SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 5 সাগর-মহাসাগর Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সাগর-মহাসাগর

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

(ক) মহাসাগরীয় স্রোত সৃষ্টির কারণগুলো কী কী?

উত্তরঃ মহাসাগরীয় স্রোত সৃষ্টির কারণগুলো নিম্নরূপ :

(১) পৃথিবী প্রচণ্ড গতিবেগে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে। এর ফলে বিশেষভাবে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠের জলভাগ পশ্চিম থেকে পূর্বে গতি করে ও স্রোতের সৃষ্টি করে।

(২) সুমেরু থেকে কুমেরু পযর্ন্ত পৃথিবীর উপরিভাগের বায়ুমণ্ডলে কিছু উচ্চ চাপ এবং কিছু নিম্নচাপ বলয় আছে। চাপের এই পার্থক‍্যের ফলেই ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট বায়ু প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহ ভূ-পৃষ্ঠের জলভাগের উপর চাপের সৃষ্টি করে এবং জলে স্রোত সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

(৩) নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ সোজাসুজি পড়ার জন্য এই অংশে মহাসাগরের জলের উত্তাপ তুলনামূলকভাবে বেশি। এজন্য এখানে বাষ্পীভবন বেশি এবং জলের ঘনত্ব কম হয়। কিন্তু নাতিশীতোষ্ণ বা মেরু অঞ্চলের জলভাগ শীতল তাই বাষ্পীভবন কম হয়। এখানে জলের ঘনত্ব বেশি এবং বায়ুর চাপও বেশি। এই পার্থক্য দূর করার জন্য শীতল জল ও।উষ্ণ জল একে অপরের দিকে ধাবিত হয়ে স্রোতের সৃষ্টি করে।

(৪) মহাসাগরগুলোর জলের পরিমাণের ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে। কম লবণাক্ত জল হাল্কা এবং বেশি লবণাক্ত জল ভারী। প্রাকৃতিকভাবে এই অসমতা দূরীকরণের জন্য স্রোতের সৃষ্টি হয়।

(খ) গরম জলের স্রোত বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সোজাসুজি পড়ার জন্য এই অঞ্চলের জল অতি সহজে গরম হয় এবং প্রসারিত হয়। আবার শীতপ্রধান অঞ্চলের জল ঠাণ্ডা হয়ে সংকুচিত ও ভারী হয়। উষ্ণমণ্ডল থেকে গরম ও পাতলা সমুদ্রের জল ওপরে ওপরে পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে শীতমণ্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। একে উষ্ণ বা গরম জলের স্রোত বলে।

(গ) সাগরের জীবসমূহ কত প্রকারের? কীসের ভিত্তিতে এই শ্রেণী বিভাজন করা হয়েছে?

উত্তরঃ সামুদ্রিক প্রাণীকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 

(১) প্লাঙ্কটন বা প্লবক।

(২) বেনথোজ। এবং 

(৩) নেকটন।

(ঘ) সাগরের কোন অঞ্চলে সাধারণত মৎস্য ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে?

উত্তরঃ শীতল ও উষ্ণজলের স্রোত যেখানে মিলিত হয়েছে, এই রূপ স্থানে মাছের খাদ্য প্লাংকটন বা প্লবক যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়। এজন্য এই অঞ্চলে মৎস্য ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ২। কারণ দেখাও :—

(ক) মরা জোয়ার বাসন্তী জোয়ারের মত শক্তিশালী হয় না।

উত্তরঃ মরা জোয়ার বাসন্তী জোয়ারের মত শক্তিশালী হয় না কারণ সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য সমকোণে অবস্থান করে। এজন্য আকর্ষণ শক্তি অনেকটা কমে যায়।

(খ) আজকাল পৃথিবীর সব জায়গাতেই সাগরের মাছ কিনতে পাওয়া যায়।

উত্তরঃ মাছ ধরা এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আজকাল অত‍্যাধুনিক প্রযুক্তি ব‍্যবহার করা হয়। সাগরের মাছ ধরে উপকূল অঞ্চলে সঙ্গে সঙ্গে শীতলীকরণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে টিনে বা কৌটোয় ভরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। এজন্য আজকাল বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতে সাগরের মাছ কিনতে পাওয়া যায়।

(গ) জাপানে ঘন ঘন সুনামি হয়।

উত্তরঃ জাপান মহাদেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয়ে অবস্থিত। এই বলয়টি প্রধান ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। তাই জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয় ও সুনামির সৃষ্টি হয়।

(ঘ) বৈদেশিক বাণিজ‍্যের জন্য জাহাজ পরিবহণ ব‍্যবস্থা উৎকৃষ্ট।

উত্তরঃ জাহাজ পরিবহণ ব‍্যবস্থা বৈদেশিক বাণিজ‍্যের জন্য উৎকৃষ্ট কারণ এই পরিবহণ ব‍্যবস্থা সবচেয়ে সস্তা বা কম খরচের পরিবহণ। এই পথ প্রাকৃতিক বলে এতে কোন অর্থ ব‍্যয় হয় না। জাহাজ ভারী ও বৃহৎ পরিমাণের সামগ্ৰী সহজে পরিবহণ করা যায়। ইন্ধনের ব‍্যয় তুলনামূলকভাবে কম।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরটিতে চিহ্ন দাও :—-

(ক) সাধারণত শীতল জলের স্রোত উৎপন্ন হয়—

(১) মেরু অঞ্চলে।

(২) নিরক্ষীয় অঞ্চলে।

(৩) একটাও নয়।

উত্তরঃ (১) মেরু অঞ্চলে।

(খ) দিনের মধ্যে দুবার সাগরের জল ওঠা নামাকে—–

(১) সাগরীয় স্রোত।

(২) জোয়ার ভাটা। 

(গ) ঢেউ বলে।

উত্তরঃ (২) জোয়ার ভাটা।

(গ) সুনামি শব্দের অর্থ হল—-

(১) ভূমিকম্প। 

(২) সাগরের ঢেউ। 

(গ) পোতাশ্রয়ের ঢেউ।

উত্তরঃ (২) সাগরের ঢেউ।

(ঘ) সাঁতার কাটতে পারে এই শ্রেণির সাগরের প্রাণী হচ্ছে—-

(১) নেক্টন। 

(২) বেনথোজ। 

(৩) প্ল‍্যাঙ্কন শ্রেণির।

উত্তরঃ (১) নেক্টন।

প্রশ্ন ৪। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও-

‘ক’‘খ’
(ক) ডায়েটম(ক) উদ্ভিদ প্ল‍্যাঙ্কটন যেখানে গড়ে ওঠে।
(খ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে(খ) মরা জোয়ার হয়।
(গ) সাধারণ লবণ(গ) একপ্রকার উদ্ভিদ প্ল‍্যাঙ্কটন।
(ঘ) সপ্তমী এবং অষ্টমী তিথিতে(ঘ) মহাসাগরের জলে দ্রবীভূত হয়ে থাকে।
(ঙ) মৎস্য ক্ষেত্রসমূহ(ঙ) জলের ঘনত্ব কম।

উত্তরঃ

‘ক’‘খ’
(ক) ডায়েটম(ক) উদ্ভিদ প্ল‍্যাঙ্কটন যেখানে থাকে।
(খ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে(খ) জলের ঘনত্ব কম।
(গ) সাধারণ লবণ(গ) মহাসাগরের জলে দ্রবীভূত হয়ে থাকে।
(ঘ) সপ্তমী এবং অষ্টমী তিথিতে(ঘ) মরা জোয়ার হয়।
(ঙ) মৎস্য ক্ষেত্রসমূহ(ঙ) উদ্ভিদ প্ল‍্যাঙ্কটন যেখানে গড়ে ওঠে।
S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভূ-পৃষ্ঠের কত শতাংশে জলমণ্ডল বিস্তৃত?

উত্তরঃ ৭১ শতাংশ।

প্রশ্ন ২। পৃথিবীকে কেন নীল গ্ৰহ বলা হয়?

উত্তরঃ পৃথিবীর অধিকাংশ স্থান জলমগ্ন বলে উপর থেকে একে দেখলে নীল দেখায়। এজন্য পৃথিবীকে নীল গ্ৰহ বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। কী কী দিয়ে জলমণ্ডল গঠিত?

উত্তরঃ সাগর-মহাসাগর, নদী, হ্রদ, হিমবাহ ভূ-গর্ভ, বায়ুমণ্ডল ইত‍্যাদিতে বিভিন্ন অবস্থায় যে জলভাগ রয়েছে তা নিয়েই জলমণ্ডল গঠিত।

প্রশ্ন ৪। জলমণ্ডল বলতে প্রধানত কাকে বোঝায়?

উত্তরঃ সাগর মহাসাগরকে।

প্রশ্ন ৫। পৃথিবীর উপরিভাগের জলমণ্ডলকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের জলমণ্ডলকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়।

(ক) প্রশান্ত মহাসাগর।

(খ) আটলান্টিক মহাসাগর।

(গ)ভারত মহাসাগর।

(ঘ) উত্তর মহাসাগর। এবং 

(ঙ) দক্ষিণ মহাসাগর।

প্রশ্ন ৬। সাগর কাকে বলে?

উত্তরঃ দেশ বা মহাদেশের নিকটবর্তী এক একটি অংশকে সাগর বলা হয়।

প্রশ্ন ৭। উপসাগর কাকে বলে?

উত্তরঃ তিন দিন স্থলভাগবেষ্টিত সাগর-মহাসাগরের অংশকে উপসাগর বলা হয়।

প্রশ্ন ৮। সাগর, উপসাগর এবং মহাসাগর—- এই তিনটির মধ্যে কী কী সাদৃশ্য আছে লেখো।

উত্তরঃ পৃথিবীর সকল সাগর এবং উপসাগরই বিশাল মহাসাগরের এক একটি অংশ। সাগর, উপসাগর বা মহাসাগরের মধ্যে তেমন কোন দৃশ‍্যমান প্রাকৃতিক সীমা নেই।

প্রশ্ন ৯। পৃথিবীর উৎপত্তি কাল থেকে এখন পযর্ন্ত আনুমানিক কত বছর পার হয়েছে?

উত্তরঃ ৪৫০০ নিযুক্ত বছর।

প্রশ্ন ১০। পৃথিবী প্রথমে কিরূপ অবস্থায় ছিল?

উত্তরঃ একটি উত্তপ্ত ও তরল গ‍্যাসের পিণ্ড।

প্রশ্ন ১১। পৃথিবীর উপরিভাগের উঁচু-নিচু আবরণ কী করে সৃষ্টি হল লেখো।

উত্তরঃ প্রথম অবস্থায় পৃথিবী একটি তরল গ‍্যাসীয় পিণ্ড ছিল। আবর্তনের মাধ্যমে তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী ক্রমে শীতল এবং সংকুচিত হতে আরম্ভ করে। ক্রমে সেই অবস্থা থেকে পদার্থগুলো তরল এবং কঠিন অবস্থায় পৌঁছায় এবং সংকুচিত হয়ে পৃথিবীর উপরিভাগ উঁচু-নিচু আবরণের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১২। কীভাবে মহাসাগরের সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ পৃথিবীর কঠিন আবরণে কালক্রমে জল জমে মহাসাগরের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৩। নিরক্ষীয় অঞ্চলের মহাসাগরের জল সহজে গরম হওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যের রশ্মি লম্বভাবে অর্থাৎ সোজাসুজি পড়ায় মহাসাগরের জল মহাসাগরের অন‍্যান‍্য অঞ্চল অপেক্ষা বেশি। এজন্য এই অঞ্চলের জল সহজেই গরম হয়।

প্রশ্ন ১৪। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে প্রবাহিত জল মহাসাগরের পৃষ্ঠদেশের উপরিভাগেও মেরু অঞ্চল থেকে প্রবাহিত জল মহাসাগরের পৃষ্ঠদেশের নিম্নভাগে প্রবাহিত হওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলের মহাসাগরের উপরিভাগের জল গরম হওয়ায় হাল্কা ও পাতলা হয়। এর জন্য এই জল জলপৃষ্ঠের উপরিভাগে এবং মেরু অঞ্চলের জল শীতল ও ভারী হওয়ার জন্য এই জল পৃষ্ঠদেশের নিম্নদেশে অন্তঃস্রোত হিসাবে প্রবাহিত হয়।

প্রশ্ন ১৫। পৃথক পৃথক উষ্ণতার দুটি মহাসাগরীয় স্রোত একত্রিত হওয়া স্থান ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে উঠতে দেখা যায়— কথাটি ব‍্যাখ‍্যা কর।

উত্তরঃ মেরু অঞ্চল থেকে এগিয়ে আসা শীতল জলের স্রোত যতই ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যায়, ততই উষ্ণ হতে আরম্ভ করে। গরম জলের স্রোতের সংস্পর্শে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেরু অঞ্চল থেকে আসা ভাসমান তুষার খণ্ডগুলো গলতে আরম্ভ করে। ঐ তুষারখণ্ডগুলোর  ভেতরের শিলা, মাটি এবং নানাপ্রকারের আবর্জনা সমুদ্রগর্ভে জমা হয়ে উঁচু স্থানের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১৬। সাগরের ঢেউ সৃষ্টি হওয়ার কারণ কী কী?

উত্তরঃ (১) সাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ুর চাপে সাগরপৃষ্ঠে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।

(২) সাগরের তলদেশে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ এবং জোয়ার-ভাটার জন‍্যও সাগরের বুকে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৭। আগ্নেয় বলয় বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ প্রশান্ত মহাসাগরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি পরপর সাজানো রয়েছে। এই বিশেষ অঞ্চলটিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয় বলে। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য আগ্নেয়গিরি হল মেয়ন, ফুজিয়ামা এবং কটোপাক্সি।

প্রশ্ন ১৮। সুনামির উচ্চতা এবং গতিবেগ সাধারণত কত হয়?

উত্তরঃ সাধারণত সুনামির উচ্চতা ১৫ মিটার পযর্ন্ত উঁচু হতে পারে এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

প্রশ্ন ১৯। পৃথিবীর উপরে চন্দ্রের আকর্ষণের প্রভাব অধিক — এর কারণ দেখাও।

উত্তরঃ পৃথিবীর তুলনায় চন্দ্র যদিও অনেক ছোট তবুও কাছে থাকার জন্য পৃথিবীর উপর এর আকর্ষণের প্রভাব বেশি। পৃথিবী আবর্তন করার সময় এর যে অংশ চন্দ্রের মুখোমুখি হয় সেখানেই আকর্ষণের প্রভাব অধিক হয়।

প্রশ্ন ২০। মুখ‍্য জোয়ারের উৎপত্তির কারণ কী?

উত্তরঃ চন্দ্রের আকর্ষণের প্রভাবে সাগর মহাসাগরের জলভাগ ফুলে ওঠে এভাবে যখনই সাগর, মহাসাগর চন্দ্রের মুখোমুখি হয় তখনই জোয়ারের সৃষ্টি হয়। একে মুখ‍্য জোয়ার বলে।

প্রশ্ন ২১। নদীর মোহনা এবং জোয়ার-ভাটার মধ্যে সম্পর্ক বিচার কর।

উত্তরঃ সাগরের উপকূল এবং নদীর মোহনা অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার প্রভাব দেখা যায়। জোয়ারের ঢেউ নদীর মোহনায় জমা হওয়া পলি ভাসিয়ে নেওয়ার ফলে নৌকা, জাহাজ ইত‍্যাদির চলাচলের সুবিধা হয়। জোয়ারের সময় জল ফুলে ওঠার ফলে অগভীর উপকূল বা নদীর মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত বন্দরে সহজে জাহাজ চলাচল করতে পারে।

প্রশ্ন ২২। চন্দ্রের আকর্ষণে পৃথিবীর যে অংশে মুখ‍্য জোয়ারের সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ সেই একই সময়ে তার ঠিক বিপরীত অংশেও জোয়ারের সৃষ্টি হয় কিন্তু চন্দ্র থেকে দূরত্ব বেঁশি হওয়ার জন্য সেখানে আকর্ষণের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হয়। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্টি হওয়া তাপকেন্দ্রিক শক্তির প্রভাবেই জলভাগ ফুলে উঠে। এই জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বলে।

প্রশ্ন ২৩। বাসন্তী জোয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার দিন চন্দ্র, পৃথিবী এবং সূর্য প্রায় একই সরল রেখায় অবস্থান করে। এই দুইদিন চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের আকর্ষণে জোয়ারের ঢেউ বেশি উঁচু হয়। একে বাসন্তী জোয়ার বলে।

প্রশ্ন ২৪। মরা জোয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে পৃথিবী, চন্দ্র এবং সূর্য সমকোণে অবস্থান করে। ফলে এই দুই দিনে চন্দ্রের মুখোমুখি হওয়া স্থানের সঙ্গে সূর্যের মুখোমুখি হওয়া স্থানেও জোয়ার হয়। এই জোয়ার তেমন শক্তিশালী নয়। এই জোয়ারকে মরা জোয়ার বলে।

প্রশ্ন ২৫। বেনথোজ শ্রেণির সাগরের জীবের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তরঃ বেনথোজ শ্রেণির জীবেরা সূর্যরশ্মি সহজে প্রবেশ করতে পারে অগভীর জলে বাস করে।

প্রশ্ন ২৬। প্লবক এবং মৎস‍্যক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিচার কর।

উত্তরঃ প্ল‍্যাঙ্কটন বা প্লবকগুলো নিজেরা চলাচল করতে পারে না। জলের স্রোতের সঙ্গে এরা ভেসে বেড়ায়। প্লবকগুলো অধিকাংশ এককোষী এবং এদের খালি চোখে দেখা যায় না। প্লবককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়— উদ্ভিদ প্লবক এবং প্রাণী প্লবক। উদ্ভিদ প্লবকের অধিকাংশই ডায়েটম প্রজাতির শেওলা জাতীয় উদ্ভিদ। এই ডায়েটম মাছ এবং অন‍্যান‍্য সামুদ্রিক প্রাণীর প্রধান খাদ‍্য। প্লবকগুলো সাধারণত সূর্যরশ্মি এবং পুষ্টিকারক দ্রব্য পাওয়ার জন্য অগভীর জলে বাস করে।

প্রশ্ন ২৭। কয়েক প্রকার সামুদ্রিক মাছের নাম লেখো।

উত্তরঃ হেরিং, সারডিন, টুনা, সামন, ম‍্যাকারেল, হেডক ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৮। একই স্থানে অথবা অতি কম পরিমাণে চলাচল করা কয়েকটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম লেখ।

উত্তরঃ স্পঞ্জ, প্রবাল, অয়ষ্টার ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৯। কয়েকটি চলমান প্রাণীর নাম লেখ।

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়া, শামক, মাছ, তিমি, ডলফিন।

প্রশ্ন ৩০। কড মাছ আমাদের কী কাজে লাগে?

উত্তরঃ কড মাছের তেল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই মাছ খাদ‍্য হিসেবেও গ্ৰহণ করা যায়।

প্রশ্ন ৩১। হাঙরের চামড়া আমাদের কী কাজে লাগে?

উত্তরঃ হাঙরের চামড়া দিয়ে ব‍্যাগ, জুতো ইত্যাদি তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন ৩২। মহাসাগরগুলোতে কী কী খনিজ লবণ পাওয়া যায়?

উত্তরঃ সাধারণ লবণ, ম‍্যাগনেসিয়াম এবং ব্রোমিন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৩। সাগরের বুকে আবিষ্কৃত অন‍্যান‍্য খনিজ পদার্থগুলো কী কী?

উত্তরঃ খনিজ পদার্থগুলো হল—- ম‍্যাঙ্গানিজ, সালফার, টাইটোনিয়াম, মোনাজাইট, সোনা, প্ল‍্যাটিনাম, হিরা, টিন, লোহা, খনিজ তেল ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৪। আমাদের দেশে কোন কোন উপকূল অঞ্চলে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ‍্যাস আহরণ করা হচ্ছে?

উত্তরঃ মুম্বাই ও উড়িষ্যার উপকূল অঞ্চলে।

প্রশ্ন ৩৫। সামুদ্রিক জাহাজ একটি নির্দিষ্ট গতিপথে যাত্রা করে—- এর কারণ কী?

উত্তরঃ সামুদ্রিক জাহাজ একটি নির্দিষ্ট গতিপথে যাত্রা করার কারণ হলো সমুদ্রে স্থানভেদে কুয়াশা, শৈলখণ্ড, ঝড়, হিমশৈল ইত‍্যাদির সম্মুখীন হয়ে জাহাজ ভেঙে পড়ার ভয় থাকে।

প্রশ্ন ৩৬। সাগর-মহাসাগর ও মানব সমাজের মধ্যে গভীর সম্পর্কের কারণ কী?

উত্তরঃ সাগর-মহাসাগর বহু মূল‍্যবান জৈব সম্পদ, খনিজ সম্পদ, কম খরচে পরিবহণ ব‍্যবস্থা প্রভৃতি মানব সমাজের উপকার সাধন করেছে। এছাড়াও পৃথিবী পৃষ্ঠের স্থলমণ্ডলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবের ফলে মানুষ সম্পদ আহরণের জন্য সাগর-মহাসাগরের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে।

প্রশ্ন ৩৭। শূন‍্যস্থান পূর্ণ কর।

(ক) পৃথিবীর বিস্তীর্ণ জলমণ্ডলকে ________ ভাগে ভাগ করা যায়।

উত্তরঃ ৫টি।

(খ) পৃথিবী উৎপত্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ________ নিযুত বছর অতিক্রম করেছে।

উত্তরঃ ৪৫০০ বছর।

(গ) বৈদেশিক বাণিজ‍্যের ক্ষেত্রে ________ পরিবহনই নির্ভরযোগ্য।

উত্তরঃ জাহাজ।

(ঘ) ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ________ শতাংশ জলমণ্ডল।

উত্তরঃ ৭১।

(ঙ) ভূমিকম্পের ফলে সাগরের বুকে সৃষ্টি হওয়া ঢেউকে ________ বলে‌।

উত্তরঃ সুনামি।

(চ) জাপানি ভাষায় ‘সু’ মানে ________ এবং ‘নামি’ মানে ________।

উত্তরঃ পোতাশ্রয়, ঢেউ।

(ছ) মাছ ধরা জাহাজগুলোতে ________ নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি সংযোগ করা হয়।

উত্তরঃ কম্পিউটার।

প্রশ্ন ৩৮। সমুদ্র উপকূল এবং উপকূলের কাছে নদ- নদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি :

উত্তরঃ সমুদ্র উপকূলে ও উপকূলের কাছে নদ-নদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি :

(ক) জোয়ার ভাটার ফলে নদী থেকে আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।

(খ) জোয়ারের সময়ে নদীর মুখ জলে ভরে যায়, ফলে বড় বড় সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলো বন্দরের অভ‍্যন্তরে ঢুকতে পারে এবং ব‍্যবসা-বাণিজ‍্যের সুবিধা হয়।

(গ) অনেক সময় নদী-মোহনার গভীরতা বাড়ে।

(ঘ) জোয়ারের ফলে নদীর জল নির্মল থাকে।

(ঙ) নদী-মোহনায় সঞ্চিত পলিমাটি জোয়ারের প্রভাবে সমুদ্রে চলে যায় ফলে নদী-মোহনা পলিমুক্ত হয়।

(চ) জোয়ারের ফলে নদীর জল কিছু লবণাক্ত হয়, এর ফলে লবণাক্ত জল শীতকালে সহজে জমে বরফ হয় না।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top