SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 2 জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) কোন অঞ্চলে জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি–

(১) নিরক্ষীয় অঞ্চল।

(২) উত্তর মেরু।

(৩) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া।

(৪) আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি।

উত্তরঃ (৩) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

(খ) কোন মহাদেশের জনসংখ্যা সর্বাধিক—

(১) ইউরোপ।

(২) আফ্রিকা।

(৩) এশিয়া।

(৪) অষ্ট্রেলিয়া।

উত্তরঃ (৩) এশিয়া।

(গ) ২০১১ খ্রীষ্টাব্দে অসমের জনসংখ্যা ছিল–

(১) ২.২৪ কোটি।

(২) ৩.১২ কোটি।

(৩) ২.৩৫ কোটি।

(৪) ২.৪৬ কোটি‌।

উত্তরঃ (২) ৩.১২ কোটি।

(ঘ) নীচের কোন মহাদেশে মানুষের স্থায়ী বসতি নেই—-

(১) এশিয়া।

(২) দক্ষিণ আমেরিকা।

(৩) কুমেরু বা আন্টার্কটিকা। 

(৪) ইউরোপ।

উত্তরঃ (৩) কুমেরু বা আন্টার্কটিকা।

প্রশ্ন ২। শূন‍্যস্থান পূর্ণ করো—-

(ক) জনসংখ্যা বৃদ্ধি শব্দটি কোন অঞ্চলের _________ বৃদ্ধিকে বোঝায়।

উত্তরঃ জনসংখ্যার সংখ‍্যাগত।

(খ) পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই _________ গোলার্ধে বাস করে।

উত্তরঃ উত্তর।

(গ) প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় যত সংখ‍্যক লোক বাস করে সেটাই সেই অঞ্চলটির জনসংখ্যার _________।

উত্তরঃ ঘনত্ব।

(ঘ) একটি অঞ্চল ত‍্যাগ করে কোনো একটি নতুন অঞ্চলে গিয়ে বসতি স্থাপন করলে নতুন অঞ্চলটিকে প্রব্রজনের _________ বলে।

উত্তরঃ লক্ষ‍্যস্থান।

প্রশ্ন ৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ :

উত্তরঃ (ক) মানব সম্পদের উন্নয়ন : একটি দেশের কার্যক্ষম ব‍্যক্তিগণকেই মানব সম্পদ হিসাবে ধরা হয়। তাই দেশের প্রগতির জন্য সরকার মানব সম্পদ গড়তে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করে। কর্মকুশলতা, উৎপাদনমুখী দক্ষতা, জ্ঞান-বুদ্ধি ইত্যাদি মানব সম্পদের কয়েকটি গুণগত বৈশিষ্ট্য। মানব সম্পদ একটি দেশের প্রগতির ভিত্তিস্বরূপ। মানব সম্পদকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাকেই মানব উন্নয়ন বা বিকাশ বলে। মানব সম্পদের বিকাশই হল মানব সম্পদ তথা মানুষের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। সমাজ তথা দেশের সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সম্পদ, শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, উপযুক্ত কর্মসংস্থান ইত‍্যাদির ব‍্যবস্থা সুপরিকল্পিত ভাবে করাটাই মানব সম্পদ উন্নয়নের মূল শর্ত। জনসংখ্যার গুণগতমান বৃদ্ধি হলেই মানব সম্পদের বিকাশ হয়েছে বলে ধরা হয়। পৃথিবীর অন্য সব সম্পদের তুলনায় মানুষকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হয়।

(খ) জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবন : অতি প্রাচীনকাল থেকেই নদী উপত‍্যকা অঞ্চলগুলোতে সভ‍্যতার বিকাশ ঘটেছিল এবং জনবসতি কেন্দ্রীভূত ছিল।এরূপ কয়েকটি সভ‍্যতা হল—- সিন্ধুসভ‍্যতা, চীন সভ‍্যতা, মেসোপটেমিয়া সভ‍্যতা ইত্যাদি। নদী উপত‍্যকা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি বা ভূমি উর্বর হবার জন্য কৃষিকার্যের জন্য উপযোগী। নদী উপত‍্যকা অঞ্চলগুলোতে মৎস্য শিকার, যাতায়াতের সুবিধা, উদ‍্যোগ, পশুপালন ইত‍্যাদির সুবিধা থাকায় এই অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যা ঘন এবং নগর ও বড় বড় শহরের সংখ্যা বেশি। যেখানে এই সকল সুবিধা বেশি সেখানেই জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবন ঘটেছে। অতএব যে অঞ্চলে মানুষের বসতি ঘন হতে আরম্ভ করে, সেই প্রক্রিয়াকেই জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবন বলে।

(গ) জনসংখ্যা বিস্ফোরণ : প্রথমাবস্থায় মানুষকে পশু শিকার, মৎস্য শিকার ও ফলমূল আহরণ করে এক অনিশ্চিত জীবন কাটাতে হত। কিন্তু কৃষির আবিষ্কার মানুষকে নির্দিষ্ট কোন এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাসের নিশ্চয়তা এনে দিল। এরপর বিভিন্ন আবিষ্কারের দ্বারা প্রাকৃতিক বিভিন্ন শক্তিকে বশ করে নিল। এরপর মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা দূর হবার পর জনসংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানের অবস্থা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসা ব‍্যবস্থার দ্বারা মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে এবং অন‍্যদিকে জন্মের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসংখ্যার এধরনের অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটাকেই জনসংখ্যা বিস্ফোরণ বলা হয়।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৪। বিশদভাবে লেখো।

(ক) জনপ্রব্রজন কাকে বলে? এর কারণগুলো কী কী? জন প্রব্রজনের ফলাফলগুলো কী ধরনের?

উত্তরঃ অতীতকাল থেকেই মানুষ একস্থান থেকে অন‍্যস্থানে গিয়ে সুবিধা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। কিছু সংখ্যক লোক কর্মসূত্রে বা অন্য কোন কারণে অন‍্য একটি স্থানে গিয়ে স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বসতি স্থাপনের কার্যকে জনপ্রব্রজন বলা হয়। 

বিভিন্ন কারণে জনপ্রব্রজন ঘটে থাকে— 

(ক) যুদ্ধ বিগ্ৰহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহামারি, বন‍্যা, নদীভাঙন, খাদ্য সংকট, রাজনৈতিক সংকট ইত‍্যাদি কারণে মানুষ এক জায়গা থেকে অন‍্যস্থানে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রব্রজন করে।

(খ) উন্নত শিক্ষাগ্ৰহণ, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ জীবন যাপনের উদ্দেশ‍্যেও প্রব্রজন ঘটে। 

(গ) নির্মাণ, উদ‍্যোগ, কারখানা ইত্যাদি সংস্থাপনের উদ্দেশ্যে গ্ৰামাঞ্চলের থেকে প্রব্রজন ঘটে। এর ফলে প্রব্রজনের লক্ষ‍্যস্থানে হঠাৎ জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এই জায়গায় ভূমি এবং অন‍্যান‍্য সম্পদের মাথাপিছু পরিমাণ হ্রাস পায়। এছাড়াও লক্ষ‍্যস্থানে রাজনৈতিক, ভাষা-সংস্কৃতির সংকট দেখা যায়।

প্রশ্ন ৫। তোমার গ্ৰাম বা শহরে কী কী সুযোগ সুবিধার জন্য জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে তা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ শ্রেণী-শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নিজে কর।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলতে একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘটা জনসংখ্যার সংখ‍্যাগত পরিবর্তনকে বোঝায়।

প্রশ্ন ২। জনসংখ্যার গুণগত বিকাশ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মানব সম্পদ সমাজ তথা দেশের উন্নতির ভিত্তিস্বরূপ। এই মানব সম্পদের বিকাশ হল মানব সম্পদ হিসাবে মানুষের গুণগত উৎকর্ষ সাধনই জনসংখ্যার গুণগত বিকাশ।

প্রশ্ন ৩। জনসংখ্যা বৃদ্ধি কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে?

উত্তরঃ কোন স্থানে অভাবনীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটলে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা দেখা দেয়, যেমন—- খাদ‍্যের অভাব, পানীয় জলের সমস্যা, মূল‍্যবৃদ্ধি , বাসস্থানের সমস্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সবদিকেই নানা ধরনের সমস‍্যার উদ্ভব হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের উপরেও মানুষের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ভবিষ্যতে সম্পদের অভাবও নিশ্চিত হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ৪। জনসংখ্যার বিতরণ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ অঞ্চল বিশেষে জনসংখ্যার বিতরণ ঘন,মধ‍্যম এবং পাতলা হতে দেখা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ ঘন অথবা পাতলাভাবে বসতি স্থাপন করে, সেটাই হল জনসংখ্যার বিতরণ।

প্রশ্ন ৫। জনসংখ্যার বিতরণের ওপরে কোন কারণগুলো প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জনসংখ্যা বিতরণের ক্ষেত্রে পরিবেশের কিছুসংখ্যক কারণ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। সেগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের অবস্থিতি, স্থলভাগের গঠন বা আকৃতি, অঞ্চলটির জলবায়ু এবং মাটির স্বাভাবিক উর্বরতা উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন ৬। ঘনবসতির জন্য উদ্ভুত সমস‍্যাগুলো দূর করার জন্য কী ধরনের বিকল্প ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ঘনবসতির জন্য উদ্ভুত সমস‍্যাগুলো দূর করার জন্য উন্নত দেশসমূহে জায়গার অভাবে বাড়িঘর, সরকারী কার্যালয় ইত‍্যাদিকে বহুতল ভবন করা হচ্ছে। মাটির নীচে সুরঙ্গ পথ নির্মাণ করে পরিবহণের ব‍্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ৭। প্রব্রজনের উৎস স্থান এবং লক্ষ‍্যস্থান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মানুষ একস্থান থেকে অন‍্যস্থানে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। কিছু সংখ্যক লোকের কর্মসূত্রে বা অন্য কোন কারণে অন‍্য একটি স্থানে গিয়ে স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বসতির কার্যকে জনপ্রব্রজনের উৎস স্থান এবং যে নতুন স্থানটিতে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে তাকে প্রব্রজনের লক্ষ‍্যস্থান বলে।

প্রশ্ন ৮। জনসংখ্যার বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট সমস‍্যাগুলো কী কী?

উত্তরঃ পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশসমূহের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠেছে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবার সাথে সাথে খাদ্য সংকট, অনগ্ৰসরতা, মূল্য বৃদ্ধি, সংস্থাপনহীনতা, বাসস্থানের অভাব, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের অভাব জনিত সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ দেশের সঙ্গে সঙ্গে মানব সম্পদ উন্নয়নেও সমস্যার সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ৯। কী কী গুণ থাকলে মানুষকে মানব সম্পদ বলা যায়?

উত্তরঃ সমাজ তথা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিকভাবে অবদান যোগাতে পারে এ ধরনের মানুষকেই মানব সম্পদ বলা হয়। মানুষ কল‍্যাণ সাধন করতে পারে এবং মানুষের কাজের আর্থিক মূল্য আছে, এজন্য মানুষও সম্পদ।

প্রশ্ন ১০। সুদক্ষ মানব সম্পদের অভাব একটি দেশকে কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্বল করে?

উত্তরঃ সুদক্ষ মানব সম্পদের অভাবে একটি দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও অর্থনৈতিক এবং ঔদ‍্যোগিক ক্ষেত্রে এগোতে পারে না।

প্রশ্ন ১১। অন্য সব সম্পদ থেকে মানব সম্পদকে কেন শ্রেষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি, কারিগরি কৌশল, কর্মদক্ষতা এবং শিক্ষা ইত্যাদি গুণের জন‍্যই মানব সম্পদকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ আখ্যা দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ১২। আমাদের দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য কী ধরনের ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষ একটি উন্নয়নশীল দেশ।মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য খাদ্য, বাসগৃহের সুবিধা, বিনামূল্যে গুণগত শিক্ষা,উপযুক্ত কর্মসংস্থপন, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প গ্ৰহণ করেছে। মানব সম্পদের বিকাশ ঘটালেই একটি দেশের উন্নয়ন ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্ন ১৩। আমাদের দেশের মানব সম্পদের মধ্যে অন‍্য দেশে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী বলে ভাব তা তা লেখো।

উত্তরঃ বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রায় সমগ্ৰ পৃথিবীতে মুক্ত বাণিজ্য রূপায়িত হয়েছে। বহুজাতিক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলো কারিগরি ক্ষেত্রে পারদর্শী ব‍্যক্তিদের অধিক আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে নিযুক্তি দিয়ে পৃথিবীতে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটিয়েছে। এ ধরনের নিযুক্তি লাভের ফলে আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে বিদেশে যাবার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী উন্নত কারিগরি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিদেশে যায় এবং পরবর্তীকালে সেই দেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস আরম্ভ করে।

প্রশ্ন ১৪। প্রাচীনকালে মানুষ কী রকম জীবন যাপন করত?

উত্তরঃ যাযাবর ও শিকারীর জীবন।

প্রশ্ন ১৫। বর্তমানে মানুষ কী ধরনের জীবন যাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে।

উত্তরঃ নগরকেন্দ্রিক।

প্রশ্ন ১৬। মানুষ কখন স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে আরম্ভ করল?

উত্তরঃ কৃষিকাজে জড়িত হওয়ার পর।

প্রশ্ন ১৭। অসমের বর্তমান জনসংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৩,১১,৬৯,২৭২ জন।

প্রশ্ন ১৮। ২০০৮ সনে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৬৬৮ কোটি।

প্রশ্ন ১৯। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ৫০ কোটি।

প্রশ্ন ২০। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনসংখ্যা কত হয়েছে ?

উত্তরঃ১২১.১ কোটি।

প্রশ্ন ২১। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে কীভাবে শহর গড়ে উঠেছে?

উত্তরঃ ব্রিটিশরা সোনা ও হীরা আহরণ জন্য শহর গড়ে তোলে।

প্রশ্ন ২২। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কোনটি?

উত্তরঃ প্রথম চীন ও দ্বিতীয় ভারতবর্ষ।

প্রশ্ন ২৩। কোন কোন স্থানে জনবসতি গড়ে ওঠেনি ?

উত্তরঃ কুমেরু মহাদেশ ও উত্তর মেরুতে।

প্রশ্ন ২৪। কুমেরু মহাদেশ ও উত্তরমেরুতে জনবসতি না থাকার কারণ কী?

উত্তরঃ এ দুটো স্থান সারা বৎসর বরফে আবৃত থাকে। এখানে কোন উদ্ভিদ জন্মে না।

প্রশ্ন ২৫। নদী উপত্যকা অঞ্চলে সভ‍্যতার বিকাশ ঘটার কারণ কি?

উত্তরঃ নদী উপত্যকা অঞ্চলে জনবসতি কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। কেন্দ্রীভূত হবার কারণগুলো হল—

(ক) নদী উপত‍্যকা অঞ্চলের মাটি বা ভূমি কৃষিকার্যের উপযোগী।

(খ) নদী উপত‍্যকা অঞ্চলে পশুপালন ও উদ‍্যোগ গড়ে তোলার সুবিধা রয়েছে।

(গ) মৎস শিকার করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ আছে।

(ঘ) কম খরচে যাতায়াত করা যায়।

(ঙ) বড় বড় নদী উপত‍্যকার তীরে বিভিন্ন মন্দির ও তীর্থপীঠ গড়ে ওঠায় সে অঞ্চলে বড় বড় শহর গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ২৬। জনসংখ্যার কেন্দ্রীভবনের ভিত্তিতে পৃথিবীকে কয়টি অঞ্চলে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উত্তরঃ জনসংখ্যার ভিত্তিতে পৃথিবীকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।

(ক) পূর্ব এশিয়া।

(খ) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া।

(গ) পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপ। এবং 

(ঘ) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল।

প্রশ্ন ২৭। পূর্ব এশিয়ার জনবহুল স্থানগুলো কী কী?

উত্তরঃ পূর্ব এশিয়ার জনবহুল দেশগুলো হল এশিয়ার চীনদেশের হোয়াংহো উপত‍্যকা, ইয়াংসিকিয়াং অববাহিকা, জাপানের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল।

প্রশ্ন ২৮। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনবহুল অঞ্চলগুলো কী কী?

উত্তরঃ ভারতের গঙ্গা-ব্রক্ষপুত্র সমভূমি, বাংলাদেশের ব-দ্বীপীয় অঞ্চল এবং পাকিস্তানের সিন্ধু উপত‍্যকা অঞ্চল দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল।

প্রশ্ন ২৯। পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের জনবহুল অঞ্চলগুলোর নাম লেখ।

উত্তরঃ গ্ৰেট ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল‍্যাণ্ড, জার্মানী, ফ্রান্স ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩০। চতুর্থ ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলো কী কী?

উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার দক্ষিণ অংশ, কিউবা ইত্যাদি দেশকে নিয়ে পৃথিবীর চতুর্থ ঘনবসতি অঞ্চল গঠিত।

প্রশ্ন ৩১। ঘনবসতির প্রধান কারণ কী?

উত্তরঃ সাধারণত জলের সুবিধা, উর্বরভূমি, স্বাস্থ‍্যকর জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, শিক্ষার সুবিধা ইত্যাদি কারণে জনবসতি কেন্দ্রীভূত হয়ে ঘন হয়।

প্রশ্ন ৩২। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি  বর্গকিলোমিটারে একজন থেকেও কম এরূপ কয়েকটি অঞ্চলের নাম লিখ।

উত্তরঃ গ্ৰিনল‍্যাণ্ড,তুন্দ্রা অঞ্চল, উপক্রান্তীয় মরুভূমি অঞ্চল, দক্ষিণ আমেরিকার নিরক্ষীয় বর্ষারণ‍্য অঞ্চল ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৩। বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশসমূহের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় কী?

উত্তরঃ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ।

প্রশ্ন ৩৪। পৃথিবীর কয়েকটি অগ্ৰণী দেশের নাম লেখ।

উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ফ্রান্স, জাপান, চীন, রাশিয়া, গ্ৰেট, ব্রিটেন, কানাডা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৫। ২০১১ খ্রীস্টাব্দের হিসেব অনুযায়ী এশিয়া মহাদেশের মোট জনসংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৪,১৪০ নিযুক্ত।

প্রশ্ন ৩৬। ২০১১ সনের আদম সুমারি অনুযায়ী আফ্রিকা মহাদেশের জনসংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৯৯৪ নিযুক্ত।

প্রশ্ন ৩৭। শুদ্ধ উত্তরটির পাশে চিহ্ন দাও।

(ক) ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল—-

(১) ৬০০ কোটি।

(২) ৬৬৮ কোটি।

(৩) ৫০ কোটি।

উত্তরঃ (২) ৬৬৮ কোটি।

(খ) জনসংখ্যার ভিত্তিতে কোন মহাদেশ প্রথম?

(১) আফ্রিকা।

(২) ইউরোপ।

(৩) এশিয়া।

উত্তরঃ (৩) এশিয়া।

(গ) অষ্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা—-

(১) ৩৫ নিযুত। 

(২) ৪০ নিযুত। 

(৩) ৫০ নিযুত।

উত্তরঃ (১) ৩৫ নিযুত।

(ঘ) অসমে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে——

(১) ৪০০ জন। 

(২) ৫০০ জন।

(৩) ৩৮২ জন।

উত্তরঃ (৩) ৩৮২জন।

(ঙ) ভারতবর্ষ একটি—-

(১) অনুন্নত দেশ। 

(২) উন্নত দেশ। 

(গ) উন্নয়নশীল দেশ।

উত্তরঃ (গ) উন্নয়নশীল দেশ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top