SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 19 আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর লেখো।

(ক) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার কী করে?

উত্তরঃ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কার্যসূচি, প্রকল্প ইত্যাদি গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে কার্যকর করে।

(খ) অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল উপাদানগুলির নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা কর।

(গ) বিত্তীয় অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান কাকে বলে?

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা কর।

(ঘ) ব্যাঙ্কের দুটি উল্লেখযোগ্য কাজের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কয়েকটি মৌলিক সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন হয় সেগুলো সুযোগ সুবিধা ব্যাঙ্ক প্রদান করে থাকে।

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সঞ্চয় প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহকদেরকে সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে চেষ্টা করে।

(ঙ) আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাম কী?

উত্তরঃ আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাম হলো—রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

(চ) নেডফির সাহায্যে উৎপাদিত সামগ্ৰীসমূহ কোথায় বিক্রি করা হয়?

উত্তরঃ নেডফির সাহায্যে উৎপাদিত সামগ্রীসমূহ গুয়াহাটিতে বিক্রি করা হয়।

প্রশ্ন ২। বিশদভাবে আলোচনা করো—

(ক) আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের অবদান।

উত্তরঃ ভারতের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সর্ববৃহৎ অংশটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের দ্বারা পরিচালিত হয়। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে মানুষ নিজের উপার্জনের টাকা সঞ্চয় করে। প্রয়োজন অনুসারে শর্তের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহকদেরকে দীর্ঘকালীন এবং হ্রস্বকালীন ঋণ প্রদান করে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো সঞ্চয়কারীদের জমানো অর্থের ভিত্তিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকদের, যেমন—কৃষক, উদ্যোগপতি, কারিগরদেরও ঋণের যোগান দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান যোগায়।

(খ) উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশে উত্তর-পূর্ব পরিষদ এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগমের ভূমিকা।

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব ভারতের আর্থিক উন্নয়নের দিকটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় যথেষ্ট দুর্বল। এই বৃহৎ অঞ্চ লটির সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে ভারত সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে উত্তর-পূর্ব পরিষদ (NEC) নামের অনুষ্ঠানটি গঠন করেছে। অপর দিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্তর্গত রাজ্যসমূহে বিত্তীয় সাহায্য প্রদানের জন্য ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগম বা নেডফি প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোগ, কুটির উদ্যোগ, হস্ত-তাঁত এবং বস্ত্র উদ্যোগ, আত্মসহায়ক গোষ্ঠী ইত্যাদির উৎপাদিত বস্তু সামগ্রী বিক্রির জন্য এই নিগম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।

(গ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ।

উত্তরঃ আত্মসহায়ক গোষ্ঠী গঠনের মূল লক্ষ্য গোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যাদের দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য সামূহিক উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার প্রয়াস।

উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণগ্রহণের সুবিধা নেওয়া। গোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যাদের সামূহিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যসূচি গ্রহণ করা।

গোষ্ঠীর সদস্যাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা।

গ্রামের জনসাধারণের মধ্যে সজাগতা সৃষ্টি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মানসিকতা তৈরি করা।

ঋণ প্রদানকারী অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং সামূহিক ঋণ পাওয়াতে সাহায্য করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। সংক্ষেপে টীকা লেখো—

(ক) সমবায় ব্যাঙ্ক। 

(খ) নাবার্ড। 

(গ) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। 

(ঘ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠী।

উত্তরঃ (ক) সমবায় ব্যাঙ্ক – সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান উদ্দেশ্য হলো কম সুদে দরিদ্র, কৃষক, তাঁতি, ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের উৎপাদনমূলক কাজের জন্য ঋণ প্রদান করা। গ্রামের মহাজনদের কবল থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য এবং কৃষকদের মাঝে মিতব্যয়িতা এবং আত্মনির্ভরশীলতার ভাব জাগিয়ে তুলতে গ্রামে কৃষি ঋণ সমবায় সমিতি স্থাপন করা হয়। সমবায় ব্যাঙ্ক কৃষকদেরকে হ্রস্বমেয়াদি ঋণ প্রদান করে কৃষিক্ষেত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। দেশের আর্থিক উন্নয়নে সমবায় ব্যাঙ্কের অবদান অন্যতম।

(খ) নাবার্ড – দেশে কৃষি এবং গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য সামনে রেখে আমাদের সরকার ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রীয় কৃষি এবং গ্রাম উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা নাবার্ড নামে একটি বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। এ ব্যাঙ্ক সব ধরনের কৃষি ঋণের সঙ্গে গ্রাম উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্প ইত্যাদির জন্যও ঋণ প্রদান করে থাকে। এই ঋণসমূহ হ্রস্বকালীন এবং দীর্ঘকালীন দেওয়া হয়। সমবায় ব্যাঙ্ক, ভূমি উন্নয়ন ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহকে এই ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করে। গ্রামীণ ঋণ সরবরাহের জন্য নাবার্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে।

(গ) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক – একটি দেশের সমগ্র ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার প্রধান বা শীর্ষস্থানীয় ব্যাঙ্কটিই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ছাড়া অপর কোনো ব্যাঙ্ক কাগুজে মুদ্রা ছাপাতে পারে না। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দেশের সর্বোচ্চ এবং শীর্ষতম বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কসমূহের ব্যাঙ্ক। অন্যান্য ব্যাঙ্কের হিসেব কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক পরীক্ষা করে। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

(ঘ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠী – আত্মসহায়ক গোষ্ঠী হলো একটি অঞ্চলের স্ব-ইচ্ছায় জোটবদ্ধ কিছু লোকের দল বা গোষ্ঠী যাদের আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল। সাধারণত ১০ থেকে ২০ জন সদস্য/সদস্যাকে নিয়ে এধরনের গোষ্ঠী গঠন করা হয়। এই গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো গোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যাদের দারিদ্র্যতা দূরীকরণের জন্য সামূহিক উদ্দেশ্য সামনে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার প্রয়াস।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) বর্ধিত মাথাপিছু আয় দেশের উন্নয়নে অন্তরায় বা বাধার সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) ঔদ্যোগিক এবং বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক উদ্যোগখণ্ড কে দীর্ঘকালীন ঋণ প্রদান করে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) আত্মসহায়ক গোষ্ঠীগুলোকে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।

উত্তরঃ শুদ্ধ ।

(ঘ) নেডফির মুখ্য কার্যালয় শিলং-এ অবস্থিত।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) আর্থিকভাবে সচ্ছল লোকেরা আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্য/সদস্যা হতে পারেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৫। প্রকল্প :

(ক) তোমার আশে-পাশের যে কোনো একটি ব্যাঙ্কে গিয়ে সেখানে ১৮ বছরের অনুর্ধ্ব লোকের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কী কী নিয়ম পালন করতে হবে তা ভালোভাবে জেনে নাও।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

(খ) তোমার অঞ্চলের যে কোনো একটি আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর কাছে গয়ে তাদের কার্যকলাপগুলো লক্ষ করো এবং গোষ্ঠীটির বার্ষিক কাজ-কর্ম, সঞ্চয়, লাভ-ক্ষতির ওপর একটি বিবরণ লেখো।

উত্তরঃ নিজে নিজে করো এবং লেখো।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।

(ক) একটি দেশের আর্থিক উন্নয়ন কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ একটি দেশের আর্থিক উন্নয়ন নির্ভর করে ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধির উপর।

(খ) রাষ্ট্রীয় আয় মানে কি?

উত্তরঃ একটি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খণ্ডসমূহে উৎপাদিত সেবা এবং সামগ্রী থেকে দেশটি এক বৎসরে যে আয় লাভ করে, তাকেই দেশটির রাষ্ট্রীয় আয় বলে।

(গ) মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি হলে কী হয়?

উত্তরঃ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি হলে দেশের উন্নয়নের গতি দ্রুত হয়।

(ঘ) উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কী বৃদ্ধি পায়?

উত্তরঃ উৎপাদন বৃদ্ধি হলে আয় বৃদ্ধি হয়।

(ঙ) ঋণের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা কি আদায় করে?

উত্তরঃ ঋণের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা সুদ আদায় করে।

প্রশ্ন ২। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল?

উত্তরঃ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ভারতের প্রত্যেকটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণাধীন। দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনে। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের আমানতের একটি অংশ জমা হিসাবে রাখে এবং প্রয়োজন হলে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহকে ঋণ দেয়। এই ঋণের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহকে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ দিতে হয়। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার পরিচালনা করে এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের ঋণকার্য কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের হিসাব নিকাশসমূহ কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। ব্যাঙ্কের সুদের হার কম বেশি করে জমার পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি ইত্যাদি করে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে। দেশে ঋণের পরিমাণ বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশ দেয়। অতএব বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।

প্রশ্ন ৩। সংক্ষেপে উত্তর দাও।

(ক) ব্যাঙ্ককে কী অনুষ্ঠান বলা হয়?

উত্তরঃ ব্যাঙ্ককে বিত্তীয় অনুষ্ঠান বলা হয়।

(খ) আধুনিক অর্থ ব্যবস্থায় কীসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ আধুনিক অর্থ ব্যবস্থায় ব্যাঙ্ক ঋণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

(গ) কাগজে মুদ্রা ছাপানোর অধিকার কোন ব্যাঙ্কের আছে।

উত্তরঃ ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাগজের মুদ্রা ছাপানোর অধিকার আছে।

(ঘ) ব্যাঙ্ক কাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে?

উত্তরঃ ব্যাঙ্ক বিনিয়োগকারী এবং সঞ্চয়কারীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।

(ঙ) উত্তর-পূর্ব পরিষদের কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব পরিষদের কার্যালয় শিলংয়ে অবস্থিত।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ব্যাঙ্ক কী?

উত্তরঃ যে প্রতিষ্ঠান মানুষকে টাকা-পয়সা এবং মূল্যবান বস্তু যেমন—সোনা নিরাপদে জমা রাখার সুবিধা দেয় এবং দরকারী সময়ে মানুষকে টাকা ধার (lone) দেয় তাকে ব্যাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ২। ব্যাঙ্কের প্রধান দুটো কাজ কী কী?

উত্তরঃ ব্যাঙ্কের প্রধান দুটো কাজ হলো-

১। টাকা-পয়সা (ঋণ) নিরাপদে রাখা।

২। প্রয়োজনের সময়ে মানুষকে টাকা ধার (lone) দেওয়া।

প্রশ্ন ৩। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটির নাম কী?

উত্তরঃ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

প্রশ্ন ৪। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোন সালে গঠন করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৩৫ সালে।

প্রশ্ন ৫। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রীয়করণ কোন সালে হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৪৯ সালে।

প্রশ্ন ৬। ১৯৬৯ সালে কয়টি ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৪টি ব্যাঙ্ক।

প্রশ্ন ৭। ভারতের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোর নাম লেখ।

উত্তরঃ ভারতের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো হল-

১। ষ্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া (SB)

২। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া (UBI)

৩।  ব্যাঙ্ক অব বরোদা (BOB)

৪। ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া (BOI)

৫। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক (UCO)

৬। পাঞ্জাব ন্যাশানেল ব্যাঙ্ক ইত্যাদি (PNB)

প্রশ্ন ৮। ব্যাঙ্কের দুই প্রকার জমা ধনের উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ ১। চলিত জমা ও 

২। সঞ্চয়ী জমা।

প্রশ্ন ৯। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের দুটি কাজ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ১। ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহায়তা করা।

২। ধন জমা রাখা।

প্রশ্ন ১০। রাষ্ট্রীয়করণে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের দুটি অগ্রগতি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ১। ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয়করণের পর থেকে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক শাখার বৃদ্ধি হয়েছে।

২। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহ রাষ্ট্রীয়করণের পরে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের জমা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশ্ন ১১। আমাদের দেশে কয়টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক আছে?

উত্তরঃ ২১ টি।

প্রশ্ন ১২। অসমের সমবায় ব্যবস্থাটি কয় প্রকারের ও কী কী?

উত্তরঃ অসমের সমবায় ব্যবস্থাটি দুই পর্যায়ের—

১। গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক ঋণদান সমিতি

২। রাজ্যিক পর্যায়ে অসম সমবায় এপেক্স ব্যাঙ্ক।

প্রশ্ন ১৩। নাবার্ডের প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত? সমগ্র ভারতবর্ষে এর কয়টি আঞ্চলিক কার্যালয় আছে?

উত্তরঃ নাবার্ডের প্রধান কার্যালয় মুম্বাইতে অবস্থিত। সমগ্র ভারতবর্ষে এর ১৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় আছে।

প্রশ্ন ১৪। কয়েকটি ব্যক্তিগত খণ্ডের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের নাম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ কয়েকটি ব্যক্তিগত খণ্ডের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হল—

১। এইচ ডি এফসি ব্যাঙ্ক (HDFC)

২। আই ডি আই ব্যাঙ্ক (IDBI)

৩। আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক (ICICI) ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৫। ভূমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তরঃ শর্ত অনুসারে নিজের ভূমির কাগজপত্র ব্যাঙ্কের কাছে জমা রেখে কৃষকেরা ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা ঋণ নেয় সেই ধরনের ব্যাঙ্ককে ভূমিবন্ধকী ব্যাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ১৬। ভূমিবন্ধকী ব্যাঙ্কসমূহের কী নামকরণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘ভূমি উন্নয়ন ব্যাঙ্ক।

প্রশ্ন ১৭। উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগম কত খ্রীষ্টাব্দে স্থাপন করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দে।

প্রশ্ন ১৮। উত্তর-পূর্ব পরিষদের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলোর নাম লেখ।

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব পরিষদের রাজ্যগুলো হল – অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও সিকিম।

প্রশ্ন ১৯। অসমে কয়টি আত্মসহায়ক গোষ্ঠী আছে? এর মধ্যে কয়টি মহিলা আত্মসহায়ক গোষ্ঠী?

উত্তরঃ বর্তমানে অসমে ২.৬৬ লাখ আত্মসহায়ক গোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে মহিলা আত্মসহায়ক গোষ্ঠী হল ১.৭২ লাখ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর-পূর্ব পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি কি?

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হল—

১। সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সামূহিক উন্নয়নের জন্য সংহত আঞ্চলিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যবধান হ্রাস করা।

২। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগ ও সমন্বয় স্থাপন করা এবং আন্তঃ রাজ্যিক আন্তঃ গাঁথনি যেমন—বিদ্যুৎ শক্তি, পরিবহণ ও যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

৩। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আন্তঃ রাজ্যিক পরিবহণ, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির মধ্যে অগ্রাধিকার স্থাপন করে প্রকল্পসমূহ প্রস্তুত করা এবং এইগুলোর ব্যয়, সময়সূচী ও স্থান নির্ধারক সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট প্রস্তাব পেশ করা।

৪। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পরিকাঠামোমূলক ব্যবস্থাগুলো উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো।

৫। উন্নয়নের প্রকল্পসমূহ রূপায়ণ, সংরক্ষণ এবং এগুলি হতে লাভ করা সুবিধাসমূহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর মধ্যে বিতরণের জন্য কার্যকরী সমন্বয় রক্ষা করা।

৬। আঞ্চলিক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের প্রণালীবদ্ধ জরীপ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭। প্রকল্পসমূহের রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং এগুলোর সহিত জড়িত রাজ্যসমূহকে অতিরিক্ত আর্থিক যোগানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট অনুমোদন জানানো।

৮। পরিষদের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যসমূহের নিরাপত্তা ও আইন-  শৃঙ্খলার বিষয়টি সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করা এবং এই ক্ষেত্রে সদস্য রাজ্যসমূহকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top