SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 10 প্ৰত্যাহ্বান Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

প্ৰত্যাহ্বান

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

(ক) পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টির নাম কী?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টির নাম নজরুল মেমোরিয়াল মিউজিক একাডেমি।

(খ) গান ও তবলা ছাড়া পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর আর কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে?

উত্তরঃ গান ও তবলা ছাড়া পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে।

(গ) কারা পঙ্কজ চক্রবর্তীকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে শিখিয়েছিলেন? 

উত্তরঃ বাবা পূর্ণেন্দু চক্রবর্ত্তী এবং মা রেণুকা চক্রবর্ত্তী পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে শিখিয়েছিলেন।

(ঘ) ছোটোবেলা প্রিন্সি গগৈ প্রতিবেশী এবং সমাজের কাছ থেকে কী থরনের ব্যবহার পেয়েছিলেন?

উত্তরঃ ছোটোবেলা প্রিন্সি গগৈকে কিছু লোক সহমর্মিতার দৃষ্টিতে কাছে টেনে নিয়েছিলেন এবং কিছু লোক অমঙ্গলের প্রতীক বলে গণ্য করেছিলেন।

(ঙ) লেখাপড়া ছাড়া প্রিন্সি গগৈর আর কী কী বিষয়ে আগ্রহ আছে?

উত্তরঃ লেখাপড়া ছাড়া প্রিন্সি গগৈ পায়ের আঙুলের সাহায্যে ছবি  আঁকেন।

(চ) দুর্ঘটনার পর জুলি বরুয়ার মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তরঃ দুর্ঘটনার পর জুলি বরুয়া মানসিকভাবে খুব অসহায় বোধ করেছিলেন।

(ছ) “আপনাদের মতো আমারও দুটি হাত দিল- কবিতাটি কে রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ আপনাদের মতো আমারও দুটি হাত ছিল- কবিতাটি রচনা করেছিলেন জুলি বরুয়া।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

২। উত্তর লেখো।

(ক) প্রিন্সি গগৈ ছোটোবেলায় কী ধরনের সামাজিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন?

উত্তরঃ জন্মের সময় থেকেই প্রিন্সি গগৈর দুটি হাত ছিল না। কিছু লোক তাকে সহমর্মিতার দৃষ্টিতে কাছে টেনে নিয়েছিলেন আর কিছু লোক তাকে অমঙ্গলের প্রতীক বলে গণ্য করে। একটি বিদ্যালয় প্রিন্সি গগৈকে ভর্তি নেয়নি। কেবল সোনারির রাজঢাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় সাদরে কাছে টেনে নিয়েছিল।

(খ) “একটি বড়ো গাছ হয়ে ছায়া দিতে চাই” এখানে জুলি বরুয়া কাদের কথা বলেছেন এবং তিনি তাঁদের কেন ছায়া দিতে চেয়েছেন ?

উত্তরঃ অনাদর এবং অবহেলার মধ্যে যেসব দিব্যাঙ্গরা বেঁচে আছে জুলি বরুয়া তাদের কথা বলেছেন।

তিনি দিব্যাঙ্গদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখেন। তাদের সম্ভাবনাকে সাকার করার জন্য জ্বাল বরুয়ার একটি পরিকল্পনা আছে।

৩। পঙ্কজ চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষা সম্বন্ধে লেখো।

উত্তরঃ মাত্র তিন বছর বয়সে পঙ্কজ চক্রবর্তীর টাইফয়েডে দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। চোখের কারণে তার যখন পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না তখন গান শিখতে শুরু করলেন। শ্রী শ্যামাদাস চক্রবর্তীর কাছেই তার প্রথম সংগীতের হাতে খড়ি। কিছু দিন তার কাছে সংগীত শেখার পর শ্রীমতি সুপ্রিয়া রায় এবং শ্রীমতি আরতি চৌধুরীর কাছে সংগীত শিক্ষা নেন। তারপর বিশিষ্ট সংগীতগুরু স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ লাল মহাশয়ের কাছে দীর্ঘদিন সংগীতের পাঠ গ্রহণ করেন। তিনি খুব যত্ন সহকারে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসা দিয়ে সংগীতের তালিম দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে গান ও তবলায় পঙ্কজ চক্রবর্তী ভাতখণ্ড সংগীত বিদ্যাপীঠ থেকে বিশারদ ডিগ্রি লাভ করেন। বঙ্গীয় সংগীত পরিষদ থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নজরুলগীতিতে ‘সংগীত রত্ন’ ও ‘সংগীত প্রবর’ ডিগ্রি লাভ করেন। সংগীতের থিয়োরি পরীক্ষার সময় তিনি মুখে মুখে প্রশ্নের উত্তর বলতেন আর অন্য কেউ তা পরীক্ষার খাতায় লিখে দিতেন।

খ – ভাষা অধ্যয়ন

৪। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।

উত্তরঃ পরবর্তী – পূর্ববর্তী। 

সফল – বিফল।

উত্তীর্ণ – অনুত্তীর্ণ। 

অমঙ্গল – মঙ্গল।

বিশ্বাস – অবিশ্বাস।

আনুষ্ঠানিক – আড়ম্বরশূন্য।

সক্ষম – অক্ষম।

৫। বাক্য রচনা করো।

উত্তরঃ আনুষ্ঠানিক- এই কাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হল।

গতিপথ- জীবনের গতিপথ নির্দিষ্ট করতে হয়।

প্রচেষ্টা- প্রচেষ্টা ছাড়া সফলতা আসে না।

যন্ত্রণা- জীবন সবসময় যন্ত্রণাময় হয় না।

কর্তব্য- নিজের কর্তব্য পালন করতে হয়।

৬। কারক ও বিভক্তি দ্বারা শূন্যস্থান পূর্ণ করো-

উত্তরঃ (ক) মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় – অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি

(খ) প্রিন্সি গগৈ নেমকেয়ার হসপিটালে চাকরি করেন- কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি।

(গ) বনে বাঘ আছে- অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

(ঘ) দিব্যাঙ্গকে সম্মান দাও- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি।

(ঙ) এ কলম দিয়ে লেখা যায় না- করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি।

(চ) জুলিকে ডাকো- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি।

৭। আত্মবিশ্বাস যে মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয় এই কথাটি পাঠের সাহায্যে বুঝিয়ে বলো।

উত্তরঃ জীবনের ধর্মই হল এগিয়ে যাওয়া। আমাদের জীবন সবসময় কণ্টকশূন্য মসৃণপথে এগোয় না। কখনো নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়, কখনো আবার প্রতিবন্ধকতাহীন থাকে। আমরা চলার পথে যে বাধাপ্রাপ্ত হই না কেন নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে চলতে হবে। আত্মবিশ্বাসের জোরে নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির দ্বারা সব প্রতিকূলতাকে ঠেলে চলতে হবে। কারণ আমরা চাই আর না চাই দিনরাত্রির পরিবর্তন হবে, সময় পালটিয়ে যাবে। পৃথিবীতে নানা ঘটনা ঘটবে।

মানুষ যদি জীবনের প্রতিবন্ধকতাগুলির সামনে মাথা নত করে তাহলেই সমাজের মূলস্রোত থেকে হারিয়ে যাবে। একা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ক্রমশ সবার চোখের আড়ালে চলে গিয়ে নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলবে। কিন্তু মানব রূপে পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে হার মেনে নেওয়া মানে হেরে যাওয়া, জীবনকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করা। কোনো মানুষই সম্পূর্ণ সুখী নয়, আবার কেউই সম্পূর্ণ দুঃখী নয়। ভাঙা গড়া ওঠা পড়া নিয়েই বেঁচে থাকা। আত্মবিশ্বাসে ভর করে যা আছে আর যা নেই সব কিছুকে নিয়েই জীবনকে যাপন করতে হবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো অন্যায়। তাই নিজের অদম্য মনোবল বজায় রেখে নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবন সার্থক, নচেৎ নয়।

৮। বিশেষভাবে সক্ষম বা দিব্যাঙ্গদের প্রতি অবহেলার মনোভাব দূর করতে তুমি কী কী করবে?

উত্তরঃ (ক) বিশেষভাবে সক্ষম বা দিব্যাঙ্গদেরকে করুণার দৃষ্টিতে নয় ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

(খ) সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।

(গ) তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে হবে।

(ঘ) সব কাজে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দান করতে হবে।

(ঙ) সমাজের সকলের মধ্যে দিব্যাঙ্গদের প্রতি মনোভাব পাল্টানোর চেষ্টা করতে হবে।

(চ) প্রয়োজনে দলবদ্ধ হয়েও এই কাজগুলি করা যেতে পারে।

(ছ) অন্যান্যদের মতো দিব্যাঙ্গদের সাথেও স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে।

(জ) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।

(ঝ) সরকার নির্ধারিত সুযোগ সুবিধাগুলি যাতে পায় তার চেষ্টা করতে হবে।

(ঞ) বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের আর্থিক স্বনির্ভরতার দিকেও নজর দিতে হবে।

ঘ- প্রকল্প

৯। নিজে করো।

১০। নিজে করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

(ক) কত বছর বয়সে পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী চোখ অন্ধ হয়ে যায়?

উত্তরঃ তিন বছর বয়সে টাইফয়েডে পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর চোখ অন্ধ হয়ে যায়।

(খ) পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর বড়ো মামার নাম কী?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর বড় মামার নাম নারায়ণ চক্রবর্ত্তী।

(গ) তার বাবা কীভাবে পড়াশোনা শেখাতেন?

উত্তরঃ তার বাবা বড়ো বড়ো কাগজের বাক্স কেটে তার ওপর সাদা কাগজ লাগিয়ে তুলি দিয়ে বাংলা অক্ষরগুলো লিখে অক্ষরজ্ঞান করিয়ে ছিলেন।

(ঘ) পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী সব কিছু শনাক্ত করার অভ্যাস কীভাবে করেছিলেন?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী ছোট থেকেই স্পর্শের অনুভূতি দিয়ে সব কিছু শনাক্ত করার অভ্যাস করেছিলেন।

(ঙ) তিনি কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকতা করেন?

উত্তরঃ তিনি গান ও তবলার শিক্ষকতা করেন।

(চ) শিক্ষকতা ছাড়া পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর আর কী কী বিষয়ে আগ্রহ আছে?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর হোমিওপ্যাথির চিকিৎসাপদ্ধতি জানা এবং সমসাময়িক বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখার ব্যাপারে আগ্রহ আছে। ছোটবেলা থেকেই তার স্মরণশক্তি প্রবল। তাই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির বই তাকে বাড়ির লোক এবং ছাত্রছাত্রীরা পড়ে শোনায়, সংবাদপত্র পড়ে শোনায়, আর তিনি নিজে টিভিতে খবর শোনেন। গান ও কবিতা রচনাতেও পঙ্কজবাবুর প্রবল আগ্রহ। তার রচিত গান ও কবিতাগুলি ছাত্রছাত্রীরা লিখে রাখে।

(ছ) পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর সংগীতগুরু কে ছিলেন?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর সংগীত গুরু ছিলেন স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রলালনাথ মহাশয়।

(জ) তিনি কবে কোথায় সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ তিনি ১৯৯৭ খ্রিঃ উধারবন্দে নিজের বাসভবনে সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

(ঝ) পঙ্কজ চক্রবর্ত্তী কি কি সম্মান লাভ করেছেন?

উত্তরঃ পঙ্কজ চক্রবর্তী ২০১৮ সালে কবি সুরদাস সম্মান লাভ করেছেন। সম্মানপত্রটি প্রদান করেছিলেন অসমের রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ মুখি। শিলচর “সংগীত চক্র” এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ওস্তাদ রসিদ খাঁ-এর সঙ্গে তার সহায়ক হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেছেন।

(ঞ) দিব্যাঙ্গদের জন্য তার পরামর্শ কী?

উত্তরঃ দিব্যাঙ্গদের জন্য পঙ্কজ চক্রবর্ত্তীর পরামর্শ হল- দিব্যাঙ্গরা অন্যের দয়ায় বাঁচতে চায় না। তারা চায় ভালোবাসা, স্নেহ আর অনুপ্রেরণা। তাছাড়া ঈশ্বর প্রদত্ত অন্যান্য ক্ষমতাগুলি নিজের মধ্যে আছে তা খুঁজে বের করে সেগুলোর মাধ্যমে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা।

(ট) প্রিন্সি গগৈ কীভাবে শিক্ষাজীবন শুরু করেন?

উত্তরঃ প্রিন্সি গগৈ পা দিয়ে লিখে শিক্ষাজীবন শুরু করেন।

(ঠ) তিনি কোথা থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন?

উত্তরঃ তিনি সোনারি জাতীয় বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

(ড) প্রিন্সি গগৈ কোথায় স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন করছেন?

উত্তরঃ প্রিন্সি গগৈ কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ রাজ্য মুক্ত বিশ্ব-বিদ্যালয় স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন করছেন।

(ঢ) তিনি মনের দুঃখ কীভাবে লাঘব করেন?

উত্তরঃ তিনি গান গেয়ে মনের দুঃখ লাঘব করেন।

(ণ) প্রিন্সি গগৈর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?

উত্তরঃ প্রথমে অর্থনৈতিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না। অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে বর্তমানে গুয়াহাটির নেমকেয়ার হসপিটালে কর্মরত।

(ত) দিব্যাঙ্গদের জন্য প্রিন্সি গগৈর বার্তা কী?

উত্তরঃ দিব্যাঙ্গদের জন্য প্রিন্সি গগৈর বার্তা হল জীবনের গতিপথে নানা বাধা বিঘ্ন থাকবেই। সেগুলোকে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যাওয়াটাই মূল বিষয়। তিনি নিজে এই চিন্তাধারাতে এগিয়ে চলেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করেন।

(থ) জুলি বরুয়া কীভাবে হাত হারিয়েছেন?

উত্তরঃ গুয়াহাটি থেকে লখিমপুরে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় দুটো হাত হারিয়েছেন।

(দ) জুলি বরুয়ার লেখা কবিতাটি লেখো।

উত্তরঃ আপনাদের মতো আমারও দুটি হাত ছিল যে দুটি হাতে সাজিয়ে ছিলাম বালিঘর।

মায়ের চাদরের আঁচল ছিঁড়ে খেলেছিলাম বর কনে এবং ভালোবেসে ধরেছিলাম নানা রঙের প্রজাপতি।

(ধ) জুলি বরুয়া দিব্যাঙ্গদের জন্য কী করতে চান?

উত্তরঃ জুলি বরুয়া দিব্যাঙ্গদের বড়ো গাছের মতো ছায়া দিতে চান। তাদের জন্য খাদ্য বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখেন। তাদের সম্ভাবনাকে সাকার করার জন্য তার একটি পরিকল্পনা আছে।

(ন) জুলি বরুয়া বর্তমানে কী করেন?

উত্তরঃ জুলি বরুয়া বর্তমানে অসম সরকারের তথ্য এবং জন সংযোগ বিভাগে সহকারী গবেষণা আধিকারিক রূপে কর্মরত।

টীকা লেখো-

স্টিফেন হকিং- স্টিফেন উইলিয়াম হকিং সি এইচ, সিবিই, একআরএস, পিএইচডি (৮ জানুয়ারী ১৯৪২, ১৪ মার্চ ২০১৮) বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব, হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল কসমে লেজির গবেষণা প্রধান ছিলেন।

পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুটি অবদান সর্বত্র স্বীকৃত, প্রথম জীবনে রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতার সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব কৃষ্ণবিবর এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে কৃষ্ণবিবর থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকিরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে পরিচিত। তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ আর্টসের সম্মানীয় ফেলো এবং পন্টিফিক্যাল একাডেমী অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম খেতাবে ভূষিত হন।

২০০২ সালে বিবিসির সেরা ১০০ ব্রিটনস জরিপে তিনি ২৫ তম স্থান অধিকার করেন।

শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ গেহরিগ নামক একপ্রকার মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথবর্তার দিকে চলে যান। তবুও বহু বছর যাবৎ তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সাথে চালিয়ে যান। বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার পরও তিনি এক ধরনের শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্যে অপরের সাথে যোগাযোগ করতেন। তত্ত্বীয় কসমোলজি আর কোয়ান্টাম মধ্যাকর্ষ হকিংয়ের প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র। ১৯৬০ এর দশকে সহকর্মী রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি নতুন মডেল তৈরি করেন। সেই মডেলের উপর ভিত্তি করে ১৯৭০ এর দশকে হকিং প্রথম তাদের তত্ত্বের প্রথমটি প্রমাণ করেন। এই তত্ত্বগুলো প্রথমবারের মতো কোয়ান্টাম মহাকর্ষে এককত্বের পর্যাপ্ত শর্তসমূহ পূরণ করে। এই তত্ত্বের পর প্রথম বোঝা গেল এককতত্ত্বের বীজ লুকানো ছিল আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে।

প্রবন্ধ লেখো-

প্রতিবন্ধীদের প্রতি দেশ ও জাতির কর্তব্য

প্রবন্ধ সূত্র- ভূমিকা- প্রতিবন্ধী সমস্যা। প্রতিবন্ধীদের প্রতি মানুষের কর্তব্য- রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণা- ভারতের প্রতিবন্ধী- উপসংহার।

দৈহিক ত্রুটিসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী মানুষ বলে। জন্মগত কারণে, রোগভোগে কিংবা আকস্মিক দুর্ঘটনায় মানুষ অন্ধ, মূক, বধির, পঙ্গু বা অঙ্গ হীন হয়ে পড়ে। তারা কর্মহীন নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকে। পরের করুণার ওপর কষ্টেসৃষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হয়। কিন্তু বর্তমানে সমাজ এই প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হয়েছে।

প্রতিবন্ধী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম সমস্যা। বিশ্বে অন্তত পঞ্চাশ কোটি প্রতিবন্ধী রয়েছে। ভারতের মতো সমস্যাসংকুল দেশেও প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। এদের কাছে সমাজে ; সুষ্ঠভাবে জীবনযাপনের পথ খোলা নেই। এরা পরনির্ভরশীল। অথচ এদের মধ্যে বিদ্যাবুদ্ধি ও বিভিন্ন বিষয়ে যে নৈপুণ্য রয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এদের জীবনে পদে পদে বাধা। জীবনের বৈচিত্র্য উপভোগে এরা অক্ষম। কর্মের জগতে অনাদৃত উপেক্ষিত। এদের আত্মবিশ্বাস নেই। অনিশ্চয়তার অন্ধকারে হতাশায় এদের জীবন কেটে যায়। সমাজের মানুষ ভুলে যায় এরা আমাদের আপনজন, আমাদেরই আত্মীয়স্বজন- বৃহৎ সামাজিক পরিবারের এরা অন্তর্ভুক্ত সদস্য।

মনে রাখতে হবে জীবসেবায় ও জীবকস্যাণে মানবজীবনের সার্থকতা। পরার্থপর্থপরতায় জীবনের প্রকৃত সুখ। জীবসেবা মানুষের পরম কর্তব্য। অন্তরের সমস্ত সহানুভূতি ও সহৃদয়তা উজাড় করে দিয়ে প্রতিবন্ধীদের কর্মক্ষম করে তোলার জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। প্রতিবন্ধীদের জীবনের দুর্দশা আসলে সভ্যতার এক বিরাট ক্ষত। ১৯৮১ সাল ছিল বিশ্ব প্রতিবন্ধী বর্ষ। এর উদ্দেশ্য স্বাভাবিক মানুষের মতো প্রতিবন্ধীদের জীবন বিকশিত হোক। এর জন্য রাষ্ট্রসংঘ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সমাজের মানুষ যেন এই সত্যটি গভীরভাবে উপলব্ধি করে যে, প্রতিবন্ধীরা দেশ, জাতি ও পরিবারের বোঝা নয়। তারা আমাদের অনুকম্পার পাত্র নয়। তাদের যদি আমরা গ্রহণ করি, তাদের কর্মক্ষম করে তুলি, তবে তারা জীবনের গ্লানি থেকে মুক্ত হবে। ঘৃণিত, অবহেলিত, উপেক্ষিত মানুষ নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে- তারা পূর্ণ অধিকারলাভে সুযোগ পাবে। তখন প্রতিবন্ধীদের সহযোগে সমাজ আরও প্রাণময় ও গতিশীল হয়ে উঠবে। তাই সর্বাগ্রে আমাদের চারপাশে যে প্রতিবন্ধকতা বিরাজমান, তা দূর করতে রাষ্ট্র ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবন্ধীদের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট কর্মসূচী গ্রহণ করে তাকে রূপায়িত করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আমোদ-প্রমোদ সব ব্যাপারেই গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্রসংঘ পৃথিবীর সব মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন।

অপুষ্টি বা দুরারোগ্য ব্যাধির জন্য শারীরিক ক্ষত হতে পারে, তাহলে গোড়া থেকেই সে রোগের সম্ভাবনাকে দূর করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। অপুষ্টি থেকে অন্ধত্ব আসে। টাইফয়েড, বসন্ত ও ডিপথেরিয়া প্রভৃতি সংক্রামক ব্যাধি থেকে মানুষের বিকলাঙ্গতা ঘটে সরকারের স্বাস্থ্যবিঘাগ সজাগ হলে প্রতিবন্ধকতা কমে যাবে।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবন্ধীদের যথাযথ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছিলেন। প্রতিবন্ধীরা এর ফলে দৈহিক ও মানসিক বাধা অতিক্রম করে সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্যের প্রয়োজন। সুখের বিষয় বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে এদের জন্য অভাবনীয় কাজ হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্ণোদ্যম এগিয়ে এসেছেন। এদের জন্য সরকারি চাকরির দুই শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেক নিয়োগ-কর্তৃপক্ষের কাছে অন্তত একজন করে প্রতিবন্ধীর কর্মসংস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও কর্মনিয়োগকেন্দ্র খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করছেন, ছাত্রবৃত্তি ও দক্ষ প্রতিবন্ধী কর্মীয় জন্য পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদীক্ষার জন্য আরও বিদ্যালয় ও ওয়ার্কসপ স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, এদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ ও খেলাধূলার ব্যবস্থা জোরদার করা উদ্যোগ চলছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এই মহান ব্রত উদযাপনের কাজ করে চলেছে। কলকাতার ডেফ অ্যাণ্ড ডাম্ব স্কুল, ব্লাইণ্ড স্কুল, অলকেন্দু বোধনিকেতন, বোধিপীঠ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ দি চ্যারিটিজ, রিহ্যাবিলিটেশন অফ ইণ্ডিয়া, লাইট হাউস ফর দি ব্লাইও, রাঘবেন্দ্র ব্যানার্জী ইন্‌স্টিটিউট ফর মেন্টালি রিসার্চ ও চিলড্রেন অ্যাণ্ড গাইড সেন্টার প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কেবল সভাসমিতি, আড়ম্বড়পূর্ণ বক্তৃতা, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনে যেন আমাদের কর্তব্য ফুরিয়ে না যায়। প্রতিবন্ধীদের সর্বতোভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা দেবার জন্য সর্বপ্রকার সাহায্য দেওয়া আমাদের মানবিক ও নৈতিক কর্তব্য। মনে রাখতে হবে সুযোগ-সুবিধা পেলে প্রতিবন্ধীরা সমাজের আর পাঁচজন সুস্থ ও সবল মানুষের মতো কর্মক্ষম হবেই। তখন অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাসে সমাজে যারা অন্যের কৃপাপ্রার্থী, যারা অপাঙ্ক্তেয় ও নিরানন্দের অন্ধকারে জীবনৃত- তারা প্রতিবন্ধকতার বাধা চূর্ণবিচূর্ণ করে বেরিয়ে আসবে কর্মের জগতে। তারা বুঝবে সমাজে তাদেরও বিশেষ ভূমিকা আছে। তারা যাতে নিজেদের শক্তিতে অধিষ্ঠিত হতে পারে সেইরকম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত কাজে নিযুক্ত করতে পারলে তারা অবশ্যই দক্ষতার পরিচয় দেবেন।

দেখা গেছে সৃষ্টিকর্তা প্রতিবন্ধীদের বিশেষ বিশেষ ক্ষমতা দেন। হেলেন কেলার পৃথিবীর প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের প্রেণা, আশা, আলো আমাদের চক্ষুহীন শিল্পী বিনোদবিহারী সংস্কৃতির গর্ব। তিনি যেসব ছবি এঁকেছেন তা বিস্ময়কর, ইনার আই-এর মৌলিক প্রতিভার পরিচয়। রাষ্ট্রসংঘের আবেদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এগিয়ে এসেছে সমস্যার সমাধানে। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও সাহায্য ও সহানুভূতির দক্ষিণহস্ত সম্প্রসারিত করেছে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধীরা জীবনের জয়যাত্রা মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। কর্ম ও সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাদের মহিমান্বিত আত্মপ্রতিষ্ঠা ঘটুক- জয় জয় জয় হে মানব-অভ্যুদয়।’

ব্যাকরণ

উদ্দেশ্য ও বিধেয়-

বাক্যের দুটি অংশ- একটি উদ্দেশ্য এবং অপরটি বিধেয়।

বাক্যে যাকে উদ্দেশ্য করে বা যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে। আর, উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা বলা হয় তাকে বলে বিধেয়। যেমন- বৃদ্ধ লোকটির বড়ো কষ্টে দিন চলে। -এই বাক্যে কার সম্বন্ধে বলা হল? উত্তর : বৃদ্ধ লোকটির সম্বন্ধে। সুতরাং ‘বৃদ্ধ লোকটি হল, উদ্দেশ্য। বৃদ্ধ লোকটি সম্বন্ধে কী বলা, হল? উত্তর- বড়ো কষ্টে দিন চলে। সুতরাং বাক্যের অন্তর্গত ‘বড়ো কষ্টে দিন চলে’ অংশটি হল, বিধেয় ৷

নীচের ছকের মধ্যে আরও কয়েকটি বাক্যের উদ্দেশ্য এবং বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখানো হল-

বাক্য- (ক) সৌরভ বাংলার গর্ব। 

(খ) ফুল ফুটেছে গোলাপ বাগানে।

(গ) এখন বাড়ি যাও।

উদ্দেশ্যবিধেয়
(ক) সৌরভ (হয়) বাংলার গর্ব।
(খ) ফুলফুটেছে গোলাপ বাগানে।
(গ) –এখন বাড়ি যাও।

কর্তা ও সমাপিকা ক্রিয়াপদ- বাক্যের উদ্দেশ্য অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল, কর্তা ; আর বিধেয় অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল, সমাপিকা ক্রিয়াপদ। -উপরের ছকে উদ্দেশ্য-অংশের পদগুলি (সৌরভ, ফুল) হল, কর্তা ; বিধেয় অংশের ক্রিয়াপদগুলি (ফুটেছে, যাও) হল, সমাপিকা ক্রিয়াপদ। 

(ক) বাক্যের বিধেয় অংশে সমাপিকা ক্রিয়াপদ ‘হয়’ উহ্য আছে ; বন্ধনীর মধ্যে তা দেখানো হয়েছে।

(খ) বাক্যের উদ্দেশ্য অংশে কোনো কর্তা নেই ; এখানেও কর্তা ‘তুমি’ বা ‘তোমরা’ উহ্য আছে।

মনে রেখো- অনেক সময় কোনো কোনো বাক্যের উদ্দেশ্য অংশে কর্তা বা বিধেয় অংশে সমাপিকা ক্রিয়াপদ উহ্য থাকতে পারে।

উদ্দেশ্য প্রসারক ও বিধেয় প্রসারক

উদ্দেশ্য প্রসারক- বাক্যে কর্তাকে আশ্রয় করেই উদ্দেশ্য গড়ে ওঠে। সুতরাং, কর্তার বিশেষণ বা বিশেষণ জাতীয় যা কিছু পদ, বা কর্তার পরিচয় দেয় এমন এক বা একাধিক পদই হল উদ্দেশ্যের প্রসারক। উদ্দেশ্যের পরিচায়ক পদ বা পদগুলিকেই উদ্দেশ্যের প্রসারক বলে। যেমন- দশরথের পুত্র রামচন্দ্র বনে গেলেন। -এই বাক্যে উদ্দেশ্য হল, ‘রামচন্দ্র’। উদ্দেশ্য প্রসারক হল, ‘দশরথের পুত্র’। প্রয়োজনে উদ্দেশ্য প্রসারক পদ আরও বাড়ানো যেতে পারে। যেমন- অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র হল উদ্দেশ্য – ‘রামচন্দ্র’-এর প্রসারক।

বিধেয় প্রসারক- বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াপদকে আশ্রয় করেই বিধেয় অংশ গড়ে ওঠে। সুতরাং, সমাপিকা ক্রিয়ার বিশেষণ বা বিশেষণস্থানীয় পদ বা বাক্যাংশ বিধেয় প্রসারক হতে পারে। আবার কর্মকারক, কর্মের প্রসারক, করণকারক, অসমাপিকা ক্রিয়া ইত্যাদি সংযোগে বিধেয়কে প্রসারিত করা যায়।

সুতরাং, সমাপিকা ক্রিয়ার বিশেষণ বা বিশেষণস্থানীয় পদ, বাক্যাংশ, কর্ম-করণ কারক, অসমাপিকা ক্রিয়াপদ-কে বিধেয় প্রসারক বলে। যেমন-

আশ্রমের শিষ্যরা প্রতিদিন সকালে গীতা আবৃত্তি করেন। -এই বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াপদ হল, ‘করেন’। ‘প্রতিদিন সকালে’ ক্রিয়ার প্রসারক। গীতা- কর্মকারক ; এবং ‘আবৃত্তি’- কর্মের প্রসারক।

আর একটি বাক্য দেখো: অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। -এই বাক্যের উদ্দেশ্য অংশ, ‘অমর্ত্য সেন’-কে যথাসম্ভব প্রসারিত করে বলা যায়- বাংলার কৃতী সন্তান অধ্যাপক অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আবার বিধেয় অংশে সমাপিকা ক্রিয়াকে প্রসারিত করে বলা যায় আর্থ-সামাজিক গবেষণা বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তাহলে সম্পূর্ণ বাক্যটি দাঁড়া এইরকম: বাংলার কৃতী সন্তান অধ্যাপক অমর্ত্য সেন আর্থ-সামাজিক গবেষণা বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তোমরা জেনেছ যে, বাক্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল। -উদ্দেশ্য  এবং সমাপিকা ক্রিয়া। উদ্দেশ্য-বিধেয় প্রসঙ্গে যে বাক্যগুলি উদাহরণস্বরূপ আলোচনা করা হয়েছে, সেই সব-কয়টি বাক্যই সরল বাক্য।

বাক্যের সাধারণ গঠন

কয়েকটি ধ্বনি বা বর্ণ মিলে যখন কোনো অর্থ প্রকাশ করে তখন সেই ধবনি বা বর্ণসমষ্টিকে শব্দ বলে। আবার শব্দ বিভক্তিযুক্ত হলে, শব্দ ‘পদ’-এ পরিণত হয়। যখন কতকগুলি পদ পাশাপাশি অবস্থান করে মনের কোনো বিশেষ ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে, তখন সেই পাশাপাশি অবস্থিত পদসমষ্টিকে বাক্য বলে। যেমন-

(ক) ছেলেরা মাঠে খেলে। 

(খ) গাছে ফুল ফোটে।

উপরের বাক্য দুটি লক্ষ করলে দেখবে প্রতিটি বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলি বিভক্তিযুক্ত হয়ে পদে পরিণত হয়েছে। বিভক্তিগুলি বাদ দিয়ে যদি বাক্য দুটি লেখা হয়, তাহলে বাক্য দুটি এইভাবে লিখতে হয়-

(ক) ছেলে মাঠ খেল্ । 

(খ) গাছ ফুল ফুট্। 

– দেখো, পাশাপাশি  শব্দগুলি অবস্থান করেও কোনোটিই বাক্য হয়নি। কারণ, বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলিতে উপযুক্ত বিভক্তি নেই। আবার দেখো, বাক্যের দগুলি যদি একটু ওলট-পালট করে লেখা হয়, তাহলেও বাক্য হবে না। যেমন-

(ক) খেলে ছেলেরা মাঠে। 

(খ) ফোটে গাছে ফুল। 

সুতরাং বাক্যের পদগুলির পারস্পরিক একটা সম্পর্ক থাকা চাই -এলোমেলো পদ সাজালে বাক্য হবে না।

উপরের বাক্য দুটিতে ব্যবহৃত পদগুলিতে কীভাবে বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখো-

(ক) শব্দ বিভক্তি পদ। 

ছেলে রা = ছেলেরা।

মাঠ এ = মাঠে।

খেল্ এ = খেলে।

(খ) শব্দ বিভক্তি পদ

গাছ এ = গাছে।

অ/শূন্য = ফুল।

ফুল এ = ফুটে বা ফোটে।

(খেলে – সমাপিকা ক্রিয়াপদ) (ফোটে – সমাপিকা ক্রিয়াপদ)

(ক) বাক্যের বিভক্তিগুলি হল- রা, এ, এ এবং। 

(খ) বাক্যের বিভক্তিগুলি হল- এ, ‘অ’ বা শূন্য বিভক্তি, এ।

মনে রেখো – বাক্যের মধ্যে অনেক সময় কোনো কোনো শব্দের সঙ্গে রা, এ, অ, এর, য়, র ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত থাকে না। তথাপি এমন ক্ষেত্রে ধরে নিতে হয় তার সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে আছে। এইরকম অদৃশ্য বিভক্তির নাম ‘অ’ বিভক্তি বা শূন্য বিভক্তি, শব্দ বিভক্তি যুক্ত হয়েই পদ হয়।

আবার একটি বাক্য দেখো- ‘আমি রোজ ভোরে ব্যায়াম’ -এই বাক্যটিতে বিভক্তিযুক্ত শব্দ (পদ) পাশাপাশি থাকা সত্ত্বেও এটি বাক্য হয়নি। কারণ, বক্তার মনের ভাবটি এর মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়নি। বাক্যটির পূর্ণতার জন্য আরও এক বা একাধিক পদের অবস্থান প্রয়োজন। আসলে, বাক্যটিতে সমাপিকা ক্রিয়াপদের অভাব রয়েছে। বাক্যটিতে ‘করি’ -সমাপিকা ক্রিয়াপদটি অসমাপ্ত বাক্যটির শেষে বসালে বাক্যটি সম্পূর্ণ অর্থবহ হয়ে ওঠে। যেমন আমি রোজ ভোরে ব্যায়াম করি। সুতরাং বাক্যগঠনের জন্য একটি সমাপিকা ক্রিয়াপদ অবশ্যই দরকার। কিন্তু অনেক সময় কোনো কোনো বাক্যের গঠনে সমাপিকা ক্রিয়াপদটি ব্যবহার না করে উহ্য রাখা হয়। যেমন-

ছেলেটি গরিব ঘরের ছেলে। -এই বাক্যটিতে লক্ষ করে দেখো কোনো ক্রিয়াপদ নেই। আসলে, সমাপিকা ক্রিয়াপদ ‘হয়’ উহ্য রয়েছে।

সমাপিকা ক্রিয়াপদ কী? ক্রিয়া অর্থ হল, কাজ। যে পদের সাহায্যে কোনো কাজ করা বোঝায়, সেই পদই হল ক্রিয়াপদ। আর যে-ক্রিয়াপদের দ্বারা বক্তার মনের ভাবটি সম্পূর্ণরূপে বাক্যে প্রকাশ পায় অথবা, যে-ক্রিয়াপদে বক্তার বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়াপদ বলে।

আবার, যে ক্রিয়া বা কাজটি সম্পন্ন করে তাকে বলে, কর্তা। কর্তা ছাড়া ক্রিয়া সম্পন্ন হয় না। যেমন -রাম বিদ্যালয়ে যায়। -এই বাক্যে ‘রাম’ হল কর্তা। বিদ্যালয়ে যাওয়া’ কাজটা কে করছে? উত্তর -রাম। অর্থাৎ রামের দ্বারা বিদ্যালয়ে যাওয়া কাজটা সম্পন্ন হচ্ছে। সুতরাং, বাক্যটিতে কর্তা হল- রাম। আগেই জেনেছ, কর্তা ছাড়া কোনো কাজ (বা ক্রিয়া) সম্পন্ন হয় না ; তাই বাক্যও গঠন করা যায় না। তবে, অনেক সময় কোনো কোনো বাক্যে কর্তা ‘উহ্য’ থাকে। এটা বাক্য গঠনের দোষ নয়। এটা বাক্যের একপ্রকার গঠনরীতি। যেমন- সত্যি কথা বলবে। -এই বাক্যে কর্তা ‘তুমি’ বা তোমরা উহ্য রয়েছে। আর একটি বাক্য দেখো- ‘ভিতরে আসতে পারি? -এখানেও কর্তা ‘উহ্য’, আসলে কর্তা হল- ‘আমি।’

তাহলে, এবার আমরা বলতে পারি- বাক্য গঠনের জন্য অপরিহার্য হল, একটা কর্তা, আর একটা সমাপিকা ক্রিয়াপদ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top