Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 7 অসমের নদ-নদী Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
অসমের নদ-নদী
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর দাও :
(ক) ব্রক্ষপুত্র নদীর উৎসের হিমবাহটির নাম কী?
উত্তরঃ চেমা-য়ুং-দুং।
(খ) ব্রক্ষপুত্র নদীর মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ২৯০৬ কিলোমিটার।
(গ) ব্রক্ষপুত্র নদীর উৎস কোন রাষ্ট্রে স্থিত?
উত্তরঃ তিব্বত।
(ঘ) উচ্চপতি অঞ্চলে নদীর গতিপথের আকৃতি কী ধরনের?
উত্তরঃ ইংরেজী ‘V’ আকৃতির।
(ঙ) ব্রক্ষপুত্র নদী কোন কোন রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে?
উত্তরঃ তিব্বত, চীন এবং ভারতবর্ষ।
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তরটি লেখো :—-
(ক) গিরিখাত নিম্নভূমি/ মোহনা/উচ্চভূমি অঞ্চলের ভূ-আকৃতি।
উত্তরঃ উচ্চভূমি।
(খ) নদীর জালিকারূপ সাধারণত পর্বত/ সমভূমি/ মালভূমিতে দেখা যায়।
উত্তরঃ সমভূমি।
(গ) প্লাবন ভূমির চর নদীর খনন / পরিবহণ/ অবক্ষেপণের ফলে সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ অবক্ষেপণ।
(ঘ) বরাক নদী অসমের ২/৩/৪ টি জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে।
উত্তরঃ ৩ টি।
প্রশ্ন ৩। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও –
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
সাংপো | আঁকা-বাঁকা গতিপথ |
অরুণাচল | মাজুলি |
সর্পিল | সিয়াং |
কলং | তিব্বত |
নদীদ্বীপ | স্রোত |
উত্তরঃ
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
সাংপো | তিব্বত |
অরুণাচল | সিয়াং |
সর্পিল | আঁকা-বাঁকা গতিপথ |
কলং | স্রোত |
নদীদ্বীপ | মাজুলি |
প্রশ্ন ৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো :
(ক) নদীর উচ্চগতি অংশের কার্য :
উত্তরঃ নদীর উচ্চগতিতে নদী খাড়া হয়ে বয়ে আসার ফলে নদীর তলায় খনন কার্য অধিক হয়। এই অংশে নদীর গতিপথের আকৃতি ইংরেজী ‘V’ অক্ষরের মত হয়। নদীতলের গভীরতা অনেক বেশি হয়ে গিরিখাতের সৃষ্টি করে। পার্বত্য অঞ্চলের খাড়া ঢাল দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে গতিপথে থাকা গাছ পাথর, বালি, মাটি ইত্যাদি ধ্বসিয়ে বা ভেঙ্গে নীচে নিয়ে আসে। এই গতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি।
(খ) নদীর মধ্যগতি অংশের কার্য :
উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলের খাড়া ঢাল দিয়ে বয়ে আসা নদী সমভূমির মৃদু ঢালের সম্মুখীন হয়। কম ঢালের ভূমিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার দরুণ নদীর গতিবেগ ধীর হয়। এই অংশে নদীটির পলি বহণ করার ক্ষমতা কম। ফলে পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আসা পাথর, বালু, কাদা ইত্যাদি সমভূমি অঞ্চলে জমা হয়। নদীর দুইপারের মাটির গঠন নরম হওয়ার জন্য নদীটির দুধারে অনেক ভূমিক্ষয় হয়। নদীর যে ধারে পার্শ্বখনন হয় তার বিপরীত দিকের অন্য ধারে পলি অবক্ষেপণ ঘটে। এই পার্শ্বখনন ও অবক্ষেপণের ফলে নদীগতি পথ আঁকা- বাঁকা বা সর্পিল হতে দেখা যায়।
(গ)নদীর নিম্নগতি অংশের কার্য :
উত্তরঃ নদী মধ্যগতি থেকে মোহনার দিকে নিম্নগতি পথে নদী যতই অগ্ৰসর হতে থাকে, ততই তার স্রোতের বেগ কমতে থাকে। স্রোতের বেগ কমে যাওয়ার বালি, কাদা ইত্যাদি নদীগর্ভে ও নদীর দুইতীরে জমা হতে থাকে। এই অংশে নদী স্থানে স্থানে অনেক বিস্তৃত হয়। শুকনো দিনে নদীর জল কমে যায় এবং এর ফলে বিভিন্ন অংশে পলির অবক্ষেপণ ঘটে। পলি জমা হয়ে ছোট বড় নদীর জল ভাগ হয়ে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। একে নদীর জালিকা রূপ বলে। শাখানদীসমূহে বিল বা জলাশয়ের সৃষ্টি হয়।
(ঘ) বরাক নদীর গতিপথ :
উত্তরঃ নাগাল্যাণ্ড, মণিপুরের সীমান্তবর্তী মরাম নামক অঞ্চল থেকে বরাক নদীর উৎপত্তি। উৎস থেকে মণিপুরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ- পশ্চিমদিকে প্রবাহিত নদীটি মণিপুর- মিজোরাম সীমান্তে পুনরায় উত্তরদিকে গতি করেছে। অসম এবং মণিপুরের সীমা অতিক্রম করে উত্তরদিকে এসে জিরি নামের উপনদীর সঙ্গে মিশে আবার পশ্চিমদিকে ঘুরে অসমে প্রবেশ করেছে। এই নদীটি অসমের কাছাড় জেলার মধ্য দিয়ে এবং হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নদীটি দুভাগে ভাগ হয়েছে। এর একভাগ কুশিয়ারা এবং অন্যভাগ সুরমা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অসমে বরাক নদীর প্রায় ২৭টি ছোট-বড় উপনদী আছে। বরাক নদী প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
প্রশ্ন ৫। উৎস থেকে মোহনা অবধি ব্রক্ষপুত্র নদীকে কী কী নামে জানা যায়।
উত্তরঃ উৎস থেকে মোহনা অবধি ব্রক্ষপুত্র নদীকে বিভিন্ন নামে জানা যায়। ব্রক্ষপুত্রের অসম অংশের প্রাচীন নাম লৌহিত্য। পরবর্তীতে একে লোহিত বা লুইত নামে জানা যায়। তিব্বতের কৈলাস পর্বতের কাছে তামচুক খাম্বালা চোরটেন নামক স্থানটির চেমা-য়ুং-দুং হিমবাহ ব্রক্ষপুত্রের উৎস। এই অংশে এর স্থানীয় নাম সাংপো। এরপর দক্ষিণ-পশ্চিমে অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করে। অরুণাচল প্রদেশের উপরের অংশে এই নদীটির স্থানীয় নাম সিয়াং। ব্রক্ষপুত্র নদীটিকে পাশিঘাটের কাছে কিছু অংশের নাম দিহং। পাশিঘাটের দক্ষিণে কিছুদূর বয়ে এসে শদিয়ার কাছে দিবং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিশে যায়। এখান থেকেই নদীটিকে ব্রক্ষপুত্র নামে জানা যায়।
প্রশ্ন ৬। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি মানচিত্র অংকন করে ভূচিত্রাবলির সাহায্যে নীচের অবয়বগুলোর নক্সা বসাও—-
(১) অরুণাচল হিমালয়।
(২) বড়াইল পর্বত।
(৩) কার্বি মালভূমি।
(৪) খাসিয়া, জয়ন্তিয়া পাহাড়।
(৫) নাগা পাহাড়।
(৬) মণিপুর।
(৭) মিজোরাম।
(৮) গারোপাহাড়।
(৯) ব্রক্ষপুত্র।
(১০) সোবনশিরি।
(১১) দিবং।
(১২) লোহিত।
(১৩) পাগলাদিয়া।
(১৪) মানস।
(১৫) দিখৌ।
(১৬) ধনশিরি।
(১৭) বরাক।
(১৮) ধলেশ্বরি।
(২০) সোনাই।
উত্তরঃ নিজে কর।
প্রশ্ন ৭। নদী বা উপনদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস করা লোকেদের সেই নদী বা উপনদীর সঙ্গে কী ধরনের সম্বন্ধ হয় লেখো।
উত্তরঃ নদী বা উপনদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস করা লোকেদের সেই নদী বা উপনদীর সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কারণগুলো হল—
(১) নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকেরা নদীর জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করে।
(২) যাতায়াতের সুবিধা পায়।
(৩) কৃষিকাজের জন্য নদীর জল ব্যবহার করে।
(৪) নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকেরা মৎস্য শিকার করেও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
(৫) নদীপথে যাতায়াত ব্যয় ও অতি কম।
(৬) নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা- বাণিজ্যেরও সুবিধা পাওয়া যায়। উক্ত কারণগুলোর এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন ৮। খবরের কাগজ, সাময়িক পত্র (ম্যাগাজিন) ইত্যাদিতে প্রকাশিত বন্যা এবং ভূমিস্খলনের ছবি সংগ্ৰহ করে একটি অ্যালবাম প্রস্তুত কর।
উত্তরঃ নিজে কর।
প্রশ্ন ৯। গুয়াহাটি থেকে ডিব্রুগড় পযর্ন্ত ব্রক্ষপুত্রের দক্ষিণ পারে স্থিত উপনদীসমূহের নাম লেখো। প্রয়োজনবোধে শিক্ষক ও ভূচিত্রাবলির সাহায্য নেবে।
উত্তরঃ কপিলি, ধনশিরি, দিখৌ, ডিগারু, বুড়িদিহিং, দরিকা ইত্যাদি।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। মাজুলি কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তরঃ জোরহাট জেলায়।
প্রশ্ন ২। ডিব্রু-সৈখোয়া, কাজিরাঙা এবং লাউখোয়া ব্রক্ষপুত্র নদীর কোন পারে অবস্থিত?
উত্তরঃ ডিব্রু সৈখোয়া—দক্ষিণ পারে।
কাজিরাঙা—-দক্ষিণ পারে।
লাউখোয়া—দক্ষিণ পারে।
প্রশ্ন ৩। ব্রক্ষপুত্রের উত্তর এবং দক্ষিণপারের প্রধান উপনদীগুলোর দুটো তালিকা প্রস্তুত কর।
উত্তরঃ ব্রক্ষপুত্রের উত্তর পারের নদীগুলো নাম—– সোবনশিরি, রাঙানদী, ডিক্রং, বুটর, বরগাং, জীয়াভরলু, গাভরু, জীয়া, ধনশিরি, বরনদী, পাগলাদিয়া, মানস,গদাধর, সোনকোষ, বেঁকি, পুঠিমারি ইত্যাদি।
ব্রক্ষপুত্রের দক্ষিণ পারের নদীগুলো হল—- ডিব্রু, বুড়িদিহিং, দিখৌ, জাজী, ধনশিরি, কলং, কপিলী, ডিগারু, কুলসী, দুধনৈ, কৃষ্ণাই, জিঞ্জিরাম, ভরলু ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪। বরাক নদীর প্রধান উপনদীগুলোর নাম লেখো।
উত্তরঃ উত্তর বাহিনী উপনদী : জিরিং, লাবাক, মাধুরা, দালু, জাটিঙ্গা, লারাং, ইত্যাদি।
দক্ষিণ বাহিনী উপনদী : সোনাই, কাটাখাল, ধনেশ্বরী, শিংলা, লংগাই ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫। ব্রক্ষপুত্রর মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ২৯০৬ কিলোমিটার।
প্রশ্ন ৬। অসমে ব্রক্ষপুত্র নদীর কয়টি উপনদী আছে?
উত্তরঃ ৯০ টি।
প্রশ্ন ৭। ব্রক্ষপুত্র নদীতে কোন স্থান থেকে কোন স্থান পযর্ন্ত সবসময়ই জাহাজ চলাচল করতে পারে?
উত্তরঃ নিমতি ঘাট থেকে ধুবড়ি পযর্ন্ত।
প্রশ্ন ৮। বরাক নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ প্রায় ৯০০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন ৯। অসমে বরাক নদীর কয়টি উপনদী আছে?
উত্তরঃ ২৭টি।
প্রশ্ন ১০। কীভাবে নদীতে চরের সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ শুকনো দিনে নদীর জল যাবার ফলে নদীর বিভিন্ন অংশে পলির অবক্ষেপগুলো বেরিয়ে আসে। এই অবক্ষেপগুলো ছোট বড় বিভিন্ন আকারের চর সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ১১। ব্রক্ষপুত্র নদীর অববাহিকায় নদী দ্বীপটির নাম কী?
উত্তরঃ মাজুলী দ্বীপ।
প্রশ্ন ১২। বাংলাদেশে ব্রক্ষপুত্রের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন ১৩। ব-দ্বীপ কাকে বলে?
উত্তরঃ নদীর মোহনার অংশে নদীর পরিবাহিত পলিগুলো জমা হয়ে ‘ব’ বা ত্রিভুজ আকৃতির দ্বীপের সৃষ্টি করে। একে ‘ব’ দ্বীপ বলে।
প্রশ্ন ১৪। নদীচরগুলোতে কী ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায়?
উত্তরঃ ম্যানগ্ৰোভ উদ্ভিদ।
প্রশ্ন ১৫। অসমে প্রতি বৎসরই বন্যার কারণ কী?
উত্তরঃ (১) বর্ষাকালে উত্তরের নদীগুলো হিমালয় পর্বত থেকে অত্যাধিক পলি নিয়ে আসে। ব্রক্ষপুত্র এবং উপনদীসমূহের নদীতল এবং পার্শ্ববর্তী স্থানে এই নদীবাহিত পলি জমা হতে থাকে। অনেক বৎসর ধরে এভাবে পলি জমা হয়ে ব্রক্ষপুত্র এবং উপনদীসমূহের নদীপৃষ্ঠ উঁচু হয়ে গেছে। ফলে নদীগুলোর জল বহণ ক্ষমতা কমে আসছে। কয়েকদিন একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে নদীবক্ষ ফুলে ফেঁসে উঠে দুপার ভাসিয়ে দেয়। অসমে প্রতি বৎসর বন্যা হওয়ার এটি একটি কারণ।
(২) এছাড়াও বর্ষাকালে কম সময়ের মধ্যে অত্যাধিক বৃষ্টিপাত, বাঁধ নির্মাণের ফলস্বরূপ সংকীর্ণ অংশ দিয়ে জল যাতায়াত বন্যার অপর একটি কারণ।
প্রশ্ন ১৬। নদী উপত্যকা অঞ্চলে ভূমিক্ষয়ের কারণ কী?
উত্তরঃ নদ-নদীসমূহের পার্শ্বখনন, নদীর ঢাল কম হওয়া, নদীপারের মাটি নরম হওয়া এবং নদীপৃষ্ঠ ক্রমশ উঁচু হওয়া ভূমিক্ষয়ের কয়েকটি প্রধান কারণ।
প্রশ্ন ১৭। ব্রক্ষপুত্রের দক্ষিণ পারে কোন কোন স্থানে ভূমিক্ষয় দেখা যায়?
উত্তরঃ ডিব্রুগড় শহর, রহমরিয়া, দিসাংমুখ, দিখৌমুখ, মরিয়াহোলা, নিমাতি, মাজুলি, ধিঙ, পলাশবাড়ি, ফকিরগঞ্জ ইত্যাদি স্থানে তীব্র ভূমিক্ষয় দেখা যায়।
প্রশ্ন ১৮। বার্ষিক জলপ্রবাহের পরিমাণের ভিত্তিতে ব্রক্ষপুত্রের পৃথিবীর নদ-নদীর মধ্যে স্থান কত?
উত্তরঃ তৃতীয়।
প্রশ্ন ১৯। ব্রক্ষপুত্র নদীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তরঃ আহোম রাজত্বকালে যাতায়াত, পরিবহণের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্ৰহের জন্যও ব্রক্ষপুত্র নদী ব্যবহৃত হত। ইংরেজরা যাতায়াত ও সম্পদ পরিবহণের জন্য এই নদীকে ব্যবহার করত। বর্তমানে বছরের সবসময় নিমাতি পযর্ন্ত বড় জাহাজ চলতে পারে। জাতীয় আভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগ পাণ্ডু এবং ধুবড়িতে দুটো বন্দর স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অসম এবং কলকাতার মধ্যে এই বন্দর দুটোর মাধ্যমে ভারী যন্ত্রপাতি, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্ৰী প্রচুর পরিমাণে পরিবহণ করা হয়। এছাড়াও ব্রক্ষপুত্রের ফেরিঘাটগুলোতে অসংখ্য যন্ত্রচালিত নৌকোয় মানুষ, জীবজন্তুসহ নানাপ্রকারের সামগ্ৰীও পারাপার করা হয়।
প্রশ্ন ২০। কৃষিক্ষেত্রে অসমের নদ-নদী ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তরঃ কৃষিক্ষেত্রে অসমের নদ-নদী বিশেষ ভূমিকা আছে। ব্রক্ষপুত্র এবং এর উপনদীসমূহের বর্ধিত জল প্রতি বৎসর বয়ে আনা পলিমাটি কৃষিকার্যের জন্য উপযোগী করে রাখে।অসমের প্রায় সব অঞ্চলই উর্বর ও ভেজা। এজন্য অসমে কৃষিকার্য ভাল হয়।
প্রশ্ন ২১। অসমে নদীর ধারে বসবাসকারী লোকেদের জীবিকা কী?
উত্তরঃ কৃষি ও মৎস্য শিকার।
প্রশ্ন ২২। অসমের একটি পর্যটনক্ষেত্রের নাম লেখ।
উত্তরঃ কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান।
প্রশ্ন ২৩। বরাক নদীর গতিপথের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ নাগাল্যাণ্ড, মণিপুরের সীমান্তবর্তী মরাম নামক অঞ্চল থেকে বরাকনদীর উৎপত্তি হয়েছে। এই নদী অসম এবং মণিপুরের সীমা অতিক্রম করে উত্তর দিকে এসে জিরি নামের উপনদীর সঙ্গে মিশে আবার পশ্চিমদিকে ঘুরে অসমে প্রবেশ করেছে। এই নদীটি অসমের কাছাড় জেলার মধ্য দিয়ে এবং হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ জেলার উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নদীটি দুভাগে ভাগ হয়েছে। কুশিয়ারা ও নামে ভাগ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
প্রশ্ন ২৪। বরাক নদীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ বরাক নদীর মধ্য এবং নিম্নাংশ যাতায়াতের উপযোগী। বরাক নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকেরা স্থানীয় নৌকায় যাতায়াত করে এবং কৃষিজাত সামগ্ৰী আনা-নেওয়া করে। বরাক নদীর অসম অংশের পলিমাটি থাকা অঞ্চলে কৃষিকার্য করা হয়। এর দুধারে প্রচুর পরিমাণে মৎস্য পাওয়া যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা মৎস্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে। শুকনো মাছ বিদেশেও পাঠানো হয়।
প্রশ্ন ২৫। ব্রক্ষপুত্র নদী শেষ পযর্ন্ত কোথায় পতিত হয়েছে?
উত্তরঃ ব্রক্ষপুত্র নদী প্রথমে গঙ্গার সঙ্গে এবং পরে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিশে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্ন ২৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো :—-
(ক) ব্রক্ষপুত্র নদীর মোট দৈর্ঘ্য ________ কিলোমিটার।
উত্তরঃ ২৯০৬।
(খ) অসমে ব্রক্ষপুত্র নদীর প্রায় ________ টি উপনদী আছে।
উত্তরঃ ৯০ টি।
(গ) বরাক নদী প্রায় ________ কিলোমিটার দীর্ঘ।
উত্তরঃ ৯০০।
(ঘ)________ জেলার ________ পর্বত উত্তরের ব্রক্ষপুত্র অববাহিকা এবং দক্ষিণের বরাক অববাহিকাকে পৃথক করেছে।
উত্তরঃ ডিমা হাসাও, বড়াইল।
(ঙ) কৈলাস পর্বতের কাছে ________ নামক স্থানটির ________হিমবাহ ব্রক্ষপুত্র নদীর উৎস স্থল।
উত্তরঃ তামচুক খাম্বালা চোরটেন, চেমা-য়ু-দুং।
(চ) মাজুলি দ্বীপের আয়তন প্রায় ________ বর্গকিলোমিটার।
উত্তরঃ ৫১৪।
(ছ) ________ সনের ভূমিকম্প ব্রক্ষপুত্রের গতিপথ এবং প্লাবনভূমিতে পরিবর্তন সাধন করে।
উত্তরঃ ১৯৫০।
(জ) বাংলাদেশে ব্রক্ষপুত্রের দৈর্ঘ্য ________ কিলোমিটার।
উত্তরঃ ৪৫০।
(ঝ) পলি পরিবহণে এই নদী পৃথিবীর মধ্যে ________ পর দ্বিতীয় স্থানে আছে।
উত্তরঃ হোয়াংহোর।
(ঞ) ব্রক্ষপুত্র এবং এর কয়েকটি প্রধান উপনদীতে ________যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
উত্তরঃ পরিবেশ পর্যটকের।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.