১৬ এবং ১৮ শতকে মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল সাম্রাজ্যবাদ এমন কয়েকটি রাষ্ট্রের নাম লেখো।
উত্তরঃ ১৬ এবং ১৮ শতকে মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল সাম্রাজ্যবাদ এমন কয়েকটি রাষ্ট্র হল—ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ইত্যাদি।
(ছ) উনিশ শতকের প্রথম ভাগে সাগর পথে ইংল্যান্ড থেকে ভারতবর্ষে আসতে কত সময় লাগত?
উত্তরঃ উনিশ শতকের প্রথম ভাগে সাগর পথে ইংল্যান্ড থেকে ভারতবর্ষে আসতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগত।
(জ) ভারতবর্ষে মসলিপত্তনমে কবে ফরাসি কুঠি স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ভারতবর্ষে ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে মসলিপত্তনমে ফরাসি কুঠি স্থাপিত হয়েছিল।
(ঝ) কত খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছি?
উত্তরঃ ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
(ঞ) ফরাসিরা মালাবার উপকূলের মাহে কত খ্রিস্টাব্দে লাভ করে?
উত্তরঃ ফরাসিরা মালাবার উপকূলের মাহে ১৭২৫ খ্রিস্টাব্দে লাভ করে।
প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও–
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
‘বিভাজন এবং শাসন নীতি’ | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি |
মাহে | করমণ্ডল উপকূল |
নাগপট্টনম | মালাবার উপকূল |
কনস্টানটিনোপল | ওলন্দাজ |
ফোর্ট উইলিয়াম | ইংরেজ |
কারাইকল | তুর্কি |
উত্তরঃ
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
‘বিভাজন এবং শাসন নীতি’ | ইংরেজ |
মাহে | মালাবার উপকূল |
নাগপট্টনম | ওলন্দাজ |
কনস্টানটিনোপল | তুর্কি |
ফোর্ট উইলিয়াম | ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি |
কারাইকল | করমণ্ডল উপকূল |
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূরণ করো—
(ক) _________ নামে একজন পোর্তুগিজ নাবিক ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন।
উত্তরঃ ভাস্কো-ডা-গামা নামে একজন পোর্তুগিজ নাবিক ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন।
(খ) ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে তুর্কিরা _________ দখল করায় সমস্যার সৃষ্টি হল।
উত্তরঃ ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে তুর্কিরা কনস্টানটিনোপল দখল করায় সমস্যার সৃষ্টি হল।
(গ) _________ ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের পুলিকটে তাদের প্রথম দুর্গটি নির্মাণ করে।
উত্তরঃ ওলন্দাজরা ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের পুলিকটে তাদের প্রথম দুর্গটি নির্মাণ করে।
(ঘ) ১৬৭৪ খ্রিস্টাব্দে _________ ফরাসিদের দুর্গ এবং পরে মুখ্য কার্যালয় হয়ে পড়ে।
উত্তরঃ ১৬৭৪ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিচেরী ফরাসিদের দুর্গ এবং পরে মুখ্য কার্যালয় হয়ে পড়ে।
(ঙ) ফরাসিরা ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে করমণ্ডল উপকূলের _________ লাভ করে।
উত্তরঃ ফরাসিরা ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে করমণ্ডল উপকূলের কারাইকল লাভ করে।
প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো—
(ক) ১৭২৫ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিরা মালাবার উপকূলের কারাইকল লাভ করে।
উত্তরঃ (অশুদ্ধ )।
(খ) নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং ডেনমার্ক ১৭ শতকেই ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কুঠি স্থাপন করেছিল।
উত্তরঃ (শুদ্ধ)।
(গ) ১৬ শতকের থেকে ১৮ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতি বাণিজ্যবাদ নিয়ন্ত্রণ করত।
উত্তরঃ (শুদ্ধ)।
(ঘ) ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বণিক ফ্রান্সিস ডে কলকাতার পাশে হুগলিতে একটি কুঠি স্থাপন করেন।
উত্তরঃ (শুদ্ধ)।
(ঙ) ফরাসিদের ‘বিভাজন এবং শাসন’ নীতি এবং ভারতীয় দেশীয় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন দুর্বলতার জন্যই ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষের রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল।
উত্তরঃ (অশুদ্ধ)।
প্রশ্ন ৫। ভারতবর্ষে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা শুরু করায় কীভাবে ভারতের কুটির শিল্প বা উদ্যোগ ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি লবণ, তামাক, সুপুরি ইত্যাদি সামগ্রীর এক চেটিয়া ব্যবসা শুরু করেছিল। এই সুযোগে কোম্পানির কর্মচারীরাও তাদের নিজেদের স্বাধীন ব্যবসা চালাতে শুরু করেছিল। ফলে স্থানীয় উদ্যোগগুলো সংকটে পড়েছিল। কোম্পানির কর্মচারীরা সুতা এবং রেশমের তাঁতিদের তাদের নিজেদের তৈরি সামগ্রী কম দামে বিক্রি করার জন্য অত্যাচার করত। কোম্পানির ভারতীয় দালাল গোমস্তারাও তাঁতিদের কোম্পানির প্রয়োজনমতো সামগ্রী তৈরি করতে দিয়ে যথেষ্ট কম দামে তা বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল।
তাদের নির্দেশ না মেনে তাঁতিদের কঠোর শাস্তির দম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাঁতিদের উৎপাদিত সামগ্রী অধিক মূল্য দিয়ে ক্রয় করার জন্য আগ্রহী অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যবসায়ীর কাছে তাদের সামগ্রী বিক্রি করতে দেওয়া হত না। তাই নিরুপায় হয়ে তাঁতিদের অনেকেই তাদের পরম্পরাগত বৃত্তি ত্যাগ করেছিল। ফলে ভারতের কুটির শিল্প বা উদ্যোগ ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন ৬। সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝায়? দুর্বল, স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর ওপর কীভাবে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব খাটানো পরিলক্ষিত হয়?
উত্তরঃ সমৃদ্ধ এবং সামরিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যখন ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি অথবা যুদ্ধের দ্বারা অন্য রাষ্ট্রের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করার পোষকতা করে তাকেই সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়।
অর্থনৈতিক সাহায্য, সামরিক নিরাপত্তার দোহাই দিয়েও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রগুলো দুর্বল, স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর ওপর সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব খাটানো পরিলক্ষিত হয়।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.