SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

হে ভারতের শ্ৰমজীবি

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

শ্রমজীবি – খেটে খাওয়া মানুষ।

ক্রমান্বয়ে – ধারাবাহিকভাবে।

ঐশ্বর্য – সম্পদ।

আধিপত্য – ক্ষমতা।

কার্যকারিতা – কাজের অগ্রগতি। 

ক্ষুদ্র – ছোট।

গগন – আকাশ।

রুধিরস্রাব – রক্তের ধারা। 

পূজ্য – পূজা পাওয়ার যোগ্য। 

বাহবা – প্রশংসা।

অক্লেশে – কষ্টশূন্য ভাবে। 

অজান্তে – না জেনে।

সহিষ্ণুতা – ধৈর্য।

অনন্ত – শেষ হয় না এমন। 

প্রীতি – ভালোলাগা।

নির্ভীক – ভয়শূন্য।

নিষ্কাম – লোভশূন্য। 

নিঃস্বার্থতা – স্বার্থপর না হয়ে।

১। পাঠটির মূলভাব নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ ঈশ্বরের সৃষ্টি এই পৃথিবী। এ জগৎ মধুময় করে তুলেছে মানুষই। জলে স্থলে আকাশে মানুষ নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে তার সভ্যতার বিজয়কেতন উড়িয়েছে। কিন্তু একশ্রেণির স্বার্থান্ধ সম্পদলোভী মানুষ সমাজের দুর্বলতর অংশকে শোষণ করেই বর্তমান দুনিয়ায় মানুষের জীবনে দুঃখ ডেকে আনে। যারা এভাবে নিজেদের পাশবিক বৃত্তি চরিতার্থ করার মতলবে ব্যস্ত তারাই সভ্যতার কলঙ্ক। কবি বলেছেন- এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে / নখ যাদের তীক্ষ্ন তোমার নেকড়ের চেয়ে / এল মানুষ ধরার দল / গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে / সভ্যের বর্বর লোভ / নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা/ তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে। পঙ্কিল হল তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে/ দস্যুপায়ের কাঁটা মারা জুতোর তলায় / বীভৎস কাদার পিণ্ড /চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমাণিত ইতিহাসে। ফলে বিশ্বের বিত্তহীনরা তাদের শোষণে সর্বস্বান্ত হয়ে সাজলো পথের ভিক্ষুক। সমস্ত মানবিক মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে তারা মানুষের মূল্যবান শ্রমকে পণ্য করে মুনাফা অর্জন করেছে। মানুষের পৃথিবীতে এই লোভী মানুষেরা চালু করতে চায় শোষণ শাসনের এক স্থায়ী অন্ধকার অধ্যায়। কবি লক্ষ করেছেন স্ফীতকায় অপমান / অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুষি করিতেছে পান লক্ষ মুখ দিয়া। কিন্তু অত্যাচারী ও তার রক্ত কৃপাণই তো শেষ কথা নয়। আজ পৃথিবীব্যাপী গণজাগরণের এক নতুন জোয়ার এসেছে – এই ধরণির যাহা সম্বল / বাসে ভরা ফুল, রসে ভরা ফল / সুস্নিগদ্ধ মাটি, সুধা সম জল, পাখির কন্ঠে গান / সকলের এতে সমঅধিকার, এই তাঁর ফরমান। কেউ পৃথিবীতে দাস হয়ে জন্মায় না সমাজের চক্রান্তে মানুষ দাসে পরিণত হয়। তাই সমাজকে শোষণ মুক্ত করার সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবতাকে মুক্ত করতে হবে।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

৩। উত্তর লেখো-

(ক) এই পাঠে তোমরা কোন কোন দেশের নাম পেয়েছ?

উত্তরঃ এই পাঠে ব্যাবিলন, ইরান, আলেকজেন্দ্রিয়া, গ্রিস, রোম, ভেনিস জেনোয়া, বাগদাদ, সমরকন্দ, স্পেন, পোর্তুগাল, ফরাসি, দিনেমার, ওলন্দাজ ও ইংরেজ দেশের নাম আছে।

(খ) কাদের কেউ বাহবা দেয় না?

উত্তরঃ শ্রমজীবি মানুষদের কেউ বাহবা দেয় না।

(গ) কারা দিনরাত মুখ বুজে নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছেন?

উত্তরঃ সাধারণ শ্রমজীবি মানুষেরা দিন রাত মুখ বুজে নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছে।

(ঘ) কখন একজন কাপুরুষ ও বীর হয়ে যান?

উত্তরঃ বড়ো কাজ হাতে এলে কাপুরুষও বীর হয়ে যায়।

(ঙ) স্বামীজি কেন শ্রমজীবি লোকেদের বন্দনা করেছেন?

উত্তরঃ সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শ্রমজীবি মানুষদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। তারা প্রতিদিন আমাদের সুবিধার জন্য সদা কর্তব্যে রত। তাই স্বামীজি শ্রমজীবি লোকেদের বন্দনা করেছেন।

৪। পাঠটি পড়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) লোকজয়ী ………………..রণবীর, কাব্যবীর সকলের……………….. উপর সকলের……………….. কিন্তু কেউ যেখানে……………….. না, কেউ যেখানে একটা………………..দেয় না, যেখানে সকলে ………………..করে, সেখানে বাস করে অপার………………..  অনন্ত প্রীতি ও কার্যকারিতা, আমাদের……………….. ঘরদুয়ারে দিনরাত যে মুখ বুজে……………….. করে যাচ্ছে।

উত্তরঃ ধর্মবীর, চোখের, পূজ্য, দেখে, বাহবা, ঘৃণা, সহিষ্ণুতা, নির্ভীক, গরীবরা, কর্তব্য।

৭। কোনটা কী ধরনের শব্দ বলো।

উত্তরঃ শিব – তৎসম।

সন্ধ্যা – তৎসম।

স্কুল – বিদেশী।

টেবিল – বিদেশী।

কৰ্ম – তৎসম।

অনন্ত – তৎসম।

অক্লেশ – অর্ধতৎসম।

ঐশ্বর্য – তৎসম।

আয়না – বিদেশী।

গেরাম – অর্ধতৎসম। 

দর্শন – তৎসম।

বীরত্ব – অর্ধতৎসম।

দীপ্ত – অর্ধতৎসম।

হস্ত – তদ্ভব।

পাতা – তদ্ভব।

৮। এককথায় প্রকাশ করো।

উত্তরঃ (ক) যার অন্ত নেই – অনন্ত।

(খ) যার স্বার্থ নেই – নিঃস্বার্থ।

(গ) যার ভয় নেই – নির্ভীক।

(ঘ) যে পূজার যোগ্য – পূজ্য।

৯। নীচে বাঁদিকের শব্দের বিপরীত শব্দ ডানদিকের শব্দ সম্ভার থেকে খুঁজে নিয়ে বাক্সে লেখোঃ

উত্তরঃ 

শব্দবিপরীত শব্দশব্দ সম্ভার
বীরত্বকাপুরুষত্বঅপ্রীতি
সহিষ্ণুতাঅসহিষ্ণুতাপরার্থপর
প্রীতিঅপ্রীতিকাপুরুষত্ব
স্বার্থপরপরার্থপরঅসহিষ্ণুতা

১০। নীচের শব্দগুলো বর্ণের ক্রম রক্ষা করে লেখো।

উত্তরঃ উন্নতি, ঐশ্বর্য, কার্য, গুণ, ঘৃণা, দর্শন, পুরুষপিতৃ, বীর, ভারত, মনুষ্য, শ্রম।

গ- জ্ঞান সম্প্রসারণ

১১। নিজে করো।

১২। অনেক শ্রমজীবি আছেন যাদের শ্রমের ফল আমরা উপভোগ করি কিন্তু তাঁদের কথা একবারও ভাবি না। সেরকম তিনজন শ্রমজীবির কথা উল্লেখ করে তাদের বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।

উত্তরঃ তিনজন শ্রমজীবি হলেন – মেথর, মুচি ও কৃষক। সমাজের সবচেয়ে বড় বন্ধু এরাই। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সবার জন্য খাদ্যের জোগান দেয়। পরিবেশকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে মেথরের অবদান অপরিসীম। মেথর ভাইয়েরা নিজেদের কাজ সম্পর্কে সচেতন বলেই পরিবেশ সুন্দর দূষণমুক্ত থাকে। মুচি ভাইদের কর্তব্য সচেতনতা সম্পর্কেও আমরা জানি। মুচি ভাইরা না থাকলে আমাদের খালি পায়ে হাঁটতে হত। এর ফলে প্রচুর রোগে আক্রান্ত হতে হত এবং ধুলায় আচ্ছন্ন হতে হত।

আমরা কাজের মধ্য দিয়ে বাঁচি। সে কারণে বলা হয় কর্মই জীবন। ছোট বড়ো যেমন কাজই হোক না কেন যে মানুষ যে কাজে নিযুক্ত তাকে তার সেই কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। কাজকে ভালোবেসে একনিষ্ঠ হয়ে কর্মপ্রেমী হয়ে উঠতে পারে। মানুষ যে শ্রমের মধ্যেই নিযুক্ত থাকুক না কেন সকলকেই নিজ নিজ কাজের প্রতি অনুগত হতে হবে। কর্মের প্রতি অনুরাগই হল জীবনের সার্থকতা। কায়িক শ্রম মানুষকে পরনির্ভরতা থেকে মুক্ত করে। কায়িক শ্রমের মধ্য দিয়েই মানুষ যেমন আত্মনির্ভর হয়ে ওঠে তেমনি দেহ মনকে সুস্থ রাখে। কায়িক শ্রম কোনোভাবেই তুচ্ছ নয় বরং এই শ্রমের মধ্য দিয়েই বৃহত্তর মানবসভ্যতার অগ্রগতির ধারা প্রবহমান। মানবসভ্যতার ইতিহাসে শ্রমজীবি মানুষের অবদান সকলেই স্বীকার করেন।

১৩। নিজে করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রবন্ধ- 

অস্পৃশ্যতা ।

সূচনা – প্রাচীনকালে আর্যসভ্যতা বিভিন্ন মানুষের বৃত্তি অনুসারে মানুষকে বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত করে বর্ণাশ্রমের গোড়াপত্তন করে। বর্ণাশ্রমের মধ্যে কোনো ঘৃণা বা বর্ণে বর্ণে কোনো বিভেদ ছিল না। কিন্তু কালক্রমে বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণদের প্রতিপত্তি ও প্রাধান্য সমাজে বিশেষভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে; ফলে ব্রাহ্মণ ছাড়া অপর সব বর্ণ, বিশেষ করে শূদ্ররা ঘৃণিত জাত বলে প্রচণ্ডভাবে লাঞ্ছিত হতে থাকে। এখান থেকেই শুরু হয় সামাজিক অস্পৃশ্যতা বোধ আর বর্ণ বিদ্বেষ।

অস্পৃশ্যতা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সারা পৃথিবী জুড়ে এই অস্পৃশ্য প্রথা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। অস্পৃশ্যতার প্রভাব দেশভেদে, স্বরূপে এক রকম নয়। এর প্রভাব যে কত মারাত্মক হতে পারে তা আমরা আমেরিকান ও নিগ্রোদের মধ্যে সাদা কালোর বিভেদের সমস্যা দেখে বুঝতে পারি। আমেরিকাবাসী শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রো এক জাতির মানুষ হলেও নিগ্রোরা একসময় ছিল শ্বেতাঙ্গদের ক্রীতদাস। কিছুকাল আগে, শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রোডেশিয়ায় নিগ্রোদের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তথাপি অস্পৃশ্যতা পৃথিবীতে একেবারে দূর হয়ে যায়নি।

অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে যিনি প্রথম সংগ্রাম করে সাফল্য লাভ করেন তিনি বাংলার নব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেব। তিনি যবন হরিদাসকে যেমন বুকে ঠাঁই দিয়েছিলেন, তেমনি ব্রাহ্মণ চণ্ডালকে সমস্নেহে বুকে তুলে অসীম প্রেমের করুণা সিঞ্চন করেছেন। কথা উল্লেখ করে শূদ্রদের অচ্ছুৎ না রেখে তাদের ভাই বলে কাছে টেনে নিতে সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন। মহাত্মাগান্ধি অস্পৃশ্য মানবগোষ্ঠীকে পরম শ্রদ্ধাভরে ‘হরিজন’ আখ্যা দিয়েছেন। ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্যে রবীন্দ্রনাথ অস্পৃশ্যতাকে বর্জন করেছেন।

আমাদের সমাজে নানা সমস্যার মধ্যে অস্পৃশ্যতা এখনও সমস্যারূপেই রয়ে গেছে। আমাদের পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের প্রত্যেককে মানুষের প্রতি মানুষের মর্যাদা দিতে শিখতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, স্ত্রী পুরুস নির্বিশেষে সকলকে প্রীতির চোখে দেখতে হবে; তাদের ভাই বলে সম্বোধন করে কাছে টেনে নিতে হবে।

অস্পৃশ্যতা দেশ থেকে দূর করতে হলে, তার জন্য চাই শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষার আলোকে সকলকে আলোকিত করতে পারলে তবেই অস্পৃশ্যতার হাত থেকে আমরা নিষ্কৃতি পাব। তবে, যোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে চাই অর্থের সমবন্টন। একযোগে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা ছাড়া দেশ থেকে অস্পৃশ্যতা দূর করা যাবে না।

2 thoughts on “SEBA Class 7 Bengali Chapter 14 হে ভারতের শ্ৰমজীবি”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top