SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 14 ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও—

(ক) লর্ড কর্নওয়ালিসের কার্যবিধিটিকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ লর্ড কর্নওয়ালিসের কার্যবিধিটিকে কর্নওয়ালিস সংহিতা বলা হয়।

(খ) ভারতবর্ষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেছিলেন?

উত্তরঃ ভারতবর্ষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেছিলেন।

(গ) কোন গভর্নর জেনারেল ভারতবর্ষে প্রথম ভূমির পাট্টা দেওয়া শুরু করেন?

উত্তরঃ গভর্নর জেনারেল লর্ড হেস্টিংস ভারতবর্ষে প্রথম ভূমির পাট্টা দেওয়া শুরু করেন।

(ঘ) শিক্ষা সম্পর্কিত ‘চার্লস উডের প্রেরণপত্র’টি কোন গভর্নর জেনারেলের শাসনকালে প্রস্তুত হয়েছিল?

উত্তরঃ শিক্ষা সম্পর্কিত ‘চার্লস উডের প্রেরণপত্র’টি গভর্নর জেনারেল ডালহৌসির শাসনকালে প্রস্তুত হয়েছিল।

(ঙ) ভারতবর্ষের কোন মহিলা প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন?

উত্তরঃ ভারতবর্ষের মহিলা রাজসুন্দরী দেবী প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন।

প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও–

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
রাজা রামমোহন রায়প্রার্থনা সমাজ
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবব্রাহ্ম সমাজ
স্যার সৈয়দ আহমদ খানআর্য সমাজ
গোবিন্দ রানাডেআলিগড় আন্দোলন
দয়ানন্দ সরস্বতীরামকৃষ্ণ মিশন

উত্তরঃ 

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
রাজা রামমোহন রায়ব্রাহ্ম সমাজ
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবরামকৃষ্ণ মিশন
স্যার সৈয়দ আহমদ খানআলিগড় আন্দোলন
গোবিন্দ রানাডেপ্রার্থনা সমাজ
দয়ানন্দ সরস্বতীআর্য সমাজ
S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো—

(ক) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে রাজশক্তিরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করার সময়ে দিল্লির সম্রাট ছিলেন ফারুকশিয়ার/দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।

উত্তরঃ শুদ্ধ। 

(খ) ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস/লর্ড হেস্টিংস কলিকাতায় একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) কোম্পানির স্বার্থ সুরক্ষার জন্য/নতুন রাজ্য অধিগ্রহণের জন্য ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সামরিক বাহিনী গঠন করেছিল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান/নবাব আব্দুল লতিফ এ্যাংলো ওরিয়েণ্টেল কলেজ স্থাপন করেছিলেন।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) ‘সত্যরথ প্রকাশ’ গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন দয়ানন্দ সরস্বতী/রাজা রামমোহন রায়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো–

(ক) রাজা রামমোহন রায়। 

(খ) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান। 

(গ) স্বামী বিবেকানন্দ। 

(ঘ) দয়ানন্দ সরস্বতী। 

(ঙ) দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর।

উত্তরঃ (ক) রাজা রামমোহন রায় –

ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেলের সমাজ সংস্কারে শিক্ষিত ভারতীয় সাহায্যকারীদের মধ্যে বঙ্গের রাজা রামমোহন রায়ের নামটিই প্রথমে নিতে হবে। তিনি মূর্তি পূজা বিরোধী এবং জাতিভেদ শূন্য একটি ভারতীয় সমাজ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় ব্রহ্মসভা গঠন করেন যা পরে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম সমাজ নামে একটি সমাজ সংস্কারের অনুষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সহযোগী হয়েছিলেন। সতীদাহ প্রথা, কন্যাশিশু হত্যা ইত্যাদি সমাজের কু-প্রথাগুলো দূর করতে রাজা রামমোহন রায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ককে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। স্ত্রী শিক্ষার ওপরেও তিনি গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক বিধবাকে বিয়ে দেওয়াটাও ব্রাহ্ম সমাজের একটি প্রধান দায়িত্ব ছিল। 

এধরনের সংস্কারমূলক কাজগুলো করার সময় তিনি ভারতীয় হিন্দু সমাজের আরও একটি বড় দোষ দেখতে পেয়েছিলেন। সেই সময় যে সকল ভারতীয় খ্রিস্টানদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করত বা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়েছিল তাদের হিন্দু সমাজ পতিত বলে ঘোষণা করে সমাজ থেকে বহিষ্কার করেছিল। এঁরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সমাজে এ ধরনের কলঙ্কের ভয়ে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। রাজা রামমোহন রায় এই অবস্থার প্রতি লক্ষ রেখে এইসব শিক্ষিত লোকদের তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা দিয়ে হিন্দু ধর্মের ভেতরে রেখেছিলেন। রাজা রামমোহনের কাছে ভারতবাসী তাই চিরকৃতজ্ঞ।

(খ) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান –

উত্তর ভারতে স্যার সৈয়দ আহমেদ খান, মুসলমান সম্প্রদায়কে ইংরেজি ভাষা এবং নতুন ভাবধারার প্রতি আগ্রহান্বিত করে তোলেন। স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে আলিগড়ের মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টেল কলেজ’ নামে একটি কলেজ স্থাপন করেছিলন। পরে এটাই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে মুসলমানদের মধ্যেও সমাজ এবং ধর্মসংস্কারের মনোভাব জেগে ওঠে। স্যার সৈয়দ আহমেদ খান তাঁদের সমাজে প্রচলিত পর্দা প্রথা, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি প্রথাসমূহে বাধা আরোপ করে জাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নেতৃত্বে মুসলমান সম্প্রদায়েও নবজাগরণের উন্মেষ হয়েছিল।

(গ) স্বামী বিবেকানন্দ –

 নরেন্দ্রনাথ দত্ত ওরফে স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতবাদসমূহের গুরুত্ব উপলব্ধি করে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণীসমূহ সমাজে প্রচার করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

(ঘ) দয়ানন্দ সরস্বতী –

১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আর্য সমাজ। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী। দয়ানন্দ ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন এবং মূর্তিপূজার ছিলেন বিরোধী! এই সংগঠনটি জাতিভেদ প্রথা মানেনি, বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করেছিল, বিধবা বিবাহে জোর দিয়েছিল এবং সাগর পারে যাত্রা হিন্দু ধর্মের পরিপন্থী নয় বলে দাবী করেছিল। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ইসলাম ধর্মের অনুকরণে হিন্দু ধর্মেও ধর্মান্তকরণের ব্যবস্থা করেছিলেন।

(ঙ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর – ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেলদের সমাজ সংস্কারে অনেক শিক্ষিত ভারতীয় সাহায্য করেছিলেন। এদের মধ্যে প্রথমেই রাজা রামমোহন রায়ের নামটি নিতে হবে। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্ম সমাজ নামে একটি সমাজ সংস্কারের অনুষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রেনাথ ঠাকুর তাঁর সহযোগী হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৫। ৫০ টি শব্দের মধ্যে লেখোছিল–

(ক) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেছিলেন? এর শর্তসমূহ কী ছিল?

উত্তরঃ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেছিলেন লর্ড কর্নওয়ালিস।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তসমূহ –

১। জমিদারগণ বংশানুক্রমিকভাবে ভূমি বা জমি ভোগ করতে পারবে।

২। সরকারের নির্দিষ্ট খাজনা বা রাজস্ব দিতে না পারলে সেই ভূমি বা জমি সরকারের অধীনস্থ হয়ে যাবে।

৩। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও রাজস্বের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে।

৪। বৎসরের নির্দিষ্ট দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে রাজস্ব জমা দিতে না পারলে জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

(খ) ইংরেজ শাসনের বিচার বিভাগীয় সংস্কারসমূহ।

উত্তরঃ ইংরেজদের শাসনকালে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছিল। পূর্ববর্তী ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলোর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুন চলত। তার পরিবর্তে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতে এক ধরনের আইন-কানুন বলবৎ করেছিল। লর্ড-কর্নওয়ালিস বিচারের সুবিধার জন্য দেওয়ানি এবং সদর নিজামত আদালত (ফৌজদারি মামলার আদালত)-এর কিছুটা অদল-বদল করেছিলেন। তাঁর পরবর্তী গভর্নর জেনারেল লর্ড ময়রা বা লর্ড হেস্টিংস ভারতীয়দের আদালতে নিযুক্তি দিয়েছিলেন এবং ভারতীয় মুন্সেফদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই দেশের লোকের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন।

(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সংস্কারমূলক কাজগুলো কী কী ছিল?

উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সংস্কারমূলক কাজগুলো হল–

১। স্ত্রী শিক্ষার প্রসারের জন্য সমাজকে জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। এর ফলে ১৯ শতকের মধ্যভাগে অনেক মহিলাই বাড়িতে শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

২। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবাদের পুনরবিবাহের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং তাঁর নিজ পুত্রের সঙ্গে একজন বিধবা মহিলার বিয়ে দিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। প্রশাসনীয় ক্ষেত্রে ইংরেজদের প্রবর্তিত সংস্কারসমূহ কী কী?

উত্তরঃ ইংরেজরা ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রচলিত দুর্নীতিসমূহ নির্মূল করতে কয়েকটি প্রশাসনীয় সংস্কার হাতে নিয়েছিল। তা কার্যকরী করতে গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস প্রথমে দুর্নীতিতে লিপ্ত কোম্পানির কর্মচারীদের বেআইনিভাবে চালান ব্যবসা এবং উপঢৌকন নেওয়া বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মচারীদের বেতনের হার বাড়িয়ে ছিলেন এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, ইংরেজ শাসকগণ সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে এমন ধরনের সংস্কারের চিন্তা করেছিলেন যাতে সামরিক বাহিনী তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে রাখতে পারে। তৃতীয়ত, তারা ভারতবর্ষে ইংরেজ অধিকৃত এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা অ রাখতে থানা এবং পুলিশ নিযুক্তিরও ব্যবস্থা করেছিলেন। 

কর্নওয়ালিস ভারতীয়দের প্রশাসনের উচ্চপদে নিয়োগ করেননি। তিনি ইংরেজ কর্মচারীদের ওপরেই বেশি আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী গভর্নর জেনারেল লর্ড ময়রা বা লর্ড হেস্টিংস ভারতীয়দের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করে তাদের পদোন্নতিরও ব্যবস্থা করেছিলেন। গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি ইংরেজদের স্বার্থ বিঘ্নিত না করে স্থানীয় আইনসমূহকে ইংরেজ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়া অঞ্চলে বলবৎ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। জেলার মুখ্য প্রশাসককে অধিক ক্ষমতা দিয়ে শাসনের ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীভূত নীতির প্রচলন লর্ড ডালহৌসির শাসনের অন্যতম সংস্কার ছিল।

ইংরেজদের শাসনকালে বিচার ব্যবস্থায় কিছুটা অদল-বদল করা হয়েছিল। পূর্ববর্তী ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলোর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুন চলত। তার পরিবর্তে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতে এক ধরনের আইন-কানুন বলবৎ করেছিল। লর্ড কর্নওয়ালিস বিচারের সুবিধার জন্য দেওয়ানি এবং সদর নিজামত আদালত (ফৌজদারি মামলার আদালত ) এর কিছুটা অদল-বদল করেছিলেন। তাঁর পরবর্তী গভর্নর জেনারেল লর্ড ময়রা বা লর্ড হেস্টিংস ভারতীয়দের আদালতে নিযুক্তি দিয়েছিলেন এবং ভারতীয় মুন্সেফদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই দেশের লোকের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন।

প্রশ্ন ২। বর্তমান জমির পাট্টার সঙ্গে পঞ্জিভুক্তকরণ, নামজারি এবং খাজনা দেওয়া সম্পর্কে মা-বাবার থেকে জেনে নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করো।

উত্তরঃ মা-বাবার থেকে জেনে নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে লেখো।

প্রশ্ন ৩। তোমাদের অঞ্চলে কয়টি প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে এবং সেইগুলো কবে স্থাপিত হয়েছিল তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ নিজ নিজ অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে নিজেরা উত্তর করো।

প্রশ্ন ৪। বর্তমানে আমাদের সমাজে সংঘটিত ‘ডাইনি হত্যা’, ‘কন্যা সন্তান হত্যা’, ‘যৌতুক প্রথা’ ইত্যাদি কু-সংস্কারগুলো নির্মূল করতে হলে তোমরা কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, দলগতভাবে আলোচনা করে লেখো।

উত্তরঃ দলগতভাবে আলোচনা করে লিখতে হবে।

প্রশ্ন ৫। আলিগড় আন্দোলন সমাজে কী কী ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করেছিল?

উত্তরঃ আলিগড় আন্দোলন পাশ্চাত্য শিক্ষার আলোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী লোকদের অনুপ্রাণিত করেছিল। উত্তর ভারতে স্যার সৈয়দ আহমেদ খান, নবাব আব্দুল লতিফ এবং সৈয়দ আমির আলি মুসলমান সম্প্রদায়কে ইংরেজি ভাষা এবং নতুন ভাবধারার প্রতি আগ্রহান্বিত করেছিল। ধীরে ধীরে মুসলমানদের মধ্যে সমাজ ও ধর্মসংস্কারের মনোভাব জেগে উঠেছিল। সমাজে প্রচলিত পর্দা প্রথা, বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি প্রথাসমূহে জাগরণের সৃষ্টি করেছিল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও।

(ক) মহারাষ্ট্রে কে এবং কবে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তরঃ মহারাষ্ট্রে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

(খ) স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের জন্য সমাজকে জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন কোন ভারতীয়?

উত্তরঃ স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের জন্য সমাজকে জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়।

(গ) ‘ওয়াহাবি’ বিপ্লব বা আন্দোলন শুরু হয়েছিল কখন?

উত্তরঃ ১৮ শতকের শেষার্ধে এবং ১৯ শতকের প্রথমার্ধে বা চতুর্থার্ধে ‘ওয়াহাবি’ বিপ্লব বা আন্দোলন শুরু হয়েছিল।

(ঘ) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান কর্তৃক স্থাপিত ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ’ পরবর্তীকালে কীসে পরিণত হয়েছিল?

উত্তরঃ স্যার সৈয়দ আহমেদ খান কর্তৃক স্থাপিত ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ’ পরবর্তীকালে ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়’-এ পরিণত হয়েছিল।

(ঙ) স্বামী বিবেকানন্দ ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সমাজে কার বাণীসমূহ প্রচার করার ব্যবস্থা করেছিলেন?

উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দ ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে সমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণীসমূহ প্রচার করার ব্যবস্থা করেছিলেন।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) লর্ড হেস্টিংসের/লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ভূমির বা জমির পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল।

উত্তরঃ লর্ড হেস্টিংসের। (শুদ্ধ)।

(খ) লর্ড কর্নওয়ালিস/লর্ড ডালহৌসি ভারতবর্ষে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি। (শুদ্ধ)।

(গ) লর্ড হেস্টিংসের/লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কৃত সাহিত্যের পুনরুদ্ধার হয়েছিল।

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসির। (শুদ্ধ)।

(ঘ) উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক/ডালহৌসি রাজা রামমোহনের সাহায্যে বঙ্গ দেশে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন।

উত্তরঃ উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক। (শুদ্ধ)।

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূরণ করো—

(ক) ______খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যায় প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন হয়েছিল।

উত্তরঃ ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যায় প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন হয়েছিল।

(খ) অসমে ______খ্রিস্টাব্দের শেষ ভাগে গোয়ালপাড়া এবং সিলেট (শ্রীহট্ট) জেলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল।

উত্তরঃ অসমে ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দের শেষ ভাগে গোয়ালপাড়া এবং সিলেট (শ্রীহট্ট) জেলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল।

(গ) _____ ইসলাম ধর্মের অনুকরণে হিন্দু ধর্মেও ধর্মান্তকরণের ব্যবস্থা করেছিলেন।

উত্তরঃ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ইসলাম ধর্মের অনুকরণে হিন্দু ধর্মেও ধর্মান্তকরণের ব্যবস্থা করেছিলেন।

(ঘ) অপ্রাপ্তবয়স্ক বিধবাকে বিয়ে দেওয়াটা______ সমাজের একটি প্রধান দায়িত্ব ছিল।

উত্তরঃ অপ্রাপ্তবয়স্ক বিধরাকে বিয়ে দেওয়াটা ব্রাহ্ম সমাজের একটি প্রধান দায়িত্ব ছিল।

(ঙ) ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে_____ কলকাতায় একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন।

উত্তরঃ ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে হেস্টিংস কলকাতায় একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতে কত খ্রীষ্টাব্দে এবং কার সময়ে প্রথম ডাকটিকিটের প্রচলন হয়?

উত্তরঃ ভারতে ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দে লর্ড ডালহৌসির সময়ে প্রথম ডাকটিকিটের প্রচলন হয়।

প্রশ্ন ২। সতীদাহ প্রথা আইন করে কে নিবারণ করেন?

উত্তরঃ লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।

প্রশ্ন ৩। আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠা কে ছিলেন?

উত্তরঃ দয়ানন্দ সরস্বতী।

প্রশ্ন ৪। প্রার্থনা সমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তরঃ মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে।

প্রশ্ন ৫। শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ চার্লস উড।

প্রশ্ন ৬। কলকাতায় কে, কখন মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন?

উত্তরঃ ১৭৮১ খ্রীস্টাব্দে লর্ড হেস্টিংস কলকাতায় মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৭। বারাণসীতে কে কখন সংস্কৃত কলেজ স্থাপন করেছিলেন?

উত্তরঃ ১৭৯২ খ্রীষ্টাব্দে জোনাথন ডানকান বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ স্থাপন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৮। ভারতবর্ষে প্রথমে কোন গভর্ণর পূর্ত বিভাগ স্থাপন করেছিলেন?

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।

প্রশ্ন ৯। কত খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রচলন হয়?

উত্তরঃ ১৭৯৩ খ্রীষ্টাব্দে।

প্রশ্ন ১০। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top