SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 15 সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।

(ক) অসমে কবে থেকে শাক্তধর্মের পুনরুত্থান হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৮ শতকের মধ্যভাগে আহোম স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের রাজত্বকাল থেকেই অসমে হিন্দু শাক্তধর্মের পুনরুত্থান হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

(খ) স্বৰ্গদেউ লক্ষী সিংহের পর আহোমদের রাজসিংহাসনে কে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের পর আহোমদের রাজসিংহাসনে তাঁর পুত্র গৌরীনাথ সিংহ অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

(গ) ক্যাপ্টেন ওয়েলসের অসম আগমনের সময় ইংরেজ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

উত্তরঃ ক্যাপ্টেন ওয়েলসের অসম আগমনের সময় ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড কর্নওয়ালিস।

(ঘ) আহোমদের শেষ রাজা কে ছিলেন?

উত্তরঃ আহোমদের শেষ রাজা ছিলেন চন্দ্ৰকান্ত সিংহ।

(ঙ) কত খ্রিস্টাব্দে ইয়ান্ডাবু সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ইয়ান্ডাবু সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

প্রশ্ন ২। ক্রমানুসারে সাজাও–

(ক) প্রথম মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ।

(খ) মানের দ্বিতীয় আক্রমণ।

(গ) ক্যাপ্টেন ওয়েলসের অসমে আগমন।

(ঘ) ইয়ান্ডাবু সন্ধি।

(ঙ) মানের তৃতীয় আক্রমণ।

উত্তরঃ (ক) প্রথম মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ (১)

(খ) মানের দ্বিতীয় আক্রমণ (৩)

(গ) ক্যাপ্টেন ওয়েলসের অসমে আগমন (২)

(ঘ) ইয়ান্ডাবু সন্ধি (৫)

(ঙ) মানের তৃতীয় আক্রমণ (৪)

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ /অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) অসমে সংঘটিত মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ দমনের জন্য লর্ড কর্নওয়ালিস অসমে এসেছিলেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়া ঘোর বৈষ্ণবপন্থী ছিলেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) মানদের প্রথম অসম আক্রমণের সময় তাদের রাজা ছিলেন বড়ৌপায়া।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) ইয়ান্ডাবু সন্ধির শর্ত অনুসারে ইংরেজরা আরাকান, টেনাসেরিম  এবং য়েহ লাভ করেছিল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) বদনচন্দ্র বরফুকনকে রুচিনাথ বুঢ়াগোঁহাই হত্যা করেছিলেন। 

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। উত্তর দাও।

(ক) প্রথম মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের কারণসমূহ কী কী?

উত্তরঃ আহোম স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের রাজত্বকালের সময় থেকেই হিন্দুধর্ম মতে শবদাহ করার নিয়ম হয়েছিল এবং আহোমদের দেওধাই পণ্ডিতদের নিয়ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মণ্য নিয়ম মতে পূজার্চনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে অসমে বৈষ্ণবপন্থী মহন্তরাও সমাজে উচ্চস্তরীয় লোক হিসেবে বিবেচিত হতেন। স্বর্গদেউ লক্ষীসিংহের সময়ে কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়া নামে আহোম রাজসভায় একজন বিতর্কিত আধিকারিক ছিলেন। তিনি ঘোর শাক্তপন্থী ছিলেন। একদিন তিনি সুযোগ বুঝে স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের সম্মুখে মহন্তদের গুরু মোয়ামরিয়া মহন্তকে অপমান করার ফলেই প্রথম মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল।

(খ) মানের তৃতীয় আক্রমণের কারণসমূহ কী কী?

উত্তরঃ চন্দ্রকান্ত সিংহ রাজা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে মান সেনাপতি মিহিমাঙ্গাই অসম রাজ্য শাসন করতেন। চন্দ্রকান্ত সিংহের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রায় ছিল না। মানের অত্যাচার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ধীরে ধীরে চন্দ্রকান্ত সিংহ মানদের বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন। এই সময়ে অবস্থানরত মান সেনাপতি ব্রহ্মদেশে ফিরে যাওয়াতে চন্দ্ৰকান্ত সিংহ মানরা যাতে অসমে আর ঘুরে আসতে না পারে তার জন্য তাদের অসমে আসার পথটি বন্ধের প্রস্তুতির তোড়-জোড় শুরু করতেই মানদের নতুন রাজা বাগ্যিদোয়া সৈন্য-সামন্তসহ অসমে এসে আহোম রাজ্য আক্রমণ করে। এগুলিই হল মানের তৃতীয় আক্রমণের কারণসমূহ।

(গ) ইয়ান্ডাবু সন্ধির দুটি শর্ত কী কী?

উত্তরঃ ইয়ান্ডাবু সন্ধির দুটি শর্ত হল-

প্রথম, মান রাজা কোম্পানিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়াও আরাকান, টেনাসেরিম এবং য়েহ ইংরেজদেরকে ছেড়ে দেওয়া।

দ্বিতীয়, অসম, কাছাড় এবং মণিপুরের অধিকার ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে এই রাজ্যগুলোর উপর মানরা কোনো ধরনের অধিকার সাব্যস্ত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৫। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো—

(ক) কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়া। 

(খ) পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই। 

(গ) বদনচন্দ্ৰ রেফুকন।

উত্তরঃ (ক) কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়া – কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়া ছিলেন স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের সময়ে আহোম রাজসভায় একজন বিতর্কিত আধিকারিক। তিনি ছিলেন ঘোর শাক্তপন্থী। একদিন তিনি সুযোগ বুঝে স্বৰ্গদেউ লক্ষীসিংহের সম্মুখে মহত্তদের গুরু মোয়ামরিয়া মহন্তকে অপমান করেছিলেন।

(খ) পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই – আহোম রাজা চন্দ্রকান্ত সিংহের রাজত্বকালে পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিক। চন্দ্রকান্ত সিংহ রাজসিংহাসনে বসে থাকলেও প্রকৃত শাসনভার ছিল পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইয়ের হাতে। পূর্ণানন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করায় পূর্ণানন্দ অসন্তুষ্ট হয়ে বদনচন্দ্র বরফুকনকে ধরে আনার জন্য পর্বতীয়া বরফুকনকে পাঠিয়েছিলেন। বদনচন্দ্র আগেই এই খবর পেয়ে যাওয়ায় প্রথমে কলিকাতায় এবং পরে ব্রহ্মদেশে উপস্থিত হন। শেষে ব্রহ্মদেশে উপস্থিত হয়ে ব্রহ্মদেশের রাজা বড়ৌপায়ার সাহায্য প্রার্থনা করলে মানেরা প্রথমবার অসম আক্রমণ করে। মানের আক্রমণের সময়ে পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই প্রাণ হারান।

(গ) বদনচন্দ্র বরফুকন – অসমের রাজা চন্দ্রকান্ত সিংহের রাজত্বকালে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। বদনচন্দ্র বরফুকন ছিলেন বড়ো ক্ষমতালোভী ব্যক্তি। তিনি আহোমদের অপর উচ্চপদস্থ আধিকারিক পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। পূৰ্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই বদনচন্দ্র বরফুকনের এধরনের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে ধরে আনার জন্য পাৰ্বতীয়া বরফুকনকে পাঠিয়েছিলেন। বদনচন্দ্র আগেই এই খবর পেয়ে কলিকাতাতে উপস্থিত হয়ে পূর্ণানন্দের বিরুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু কোম্পানি সাহায্য করতে অস্বীকার করলে ব্রহ্মদেশে উপস্থিত হয়ে পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বললে ব্রহ্মদেশের রাজা বডৌপায়ার অসম আক্রমণ করলে আক্রমণের সময়ে পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই প্রাণ হারান। এরপর তাঁর পুত্র রুচিনাথ বুঢ়াগোঁহাই পিতার দায়িত্বভার গ্রহণ করে মানেদের বাধা দিলেও অবশেষে পরাজিত হয়ে গুয়াহাটি পালিয়ে যান। এর ফলে রুচিনাথের জায়গায় বদনচন্দ্র বরফুকন বুঢ়াগোঁহাইয়ের পদে অধিষ্ঠিত হন।

প্রশ্ন ৬। ক্যাপ্টেন ওয়েলস কে ছিলেন? তিনি অসমে কেন এসেছিলেন এবং এর ফলাফল কি হয়েছিল?

উত্তরঃ ক্যাপ্টেন ওয়েলস ছিলেন একজন ব্রিটিশ আধিকারিক। এছাড়াও, তিনি ছিলেন একজন ভালো লেখকও।

ক্যাপ্টেন ওয়েলস লর্ড কর্নওয়ালিসের নির্দেশে অসমে এসেছিলেন মোয়ামরিয়াদের বিদ্রোহ দমন করতে এবং সামন্ত শক্তিসমূহের রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে স্বর্গদেউ গৌরীনাথ সিংহের হাতে অসমের শাসনভার তুলে দিতে।

গুয়াহাটি থেকে ভীতিগ্রস্থ হয়ে পলায়নকারী স্বর্গদেউ গৌরীনাথ সিংহ নগরবেড়ায় ক্যাপ্টেন ওয়েলস-এর সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেওয়ায় যৌথ শক্তি বিদ্রোহীদের থেকে গুয়াহাটি পুনরুদ্ধার করে। এরপর ওয়েলস দরং-এর রাজা কৃষ্ণ নারায়ণের বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। ক্রমান্বয়ে ক্যাপ্টেন ওয়েলস নিম্ন এবং উজান অসমের বিদ্রোহ দমন করে গৌরীনাথ সিংহকে অসমের শাসনভার তুলে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৭। ‘পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই এবং বদনচন্দ্র বরফুকনের মধ্যের ক্ষমতার দ্বন্দ্বই অসমে মানদের আগমনে সাহায্য করেছিল’—উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আহোম রাজ চন্দ্রকান্ত সিংহের আমলে আহোমদের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক পূর্ণানন্দ এবং বদনচন্দ্র বরফুকনের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল। এই সময় প্রকৃত শাসনভার ছিল পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইয়ের হাতে। অপরদিকে বদনচন্দ্র ব্রিফুকনও বড়ো ক্ষমতালোভী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইকে হত্যারও ষড়যন্ত্র করেছিলেন। পূর্ণানন্দ বদনচন্দ্রের এধরনের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে ধরে আনার জন্য পর্বতীয়া বরফুকনকে পাঠিয়েছিলেন। বদনচন্দ্র আগেই এই খবর পেয়ে কলিকাতা পালিয়ে যান। কলিকাতাতে উপস্থিত হয়ে তিনি পূর্ণানন্দের বিরুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু কোম্পানি সাহায্য করতে অস্বীকার করায় বদনচন্দ্র বরফুকন বহৃদেশে উপস্থিত হন। বদনচন্দ্র বরফুকন অসমে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে ব্রহ্মদেশের রাজা বডৌপায়ার সাহায্য প্রার্থনা করলে মানেরা প্রথমবার অসম আক্রমণ করে। স্বাভাবিক কারণে বলা চলে উক্তিটির যথার্থতা আছে।

প্রশ্ন ৮। ইয়াল্ডাবু সন্ধির পরবর্তী পর্যায়ে ইংরেজরা কেন সম্পূর্ণ অসম নিজেদের শাসনাধীন করেনি? তোমার মতামত ব্যক্ত করো।

উত্তরঃ নিজে নিজে মতামত ব্যক্ত করতে হবে। যেমন— ইয়ান্ডাবু সন্ধির পরবর্তী পর্যায়ে ইংরেজরা সম্পূর্ণ অসম নিজেদের শাসনাধীন না এনে পূর্বদিকে অবস্থিত মটক, খামতি এবং সিংফৌ রাজাদের তাদের নিজেদের রাজ্য শাসন  করতে দিয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে নিজেদের অধীনে এনেছিল।

ক্ৰিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। হিন্দু শাক্তধর্ম বলতে কি বোঝ? শাক্তধর্মীদের পূজার্চনার মূল ভিত্তি কি?

উত্তরঃ হিন্দু ধর্ম মতে শক্তির উপাসনা করাকে হিন্দু শাক্তধর্ম বলে বুঝি। শাক্তধর্মীদের পূজার্চনার মূল ভিত্তি হল নিয়ম অনুযায়ী ব্রাহ্মণরা পূজার্চনা শুরু করবেন।

প্রশ্ন ২। কোন আহোম আধিকারিক রাজধানী রংপুর থেকে যোরহাটে স্থানান্তরিত করেছিলেন?

উত্তরঃ আহোম আধিকারিক পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই রাজধানী রংপুর থেকে যোরহাটে স্থানান্তরিত করেছিলেন।

প্রশ্ন ৩। কোন স্বৰ্গদেউ লর্ড কর্নওয়ালিসের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন?

উত্তরঃ স্বৰ্গদেউ গৌরীনাথ সিংহ লর্ড কর্নওয়ালিসের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন।

প্রশ্ন ৪। কৃষ্ণ নারায়ণ কে ছিলেন?

উত্তরঃ কৃষ্ণ নারায়ণ ছিলেন দরং-এর রাজা।

প্রশ্ন ৫। নগরবেড়া বর্তমান কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তরঃ নগরবেড়া বর্তমান গুয়াহাটি জেলায় অবস্থিত।

প্রশ্ন ৬। বদনচন্দ্র বরফুকন এবং পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ কি ছিল?

উত্তরঃ বদনচন্দ্র বরফুকন এবং পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ ছিল ক্ষমতা লাভ করা।

প্রশ্ন ৭। মানের প্রথম অসম আক্রমণের সময়ে ব্রহ্মদেশে কে রাজত্ব করতেন?

উত্তরঃ মানের প্রথম অসম আক্রমণের সময়ে ব্রহ্মদেশে বডৌপায়ার রাজত্ব করতেন।

প্রশ্ন ৮। আলুমিঙ্গি কে ছিলেন?

উত্তরঃ আলুমিঙ্গি ছিলেন ব্রহ্মদেশের এক সেনাপতি।

প্রশ্ন ৯। মানের তৃতীয় আক্রমণের সময়ে আহোমদের স্বর্গদৈউ কে ছিলেন?

উত্তরঃ মানের তৃতীয় আক্রমণের সময়ে আহোমদের স্বর্গদেউ ছিলেন চন্দ্ৰকান্ত সিংহ।

প্রশ্ন ১০। চন্দ্ৰকান্ত সিংহকে কেন রংপুরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল?

উত্তরঃ মান রাজা বাগ্যিদোয়া সৈন্য-সামন্তসহ অসমে এসে আহোম রাজ্য আক্রমণ করে আহোম সৈন্যদের পরাজিত করে অসমের প্রায় সব অঞ্চলই তাদের দখলে নিতে চন্দ্রকান্ত সিংহকে রংপুরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।

(ক) অসমে কতবার মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল?

উত্তরঃ অসমে তিনবার মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল।

(খ) অসমে সংঘটিত হওয়া মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ অসমে সংঘটিত ওয়া মোয়ামরিয়া বিদ্রোহ হল—অসমে রাজার বিরুদ্ধে প্রজাদের প্রথম বিদ্রোহ।

(গ) মানরা কতবার অসম আক্রমণ করেছিল?

উত্তরঃ মানরা তিনবার অসম আক্রমণ করেছিল।

(ঘ) কত খ্রিস্টাব্দ থেকে অসমে সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করেছিল?

উত্তরঃ ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে অসমে সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করেছিল।

(ঙ) মানরা কোন দেশের অধিবাসী ছিল?

উত্তরঃ মানরা ব্রহ্মদেশের অধিবাসী ছিল।

প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়াগভর্নর জেনারেল
মোয়ামরিয়া মহন্তআহোম রাজা
ওয়েলসব্রহ্মদেশের রাজা
বডৌপায়ারআহোম রাজসভার বিতর্কিত আধিকারিক
চন্দ্ৰকান্ত সিংহমহন্তদের গুরু
লর্ড আর্মহার্স্টসৈন্যবাহিনীর ক্যাপ্টেন

উত্তরঃ

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
কীর্তিচন্দ্র বরবরুয়াআহোম রাজসভার বিতর্কিত আধিকারিক
মোয়ামরিয়া মহন্তমহন্তদের গুরু
ওয়েলসসৈন্যবাহিনীর ক্যাপ্টেন
বডৌপায়ারব্রহ্মদেশের রাজা
চন্দ্ৰকান্ত সিংহআহোম রাজা
লর্ড আর্মহার্স্টগভর্নর জেনারেল

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) মোয়ামরিয়া মহন্ত ছিলেন একজন ঘোর শাক্তপন্থী।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) বদনচন্দ্র বরফুকনকে পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) আভা হল কেন্দ্রীয় ব্রহ্মদেশের (মায়ানমার) রাজধানী।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) আলুমিঙ্গি ছিলেন ব্রহ্মদেশের একজন রাজা।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) মানদের আক্রমণ অসমকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলেছিল।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(চ) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দ থেকেই ইংরেজরা অসমে সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করেছিল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। স্বর্গদেউ গৌরীনাথ সিংহ ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিসের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন কেন? গৌরীনাথ সিংহের আমন্ত্রণ ইংরেজদের পছন্দ হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে মোয়ামরিয়ারা পুনরায় বিদ্রোহ আরম্ভ করলে স্বর্গদেউ গৌরীনাথ সিংহ রানি, লুকি, বেলতলা ইত্যাদি ছোটো ছোটো রাজ্যগুলোর রাজাদের সাহায্যে বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা করে বিফল হন। নিরুপায় হয়ে গৌরীনাথ সিংহ রাজধানী রংপুর ছেড়ে গুয়াহাটি পালিয়ে যান। পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোঁহাই জীবনপণ করে রংপুর রক্ষার চেষ্টা করতে থাকেন। পরে, নিরুপায় হয়ে তিনিও রাজধানী রংপুর থেকে যোরহাটে স্থানান্তরিত করেন। অন্যদিকে সেই সময়ে মধ্য এবং নিম্ন অসমে মোয়ামরিয়া বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে সামন্ত শক্তিসমূহ রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করার চেষ্টা করে। ক্রমাগত পরিস্থিতির অবনতিতে বাধ্য হয়ে গৌরীনাথ সিংহ ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিসের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন।

গৌরীনাথ সিংহের এই আমন্ত্রণ ইংরেজদের খুব পছন্দ হয়েছিল কারণ, তারা ইতিমধ্যেই প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অসমের বিষয়ে অবগত হয়েছিল  এবং এই সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার করে কোম্পানির অর্থভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার অপেক্ষায় ছিল। তাছাড়া বঙ্গদেশস্থিত ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি অসমের শদিয়াতে লবণের খনির সন্ধান পেয়েছিল। লবণের ব্যবসার প্রতি ইংরেজ কোম্পানির বিশেষ দুর্বলতা ছিল। তারা এটাও বুঝতে পেরেছিল যে অসমের পর্যাপ্ত সম্পদ ইংরেজ সৈন্যবাহিনীর খরচ যোগানোতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সাহায্য করবে, কোনো সমস্যা হবে না।

প্রশ্ন ৫। মানেরা দ্বিতীয় বার অসম আক্রমণ করার কারণ কী? এর ফলাফল কী হয়েছিল?

উত্তরঃ চন্দ্ৰকান্ত সিংহকে রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত করে মানদের চলে যাওয়ার পর বদনচন্দ্র বরফুকন রাজ্যের সর্বময় কর্তা হয়ে পড়েন। সংকটের সময় আহোম রাজতন্ত্র রক্ষা করার পরিবর্তে তিনি অত্যাচার এবং দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। তাঁর এইসব কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে রাজমাতা নুমনি বরবরুয়া এবং বরগোঁহাইয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রূপ সিং ‘সুবেদারের দ্বারা বদনচন্দ্র বরফুকনকে হত্যা করান। এরপর সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল চন্দ্রকান্ত সিংহ পুনরায় রুচিনাথকে বুঢ়াগোঁহাইয়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে ভেবে রুচিনাথ যোরহাট অভিমুখে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন। এতে ভয় পেয়ে চন্দ্রকান্ত সিংহ রংপুরে পালিয়ে যান। রুচিনাথ হেলায় যোরহাট জয় করে পুরন্দর সিংহকে আহোম রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন। 

অসমের রাজনীতিতে পুনরায় অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে বুঝতে পেরে এবং নিজেদের লাভের জন্য ব্রহ্মরাজা বড়ৌপায়া আলুমিঙ্গি নামে এক সেনাপতির অধীনে এক বিশাল সৈন্যবাহিনী অসমে প্রেরণ করেন। এই যুদ্ধে আহোম সৈন্য পরাজিত হয়। রাজা পুরন্দর সিংহ এবং রুচিনাথ বুঢ়াগোঁহাই গুয়াহাটিতে পালিয়ে যান। আলুমিঙ্গি চন্দ্রকান্ত সিংহকে পুনরায় রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত করে মিহিমাঙ্গ তিলোয়া নামে অন্য একজন সেনাপতির নেতৃত্বে অল্পসংখ্যক ব্রহ্মদেশীয় সৈন্যকে অসমে রেখে স্বদেশে ফিরে যান।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top