SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 13 প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
ক্রিয়াকলাপ
ক – পাঠভিত্তিক
১। (ক) কোন কোন সালে অসমের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৮৯৭ এবং ১৯৫০ সালে অসমে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প হয়েছিল।
(খ) ১৮৯৭ সালের অসম ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল কোথায় ছিল?
উত্তরঃ ১৮৯৭ সালের অসম ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল খাসিয়া জয়ন্তিয়া পাহাড়।
(গ) ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারী মাসে ভারতের কোন রাজ্যে ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল?
উত্তরঃ ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারীতে গুজরাট রাজ্যের ভুজ অঞ্চলে ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল।
(ঘ) কোন সালের ভূমিকম্পের ফলে অসমে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পের ফলে অসমে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
২। নিজের খাতায় উত্তর লেখো।
(ক) চানডুবি বিল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তরঃ বর্তমান কামরূপ জেলার বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণের স্থান চানডুবি বিল এক সময় পাহাড় ছিল। প্রবল ভূমিকম্পতেই এটি একটি বিলে পরিণত হয়েছিল।
(খ) ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পের ফলে অসমে কী কী পরিবর্তন হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পে গাছপালায় ভরপুর অরুণাচল পাহাড়ের বিশাল অংশ খসে ব্রহ্মপুত্রের বুক ভরাট করে দিয়েছিল এর ফলে অসমে প্রলয়ঙ্করী বন্যা হয়েছিল এবং অনেক নদীর গতিপথ বদলে গিয়েছিল।
(গ) সুনামি কী?
উত্তরঃ সাগরের ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ এবং সমুদ্রগর্ভে আলোড়নের জন্য জলের মধ্যে সৃষ্ট প্রবল ঢেউকে সুনামি বলে।
(ঘ) ভারতবর্ষের কোন কোন স্থানে ২০০৪ সালের সুনামি প্রভাব ফেলেছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষের তামিলনাড়ু, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়ায় প্রভাব ফেলেছিল।
S.L. No. | সূচি পত্র |
পাঠ -১ | গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র |
পাঠ -২ | জাতকের গল্প |
পাঠ -৩ | পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া |
পাঠ -৪ | মাতৃপূজা |
পাঠ -৫ | বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা |
পাঠ -৬ | আশার আলো |
পাঠ -৭ | পড়ার হিসাব |
পাঠ -৮ | মিসাইল মানব |
পাঠ -৯ | অসম |
পাঠ -১০ | প্ৰত্যাহ্বান |
পাঠ -১১ | ভালো থেকো |
পাঠ -১২ | আমার ছেলেবেলা |
পাঠ -১৩ | প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ |
পাঠ -১৪ | হে ভারতের শ্ৰমজীবি |
পাঠ -১৫ | মালেগড় |
খ – ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
৩। বাক্য রচনা করো।
পাহাড় ____________।
আনন্দ ____________।
বনভোজন ____________।
আতঙ্ক ____________।
চানডুবি বিল ____________।
ভূমিকম্প ____________।
উত্তরঃ পাহাড় – আমি অনেক পাহাড় দেখেছি।
আনন্দ – জন্মদিনে খুব আনন্দ হল।
বনভোজন – আজ আমাদের বিদ্যালয়ের বনভোজন।
আতঙ্ক – এলাকায় ভুতের আতঙ্ক তৈরী হয়েছে।
চানডুবি বিল – চানডুবি বিল আগে পাহাড় ছিল।
ভূমিকম্প – ভূমিকম্প হলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৪। শব্দ গঠন করো-
সাবধান + তা = ____________।
বিচ্ছিন্ন + তা = ____________।
বিভিন্ন + তা = বিভিন্নতা
বিশাল + তা = ____________।
মধুর + তা = ____________।
উত্তরঃ সাবধান + তা = সাবধনতা।
বিচ্ছিন্ন + তা = বিচ্ছিন্নতা।
বিভিন্ন + তা = বিভিন্নতা।
বিশাল + তা = বিশালতা।
মধুর + তা = মধুরতা।
৫। অব্যয় পদগুলো বের করে লেখো।
উত্তরঃ এই র্যে, বা, এবং, উঃ।
৬। পাঠের ভেতরের যুগ্ম শব্দগুলো খুঁজে বের করে লেখো।
উত্তরঃ হাজার হাজার, গাছপালায়, ভরপুর, অহরহ, মুখে মুখে, বাড়িঘর, ওঠা-নামা, ক্ষয়-ক্ষতি, লক্ষ লক্ষ, মাঝে মাঝে, দুঃখ কষ্ট, গৃহহারা।
গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ
উত্তর দাও-
৭। নিজে করো।
৮। ভূমিকম্পের সময় বাবা মায়েরা যা করতে বলেন তা হল :
উত্তরঃ (ক) ভূমিকম্পের সময় বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে উন্মুক্ত স্থানে দাঁড়াতে বলেন।
(খ) পাকা বাড়ি ঘর বা বহুতল অট্টালিকার ভেতরে থাকলে বিছানার নিচে বা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বলেন।
(গ) সম্ভব হলে বহুতল বাড়িগুলির কোণের স্তম্ভের পাশে আশ্রয় নিতে বলেন।
(ঘ) ভূমিকম্পের সময় লিফটে উঠতে বারণ করেন।
(ঙ) বাড়ির মূল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বলেন।
(চ) বড়ো গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলেন।
(ছ) কম্পন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এক জায়গায় স্থির থাকতে বলেন।
৯। নীচের ছবিটি দেখো, এই ছবির অবলম্বনে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ (ক) ছবিটিতে একটি বর্ষাকালের দৃশ্য বর্ণিত হয়েছে।
(খ) বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
(গ) ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক অভিভাবীকারাও সাথে রয়েছেন।
(ঘ) কয়েকটি যানবাহন চলাচল করছে।
(ঙ) বালক বালিকারা জলে নৌকা ভাসাচ্ছে।
১০। ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা বা বন্যার ধ্বংসলীলা স্পর্কে বর্ণনা করে প্রত্যেকেই একটি কবিতা, গল্প বা অনুচ্ছেদ প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ নিজে করো।
১১। আকস্মিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করো।
বিষয়- বনা, ভূমিকম্প, ব্রহ্মপুত্র নদী, ঝড়-বৃষ্টি, হিমালয় পর্বত, গণতন্ত্র দিবস।
উত্তরঃ নিজে করো।
ঘ – প্রকল্প
১২। নিজে করো।
১৩। নিজে করো।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
টীকা লেখো।
ভূমিকম্প – ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এরূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। কম্পন তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূগর্ভের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক / দুই মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি ও ধনসম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।
বেশির ভাগ ভূমিকম্পের কারণ হল ভূগর্ভে ফাটল ও স্তরচ্যুতি হওয়া কিন্তু সেটা অন্যান্য কারণ যেমন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, খনিতে বিস্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষণায় ঘটানো আণবিক পরীক্ষা থেকেও হতে পারে। ভূমিকম্পের প্রাথমিক ফাটলকে বলে ফোকাস বা হাইপোসেন্টার।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র – পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখান থেকে ভূকম্প তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। এই কেন্দ্র থেকে কম্পন ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের মাধ্যমে সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শিলার পীড়ন ক্ষমতা সহ্যসীমার বাইরে চলে গেলে শিলায় ফাটল ধরে এবং শক্তির মুক্তি ঘটে। সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিমির মধ্যে এই কেন্দ্র অবস্থান করে। তবে ৭০০ কিমি গভীরে গুরুমণ্ডল থেকেও ভূকম্পন উত্থিত হতে পারে।
ভূমিকম্পের কারণ- সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে।
(ক) ভূপৃষ্ঠ জনিত – আমাদের ভূপৃষ্ঠ অনেকগুলি প্লেট-এর সমন্বয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো একটি আরেকটির থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটল দ্বারা। এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূঅভ্যন্তরের সকল গলিত পদার্থ। কোনো প্রাকৃতিক কারণে এই গলিত পদার্থগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটলে প্লেটগুলোরও কিছুটা স্থানচ্যুতি ঘটে। এ কারণে একটি প্লেটের কোনো অংশ অপর প্লেটের তলায় ঢুকে যায়, যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনই ভূমিকম্প রূপে প্রকাশিত হয়।
আগ্নেয়গিরিজনিত – কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ও গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে।
শিলাচ্যুতিজনিত – কখনো কখনো পাহাড় কিংবা উঁচু স্থান থেকে বৃহৎ পরিসরে শিলাচ্যুতি কারণে ভূমিকম্প হতে পারে।
ভূপাত – কোনো কারণে পাহাড় পর্বত থেকে বৃহৎ শিলাখণ্ড ভূত্বকের ওপর ধসে পড়ে ভূমিকম্প হয়। সাধারণত ভাজ পর্বতের নিকট অধিক ভূমিকম্প হয়।
ভূগর্ভস্থ বাষ্প – নানা কারণে ভূগর্ভে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে তা ভূত্বকের নিম্নভাগ ধাক্কা দেয়। ফলে প্রচণ্ড ভূকম্পন অনুভূত হয়।
হিমবাহের প্রভাবে – কখনো কখনো প্রকাণ্ড হিমবাহ পর্বতগাত্র থেকে হঠাৎ নিজে পতিত হয়। এতে ভূকম্প কেঁপে ওঠে।
ব্যাকরণ-
সমার্থক শব্দ- বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে এমন অনেক শব্দ আছে, যে শব্দগুলি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। একাধিক শব্দের মূল অর্থ এক ও অভিন্ন হলে, তাকে বলে সমার্থক শব্দ। সমার্থক শব্দকে প্রতিশব্দও বলা হয়। মনের ভাব প্রকাশ এবং বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সমার্থক শব্দের গুরুত্ব অপরিসীম। পাঠক্রম অনুসারে নীচে কিছু সমার্থক শব্দ ও তাদের বাক্যে প্রয়োগ দেখানো হল-
সরস্বতী – বাণী, বীণাপাণি, ভারতী, বাগ্দেবী, সারদা।
দুর্গা – চণ্ডিকা, উমা, নারায়ণী, গৌরী, পার্বতী, চণ্ডী, অভয়া, শিবানী।
শিব – শুভ, মঙ্গল, মহাদেব, মহেশ, মহেশ্বর, ঈশান, ধূর্জটি, শংকর, শম্ভু, ভোলানাথ, নীলকন্ঠ, রুদ্র, পিনাকী, উমাপতি গঙ্গাধর।
বাক্যে প্রয়োগ-
সরস্বতী – আমরা দেবী সরস্বতীর আরাধনা করি।
উমা – ‘এবার উমা এলে, আর উমা পাঠাব না’।
রুদ্র – ‘রুদ্রবেশে কেমন খেলা, কালো মেঘের ভ্রুকুটি!’
আকাশ – গগন, অম্বর, নভঃ, খ, শূন্য, ব্যোম, অন্তরিক্ষ, অভ্র।
কিরণ – অংশু, কর, জ্যোতি, দীপ্তি, রশ্মি।
ঢেউ – তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরি, তুফান, বীচি, কল্লোল, হিল্লোল।
পর্বত – অচল, গিরি, নগ, ভূধর, শৈল, পাহাড়।
বায়ু – অনিল, অগ্নিসখ, গন্ধবহ, পবন, বাত, বাতাস, সমীর।
অগ্নি – অমল, আগুন, পাবক, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, সর্বভুক।
বিদ্যুৎ – বিজলি, তড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা।
বাক্যে প্রয়োগ-
আকাশ – ‘আকাশ আমায় শিক্ষা দিল উদার, হতে….।’
কর – ‘আজি এ প্রভাতে রবির কর/ কেমনে পশিল প্রাণের পর।’
ঢেউ – ‘জলে ঢেউ দিও না, ও সখী………।’
গিরি – ‘অসীম নীরদ ( মেঘ) নয় ওই গিরি হিমালয়!?
বায়ু – ‘খরবায়ু বয় বেগে।’
আগুন – ‘ওরে আগুন আমার ভাই…..।’
সৌদামিনী – সৌদামিনী যেমন লুকায় জলধরে / লুকাইল তেমন জানকী বনান্তরে।
বাঘ – ব্যাঘ্র, শার্দূল, দ্বীপী, শের।
সাপ – ফণী, অহি, নাগ, ভুজঙ্গ, আশীবিষ, উরগ,
সিংহ – কেশরী, পশুরাজ, হরি, মৃগেন্দ্র, মৃগরাজ।
বাক্যে প্রয়োগ-
ফণী – ‘আমি যেন মণিহারা ফণী’।
কেশরী – ‘সৌমিত্রি কেশরী/নিবেদিলা করপুটে’,।
পুষ্প – ফুল, কুসুম, প্রসূন।
পদ্ম – কমল, পঙ্কজ, উৎপল, অরবিন্দী ইন্দিবর, শতদল, কোকনদ, তামরস, পুষ্কর, রাজীব, পুণ্ড্ররীক, নলিন।
বাক্যে প্রয়োগ-
কুসুম – ‘কুসুমে কুসুমে চরণ চিহ্ন দিয়ে যাও …..।’
তামরস – ‘মধুময় তামরস, কী বসন্ত কী শরদে।
শত্রু – অরি, বৈরী, রিপু, বিপক্ষ, প্রতিপক্ষ।
মিশ্র – বন্ধু, সখা, সুহৃদ।
যুদ্ধ – সংগ্রাম, সমর, রণ, লড়াই, দ্বন্দ্ব, আহব।
বাক্যে প্রয়োগ-
অরি – ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে।
সখা – ‘হে সখা, বারতা পেয়েছি মনে মনে।
আহবে – লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।
নারী – অঙ্গনা, বণিতা, বামা, মহিলা, রমণী, প্রমদা, ললনা।
পত্নী – ভার্যা, জায়া, স্ত্রী, সহধর্মিনী।
শিক্ষক – শিক্ষাদাতা, অধ্যাপক, উপদেষ্টা, গুরু, মাস্টার।
রাজা – নৃপতি, নরপতি, নৃপ, ভূপতি, ভূপাল।
রক্ষা – উদ্ধার, পরিত্রাণ, অব্যাহতি, নিস্তার, বাঁচোয়া।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ-
জননী বসুন্ধরা তাঁর কোলে অসংখ্য মানুষ ও বিচিত্র সব পশুপক্ষী নিয়ে বসে আছেন।
সভ্য মানুষের জীবন ও পশুপক্ষীর আরণ্যক জীবন স্বতন্ত্র হলেও দুয়ের মধ্যে অলক্ষে একটা নিবিড়ি যোগসূত্র রয়েছে। মানুষের প্রয়োজনে ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই সৃষ্টিকর্তা অসংখ্য পশুপক্ষী সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিকর্তার অনন্ত বৈচিত্র্যের সাক্ষী পশুপক্ষী। মনে রাখা দরকার, প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে এই বিশ্বসংসারের সৃষ্টি। প্রকৃতির ভারসাম্য যদি নষ্ট হয়, তবে সৃষ্টি আর সৃষ্টি থাকে না- তার অনাসৃষ্টি হয়ে ওঠে। তাতে মানবসমাজেও সংকট ঘনিয়ে আসে শীঘ্রই।
দুঃখের বিষয় মানুষের হাতে প্রকৃতির ভারসাম্য আজ বিপর্যস্ত। প্রকৃতির ওপর মানুষ এ যুগে দুর্বার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই আক্রমণ প্রতিরোধ করে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে না পারা যায়, তবে পরিবেশহীন এই পৃথিবী মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।
বর্তমানে দ্রুতহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মানুষ বন কেটে বসত বাড়ি তৈরি করতে গাছপালা কেটে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে এবং নির্বিচারে পশুপক্ষী হত্যা করে চলেছে। আর কিছু সংখ্যক মানুষ তাদের অদ্ভুত খেয়াল চরিতার্থ করার জন্য নির্বিচারে পশুপক্ষী শিকার করে চলেছে। প্রকৃতির ওপর এই আগ্রাসন বন্ধ না করলে মানুষের জীবনে সাংঘাতিক বিপদ ঘনিয়ে আসবে।
যেদিন থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা মানুষের করায়ত্ত হয়েছে, সেদিন থেকেই প্রকৃতির ওপর শুরু হয়েছে হামলা। দ্রুতহারে মানুষের বংশবৃদ্ধি ঘটায় তার জমির প্রয়োজন হয়েছে। তখনই মানুষের হাতে অরণ্যের অবলুপ্তি ঘটেছে। মানুষ কেড়ে নিয়েছে পশুপক্ষীর আশ্রয়। গাছপালা উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে পশুপক্ষার শত শত প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা করায় আমাদের দেশে ১৯৬৩ সালে যেখানে বাঘের সংখ্যা ছিল পনেরো হাজার, সেখানে বর্তমানে রয়েছে দেড় হাজার মাত্র। পঞ্চাশ বছর আগে কমপক্ষে পাঁচশত স্তন্যপায়ী জীব, দুহাজার প্রজাতির পাখি ও ত্রিশ হাজার প্রজাতির কীটপতঙ্গ ছিল। বর্তমানে এদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে সাড়ে তিনশ, বারোশ ও কুহি হাজার। এর মধ্যে পঁয়ষট্টিটি প্রজাতির স্তন্যপায়ী জীব, চল্লিশ প্রজাতির পাখি ও কুড়ি হাজার উভচর ও সরীসৃপ বিলুপ্তির দিন গুনছে।
বন্যপ্রাণী বলতে পশুপক্ষী উভয়ই। পশুর মধ্যে হিংস্র ও নিরীহ উভয় শ্রেণির জীব রয়েছে। বাঘ, ভালুক, হায়না, গণ্ডারী বরাহ প্রভৃতি হিংস্র পশু। হরিণ, মহিষ ও খরগোস প্রভৃতি নিরীহ জীব। এছাড়া, আরও বহু শ্রেণির জীবজন্তু রয়েছে। রয়েছে ময়ূর, টিয়া, ধনেশ ও কুকুট প্রভৃতি বন্যবিহঙ্গ। অরণ্যের এরা সম্পদ ও সৌন্দর্য। এরা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও যোগরক্ষা করে চলেছে পরোক্ষ ভাবে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এদের প্রয়োজন হয়। বিষধর সম্পাদির বিষ থেকে ওষুধপত্র তৈরি হয়। মানুষের মনের ওপরেও এরা গভীর প্রভাব বিস্তার করে। বিচিত্র বন্যপ্রাণীর সৌন্দর্যে নির্মল আনন্দলাভ করে মানুষ- সৃষ্টিকর্তার প্রতি সে ভক্তিনম্র হয়ে ওঠে।
সর্বোপরি বন্যপ্রাণী জাতীয় আয়ের একটি বড়ো উৎস। বিদেশে বন্যপ্রাণী রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়। চিড়িয়াখানায়ও বন্যপ্রাণী রেখে আর্থিক উপার্জন চলে । বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব জাতীয় জীবনে অপরিসীম এদিক থেকে।
কিন্তু, নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা করলে মানবজীবনের অস্তিত্ব চরম সংকট ঘনিয়ে আসবে। নির্মল পরিবেশ ও মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। আমাদের এই নিগূঢ় সত্যটি উপলব্ধি করতে হবে যে, পশুপক্ষীর বাঁচার অধিকার রয়েছে। এতকাল আমরা অরণ্য ধ্বংস করেছি। সেই সঙ্গে উজাড় করে দিয়েছি অরণ্যাশ্রিত যাবতীয় প্রাণী ও অপ্রাণী। পশু গেছে, পাখি গেছে, – এই আগ্রাসনে আমরা নিজেদেরও নিরাশ্রয় করে তুলেছি। আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির প্রতি প্রেমভাবাপন্ন হতে হবে। বন রক্ষা করতে হবে- বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষণ করতে হবে।
পৃথিবীর উন্নতশীল দেশগুলিতে বন্যপ্রাণীকে বাঁচাবার জন্য এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংস্থা World Wildlife Fund (WWF)। আমাদের ভারত সরকারও আইন করে পশুপ্রাণী হত্যা ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আইন অমান্য করে পশুহত্যা করলে অপরাধীর কঠিন শাস্তি। এই আইনের সার্থক রূপায়ণের দায়িত্ব নিয়ে দুশ চুয়ান্নটি অভয়ারণ্য, ঊনষাটটি জাতীয় উদ্যান, ষোলটি ব্যাঘ্রপ্রকল্প ও একটি সিংহনিবাস গড়ে তোলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সেমিনার ও আলোচনা চলছে এ বিষয়ে পুস্তিকাও বেরিয়েছে। জনগণকে এ ব্যাপারে নানাভাবে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য আইন তৈরি হচ্ছে। প্রচারকাজ চলছে পুরোদমে। কিন্তু মানুষের মনে প্রকৃতি সম্পর্কে যতোদিন না প্রেম সঞ্চারিত হচ্ছে, ততোদিন আইনের সাহায্য পরিবেশকে রক্ষা করা যাবে না। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সপ্রেমে এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই নিগূঢ় সত্যটি উপলব্ধি করলেই বন্যপ্রাণী বাঁচবে, – বাঁচবে মানুষ।
একটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় – সুনামি
সূচনা – এক লহমায় সব শেষ -মানুষ, প্রকৃতির কাছে যে কত অসহায়, তা আর একবার প্রমাণিত হয় ২০০৪ সালে ২৫ ডিসেম্বরের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই। সামান্যতম আভাস না দিয়েই সমুদ্রতলের ‘সুনামি’ নামক এই ভূমিকম্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়।
সুনামি কি? – ‘সুনামি’ শব্দটি হল জাপানি শব্দ। সমুদ্রের জলের তলায় মাঝে মাঝে ভূমিকম্প হয়ে সমুদ্র উপকূলে এই ধরনের সুনামি তরঙ্গ উচ্ছ্বাসের আবির্ভাব বেশি হয় ও জাপানি অভিহিত ‘সুনামি’ থেকে এরূপ তরঙ্গের নামকরণ হয় সুনামি। ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে লিসবন ভূমিকম্পে ৩০ মিটার উঁচু পর্যন্ত সমুদ্রের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল এবং ইউরোপ উপকূল অঞ্চ লে প্লাবনের ফলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে একবার আর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে আরও একবার আন্দামান সাগরে ‘সুনামি’ সৃষ্ট ঢেউ এসে পৌঁছায়। তবে তার শক্তি তেমন ছিল না। এবারেরটা ছিল বিশাল।
ধ্বংসলীলা – ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সকালবেলায় ভারত মহাসাগরের ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলের কাছে প্রায় ৪০ মিটার গভীরে আবার সৃষ্টি হয় এই ভূমিকম্পের । রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৯। সুমাত্রায় ভূমিকম্পের পর আন্দামানের কাছে সমুদ্রতলে অপর একটি ভূমিকম্পন হয়। তাছাড়া মূল ভূমিকম্পের পরে আরও কয়েকটি কম্পন ধরা পড়ে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে। ভূকম্পজনিত এই জলোচ্ছ্বাস ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যাণ্ড, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ভারত, মায়ানমার প্রভৃতি দেশের অসংখ্য মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। বিভিন্ন দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দেড় লক্ষের মতো। শুধু মানুষের মৃত্যুই নয়, ঘরবাড়ি – রাস্তাঘাট – সেতু ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে খাদ্য, পানীয় জল, আশ্রয় প্রভৃতির জন্য হয় হাহাকার। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন করে ‘সুনামি’ ও মহামারির আশঙ্কা। তাই নিজেদের ভাগ্যের হাতে সঁপে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
উদ্ধারকার্য – যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানুষই এগিয়ে আসে মানুষের জন্য। তাই যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে শুরু হয় উদ্ধারকার্য। ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ পত্র, অর্থ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থা। ভারতের নৌ ও বিমান সেনা মিলিয়ে পনেরো হাজার ফৌজ উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে নামে, নৌ বাহিনীর ২৬টি যুদ্ধ জাহাজ কাজে লাগানো হয়।
উপসংহার – ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া না গেলেও সুনামির পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। যথাসময়ে এই বিষয়ে সতর্ক করা গেলে বহু প্রাণ বাঁচানো যেত। ভবিষ্যতে ‘সুনামি’র পূর্বাভাস যাতে দেওয়া যায় তার উপযুক্ত ব্যবস্থা ভারত সহ ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলির গ্রহণ করা উচিত।
সময়ের মূল্য
সূচনা – মানুষের কর্মময় জীবনে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। যে সময় একবার চলে যায়, তা আর ফিরে আসে না। সুতরাং সময়ে থাকতে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে না পারলে, সীমিত জীবনে অনেক কাজই অপূর্ণ থেকে যায়। যাঁরা জীবনে বড়ো মানুষ হয়েছেন, যাঁরা নিজ নিজ কর্মে ব্যাপৃত থেকে সময়ের কাজ সময়ে করেছেন, তাঁরাই মনুষ্যজীবনে ধন্য হয়েছেন। অপরপক্ষে যে মানুষ সময়ের অপব্যবহার করে আলস্যে সময় অতিবাহিত করে সে জীবনে কখনও প্রতিষ্ঠালাভ করতে পারে না – দুঃখ-দৈন্য তার নিত্য সহচর হয়ে ওঠে।
কাল অনন্ত, জীবন ক্ষণস্থায়ী – সময় বা কাল অনন্ত, অসীম। সময়ের নিত্য প্রবহমানতাকে কোনোভাবেই সীমার মাঝে আবদ্ধ করে রাখা যায় না। কিন্তু মনুষ্যজীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী দেখতে দেখতে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়। যত দীর্ঘই মানুষের পরমায়ু হোক না কেন, সেই দীর্ঘতা অতি নগণ্য। গতিশীলতাই সময়ের ধর্ম। নদীর স্রোতধারার মতোই সময় নিত্য প্রবাহিত হয়েই চলেছে। যে সময় একবার চলে যায় তাকে কোনো কিছুর বিনিময়ে আর ফিরে পাওয়া যায় না। সুতরাং, সার্থক মনুষ্যজীবন গড়ে তুলতে হলে জীবনের প্রতিমুহূর্ত সৎকাজে ব্যয় করা উচিত। শৈশবকাল থেকেই সময়ের কাজ সময়ে সম্পাদন করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় ভবিষ্যৎ জীবনের নানা বিফলতা জনিত অনুতাপ দেহ মনকে পঙ্গ করে তোলে। তাই সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে, সময়ের সদ্ব্যবহার করার জন্য সকলকে সদা সচেতন থাকতে হবে। কর্ম বিমুখতা অথবা অসৎ কর্মে লিপ্ত থাকা এক প্রকার সামাজিক অপরাধ বলে বিবেচিত;এমন ক্ষেত্রে ‘সময়ের মূল্য’ নিদারুণভাবে উপেক্ষিত।
সময়ের সদ্ব্যবহার – যার যা কাজ, সেই কাজ তাকে সময়মতো সম্পাদন করতে হবে। পরে করা হবে বলে, সেই কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়। দীর্ঘসূত্রী মানুষের কোনো কাজই সময়মতো সম্পন্ন হয় না। কর্তব্য – কর্ম সময়মতো না করে পরে করলে সেই কাজের মূল্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে হ্রাস পায়, কখনওবা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। স্বল্পকাল স্থায়ী সীমাবদ্ধ জীবনে সময়কে অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার সময় থাকে না। মানুষের পরমায়ু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমষ্টিমাত্র। যে ব্যক্তি এই মহামূল্যবান মুহূর্তগুলি নির্বিচারে অবহেলা করে, নষ্ট করে তার মতো মূর্খ আর কেউ নয়। এই ধরনের মূর্খতা একপ্রকার আত্মঘাতী প্রচেষ্টা বলা চলে। অতীত বা ভবিষ্যতের কথা ভেবে আকুল না হয়ে প্রত্যেকের উচিত আপনাপন নির্ধারিত কমে আত্মনিয়োগ করা। অতীতের সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে না থেকে অথবা ভবিষ্যতের আকাশচুম্বী কল্পনায় আত্মমগ্ন না থেকে বর্তমানের কঠোর বাস্তবকে মেনে নিতে হবে। বর্তমানে যা যা কাল করণীয় বলে বিবেচিত, সেই সব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে সময়মতো সমাধা করাই হল প্রকৃত জীবনধর্ম। সৎভাবে, সময়ের কাজ সমাধা করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকতে হবে- ফললাভের কথা বিবেচনা না করাই ভালো। গীতায় বলা হয়েছে, ‘কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে নহে।’
অনেকে হয়তো জানতে চাইবে প্রফেসার শঙ্কুর ডায়ারিটা কোথায় এবং আশ্চর্য জিনিসটাকে দেখবার কোনো উপায় আছে কিনা। আমার নিজের ইচ্ছে ছিল যে, ডায়ারিটা ছাপানোর পর ওর কাগজ ও কালিটা কোনো বৈজ্ঞানিককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারপর ওটাকে জাদুঘরে দিয়ে দেব। সেখানে থাকলে অবিশ্যি সকলের পক্ষেই দেখা সম্ভব। কিন্তু তা হবার জো নেই। না থাকার কারণটা আশ্চর্য। লেখাটা কপি করে প্রেসে দেবার পর সেইদিনই বাড়ি এসে শোবার ঘরের তাক থেকে ডায়ারিটা নামাতে গিয়ে দেখি জায়গাটা ফাঁকা। তারপর একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখলাম। ডায়ারির পাতার কিছু গুঁড়ো আর লাল মলাটটার ছোট্ট একটা অংশ তাকের উপর আছে। এবং তার উপর ক্ষিপ্রপদে ঘোরাফেরা করছে প্রায় শ-খানেক বুভুক্ষু ভেঁয়োপিঁপড়ে। এরা পুরো খাতাটাকে খেয়ে শেষ করেছে, এবং ওই সামান্য বাকি অংশটুকু আমার চোখের সামনেই উদরসাৎ করে ফেলল। আমি কেবল হাঁ করে চেয়ে রইলাম।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.