SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 20 গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।

(ক) গ্রাহক সজাগতার আবশ্যকতা আছে কী? তোমার সপক্ষে দুটি যুক্তি দাও।

উত্তরঃ গ্রাহক সজাগতার আবশ্যকতা আছে। গ্রাহক সজাগতার আবশ্যকতা আছে তার কারণ, সজাগতা না থাকলে প্রতারণা বা প্রবঞ্চনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। এছাড়া, সজাগতার আবশ্যকতা আছে না হলে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের গতি মন্থর হয়ে পড়তে পারে।

(খ) গ্রাহককে শোষণ করার কৌশলসমূহ কী কী?

উত্তরঃ গ্রাহককে শোষণ করার কৌশলসমূহ হলো—শোষণ এবং প্রবঞ্চনা।

(গ) গ্রাহক হিসেবে তোমার কর্তব্য কী? বাজারে বস্তু কেনার সময় কোন কথাগুলো মনে রাখা উচিত?

উত্তরঃ গ্রাহক হিসেবে বস্তু বা সেবা কেনার (ক্রয়) সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করাই হলো আমার কর্তব্য।

বাজারের বস্তু কেনার সময় যে সকল কথাগুলো মনে রাখা উচিত তা নীচে উল্লেখ করা হলো-

১। বস্তু বা সেবা কেনার সময় তার গুণাগুণ, দাম, ওজন, বিশুদ্ধতা ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

২। বস্তু ওজন করার সময় পরিমাপের যন্ত্রগুলি (যেমন— দাঁড়ি-পাল্লা, বৈদ্যুতিক মাপক যন্ত্র) ইত্যাদি সঠিক এবং বিজ্ঞানসম্মত কী না তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

৩। যে কোনো বস্তু কেনার পর বস্তুর বিবরণ এবং মূল্য লেখা রশিদ চেয়ে নেওয়া উচিত।

৪। বিভিন্ন ক্ষেত্রের উৎপাদিত সামগ্রীসমূহের জন্য সরকারের নির্ণীত চিহ্নসমূহ যেমন আগমার্ক, আই. এস. আই. মার্ক, হলমার্ক, এফ ফিও ইত্যাদি চিহ্ন কিনে নেওয়া সামগ্রীতে আছে কী না তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

৫। দীর্ঘস্থায়ী বস্তুর ক্ষেত্রে বিক্রেতা থেকে গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড চেয়ে নেওয়া উচিত।

৬। প্যাকেটজাত সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য) ইত্যাদি লক্ষ করা উচিত।

(ঘ) গ্রাহকের অধিকার মানে কী? এ ধরনের অধিকারের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ গ্রাহকদের কল্যাণ এবং সুরক্ষার জন্য আমাদের সরকার কয়েকটি অধিকার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। এই বিষয়গুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১। যে কোনো বস্তু কেনার সময় বস্তুর মূল্য, ওজন, বিশুদ্ধতা, গুণাগুণ ইত্যাদি বিচার করা।

২। গ্রাহক সুরক্ষার জন্য গ্রাহক সুরক্ষা সমিতি গঠন করা।

৩। গ্রাহকদের অভাব অভিযোগ ইত্যাদি সুরক্ষা সমিতি বা গ্রাহক আদালতে দাখিল করা।

৪। প্রয়োজন সাপেক্ষে গ্রাহক সুরক্ষা আইনের সাহায্য নেওয়া।

৫। প্রতারণাকারী বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী করা।

৬। গ্রাহক শিক্ষা লাভ করার অধিকার ইত্যাদি।

(ঙ) গ্রাহকের সুরক্ষার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য সরকার কয়েকটি অধিকার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদের দুটি সদনেই গ্রাহক সুরক্ষা আইন গৃহীত হয়েছে। এই আইনের অধীনে গ্রাহকের স্বার্থে তিনটি পর্যায়ে গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সেগুলি হলো—জেলা গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা, রাজ্য গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা, রাষ্ট্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা। এই সংস্থাগুলো গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ পূরণ, ন্যায়বিচার এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে থাকে।

প্রশ্ন ২। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো—

(ক) গ্রাহক সুরক্ষা আইন। 

(খ) গ্রাহক সজাগতা। 

(গ) গ্রাহক প্রতারণা।

(ঘ) গ্রাহকের অধিকার। 

(ঙ) গ্রাহক আদালত।

উত্তরঃ গ্রাহক সুরক্ষা আইন – গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য সরকার কয়েকটি অধিকার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদের দুটি সদনেই গ্রাহক সুরক্ষা আইন গৃহীত হয়েছে। এই আইনের অধীনে গ্রাহকের স্বার্থে তিনটি পর্যায়ে গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সেগুলি হলো—জেলা গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা, রাজ্য গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা, রাষ্ট্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা। এই সংস্থাগুলো গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ পূরণ, ন্যায়বিচার এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে থাকে।

(খ) গ্রাহক সজাগতা – গ্রাহক হিসেবে বস্তু বা সেবা কেনার (ক্রয়) সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করাই হলো আমার কর্তব্য।

বাজারের বস্তু কেনার সময় যে সকল কথাগুলো মনে রাখা উচিত তা নীচে উল্লেখ করা হলো-

১। বস্তু বা সেবা কেনার সময় তার গুণাগুণ, দাম, ওজন, বিশুদ্ধতা ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

২। বস্তু ওজন করার সময় পরিমাপের যন্ত্রগুলি (যেমন—দাঁড়ি-পাল্লা, বৈদ্যুতিক মাপক যন্ত্র) ইত্যাদি সঠিক এবং বিজ্ঞানসম্মত কী না তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

৩। যে কোনো বস্তু কেনার পর বস্তুর বিবরণ এবং মূল্য লেখা রশিদ চেয়ে নেওয়া উচিত।

৪। বিভিন্ন ক্ষেত্রের উৎপাদিত সামগ্রীসমূহের জন্য সরকারের নির্ণীত চিহ্নসমূহ যেমন আগমার্ক, আই. এস. আই. মার্ক, হলমার্ক, এফ ফিও ইত্যাদি চিহ্ন কিনে নেওয়া সামগ্রীতে আছে কী না তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

৫। দীর্ঘস্থায়ী বস্তুর ক্ষেত্রে বিক্রেতা থেকে গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড চেয়ে নেওয়া উচিত।

৬। প্যাকেটজাত সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য) ইত্যাদি লক্ষ করা উচিত।

(গ) গ্রাহক প্রতারণা – বিক্রেতারা গ্রাহককে প্রতারণা করার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে থাকে। যেমন—বস্তুর ওজন সঠিকভাবে না করে, ভেজাল বস্তু বিক্রি করে, বস্তু বা সেবা উপযুক্ত মানবিশিষ্ট না করে, ক্রয় করা বস্তু বা সেবার নগদ রসিদ না দিয়ে বা অশুদ্ধ ভাবে দিয়ে, সামগ্রী প্রস্তুতকরণের তারিখ মুছে ফেলে বা নগদ তারিখ লাগিয়ে, প্রকৃত মূল্যের ওপরে নকল মূল্যের লেবেল লাগিয়ে, মানসূচক চিহ্নসমূহ নকল করে, নামি-দামি কোম্পানি উৎপাদিত সামগ্রীর হুবহু নকল করে, ডাকসেবা, টেলিফোন বা ইন্টারনেট যোগে অর্ডার দেওয়া বস্তু সময়মতো না দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারণা করা হয়ে থাকে।

(ঘ) গ্রাহকের অধিকার – গ্রাহকদের কল্যাণ এবং সুরক্ষার জন্য আমাদের সরকার কয়েকটি অধিকার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। এই বিষয়গুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১। যে কোনো বস্তু কেনার সময় বস্তুর মূল্য, ওজন, বিশুদ্ধতা, গুণাগুণ ইত্যাদি বিচার করা।

২। গ্রাহক সুরক্ষার জন্য গ্রাহক সুরক্ষা সমিতি গঠন করা।

৩। গ্রাহকদের অভাব অভিযোগ ইত্যাদি সুরক্ষা সমিতি বা গ্রাহক আদালতে দাখিল করা।

৪। প্রয়োজন সাপেক্ষে গ্রাহক সুরক্ষা আইনের সাহায্য নেওয়া।

৫। প্রতারণাকারী বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবী করা।

৬। গ্রাহক শিক্ষা লাভ করার অধিকার ইত্যাদি।

(ঙ) গ্রাহক আদালত – গ্রাহকদের বিবাদ নিষ্পত্তিকরণের জন্য ‘গ্রাহক বিবাদ নিষ্পত্তিকরণ ফোরাম’ গঠন সরকারের এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। একে বলা হয় গ্রাহক আদালত। এখানে সব শ্রেণির গ্রাহক উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দাখিল করে অভিযোগের সুফল লাভ করে। এ-ধরনের ফোরাম তিনটি পর্যায়ে গঠিত হয়। যেমন—জেলা বিবাদ নিষ্পত্তিকরণ ফোরাম, রাজ্য বিবাদ নিষ্পত্তিকরণ ফোরাম, রাষ্ট্রীয় বিবাদ নিষ্পত্তিকরণ ফোরাম।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) গ্রাহক সুরক্ষা আইন কেবল দোকান থেকে কেনা বস্তুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(খ) গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র যে আইন প্রণয়ন করেছে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) শোষণের বলি হওয়া গ্রাহককে জেলা বিবাদ নিষ্পত্তিকরণ ফোরামে অভিযোগ করতে হয়।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) কোনো মূল্যবান এবং দামি বস্তুর ক্ষেত্রেই গ্রাহক সুরক্ষা আইন প্রয়োজন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) কৃষিজাত সামগ্রীর মানবিশিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে হলমার্ক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(চ) বিক্রেতা থেকে বস্তু বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলে হওয়া ক্ষতির জন্য গ্রাহকের ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা আইনত অধিকার।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। প্রকল্প :

(ক) গ্রাহকদের মধ্যে সজাগতা সৃষ্টি করার জন্য তোমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পাঁচটি করে শ্লোগান লেখো।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

(ঘ) তোমার বাড়ির আশেপাশে চার/পাঁচজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের ব্যক্তিগতভাবে লব্ধ করা গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগগুলো প্রতারণার অভিজ্ঞতাগুলোর বিবরণ লিখে সেই প্রতারণাগুলোর বিরুদ্ধে তাদের গৃহীত ব্যবস্থাগুলোর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ নিজেরা করো।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর দাও।

(ক) গ্রাহক মানে কী?

উত্তরঃ যে নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এবং সেবা বাজার থেকে ক্রয় করে উপভোগ করে তাকে গ্রাহক বলা হয়।

(খ) গ্রাহক বা উপভোক্তা কীভাবে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পারে?

উত্তরঃ কর্মী, উদ্যমী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গ্রাহক বা উপভোক্তা হলে তারাই দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পারে।

(গ) অর্থনৈতিক কার্যাবলিসমূহ কীভাবে সাধিত হয়?

উত্তরঃ উৎপাদন না হলে ভোগ্য সামগ্রীর অভাব হয়। অপরদিকে যতই ভোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ততই দ্রব্য বা সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি হয় এবং উৎপাদনকারী উৎপাদন এই দুটি কার্যই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ঠিক তেমনভাবে বিভিন্ন কারণ বা উপাদানসমূহের পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতার মধ্য দিয়েই সমগ্র অর্থনৈতিক কার্যাবলিসমূহ সাধিত হয়।

(ঘ) উপভোক্তার উপভোগের জন্য কীসের প্রয়োজন?

উত্তরঃ উপভোক্তার উপভোগের জন্য উৎপাদন প্রয়োজন।

প্রশ্ন ২। সংক্ষেপে উত্তর দাও-

(ক) ফার্মাসিস্ট, বুড়নকে ওষুধ বিক্রি করার জন্য কী প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল?

উত্তরঃ ফার্মাসিস্ট বুড়নকে ওষুধ বিক্রি করার জন্য বুড়নের হাত থেকে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া দুটি ওষুধের বোতল বুড়নের হাতে দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল।

(খ) ওষুধ খেয়ে বুড়নের মায়ের অসুখ ভালো হয়েছিল কী?

উত্তরঃ না, ওষুধ খেয়ে বুড়নের মায়ের অসুখ ভালো তো হয়নি উপরস্তু পেটের ব্যথা আরো বেড়ে গিয়ে সংকটজনক পরিস্থিতি উপস্থিত হয়েছিল।

(গ) বুড়নের পরিবার কেন শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছিল?

উত্তরঃ ফার্মাসিস্টের অসাধু কাজের জন্য বুড়নের পরিবার শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছিলেন।

(ঘ) ফার্মাসিস্টের এ-ধরনের অসাধু কাজ করার কারণ কী?

উত্তরঃ বুড়ন ওষুধ কিনতে গিয়ে তাড়াতাড়ি করাই ফার্মাসিস্টের এ-ধরনের অসাধু কাজ করার কারণ।

(ঙ) বুড়ন ওষুধ কেনার সময় কী ভুল করেছিল?

উত্তরঃ বুড়ন ওষুধ কেনার সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কী না তা না দেখে ওষুধ কিনেছিল।

গ্রাহকগণ কীভাবে প্রতারিত হয় –

বুড়নের মতোই বিক্রেতারা গ্রাহককে প্রতারণা করার জন্য আরও অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। উদাহরণস্বরূপ;

১। বস্তুর ওজন সঠিকভাবে না করা।

২। ভেজাল বস্তু বিক্রি করা।

৩। বস্তু বা সেবা উপযুক্ত মানবিশিষ্ট না হওয়া।

৪। ক্রয় করা বস্তু বা সেবার নগদ রশিদ (Cash memo) না দেওয়া বা অশুদ্ধ ভাবে দেওয়া।

৫। সামগ্রী প্রস্তুতকরণের প্রকৃত তারিখ মুছে ফেলা বা নকল তারিখ লাগানো।

৬। প্রকৃত মূল্যের ওপরে নকল মূল্যের লেবেল লাগানো।

৭। মানসূচক চিহ্নসমূহ নকল করা।

৮। নামি-দামি কোম্পানি উৎপাদিত সামগ্রীর হুবহু নকল করা।

৯। ডাকসেবা, টেলিফোন বা ইন্টারনেট যোগে অর্ডার দেওয়া বস্তু সময়মতো না দেওয়া।

প্রশ্ন ৩। গ্রাহকরা আরও কী কী ভাবে প্রতারিত হতে পারে, শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে দলগতভাবে আলোচনা করো এবং ওপরের দেওয়া প্রতারণার উপায়গুলোর সঙ্গে যোগ করো।

উত্তরঃ শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে দলগতভাবে আলোচনা করতে হবে এবং ওপরের দেওয়া প্রতারণার উপায়গুলোর সঙ্গে যোগ করতে হবে।

প্রশ্ন ৪। সংক্ষেপে উত্তর দাও—

(ক) পিয়াঙ্কি বাড়িতে কী রেখে এসেছিল?

উত্তরঃ পিয়াঙ্কি বাড়িতে নিজ হাতে তৈরি একটি মডেল রেখে এসেছিল।

(খ) কীজন্য সেটা তার কাছে জরুরী ছিল?

উত্তরঃ রাজ্য পর্যায়ের বিজ্ঞান প্রদর্শনী তথা প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করার জন্য সেটি তার কাছে জরুরী ছিল।

(গ) পিয়াঙ্কির বাবা জিনিসটি ঠিক সময়ে পিয়াঙ্কির হাতে পৌঁছানোর জন্য কী ব্যবস্থা করেছিলেন?

উত্তরঃ পিয়াঙ্কির বাবা জিনিসটি ঠিক সময়ে পিয়াঙ্কির হাতে পৌঁছানোর জন্য শিলচরের একটি ক্যুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে গিয়ে যাবতীয় কাজগুলো করে মডেলের পার্সেলটি পিয়াঙ্কির হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।

(ঘ) সেই ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হয়েছিল কী?

উত্তরঃ না, সেই ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হয়নি।

(ঙ) তিনি অবশেষে কী করলেন?

উত্তরঃ অবশেষে তিনি শিলচরের জেলা গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে ভালোভাবে কথাগুলো বললেন এবং তাদের পরামর্শক্রমে ক্যুরিয়ার সার্ভিসটির বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ দাখিল করলেন। নির্দিষ্ট সময়ে জেলা বিবাদ নিষ্পিত্তিকরণ ফোরাম-এ গিয়ে তার অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি এবং তথ্যভিত্তিক বিবরণ দিলেন।

(চ) সুবোধ চক্রবর্তী ন্যায় পেয়েছিলেন কী?

উত্তরঃ হ্যাঁ, সুবোধ চক্রবর্তী ন্যায় পেয়েছিলেন।

(ছ) বিচারে কী রায় প্রদান করা হল?

উত্তরঃ বিচারে ক্যুরিয়ার সার্ভিসটিকে দোষী সাব্যস্ত করে পার্সেলটি দুদিনের ভেতর যথাস্থানে পৌঁছে দেবার জন্য গ্রাহক আদালত নির্দেশ দিল। এছাড়াও গ্রাহকের হয়রানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্যুরিয়ার সার্ভিসটিকে ৫০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।

(ক) অর্থনীতির ভাষায় গ্রাহককে কী বলা হয়?

উত্তরঃ অর্থনীতির ভাষায় গ্রাহককে উপভোক্তা বলা হয়।

(খ) অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছু বিশেষ কার্যাবলীর উল্লেখ করো।

উত্তরঃ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছু বিশেষ কার্যাবলী হলো—উৎপাদন, উপভোগ, বিনিময়, বিনিয়োগ, বিতরণ, নিয়োগ ইত্যাদি।

(গ) উপভোক্তা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াতে কীভাবে অংশগ্রহণ করে?

উত্তরঃ উৎপাদিত দ্রব্য এবং সেবা উপভোগ করে উপভোক্তা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করে থাকে।

(ঘ) MRP-এর মানে কী?

উত্তরঃ MRP-এর মানে হল উচ্চতম খুচরো মূল্য বা সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য। এই মূল্যের ওপর গ্রাহক দরদাম করতে পারেন।

(ঙ) বিশ্বজুড়ে কোন তারিখ গ্রাহক অধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়?

উত্তরঃ ১৫ই মার্চ তারিখ গ্রাহক অধিকার দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়।

প্রশ্ন ২। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-

(ক) অ্যাগমার্ক। 

(খ) আই এস আই। 

(গ) হলমার্ক। 

(ঙ) এফ পি ও।

উত্তরঃ (ক) অ্যাগমার্ক – আমাদের দেশের কৃষিক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী যেমন—ভোজ্য তেল, আটা, ময়দা, ডালিয়া, ঘি, মাখন, বিভিন্ন মশলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সরকারের দ্বারা নির্ণীত প্রামাণিক চিহ্ন অ্যাগমার্ক ব্যবহার করা হয়।

(খ) আই এস আই – ব্যবহারযোগ্য শিল্পজাত সামগ্রী যেমন—রড, প্রেসার কুকার, স্টিলের বাসন, বৈদ্যুতিক সামগ্রী ইত্যাদির ক্ষেত্রে আই এস আই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

(গ) হলমার্ক – মূল্যবান ধাতু যেমন — সোনা, রূপা, প্লাটিনাম এবং এগুলোর দ্বারা তৈরি অলংকারের ক্ষেত্রে হলমার্ক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

(ঙ) এফ পি ও – ফল-মূল থেকে বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা পরিবর্তিত খাদ্যসামগ্রী যেমন—জ্যাম, জেলি, আচার, সরবত ইত্যাদির ক্ষেত্রে এফ পি ও প্রামাণিক চিহ্ন ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) উপভোক্তার উপভোগের জন্য উৎপাদন প্রয়োজন।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(খ) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় সংসদের দুটি সদনেই গ্রাহক সুরক্ষা আইন গৃহীত হয়েছে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) অর্থনৈতিক কার্যসমূহ একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল নয়।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) গ্রাহক সুরক্ষা আইনের অধীনে তিনটি পর্যায়ে গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা গঠন করা হয়েছে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য কি?

উত্তরঃ ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য হল লাভ বা মুনাফা।

প্রশ্ন ২। অর্থনীতির ভাষায় গ্রাহককে কি বলা হয়?

উত্তরঃ উপভোক্তা।

প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংসদে গ্রাহক সুরক্ষা আইন কখন গৃহীত হয়?

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদে গ্রাহক সুরক্ষা আইন ১৯৮৬ সনের ২৪শে ডিসেম্বর তারিখে গৃহীত হয়।

প্রশ্ন ৪। বিশ্ব গ্রাহক অধিকার দিবস কত তারিখে পালন করা হয়?

উত্তরঃ ১৫ই মার্চ।

প্রশ্ন ৫। বিশ্বের কয়টি রাষ্ট্রে গ্রাহক সুরক্ষা আইন প্রচলিত আছে?

উত্তরঃ প্রায় ১০০টির বেশি রাষ্ট্রে গ্রাহক সুরক্ষা আইন প্রচলিত আছে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top