SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো :

(ক) ভক্তিবাদ বলতে কি বোঝায়?

উত্তরঃ ভগবানের সঙ্গে মানবাত্মার মিলন, ঈশ্বরের প্রতি অগাধ প্রেম তথা ভক্তির উপর গুরুত্ব দিয়ে মহাপুরুষগণ যে মতবাদের সৃষ্টি করেছিলেন সেই মতবাদটিই ভক্তিবাদ।

(খ) ভক্তিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠার দুটি কারণ কী কী?

উত্তরঃ ভক্তিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠার দুটি কারণ হল—–

(১) মানুষের মধ্যে সামাজিক ক্ষেত্রে উচ্চ- নীচের ব‍্যবধান।

(২) সম্ভ্রান্ত লোকদের একচেটিয়া সুযোগ- সুবিধা, কঠোর ধর্মীয় নিয়ম- নীতিসমূহ মানুষের মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল।

(গ) ‘দিব‍্য প্রবন্ধম’ কী?

উত্তরঃ আলভারসদের গান-বাজনা, মৌখিক সাহিত্যের কীর্তিরাজি পরবর্তীকালে সঙ্কলিতরূপে প্রকাশ পায়। আলভারসদের এই সঙ্কলিত সাহিত্য সম্ভারকে ‘দিব‍্য প্রবন্ধম’ বলা হয়।

(ঘ) উত্তর ভারতে ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত চারজন প্রধান ব‍্যক্তির নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) রামানন্দ।

(২) কবীর

(৩) সুরদাস। ও 

(৪) তুলসীদাস।

(ঙ) শঙ্করদেবের মতে মানুষ কীভাবে মুক্তিলাভ করতে পারে?

উত্তরঃ শঙ্করদেবের মতে মোক্ষলাভের জন্য আড়ম্বরপূর্ণ যাগ-যজ্ঞ, বলি ইত‍্যাদির কোনো প্রয়োজন নেই। ঈশ্বরের উপর একান্ত বিশ্বাস তথা নামভক্তির দ্বারাই মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারে।

প্রশ্ন ২। পাঠের ভেতরের উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নীচের শূন‍্যস্থান পূর্ণ করো—-

(ক) শঙ্করাচার্য ছিলেন ________ বিশ্বাসী।

উত্তরঃ অদ্বৈতবাদে।

(খ) খ্রিস্টীয় ________ থেকে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্মাবলম্বী তুর্কি- আফগানদের আবির্ভাব ঘটেছিল।

উত্তরঃ নবক শতক।

(গ) রামানন্দের মূল উপাস্য দেবতা ছিলেন ________।

উত্তরঃ বিষ্ণুর অবতার রাম।

(ঘ) তুলসীদাসকে ________ বলে গণ্য করেছিলেন।

উত্তরঃ বাল্মীকির অবতার।

(ঙ) গীতগোবিন্দে শ্রীকৃষ্ণের লীলার প্রশংসা এবং ________ প্রচার করা হয়েছে।

উত্তরঃ গরিমা।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো—–

উত্তরঃ (ক) শঙ্করাচার্য : শঙ্করাচার্যের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরালা রাজ‍্যে ভক্তির উপরে এক দার্শনিক ধর্মীয় মতবাদের উথান হয়েছিল। শঙ্করাচার্য অদ্বৈতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর মতে আত্মা এবং পরমাত্মার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মানুষের মধ‍্যেই ভগবান বিদ‍্যমান। সৎজ্ঞান সৎকর্মের দ্বারা মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারে। এইটিই অদ্বৈতবাদের মূলকথা।

(খ) জ্ঞানদেব : ভারতবর্ষের মহারাষ্ট্রে জ্ঞানদেবের নেতৃত্বে খ্রিস্টীয় ১৩ শতকে ভক্তি আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। জ্ঞানদেব গান- বাজনার দ্বারাই ভগবানের ভক্তির বাণী জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করেছিলেন। তিনি সমাজ ব‍্যবস্থার জাতিভেদ প্রথা, ধনী-দরিদ্র ইত্যাদি বৈষম‍্যগুলো দূর করে সহজ-সরল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাপনের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সব মানুষের মধ‍্যেই যে ভগবান বিদ‍্যমান সেই কথা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করেছিলেন। জ্ঞানদেবের এই বাণী পরবর্তীকালে নামদেব, একনাথ, একারাম, রামদাস প্রমুখ ভক্তিবাদীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।

(গ) রামানন্দ : রামানন্দ চতুর্থশ শতাব্দীতে জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন। তিনি উত্তর ভারতে হিন্দিভাষী অঞ্চলে ভক্তিবাদ আন্দোলনের প্রচারক ছিলেন। তিনি ছিলেন রামের উপাসক। তিনি হিন্দী ভাষায় ভক্তিধর্ম প্রচার করেছিলেন। সকল জাতীয় লোককেই তিনি দীক্ষা দিতেন। তাঁর শিষ‍্যদের মধ্যে অন‍্যতম ছিলেন কবীর। তাঁর বারজন প্রধান শিষ‍্যের মধ্যে একজন নাপিত, একজন মুচি এবং একজন জোলা ছিলেন।

(ঘ) নানক : নানক শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে কবীরের ভক্তিমার্গ বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর মতে ঈশ্বর একজন এবং তিনি অদ্বিতীয় ও নিরাকার। নানক হিন্দুধর্মের মূর্তিপূজাপদ্ধতি এবং জাতিভেদ প্রথা বিশ্বাস করতেন না। গুরু নানকের শিষ‍্যরা পরবর্তীকালে শিখ বলে পরিচিত হন। গুরু নানকের উপদেশাবলী সংকলিত হয়ে ‘ গ্ৰন্থসাহের’ নামে অভিহিত হয়েছে।

(ঙ) মীরাবাঈ : ভক্তিবাদের উপাসক মীরাবাঈ ছিলেন চিতোরের রাণা ভোজের সহধর্মিনী। গুজরাট ও রাজস্থানে মীরাবাঈয়ের নেতৃত্বে অন্য এক ভক্তিবাদের ধারা গড়ে উঠেছিল। মীরাবাঈ ভজন-কীর্তনের মাধ্যমে ভগবানের গুণ-গান জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করেছিলেন। ভক্তিমার্গের এই রূপ সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল। শেষ জীবনে তিনি রাজপ্রাসাদের বিলাসিতা ত‍্যাগ করে মথুরা ও বৃন্দাবনে সাধু-সঙ্গে জীবনযাপন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৪। আলভারসগণ কারা ছিলেন? তাঁদের মূল ধর্মমত কী ছিল?

উত্তরঃ আলভারসগণ বৈষ্ণবপন্থী ছিলেন। আলভারসরা বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন তাই তাদের মতে বিষ্ণুই শ্রেষ্ঠ এবং সৃষ্টির মূল।  অহংভাব ত‍্যাগ করে ভগবানের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারলেই মোক্ষ লাভ হয়। সর্বজীবের মধ‍্যেই ভগবানকে পাওয়া যায়, তাই জীব প্রেমই ভগবৎ প্রেমের আধার বা ভক্তি। এইভাবেই আলভারসরা ভারতীয় সংস্কৃতিতে বৈষ্ণব আন্দোলনের একটি নতুন ধারার সংযোজন ঘটিয়েছিলেন। তাঁরা ভক্তিবাদের ধারণাগুলোকে গান-বাজনার মাধ্যমে প্রচার করেছিলেন। দাক্ষিণাত‍্যে এই ভক্তি আন্দোলনের ধারা খ্রিস্টীয় ১১ শতক পযর্ন্ত প্রচলিত ছিল। এর মুখ‍্য পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রামানুজ।

প্রশ্ন ৫। সুফিবাদের মূলমন্ত্র কী ছিল? ভারতবর্ষের সুফিবাদের প্রসারে অগ্ৰণী ভূমিকা গ্ৰহণ করেছিলেন, এমন দুজন ব‍্যক্তির নাম লেখো।

উত্তরঃ সুফিবাদের মূলমন্ত্র হল এক ভগবানের উপাসনা করা। সুফিদের মতে প্রেম এবং একান্ত ভক্তির মাধ‍্যমেই ভগবানকে লাভ করা যায়। সুফিবাদীগণ অন‍্যান‍্য ধর্মকেও সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভগবৎ প্রেম ও মানব প্রেমের মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করা।

ভারতবর্ষে সুফিবাদের প্রসারে অগ্ৰণী ভূমিকা গ্ৰহণ করেছিলেন—— নিজামুদ্দিন আউলিয়া, মইনুদ্দিন চিস্তি, আব্দুল কাদির জিলানি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ব‍্যক্তিগণ।

প্রশ্ন ৬। কবীর কেন হিন্দু এবং ইসলাম ধর্মের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন?

উত্তরঃ কবীর এক মুসলমান তাঁতি পরিবারে বড়ো হয়েছিলেন। মুসলমান কবীর হিন্দু রামানন্দের প্রধান শিষ্য ছিলেন। ভগবানকে তিনি রাম, হরি, আল্লা, খোদা ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করেছিলেন। রামানন্দের মতো কবীরও কবিতার দ্বারা ভক্তিধর্ম প্রচার করেছিলেন। তাঁর রচিত ভক্তিমার্গের কবিতাগুলোকে ‘দোহা’ বলা হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে কবীর এতেই জনপ্রিয় ছিলেন যে সমসাময়িক মুসলমানরা তাকে সুফি সাধক এবং হিন্দুরা তাকে রামভক্ত হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই তাঁর শিষ‍্যত্ব গ্ৰহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন ৭। ভক্তি আন্দোলনের নেতাগণ ধর্ম ছাড়াও সমাজ সংস্কারের কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন?

উত্তরঃ ভক্তি আন্দোলন ভারতের সামাজিক ক্ষেত্রেও ব‍্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এই আন্দোলনের পর থেকেই জাতিভেদ প্রথা, উচ্চ-নীচ, ধনী- দরিদ্র, আচার-অনুষ্ঠানের বাহুল্য অনেকখানি হ্রাস পেয়েছিল। উদার মানবীর দৃষ্টিভঙ্গি ভক্তিবাদের ভিত্তি হওয়ার জন্য নারীরাও পুরুষের সঙ্গে একসঙ্গে ধর্ম চর্চা এবং প্রচারের সুবিধা লাভ করেন। হিন্দু- মুসলমানের মধ্যে ঐক‍্য-সংহতি বৃদ্ধিতেও ভক্তি আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্ৰহণ করেছিল।

আঞ্চলিক ভাষার উথান এই আন্দোলনের এক অন‍্যতম দিক ছিল। সংস্কারকগণ তাঁদের মতবাদসমূহ সকলের বোধগম্য হওয়ার জন্য আঞ্চলিক ভাষার মাধ মে তা প্রচার করেছিলেন। এর ফলে হিন্দি, বাংলা, মারাঠী, মৈথিলী, তামিল, অসমিয়া, ব্রজবুলি ইত্যাদি ভাষাসমূহ সমৃদ্ধ হয়েছিল। শিখ ধর্মের উথান ভক্তিবাদ আন্দোলনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল।

এককথায় ভক্তিবাদ হল ভারতীয় সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং পরম্পরা বিশ্লেষণের একটি প্রক্রিয়া। ভারতের রাষ্ট্রীয় ঐক্য এবং সংহতি স্থাপন করার ক্ষেত্রে ভক্তিবাদ আন্দোলন এক বিশেষ ভূমিকা গ্ৰহণ করে এসেছে।

প্রশ্ন ৮। ভারতবর্ষে ভক্তি আন্দোলন জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ ভারতবর্ষে ভক্তি আন্দোলন জনপ্রিয় হওয়ার কারণগুলো নীচে উল্লেখ করা হল—-

(ক) প্রাচীন ভারতে হিন্দুধর্মের অবনতি ঘটেছিল এবং সামাজিক শোষণের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিল। সুতরাং সাধারণ মানুষ এইরূপ পরিস্থিতি হতে উদ্ধার পাওয়ার কামনা করেছিল।

(খ) ভারতে মুসলমান রাজত্ব আরম্ভ হওয়ার হিন্দুগণ শঙ্কিত হয়ে পড়ে বিশেষ করে ধর্মান্তর প্রতিরোধ করার উপায় খুঁজতে থাকে। সুতরাং সংস্কারের মাধ্যমে নিজ ধর্ম ও সমাজ রক্ষার জন্য ভক্তি আন্দোলন সমর্থন করেছিল।

(গ) সুফি মতবাদের বহু কথাই হিন্দুদের মনে প্রতিক্রিয়া করেছিল। সেই মানসিক প্রতিক্রিয়াই ভক্তি আন্দোলনকে অধিক শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছিল।

(ঘ) ভক্তি আন্দোলনের সামাজিক সংস্কার কার্যসূচী হিন্দু সমাজের অনেককে আকর্ষিত করে তুলেছিল।

প্রশ্ন ৯। অসমিয়া সমাজে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের অবদানের বিষয়ে ৫০ টি শব্দের ভেতর একটি টীকা লেখো।

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। অসমীয়া সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ সংস্কার এই সকল ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসীম। তাঁর রচিত গ্ৰন্থসমূহের ভাষা ও ভাবদর্শনকে অনুসরণ করে অসমীয়া সাহিত্যের উদ্ভব হয়। তিনি ২৪টি গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে কীর্তন ও দশম পুঁথির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সঙ্গীত ও সুকুমার শিল্পের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রূপদান মহাপুরুষ শঙ্করদেবের অবদান। তাঁর চেষ্টায় সর্বভারতীয় ভক্তি আন্দোলন পূর্ব ভারতে এক দৃঢ় ও সুস্পষ্ট রূপ পায়। মহাপুরুষ শঙ্করদেবই জনসাধারণকে বলে গিয়েছিল যে, পবিত্রতা ও আন্তরিকতাই ধর্মের প্রধান বস্তু।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের জন্য আড়ম্বরপূর্ণ পূজার্চনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করো কি? যুক্তি সহকারে বোঝাও।

উত্তরঃ ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের জন্য আড়ম্বরপূর্ণ পূজার্চনার প্রয়োজন নেই। অহংকার ত‍্যাগ করে ভগবানের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারলেই মোক্ষ লাভ হয়। সর্বজীবের মধ‍্যেই ভগবানকে পাওয়া যায়, তাই জীব-জন্ত, গাছপালা ইত্যাদি সবই ভগবানের সৃষ্টি। জীব-জন্তুর সেবাই ঈশ্বরের সেবা করা। “জীবে প্রেম করে যেই জন,  সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”।

প্রশ্ন ২। কী কারণে মধ‍্যযুগে একাংশ হিন্দু জনসাধারণ ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল? দলগতভাবে আলোচনা করো।

উত্তরঃ হিন্দুধর্মের কঠোর নিয়ম-নীতি, জাতিভেদ প্রথা, উচ্চ-নীচ, ধনী-দরিদ্র ইত্যাদি সমাজের নিম্ন শ্রেণির জনসাধারণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তাঁরা সবসময়ই এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিল।

ইসলাম ধর্মে যাগ-যজ্ঞ এবং মূর্তিপূজা নাই। এই ধর্মে একজনকেই ঈশ্বর (আল্লা) হিসাবে উপাসনা করা হয় এবং ঈশ্বর বা আল্লার দৃষ্টিতে  সবাই সমান। ফলে হিন্দু সমাজের একাংশ অবহেলিত মানুষ এই ধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের রচিত গ্ৰন্থগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করো। (প্রয়োজন বোধে শিক্ষক এবং অভিভাবকের সাহায্য নেবে)।

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব রচিত গ্ৰন্থাবলী ‘ভাগবত কীর্তন, রামায়ণ, রুক্মিণী হরণ, উৎকল মালা, বৈষ্ণবামৃত, অনাদিপাতন, ভক্তিপ্রদীপ, ভক্তিরত্নাকর, অজামিল উপাখ‍্যান, কুরুক্ষেত্র, বলিছলন, কালীয় দমন, রাসযাত্রা নাটক, পত্নীপ্রসাদ নাটক ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪। “ভক্তিবাদ ভারতীয় সমাজে সাহিত্য- সংস্কৃতির পরিসর বিস্তৃত করেছে”— কথাগুলোর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ভক্তিবাদের সময়ে ধর্মাচার্যগণ জনসাধারণের জন্য সহজ‍্যবোধ‍্য ভাষায় ধর্ম প্রচার ও গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন। এর ফলে প্রাদেশিক ভাষাসমূহের উন্নতি হয়েছিল। যেমন—- রামানন্দ হিন্দি ভাষায় কবিতা রচনা করে ভক্তিধর্ম প্রচার করেছিলেন। কবীরের দোহাগুলো হিন্দি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। এই দোহাগুলোর কিছু অংশ শিখ ধর্ম গ্ৰন্থ ‘গুরু গ্ৰন্থসাহেব’ -এ সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে । গুজরাট, রাজস্থান ও তামিল নাডুতে আঞ্চলিক ভাষায় ভক্তিধর্ম প্রচার করা হয়েছিল। সংস্কৃত ভাষায়ও ভক্তিধর্ম প্রচার করা হয়েছিল। অসমে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব অসমিয়া ভাষায় ভক্তিধর্মের ধর্মশাস্ত্রগুলো রচনা করে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করার সঙ্গে সঙ্গে সমাজ সংস্কারেও মনোনিবেশ করেছিলেন। এইভাবে ভক্তিবাদ ভারতীয় সমাজে সাহিত্য-সংস্কৃতির পরিসর বিস্তৃত করেছে। ভক্তি আন্দোলনের ফলে হিন্দি, বাংলা, মারাঠী, মৈথিলী, তামিল, অসমিয়া, ব্রজবুলি ইত্যাদি ভাষাসমূহ সমৃদ্ধ হয়েছিল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভক্তি আন্দোলনের প্রবর্তকদের মধ্যে কার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য?

উত্তরঃ রামানন্দ।

প্রশ্ন ২। রামানন্দ কার অনুগামী ছিলেন?

উত্তরঃ বৈষ্ণবগুরু রামানুজের।

প্রশ্ন ৩। রামানন্দের শিক্ষার মূলকথা কি?

উত্তরঃ প্রেম ও ঐকান্তিক ভক্তি।

প্রশ্ন ৪। রামানন্দের শ্রেষ্ঠ শিষ্য কে ছিলেন?

উত্তরঃ কবীর।

প্রশ্ন ৫। কবীর কোথায় জন্মগ্ৰহণ করেন?

উত্তরঃ বেণারস।

প্রশ্ন ৬। ভক্তিবাদের প্রথম উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল?

উত্তরঃ তামিল দেশে।

প্রশ্ন ৭। বৈষ্ণবপন্থীদের কি নাম ছিল?

উত্তরঃ আলভারস।

প্রশ্ন ৮। শৈবপন্থীদের কি বলা হত?

উত্তরঃ নায়নার।

প্রশ্ন ৯। শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তরঃ গুরু নানক।

প্রশ্ন ১০। কত খ্রিস্টাব্দে গুরু নানকের জন্ম হয়?

উত্তরঃ ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১১। কোন স্থানে গুরু নানকের জন্ম হয়?

উত্তরঃ লাহোরের নিকটে তালবন্দী গ্ৰামে গুরু নানকের জন্ম হয়।

প্রশ্ন ১২। শিখদের ধর্মগ্ৰন্থের নাম কি?

উত্তরঃ গুরু গ্ৰন্থসাহেব।

প্রশ্ন ১৩। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কোথায় জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ নগাওঁ জেলার বরদোয়া গ্ৰামে।

প্রশ্ন ১৪। অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক কে ছিলেন?

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব।

প্রশ্ন ১৫। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের মতবাদের প্রধান উৎস কি ছিল?

উত্তরঃ দশম স্কন্দ ভাগবত ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা।

প্রশ্ন ১৬। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের সঙ্গে কার মতবাদের মিল আছে?

উত্তরঃ গুরু নানক।

প্রশ্ন ১৭। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কয়টি গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ ২৪টি গ্ৰন্থ।

প্রশ্ন ১৮। বঙ্গদেশে ভক্তি আন্দোলনের প্রধান উদ‍্যোক্তা কে ছিলেন?

উত্তরঃ চৈতন‍্যদেব।

প্রশ্ন ১৯। বৈষ্ণব ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারক কে?

উত্তরঃ চৈতন‍্যদেব।

প্রশ্ন ২০। ভারতে চিস্তি সম্প্রদায় কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ খাজা মইনউদ্দিন চিস্তি।

প্রশ্ন ২১। গুরু নানকের অনুগামীগণ কি নামে পরিচিত?

উত্তরঃ শিখ।

প্রশ্ন ২২। সুফি মতবাদ প্রথমে কোন দেশে উৎপত্তি হয়েছিল?

উত্তরঃ পারস্য দেশে।

প্রশ্ন ২৩। সুফিগণ কিসের মাধ্যমে ভগবানকে পেতে খুঁজেছিল?

উত্তরঃ সঙ্গীতের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ২৪। চৈতন‍্যদেবের ধর্মের মূলকথা কি?

উত্তরঃ ঈশ্বর ভক্তি ও জীবে দয়া।

প্রশ্ন ২৫। “দোহা” কে রচনা করেন?

উত্তরঃ কবীর।

প্রশ্ন ২৬। শিখ শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ শিষ্য।

প্রশ্ন ২৭। সুফিবাদের মূলমন্ত্র কি?

উত্তরঃ সুফিবাদের মূলমন্ত্র হল এক ভগবানের উপাসনা করা।

প্রশ্ন ২৮। “রামচরিত মানস” কে রচনা করেন?

উত্তরঃ তুলসীদাস।

প্রশ্ন ২৯। মানুষ তুলসীদাসকে কি বলে গণ্য করত?

উত্তরঃ মানুষ তুলসীদাসকে বাল্মীকির অবতার বলে গণ্য করত।

প্রশ্ন ৩০। অদ্বৈতবাদের মূল কথা কী?

উত্তরঃ সৎজ্ঞান এবং সৎকর্মের দ্বারা মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারে।

প্রশ্ন ৩১। দক্ষিণ কেরালা রাজ‍্যে কার নেতৃত্বে ভক্তিবাদের উথান হয়েছিল?

উত্তরঃ রামানুজ।

প্রশ্ন ২৩। মীরাবাঈ কিভাবে ভক্তিবাদ জনসাধারণের মধ্যে বিলিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মীরাবাঈ ভজন-কীর্তনের মাধ্যমে ভগবানের গুণ-গান জনসাধারণের মধ্যে বিলিয়েছিলেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আলভারসগণের মতবাদের মূল কথা কি?

উত্তরঃ আলভারসরা বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন তাই তাদের মতে বিষ্ণুই শ্রেষ্ঠ এবং সৃষ্টির মূল। অহংকার ত‍্যাগ করে ভগবানের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারলেই মোক্ষ লাভ হয়। সর্বজীবের মধ‍্যেই ভগবানকে পাওয়া যায়, তাই জীব প্রেমই ভগবৎ প্রেমের আধার বা ভিত্তি।

প্রশ্ন ২। কবীরের দুটি প্রধান উপদেশ লেখ।

উত্তরঃ কবীরের দুটি প্রধান উপদেশ হল—-

(১) মনের পবিত্রতা ও ঐকান্তিক ভক্তিই মানুষকে ধার্মিক করে তুলে।

(২) সকল ধর্মই সমান। সকল মানুষই একই পরমেশ্বরের সৃষ্টি।

প্রশ্ন ৩। ভক্তি আন্দোলনের ফলে ভারতীয় হিন্দু সমাজে কি কি পরিবর্তন হয়েছিল?

উত্তরঃ (১) ভক্তি আন্দোলনের ফলে ভারতীয় হিন্দু সমাজে উচ্চ-নীচ জাতিভেদের প্রাধান্য লোপ পেয়েছিল।

(২) ভক্তি আন্দোলনে ভারতীয় প্রাদেশিক ভাষাচর্চার একটি নতুন অধ‍্যায় সৃষ্টি করে।

(৩) ভক্তি আন্দোলনের মহাপুরুষগণ সামাজিক সংহতি স্থাপনে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৪। কোন কোন মহাপুরুষ ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল?

উত্তরঃ ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত প্রধান মহাপুরুষ বা ব‍্যক্তিগণ ছিলেন—— রামানন্দ, জ্ঞানদেব, নামদেব, একনাথ, কবীর, মীরাবাঈ, সুরদাস, তুলসীদাস, নানক,শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রমুখ।

প্রশ্ন ৫। সুফি মতবাদের প্রধান কথা তিনটির বিষয়ে উল্লেখ কর।

উত্তরঃ (১) সুফিগণের মতে প্রেম ও একান্ত ভক্তিতে ভগবানকে পাওয়া যায়।

(২) সুফিবাদে প্রেম ও সহনশীলতাকে প্রধান গুরুত্ব দেয়।

(৩) সুফিসন্ত পুরুষগণ মানবতা ও সমতার কথা বলেছিলেন।

প্রশ্ন ৬। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের শিক্ষার মূল কথা কি ছিল?

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের চিন্তাধারা ও মতবাদের প্রধান উৎস ছিল দশম স্কন্ধ ভাগবত ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা। তিনি একেশ্বরবাদী ছিলেন। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের ধর্মমত হল—- নাম, দেব, গুরু ও ভক্তি। তাঁর মতে ভক্তিভাবে কৃষ্ণনাম শ্রবণ-কীর্তন করার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কিছুই না।

প্রশ্ন ৭। ভক্তি আন্দোলনের দুটি মূল কথা উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ভক্তি আন্দোলনের মূল কথা দুটি হল–

(১) ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান, সর্বত্র বিদ‍্যমান ও সর্বজ্ঞ বলে স্বীকার করা।

(২) ভক্তি আন্দোলনের আর একটি মূলকথা হল একেশ্বরবাদে পূর্ণ বিশ্বাস করা।

প্রশ্ন ৮। আলভারস ও নায়নার সম্প্রদায়ের ভক্তি আন্দোলনে কোন কোন সম্প্রদায়ের লোক জড়িত ছিল?

উত্তরঃ আলভারস এবং নায়নার সম্প্রদায়ের ভক্তি আন্দোলনে শ্রমিক, কৃষক, কুমার, শিকারি,সৈনিক, ব্রাক্ষণ এমন কী অস্পৃশ্য লোকও জড়িত ছিল।

প্রশ্ন ৯। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো—–

উত্তরঃ (ক) চৈতন‍্যদেব : চৈতন‍্যদেব বৈষ্ণব ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারক। তাঁর মতে ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস ও ভক্তিই মুক্তির একমাত্র উপায়’। তিনি জাতিভেদ প্রথা বিশ্বাস করতেন না। চৈতন‍্যদেবের সাম‍্যবাদ ও মিলন মন্ত্র বাংলার আধ‍্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল।

প্রশ্ন ১০। শূন্যস্থান পূর্ণ করো—–

(১) আলভারসগণ ________ ছিলেন।

উত্তরঃ বৈষ্ণবপন্থী।

(২) নায়নারগণ ________ ছিলেন।

উত্তরঃ শৈবপন্থী।

(৩) সৎজ্ঞান এবং ________ দ্বারা মানুষ মুক্তি লাভ করতে পারে।

উত্তরঃ সৎকর্মের।

(৪) কবীর এক মুসলমান ________ পরিবারে বড়ো হয়েছিলেন।

উত্তরঃ তাঁতি।

(৫) সুফিবাদের মূলমন্ত্র হল এক ________ উপাসনা করা।

উত্তরঃ ভগবানের।

(৬) ________ ধর্মের উথান ভক্তিবাদ আন্দোলনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল।

উত্তরঃ শিখ।

(৭) ________ শিষ‍্যরা পরবর্তীকালে শিখ বলে পরিচিত হন।

উত্তরঃ গুরু নানকের।

(৮) খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে অসমে ________- নেতৃত্বে ভক্তি আন্দোলন গড়ে উঠে।

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভক্তিবাদ আন্দোলনের মূল কথাগুলো বিশদভাবে ব‍্যাখ‍্যা কর।

উত্তরঃ ভক্তিবাদের প্রথম উৎপত্তি হয় তামিল দেশে।রামানুজ ও নামদেব দক্ষিণ ভারতে ভক্তি আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন।

আন্দোলনের মূল কথা হল— ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান, সর্ববিদ‍্যমান ও সর্বজ্ঞ বলে স্বীকার করা। একেশ্বরবাদে পূর্ণ বিশ্বাস ভক্তিবাদের অন্য একটি মূলকথা। মোক্ষলাভের জন্য ভক্তিভাবে ভগবানের নাম, আরাধনাই যথেষ্ট।প্রকৃত গুরুই মোক্ষলাভের পথ দেখিয়ে দেন। ধর্মের গোঁড়ামি ও সঙ্কীর্ণতা বর্জন করে সৃষ্টিকর্তা ভগবানের প্রতি গভীর প্রেম ও ভক্তি এবং ভগবৎ সৃষ্ট সর্বশ্রেণির মানুষকে প্রীতি ও প্রেমে আবদ্ধ করাই ছিল তাঁদের মূল উপদেশ। ভক্তি আন্দোলনের উদ‍্যোক্তাগণ পৌত্তলিকতা, অন্ধবিশ্বাস, তান্ত্রিক ক্রিয়াকাণ্ড,আড়ম্বরপূর্ণ যাগযজ্ঞ এইগুলোর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা মানুষের মধ্যে সমতা ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের কথা বলেছিলেন।

রামানন্দ, কবীর, নানক,নামদেব, চৈতন‍্যদেব, শ্রীমন্ত শঙ্করদেব প্রভৃতি মহাপুরুষগণ ভক্তি আন্দোলনের উদ‍্যোক্তা ছিলেন।তাঁদের প্রচেষ্টার ফলে ভারতে এক নতুন ধর্মভাবের বন‍্যা বয়ে যায়।এর প্রভাবে দেশের জনগণ ধর্ম ও সামাজিক রীতিনীতিতে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠে।

প্রশ্ন ২। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের ধর্মমত বিষয়ে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ ১৪৪৯ খ্রিস্টাব্দে নগাওঁ জেলার বরদোয়া গ্ৰামে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব জন্মগ্ৰহণ করেন।তিনি ইতিহাস বিখ্যাত শিরোমণি ভূঞার বংশে জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন।শ্রীমন্ত শঙ্করদেব দুইবার তীর্থ ভ্রমণে গিয়েছিলেন।তীর্থ ভ্রমণ কালে তিনি গভীরভাবে ভক্তিধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন।শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ও তাঁর প্রধান শিষ্য মাধবদেব আসামে ভক্তিধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন।

ধর্মমত : শ্রীমন্ত শঙ্করদেব আসামে ভক্তিমার্গের বিশুদ্ধ একশরণ ভাগবত ধর্মমত প্রচার করেছিলেন।শঙ্করদেবের চিন্তাধারা ও মতবাদের প্রধান উৎস ছিল দশমস্কন্ধ ভাগবত ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতি। অন‍্যান‍্য বৈষ্ণব মহাপুরুষদের মত শঙ্করদেবও একেশ্বরবাদী ছিলেন। মহাপুরুষ শঙ্করদেবের ধর্মমত, নামদেব, গুরু ও ভক্তি এই চারটি বিষয়ে প্রাধান্য লাভ করেছে। যাগ-যজ্ঞ, তন্ত্র-মন্ত্র, জাতপাতের বিচার নিরর্থক। তাঁর মতে ভক্তিভাবে কৃষ্ণনাম শ্রবণ-কীর্তন করা হতে অন্য কিছু শ্রেষ্ঠ হতে 

2 thoughts on “SEBA Class 8 Social Science Chapter 9 নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top